গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রকিবুল করিম বলেছেন, ‘এক দশক ধরে বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি বেশ প্রশংসনীয়। কিন্তু এ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় দেশের বিমা খাতের উন্নয়ন আশানুপাত হয়নি। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বিমা খাতের সমৃদ্ধি প্রত্যাশিত হারের অনেক কম।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মতে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিমা খাতের বিস্তৃতি দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৫ শতাংশ ছিল, যা এশিয়ার অন্যান্য উদীয়মান দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে বিগত কয়েক বছরে বিমা নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও আধুনিক মনোভাবের বেশকিছু বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান একত্র হয়ে কাজ করছে দেশের বিমা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে।’
শেখ রকিবুল করিম বলেন, ‘বর্তমানে আমরা বিমা খাতের যা-ই ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করছি, তার নেপথ্যে যারা কাজ করে যাচ্ছে তাদের মধ্যে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড অন্যতম। সবার জন্য বিমা নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি শুরু থেকেই এবং এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আমাদের বিমা সেবার আওতায় নিয়ে এসেছি। ইন্স্যুরেন্স সেবাকে আমরা এতটাই নতুনত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করছি, যা এক দশক আগেও কেউ কল্পনা করেনি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিমা খাতে যাত্রা শুরু করা এ কোম্পানির অন্যতম তিনটি দর্শন হলো ‘সবার জন্য বিমা’, ‘সুরক্ষা ও নির্ভরতার অঙ্গীকার’ এবং ‘পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ ও গ্রাহকসেবা।’
তিনি বলেন, ‘বিমা ব্যবসা প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার রক্ষার ব্যবসা। এর উদ্দেশ্যই হলো সবার দুয়ারে সেবা পৌঁছে দেয়া। আর এ জন্যই গার্ডিয়ান লাইফের স্লোগান ‘সবার জন্য বিমা।’ এই ভিশন বাস্তবায়নে আমরা পণ্যের উদ্ভাবন, প্রক্রিয়াকরণ, পরিষেবা ও ব্যবসার মডেল নিয়ে কাজ করছি। কোম্পানিটির চার শতাধিক করপোরেট গ্রাহক রয়েছে।
গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘বর্তমানে বিমা খাতে যে পরিবর্তন ও পরিমার্জন হয়েছে তার নেতৃত্ব দিচ্ছে গার্ডিয়ান লাইফ। পাঁচ বছরে কোম্পানিটির যৌগিক বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বা সিএজিআর ব্যাপক বেড়েছে। লাইফ ফান্ড বেড়েছে ২৫ শতাংশ, সম্পদ ৩৩ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, পেশাদারি মনোভাব বজায় রেখে আমরা আমাদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করে আসছি। আমরা মাত্র ৯ বছরে ১৩০০ কোটি টাকার অধিক বিমা দাবি পরিশোধ করেছি, যা নির্ভরযোগ্যতা এবং বিশ্বস্ততার এক অনন্য নিদর্শন। আমাদের বিমা দাবি পরিশোধের হার ৯৮ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে সব থেকে বেশি। আমাদের সব বিমা দাবি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয় এবং ৯০ শতাংশ বিমা দাবি মাত্র তিন কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়।
প্রতি বছরের মতো ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ। এ বছর মাইলস্টোন কলেজ থেকে বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সনে মোট ১,৭৫০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাসের হার শতভাগ। পাসকৃতদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২৯৮ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ অর্জনের হার ৭৪.১৭ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১,৫১৬ শিক্ষার্থী। পাসের হার শতভাগ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করে ১,২৬৯ জন। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ অর্জনের হার ৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৩৪ জন। পাসের হার শতভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করে ২৯ জন। শুরু থেকেই মাইলস্টোন কলেজ এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ধারা অব্যাহত রাখছে। পাসের হার জিপিএ-৫ অর্জন সব ক্ষেত্রেই অনন্য সাফল্যের ছোঁয়া। নিয়মিতভাবে ভালো ফলাফলের ধারা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রীদের গুণগতমানের শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যালেন্ডারভিত্তিক নিয়মিত একাডেমিক পাঠদান, বিশেষ একাডেমিক কার্যক্রম এবং সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আশানুরূপ ফলাফল অর্জনে সহায়তা করে। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমের মতে, মাইলস্টোন কলেজের প্রত্যাশা মতো ফলাফল লাভের জন্য প্রধান নিয়ামক হলো এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা। এসএসসি পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করায় তিনি মাইলস্টোন কলেজের সব শিক্ষক-শিক্ষিকা, উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সাহিত্যানুরাগী ব্যাংকাররা এবার আলোচনা করেছেন প্রখ্যাত উর্দু লেখক সাদাত হাসান মান্টো এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশি লেখক ফারুক মঈনউদ্দীনের রচিত সাহিত্যকর্ম নিয়ে। ঢাকায় সাদাত হাসান মান্টোর মর্মস্পর্শী গল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্প্রতি ওই সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন উর্দু সাহিত্যের অনুবাদক হাইকেল হাশমি, যিনি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে গল্পগুলো বাংলায় অনুবাদ করেছেন। আলোচনায় সমাজের ‘ট্যাবু’ বিষয়গুলোর প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে ভারত বিভাজন, সাবলীলভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরার অনন্য ক্ষমতা নিয়ে লেখক মান্টোর তুমুল প্রশংসা করা হয়। তার লেখা গল্প ‘টোবাটেক সিং’ এবং ‘ঠাণ্ডা গোশত’ নিয়ে সাহিত্যানুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়, যেখানে আলোচকরা গল্প বলায় তার সরলতা এবং লেখনশৈলী নিয়েও নিজেদের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। হাইকেল হাশমি মনে করেন, মান্টোর সাহিত্যকর্ম সময় এবং স্থানের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চে তাকে একজন বিশ্বসাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি চট্টগ্রাম রিডিং ক্যাফের সদস্যরা আলোচনা করেছেন ফারুক মঈনউদ্দীনের লেখা জনপ্রিয় সাহিত্য-সংকলন ‘সেই সব শেয়ালেরা’ নিয়ে। মানুষের ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক জটিলতার উজ্জ্বল চিত্রায়নের জন্য সুপরিচিত ফারুক মঈনুদ্দীনের সাহিত্যিক বর্ণনা আলোচকদের ব্যাপকভাবে বিমোহিত করেছে। প্রতিষ্ঠানজুড়ে এ রকম সাহিত্য আড্ডার আয়োজন সহকর্মীদের মধ্যে সাহিত্য এবং বই পড়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এ সাহিত্য সভাগুলো সহকর্মীদের মধ্যে গল্প বলার ক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞপ্তি
পানি ভবনের সভাকক্ষে সম্প্রতি নবনিযুক্ত ১৪ উপসহকারী প্রকৌশলী-শাখা কর্মকর্তাদের (যান্ত্রিক-বিদ্যুৎ) ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিয়ন) ও মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্ম সচিব এস এম অজিয়র রহমান। এ ছাড়া নবাগত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে অবহিত করে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) ও যুগ্ম সচিব কাজী নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিয়ন) মো. এনায়েত উল্লাহ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি
বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সেরা উন্নয়ন কর্মকর্তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়। কোম্পানির ব্রাঞ্চ সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান শাহাদাত হোসেন ভুইয়ার পরিচালনায় ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মনিরুল আলম। এ সময় কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সব প্রকল্পপ্রধান উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি বলেন, বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ২০২৪ সালের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। অনলাইনভিত্তিক সেবা, নবায়ন প্রিমিয়াম অর্জন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকর্তাদের আরও গতিশীল করে সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে তিনি সবার প্রতি নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি
বিএডিসিতে অনুষ্ঠিত হলো ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া ইভ্যালুয়েশন ইভেন্ট। গত ১১ মে বিএডিসির মধুপুর বীজ উৎপাদন খামারে এ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি। ওই ইভেন্টে বিএআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবিরসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান বিএডিসি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে মধুপুর বীজ উৎপাদন খামারে বোরো ধানের বীজ উৎপাদন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণপূর্বক বিশুদ্ধ ও মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে অধিকতর আন্তরিক ও সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি
বেসরকারি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) হয়েছেন এম. শামসুল আরেফিন। গত শনিবার ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি ব্যাংকে যোগদান করেছেন। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার আগে শামসুল আরেফিন একই ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ক্যামেলকো, চিফ রিস্ক অফিসার, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং করপোরেট বিজনেস বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকের বিভিন্ন বিজনেস টিমের পাশাপাশি অপারেশন্স টিমেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। শামসুল আরেফিন ১৯৯৪ সালে ইস্টার্ন ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে ওয়ান ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং এসবিএসি ব্যাংকে বিভিন্ন পর্যায়ের শাখা ব্যবস্থাপক এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। বিজ্ঞপ্তি
দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ও বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড স্যামসাং সম্প্রতি একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে। এ চুক্তির ফলে গ্যালাক্সি এ১৫ ফাইভ-জি ফোনটি ক্রয়ে বাংলালিংক গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন বিশেষ অফার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৫ ফাইভ-জি স্মার্টফোনটি কিনলে বাংলালিংক গ্রাহকরা পাবেন দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি অ্যাপে বিনামূল্যে আইপিএল উপভোগ করার সুযোগ। এ অফারের আওতায় গ্রাহকরা ১২ মাসব্যপী ৭ দিন মেয়াদের ১৫ জিবি ফ্রি মোবাইল ও ১০০ টাকার বেশি যেকোনো ডাটা প্যাকে ৫০ শতাংশ ইন্টারনেট বোনাস পাবেন। এ ছাড়া বাংলালিংকের মাইবিএল সুপারঅ্যাপের বেশ কিছু উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাও গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে পাঁচ বছরের সিকিউরিটি আপডেট, ৪ বার ওএস আপডেট ও ১ বছরের ওয়ারেন্টির নিশ্চয়তাও পাওয়া যাচ্ছে, যা সর্বোপরি বাংলালিংক গ্রাহকদের ফোর-জি ফোন ক্রয়ে আগ্রহী করার মাধ্যমে বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাংলালিংকের মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর, মেহেদী আল আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্রুততম ফোর-জি ইন্টারনেট সেবাদানকারী অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য মূল্যবান গ্রাহকদের নির্বিঘ্ন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদান করা। স্যামসাংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে গ্যালাক্সি এ১৫ ফাইভ-জি উদ্বোধন করার পাশাপাশি আমাদের গ্রাহকদের বিশেষ অফার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, এ অফারটি শুধু আমাদের গ্রাহকদের নির্দিষ্ট চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং একটি সামগ্রিক ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতেও অবদান রাখবে। একই সঙ্গে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা গ্যালাক্সি এ১৫ ফাইভ-জি স্মার্টফোনে বহু প্রতীক্ষিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সব খেলা বিনামূল্যে দেখার সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের ডিরেক্টর ও মোবাইল ডিভিশন হেড মো. মঈদুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, বাংলালিংকের সঙ্গে এ চুক্তি গ্যালাক্সি এ১৫ ফাইভ-জি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সমাধান দেবে। বাংলালিংকের গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের বাস্তবায়নের পাশাপাশি গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধাসহ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ উপভোগের সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যৌথভাবে আমরা নিশ্চিত করছি যে, গ্রাহকরা আরও বেশি সংযুক্ত থাকবেন ও অভূতপূর্ব উদ্ভাবনী সেবা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উপভোগ করবেন।’ বিজ্ঞপ্তি
এবার বিকাশের অ্যাড মানি সেবায় যুক্ত হলো আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড। গ্রাহকরা এখন বাংলাদেশে ইস্যুকৃত যেকোনো অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্সের ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ড থেকে খুব সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে অ্যাড মানি করতে পারছেন। ফলে অ্যামেক্স এবং সিটিম্যাক্সের গ্রাহকরাও সহজেই বিকাশ ওয়ালেটে টাকা এনে তাদের প্রতিদিনকার ছোট-বড় সব আর্থিক লেনদেন আরও সহজে করতে পারছেন। সম্প্রতি সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেবাটির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ, সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আজিজুর রহমান, ডিএমডি এবং হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিকাশের বিস্তৃত অ্যাড মানি সেবায় অ্যামেক্স যুক্ত হওয়ায় কার্ডটির লাখ লাখ গ্রাহক মুহূর্তেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারছেন, যা দিয়ে তারা দেশব্যাপী বিকাশের ৬ লাখেরও বেশি মার্চেন্ট পয়েন্টে কেনাকাটার পেমেন্ট স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারবেন। পাশাপাশি অ্যামেক্স গ্রাহকদের জন্য সেন্ডমানি, সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, স্কুল-কলেজের বেতন পরিশোধ, টিকিট কেনা, বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার ফি প্রদান, অনুদান পাঠানো, বিমার প্রিমিয়াম পরিশোধ, সেভিংসসহ দৈনন্দিন প্রায় সব আর্থিক লেনদেন করার সুযোগ আরও বিস্তৃত হলো। অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্সের ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ড থেকে কোনো চার্জ ছাড়াই বিকাশে অ্যাড মানি করা যাবে, ক্রেডিট কার্ড থেকে অ্যাড মানি করার ক্ষেত্রে প্রতিবার ১% সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্স কার্ড থেকে অ্যাড মানি করার জন্য বিকাশ অ্যাপের অ্যাড মানি অপশন থেকে ‘কার্ড টু বিকাশ’-এ ট্যাপ করে ‘আমেরিকান এক্সপ্রেস’ আইকনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর প্রাপকের নিজের অথবা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার সিলেক্ট করে টাকার পরিমাণ বসিয়ে পরের ধাপে যেতে হবে। সেখানে অ্যামেক্স কার্ডের তথ্য, ওটিপি ও বিকাশ পিন নম্বর দিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করলেই তাৎক্ষণিকভাবে টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। গ্রাহক চাইলে পরবর্তী সময়ে লেনদেনের জন্য এক বা একাধিক অ্যামেক্স কার্ডের তথ্য বিকাশ অ্যাপে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করার এ সুবিধা ব্যাংক, কার্ড ও মোবাইল আর্থিক সেবার মধ্যে আন্তসম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে দেশের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল ইকোসিস্টেমকে সমৃদ্ধ করবে। এখন থেকে অ্যামেক্সের ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ডের গ্রাহকরাও সহজেই বিকাশ ওয়ালেটে টাকা অ্যাড মানি করে প্রতিদিনকার ছোট-বড় সব আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন, যা কার্ডের ব্যবহারকে আরও বহুমুখী ও কার্যকর করবে।’ সিটি ব্যাংকের ডিএমডি এবং হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার বলেন, ‘সিটি ব্যাংক ও বিকাশের এ যৌথ উদ্যোগ দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনে অনুপ্রাণিত করবে। আমেরিকান এক্সপ্রেসের সব কার্ড মেম্বারদের বিকাশ ওয়ালেটে টাকা লেনদেন করার সহজ সমাধান দিতে পেরে আমরা গর্বিত এবং সিটি ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখার জন্য বিকাশের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে আরেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি। এ লক্ষ্যে আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এন হামিদুল্লাহ মিলনায়তনে এ সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে সোনালী ব্যাংক পিএলসির পক্ষে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. আফজাল করিম এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির পক্ষে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. হাবিবুর রহমান গাজী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান-পরবর্তী এক প্রশ্নের জবাবে সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম বলেন, এ একীভূতকরণের ফলে উভয় ব্যাংকের গ্রাহকের স্বার্থ শতভাগ সংরক্ষিত হবে। এক্ষেত্রে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ ছাড়া বিশেষ কোনো বিভাগীয় কার্যক্রম না থাকলে এ দুটি ব্যাংকের কেউ চাকরি হারাবে না, যা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ দুটি ব্যাংক একীভূত হওয়ায় ঋণ প্রদানে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সূচকেরও উন্নয়ন ঘটবে আশা করা যায়।
এ সময় সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মো. নাছের, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উভয় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টররাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর রূপরেখা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ দেশের প্রায় প্রতিটি খাতই এখন প্রযুক্তিনির্ভর। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রসারের প্রায় পুরোটাই এখন সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক। গণমাধ্যম, ই-কমার্স কিংবা যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঝুঁকছে ডিজিটাল প্লাটফর্মের দিকে।
প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে অনেকের পক্ষেই ডিজিটাল মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব হয় না। যদিও কেউ কেউ নিজস্ব জনবল নিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেন। এতে অফিসের ভাড়া, কর্মীর বেতন বাবদ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের বিষয় থাকে। কিন্তু অনেকসময় দেখা যায় মানসম্মত কন্টেন্ট বা পরিকল্পনার অভাবে সেই ব্যয় অপচয় হয়। এসব সমস্যার সামগ্রিক সমাধান ও কর্মযজ্ঞ নিজেদের কাঁধে নিয়ে ক্লায়েন্টদের ব্যবসায় শতভাগ সফলতা আনতেই ‘ডিসেলসের’ প্রতিষ্ঠা।
আজ রোববার ১২ মে ‘বিশ্ব মা দিবস’। বিশ্বের সকল মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘ডিসেলস’। ‘ওয়ানস্টপ সলিউশন, থিঙ্ক ডিফ্রেন্ট’ স্লোগান ধারণ করেই পথচলা শুরু হলো প্রতিষ্ঠানটির। ক্লায়েন্টদের বিজনেসকে ডিজিটালি সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ‘ডিসেলস’। বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারিং, বিভিন্ন আইডিয়া জেনারেট করে ব্যবসা প্রসারে কাজ করবে ‘ডিসেলস’। আর এসকল সেবা দেবার জন্য ‘ডি সেলসের’ রয়েছে চারটি উইং। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে:
অ্যাড নেটওয়ার্ক (Ad Network)
ডিসেলসে রয়েছে একটি অ্যাড নেটওয়ার্ক, যে নেটওয়ার্কে একসঙ্গে ৩০ হাজারের বেশি ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং গেমসে বিজ্ঞাপন চালানোর সুবিধা সঙ্গে আছে অত্যাধুুনিক ক্রিয়েটিভ ব্যবস্থা। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের তাদের পছন্দের ও টার্গেটেড গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বিজ্ঞাপনগুলো যেন সঠিক জায়গায় পৌঁছায় এবং ক্লায়েন্টদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করাই এই উইংয়ের লক্ষ্য।
গ্রিন (Grin)
যেকোনো ডিজিটাল প্লাটফর্মের জন্য ক্রিয়েটিভ, স্ট্রাটেজি, মিডিয়া বায়িং থেকে শুরু করে যেকোনো ব্র্যান্ডকে অনলাইন এ প্রচার করার সব থেকে বড় মাধ্যম। আর এই কাজগুলো সুচারুভাবে সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের পণ্য বা ব্রান্ডকে ডিজিটাল মাধ্যমে সবার কাছে আকষর্ণীয় করে তুলবে টিম গ্রিন। নতুন আইডিয়া এবং সবশেষ তথ্য ও উপাত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে কাজ করা গ্রিনের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
আমব্রেলা (Umbrella)
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের এই মার্কেটিংয়ের অসংখ্য সুবিধা ও কার্যকারিতার জন্য ব্রান্ড প্রচারণার অন্যতম একটি কৌশল হয়ে উঠছে। আমব্রেলা তার ক্লায়েন্টদের প্রচারণার জন্য এই জনপ্রিয় মাধ্যমটিকে নানাভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে। এর আওতায় দেশের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারগণ, বিভিন্ন অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে ক্লায়েন্টদের যোগাযোগ স্থাপন, তাদের নিয়ে কন্টেন্ট নির্মাণ, অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির হয়ে তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করার কাজগুলো করে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করার কাজটিই করবে আমব্রেলা।
লাইটহাউস (Lyte House)
ডিসেলসের আরেকটি প্রতিষ্ঠান লাইট হাউস। ব্র্যান্ডের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন ও ব্যতিক্রমী ভিডিও কনটেন্ট বানানো, তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনিটাইজ করা, বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোমাধ্যমগুলোকে দেখভাল করা এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব প্লাটফর্ম থেকে রেভিনিউ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা ‘লাইট হাউস’ এর মূল কাজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ স্মরণে Sultan Ahmed Solid State Physics Laboratory, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘Sultan Ahmed Memorial Conference’, Theme: Recent Advances in Physics শীর্ষক সম্মেলন গত ৩ ও ৪ মে অনুষ্ঠিত হয়। ৩ মে সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম তালুকদার। এ সময় মঞ্চে আরও ছিলেন অধ্যাপক ড. সাবিনা হোসেন ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ কে এম আখতার হোসেন যথাক্রমে কনফারেন্স চেয়ার ও সেক্রেটারি। অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসান ভূঁইয়া অংশগ্রহণ করেন। তিনি সম্মেলনে উপদেষ্টা কমিটির একজন সদস্য এবং প্রয়াত অধ্যাপক সুলতান আহমেদ স্যারের একজন ছাত্র। সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাউদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. সাবিনা হোসেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. এ কে ম আখতার হোসেন। সম্মেলনে প্রাচিরপত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে আগত দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার ও ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা প্রাচিরপত্রের জন্য বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি
আগামী ২৭-২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট আর এ সম্মেলনের আয়োজনে স্টার্টআপ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেড এবং উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড। বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একযোগে ‘অসীম সম্ভাবনার স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই ভাবনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৪। এই সামিটের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের প্রচলিত নিয়মনীতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে বৈশ্বিক বাজারে উদ্যোক্তাদের প্রবেশের সুযোগ তৈরি হবে। একই সাথে বিভিন্ন সেমিনার, স্টার্টআপ পিচিং, নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রগতিশীল স্টার্টআপ ব্যবস্থার সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করবে।
একটি যথোপযোগী এবং দীর্ঘস্থায়ী ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তুলে, একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নই হবে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য। স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রণজিৎ কুমারের উপস্থিতিতে এই সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম, উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির রহমান তানিম তাদের নিজ নিজ সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে শামসুল আরেফিন তার বক্তব্যে বলেছেন- ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য যে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে তা নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের একত্র করে আমরা বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের অন্তহীন সম্ভাবনাগুলোকে তুলে ধরতে পারবো।’ তিনি এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ এবং অ্যাডভার্টাইজিং জগতের একটি ইতিবাচক কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এ ছাড়া সামি আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিটে এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের পার্টনারশিপকে একটি আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞদের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এই সামিটের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় সকলের স্থায়িত্ব এবং অন্তর্ভুক্তি দ্বারা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে।’ স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি। এটি বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, নেটওয়ার্কিং এবং বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানে সহায়তা করে থাকে। বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী ধারণাসমূহ নিয়ে ইনোভেশন প্রদর্শনী (শোকেসিং) গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার হোটেল লো মেরিডিয়েনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্তি সচিব ড. নাহিদ হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. ফেরদৌস আলম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট ও উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিন, বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক, সাবেক নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদা আক্তার, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, বিআইসিএমের সাবেক নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আজম, বিআইসিএম পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আবদুল মোতালেব, বিআইসিএমের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীনসহ ইন্সটিটিউটের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি