রোববার, ১৯ মে ২০২৪
ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলা

ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট দিলেই মিলবে টাকা!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৬ মে, ২০২৪ ২১:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৬ মে, ২০২৪ ২১:৫০

ঢাকাসহ সারা দেশেই সাধারণত এই সময়ে প্রতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। নানামুখী উদ্যোগ নিয়েও কমানো যায় না ডেঙ্গুর বিস্তার। ফলে প্রতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ অসুস্থসহ মারাও যাচ্ছেন।

এবার রাজধানীতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় এক অভিনব কায়দা অবলম্বন গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এডিস মশার লার্ভা তৈরি হতে পারে এমন সব পরিত্যক্ত জিনিস নিয়ে নগদ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এই কর্মসূচিতে পরিত্যক্ত নষ্ট টায়ার ৫০ টাকা, ডাবের খোসা দুই টাকা এবং প্রতিটি চিপসের প্যাকেট জমা দিলে এক টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মশক নিধন কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় মেয়রের কাছে ৫০০ চিপসের প্যাকেট জমা দিয়ে এক ব্যক্তি ৫০০ টাকাও নিয়েছেন।

ভ্রাম্যমাণ এই কর্মসূচি নিয়ে মেয়র বলেন, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। তারা যদি এগিয়ে আসে তবে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না।

সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তিন দিনে এক দিন জমা পানি ফেলে দিন। এ ছাড়া অফিস, বাড়িসহ যেকোনো জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পেলে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবে।

তিনি জানান, হটস্পট নির্ধারণে ২৬টি জায়গায় কাজ করছে ডিএনসিসি। জলজট হলে তা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম সেখানে কাজ করবে। সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে জনসচেতনতার কাজ করা হবে।

জমা পানি যেখানেই হোক রাখা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে জনগণ সঙ্গে না থাকলে এডিস মশার মোকাবিলা সম্ভব নয়।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনমত সৃষ্টি ও র‍্যালি করতে প্রতিমাসে ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কাউন্সিলররা এলাকার মুরুব্বী, স্কুলের শিক্ষক, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দিরের সবার সঙ্গে আলাপ করবেন। ঘরবাড়ি ও নিজস্ব জায়গা পরিষ্কার করার কথা জানাবেন। সিটি করপোরেশনের গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে জানাবেন। আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলররা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করবেন। কোনো কোনো জায়গার স্বচ্ছ পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্ম নেয় এসব বিষয়ে তারা জনগণকে সচেতন করবেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে পাঁচ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্তের খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুই শিশুসহ ২৭ জন।


কালশী পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে অটোরিকশা চালকরা

আজ রোববার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেন আন্দোলনরত রিকশাচালকরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ১৭:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।

আজ রোববার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

দুপুর সোয়া ১ দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।

এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

বিষয়:

মিরপুরে পুলিশ-অটোরিকশা চালকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ১৫:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরে বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আন্দোলনরত রিকশাচালকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরই জেরে কয়েকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর আগে, আজ সকাল ৯টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতির দাবিতে আন্দোলনে নামেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন শত শত মানুষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির জয়েন কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান জানান, মিরপুর-১০ থেকে ১১, ২, ১৩ ও শেওড়াপাড়া রোডে যানবাহন চলতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।

অন্যদিকে, পল্লবী এলাকার পুরবী সিনেমা হলের সামনেও আজ সকালে রিকশাচালকরা রাস্তায় নেমেছিলেন। পরে সেখান থেকে সবাই মিরপুর-১০ এলাকায় এসে জড় হন।

মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, তালতলা, কালশি ও মিরপুর ১৩ এলাকায় একযোগ আন্দোলন করেছেন রিকশাচালকরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিছিল, মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।


রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ১৫:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতির দাবিতে রাজধানীর মিরপুর-১০ ও পল্লবী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা।

আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে তারা রাস্তায় আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের কারণে এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন শত শত মানুষ। দুপুর ১টার পর থেকেও ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির জয়েন কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান জানান, মিরপুর-১০ থেকে ১১, ২, ১৩ ও শেওড়াপাড়া রোডে যানবাহন চলতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।

পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘মিরপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা রাস্তা অবরোধ করেছে। এ সময় সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনও তারা রাস্তা ছাড়েননি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই মিরপুর-১০ গোল চত্ত্বরে শত শত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক অবস্থান নেন। তাদের শান্ত করার জন্য সেখানে থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন।

অন্যদিকে, পল্লবী এলাকার পুরবী সিনেমা হলের সামনেও আজ সকালে রিকশাচালকরা রাস্তায় নেমেছিলেন। পরে সেখান থেকে সবাই মিরপুর-১০ এলাকায় এসে জড় হন।

মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, তালতলা, কালশি ও মিরপুর ১৩ এলাকায় একযোগ আন্দোলন করেছেন রিকশাচালকরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিছিল, মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।

বিষয়:

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে মেয়র তাপসের মনগড়া বক্তব্য: সাঈদ খোকন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্প্রতি বলেছিলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ৪২ হাজার কম ছিল। এই তথ্যকে মনগড়া বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’- শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন। মিট দ্য প্রেসটি আয়োজন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমি মেয়র থাকার সময়ে হয়ত আহামরি ট্যাক্স-ভ্যাট আদায় করতে পারিনি। কিন্তু নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে চেষ্টা করেছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ কমানো ছিল আমার মূল দায়িত্ব। কিন্তু এখন নগর কর্তৃপক্ষ রাজস্ব আদায় বা সিটি টোলের নামে রিকশা, সিএনজি ও সবজি বহনকারি ট্রাক-লরি থেকে চাঁদাবাজি করছে। আমার সময়ে এমনটা ছিল না।’

রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ে মেয়র তাপস মনগড়া তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০, আর বাইরে ৪৯ হাজার। অন্যদিকে গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কেবল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়, তা আগের ২২ বছরে হয়নি।’

‘গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। আর বাকি ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত হন ঢাকার বাইরে। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান। এই হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৫৮ হাজার ১৯৮ জন রোগী বেশি ছিল। তার (তাপস) এমন তথ্য নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে’- যোগ করে বললেন সাঈদ খোকন।

ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ইঙ্গিত করে সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষের এক দায়িত্বশীল ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ডেঙ্গু আক্রান্তের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। তিনি (মেয়র তাপস) বলেছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারের কম ছিল। পরে তার বক্তব্য যে ভুল ছিল, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’

সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমি দক্ষিণ সিটির মেয়র থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপক হারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। তখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এ চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করিনি।’


ওয়ারীতে বালতির পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার ওয়ারীর বনগ্রামে বালতির পানিতে পড়ে এক বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি সবার অগোচরে বাথরুমে ঢুকে পানিভর্তি বালতিতে উপুড় হয়ে পড়ে যায় বলে জানা গেছে।

আজ সকালে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।

শিশুটির বাবা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার স্ত্রী রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন। সবার অগোচরে তাদের এক বছরের মেয়ে আমেনা হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করে।’

‘খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে বাথরুমে পানিভর্তি বালতিতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বনগ্রাম রোডের পানির ট্যাংকের পাশে একটি ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকেন। তার দুই সন্তানের মধ্যে আমেনা ছিল ছোট।

বিষয়:

২২ মে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকি নেই। সুনির্দিষ্ট কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘২২ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সকল ধরণের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি। কেউ যাতে কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে এ জন্য ডিএমপির সকল অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি আয়োজকদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান হবে এবং প্রত্যেক জায়গায় আয়োজক আলাদা। প্রত্যেকটা জায়গায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট অফিসার থাকবেন। তারা পারস্পরিক সমন্বয়ে কাজ করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে এর বেশিরভাগই গুজব ও তুচ্ছ ঘটনা। এগুলো সংগঠিত কিছু নয়, ধর্মীয়ও কিছু নয়। সেগুলোকে যেন শুরুতেই দমন করতে পারি সে জন্য আমাদের সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, যে সকল রাস্তায় শোভাযাত্রা যাবে, সেই সব রাস্তায় আগের দিন থেকেই পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান. অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম ও পুলিশ কমিশনারগণ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

৩০ জুন পর্যন্ত শনিবারেও খোলা থাকবে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন এবং ডিএনসিসির মালিকাধীন মার্কেটের ভাড়া পরিশোধের সুবিধার্থে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্য দিবস ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও খোলা থাকবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) রাজস্ব বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ‍উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, কার্য দিবস ছাড়াও সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের রাজস্ব বিভাগসহ প্রধান রাজস্ব বিভাগ সকাল ৯টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

তিনি আরও জানান, রাজস্ব বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়:

নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৯:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে বিপুল পরিমান নকল ও ভেজাল ওষুধ এবং ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আলী আকবর (২০) ও মো. দূর্জয় (২০)। মঙ্গলবার রাতে কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ পিস নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৫টি পাঞ্চস্টিক, ৩টি প্লাস্টিকের নীল রংয়ের ড্রামে ৮০ কেজি ট্যাবলেট ও পাউডার উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা সংবাদে গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার জিঞ্জিরা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমানে নকল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ মো. আলী আকবর (২০) ও মো. দূর্জয় নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ পিস নকল ও ভেজাল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৫টি পাঞ্চস্টিক, ৩টি প্লাস্টিকের নীল রংয়ের ড্রামে ৮০ কেজি ট্যাবলেট ও পাউডার উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারি চক্রের সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন ধরে মেসার্স বোটানিক ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) ওষুধ কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। যা ওই কোম্পানির সুনাম বিনষ্ট ও কোম্পানিটির ক্ষতি করে আসছে। এছাড়া, তাদের উৎপাদিত নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রির ফলে জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।


নকল পণ্য: ১১ প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ১০ টা থেকে দিনগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান চালানো হয়। আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করে র‌্যাব-১০ ও বিএসটিআই এ প্রতিনিধি।
আজ বুধবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা, সিরাজ ট্রেডিংকে ৩ লাখ টাকা, ইউনিলাইক প্রডাক্টস্ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা, কিনবো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৪ লাখ টাকা, ইউনাইটেড ইলেকট্রিকাল এক্সেসরিজকে ৫ লাখ টাকা, আলিফ পেইন্টস্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ২ লাখ টাকা, বিআইডব্লউি এন্ড মায়ের দোয়া সোলার পাওয়ারকে ৩ লাখ টাকা, গৌরনদী পেইন্টসকে ২ লাখ টাকা, ম্যাক্স এনার্জি ইন্টারন্যাশনালকে ৪ লাখ টাকা, ইভানা ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজকে ৫ লাখ টাকা ও কোয়ালিটি ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেডের ১০ ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, তবে জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে ১ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।


মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৭

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘন্টার মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫২৯ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম হেরোইন, ৩ কেজি ৫৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩ টি মামলা করা হয়েছে।


‘সরকার ও নাগরিক পার্টনারশিপ হলে সমস্যাগুলো সহজে দূর হয়’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে পার্টনারশিপ তৈরি হলে নগরের সমস্যাগুলো অনেক সহজেই দূর হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী চলমান বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কাজ করবে। কিন্তু নাগরিকদের দায়িত্বের জায়গা থেকে, নাগরিকদের অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তেমন দায়িত্ব পালনেরও বিষয়টি থাকে। নাগরিক তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলে তখনই সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ তৈরি হয়। তখনই সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়।’

তিনি বলেন, ‘অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক সময় বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। অনেকে ভিডিও করেও আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা গিয়ে দেখি, ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকে। পানির মধ্যে বড় বড় জিনিসপত্র, জাজিম, সোফা, ফ্রিজ ফেলে রাখা হয়।’

‘একদিকে সিটি করপোরেশন সারাক্ষণই যদি পরিষ্কার করতে থাকে, অন্যদিকে আপনারা নোংরা করতে থাকেন, নিয়মের মধ্যে না থাকেন, তাহলে তো এ সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার জন্য একটি চমৎকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মেয়রকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এ উদ্যোগের জন্য।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু প্রমুখ।


‘২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম’

মালিবাগ মোড় সংলগ্ন উড়ালসেতুর নিচে গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার সকালে মালিবাগ মোড় সংলগ্ন উড়ালসেতুর নিচে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

মেয়র বলেন, ‘২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ১ লাখ ৫৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত বছর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। এরপর আমরাও এ বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মশককর্মী, যান-যন্ত্রপাতি, মানসম্মত কীটনাশক মজুদ ও কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘রোগীদের ঠিকানার ৪০০ গজের মধ্যে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনায় আমাদের মশককর্মীরা কাজ করেছে। ফলে সফলতার সঙ্গে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই ২০২৩ সালে উত্তর ও দক্ষিণ (সিটি করপোরেশন) মিলিয়ে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুরোগী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল।’

সকলের সহযোগিতায় এ বছরও ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২১ মে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করব। ইতোমধ্যে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমরা বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ সকল সরকারি, আধা-সরকারি স্থাপনা ও আবাসনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব।

প্রাথমিক পর্যায়ে একবার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করব এবং যে সকল স্থাপনায় লার্ভা পাওয়া যাবে আমরা সেগুলো নিধন করব। পরবর্তীতে সেসব স্থাপনা ও আবাসনে যাতে এডিসের প্রজননস্থল সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু সংক্রমণ-বিষয়ক নির্ভুল তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এক মাস আগে আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে আমরা বলেছি যে, আমাদেরকে ডেঙ্গু রোগীর যে তথ্য দেওয়া হয় তা পরিপূর্ণ নয়, অসম্পূর্ণ। ফলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার রোগীদের তথ্য পেতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়।

ঢাকার বাইরে থেকে যেসব রোগী আসে তাদের পৃথক করা কঠিন কোনো কাজ নয়। কারণ তাদের বেশিরভাগই রেফারেল হয়ে আসে। ওইসব রোগীকে পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করলে ঢাকার প্রকৃত রোগী শনাক্ত করা সহজ হয়। দেখা যাচ্ছে ঢাকার প্রকৃত রোগী ১০ জন, সেখানে যদি আমাদের (ঢাকার বাইরের রোগীসহ) ১০০টি ঠিকানা দেওয়া হয়, তাহলে বাকি ৯০টি ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে আমাদের সময়ক্ষেপণ হয়। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হলে আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে (এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের) কাজটা করা কষ্টসাধ্য হয়। সঠিক তথ্য দিলে আমরা সঠিকভাবে কাজটা করতে পারি। ঢাকাবাসীকে আমরা আরও বেশি ফলপ্রসূ সেবা দিতে পারব।’

এর আগে ঢাদসিক ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পাইপ-নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র।

পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে দক্ষিণ কমলাপুর কালভার্ট সংলগ্ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে তারা গণশৌচাগারের পাশে ২টি কদম ফুলের চারা রোপণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খ ম মামুন রশিদ শুভ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, সংরক্ষিত আসনের ফারহানা ইসলাম ডলি, মিনু রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


শুক্রবার মেট্রোরেল চালুর খবর‌টি সত্য নয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিনই মেট্রোরেল চলছে। জুলাই থেকে শুক্রবারসহ প্রতিদিনই মেট্রোরেল চলবে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ‘শুক্রবার’ মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মে‌ট্রো‌রে‌লের নির্মাণ এবং প‌রিচালনার দা‌য়ি‌ত্বে থাকা ডিএম‌টি‌সিএলের ব‌্যবস্থাপনা প‌রিচালক এম এ এন ছি‌দ্দিক। তিনি বলেন, শুক্রবার মেট্রোরেল চালুর খবর‌টি সত্য নয়। শুক্রবার মেট্রোরেল চালা‌নোর সিদ্ধান্ত বা আপাতত কো‌নো পরিকল্পনা নেই। সিদ্ধান্ত হ‌লে সংবাদমাধ্যম‌কে জানা‌নো বিষয়টি জানানো হ‌বে।

আজ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে জানানো হয়, যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএমটিসিএল সূত্র উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করে, জুলাই থেকে শুক্রবারও মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

বর্তমানে মেট্রোরেল সপ্তাহের ৬ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করছে। শুক্রবার মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক বন্ধ। মেট্রোরেলের বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৮টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিষয়:

banner close