![]() অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ সতর্কতা জারি বাংলাদেশের
সময়ের আলো ডেস্ক
|
![]() অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ সতর্কতা জারি বাংলাদেশের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন্ট ট্যারান্ট নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুক হামলা চালালে ৫০ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রয়েছেন। এছাড়া আরও তিনজন বাংলাদেশি আহত অবস্থা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলাকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলার আগে তিনি নিজেকে একজন বর্ণবাদী অভিহিত করে ৭৪ পৃষ্ঠার একটি ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একজন সিনেটর এক বিবৃতি ইস্যু করে মসজিদে হামলার জন্য মুসলিমদের দায়ী করেন। অস্ট্রেলিয়ার একজন আইন প্রণেতার মন্তব্যের পর আশঙ্কা করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবাদ বাড়তে পারে। এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভ্রমণের বিষয়ে ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি বা ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে বাংলাদেশ। দেশটিতে যারা ভ্রমণের জন্য যেতে চাইছেন তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ (শুক্রবার) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নুর মসজিদ ও লিনউডের আরেকটি মসজিদে এক বন্দুকধারী ঢুকে গুলি চালিয়ে নামাজের প্রস্তুতিরত মুসল্লিদের হত্যা করে। নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস এই সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ মুসল্লি নিহত এবং আরও ৫০ জন আহত হন। হামলাকারী ব্রেন্টন্ট ট্যারান্টকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় নাগরিক স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী। সে ওই হামলার দৃশ্য সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচারও করে। এই হামলার ১৫ মিনিট আগে সে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ই-মেইল করে হামলা চালাতে যাচ্ছে বলেও জানায়। তার এই নৃশংস ভিডিও পরে সরিয়ে নিয়েছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। |