![]() সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ-আইএমএফের সহযোগিতা চান অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ-আইএমএফের সহযোগিতা চান অর্থমন্ত্রী আজ বুধবার (২৫ মার্চ) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সদর দপ্তরের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের একার পক্ষে এরকম একটি দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া সম্ভব নয়। তাই বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং আইএমএফকে বিনীতভাবে অনুরোধ করবো যে, বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে তাদের বৃহত্তর সহযোগিতা নিশ্চিত করবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। করোনা ভাইরাসের কারণে মানব সম্প্রদায়ের জীবন ও অস্তিত্ব হুমকির মুখে। এমন একটি মুহূর্তে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই ভিডিও কনফারেন্স আয়োজনের জন্য বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও আইএমএফ-এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা সবাই জড়ো হয়েছি কিছু উপায় এবং পথ খুঁজে বের করে এই পৃথিবীর মানব সম্প্রদায়ের কাছে আশার একটি আলোক প্রদর্শন করার জন্য। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন যে, এই মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণ অতি দ্রুত ছড়ায়। করোনা সংক্রমণ রোধে এক মরিয়া পদক্ষেপ হচ্ছে অভূতপূর্ব লকডাউন, শাটডাউন এবং যোগাযোগ ব্যাহতকরণ। যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিবার্যভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিশ্ব শেয়ারবাজার ইতোমধ্যে ২৮-৩৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা দীর্ঘকাল স্থায়ী হলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৫ শতাংশে নেমে যেতে পারে। বাংলাদেশও এর প্রভাব অনুভব করতে শুরু করেছে। ‘আমরা উদ্বিগ্ন, কোভিড-১৯ সংকট আমাদের অর্থনীতিকে বহুমাত্রিক দিক থেকে আঘাত করতে পারে। ইউরোপ ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউনের কারণে আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা হ্রাসে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতিকে অনেকটা চাঙ্গা করে রেখেছে। কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন যে ,এই করোনা ভাইরাস মহামারিজনিত কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন বলে রেমিটেন্সের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন। |