![]() বিড়িকে ‘কুটির শিল্প’ ঘোষণার দাবি
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা
|
![]() বিড়িকে ‘কুটির শিল্প’ ঘোষণার দাবি সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে বিড়িশিল্পের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। সিগারেট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈষম্যমূলক শুল্কনীতির কারণে এ শিল্পটি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিড়িশিল্পের সঙ্গে জড়িত দেশের হাজারো শ্রমিকের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে রয়েছে। অবিলম্বে বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর, ধার্যকৃত অতিরিক্ত চার টাকা শুল্ক প্রত্যাহার, ভারতের মতো বিড়িশিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা এবং মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করার দাবি জানান তারা। বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ধার্যকৃত অতিরিক্ত চার টাকা প্যাকেট মূল্যকর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। বিড়ি শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর চালুকৃত বিড়িশিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়িতে ট্যাক্স ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার সময়ে বিড়িতে ট্যাক্স রাখবেন না বলে আশা প্রকাশ করেন বিড়ি শ্রমিকরা। সব নকল বিড়ির ব্যবসা ও অনলাইনে বিড়ি তৈরির লাইসেন্স বন্ধ রাখার আহŸান জানিয়ে তারা বলেন, বিড়ি তৈরির সঙ্গে হাজার হাজার হতদরিদ্র বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত নারী জড়িত। বিড়ি তৈরি বন্ধ হয়ে গেলে তাদের জীবন-জীবিকাও বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তাদের পরিবারকে পথে বসে যেতে হবে। তাই এ শিল্পকে বাঁচাতে ছয় দফা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, প্রতি প্যাকেট বিড়িতে মূল্যস্তর চার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ প্যাকেট সিগারেটের মূল্যস্তর মাত্র দুই টাকা। মধ্যম স্তরের সিগারেটের কোনো মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। এটা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক ও জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাংগঠনিক সম্পাদক হারিক হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন প্রমুখ। |