![]() বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষীকে হত্যা, জামিন মেলেনি আসামির
নিজস্ব প্রতিবেদন :
|
![]() বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষীকে হত্যা, জামিন মেলেনি আসামির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ওই আসামির জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন। জামিন আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। কমোডর গোলাম রাব্বানী হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। রায়ে মো. সেলিম, মো. হাশেম ও আবুল মালেক সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আবু নাসের চৌধুরী ও হুমায়ূন কবির চৌধুরীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্য দুই আসামি সাইফুল ইসলাম ও মনছুর আলমকে খালাস দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন হাইকোর্টে আপিল করেন। পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্তদের সাজা বাড়াতে এবং খালাস পাওয়া সাইফুলের খালাসের রায় পুনর্বিবেচনা করতে বাদীপক্ষ পৃথক আবেদন করে। এসব আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে আবু নাসের চৌধুরী ও হুমায়ূন কবির চৌধুরীর সাজা বাড়িয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. সেলিমের সাজা বহাল রাখা হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি আসামি সোহেল ওরফে আব্দুল মালেককে খালাস দেয়া হয়। এছাড়া নিম্ন আদালতের রায়ে খালাস পাওয়া মো. সাইফুল ইসলামের ক্ষেত্রে নতুন করে বিচার করতে বলা হয়। জামিনে থাকা ওই চার আসামি আবু নাসের চৌধুরী, হুমায়ূন কবির চৌধুরী, মো. সেলিম ও সাইফুল ইসলামকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু হুমায়ুন কবির এরই মধ্যে মারা যান। এরপর ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর আবু নাসের চৌধুরী ও মো. সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকে তারা কারাবন্দি। কিন্তু সাইফুল আত্মসমর্পণ না করে পালিয়ে যান। কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (কেইপিজেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত কমোডর (অব.) গোলাম রাব্বানী ২০০৪ সালে ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় কেইপিজেডের সাবেক পরিচালক আবু নাসের চৌধুরী ও কর্মচারী হুমায়ূন কবির চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় সেদিনই মামলা (হত্যাচেষ্টা) করেন কেইপিজেডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার একেএম ইমতাজুল ইসলাম। কিন্তু ওই বছরের ২৪ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম রাব্বানী। এরপর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। পরে তদন্ত শেষে একইবছরের ২৮ আগস্ট আবু নাসের চৌধুরী, হুমায়ূন কবির চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম ওরফে বিলাই সাইফুল, মনছুর আলম, মো. সেলিম, সোহেল ওরফে আবদুল মালেক ও মো. হাশেমকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। |