![]() ইংল্যান্ডে ১০ দিনের মধ্যে টিকা বিতরণে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
‘নতুন বছরের মাঝামাঝি ১০টি টিকা চলে আসবে’
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
|
![]() ‘নতুন বছরের মাঝামাঝি ১০টি টিকা চলে আসবে’ থমাস কুনি বলেছেন, এরই মধ্যে আমরা আশা জাগানিয়া তিনটি টিকা পেয়েছি। আমি আশা করি, একই রকম খবর পাবো আমরা জনসন এন্ড জনসন থেকে। একই রকম খবর আসতে পারে নোভাভ্যাক্স, স্যানোফি পাস্তুর, জিএসকেসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। এসব গবেষণায় বড় বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং বায়োটেক প্রতিষ্ঠান গবেষণা এবং টিকা উৎপাদনে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন কুনি। তিনি বলেন, আগামী গ্রীষ্মের মধ্যেই ১০টি টিকা চচলে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। এ সময়ের মধ্যে এসব টিকা তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হবে এগুলোকে। এরই মধ্যে করোনা মহামারীর মধ্যে টিকার প্যাটেন্টের লাইসেন্স সুরক্ষায় অস্থায়ী ভিত্তিতে ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এর বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড ও অন্যরা। এদিকে ১০ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা বিতরণে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোকে। আগামী ৭ই ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা হাতে পেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) কর্মকর্তারা। টিকা হাতে পেলেই প্রথমে তা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, এনএইচএসের শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলো প্রত্যাশা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের কয়েকদিনের মধ্যে ফাইজার/বায়োএনটেকের উৎপাদিত টিকার প্রথম সরবরাহ তাদের হাতে চলে আসবে ৭ই ডিসেম্বর, সোমবার নাগাদ। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলেছে, এনএইচএস ইংল্যান্ড বলেছে, তারা প্রত্যাশা করছে ৭, ৮ অথবা ৯ ডিসেম্বর নাগাদ তাদের হাতে চলে যাবে এই টিকা। প্রাথমিকভাবে এই টিকা ব্যবহার করা হবে শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের। এরপর কেয়ার হোমের বাসিন্দা এবং যাদের বয়স ৮০ বছরের কোটায় তাদের দেয়া হবে টিকা। করোনায় রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সরকার এই দুটি গ্রæপকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে। কারণ তাদের করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে কেয়ার সেক্টরের প্রধানরা সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সরকারের এ পদক্ষেপকে দেখা হবে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে। তবে সেপ্টেম্বরে জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জেসিভিআই), সরকারের উপদেষ্টারা এ নিয়ে বৈঠক করেছেন। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে কোন গ্রæপকে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারে রাখা হবে। তারাই সিদ্ধান্ত নেন কেয়ার হোমে থাকা বয়স্ক মানুষ এবং সেখানকার স্টাফদের অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। দ্বিতীয় অগ্রাধিকারে রাখা হয় ৮০ বছরের বেশি যাদের বয়স তাদেরকে এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা দিয়ে থাকেন এমন সব মানুষকে। শুক্রবার এই নির্দেশনা আবার জারি করেছে এনএইচএস। ফাইজারের টিকা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। এতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে এবং যে তাপমাত্রায় তা রাখার কথা বলা হয়েছে, তাতে সীমিত সময়ের জন্য এটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেয়া যেতে পারে। ফলে স্বাস্থ্যসেবার স্টাফ, কেয়ার হোম এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাইভেট বাসায় এই টিকা পৌঁছে দেয়া কঠিন হতে পারে। এ জন্য এনএইচএস নতুন করে চিন্তা করছে কিভাবে এই টিকা ব্যবহার করা যায়। এর অধীন বেলজিয়ামের কারখানায় ফাইজারের টিকা উৎপাদনের পর সরাসরি তা নিয়ে আসা হবে ব্রিটেনে। সেখানকার স্টোরেজ থেকে সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হবে হাসপাতালে, সেখানেই প্রয়োগ করা হবে এই টিকা |