![]() সুন্দরবনে মধুর চাকে দোল খায় ৪ হাজার মৌয়ালের স্বপ্ন
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা :
|
![]() সুন্দরবনে মধুর চাকে দোল খায় ৪ হাজার মৌয়ালের স্বপ্ন সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এমএ হাসান বলেন, প্রতি বছরের এপ্রিল ও মে দুই মাস মৌয়ালরা সুন্দরবন হতে মধু সংগ্রহ করে। ২০২০ সালে সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ হাজার ৫০ কুইন্টাল। পক্ষান্তরে মধু আহরিত হয়েছে ২ হাজার ৬ কুইন্টাল। অপরদিকে মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৬৫ কুইন্টাল। মোম আহরিত হয়েছে ৬০২ কুইন্টাল। রাজস্ব উপার্জিত হয় ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ টাকা। ৫ লক্ষাধিক টাকার অধিক রাজস্ব আয় হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ১৩ জন পেশাদার মৌয়াল সুন্দরবন হতে মধু আহরণ করে। মধুর চাকে দোল খায় তাদের স্বপ্ন। সুন্দরবনে মৌচাক হতে পর্যাপ্ত মধু আহরণের জন্য মৌয়ালদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কারণ উপযুক্ত সময় ছাড়া মৌচাক হতে পর্যাপ্ত মধু পাওয়া যায় না। তাছাড়া মধু আহরণের সময় যাতে মৌমাছি আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ নজর রাখতে হয়। জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাবে গাছে ফুল ভালো না হলে মধু উৎপাদন ব্যাহত হয়। কারণ ফুলের সাথে মধু উৎপাদনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পরিচর্যা ও সংরক্ষণের ফলে ইদানিং সুন্দরবনে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে মধু উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। তিনি সরকারিভাবে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিদেশে রপ্তানির কথা বলেন। এতে বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে। শ্যামনগরে মধু নিয়ে কাজ করে বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ এনভায়ারমেন্ট ডেভলপমেন্ট সোসাইটির পরিচালক মাসুদুর রহমান মুকুল বলেন, প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত সুন্দরবনের মধু উৎকৃষ্ট মানের। কিন্তু উৎপাদিত মধু সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা গেলে বিদেশে অধিক মূল্যে বিক্রি করা যাবে। সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশ। তিনি নিউজিল্যান্ডে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ভানুকা মধুর কথা উল্লেখ করে বলেন, পৃথীবির সবচেয়ে দামি মধু। এ মধু প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন অঞ্চলে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠলে অধিক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। |