![]() নির্বাচনি প্রচারে সংঘাত, নিহতের ঘটনায় প্রার্থীসহ আটক ২৬
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা :
|
![]() নির্বাচনি প্রচারে সংঘাত, নিহতের ঘটনায় প্রার্থীসহ আটক ২৬ মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে সরকারদলীয় ও বিদ্রোহী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনার পর তাদের আটক করা হয়। ওই সংঘর্ষে আজগর আলী বাবুল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি সরকারদলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী নজরল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক ছিলেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম) আবু বকর ছিদ্দিক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাঠানটুলিতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদেরকে এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।’ এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থকদের সঙ্গে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর আবদুল কাদেরের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাগুলিতে নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারী আজগর আলী বাবুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহত বাবুলের ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৩ জনকে নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ। তিনি বলেন, ‘দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহতের ঘটনায় সেজান মাহমুদ সেতু নামে একজন থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ১৩জনের নাম উল্লেখপূর্বক আসামি এবং আরও ৩০ থেকে ৪০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমি ওই এলাকায় গণসংযোগে গেলে আব্দুল কাদেরের সমর্থকরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগে তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। তাদের গুলিতে বাবুল নিহত হন। অন্যদিকে, বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের আটকের আগে বলেন, ‘সন্ধ্যায় আজী শাহ মাজার থেকে প্রচারণা শুরু করি। গণসংযোগ করতে করতে আমরা যখন আজম ম্যানশনের সামনে যাই তখন নজরুল ইসলামের সমর্থকরা আমাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এ সময় আমি একটি বাসায় আশ্রয় নেই। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করেন। বাবুল তাদের (নজরুল ইসলামের অনুসারীদের) গুলিতেই নিহত হয়েছেন। |