![]() জাল নোটে জড়িতদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() জাল নোটে জড়িতদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সূত্র জানায়, আইনের একটি খসড়া প্রণয়নের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ‘প্রস্তাবিত জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইন, ২০২১’ সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের অভিমত বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের অভিমত পাওয়ার পর আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। জানা গেছে, জাল নোটের শক্ত বা নরম কপি থাকা, জাল বা আসল মুদ্রার বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া, নতুন বা পুরনো মুদ্রা থেকে মুনাফা অর্জন করা এবং প্রতারণার যেকোনও উদ্দেশ্য নিয়ে মুদ্রা কেনা-বেচা করাও প্রস্তাবিত আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রস্তাবিত আইনে প্রথমবারের অপরাদের জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। দ্বিতীয়বারের অপরাধের জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। সভায় আইনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডিজিটাল কারেন্সি, ই-কারেন্সি ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত অপরাধ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের আইনি অভিমত নিতে বলা হয়েছে। ওই অভিমত ২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জাল নোটধারী কেউ যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হন, তাহলে তাকে মোট জাল মুদ্রার অনুপাতে জরিমানার বিধানও রাখা হবে। জাল নোট তৈরি ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত যে কেউ বারবার অপরাধ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা পর্যন্ত বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।’ |