![]() বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে টিলা ধসের আতঙ্কে ত্রিপুরা পল্লির বাসিন্দারা
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা :
|
![]() বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে টিলা ধসের আতঙ্কে ত্রিপুরা পল্লির বাসিন্দারা এ বছর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে টিলা ধসের আতঙ্ক। ঝুঁকি নিয়ে টিলায় বসবাস করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ত্রিপুরা পল্লির হেডম্যান চিত্তরঞ্জন দেববর্মা জানান, টিলা ধসের আশঙ্কায় ইতোমধ্যে ২৪টির মধ্যে ৫টি পরিবার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টিলার অনেকাংশ ধসে পড়েছে। বাকি অংশ ধসের আশঙ্কা রয়েছে। চিত্তরঞ্জন দেববর্মা বলেন, ‘প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছি। এভাবে তিন বছর চলে গেছে। বরাদ্দ আসেনি। কবে আসবে তাও জানি না।’ চিত্তরঞ্জন দেববর্মা বলেন, ‘পাহাড়ে আমাদের জন্ম। মৃত্যুও যেন এখানে হয়। এ স্থানটা আমাদের কাছে প্রিয়। পাহাড় রক্ষা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করি। আমরা টিলা কাটি না। টিলা রক্ষায় কাজ করি। তবে টিলা কাটা চক্রের কাছে আমরা অসহায়।’ স্থানীয় আশিষ দেববর্মা বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর সরকারি সিদ্ধান্তে বনবিভাগ আমাদের বনের একপাশে সড়কের কাছে টিলায় বসবাসের ঠিকানা করে দেয়। সেই থেকে এখানে বসবাস করছি। কিন্তু এই টিলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়া থেকে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন সময়ে বালু উত্তোলন করে। তাই আজ টিলা ধস হচ্ছে। একদিকে ছড়া প্রশস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে পাহাড়ি টিলা হচ্ছে সংকীর্ণ। এর সঙ্গে আমাদের বসবাসও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’ পল্লির বাসিন্দা হারিছ দেববর্মা জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে ২০১৭ সালে পল্লির টিলা ধসে যায়। সেই মৌসুমে তিন পরিবারকে ভিটা ছাড়তে হয়। তারা টিলার অন্যত্র গিয়ে থাকছে। পরে আরও দুটি পরিবারকে নিজেদের ভিটা ছাড়তে হয়েছে। বর্তমানে পুরো টিলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। টিলা রক্ষায় প্রাচীর নির্মাণ করা দরকার। আর তাতে বড় অংকের বাজেট প্রয়োজন। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ জানান, ত্রিপুরা পল্লি রক্ষায় টিলা মেরামতে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসামাত্র টিলা মেরামত করা হবে। উপজেলা প্রশাসন থেকে পল্লির বাসিন্দাদের খোঁজ নেওয়া হয়ে থাকে বলে জানান ইউএনও। |