শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ে করলেন অদিতি রাও

আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:১৩
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:১২

বলিউডে চলছে বিয়ের মৌসুম। সদ্যই পুলকিত সম্রাটের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন কৃতী খারবান্দা। এবার বিয়েরক বন্ধনে আবদ্ধ হলেন আরও এক বলি ডিভা, অদিতি রাও হায়দারি। সিদ্ধার্থের সঙ্গে অনকদিন গোপনে প্রেম করেছেন অভিনেত্রী। একসঙ্গে বহুবার সেলেব্রেটি পাপারাৎজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন সিদ্ধার্থ-অদিতি। তবে ব্যক্তিগতজীবনকে কখনই লাইমলাইটে আননেনি তারা। সম্পর্ক নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন।

সর্বশেষ রিপোর্ট মোতাবেক, বুধবার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন অদিতি-সিদ্ধার্থ। তেলেঙ্গনার একটি মন্দিরে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। খুব শিগগিরই হয়ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বিয়ের সুখবর সকলকে জানাবেন অদিতি-সিদ্ধার্থ।

জানা গেছে, কড়া নিরাপত্তায় গোপনীয়তা বজায় রেখেই সাত পাকের বন্ধনে বাঁধা পড়েছেন সিদ্ধার্থ-অদিতি। স্বামী-স্ত্রী হিসাবে তাদের প্রথম ছবি দেখার অপেক্ষায় ভক্তরা। সমাজমাধ্যমের পেজেও বিয়ের কোনও ছবি ফাঁস হয়নি। বুধের সন্ধ্যায় নবদম্পতি বিয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন বলেই খবর। এর মাঝেই সিদ্ধার্থ-অদিতির ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে দিয়েছেন।

২০২১- এ তামিল-তেলুগু ছবি মহাসমুদ্রম ছবিতে কাজ করেছিলেন। সেই সময় থেকেই দুই তারকার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেই বলেই ইন্ডাস্ট্রির কানাঘুষো। অদিতি-সিদ্ধার্থকে একসঙ্গে অনেক পেজ ৩ পার্টিতে দেখা গিয়েছে। দুজনে ছুটি কাটাতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরেও প্যাপেদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, অদিতি ও সিদ্ধার্থ দুজনেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। সত্যদীপ মিশ্রার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ২০১২-তে। ১২ বছর পর আরও একবার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন অদিতি রাও হায়দারি। ইন্ডাস্ট্রির কানাঘুষো সিদ্ধার্থের সঙ্গে অনেক মেয়েরই নাম জড়িয়েছিল। ২০০৩-এ মেঘনাকে বিয়েও করেন বলে সূত্রের খবর। ২০০৯- এ সেই বিয়ে নাকি ভেঙে যায়। এই খবর যদি সত্যি হয় তাহলে সিদ্ধার্থও দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।

ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কানাঘুষা শোনা যেত রং দে বাসন্তীর অভিনেতা সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রেম করছেন অদিতি। ২০২২- এর ২৮ অক্টোবর অদিতির জন্মদিনে প্রেমের গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। সেই বছরই প্রথমবার সোশাল মিডিয়ায় একসঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন সিদ্ধার্থ।

ইনস্টা পেজে অদিতির সঙ্গে লাভিডাভি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, 'প্রিন্সেস অফ মাই হার্ট'। অদিতির ৩৬ তম জন্মদিনে মনের মানুষকে ‘রাজকন্যা’ বলার পরেই সোশাল মিডিয়ায় এই তারকা জুটিকে ভালোবাসা আর শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন নেটিজেনরা। মনের মানুষের জন্মদিনে মজা করে সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, ‘তুমি অমনই থাকো, বড় হয়ে যেও না’।


দীর্ঘদিন পর মাসুম শাহরিয়ারের লেখা ধারাবাহিক, পরিচালনায় হান্নান মাহমুদ

(বা থেকে) নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ার ও পরিচালক হান্নান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

নাট্যকার হিসেবে মাসুম শাহরিয়ারের আলাদা একটা পরিচিতি রয়েছে। ভিন্নসব গল্প লিখে তিনি অনেক আগেই দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার লেখা অসংখ্য ধারাবাহিক ও একক নাটক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু পুরস্কারও অর্জন করেছে। তার লেখা সর্বশেষ ধারাবাহিক নাটক ছিল ‘আম্মা’, যা ২০২১ সালে প্রচার শেষ হয়।

অন্যদিকে তরুণ নির্মাতা হান্নান মাহমুদ (সজীব মাহমুদ) বেশ কয়েক বছর ধরে টিভি নাটক পরিচালনা করে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন। একক নাটকসহ ধারাবাহিক নাটক বানিয়ে তিনি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ‘প্রিয়তমা খ্যাত’ পরিচালক হিমেল আশরাফের সহকারী হয়ে পরিচালনার হাতেখড়ি শিখেছন এবং তাকেই ‘গুরু’ হিসেবে মানেন হান্নান মাহমুদ তথা সজীব মাহমুদ।

মাসুম শাহরিয়ারের রচনা ও হান্নান মাহমুদের পরিচালনায় এই প্রথম দর্শক ভিন্নকিছু দেখতে যাচ্ছেন। ‘বোকা স্বর্গ’ নামের দীর্ঘ ধারাবাহিক নিয়ে টিভি নাটকের দর্শকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছেন এই জুটি। ইতোমধ্যে ধারাবাহিকটির বেশি কয়েকদিন শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। পূবাইল-কালীগঞ্জসহ বেশকিছু জায়গায় এর শুটিং হয়েছে। সামনে আরও কয়েক লটে এর শুটিং সম্পন্ন করে তারপর প্রচারে যাবে বলে হান্নান মাহমুদ জানান।

নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ার নাটকটি বলেন, ‘ধারাবাহিক নাটক আসলে দর্শক গল্পের জন্যই দেখেন। গল্পে যতো বেশি টুইস্ট দেয়া যায়- ততোই তারা মজা পান। আমি চেষ্টা করেছি ‘বোকা স্বর্গ’ তেমনিভাবে লিখতে। বাকিটা দর্শক দেখে ভালো বলতে পারবেন।’

পরিচালক হান্নান মাহমুদ বলেন, ‘মাসুম ভাইয়ের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। তিনি গল্প এতো সুন্দর করে বুনন করেন, যা দর্শকরা বেশ মজা পান। ‘বোকা স্বর্গ’ নাটকটিও তেমন একটা গল্প। দীর্ঘদিন পর দর্শক অন্যরকম একটা ধারাবাহিক দেখতে পাবেন- এটা নিশ্চিত।’ হান্নান মাহমুদের পরিচালনায় সর্বশেষ আলোচিত ধারাবাহিকের মধ্যে ছিল বাংলাভিশনের ‘মমতাজ মহল’, দীপ্ত টিভির ‘প্রেম নিকেতন’ এবং এশিয়ান টেলিভিশনের ‘সোনার পাখি’।

এবার তার পরিচালনায় ‘বোকা স্বর্গ’তে অভিনয় করেছেন টিভি নাটকের একঝাঁক তারকাশিল্পী। হালের সেসব অভিনয়শিল্পী নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তারা হলেন- ঝুনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, আজিজুল হাকিম, শতাব্দি ওয়াদুদ, সৈয়দ জামান শাওন, প্রিয়ন্তি উর্বি, সারিকা সাবা, শিবলী নোমান, স্বর্ণলতা, আসমা পাঠান রুম্পা, আহসানুল হক মিনু, আমিনুল হক হেলাল, শফিউল আলম বাবু, নূরে আলম নয়ন, নাবিলা আলম পলিন, মন্দিরা, সঞ্জয় নাথ, ফারজানা, বর্ণা প্রমূখ।

দীর্ঘ ধারাবাহিকটি শিগগিরই যেকোনো একটি বেসকারী টিভি চ্যানেলে দেখা যাবে বলে নির্মাতা উল্লেখ করেন।


পারিশ্রমিক বাড়ালেন আল্লু অর্জুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

একটু একটু করে নিজেকে পাকাপোক্ত করে দক্ষিণী সিনেমা জগতে বেশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন আল্লু অর্জুন। বলা চলে, গত কয়েক বছর ধরে চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছেন এই তারকা। বিশেষ করে তিন বছর আগে ‘পুষ্পা’ সিনেমায় বক্স অফিসে ব্লকব্লাস্টার ব্যবসা করার পর থেকে নির্মাতাদের আস্থার জায়গায় পরিণত হন তিনি। এই সিনেমা পুষ্পরাজের চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পান আল্লু অর্জুন। সঙ্গে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সিনেমাটির সিক্যুয়াল ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আরও চার মাস থাকলেও সিনেমাটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এর মাঝেই নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

দর্শকের সামনে আবারও ফিরছে পুষ্পরাজ-শ্রীভল্লি জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন। তিন বছর পর আগামী ১৫ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আগে আলোচনায় আল্লু অর্জুনের পারিশ্রমিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এক লাফে ১০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি রুপিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছেন অভিনেতা।

ভারতীয় বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। শুধু বক্স অফিস নয়, পুরস্কারের মঞ্চেও বাজিমাত করছে দক্ষিণি সিনেমা। তাই দক্ষিণ ভারতের অভিনেতাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ভারতের সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।

‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’-এর বাজেট ৫০০ কোটি রুপির মতো। মুক্তির চার মাস থাকলেও সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। উত্তর ভারতে সিনেমাটির হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২০০ কোটি রুপি। আর দক্ষিণ ভারতে হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২৭০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মুক্তির আগে হল থেকেই ৪৭০ কোটি রুপি আয় হয়েছে।

এ ছাড়া জানা গেছে ওটিটি জায়ান্ট নেটফ্লিক্স ‘পুষ্পা-২’-এর স্ট্রিমিং রাইটস ২৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছে। একই সময়ে অডিও এবং স্যাটেলাইট রাইটসের চুক্তি সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, নির্মাতারা তা থেকে ৪৫০ কোটি রুপি আয় করেছে। এভাবে রিলিজের আগেই ১ হাজার ১৯৫ কোটি রুপি আয় করেছে সিনেমাটি।

বিষয়:

আবারও নাম ভূমিকায় জয়া আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টালিউডের এক সময়ের ব্যস্ত পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী দীর্ঘ ১০ বছর নতুন একটি সিনেমা পরিচালনায় হাত দিচ্ছেন। ‘ডিয়ার মা’ শিরোনামের এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন বাংলাদেশের আলোকিত মডেল অভিনেত্রী জয়া আহসান। তার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন চন্দন রায় সান্যাল। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কেও।

নিউক্লিয়ার পরিবারে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধনের এক অন্যরূপ উঠে আসবে সিনেমাটিতে। পরিচালকের কথায়, ‘রক্তের সম্পর্কের চেয়েও ভালোবাসার সম্পর্ক বেশি জোরালো হয়। মেয়েকে বড় করার মধ্য দিয়ে মায়ের জীবনের একটা উত্তরণ হয় এবং সে পরিপূর্ণ হয়। আমরা কাছের মানুষের ওপর অধিকার বোধ জাহির করি। আসলে কারও ওপর অধিকার ফলানো যায় না। মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম কিছু মোচড় উঠে আসবে এখানে।’

ছবিতে বাচ্চা মেয়েটির নাম ঝিমলি, যার দুটি বয়স দেখানো হবে- পাঁচ এবং বারো। শুধু মা-মেয়ে নয়, স্বামী-স্ত্রী, একজন শিক্ষক, গৃহ সহায়িকা এ রকম নানা সম্পর্কের আলাদা রূপ উঠে আসবে ছবিতে। কাহিনিতে থ্রিলারের ছোঁয়াও আছে। সিনেমার গল্প নিয়ে পরিচালক বলেন, ‘টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই তো মানুষ চেনা যায়। থ্রিলার উপাদান কাহিনির অন্য দিক তুলে ধরবে।’

ছবির গল্প ও নিজের চরিত্র নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘এই গল্পটি আগে কখনো বলা হয়নি। তাই এটি পর্দায় বলা খুব জরুরি ছিল। এ ধরনের চরিত্রও আমি আগে করিনি। টোনিদা (অনিরুদ্ধ) সংবেদনশীলভাবে গল্প বলেন, যেটা আমার খুব ভালো লাগে।’

অনিরুদ্ধর ছবির অভিনেতা নির্বাচনের মধ্যে বৈচিত্র্য আছে। বাংলাদেশের অভিনেত্রী হলেও, জয়া টালিউডের নিয়মিত মুখ। এর আগে পরিচালকের ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন।

পরিচালকের সঙ্গে ‘ডিয়ার মা’-এর গল্প লিখেছেন শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে শুটিং। তবে তার আগে অভিনেতাদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করছেন পরিচালক। জানালেন, জয়া ও চন্দন দুজনেই ওয়ার্কশপের জন্য আপাতত কলকাতায় রয়েছেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে শেষ বাংলা ছবি ‘বুনোহাঁস’ করেছিলেন অনিরুদ্ধ। বলিউডে সফল নির্মাতার হঠাৎ টালিউডে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে আনন্দ বাজারকে বলেন, ‘কিছু কিছু গল্প থাকে, যেগুলো নিজের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে। ‘ডিয়ার মা’ তেমনই একটা কাহিনি। হিন্দিতে ছবি করলেও, বাংলা সব সময়েই মনের কাছাকাছি ছিল। আমি আগামী দিনেও হিন্দি, বাংলা দুই ভাষাতেই কাজ করব।’

বিষয়:

থামছে না ‘দুই সতীনের’ বাগযুদ্ধ

আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

দেশীয় চলচ্চিত্রের সফল তিন তারকা শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে শুরুতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেম ও গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। আব্রাম খান জয় নামের একটি সন্তানও আছে। অপুর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর একই কায়দায চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব। এই দম্পতির মধ্যেও বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। যদিও বুবলী এখনো দাবি করে যাচ্ছেন শাকিবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়নি, এখনো তিনি শাকিবের বৈধ স্ত্রী। বীর নামের একটি সন্তানও রয়েছে তাদের।

কিন্তু সাবেক এই দুই স্ত্রীকে নিয়ে শাকিব খান গণমাধ্যমের কাছে বরাবরই বলে আসছেন, অপু এবং বুবলী- দুজনই এখন তার অতীত। এমনকি বুবলী কোনো অনুষ্ঠানে যাবে কিংবা থাকলে সেই অনুষ্ঠানে হাজির হন না শাকিব। কোনো কোনো বড় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে শাকিব খানকে নিমন্ত্রণ জানালে, এই নায়ক আয়োজকদের বলে দেন, ‘যদি বুবলী থাকে তাহলে আমি সেখানে যাব না’। শাকিবের উপস্থিতি বেশি জরুরি ভেবে একপর্যায়ে আয়োজকরা বুবলীকে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয় না। তবে দুই সন্তান জয় এবং বীরের স্বার্থে মাঝেমধ্যে দেখা হয় শাকিবের সঙ্গে অপু-বুবলীর।

এদিকে শাকিবের কাছে অতীত দুই সাবেক স্ত্রী অপু ও বুবলীর মধ্যকার বাগযুদ্ধ যেন থামছেই না। বেশ কয়েক বছর ধরে চলা দুই সতীনের এই কথার লড়াই ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। কখনো তারা কোনো অনুষ্ঠানে, টিভি সাক্ষাৎকারে কিংবা গণমাধ্যমের কাছেও একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা রকম মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পরস্পরের বিরুদ্ধাচারণ করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেন বুবলী। এসব বিষয় নিয়ে বুবলীর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

বেশ কিছু দিন ধরেই শাকিবের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করা, নিজের প্রচারের নতুন কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’


সমঝোতায় সাংবাদিক ও শিল্পীরা, পালিত হবে চলচ্চিত্রের কালো দিবস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

গত ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টায় বিএফডিসির বাগানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত কমিটির বিজয় উপলক্ষে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংবাদ গ্রহণ করতে আসা সাংবাদিকদের উপর শিল্পী সমিতির কতিপয় সদস্যদের হামলা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এতে ক্ষুদ্ধ সাংবাদিকেরা ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও দোষী শিল্পীদের শাস্তি চেয়ে শিল্পী সমিতিকে ৫ দফা দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। ঘটনার রাতেই প্রযোজক আরশাদ আদনান পরিস্থিতি শান্ত করতে একটি তদন্ত কমিটির প্রস্তাব দিয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেন। আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, মাসুম জয় এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্নাকে নিয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল রাত ৯টায় এফডিসিতে অবস্থিত চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির স্টাডি রুমে তদন্ত কমিটি আলোচনায় বসে। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কজন সাংবাদিক ও পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, প্রযোজক নেতা মোহাম্মদ ইকবাল। সেখানে বসে আলোচনার মাধ্যমে সবাই ঘটনার সমাধান ও মীমাংসার জন্য নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত হয়-

* ঘটনার দিনই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ঘটনার জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছে।

* শিবাশানু, সুশান্ত, জামানকে শিল্পী সমিতি থেকে এক মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। তাদের শোকজ নোটিশ দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য সাবধান করা হবে।

* যত দ্রুত সম্ভব আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি।

* হামলার শিকার সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইলসহ নানা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি।

* বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে ১ মাসের জন্য শিল্পী সমিতি থেকে ১ মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়৷ একইসাথে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে যদি জড়িত হয় তবে সমিতি থেকে তার স্থায়ীভাবে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। অন ক্যামেরায় সে দু:খ প্রকাশ করেছে। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তার সফল সমাপ্তি ঘটেনি।

আজ শুক্রবার ১১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির পুনরায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলোর আনুষ্ঠানিক সমাধান সম্পন্ন হয়েছে।

এসময় আরশাদ আদনান বলেন, 'আমরা খুবই মর্মাহত এই ঘটনায়। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের বিবেক। তাদের উপর আঘাত মেনে নেয়া যায় না। তাই পুরো ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। সেইসাথে আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ব্যয় ও সাংবাদিকদের নানা যন্ত্রপাতির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আশা করছি এই বেদনার ক্ষত ভুলে আবার একসঙ্গে পথ চলবে বিনোদন সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রের শিল্পীরা৷'

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি বলেন, 'এই ঘটনায় শিল্পী সমিতি অনুতপ্ত। আমাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের যে সম্পর্ক সেখান থেকে এই ঘটনাটি কাম্যই নয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা মর্মাহত। মহামান্য রাষ্ট্রপতির পুত্র আরশাদ আদনান ভাইয়ের চমৎকার অংশগ্রহণে আমরা এই ঘটনার একটা সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছেছি। সাংবাদিক ও শিল্পীরা আগের মতোই এক পরিবারের হয়ে কাজ করব।'

এদিকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাওয়ায় জয় চৌধুরীকে বিনোদন সাংবাদিকরা বয়কট করেছে। সেই ঘোষণা বহাল থাকবে। পাশাপাশি এই নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করবেন বিনোদন সাংবাদিকরা ৷


ব্ল্যাকে ফিরছেন তাহসান!

আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০১
  বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের ব্যান্ড সংগীতে অন্যতম একটি দল ব্ল্যাক। ১৯৯৯ সালে জন কবির, জাহান ও টনির হাত ধরে গঠিত হয় ব্যান্ডটি। পরে মিরাজ ও তাহসান যোগ দেন। ২০০২ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম আমার পৃথিবী প্রকাশিত হয়। বেশ শ্রোতাপ্রিয়তাও পায় ব্ল্যাক। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা থাকার পরেও ভেঙে যায় দলটি। মজার ব্যাপার হলো, এখনো ব্ল্যাক টিকে আছে একমাত্র জাহানের হাত ধরে। বাকিরা কেউ কেউ দেশের বাইরে, কেউ ব্ল্যাক থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে ক্যারিয়ার গড়েছেন।

শূন্য দশকে জন্ম হলেও এই ব্যান্ডটি ২০০৫ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার একটি মিলনায়তনে শেষবারের মতো গান শুনিয়েছে। এরপর ১৯ বছর কেটে গেছে, ব্ল্যাকের এই পাঁচ সদস্যকে আর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি। এখনো তাদের গান, নাম ব্ল্যাকের পুরোনো অনুরাগীদের মুখে মুখে ফেরে। ব্যান্ড ছাড়লেও তাঁদের বন্ধুত্বটা এখনো অটুট।

ব্ল্যাকের ২৫ বছরপূর্তিতে পঞ্চপাণ্ডবকে ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছে ব্ল্যাক। কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জনটা ছড়িয়েছিল; একটিও ভিডিওতে তেমনটাই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তাহসান, জন কবির, জাহান, মিরাজ ও টনি।

ব্ল্যাকের অনুরাগীদের জন্য সুখবর মিলেছে। আগামী ১০ মে ‘রক অ্যান্ড রিদম ৪.০: রেজারেকশন অব ব্ল্যাক’ কনসার্টে হাজির হবেন তাহসান, জন কবির, জাহান, মিরাজ ও টনি। কনসার্টে অংশ নিতে কানাডা থেকে উড়ে আসবেন টনি। কনসার্ট শেষে কানাডায় পাড়ি দেবেন তিনি।

তবে জাহান জানিয়েছেন, শুধু এই কনসার্ট উপলক্ষেই তারা এক হচ্ছেন। তারপর যে যার জায়গায় ফিরে যাবেন আবার। এই কনসার্টে তাহসান, জন কবিরদের সঙ্গে ব্ল্যাকের বর্তমানের লাইনআপের সদস্যদেরও পরিবেশনা দেখা যাবে। এদিন ব্ল্যাকের বর্তমান লাইনআপের ‘সমান্তরাল’ গানের ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হবে। এই গানে তাহসান, জন কবিররা নেই। পাশাপাশি কনসার্টের দিন ব্ল্যাকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটও উন্মুক্ত করা হবে।

২০০৫ সালে চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ব্ল্যাকের শব্দ প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত মিরাজকে আর ব্যান্ডে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাকের কার্যক্রম অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশের আগে ব্ল্যাক ছাড়েন তাহসান। ২০১১ সালে প্রকাশিত ব্ল্যাক অ্যালবামের লাইনআপে জন কবির, টনি ছিলেন। এরপর জনও ব্ল্যাক ছেড়েছেন। টনি দেশের বাইরে।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা: প্রতিবাদে উত্তাল চিত্রপুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান (মঙ্গলবার) শেষে হঠাৎ করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ মানববন্ধন করে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোকে সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি; কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল, রত্না।

অন্যদিকে এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। একই সঙ্গে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘অনাহূত এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই-বোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে প্রতিবাদ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।


পর্দায় ফিরছেন প্রীতি জিনতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের মিষ্টি মেয়ে বলে পরিচিত প্রীতি জিনতা। দীর্ঘদিন ধরেই সিনে পর্দায় নেই এক সময়ের নিয়মিত এই অভিনেত্রী। মাঝে একটি ওয়েব সিরিজে দেখা গেলেও সিনেমা হলের দর্শক থেকে দূর আছেন। অনেক দিন পর আবার প্রিয় বলিউডের সিনেমায় প্রত্যাবর্তন ঘটছে লাস্যময়ী এই তারকার। নিজের নতুন সিনেমার শুটিং সেট থেকে রাজকুমার সন্তোষীর সঙ্গে প্রথম ছবিও শেয়ার করেছেন প্রীতি। ছবিটি প্রকাশের পরপরই ভক্তরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালনায় ‘লাহোর ১৯৪৭’-এ সানি দেওল ও প্রীতি জিনতা ছাড়াও অভিনয় করছেন শাবানা আজমি, অভিমন্যু সিং, আলি ফজল এবং মোনা সিংসহ একাধিক তারকা।

২০০৭ সালে ‘ঝুম বরাবর ঝুম’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ তাকে মূল নারীপ্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। পরেও আরও কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রীতি জিনতা, তবে সেগুলোতে অতিথি চরিত্রেই পাওয়া গেছে তাকে। প্রায় দেড় দশক পর আবারও প্রধান নারী চরিত্রে ফিরছেন বলিউডের মিষ্টি নায়িকা প্রীতি জিনতা। আমির খানের প্রযোজনায় ‘লাহোর ১৯৪৭’-এ সানি দেওলের বিপরীতে পর্দায় ফিরছেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সিনেমাটির শুটিং শুরু করেছেন প্রীতি। আমির খান, সানি দেওল এবং রাজকুমার সন্তোষী প্রথমবারের মতো একসঙ্গে কাজ করছেন এই সিনেমার পেছনে। একাধিক সূত্রের দাবি, অতিথি শিল্পী হিসেবে এতে থাকতে পারেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির। যদিও এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট হয়নি।

বর্তমানে আইপিএলের খেলার মাঠে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে প্রীতি জিনতাকে। আইপিএলের দল পাঞ্জাব কিংসের মালিক প্রীতি। যে কারণে তিনি প্রায়ই স্টেডিয়ামে আসেন তার দলকে সমর্থন করতে। সম্প্রতি একটি ম্যাচ চলাকালীন প্রীতির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল।

১৯৯৮ সালে ‘দিল সে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন প্রীতি। এরপর ‘সোলজার’, ‘সংঘর্ষ’, ‘দিল্লাগি’, ‘কেয়া কেহেনা’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘বীর জারা’র মতো আইকনিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ‘ওয়েলকাম টু নিউইয়র্ক’-এ নায়িকা হিসেবে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে সিনেমাটি তেমন সাফল্য পায়নি। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি অনেক সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিয়ের পর সংসার, স্বামী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। নিউইয়র্কেই বাস করছেন পরিবারের সঙ্গে। তবে এবার আবারও বলিউডের পর্দা কাঁপাতে ফিরছেন প্রীতি। সালটা ২০১৬। আমেরিকান ব্যবসায়ী জেনে গুডেনাফকে বিয়ে করে লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকতে শুরু করেন প্রীতি জিনতা।

বিষয়:

সাংবাদিকদের ‍ওপর কতিপয় শিল্পীর হামলা: দুজন সাময়িক, একজন আজীবন নিষিদ্ধ

আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৪১
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কারসহ সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জয় চৌধুরীর হামলার নির্দেশনা ও উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে সিনে সাংবাদিকরা। ১ মাসের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন খল অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্ত। এছাড়া ন্যাক্কারজনক ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বিনোদন সাংবাদিকরা।

ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১১ সদস্যের একটি কমিটি আলোচনায় বসে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জনকে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তগুলোর ঘোষণা দেন সাংবাদিক লিমন আহমেদ। তিনি জানান, আলোচনার শুরু পরও জয় চৌধুরী উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লিমন বলেন, ‌‘তাকে নিয়ে শিল্পী সমিতিও যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে।’

বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।

১১ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না ছিলেন। এছাড়াও সিনিয়র সংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বিএফডিসিতে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর এক ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার এক সাংবাদিক চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিতে চান। ময়ূরীর মেয়েকে প্রশ্ন করেন—‘আপনি আপনার মায়ের সিনেমা দেখেন কি না? দেখলে কেমন লাগে?’ ময়ূরীর মেয়েকে এমন প্রশ্ন করাতেই রেগে যান খল-অভিনেতা শিবা শানু। তিনি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। সাংবাদিকরা না যেতে চাইলে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে অফিসে থেকে বের করে দেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন ২০ সাংবাদিক। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো’র দিকে।


কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ

আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৭
বিনোদন প্রতিবেদক

মহানায়কখ্যাত প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেতা বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ। তার মা ডেইজি আহমেদও ছোটপর্দার গুণী অভিনেত্রী। তবে বাবা ও মায়ের পরিচয়ের বাইরেই ঐন্দ্রিলা দেশীয় শোবিজে নিজের আলাদা একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। টিভি নাটকের দর্শকনন্দিত এই অভিনেত্রী অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাতেও অনবদ্য। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘পার্টনারশিপ অ্যানালাইন্স ম্যানেজার’ হিসেবে কর্মরত আছেন। যে কারণে চাইলেও তিনি অভিনয়টা নিয়মিত করতে পারেন না।

এরই মধ্যে বেশ কয়েক বছর আগে যখন তিনি চাকরিতে যোগ দেননি, তখন টানা কয়েকটি ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সময় বের করা যেন একটু কঠিনই হয়ে গেছে তার জন্য। তবে উপস্থাপনাটা নিয়মিত করে যাচ্ছেন তিনি। গেল ঈদেও তিনি মাছরাঙ্গা, এসএ টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন। কয়েক বছর আগে মা দিবসের অনুষ্ঠানেরও উপস্থাপনা করেছেন তিনি। অভিনয়ে তিনি যেমন দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন, ঠিক তেমনি উপস্থাপনাতেও দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। বর্তমানে শুধু বাংলাভিশনে তার উপস্থাপনায় এবং সুব্রত দের প্রযোজনায় প্রচার হচ্ছে ‘আমাদের রান্নাঘর’ অনুষ্ঠানটি। বিগত তিন বছর ধরে তিনি এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন।

ঐন্দ্রিলা জানান, তিনি নিয়মিতই অভিনয়ের প্রস্তাব পান। অভিনয় এবং উপস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, টিভি নাটক কিংবা শর্টফিল্মে অভিনয়ের জন্য নিয়মিতই প্রস্তাব আসে। যখন স্ক্রিপ্ট চাই, স্ক্রিপ্টও পাঠান তারা; কিন্তু আমার মনের মতো হয় না বিধায় কাজ করা হয়ে উঠছে না। আবার এটাও সত্যি যে সেসব কাজ ছেড়ে দিয়ে আমার মন খারাপও হয় না। বিজ্ঞাপনে কাজ করারও প্রস্তাব আসে। ব্যাটে বলে মিলে গেলেই বিজ্ঞাপনে কাজ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন তো বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। সেখানেও নিয়ম মেনে চলতে হয়। অফিস মেইনটেইন করেই কিন্তু আমাকে অভিনয় বা উপস্থাপনা বা বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সময় বের করতে হয়। তবে যাই করি না কেন নিজের কাছে আগে ভালো লাগতে হয়। পরে না হয় দর্শকের কথা ভাবব। নিজের ভালো লাগলেই সেই কাজটা করা যেতে পারে। ভালো না লাগলে নয়।’


সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার বার্তা মিমির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ওপার বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবিতে মিমির অভিনয় বারবার দর্শককে মুগ্ধ করে। ‘বোঝো না সে বোঝো না’ থেকে ‘পোস্ত’র মতো ছবিতে ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে জুড়ি মেলা ভার দর্শকের। আসছে মিমি চক্রবর্তীর নতুন ছবি আলাপ। ভোটের আগেই রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার কথা ঘোষণাও করেন বঙ্গতনয়া মিমি চক্রবর্তী। তবে সামাজিক দায়িত্ব আজও নিজের কাঁধে বহন করছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। পৃথিবীর বুকে আজও যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে প্লাস্টিক। বিশ্ব পৃথিবী দিবসে নিজের হাতে সমুদ্রের পাড় থেকে প্লাস্টিক কুড়িয়ে সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার বার্তা দিলেন মিমি।

হলুদ মনোকিনির ওপর পাতলা স্রাগ জড়িয়েই পরিবেশ পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন মিমি। নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে সেই বিশেষ মুহূর্তটাকে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। ভিডিওর ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এখনো কিন্তু, খুব একটা দেরি হয়নি। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলেই পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটাকে রক্ষা করা সম্ভব। প্রকৃতিও আমাদের ক্ষমা করে দেবে’। মিমির এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে মিমির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভক্তরা।

হ্যাপি আর্থ ডে-তে পৃথিবীরকে পরিষ্কার রাখার বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনও। ঘাসের মাঝে গা এলিয়ে শুয়ে হাতে উজ্জ্বল লাল রঙের ফুল নিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন সন্দীপ্তা। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমরা যদি সকলে একসঙ্গে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করি তাহলে আমাদের পৃথিবী সুস্থ থাকবে। সকলের ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত হবে। হ্যাপি আর্থ ডে।’

মিমির ইনস্টা হ্যান্ডেলে চোখ রাখলে দেখা যায় নিত্য-নতুন ছবি আর রিল ভিডিও। কখনো জিমে গিয়ে শরীরচর্চার ছবি তো কখনো আবার পোষ্যর সঙ্গে কাটানো কোয়ালিটি সময়ের ক্লিপিং। বর্তমানে মিমি ব্যস্ত রয়েছেন তার আপকামিং মুভি ‘আলাপ’ নিয়ে। রক্তবীজের পর আরও একবার টলি হ্যাঙ্ক আবিরের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন মিমি চক্রবর্তী। আগামী ২৬ এপ্রিল বড় পর্দায় আবির-মিমির আলাপ দেখার অপেক্ষায় বাংলা ছবির দর্শক।

ওপার বাংলার নায়কের সঙ্গেও জুটি বেঁধেছেন বিউটিকন্যা মিমি চক্রবর্তী। শাকিবের সঙ্গে বড় পর্দায় নতুন রসায়ন দেখার অপেক্ষায় দর্শক। রায়হান রাফির নির্দেশনায় তৈরি হচ্ছে তুফান। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে এপার বাংলার এসভিএফ এবং ওপার বাংলার প্রযোজনা সংস্থা ‘চরকি’ ও ‘আলফা আই’। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি তুফান বক্স অফিসে কতটা তুফানি করবে সেটা তো সময়ের অপেক্ষা।

বিষয়:

সিনেমাপাড়ায় কোরবানি ঈদের প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

রোজার ঈদের সিনেমার রেশ এখনো কাটেনি। এবার ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম সপ্তাহ শেষে এখন চলছে দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে ছবিগুলো। কোন ছবি কতটা ব্যবসা করছে তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে কোনো ছবিই প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারছে না। চারটি সিনেমা মুক্তির পর পরই প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়েছে। তারপরও রোজার ঈদে বক্স অফিসের ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এরইমধ্যে আবারও ঈদের আমেজ সিনেমাপাড়ায়। সিনেমাপাড়া ও বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদেও মুক্তির তালিকায় রয়েছে প্রায় এক ডজন ছবি। কোরবানির ঈদে মুক্তির জন্য এরই মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়েছে ১০টি ছবি-রায়হান রাফীর ‘তুফান’, সানী সানোয়ারের ‘এশা মার্ডার-কর্মফল’, এমডি ইকবালের ‘রিভেঞ্জ’, এম রাহিমের ‘জংলি’, বদিউল আলম খোকনের ‘আগুন’, রাখাল সবুজের ‘পুলসিরাত’, হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘কবি’, আরাফাত হোসেনের ‘রঙ্গনা’, আলোক হাসানের ‘লীলা’ এবং মিঠু খানের ‘নীলচক্র’।

এই ছবিগুলোর বাইরেও আছে আরও বেশ কয়েকটি ছবি, যেগুলো কোরবানির ঈদে মুক্তির জন্য হঠাৎ করেই লাইনে দাঁড়িয়ে যাবে। এরই মধ্যে প্রযোজক সমিতিতে ‘এশা মার্ডার-কর্মফল’, ‘রিভেঞ্জ’ ও ‘কবি’ মুক্তির জন্য আবেদনও করেছেন নির্মাতারা। ‘কবি’ পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল বলেন, ‘আগেই ঘোষণা দিয়েছি আমার ছবিটি কোরবানির ঈদে মুক্তি দেব। গান ও গল্প আমার ছবির প্রধান আকর্ষণ। আর কোন ছবি এল বা গেল সেটা নিয়ে ভাবছি না।

‘এশা মার্ডার-কর্মফল’ পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্ত। একটা ঈদে এত ছবি কেন মুক্তি পাবে! সবাইকে তো ক্ষতিটা বুঝতে হবে। রোজার ঈদেই তো একটা শিক্ষা হলো সবার। আমি উদ্যোগ নিয়েছি, কিছুদিনের মধ্যে প্রযোজক-পরিচালকদের নিয়ে বসব। একটা সুরাহা করতে হবে।’

মূলত এখনকার সিনেমা হয়ে গেছে ঈদনির্ভর। একমাত্র ঈদেই দর্শক সিনেমা দেখেন। এ কারণে ছবি ব্যবসায়ীরাও নিজেদের ছবি ঈদ উৎসবে মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। এটা অনেকটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘রোজার ঈদেও আমি সতর্ক করেছিলাম অনেককে ফোন করে। এবারও বলছি, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবেন না। সারা বছর পড়ে আছে, তাহলে কেন দুই ঈদে পাড়াপাড়ি করবেন? সিনেমা তো শিল্প। এখানে পাড়াপাড়ি করে কোনো লাভ হবে না। বরং নিজের ক্ষতিই হবে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে আমার পাঁচ দশকের সম্পর্ক। যখন সোনালি যুগ ছিল তখনো কিন্তু পাঁচ-সাতটির বেশি ছবি মুক্তি পায়নি। তখন তো হল ছিল ১ হাজার ২০০টির বেশি। আর এখন সব মিলিয়ে দেড় শ হল হবে কি না সন্দেহ। কোরবানির ঈদের পরেও ভালো সময় আছে। অক্টোবর-নভেম্বরেও সিনেমা ভালো চলে। তখন মুক্তি দিলে ক্ষতি কী!’

বিষয়:

শিল্পীর কোনো গণ্ডি থাকে না: জয়া আহসান

আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০২
বিনোদন প্রতিবেদক

এই ঢাকা এই কলকাতা- প্রায় এক দশক ধরে এভাবেই চলছে দুই বাংলার আলোকিত তারকা জয়া আহসানের ব্যস্ততা। তবে শুরু থেকেই ঢাকার চেয়ে টালিগঞ্জের সিনেমাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছেন এই অভিনেত্রী ও প্রযোজক। কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করে যেমন দর্শক ও সুধী মহলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করছেন, তেমনি প্রতি বছরেই একাধিকবার বগলদাবা করে নিচ্ছেন সেখানকার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। দুই বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে হিন্দি সিনেমাতে অভিনয় করেও মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। জয়ার ভাষ্য, ‘একজন শিল্পীর গণ্ডি যতদূর বাড়ানো সম্ভব সেটা সে বাড়াবে। আমিও এক সময় বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছি, তারপর কলকাতা গিয়ে কাজ করছি। সম্প্রতি আমার হিন্দি সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে। তাই আমি মনে করি, শিল্পীর কোনো ভুবন বা সীমানা থাকা উচিত নয়। একজন শিল্পী সব জায়গায় কাজ করবে। এর কোনো কারণ লাগে না।’

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে বহু পুরস্কার অর্জন করা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে যখন বাংলাদেশের জন্য কোনো পুরস্কার পাই এটা আমার নিজের জন্য যতটা আনন্দের তার থেকে বেশি আনন্দিত বোধ করি আমি বাংলাদেশের হয়ে পুরস্কার হাতে নিতে পেরে। এবারের ফিল্ম ফেয়ারে বাংলাদেশের অনেকেই কিন্তু নমিনেশন পেয়েছিলেন, পুরস্কার পেয়েছে যেটা বড় বিষয় এবং খুবই গর্বের।’

চির সবুজ বলে পরিচিত পাওয়া জয়া আহসান বর্তমানে নির্মাতা আশফাক নিপুণের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো প্রথম ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। এ ছাড়া কলকাতায় ‘ডিয়ার মা’ নামে একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। দুই বাংলায় কাজের ধরন বা পার্থক্য প্রসঙ্গে জয়া সত্যি বলতে, খুব একটা পার্থক্য নেই। ভাষাগত কিছু টার্ম ছাড়া কাজের ধরন, ইমোশন, ডায়ালগ, সংস্কৃতি সব একই মনে হয় আমার কাছে। তবে আমরা এগিয়ে আছি আমাদের সাহসের জায়গায়। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদারের মতো চিৎকার করে আমাদের গল্প জানান দিতে চাই, কাজের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে চাই। সেই জায়গা থেকে মনে হয় আমরা অনেক সাহসী। তবে ওই বাংলায় সবাই গুছিয়ে কাজ করে, কাজের পরে কি হবে সেটা একবারে ঠিক করে কাজটা শুরু করে। তাই কিছু জায়গায় পরিবর্তন তো আছেই, তবে প্রায় একই বিষয়। আমাদের অনেক কাজ সেখানে ভীষণ প্রশংসিত। সেটা আমার কান পর্যন্ত এসে পৌঁছায়।


banner close