বুধবার, ৮ মে ২০২৪

পারিশ্রমিক বাড়ালেন আল্লু অর্জুন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:৩৯

একটু একটু করে নিজেকে পাকাপোক্ত করে দক্ষিণী সিনেমা জগতে বেশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন আল্লু অর্জুন। বলা চলে, গত কয়েক বছর ধরে চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছেন এই তারকা। বিশেষ করে তিন বছর আগে ‘পুষ্পা’ সিনেমায় বক্স অফিসে ব্লকব্লাস্টার ব্যবসা করার পর থেকে নির্মাতাদের আস্থার জায়গায় পরিণত হন তিনি। এই সিনেমা পুষ্পরাজের চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পান আল্লু অর্জুন। সঙ্গে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সিনেমাটির সিক্যুয়াল ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আরও চার মাস থাকলেও সিনেমাটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এর মাঝেই নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

দর্শকের সামনে আবারও ফিরছে পুষ্পরাজ-শ্রীভল্লি জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন। তিন বছর পর আগামী ১৫ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আগে আলোচনায় আল্লু অর্জুনের পারিশ্রমিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এক লাফে ১০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি রুপিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছেন অভিনেতা।

ভারতীয় বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। শুধু বক্স অফিস নয়, পুরস্কারের মঞ্চেও বাজিমাত করছে দক্ষিণি সিনেমা। তাই দক্ষিণ ভারতের অভিনেতাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ভারতের সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।

‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’-এর বাজেট ৫০০ কোটি রুপির মতো। মুক্তির চার মাস থাকলেও সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। উত্তর ভারতে সিনেমাটির হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২০০ কোটি রুপি। আর দক্ষিণ ভারতে হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২৭০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মুক্তির আগে হল থেকেই ৪৭০ কোটি রুপি আয় হয়েছে।

এ ছাড়া জানা গেছে ওটিটি জায়ান্ট নেটফ্লিক্স ‘পুষ্পা-২’-এর স্ট্রিমিং রাইটস ২৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছে। একই সময়ে অডিও এবং স্যাটেলাইট রাইটসের চুক্তি সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, নির্মাতারা তা থেকে ৪৫০ কোটি রুপি আয় করেছে। এভাবে রিলিজের আগেই ১ হাজার ১৯৫ কোটি রুপি আয় করেছে সিনেমাটি।

বিষয়:

অবশেষে ঈদে আসছে ববির ‘ময়ূরাক্ষী’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশীয় চলচ্চিত্রের গ্ল্যামারকন্যা ইয়ামিন হক ববি একই সঙ্গে অভিনেত্রী ও প্রযোজক। এই চিত্রনায়িকাকে নিয়ে পরিচালক রাশিদ পলাশ নির্মাণ করেছেন ‘ময়ূরাক্ষী’। রঙিন দুনিয়ার অন্তরালের গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমাটিতে একজন রুপালি পর্দার নায়িকার চরিত্রেই অভিনয় করেছেন ববি। গত বছর সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সিনেমাটি। কিন্তু নানা কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয় ছবিটির মুক্তি। অবশেষে আসছে ঈদুল আজহায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ময়ূরাক্ষী। বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিচালক রাশিদ পলাশ বলেন, ‘ময়ূরাক্ষী একটি ফুল প্যাকেজ সিনেমা। গত বছর সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছি। সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের মনে হয়েছে, ঈদের মতো উৎসবে মুক্তি পাওয়ার মতো সিনেমা এটি। এ কারণে গত বছর মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলাম।’

এরই মধ্যে প্রদর্শক সমিতি থেকে ঈদে মুক্তির অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সাধারণত ঈদে সিনেমা মুক্তির তালিকাটা তুলনামূলক দীর্ঘ হয়। শোনা যাচ্ছে, ঈদুল আজহাতেও মুক্তি পেতে পারে দশের অধিক সিনেমা। হল-সংকটের এই সময় ঈদে হল পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।

এই শঙ্কার মধ্যে সিনেমা মুক্তি প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘ঈদের সময়ে সিনেমা নিয়ে দর্শকের বাড়তি আগ্রহ থাকে। হলগুলোতে উল্লেখযোগ্য দর্শক দেখা যায়। আমরাও এই উৎসবে শামিল হতে চাই। আর মেরিট থাকলে কোনো সিনেমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। ময়ূরাক্ষী নিয়ে আমার সেই বিশ্বাস আছে।’

‘ময়ূরাক্ষী দিয়েই করোনার পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ববি। সিনেমাটি নিয়ে তখন বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে ময়ূরাক্ষী। পরে নির্মাতা জানিয়েছেন, এটি মূলত প্রেমের গল্প। তবে গল্পের প্রয়োজনে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাও দেখা যাবে।

সিনেমার গল্প নিয়ে রাশিদ পলাশের ভাষ্য, ময়ূরাক্ষী একটি প্রেমের সিনেমা। প্রতারণার গল্পও থাকবে। তাই সিনেমার ট্যাগ লাইন দেওয়া হয়েছে বেইমান পাখির গল্প।

সিনেমায় ববি অভিনয় করেছেন নয়নতারা চরিত্রে। এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘একজন অভিনেত্রীর জীবন বাইরে থেকে যতই আলো ঝলমলে হোক না কেন, পেছনে অনেক চড়াই-উতরাই থাকে। সেই ক্রাইসিসগুলো পর্দায় বাস্তবসম্মত করে তুলে ধরা কঠিন। ময়ূরাক্ষী সিনেমার নয়নতারা চরিত্রটি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। দর্শক নতুন এক ববিকে দেখতে পাবেন এই সিনেমায়।’

মুক্তি উপলক্ষে রোববার প্রকাশ করা হয়েছে সিনেমার আইটেম গানের টিজার। ময়ূরাক্ষীতে ববির বিপরীতে রয়েছেন সুদীপ বিশ্বাস দ্বীপ।

বিষয়:

সবখানেই রবীন্দ্রনাথ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

আজ ২৫ বৈশাখ। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ কবিগুরু খ্যাত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীতের আবেদন অবিস্মরণীয় ও চিরকালীন। বাঙালির স্বাধিকার, বিশেষত- স্বাধীনতাসংগ্রামে রবীন্দ্রসংগীত প্রেরণার উৎস। রবীন্দ্রনাথের গান আবহমানকালের বাঙালি সংস্কৃতির মূলধারাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করে চলেছে। এ দেশের সংস্কৃতমনা মানুষের কাছে রবীন্দ্রসংগীত হয়ে উঠেছে জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশের প্রধানতম অবলম্বন ও প্রাতঃস্মরণীয়।

বহুমুখী প্রতিভার এই মানুষটির জন্মদিন উপলক্ষে চারপাশে শুরু হয়েছে সাজ সাজ রব। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা এমনকি মফস্বল শহরগুলোতেও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। থিয়েটার পাড়া, বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিসহ দেশের প্রায় সব কটি টিভি চ্যানেলে বিশেষভাবে পালিত হচ্ছে বিশ্বকবির জন্মদিন।

১৬৩তম রবীন্দ্রজয়ন্তী স্মরণে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের প্রযোজনা চিত্রাঙ্গদার একটি বিশেষ মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি চিত্রাঙ্গদার গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে ১৮৯২-এ কাব্যনাট্যরূপে ও ১৯৩৬-এ নৃত্যনাট্যরূপে চিত্রাঙ্গদা রচনা করেন। স্বপ্নদলের চিত্রাঙ্গদা প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে কাব্যনাট্য পাণ্ডুলিপি অবলম্বনে। চিত্রাঙ্গদায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, অর্ক, জেবু, সুমাইয়া, সামাদ, ঊষা, আলী, বিপুল, নিসর্গ, হাসান, সুকুমার, বিমল, নিশক, শফিক, অনিন্দ্য প্রমুখ। প্রযোজনাটির মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন ফজলে রাব্বি সুকর্ন।

১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে এবং ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কালজয়ী এ কবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়।

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে। মৃত্যুর সাত দিন আগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বিষয়:

তুফানের টিজারেই ঝড় তুললেন শাকিব

আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ০০:০২
বিনোদন প্রতিবেদক

তীব্র দাবদাহের পর দেশজুড়ে যখন একটু শীতল হাওয়া বইছে, ঠিক তখনই ভয়ংকর ঝড়ের পূর্বাভাস দিলেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। একই বার্তা দিয়েছেন নির্মাতা রায়হান রাফীও। না, বার্তাটি আবহাওয়ার সঙ্গে নয়; জড়িয়ে আছে তাদের ‘তুফান’ সিনেমার সঙ্গে। মঙ্গলবার দুপুরে তারা প্রকাশ করলেন সিনেমাটির টিজার। যার কারণে ভয়ংকর তুফানি ঝড়ের সংকেত দিয়েছেন নায়ক-নির্মাতা। সিনেমার পোস্টার ফেসবুকে প্রকাশ করে শাকিব খান লিখেছেন, ‘বাংলার আকাশে বাতাসে আজ এক ভয়ংকর তুফানি ঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’

টিজারে দেখা যাচ্ছে, শাকিব আশির দশকের স্যুটেড-বুটেড। ঘন দাড়ি ও লম্বা চুল, হাতে সিগারেট। ঠিক যেন রকি ভাইয়ের মতোই ব্লেজার-প্যান্টের সঙ্গে কন্ট্রাস্ট করা শার্ট। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভুল শব্দবাণে আলোচনায় রেখেছিলেন সিনেমা-সংশ্লিষ্টরা। বলা হচ্ছিল ‘তুফানী ঝড়’ আসছে। সিনেমাটির ঘোষণা এসেছিল বেশ কিছুদিন আগে। শুটিং শুরু হয়েছে দেরিতে। তবে শেষমেশ শুটিং চলমান থাকতেই এল টিজার বা একঝলক। এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের টিজারে বোঝা যাচ্ছে শাকিব খান নব্বইয়ের দশকের একজন গ্যাংস্টার। যার নাম তুফান। টিজারের শুরুতেই শাকিবের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘পূর্বের কথা মোতাবেক, এখন থেকে পুরো দেশকে তুফানের হাতে তুলিয়া দিব। সে যা চাইবে, পাইবে। যা করিতে চাইবে, করিবে। তাহাকে কোনো কিছুতেই বাধা দেওয়ার এখতিয়ার কেউ রাখিতে পারিবে না। আর এর ব্যত্যয় ঘটিলে কী হতে পারে, সেই ভয়ংকর পরিস্থিতিই ফুটে উঠেছে টিজারে।’

শেষদিকে উপস্থিতি দেখা গেছে গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। তার মুখে তাচ্ছিল্যের হাসিসহ সংলাপ, ‘তুফান, খুব ভয় পাইছি রে…!’ তাতে অবশ্য অনুমান করা যায়, সিনেমায় সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হবে!

যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘তুফান’-এ শাকিব খান ও চঞ্চল ছাড়াও অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা, মিশা সওদাগর প্রমুখ। যদিও টিজারে তারা ছিলেন অনুপস্থিত। আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ভারতের এসভিএফ, দেশের আলফা আই ও একটি ওটিটি প্ল্যাটফরম। আর পরিচালনা করেছেন পরিচালক রায়হান রাফি।

তবে টিজার প্রকাশের পরপরই আলোচনা শুরু হয়েছে, এটি কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া বলিউডের সিনেমা রণবীর কাপুর অভিনীত ‘অ্যানিম্যাল’-এর কপি। এমনকি শাকিব খানের লুকের সঙ্গেও অনেকে রণবীরের লুক মেলাচ্ছেন। তবে শেষমেশ কী দাঁড়ায় সেটি জানা যাবে সিনেমাটি মুক্তির পর।


অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে ফারিণের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

খুব অল্প দিনের ক্যারিয়ার; কিন্তু এই অল্প সময়েই ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছেন ছোটপর্দার আলোচিত মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন এই সুহাসিনী। যদিও অভিনয়ের আগে গায়িকা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে দর্শক ও নির্মাতাদের চাহিদার কারণে গানকে চাপা রেখে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন ফারিণ।

সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকহৃদয় জয় করেছেন তিনি। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে নিয়মিত কাজ করছেন ফারিণ। তবে দীর্ঘদিন পর এবার ঈদে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সঙ্গে ‘রঙ্গে রঙে’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যান এই নায়িকা-গায়িকা। এই গানটির দরুণ প্রশংসার সাগরে ভাসছেন তাসনিয়া ফারিণ। সাধুবাদ জানিয়েছেন ইত্যাদির উপস্থাপক ও পরিচালক খোদ হানিফ সংকেতও।

গত বছর কলকাতার সিনেমা দিয়ে প্রথমবার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে । আর এবার দেশের মাটিতে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে ‘ফাতিমা’ সিনেমার মাধ্যমে। আট বছর আগে পরিচালক ধ্রুব হাসান ফারিণকে নিয়ে নির্মাণ শুরু করেন দাহকাল নামের একটি সিনেমা। কিন্তু নানা সংকটে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ছবির কাজ। কয়েক বছর পর কাজটি ফের শুরু হয়। ধীরলয়ে শেষও হয়। এবার মুক্তির পালা। শেষমেশ অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে ফারিণের । আগামী ২৪ মে মুক্তি পাচ্ছে তার প্রথম সিনেমা। তবে আগের নামে নয়, নতুন করে ‘ফাতিমা’ রাখা হয়েছে ছবিটির নাম।

বিষয়টি নিয়ে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘এটাই আমার ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি। খুবই সুন্দরভাবে এর শুটিং হচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে আমি নাটকের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। প্রায় ৬ বছর পড় পরিচালক ধ্রুব হাসান ভাই ফোন করে জানান, তিনি আবার ছবিটার কাজ শুরু করতে চান। শুনে অবাক হয়েছিলাম বটে। তবে বিশ্বাস ছিল তার ওপর। ফাইনালি ছবিটা শেষ হয়েছে খুব ভালোভাবে এবং দেশের বাইরে কয়েকটি ফেস্টিভালে ঘুরে এসেছে, পুরস্কারও পেয়েছে। আমি নিজেও বড় পর্দায় এটি দেখার অপেক্ষায়।’

ছবিটির মুক্তি উপলক্ষে রোববার বিকালে ‘ফাতিমা’র প্রথম পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেবল ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করা ফারিণের মুখছবি দেখা যাচ্ছে। ছবির নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে নির্মাতা ধ্রুব হাসান বলেন, ‘দাহকাল’ মূলত ওয়ার্কিং টাইটেল ছিল। এরপর গল্পের নানান বাক বিকশিত হয়েছে, সেসবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ‘ফাতিমা’ নামটি রাখা হয়েছে। এটি এখন ফাতিমার দাহকালের গল্প।’

বিষয়:

অনন্য প্রতিভার নাম সুবীর নন্দী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

‘পাখিরে তুই দূরে থাকলে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে তোমরা তাকে ঝরনা বলো’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’- এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী সুবীর নন্দী। দেশীয় সংগীতের অনন্য কন্ঠস্বরের অধিকারী বাংলা গানের ভুবনে এক অবিস্মরণীয় নাম। সুবীর নন্দীর জন্ম, বেড়ে ওঠা আর দারুণ সংযমী জীবনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, একটি সংগীত পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা, সিলেট অঞ্চল ও তার গীতল প্রতিবেশ, ধ্রুপদি ও লোকগানের তালিম গড়ে দিয়েছে তার ভিত্তিভূমি। পরবর্তীকালে গুণী সুরকার আর গীতিকারের সংস্পর্শে তিনি বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে উপহার দিয়েছেন কালজয়ী সব গান। শুধু গায়নদক্ষতা আর সুন্দর লিরিক ও সুরের সমবায়ে সুবীর নন্দী স্বকীয় শিল্পী হয়ে উঠেছেন, তা নয়। সুবীর নন্দী বাংলা গানের বিশেষত বাংলাদেশে গানের একটা বাঁকবদলের সাক্ষী এবং অন্যতম সারথিও বটে। এই বাঁকবদলের স্বরূপ না বুঝে শুধু সুমিষ্ট কণ্ঠের শিল্পী হিসেবে সুবীর নন্দীকে উদ্‌যাপন করলে খামতি থেকে যায়।

তার জনপ্রিয় গানগুলো সবার কমবেশি জানা, তবে এই জনপ্রিয়তার সূত্রসন্ধানী প্রয়াস চোখে পড়ে না। অথচ সুবীর নন্দীর জনপ্রিয়তার সূত্র সন্ধান করলেই দেখা যাবে, গেল শতকের সত্তরের দশক থেকে বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে গুণী সুরকার, গীতিকার আর শিল্পীদের কী অসামান্য অবদানে বাংলাদেশের গান একটা স্বকীয় চেহারা লাভ করেছে। এ সময়ের গানের ভাষায়ও দারুণ কাব্যিক ও সহজিয়া কথার মালা দেখা যাবে, সুবীর নন্দীর মতো গুণী শিল্পীরা তার যথার্থ ব্যবহারই করেছেন। ‘পাহাড়ের কান্না দেখে তোমরা তাকে ঝরনা বলো’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’ ইত্যাদি গানে যে কাব্যিকতা, তা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে দারুণ আদর পেয়েছে স্বাভাবিকভাবেই, আবার ‘ও আমার উড়ালপঙ্খীরে’, ‘নেশার লাটিম’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া আমি যাব’ ইত্যাদি গান সব ধরনের শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়েছে। কালিদাসের মেঘ নাকি তোমার মাথার চুলের মতো উৎপ্রেক্ষার বাহার এ শিল্পীর অজস্র গানেই পাওয়া যায়। তবে তা এতটুকুও দুর্বোধ্যতার অভিযোগে দুষ্ট নয়। এখানেই সুবীর নন্দী অনন্য।

চলচ্চিত্রের সংগীতে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেন। তিনবার বাচসাস পুরস্কার পান এবং ২০১৯ সালে তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান তিনি। ২০১৯ সালের ৭ মে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

আজ এই ধ্রুবতারার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াণের পাঁচ বছর পেরিয়েছে। অথচ চার–পাঁচ দশক আগে গাওয়া তার গান আজও অমলিন শ্রোতার হৃদয়ে। সুবীর নন্দী মূলত চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায় নন্দী পাড়া নামক মহল্লায় এক কায়স্থ সম্ভ্রান্ত সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম বাচ্চু। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিতে শুরু করেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে। তবে সংগীতে তার হাতেখড়ি মায়ের কাছেই।

বিষয়:

উচ্ছ্বাসে ভাসছেন নুসরাত ফারিয়া

নুসরাত ফারিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ০০:০৯
বিনোদন প্রতিবেদক

বহুমাত্রিক প্রতিভার নাম নুসরাত ফারিয়া। একই সঙ্গে গান, অভিনয় মডেলিং সবকিছুতেই সমান ব্যস্ততা তার। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় দুটো শো শেষ করলেন। বর্তমানে এখনো অস্ট্রেলিয়াতেই অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি জানান, ‘দারুণ এক অভিজ্ঞতা হলো। দুটো স্টেজ শোতেই খুব ভালো রেসপন্স।’ ফারিয়া বলেন, ‘আমার এই অডিয়েন্স এক দিনে তৈরি হয়নি। একটু একটু করেই তৈরি করেছি। আমি কমপ্লিট পারফর্মার হিসেবেই কাজ করার চেষ্টা করি। এবারের অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন ও সিডনি দুটি জায়গাতেই অসাধারণ অডিয়েন্স পেয়েছি। একটা হলভর্তি ভালো অডিয়েন্স যেকোনো পারফর্মারের জন্য অনেক আনন্দের। অস্ট্রেলিয়াবাসী সেই কাজটিই করল।’

টালিউড, ঢালিউড দুই জায়গাতেই সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া। এর মধ্যে অত্যাধিক কাজের চাপে নিজেও খানিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যান। ফারিয়া বলেন, ‘ক্যারিয়ারে নিজের ভালো কিছু কাজ করে যেতে চাই। সে কারণেই নিজেকে কাজের ভেতরে ডুবিয়ে রাখি। মাঝে বাবার সেকেন্ড স্ট্রোকটা সত্যিই এলোমেলো করে দেয়। এখন অনেকটা ভালো। বাবা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’

অস্ট্রেলিয়ায় এবারের শোতে সহশিল্পী জায়েদ খানকে নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। সব সময় আলোচনায় থাকতে চাওয়া জায়েদ খান ও তার ডিগবাজি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজকদের এই কৌতূহলের কারণে অস্ট্রেলিয়ার শো নিয়েও নানান মুখরোচক আলোচনা তৈরি হয়েছে। এই শোয়ের ফাঁকে জায়েদ খান ও নুসরাত ফারিয়ার একটি ডুয়েট ছবিও আলোচনায় এসেছে। ছবিতে দেখা যায় সিডনি অপেরার সামনে একই ছাতার নিচে নুসরাত ফারিয়া ও জায়েদ খান।

ছবিটি নিয়ে নেটিজেনরা নানান আলোচনায় মুখর হন কমেন্ট বক্সে। ফারিয়া বলেন, ‘আমরা সিডনি শোয়ের প্রমোশনের জন্য ছবিটা পোস্ট করি। আর জায়েদ খান সম্পর্কে বলব। উনি আমার বড় ভাই এবং খুব ভালো মনের মানুষ।’

অস্ট্রেলিয়া শো শেষ করে নুসরাত ফারিয়া দেশে ফিরবেন ১০ মে। এসেই আপকামিং ছবির কাজ ও প্রচারণায় অংশ নেবেন। সামনে তার ‘ফুটবল ৭১’ ও ‘রকস্টার’ নামে দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে।


অজানা অধ্যায় জানালেন পরিণীতি চোপড়া

আপডেটেড ৬ মে, ২০২৪ ০০:০৭
বিনোদন ডেস্ক

গোটা ভারতজুড়ে এখন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার প্রশংসা। কারণ ইমতিয়াজ আলি নির্মিত বায়োগ্রাফিক্যাল সিনেমা ‘অমর সিং চামকিলা’য় অনবদ্য অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি চরিত্রের প্রয়োজনে এতে গানও গেয়েছেন। সেটাও মুগ্ধ করছে দর্শক-শ্রোতাদের।

এই ফুরফুরে সময়ের মধ্যেই নিজের এক অজানা তথ্য সামনে আনলেন পরিণীতি। জানালেন, অভিনয় দিয়ে নয়, শোবিজ জগতে তার প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল গান দিয়েই! সেটা ২০০৪ সালে। দূরদর্শন টিভির একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন গত বছর বিয়ে পিঁড়িতে বসা অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার। যেখানে দেখা যায়, একটি দেশাত্মবোধক গানে দলীয় শিল্পী হিসেবে গাইছেন তিনি। ভিডিওর সঙ্গে পরিণীতি বলেন, ‘এটাই আমার প্রকৃত অভিষেক।’

এমন রূপে-ভূমিকায় পরিণীতিকে দেখে অবাক তার অনুসারীরা। ৮৫ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন জমা পড়েছে তার ওই পোস্টে। হাজারো ইতিবাচক মন্তব্যে প্রশংসাও করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘তিনি একটুও বদলাননি! চেহারা একদম একই আছে!’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘অসাধারণ জিনিস খুঁজে বের করেছেন।’ অভিনয়ে পরিণীতি আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ২০১১ সালে, ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহেল’ ছবির মাধ্যমে। যেখানে তার নায়ক রণবীর সিং।

পরিণীতি যে গানে কতটা দক্ষ, তার প্রমাণ ইতোপূর্বে বহুবার দিয়েছেন। হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল সংগীতের ওপর তালিম নেওয়ার পাশাপাশি তিনি মিউজিকের ওপর আলাদা ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন। শৈশব-কৈশোরে বিভিন্ন স্টেজেও পারফর্ম করেছেন পরি। তবে যশরাজ ফিল্মসের মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নিয়ে তিনি জড়িয়ে পড়েন সিনেমার জগতে। এরপরও গান ছাড়েননি এই অভিনেত্রী। একাধিক সিনেমায় তিনি গান করেছেন। তার কণ্ঠে ‘মানা কে হাম ইয়ার নেহি’, ‘তেরি মিট্টি’ গানগুলো দারুণ সাড়া পেয়েছে। এছাড়া নিজের বিয়ের ভিডিওর জন্যও ‘ও পিয়া’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছেন তিনি।


‘মা পদক’ পাচ্ছেন আনোয়ারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

‘আলী-রূপা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘মাদিহা মার্সিহা অ্যাডভারটাইজিং’-এর আয়োজনে ২০২২ সাল থেকে ‘মা পদক’ প্রদান করা হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ মে বিশ্ব মা দিবস’ উপলক্ষে ‘পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স’ নিবেদিত ‘মা পদক ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে।

পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স’র সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা গোলাম শাহরিয়ার কবিরের সার্বিক সহযোগিতায় এবারের ‘মা পদক ২০২৪’ পাচ্ছেন বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম।

ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলের বলরুমে এই পদক প্রদান করা হবে। আনোয়ারা বলেন, ‘এর আগে অভিনয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছি আমি ৯ বার। কিন্তু অসংখ্য সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য মা পদকে ভূষিত হচ্ছি, এটা সত্যিই আমার কাছে অন্যরকম ভালোলাগার। দর্শক আমাকে ভালোবাসেন এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আলী-রূপা ফাউন্ডেশেন এবং পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্সকে আমাকে এ বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করায়।’

বিষয়:

ক্ষমা চাইলেন নিক জোনাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দেশি গার্লখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী ও মার্কিন গায়ক নিক জোনাস সংগীতের দুনিয়ায় অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় কনসার্ট করেন নিক; কিন্তু বর্তমানে মারাত্মক অসুস্থ তিনি। কথা বলার মতো অবস্থাতেই নেই। গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। যার দরুন একের পর এক কনসার্ট বাতিল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত এই তারকা। এই ঘটনায় ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন নিক। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাছেই ক্ষমা চাইলেন নিক। গায়কের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন তার অগণিত অনুরাগী।

ভারতের জামাই হওয়ার সুবাদে মুম্বাই বিমানবন্দরে পা রাখলেই পাপারাজ্জিরা তাকে জামাই বলেই সম্বোধন করেন। সেটা অবশ্য বেশ এনজয় করেন নিক। দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে বিয়ের পর নিকের জনপ্রিয়তা ভারতেও যে একটু বেড়েছে তা বলাই যায়। গায়কের অসুস্থতার খবরে একদিকে বিদেশি ভক্তরা যেমন চিন্তিত তেমনই মন খারাপ ভারতীয় অনুরাগীদেরও। মঞ্চে যখন নিক পারফর্ম করেন তখন চারদিকে শুধু করতালির আওয়াজ। ড্যাডি কুল নিকের লাইভ কনসার্ট দেখেছে ছোট্ট মালতি। সেখানেই তো মালতির মুখ প্রথমবার প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

ভক্তদের আবেগটাও উপলব্ধি করেছেন নিক জোনাস। সেই জন্যই তো ইনস্টাগ্রামে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেছেন নিক জোনাস। শুক্রবারই ইনস্টা পোস্টে নিক জানিয়েছেন তার আগামী সব কনসার্ট বাতিল করা হয়েছে। নিক ব্রাদার্সের শোয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান নিক। ম্যাক্সিকো তো উইকেন্ডে পারফর্ম করার কথা ছিল নিকের।

একটি ভিডিও শেয়ার করে নিক বলেছেন, ‘খুব একটা খুশির খবর দেব না। কারণ কয়েক দিন ধরে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। গলায় অসম্ভব ব্যথা। যত দিন এগোচ্ছে, গলার অবস্থা যেন আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। জ্বর আছে, গায়ে ব্যথা। সত্য়িই আমার খুব খারাপ অবস্থা। ডাক্তার বলেছে, কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে। তাই কনসার্ট আপাতত বাতিল করলাম।’

ভক্তদের মন ভাঙায় দুঃখিত নিক। ভক্তদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে চাই। আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না। অনেকেই আমার গান শোনার জন্য কষ্ট করে আসেন। তাদের প্রত্যাশা যদি পূরণ করতে না পারি আমারও ভীষণ খারাপ লাগে। সবার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

বিষয়:

গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এবার রোজার ঈদে ‘রাজকুমার’ সিনেমা দিয়ে ভক্তদের ভালোবাসা পেলেও গত কোরবানির ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত নিজের প্রিয়তমা সিনেমার মতো প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি শাকিব খান। এমন মলিন সময়েই নতুন সুখবর পেলেন ঢালিউড কিংখ্যাত এই সুপারস্টার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানজনক গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা-প্রযোজক অনন্য মামুন। যিনি শাকিবকে নিয়ে আমিরাত তথা দুবাইতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, করবেন।

অনন্য মামুন জানান, ইতোমধ্যে আরব আমিরাতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন পেয়েছেন শাকিব। এখন কেবল সেটা রিসিভ করে আনা বাকি। মামুনের ভাষ্য, ‘এত দিন শাকিব ভাই ট্যুরিস্ট ভিসায় আমিরাতে যেতেন। তবে আগামীতে তিনি গোল্ডেন ভিসায় যাবেন। রিকমেন্ডেশন চলে এসেছে। এখন শুধু রিসিভ করা বাকি। এটা সত্যিই একটা বড় ব্যাপার। ভারতীয় সিনেমার বড় তারকারা এই ভিসা পেয়েছেন। অথচ আমি যখন আমিরাতের মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম, তারা এটাও জানে না, আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আছে! যাক, শেষপর্যন্ত যাচাই-বাছাই করে তারা শাকিব ভাইকে গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে; এটাই আনন্দের।’

প্রসঙ্গত, ব্যবসা ও এই ক্যাটাগরি চাকরি ছাড়া কেবল সংস্কৃতি অঙ্গনের মেধাবী তারকাদের বিনামূল্যে গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হয়। দীর্ঘমেয়াদি এই ভিসার মাধ্যমে আমিরাতে গিয়ে থাকা, ভ্রমণ, কাজ এমনকি পড়াশোনাও করা যায়। বলিউডের শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্তসহ অনেক তারকা গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। তবে বাংলাদেশি হিসেবে শাকিবই প্রথম এমন সুযোগ পাচ্ছেন দেশটির পক্ষে।

শাকিব খানকে নিয়ে ‘দরদ’ নামে নতুন একটি সিনেমা বানিয়েছেন অনন্য মামুন। গত ২৮ মার্চ নায়কের জন্মদিনে দুবাইতে ছবিটির ব্যতিক্রম প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি। আগামীতে আরও চমক অপেক্ষা করছে বলেও জানালেন মামুন। তবে ছবিটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে, সেটা খোলাসা করলেন না।

উল্লেখ্য, ‘দরদ’-কে বলা হচ্ছে প্যান-ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি ছবি। এটি বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালায়লাম ভাষায় মুক্তি পাবে বলেও জানিয়েছেন নির্মাতা মামুন। ছবিতে শাকিবের নায়িকা বলিউডের সোনাল চৌহান। এ ছাড়া থাকছেন কলকাতার পায়েল সরকার, রাজেশ শর্মা, রাহুল দেবসহ অনেকে।

বিষয়:

মমতাজ: অবাক বিস্ময়ের নাম

আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ০০:০২
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

রূপকথার সেই কল্প-কাহিনিকেও যেন হার মানায় তার গল্প। ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে কখনো লাখ টাকার স্বপ্ন দেখেননি তিনি। বরং স্বপ্ন না দেখেই যা পেয়েছেন, তা কখনো কল্পনায়ও ছিল না তার। অনেকটা মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো নাম, যশ, খ্যাতি পেয়ে যান। গান গেয়ে গিনেস বুকে নাম লেখানো, নিজের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ, আন্তর্জাতিক মহলে দেশের সুনাম অজর্ন করা- সব মিলিয়ে মমতাজ যেন এক অবাক বিস্ময়ের নাম। ধলেশ্বরী পাড়ের সেই পালাগান শিল্পী মমতাজ হয়েছিলেন সংসদ সদস্যও।

মমতাজ বেগম। এক দরিদ্র বাউল পরিবারে জন্ম। শৈশব- কৈশোর-যৌবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে চরম অভাব আর দৈন্যতায়। বাবা মধু বয়াতির ছিল ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ অবস্থা। ঘরহীন, সংসারহীন বাউল বাবার হাত ধরেই শিল্পী মমতাজের গানের ভুবনে পথ চলা। গানকে সঙ্গী করেই জীবনের সব ক্ষুধা নিবারণের এক জীবন্ত উদাহরণ কিংবদন্তি মমতাজ। কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতাই দমিয়ে রাখতে পারেনি গানপাগল মমতাজের স্বপ্নকে। গান দিয়েই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। হাজারো দুঃখের মাঝে গান গেয়েই আনন্দ খুঁজে পান। গানেই প্রেম-ভালোবাসা, গানেই বিরহ অনুভূত করে চলছেন। ফলে সংসারজীবনের অস্থিরতা থাকলেও তা সংগীত জীবনের কোনো ছন্দপতন ঘটাতে পারেনি। বরং নিজের সুর আর ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যতায় জনমানুষের আজ অতি কাছের মমতাজ। পালাগানে শুরু হলেও প্রতিষ্ঠা পান বিচ্ছেদ আর মুশির্দী গানে। কেবল দেশেই নয়, দেশের বাইরেও মেলে ধরেছেন তার এই অসাধারণ প্রতিভা। আবার সংগীত জীবনের বিশালতায় ঠাঁই দিয়েছেন রাজনীতি আর সামাজিক কমর্কাণ্ডকেও।

বাংলা ফোক গানের সম্রাজ্ঞী মমতাজের আজ জন্মদিন। ১৯৭৪ সালের আজকের দিনে (৫ মে) মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই বলেই জানান এই জীবন্ত কিংবদন্তি। ভবিষ্যৎ নিয়ে মমতাজ বলেন, ‘আমার কোনো চাওয়া নেই। বিধাতার অসীম কৃপায় যা পেয়েছি, তা আমি কল্পনা করতেও ভয় পেতাম। আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, আমার কোনো চাওয়া নেই। মানুষের চাওয়াই আমার চাওয়া। জনগণের চাওয়াগুলোকে পূরণ করাই একমাত্র লক্ষ্য আমার।’

রাজনৈতিক ব্যস্ততার চাপে পিষ্ট হয়ে গান গাওয়া কি বিলুপ্ত হয়ে যাবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তা কী করে হয়! গান ছাড়া মমতাজ কোনো দিন থাকতে পারবে না। গান আমার রক্তের প্রতিটি কণায় কণায় মিশে আছে। এই গানের জন্যই আজ আমি মমতাজ হয়েছি। নাম-যশ-খ্যাতি পেয়েছি। সংসদ সদস্য হয়েছিলাম। গান আমার প্রাণের খোরাক। এত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু থেমে নেই আমার গান। কয়দিন পরপরই আমাকে মঞ্চে উঠতে হয়। টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গাইতে হয়। শুধু তা-ই নয়, নিয়মিত নতুন গানও তৈরি করতে হচ্ছে আমাকে। যতদিন মমতাজ আছে, ততদিন তার গানও থাকবে। মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত গান গাইতে চাই।


লন্ডন মাতাবেন জেমস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আগামী ২৬-২৭ মে লন্ডনের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়াম মাতাবেন জেমস। দু’দিনব্যাপী এই আয়োজনের উপস্থাপনা করবেন বাংলাদেশের এই সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। অনুষ্ঠানটি দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নগরবাউল খ্যাত তারকা জেমস। ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ শিরোনামের এর আয়োজক নেক্সট স্টেজ ইভেন্ট। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নগর বাউল’খ্যাত জেমস ছাড়াও এই আয়োজনে সংগীত পরিবেশ করবেন সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা, প্রীতম হাসান, সাব্বির জামান, দোলাসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে থাকছে যাত্রাপালাও। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে বাংলাদেশি শিল্পীদের পাশাপাশি লন্ডনের প্রবাসী শিল্পীরাও অংশ নেবেন। এছাড়াও ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’-এ আয়োজন করা হয়েছে মেলার। ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে বলে জানান আয়োজকরা।

বিষয়:

মিথিলার মুকুটে নয়া পালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় তার নাম, অন্যদিকে ভারতেও তার গুণমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যা প্রচুর। সৃজিত ঘরণির মাথায় এবার নয়া পালক। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ছবি ও অভাগী। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্প অভাগীর স্বর্গ অবলম্বনে তৈরি ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিথিলা। তার অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছে বলা চলে। আর এই ছবির জন্যই এবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত মিথিলা। একটি ভিডিও নিজেই ভাগ করে নিলেন সেই খবর।

‘ও অভাগী’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সকলের মনজয় করেছেন তিনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’-এর উপর ভিত্তি করে এই ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী। এবং ছবিটির মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মিথিলাকে। ছবিটির গল্প থেকে শুরু করে অভাগী রূপে মিথিলার অভিনয় ভীষণভাবে মন কেড়েছে সকলের। এবার এই চরিত্রটির জন্য পুরস্কৃত মিথিলা। অভিনেত্রীকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে দিল্লিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও, সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি রফিয়াথ রশিদ মিথিলা। কারণ, বাংলাদেশে ছিলেন তিনি সেই সময়। অভিনেত্রীর জায়গায় পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন ছবির পরিচালক-প্রযোজক। তবে এমন সম্মানে মিথিলার আনন্দের অন্ত নেই।

তিনি একটি ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সবাইকে জানাতে চাই যে, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৪-তম দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪-এ আমি সেরা অভিনেত্রীর সম্মানে ভূষিত হয়েছি। ‘ও অভাগী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্যই এই পুরস্কার আমি পেয়েছি। আমি এজন্য আমাদের পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী ও প্রযোজক ড. প্রবীর ভৌমিক এবং আমাদের গোটা টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

ছবিটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা দেখা গিয়েছে এই ছবিকে কেন্দ্র করে। ‘ও অভাগী’ ছবিতে একজন রসিকের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। শুধু তিনি নন, আরজে সায়নকে এবং জমিদারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। সুব্রত দত্তের অভিনয় নজর কেড়েছে সকলের। এছাড়াও অভিনয় করেছেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, আরজে জিনিয়া, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌরভ হালদারের মতো অভিনেতারা। এ ছবিতে ফুটে উঠেছে এই সমাজের এক অন্য কাহিনি। শুধু এই ছবিতে নয়, মিথিলার অভিনয় এর আগেও বহু ছবিতে মুগ্ধ করেছে বাঙালি দর্শককে।

বিষয়:

banner close