রোববার, ৯ জুন ২০২৪

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২৪ ১৫:৩৮

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

শিশির মনির বলেন, রায়ে আদালত বলেছেন- প্রথমত, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং তাকে মৃত্যু (কনডেম) সেলে রাখা যাবে না। বিচারিক প্রক্রিয়া (ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও রিভিউ) ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া (রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন) শেষেই কেবল একজন আসামিকে মৃত্যু সেলে বন্দি রাখা যাবে।

দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তির অসুস্থতা বা বিশেষ কারণে আলাদা সেলে রাখার আগে তাকে নিয়ে শুনানি করতে হবে। এটি ব্যতিক্রম।

রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, নতুন জেলকোড তৈরি করা হচ্ছে। নতুন আইন হচ্ছে, প্রিজন অ্যাক্ট। হাইকোর্ট বলছেন, রায়ের পর্যবেক্ষণ যেন নুতন আইনে প্রতিফলিত হয়, তা বিবেচনা করতে। মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির বিষয়ে তথ্য চাইলে (সাংবাদিক, গবেষক) আইন অনুসারে তা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিকেও আইন অনুসারে তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক রিপোর্টেও এ আসামিদের তথ্য সন্নিবেশিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুই বছরের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের ক্রমান্বয়ে কনডেম সেল থেকে সরিয়ে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন কারাবন্দির রিটের শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চান উচ্চ আদালত।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

রিটের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে কয়েকটি আবশ্যকীয় আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হয়।

প্রথমত, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। একইসঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাংবিধানিক অধিকারবলে আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল করতে পারেন।

তৃতীয়ত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের আইনি সুযোগ রয়েছে। সর্বোপরি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ এর অধীনে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি এ ক্ষমার আবেদন না মঞ্জুর করলে তখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি আইনগত বৈধতা লাভ করে। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বন্দি রাখা হয়।


‘তর্কাতর্কিতে উত্তেজিত হয়ে গুলি ছোড়েন কনস্টেবল কাওসার’

রোববার ডিএমপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১৭:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

তর্কাতর্কির জের ধরে রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কনস্টেবল কাওসার সহকর্মী মনিরুলকে উদ্দেশ করে গুলি ছোড়েন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তবে কী নিয়ে তর্ক ও কী কারণে কনস্টেবল কাওসার উত্তেজিত ছিলেন সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানাতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তদন্ত করে সেটি বের করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে বিরোধ ছিল, এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কাওসারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, কিন্তু বিরোধের কোনও তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অভিযুক্ত কাওসারের গত এক-দুই মাসের ডিউটি রেকর্ড দেখেছি। রেকর্ডে কাওসার যথাযথভাবেই ডিউটি করেছে।’

ডিএমপির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওসার আহমেদ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গুলি করেই তিনি হতভম্ব। এ কারণে বারবার বলছিলেন, এটা কীভাবে হয়ে গেলো, আমি জানি না। অর্থাৎ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর পর মানসিকভাবে নার্ভাস থাকে। যে কারণে ঘটনার পরও অস্ত্র রেখে কনস্টেবল কাওসার সেখানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। কারণ, তিনি স্ট্রেসটা নিতে পারছিলেন না। ঘটনার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন—হয়তো কত বড় অন্যায় ও অমানবিক কাজ করে ফেলেছে। হয়তো এক-দুদিন গেলে বোঝা যাবে গুলি করার কারণ।’

ড. খ. মহিদ আরও বলেন, ‘ডিউটির কারণে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। আর এখন কোথাও ডিউটির অতিরিক্ত চাপ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছেন সবাই।’

সামগ্রিকভাবে পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাউন্সেলিংয়ের সিস্টেম নেই। তবে নিয়মিত ব্রিফিংগুলোতে কী করা যাবে, কী করা যাবে না; সে সম্পর্কে বলা হয়। এটাও এক ধরনের কাউন্সেলিং।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যই ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনসহ আরও একজন পথচারী আহত হয়েছেন। পরে তাদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।


এমপি আনার হত্যা: কলকাতায় খালে পাওয়া গেল কিছু হাড়গোড়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে কলকাতার সিআইডি।

আজ রোববার সকালে বাগজোলা খালে আসেন সিআইডি কর্মকর্তারা। যে স্থানে এমপি আনারের দেহাংশ ফেলা হয় সেই স্থানটি দেখিয়ে দেন সিয়াম হোসেন। তারপর সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন সদস্যের দল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে তল্লাশি অভিযান চালান। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম।

তবে হাড়গুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। হাড়গুলো উদ্ধার করে ফরেনসিক টেস্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে সিআইডি। তবে সেই হাড়গুলো মানুষের না অন্য কিছুর তা জানা যাবে, ফরেনসিক পরীক্ষার পর।

গত শুক্রবার (৭ জুন) এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শনিবার তাকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালত।

শনিবার সারা রাত ধরে সিয়াম হোসেনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিআইডির কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন সিআইডিকে বেশ কিছু তথ্য জানান।

সিয়ামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা।), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে গত ২৮ মে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তবে সেগুলো এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বিষয়:

‘অর্থঋণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অর্থঋণ আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজনে আদালত বাড়ানো হবে।

আজ রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থঋণ আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আদালত বাড়ানো হবে।’

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করছে জানিয়ে অনিসুল হক বলেন, সরকারি চাকরিতে ঢোকার সময় সম্পদের হিসাব দেওয়ার নিয়ম আছে। সরকারি চাকরিজীবী কেউ দুর্নীতি করলে ছাড় পাবে না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না।

দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করছে, বিচারের সময় সেদিকে খেয়াল রাখতে বিচারকদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বিষয়:

সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার তদন্ত চলছে: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মী কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম নিহত হওয়ার কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

গতকাল শনিবার রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি জনান, রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাজ্জাদের শরীরে তিন রাউন্ড গুলি লাগে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

আইজিপি বলেন, ‘মনিরুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত করছি।’

হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’

কাউসারকে কীভাবে আটক করা হয়- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্রটা রেখে ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। তখন তাকে আটক করা হয়।’

জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন- জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, তিনি পথচারী হিসেবে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন।

এর আগে গতকাল দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে গুলশানে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।


নেপালে আটক সিয়াম কলকাতা সিআইডির হেফাজতে

এমপি আনার হত্যা মামলায় আটক আসামি সিয়াম (বাঁয়ে) ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় নেপালে আটক আসামি সিয়ামকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা সিআইডি।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, কলকাতা সিআইডি এই হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে। তাদের কাছে দুইজন আসামি আছেন। একজনকে তারা নেপাল থেকে নিয়েছে। আরেকজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত একজন নেপালে পালিয়ে ছিলেন। পরে তাকে নেপাল পুলিশ আটক করে। কলকাতার সিআইডি তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অবশ্য এই আসামির নাম উল্লেখ করেননি ডিএমপি কমিশনার। তবে, দেশের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এই আসামি হলেন নেপালে পালিয়ে থাকা সিয়াম।

আনার হত্যার বিচার বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, সেখানে ঘটনা তদন্ত সংঘটিত হয়, সেখানেই তদন্ত হয়। এটি একটি সেট রুল। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের আইনেও বলা আছে, বিদেশে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেক্ষেত্রে সেই অপরাধীকে আমরা বাংলাদেশে এনে বিচার করতে পারি...। আমরাও তদন্ত করছি, তারাও (কলকাতা) তদন্ত করছে। একপর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে যেকোনো জায়গায় এই বিচারটি হতে পারে।

এমপি আনার হত্যা মামলায় সিয়াম ছাড়াও আরও পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশে গ্রেপ্তাররা হলেন, আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া, তানভীর ভুঁইয়া ও সেলেস্টি রহমান। ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন জিহাদ ও আরেকজন।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলে জানান তিনি। বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।

চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আনার তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।

গত ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় এমপি আনার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহকারী রউফের কাছেও।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার (আনার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বিষয়:

অনুমতি ছাড়া পশুর হাট বসালে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুমতি ছাড়া কোরবানির পশুর হাট বসালে পশুসহ মালিককে ধরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি কোরবানির পশুর হাটে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তাবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে দুটি স্থায়ীসহ মোট ১৯টি কোরবানির পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত জায়গার বাইরে আশপাশের এলাকা বা সড়কে কোনো পশু রাখলে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার ভেতরে পশুর হাটে যারা (স্বেচ্ছাসেবীসহ হাট ইজারাদার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কাজ করবেন তাদের সমন্বয় থাকবে। পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে। হাট ও হাটের আশপাশে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যক্তি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি জাল টাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা তাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন পশুর হাটগুলোতে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, যারা গরু কেনা-বেচা করবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি যারা ঢাকার বাইরে থেকে ট্রাকে গরু আনবেন তাদের হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পথে যারা গরু আনবেন তাদের জন্য নৌ-পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। এ ছাড়াও পশুর হাটগুলোতে ড্রোন পেট্রলিং থাকবে।

তিনি আরও বলেন, পশুর হাটগুলোতে ইজারাদাররা যেন নির্ধারিত টাকার পরিমাণের বাইরে অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করেন। রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যদি কেউ কোরবানির পশু এক হাটের অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাইরে থেকে যে গাড়িতে কোরবানির পশু আনবেন, তারা গাড়ির সামনে নির্দিষ্ট হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশুর হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।

এ ছাড়াও কোরবানির পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

বিষয়:

বেনজীরকে আবারও দুদকে তলব

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আগামী ২৩ জুন সকালে তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুদকের এক নোটিশে বলা হয়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি অনুসন্ধানকারী দল অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদের ব্যক্তিগত শুনানির জন্য ৬ জুন নির্ধারিত ছিল। তিনি আজ শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। অনুসন্ধানকারী দল বেনজীর আহমেদের ব্যক্তিগত শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ২৩ জুন ধার্য করে নোটিশ ইস্যু করেছে।

এর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি সময় চেয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত বুধবার দুদক কমিশনার জহুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমি সঠিকভাবে জানি না। তবে শুনতে পেরেছি, তিনি (বেনজীর) সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। যদিও এটা অনুসন্ধান টিমের বিষয়, এটা তাদের বিষয়। তারা ভালো জানবেন। কারণ এ বিষয়টি কমিশন পর্যন্ত আসে না।

দুদক কমিশনার আরও বলেন, আইনে সুযোগ আছে সময় চাওয়ার। সময় চাইলে দুদক ১৫ দিন সময় দিতে পারবে।

গত ২২ এপ্রিল বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন, সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

বিষয়:

রাইড শেয়ারিংয়ের আড়ালে হেলমেট চুরি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোটরসাইকেলের হেলমেট চুরির অভিযোগে মো. সিফাত উল্লাহ মোস্তফা (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে তেজগাঁওয়ের বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সিফাত রাইড শেয়ারিংয়ের আড়ালে হেলমেট চুরি করেন। তার কাছ থেকে ৩টি হেলমেট জব্দ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সিফাত একজন ধূর্ত চোর। তিনি শুধু দামি দামি হেলমেট চুরি করেন। এ কাজের সুবিধার জন্য তিনি রাইড শেয়ারিং এর কাজ করেন। রাইড শেয়ারিং এর সুবাদে তিনি সহজেই যেকোনো মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে যেতে পারেন। পার্কিংয়ে গিয়ে কৌশলে হেলমেট চুরি করে পালিয়ে আসেন। আর এসব কাজে যাতে তিনি ধরা না পরেন সেজন্য তার মোটরসাইকেলের নাম্বার প্লেটও পরিবর্তন করে ফেলেন।

তিনি আরও বলেন, তার আসল নাম্বার প্লেটের পরিবর্তে ভুয়া নাম্বার প্লেট লাগিয়েই চলাফেরা করেন তিনি। গত ১ জুন তিনি বসুন্ধরা শপিংকমপ্লেক্স থেকে একটি হেলমেট চুরি করেন। অভিযোগ পেয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। বুধবার একই কৌশলে হেলমেট চুরি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩টি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। চুরির কাজে ব্যবহৃত তার মোটর সাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।

বিষয়:

এমপি আনার হত্যার দায় স্বীকার করলেন শিমুল

এমপি আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়াকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আজ বুধবার জবানবন্দি দেন তিনি।

খুলনা অঞ্চলের এক সময়ের দুর্ধর্ষ চরমপন্থী সন্ত্রাসী শিমুল বিশ্বাসসহ তিনজনকে এর আগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপর দুজন ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র এএসপি মাহফুজুর রহমান আজ বুধবার দুপুরের দিকে আমানুল্লাহকে আদালতে হাজির করেন।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার পর তিনি এমপি আনার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করে। ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

একই মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দেন। এই তানভীর ভূঁইয়া হলেন শিমুল ভূঁইয়ার ভাতিজা। আর সোমবার রিমান্ড চলাকালীন শিলাস্তি রহমানও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এই তিন আসামির প্রথমে আটদিন এবং পরে পাঁচদিন করে মোট ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ও পলাতক ১০ আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সকে আদেশ দিয়েছে আদালত।

জানা যায়, এ বছরের ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ভারতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন আনার। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরের বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।

চারদিন পর হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে সেখানে মরদেহ মেলেনি।

এরপর এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে নামে ভারত ও বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তিনজন গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশে। আর কলকাতায় গ্রেপ্তার হন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদ। জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড দিয়েছে ভারতের বারাসাতের আদালত।

আনার হত্যাকাণ্ডের আরেক অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়াম পালিয়ে নেপালে যাওয়ার পর সেখানকার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তিনি সে দেশেই আটক রয়েছেন।

বিষয়:

র‌্যাব মহাপরিচালকের দায়িত্ব নিলেন হারুন অর রশীদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদ।

আজ বুধবার র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র‌্যাবের বিদায়ী মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-১) এম খুরশীদ হোসেনের কাছ থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেন। আজ ৫ জুন থেকে খুরশীদ হোসেনের অবসরকালীন ছুটি কার্যকর হয়।

গত ২৯ মে সরকারি চাকরি থেকে খুরশীদ হোসেনকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হন মো. হারুন অর রশীদ।

দায়িত্ব নেওয়ার পর র‌্যাবের নতুন মহাপরিচালক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন।

এ ছাড়া, তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেবেন।

বিষয়:

দুদকে সময় চেয়ে আবেদন বেনজীরের

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি সময় চেয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার দুদক কমিশনার জহুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ সময় চেয়ে কমিশনে একটি আবেদন পেশ করেছেন।’

দুদক কমিশনার বলেন, আইনে সুযোগ আছে সময় চাওয়ার। সময় চাইলে দুদক ১৫ দিন সময় দিতে পারবে।

এর আগে, বেজনীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাই শেষে মামলা হবে বলে জানিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সময় চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ চলছে তিনি যদি নির্দিষ্ট দিনে আইনজীবীর মাধ্যমে কারণ উল্লেখ করে সময় চান, তাহলে দুদক বিবেচনা করে সময় দিয়ে থাকে। প্রথমবার সময় দেওয়া হয়। পরে আর হয় না।

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে, তারা কেউই দেশে নেই। যদিও দুদক থেকে তাদের বিদেশ যাত্রায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।

গত ২৬ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

ক্রোকের নির্দেশ পাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১১৯টি দলিল। যার মধ্যে ঢাকায় ৪টি ফ্ল্যাট। এর মধ্যে ২০৪২ স্কয়ার ফিট ২টি এবং ২০৫৩ স্কয়ার ফিট ২টি। ৪টি নিজ নামীয় কোম্পানি, ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট। ১৫টি আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার।

বিষয়:

এমপি আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন তানভীর

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খুনের ঘটনায় বের হয়ে এলো আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এমপি আনার খুনে অংশ নেওয়া এক অপরাধী নিজেই আদালতে স্বীকার করেছেন তিনি আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জবানবন্দি দেন তানভীর ভূঁইয়া।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পেশাদার অপরাধী শিমুলের সঙ্গে তানভীরও এই খুনে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আনোয়ারুলকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যায় অংশ নেন।

সূত্র আরও বলছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে উঠে এসেছে যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীর গত ৬ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কলকাতায় যান। সেখানে সল্টলেক ও নিউ টাউনের মাঝামাঝি এলাকায় ত্রিশিব হোটেলে ওঠেন। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে কলকাতায় নিয়ে যান।

এর আগে ৩০ এপ্রিল কলকাতায় পৌঁছান ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন। তার সঙ্গে কলকাতায় যান বান্ধবী শিলাস্তি রহমান এবং ভাড়াটে খুনি শিমুল ভূঁইয়া। তারা গিয়ে আক্তারুজ্জামানের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ওঠেন। শিলাস্তি নিজে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও ঘটনার দিন তিনি ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন বলে জবানবন্দিতে বলেন।

পুলিশ বলছে, আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় যান ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাকে প্রলুব্ধ করে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, তাদের সহযোগী জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী প্রমুখ। খুনের আগেই আক্তারুজ্জামান ঢাকায় চলে আসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ফ্ল্যাটেই সংসদ সদস্যকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পরে লাশ টুকরা টুকরা করে গুম করা হয়। তানভীর নিজে বালিশ চাপা দেন বলে জবানবন্দিতে বলেন।

এ ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে তানভীর ও শিলাস্তিকে জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিমুল ভূঁইয়া রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আছেন। জিহাদ নামের আরেক আসামি কলকাতায় গ্রেপ্তার আছেন। সিয়াম নামের আরেক আসামি নেপালে আটক আছেন।

বিষয়:

দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধনের কাজ চলছে: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচার প্রক্রিয়া সহজতর করে মামলাজট কমিয়ে আনতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধি যুগোপযোগী করে সংশোধনের কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় গৃহীত প্রকল্প ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিসেস ফর এনহেন্সমেন্ট অব এক্সেস টু জাস্টিস’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

জনগণের ন্যায়বিচারে সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি ‘ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সব নাগরিকের ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সারা দেশে লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা, সরকারি খরচে আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু, বিচার প্রক্রিয়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রবর্তনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে আরও সফল ও কার্যকর করতে বিভিন্ন আইন ও বিধিবিধান সংশোধন করা হয়েছে। উন্নত মেডিয়েশন চর্চার জন্য জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিসেস ফর এনহেন্সমেন্ট অব এক্সেস টু জাস্টিস’ শিরোনামে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি মধ্যস্থতা কার্যক্রমকে উন্নত করার মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে এবং দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্বের কারণ যথাযথভাবে চিহ্নিতক্রমে তা দূরীকরণে সহায়ক হবে।

মন্ত্রী জানান, প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির এই প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ এবং জাপানে মেডিয়েটর, বিচারক এবং লিগ্যাল এইড অফিসারদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধিতে এই প্রকল্প একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, পাইলট জেলা হিসেবে নরসিংদী ও কুমিল্লায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে, যেখানে মেডিয়েটর (মধ্যস্থতাকারী) এবং লিগ্যাল এইড অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও কার্যকর কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে। প্রকল্পের অধীন মেডিয়েশনকে বিরোধ নিষ্পত্তির জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সব পর্যায়ে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) উম্মে কুলসুম, প্রকল্পের চিফ অ্যাডভাইজার (এক্সপার্ট) ফুজিওকা টাকুরো। অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, বিভিন্ন সরকারি অফিস এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

banner close