মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:০৭

সারা দেশে থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনা ও অস্ত্র-গোলাবারুদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশের সব থানায় কমপক্ষে তিনটি সেইন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া থানা কিংবা পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে তার নির্দেশনা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন এড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বান্দরবানে অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সব ইউনিটে অ্যালার্ম প্যারেডের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া নির্দেশনার মতো ঢাকা মহানগর পুলিশও থানা ও পুলিশের স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। গত ২৩ এপ্রিল সার্কুলারটি জারি করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির সার্কুলারে বলা হয়,প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। রাতে ডাবল সেন্ট্রি ডিউটি মোতায়েন করতে হবে।

অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশের ছুটি বা অন্যত্র দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখা। বাইরের কারও দেওয়া খাবার না খাওয়া। অস্ত্রাগার সুরক্ষিত রাখা। রাতে নির্দিষ্ট সময় পর থানায় বাইরের কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং এবং সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশ করতে দেওয়া।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির জন্য নয়, সবাই সতর্ক রাখার জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে আইওএম’

বনানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশের রাজধানীতে আয়োজিত হলো।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আইওএমের মহাপরিচালক এমি পোপ ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধ্বনাত্মক দিকের কথাও তুলে ধরেন। এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণ-ভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার এক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএমের মহাপরিচালকের বৈঠক

এর পরপরই প্রকাশনা অনুষ্ঠানস্থলে পৃথক কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালযয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে আইওএম মিশনপ্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।


চাল, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবদক

চাল, শাকসবজি, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ-এ ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গোলটেবিল আলোচনায় আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অব্যাহত কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে ২০০৯ সাল থেকে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে এবং কিছু শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে। কৃষি খাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদান, গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এখন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাব ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বা ভ্যালু চেইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় ফসল তোলার পর অনেক অপচয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষি খাত আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কৃষি উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন ও কৃষি ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশের কৃষি খাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এতে সহযোগিতা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতের ২০০-এর বেশি প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কৃষি খাতকে ঝুঁকিমুক্ত, টেকসই, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য রেন্স বোচওয়াল্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের কৃষিতে ফসলের আরও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এবং গবেষণায় দক্ষতার ঘাটতি পূরণ- এই চারটি বিষয়ের ওপর আলোচনা সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।


অংশীদারত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘আধুনিক অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও অভিবাসন অংশীদারত্ব জোরদারের’ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান আজ মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সফরকালে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং অন্যান্য সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, অভিবাসন, অর্থনৈতিক সংস্কার ও নিরাপত্তাসহ অগ্রাধিকার খাতগুলোতে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফরে তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।

বৈঠকে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অভিবাসন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যবসায়ী নেতা, মানবিক নেতা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন এবং নাগরিক সমাজের সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের গুরুত্বকে তুলে ধরবেন।


ফের বাড়ল হজ ভিসা আবেদনের সময়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের ভিসার কাজ শেষ না হওয়ায় আবেদন করার সময় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১১ মে পর্যন্ত হাজিরা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।

তিনি জানান, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হাজিদের জন্য ভিসা আবেদনের সময় ১১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

এদিকে, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে সৌদি আরব যাবেন এবং সঠিক সময়ে ভিসা হবে।

গত ২৯ এপ্রিল ছিল হজ ভিসা আবেদনের শেষ সময়। কাঙ্ক্ষিত ভিসা আবেদন না হওয়ায় প্রথম দফায় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসার আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলেও দ্বিতীয় দফায় ফের সময় বাড়ানো হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজি হজ পালন করবেন।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। আর আজ বুধবার হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে সৌদি আরব যাবেন এবং সঠিক সময়ে ভিসা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভিসা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই ইনশাল্লাহ। এটা যে যেভাবে বলুক, আমাদের ফ্লাইট যখন যেটা চালু হচ্ছে, আমাদের হজযাত্রীরা টিকিট নিচ্ছেন, ভিসা নিচ্ছেন, কোনো সমস্যা নেই।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন, এতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা নির্দ্বিধায় এটা চালিয়ে নিতে পারব, সে সুযোগ আমাদের আছে।

তিনি বলেন, আমরা কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। আমরা সঠিক সময় আমাদের সব কাজই করতে পারব ইনশাল্লাহ। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হজযাত্রী নেওয়ার দায়িত্ব সৌদি আরব সরকারের। ভিসা দেওয়ার দায়িত্বও তাদের। তারা যদি হজযাত্রী না নিতে পারে ব্যর্থতা তাদের। তবে আমি এটুকু বলতে পারি আমাদের পক্ষ থেকে এবং সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে যাবে, সঠিক সময়ে ভিসা হবে ইনশাল্লাহ।

চলতি বছর ৮৩ হাজার হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ২২৮ হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। সে অনুযায়ী শিডিউল ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার।

চুক্তি অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৮ হাজার ৮৩৫ জন হজযাত্রী বহন করবে। সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ার বাকি হজযাত্রী বহন করবে।


কোনো শিশু অবহেলিত থাকবে না: ডেপুটি স্পিকার

ছবি:সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রতিটি শিশুকে উন্নত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সব ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে কোনো শিশুই অবহেলিত থাকবে না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, রুমা চক্রবর্তী, লায়লা পারভীন, অণিমা মুক্তি গোমেজ এবং আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রমুখ।

শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও শুধু আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে তাদের গৃহকর্তার সন্তানের মতো বিবেচনা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে বিধিমালা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিশু সুরক্ষা, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ও নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কর্মক্ষম মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছে সরকার।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান। এএসডির কর্মসূচি পরিচালক হামিদুর রহমানের সঞ্চালনায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ফাতেমা খাইরুন্নাহার, ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার জামাল উদ্দিন, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, লেবার ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিতু খাতুন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তাহেফা সামিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিষয়:

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরে ১৬০ দেশের মানুষ: জাহাঙ্গীর কবির নানক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে পোশাকশিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ মেইড ইন বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশই নয়, নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারী দেশও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা আমাদের দেশে।’

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) হল-৪ এ আয়োজিত ১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশ নয়- সারা বিশ্বের ডেনিম মেলাগুলোর মধ্যে প্রশংসনীয় আয়োজন এটি। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশ থেকে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ দেশে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এ দেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।’

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোশাক ক্রেতাদের আমি অনুরোধ করব, পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডেসটিনেশন হিসেবে নেবেন। পোশাকের যথাযথ মূল্য আপনারা দেবেন। আফ্রিকার কোন নন কমপ্লায়েন দেশের পোশাকের তুলনায় এ দেশে পোশাকের মূল্য একটু বেশি হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস। তারা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই পোশাকশিল্পকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান কচি, এইচএন্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপীয়র আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমান প্রমুখ।


গাবতলীতে হবে মাল্টি মোডাল বাস টার্মিনাল: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সংবলিত ‘মাল্টি মোডাল’ স্টেশনে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৭১-‘ক’ বিধিতে ঢাকা-১৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের উত্থাপন করা লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘গাবতলী বাস টার্মিনালটি আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে এখানে নিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ যানজটের কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যদি গাবতলী টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করা হয়, তাহলে এসব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী, তা জানতে চাই।’

জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালটি যে স্থানে অবস্থিত, সেখানে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অধীনে নর্দান রুটে গাবতলী পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য বর্তমান অবস্থান থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ১২ দশমিক ৮০ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। নতুন অস্থায়ী টার্মিনালটি ৬ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের। সেই সঙ্গে ২৬০টি গাড়ি রাখার জন্য ডিপো নির্মাণ করা হবে।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সংবলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে গাবতলী বাস টার্মিনালকে সিটি বাস টার্মিনালে রূপান্তর করা হবে এবং হেমায়েতপুরে আধুনিক আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।


তুরস্ক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ টিসিজি কিনালিয়াদা। আজ মঙ্গলবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছলে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম আসাদুজ্জামান জাহাজটিকে স্বাগত জানান। ওই সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে।

জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, সফররত জাহাজটিতে কর্মকর্তা ও নাবিকসহ ১৫২ জন সদস্য রয়েছেন। সফরকালে জাহাজটির অধিনায়ক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ অন্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালীন সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা চট্টগ্রামে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও স্থাপনাসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন।

তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজের চট্টগ্রাম সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ৯ মে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।


বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৯:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় ঢাকায় আসবেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র-সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে লুর ঢাকা সফরের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৬ মে ঢাকা সফর করতে পারেন লু। তিনি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসবেন।

সূত্রটি আরও জানায়, গত মাসে ডোনাল্ড লু ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে তার ঢাকা সফরের আগ্রহের কথা জানান। চলতি মাসের শুরুর দিকেও লুর ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে ঠিক কবে নাগাদ লুর সফর হবে, তা চূড়ান্ত ছিল না।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডোনান্ড লুর সফরে সম্পর্ক বিস্তৃত করার বার্তা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সবশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।


জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা দিন: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: সংগৃহীত



মানবাধিকার সমুন্নত রেখে জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা দেওয়ার জন্য নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) প্রবেশনারদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। আগামী দিনের পুলিশিং হবে জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক মানবিক পুলিশিং। এ পেশায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীতে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণে আপনারা অপরাধ মোকাবিলার আধুনিক কলাকৌশল, অপরাধ দমনে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করবেন। উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য কঠোর অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদেরকে গভীরভাবে প্রশিক্ষণে মনোনিবেশ করতে হবে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, বর্তমানে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনারা অপরাধ উদ্ঘাটন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণে সচেষ্ট থাকবেন।

আইজিপি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নতুন নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে, পুলিশের জনবল বাড়ানো হয়েছে, পুলিশের প্রশিক্ষণ আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত আইজিপিসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে ১০০ জন কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী।


‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট এনআইডি পেলেন রাষ্ট্রপতি

বঙ্গভবনে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে নির্বাচন কমিশন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত ‘স্মার্ট এনআইডি’ কার্ডটি (জাতীয় পরিচয়পত্র) তার কাছে হস্তান্তর করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, পরিচয়পত্র প্রদানকালে ইসির সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, এখন থেকে পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এই নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময়ই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানি ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।’

ওই সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


যুক্তরাজ্য থেকে ১০টি এয়ারবাস কিনবে সরকার: বিমানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্য থেকে দশটি এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নিয়োজিত টেকনিক্যাল কমিটি এর দাম, মানসহ সার্বিক বিষয়ে মতামত জানানোর পরেই এই ক্রয়াদেশ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বিমানমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন এবং ট্যুরিজম খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আগে থেকেই রয়েছে, এখন তা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশের থার্ড টার্মিনাল, সৈয়দপুর বিমানবন্দরসহ ট্যুরিজম খাতে কারিগরি সহায়তাও করবে যুক্তরাজ্য। এক্ষেত্রে কর্মীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে দেশটি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হবে বলে জানালেন বিমানমন্ত্রী।

এ সময় অ্যানি ম্যারি বলেন, বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন এবং ট্যুরিজম সম্পর্কিত বিষয়ে আগ্রহ আছে যুক্তরাজ্যের। বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে এক হয়ে কাজ করতে চায় তার দেশ। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাদের বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।


টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জাহিদ মালেক

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৭:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় মার্কিন পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন। গত ২ মে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় স্থান পেয়েছেন মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর এবং সাটুরিয়া) আসনের এমপি এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জাহিদ মালেককে নিয়ে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোচ্চার সমর্থক হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেক পাঁচ বছর বিতর্কমুক্ত ছিলেন না। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং তার প্রারম্ভিক মহামারি প্রতিক্রিয়ার জন্য তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন। তবে এরপর তিনি একটি কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদন করেন যার ফলে ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে মাথাপিছু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবেশী দেশ ভারতের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ছিল। জানুয়ারিতে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও, মালেক তার সাড়ে ১৭ কোটি দেশবাসীর উন্নতির জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন।’

কালাজ্বর (ভিসারাল লেশম্যানিয়াসিস) নির্মূলের জন্য বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ইতিহাস তৈরি করেছিল। এটি মাছি দ্বারা সংক্রামিত একটি রোগ যার চিকিৎসা না করা হলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গত বছর বাংলাদেশ (লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস) মশা দ্বারা সংক্রামিত একটি দুর্বল পরজীবী রোগ নির্মূল করতে সফল হয়েছে। এই জোড়া সাফল্যে মাধ্যমে ইতিহাসের প্রথম জাতি হিসাবে বাংলাদেশ এক বছরে দুটি অসংক্রামক রোগ নির্মূল করেছে।

শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দ্বারা পূর্বে সম্মানিত মালেক বাংলাদেশে হলুদের মধ্যে সীসার উপাদান কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এখন সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


banner close