সোমবার, ২০ মে ২০২৪

প্রথম দুই ঘণ্টায় ১০ শতাংশ ভোট: ইসি

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৮ মে, ২০২৪ ১৭:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৮ মে, ২০২৪ ১২:১২

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণে প্রথম দুই ঘণ্টায় ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মনিটরিং সেল। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা যায়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় সকাল সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

বিষয়:

আ.লীগ, শেখ হাসিনা ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: সালমান এফ রহমান

তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আ.লীগ ভবনে বক্তব্যকালে সালমান এফ রহমান। ছবি-সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২২:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তিনি বলেছেন, গত নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, বলা হয়েছিল- নির্বাচন হবে না, করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই নির্বাচনও আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই করতে পেরেছি। আগামীতেও সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

রোববার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় সালমান ফজুলর রহমান এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। যখনই বিদেশে যাই, সব জায়গা থেকেই জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশ এত উন্নয়ন কীভাবে করতে পেরেছে? তাদের বলি- শেখ হাসিনার ম্যাজিকের কারণেই আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে আমাদের কী অবস্থা হতো, সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমাদের ভাগ্য ভালো- তার মতো একজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী আমরা পেয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্নস্থানে যুদ্ধের জন্য আমরা দায়ী না হলেও এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এটাকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি। আগামীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসছে। যার মাধ্যমে এমনসব বক্তব্য প্রচার করা হবে, যেটা সম্পূর্ণ ভুয়া। এটাও বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই প্রযুক্তি মোকাবিলায়, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেটাও শিখতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, পাঁচ বছর অনেক সময় মনে হলেও দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এদেশের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। কেউ কেউ বিএনপি করে। আবার অনেকে নিরপেক্ষ আছে। আমাদের কাজ নিরপেক্ষদের মন জয় করা। এটা তখনই সম্ভব, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, দেশের মানুষ যখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, তখনও বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরা গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কার করছে দলটি। এমনকি যারা জিতেছেন, তাদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তবে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচন করেই আসতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৫ বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম, আর আজ কোথায় আছি। এই সবকিছুর কারিগর শেখ হাসিনা। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আর কোনো হতদরিদ্র মানুষ থাকবে না। বছর পাঁচেকের মধ্যেই হতদরিদ্র মানুষ দেখতে হলে এদেশের তরুণসমাজকে জাদুঘরে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবো।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এমপি, মির্জা আজম এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এনামুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ঝিলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম সমর, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাকুর রহমান সাকো, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।


সাগরে লঘুচাপের আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি মে মাসে গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। গতকাল রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা ছিল।

ভারতের কেরালার উপকূলে বিস্তৃত মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই আকাশ মেঘলা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অনেক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও ঝরেছে। এই বৃষ্টি সারা দেশে আরও দু-তিন দিন চলবে বলে জানায় অধিদপ্তর। এই বৃষ্টির পরই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা।

আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে- রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এরপর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। রাতে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সোমবার থেকে দেশে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। এ সময় সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে লঘুচাপটি কোন দিকে যাবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেবে কি না বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এখনো সাগর শান্ত আর নিম্নচাপ হবে কি না তা নিশ্চিত নয়, তাই বড় সাইক্লোন হবে কি না বলা যাচ্ছে না।’

এপ্রিল ও মে মাসে সাধারণত দেশে সাইক্লোন হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন সৃষ্টি হলে এর প্রভাব বাংলাদেশ, ভারতসহ আশপাশের দেশগুলোর ওপর পড়ে। যদি ভারতের দিকে যায়, তাহলে বাংলাদেশে প্রভাব কম থাকে বলে উল্লেখ করেন এই আবহাওয়াবিদ।

তিনি আরও জানান, ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত হলে হিট এলার্ট কিছুটা শিথিল হবে। তবে কিছু কিছু জেলায় হিট এলার্ট জারি থাকবে।


কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ: টিআইবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৯ সালের তুলনায় এবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আয় বেড়েছে ১৪০ শতাংশ, সম্পদ বেড়েছে ২৩১ শতাংশ। এ ছাড়া আগের তুলনায় তিনগুণ হয়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (২য় ধাপ)-এর প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোথাও কোথাও সংসদ সদস্যদেরও সম্পদ বৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরাও। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী বলে জানায় সংস্থাটি।

উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা পদে ছিলেন এমন প্রার্থীদের গত ১০ বছরের হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, প্রার্থীদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও ২১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে অর্থ-সম্পদ বিকাশের সুবিধাজনক সুযোগের কারণে জনপ্রতিনিধি হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে।

প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি দেখিয়েছে, গত পাঁচ বছরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচিত হননি এমন প্রার্থীদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

যারা পদে ছিলেন এমন প্রার্থীদের গত ১০ বছরের হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, পদে থাকা প্রার্থীদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪০.৬৮ শতাংশ ও ২১১.৯৮ শতাংশ। পদে না থাকাদের এ ক্ষেত্রে আয় ৫৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়লেও, সম্পদ কমেছে ৪৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ১৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, অন্যদিকে যারা পদে ছিলেন না তাদের আয় বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

একইভাবে এ সময়কালে পদে থাকা প্রার্থীদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং যারা পদে ছিলেন না তাদের বেড়েছে ১০০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে শুধু নির্বাচিতদের নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংরক্ষিত পদ ছাড়া প্রার্থীদের মধ্যে নারীর হার দুই শতাংশেরও কম। অন্যদিকে জাতীয়পর্যায়ের মতোই ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য প্রায় একচ্ছত্র। একইভাবে, একদলীয় আধিপত্যের বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে, যেমন- বাড়ছে স্থানীয়পর্যায়ে পরিবারতন্ত্র।’

সব জনপ্রতিনিধি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতাও স্পষ্ট উল্লেখ করে ড. জামান আরও বলেন, ‘যারা আগে থেকেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন তাদের আয়-সম্পদ বৃদ্ধি যারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন না তাদের থেকে বহুগুণ বেশি।’

এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, কেন জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় নির্বাচিত হওয়ার মূল আগ্রহের জায়গা অনেক ক্ষেত্রেই জনগণের কল্যাণ থেকে সরে গিয়ে নিজের সম্পদ বৃদ্ধিতে স্থির হয়েছে। তা ছাড়া, অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির যে চিত্র হলফনামার তথ্য থেকে দেখা গেছে, সেগুলো তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না এবং সম্পদ অর্জন বা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে কি-না, তা যাচাই করার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সে দায়িত্ব পালনে কোনো আগ্রহ দেখায় না। অন্যদিকে, হলফনামায় যে তথ্য দেওয়া হয়, তা কতটুকু পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য তা-ও খতিয়ে দেখা হয় না।’

নির্বাচনে জনস্বার্থের পাশাপাশি দলীয় আদর্শ কিংবা দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়গুলো উপেক্ষিত উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দুই ধাপেই আমরা দেখলাম, বড় দুই রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই দলীয় নির্দেশনা প্রতিপালনের বিষয়টি অনুপস্থিত। তদুপরি, বৃহৎ দল দুটি দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না।

কারণ, স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে সম্পদ অর্জনের লাইসেন্স পাওয়াই এখানে মূল উদ্দেশ্য। সার্বিকভাবে, এই নির্বাচনের লড়াই একদিকে যেমন অসুস্থ, অগণতান্ত্রিক, আত্মকেন্দ্রিক অন্যদিকে জনগণ বা জনকল্যাণের সঙ্গে এর সম্পর্ক ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’


বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ রোববার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই একঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরব। আবার পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুর কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশজুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।’

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।


ভারতে গিয়ে এমপি আনোয়ারুল আজীম ‘নিখোঁজ’

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার।

আজ রবিবার ঘটনাটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এমপি আনারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ ও এমপি কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বাবার খোঁজ পেতে আজ বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসেও যান ডরিন। তবে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কোলকাতায় গেছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এসে পড়বেন।

শনিবার রাত থেকেই পরিবার সদস্যদের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট থেকে চাউর হয় এমপি আনোয়ারুল আজীমের ভারতে গিয়ে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি। তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ আজ সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। এরপর দুদিন পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ১৪ মে থেকে তার সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আমাদের। তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে। কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন—সেটা জানতে না পেরে আমরা উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এজন্য আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা সব উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাইনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তার নিখোঁজের বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমার জানা মতে, নিখোঁজের বিষয়ে সংসদের কাছে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনও কিছু শুনিনি। ঘটনা যদি সত্য হয়, তা খুবই উদ্বেগের। দল ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘বিষয়টি এমপির পরিবার আজকেই আমাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

এদিকে, ভারতে গিয়ে এমপি আনারের গত ছয় দিন ধরে কোনও যোগাযোগ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে নানারকম গুঞ্জন চলছে। ফেসবুকে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার সুস্থতা কামনা করে পোস্ট দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, ‘বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত এমপির স্বজনরা থানায় অভিযোগ দেননি।’

এদিকে, বাবার খোঁজ পেতে মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, আমার বাবা ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম নিখোঁজের ঘটনায় ডিবিকে অবহিত করতে এসেছি।

আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর আজ রাতে এ বিষয়ে মুখ খালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তিনি পুরনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝে শুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মিয়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন।

বিষয়:

দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই: মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০০:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, একটি দেশ গঠনের জন্য দক্ষ জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ জনশক্তির ওপর ভিত্তি করে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।

আজ রোববার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ইউসেপ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরুর দিন থেকেই দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে তাদের দরিদ্রতা বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রতিমন্ত্রী তরুণদের উদ্দেশে বলেন, দেশপ্রেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এবং দেশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য এবং ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ইউসেপের সদস্য ড. ওবায়দুর রব, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নেসার ইজাজ বিজয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিকেলে প্রতিমন্ত্রী সু-ব্র্যান্ড লোটের বৃক্ষরোপণ অভিযানের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এছাড়াও রাউৎকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিওিপ্রস্তর স্থাপন ও পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ শীর্ষক প্রকল্পের নারী কর্মীদের জমাকৃত সঞ্চয়ী টাকার চেক ও সনদ হস্তান্তর করেন। সেই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নেন সিমিন হোসেন।


বাড্ডায় রাজউকের অভিযান

ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড্ডা সাঈদ নগর, সুতিভোলা এলাকায় রাজউক অনুমোদিত নকশার আংশিক ব্যত্যয় করে নির্মীয়মাণ করায় এক ভবন মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নির্মীয়মাণ ভবনে নকশার ব্যত্যয় করায় একটি ভবনের আংশিক অপসারণ এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অবশিষ্ট ব্যত্যয় অংশ অপসারণের জন্য মালিকপক্ষ নিজ উদ্যোগে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিবেন বলে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।’

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জোন-৪/১-এর অথরাইজড অফিসার মো. ইমরুল হাসান, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. শাহজাহান খান, এজাজ আহমেদ, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শক।

অথরাইজড অফিসার মো. ইমরুল হাসান বলেন, ‌‘নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। রাজউক অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করলে ভবনের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হয়- আবার ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে এসব ভবন মালিককে শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’


সংকট গভীর হওয়ার আগেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের স্থায়ী সমাধান জরুরি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার ও উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন সংকট এখন আঞ্চলিক সংকটে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংকট আরও গভীর হতে পারে। তাই দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক মর্যাদায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা জরুরি এবং এটাই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। একই সঙ্গে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ভারত ও চীনকে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত করা গেলে সংকট দ্রুত সমাধান সম্ভব বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করছি। একই সঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে গেছি।’ আমরা গাম্বিয়া ও ওআইসির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছি, সেই মামলায় এখন পর্যন্ত যে ‘আউটকাম’ এসেছে, সেটি আমাদের পক্ষে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাম্বিয়া বলেছে, মামলা সঠিক পথে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত এই মামলার ইতিবাচক আউটকাম আসবে।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আইসিজের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক চাপ মিয়ানমারের ওপর পড়বে। আমরা ক্রমাগতভাবে চেষ্টা করেছি, আন্তর্জাতিকভাবে যেসব দেশের প্রভাব মিয়ানমারের ওপর আছে, তাদের এই বিষয়ে যুক্ত করার। কয়দিন আগে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তার সঙ্গেও রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পরামর্শ তিনি আমাদের দিয়েছেন।’

এ সময় বছরের শুরুতে উগান্ডায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই বৈঠক থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়ানোর জন্য হলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইন প্রদেশে এখন যে পরিস্থিতি, সেখানকার সেনাবাহিনী পালিয়ে আমাদের এখানে আসছে। এটিকে অন্তরায় মনে হলেও গত ৬০-৭০ বছর ধরে মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই তেমন শান্ত ছিলো না। তাই এর মধ্যেই আমাদের চেষ্টা এগিয়ে নিতে হবে।’

রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ দিতে বলেছে। ক্যাম্পে তারা কিছু কাজ করছে। কিন্তু তাদের পুরোপুরি জীবিকা নির্বাহের নিশ্চয়তা আমরা কীভাবে দেব? রোহিঙ্গাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা সমাধান নয়। একমাত্র সমাধান হচ্ছে সব অধিকারসহ তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওকাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অবস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে। রোহিঙ্গারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, সন্ত্রাসী তৎপরতা, পাচারের মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। অনেকে মানব পাচারকারীদের শিকার হচ্ছেন এবং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ভ্রমণের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও এনআইডি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে মানবিক দিক ও প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে জোরারোপ করেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এখনো বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা। এই সংকটের আরও অনেক গভীরে যেতে হবে। যত দিন যাবে এই সমস্যার গভীরতা আরও বাড়বে৷ তাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর সমাধানে আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে একযোগে উদ্যোগী হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শুরুর দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক যে সমর্থন ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বব্যাপী অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে।

ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অং কিও মো। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই চলমান পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চলতি বছর উগান্ডায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু করতে চান বলেই মতপ্রকাশ করেছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি অন্ততপক্ষে শুরু করার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার তাদের সদিচ্ছার স্বাক্ষর রাখতে পারে।

রাষ্ট্রদূত অং কিও মো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠিগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাতকে এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেন তবে তার দেশ এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট হবে বলেও আশ্বাস দেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিকে আলোকপাত করেন তারা।


সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর সৌদি আরবে হজ করতে যাওয়া আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সি ওই হজযাত্রী মক্কায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার পাসপোর্ট নম্বর ইজি-০৭৪০৮৪৭। রোববার হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান। গত ১৫ মে মদিনায় তার মৃত্যু হয়। এটি এবার হজে যাওয়া প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু ছিল।

আসাদুজ্জামানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামে।

গত ৯ মে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে চলতি বছর বাংলাদেশিদের হজযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে শেষ ফ্লাইট ছাড়বে আগামী ১০ জুন।

হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৩ হাজার ৭৪৭ জন; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ২৫ হাজার ১৩ জন। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরব পৌঁছান। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ কার্যক্রম হতে পারে।

বিষয়:

মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে: রাষ্ট্রপতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২০:৫১
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামীকাল সোমবার ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গতকাল রোববার দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’।

সাহাবুদ্দিন বলেন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সব ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে সরকার গতানুগতিক পদ্ধতির ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদ- আইন, ২০১৮’ ও ‘পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সঠিক পরিমাপের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প, কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণসহ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি সহজতর হচ্ছে; যা দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছে।

পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সব ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআইকে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ ও পরিমাপ বিজ্ঞানের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যক্তি কিংবা জাতীয় জীবনে সঠিক পরিমাপ ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিমিতি জ্ঞান ও পরিমাপ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ পালন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় দেশকে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন।

বাণীতে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


পায়রা বন্দর থেকে সারা দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুপারিশ

পায়রা বন্দর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল থেকে ঢাকা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথকে নিয়মিত ড্রেজিং করে সারা দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আজ রোববার জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল থেকে ঢাকা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথকে নিয়মিত ড্রেজিং করে ড্রাফটের লাইটার জাহাজ চলাচলের উপযোগীকরণের মাধ্যমে বন্দর থেকে ঢাকা, মুক্তারপুর, পানগাঁও ও আশুগঞ্জ কন্টেইনার ডিপোসহ সমগ্র দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ও নৌযান চলাচল সহজ করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ-এর গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং তার বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

কমিটি ‘বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ স্বার্থরক্ষা’ আইন ২০১৯-এর আওতায় ‘বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ স্বার্থরক্ষা বিধিমালা ২০২১’ প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


১৫ শতাংশ ভ্যাট মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট করবে: কাদের

রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার ডিএমটিসিএল আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর ঘোষণায় মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এনবিআর জনপ্রিয় পরিবহন মেট্রোরেলে হঠাৎ করে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের ঘোষণা দিলো। বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এনবিআরের এ সিদ্ধান্ত ভুল। এটি হয় না। এতে করে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনার বিষয় আশ্বাস দিয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের বিস্ময় সে দেশের রাজধানী পৃথিবীর অন্যতম খারাপ। বসবাসযোগ্য ১৪০টি দেশের মধ্যে ১৩০'র পরে আমাদের অবস্থান। এটা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে মিলে না। এ শহরে এত দামি গাড়ি চলে, কিন্তু বাসের অবস্থা এত খারাপ কেন! বারবার কথাবার্তা বলেও সমাধান করা যায়নি। এ অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। ঢাকায় যে বাসগুলো চলে ভীষণ খারাপ লাগে। এগুলো দেখলে কেমন লাগে। এতে আমার লজ্জা লাগে। আমাদের মালিক সাহেবরা কী বিদেশ যান না, দেখেন না?’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের বুড়িগঙ্গা শেষ, কর্ণফুলীও শেষ। এখন মুখে লেকচার দিয়ে লাভ নেই। এতবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে ৬টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে। এগুলোর মধ্যে দুটিই পাতাল রেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা, ঢাকা সেটিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

ব্র্যান্ডিং সেমিনারে অতিথিদের আমন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে যারা বসে আছেন তারা বেশিরভাগই আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। কিন্তু যাদের কাছে ব্র্যান্ডিংয়ের দরকার তারা নেই। তিন লাখ যাত্রী প্রতিদিন উত্তরা থেকে মতিঝিল আসছেন। মতিঝিল থেকে উত্তরা যাচ্ছেন। এখানে তাদের কাউকে রাখা দরকার ছিল। মন্ত্রণালয়ের লোকদের কাছে ব্র্যান্ডিং করা দরকার আছে কিনা- এটা আমি আগেও বলেছি। আমরা কাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছি সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’


ওএমএস বিতরণে গাফেলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ হলে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোনো এলাকার কার্ডধারি কি না তাও সহজে জানা যাবে। এতে প্রকৃত গরীব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের নায্য মূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। তাদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে। ওএমএস বিতরণে কোন গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে”।’

তিনি বলেন, ১৪ লক্ষ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। ভবিষ্যতে আরও অধিক সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন।

এ সময় কার্ড প্রদানে যাতে কোন ডুপ্লিকেশন যেন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যার দিকনির্দেশনায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। ওএমএস এর মাধ্যমে মাত্র ৩০টাকায় দেওয়া হচ্ছে। আবার ১ কোটি পরিবার ভর্তূকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে চাল পাচ্ছেন।’

সরকারের প্রতি কেজি চাল ক্রয়ে ৫৫ টাকার মত খরচ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই চাল ভর্তূকি দিয়ে ৩০ টাকায় দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন।’ আবার তিনিই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের সব সেবা পর্যায়ক্রমে স্মার্ট সেবায় পরিণত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের মানুষকে একটু ভালো রাখতে নিরলস কাজ করছেন। ওএমএস দরিদ্র মানুষের জন্য শেখ হাসিনার উপহার। এটি বিতরণে সবাইকে দূর্নীতিমুক্ত থেকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী ওই কেন্দ্রের উপকারভোগীদের হাতে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয়কৃত ওএমএসের চাল-আটার প্যাকেট তুলে দেন।


banner close