রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:০৮
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:০৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সকল ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

ফল ঘোষণার শুরুতে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ফলাফল প্রকাশের পর তা ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মন্ডল। তাঁর স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।

২৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ১ হাজার ৫০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেন ৯ হাজার ৭২৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ১৩.৩৩ শতাংশ। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।

বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ১ মার্চ। ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের ৮.৮৯ শতাংশ। বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তাঁর স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ৯ মার্চ। ১৩০ আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থী। আর পাস করেছেন ৫৩০ জন। পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।

যেভাবে ফলাফল জানা যাবে

ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর এর মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবে।

তাছাড়া যেকোন মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS , বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI , ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য DU BUS , চারুকলা ইউনিটের জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ তার ফলাফল জানতে পারবে।

উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ

উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আগামী ৩ এপ্রিল বিকেল তিনটা হতে ২৫ এপ্রিল রাত এগারোটা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করবে।

বিষয় পছন্দক্রম অনলাইনে দেয়ার সুবিধার্থে আগামী ১ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা তার ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে নামাতে পারবে। তালিকাটি প্রিন্ট করে তাতে পছন্দক্রম আগে লিখে রাখলে পছন্দক্রম অনলাইনে প্রদানে ভুল এড়ানো যাবে।

উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ২১ এপ্রিল হতে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কোটার ফরম সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিস হতে সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে তা পূরণ করে ডাউনলোডকৃত বিষয় পছন্দক্রমের কপিসহ উক্ত সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিনের অফিসে জমা দিতে হবে।

ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিসে এক হাজার টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে আবেদন করা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবছর ট্রান্সজেন্ডার কোটায় কোন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। আর প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সকল শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বছর থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে বৃত্তি প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষের পথে আছে।

আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক্সটেনশন ভবনটি আগামী জুনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ টিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝে পাবে। সেখানে এক হাজার শিক্ষার্থীর আসন সংকুলান করা হবে। এতে কিছুটা কমবে আসন সম


এসএসসির ফল নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সঠিক নয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এসএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১১ মে- এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষাবোর্ড এখনও ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করেনি। তাই এসব তথ্যে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।

আজ রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফেসবুকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ-সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে ফল প্রকাশের তারিখ ও সময় সংবলিত পত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ৯-১১ মের মধ্যে প্রকাশ করার সব প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড। এই তিন দিন ধরেই এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, ফল প্রকাশের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিতে হয়। ৯, ১০ ও ১১ মে- এই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো একদিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।


ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল সোমবার ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চলমান দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে খোলা রাখতে পারবে। আগামীকাল এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।


শনিবার বন্ধই থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটি ও চলমান তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ বেশি বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। বরাবরের মতো সপ্তাহের শনিবার বন্ধ থাকবে শ্রেণি কার্যক্রম ও তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে বন্ধ রাখা হয়েছে অ্যাসেম্বলি।

আজ শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা এক আদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে শনিবার প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে কি না এ বিষয়ে কোনো না থাকায় তিনি বলেন, ‘নির্দেশনায় শনিবার খোলার বিষয়ে যেহেতু কিছু বলা নেই, তার মানে শনিবার বন্ধ থাকবে।’‌

শনিবার ছুটির বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, শনিবারের ছুটি বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত বন্ধ, এটাই বলা যায়।

এর আগে আজ শনিবার সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এছাড়া নির্দেশনায় আরও বলা হয়, চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণিকার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে-

১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।

৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

৪. দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৫. উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলাভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন।

৫. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে

বিষয়:

কাল খুলছে স্কুল, শ্রেণি কার্যক্রম যেভাবে চলবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটি ও চলমান তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ বেশি বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু হবে। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনাতে বলা হয়, চলমান তাপদাহের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।

৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

৪. তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৫. উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন।

৫. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার পূর্ব-পর্যন্ত এবং পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত উল্লিখিত সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়:

হয়ে গেল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা। দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়।

পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী- সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা থেকেই উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হয় এবং ১০টায় প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসে আবেদন চলে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন। ৪৬তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও কিছু বেশি।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে বিভিন্ন বিষয়ে ৫২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


বিক্ষুব্ধ সহপাঠীদের আন্দোলনে ক্যাম্পাস বন্ধ

হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় গত সোমবার মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চতুর্থ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা আন্দোলন পালন করার পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রাগে ক্ষোভে আজ দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারী নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা।

একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের মূল দরজায় তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ওই ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রদের আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্রদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যদিকে আজ বিকেল পৌনে পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হল ছাড়বেন না। দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাঁরা আবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। কিন্তু প্রশাসন আলোচনায় না বসে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করবেন না। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার পর থেকে চারদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী শিক্ষকের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছে বলেও জানা যায়।

রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আশানুরূপভাবে সাড়া দেননি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় বাসের চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত দশটার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর।

পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।


কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভর্তি ফির উপর শতভাগ ছাড়ে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে। রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

আজ ভর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. গিয়াস ইউ আহসান।

প্রতিদিন ভর্তি উৎসবে ভর্তি হওয়া ৫ জন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এছাড়া ভর্তি হওয়া ১ম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন।
পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে।

অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরি ও মডার্ন ল্যাবের সুব্যবস্থা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে ।

বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিষয়ে শিক্ষার সুবিধা রয়েছে, যেটা আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাথে চুক্তিতে থাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। এছাড়া উচ্চতর পড়াশুনার জন্য সুযোগ থাকছে কানাডা, ইউকে, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 01707070280, 01707070284 (হোয়াটসএপ)

অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন: https://cub.edu.bd/apply.php


২৮ তারিখ থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ, মাউশির প্রজ্ঞাপন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে স্কুল ও কলেজ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও চলবে শ্রেণি কার্যক্রম এবং তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। একইসঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে না করানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব জানানো হয়েছি।

মাউশি অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, আগামী রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আমরা সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ প্রজ্ঞাপনে চারটি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

* ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
* তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

* শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

* তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

প্রসঙ্গত, পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। তবে ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ঈদের ছুটি শেষে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আগামী রোববার থেকে যথারীতি স্কুল-কলেজ খোলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি তোলেন অভিভাবকদের একটি অংশ। কেউ কেউ আবার অনলাইনে ক্লাস চালু

রাখারও দাবি তোলেন। যদিও নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকার পাশাপাশি মে মাসেও তীব্র গরম অব্যাহত থাকার কথা জানায় আবহাওয়া অফিস। যদিও মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করে সরকারি সংস্থাটি।


জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫৮
জবি প্রতিনিধি

সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা ভেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এসময়ে অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস চালু থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারিতি চালু থাকবে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাপমাত্রা না কমায় নতুন করে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, জানা যাবে শনিবার

আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি বহাল থাকবে নাকি অন্যকোনো বিকল্প পদ্ধতিতে ক্লাস হবে সে বিষয়ে আগামী শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগেভাগেই কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসে শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আরও এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে। তবে সেটি ভিন্ন কৌশলে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সরাসরি স্কুল কলেজে যেতে হবে না। তারা অনলাইনে ক্লাস করবে। তাপমাত্রা যদি কিছুটা কমে তবে মর্নিং শিফট চালুর চিন্তা রয়েছে। সব কিছুই নির্ভয় করছে আবহাওয়ার বুলেটিং ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ওপর।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরর পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। আমরা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা যায় সে বিষয়ে ভাবছি। সেটা অনলাইন হতে পারে বা মর্নিং শিফটে হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে পরিস্থিতি ওপর।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।


হামলার শিকার ঢাবি শিক্ষার্থীর বাবা, বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন

আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:২৬
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা তার নিজ বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে হামলার শিকার হয়েছেন। এই হামলার বিচার দাবি করে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। অবিলম্বে তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম লিটন। তিনি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

আজ সোমবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ঢাবি শিক্ষার্থী লিটন জানান, গত ১২ এপ্রিল গভীর রাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন তার পিতা বশির আহমেদ। গত ১০ দিন যাবত তার পিতা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছেন।

লিটন বলেন, আজ যদি আমার বাবার কিছু হয়ে যেতো, তবে হাজার প্রতিবাদের বিনিময়েও কি আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিতে পারতো?

মানববন্ধনে অংশ নেন লিটনের বড় বোন মুর্শেদা আক্তার কাকলি। তিনি বলেন, আমি বা আমার পরিবার কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি যে বাবার জন্য বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়াব। আমার বাবা ৩০বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে গেছেন। কেউ বলতে পারবে না আমার বাবা কোনো লোককে মেরেছে, কোনো বয়স্ক লোককে অসম্মান করেছে। তাহলে কোন সূত্র ধরে আমার বাবার উপর নির্মম হামলা চালানো হলো!

হামলার সম্ভাব্য কারণ জানিয়ে কাকলি বলেন, আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এইচএম খায়রুল আলম সেলিমের সভায় গিয়েছিলেন আমার বাবা। ওই সভায় অংশগ্রহণের কারণে আমার বাবাকে প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে।

পনেরো থেকে ষোলো বছরের একদল কিশোর তার বাবার উপর হামলা করেছে দাবি করে কাকলি বলেন, এই বয়সের ছেলেদের কারা শেল্টার দিচ্ছে? কারা এদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে? পড়াশোনা করার সোনালী সময়ে কারা এদেরকে অন্ধকারে ধাবিত করছে?

হামলার বিচার দাবি করে কাকলি আরও বলেন, আমরা এই হামলার বিচার না পেলে নিজেদের কখনো ক্ষমা করতে পারবো না। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে আমাদের বাবার উপর হামলার বিচার চাই। একই সঙ্গে কেউ যেনো চাইলে কারও উপর হামলা করতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে সুবর্ণচরের সন্তান ও দৈনিক কালবেলার সংবাদকর্মী ইউসুফ আরেফিন বলেন, আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, একসঙ্গে চলাফেরা করেছি৷ কখনো মারামারি করিনি, হঠাৎ করেই এই শান্ত জনপদে কী হয়েছে! একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদের উপর রাতের আধারে কেনো এই ধরনের হামলা! হামলাকারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করছে না। আমরা অবিলম্বে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মানবন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আরমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সুবর্ণচরের বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সিনিয়র এডমিনিস্ট্রেটিভ আকরব আলী।


ঢাবির সুইমিংপুলে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মোহাম্মদ সোয়াদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪১
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসল করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি। পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সোয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮/১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা! আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে!

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর মেডিক্যালে নিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, দর্শন বিভাগের সোয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী সুইমিংপুলের পানিতে লাফালাফি করতে গিয়ে পানির সাথে ধাক্কা বা আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। তখন সেখানে তার বন্ধুবান্ধব ছিল এবং আশেপাশে আমাদের লোকজনও ছিল।

তিনি বলেন, এ সময় তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়। বিষয়টি আমি আমাদের প্রক্টর মহোদয়কেও জানিয়েছি।


ফলাফলে ত্রুটি, সংশোধিত ফল রাত ১২টার পর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজ‌ প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে।

রোববার সন্ধ্যায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ এর ৩য় গ্রুপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) এর ফল আজ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়ন কাজ শুরু করেছে। আজ রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নপূর্বক নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।


banner close