মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:০৯

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৪৬ সদস্য গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

আজ বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, ‘গত রাতে (মঙ্গলবার রাতে) নতুন করে আরও ৪৬ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। এই ৪৬ সদস্যসহ বর্তমানে ২৬০ জন বিজিপি বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছেন।’

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


ভাই এক গ্লাস পানি খেয়ে যান!

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম এস রানা, ঠাকুরগাঁও

রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও পথচারীসহ সব তৃষ্ণার্ত মানুষকে ডেকে ডেকে পানি পান করানো হচ্ছে। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে একটি মিনি বিস্কুটের প্যাকেট। প্রচণ্ড দাবদাহে খেটে খাওয়া মানুষগুলোও এক গ্লাস পানি পান করার জন্য হাসিমুখে থামছেন এবং পানি পান করে স্বস্তির দম নিচ্ছেন।

গতকাল সোমবার দুপুরে আব্দুল গফুর ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে ঠাকুরগাঁও রোড-পীরগঞ্জ মহাসড়কের দীঘিডাঙ্গী ভাউলারহাট মোড় এলাকায় সড়কের পাশে এভাবেই বিনা মূল্যে এমন সেবা দিচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। দাবদাহের পুরো সময়জুড়ে এভাবেই তারা সেবা দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায় একটি টেবিলে স্বচ্ছ ঠাণ্ডা কিছু পানির বোতল, বিস্কুট, লেবু ও শরবত বানানোর যাবতীয় উপকরণ এবং কিছু স্বচ্ছ কাচের গ্লাস। শরবত ও পানি পান করাতে ব্যস্ত মাসুদ, রবিউলসহ আরও বেশ কয়েকজন যুবক। এদের মধ্যে কয়েজন তৃষ্ণার্ত মানুষকে ডাকছেন ‘ভাই আসেন এক গ্লাস পানি পান করে যান।’ মানুষগুলো আসছেন এবং তাদের বানানো শরবত পান করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

কাঠফাটা রোদে দীর্ঘক্ষণ ধরে হাঁটছিলেন পথচারী লিয়াকত আলী। তৃষ্ণায় দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হঠাৎ দেখলেন সড়কের পাশে পানি নিয়ে ডাকা হচ্ছে। প্রথমে তিনি পানি বিক্রির দোকান ভাবলেও পরে বুঝলেন জনকল্যাণের স্বার্থে এই দোকান। লিয়াকত আলী বলেন, ‘অর্থসংকটের কারণে কোনো বাহনে উঠিনি। রোদে একটু হেঁটেই শ্রান্ত, তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলাম। এখানে এসে শরবত ও পানি পান করে সত্যি খুব আরাম পেলাম।’

ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্যাডেলচালিত ভ্যানগাড়ি চালাই। গরমে খুব কষ্ট হয়। অনেক হোটেলে পানি পান করি। কিন্তু এই সড়কের পাশে তেমন কোনো হোটেল নেই। এসব স্থানে যারা পানি সরবরাহ করছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

পানি সরবরাহকারী মাসুদ রহমান বলেন, ‘সারাদিন যতক্ষণ রোদের তীব্রতা থাকে ততক্ষণ আমরা পানি সরবরাহ করে থাকি। যতদিন এই গরম থাকবে আমাদের সেবা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা আছে। আমরাও কাজটি করতে পেরে তৃপ্তি পাচ্ছি।’

আব্দুল গফুর ফাউন্ডেশনের স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবসায়ী মাহমুদ হাসান রাজু বলেন, এই ফাউন্ডেশন আমেরিকাপ্রবাসী তার এক পরিচিত ব্যক্তির। তাদের ইচ্ছা ও আগ্রহে এখানে এমন বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এটা মূলত সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে। মানুষজন তৃপ্তি পাচ্ছে, একটু স্বস্তি পাচ্ছে এটাই কাজের সার্থকতা। এমন উদ্যোগ এই দাবদাহে অনেকের অনেক উপকারে আসতে পারে।


৭০ ইটভাটা গিলছে পরিবেশ ও অর্থনীতি

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর গ্রামে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর

কৃষিপ্রধান অঞ্চল রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা। অথচ সেই কৃষি জমিতেই কি না একের পর এক গড়ে উঠছে ইটভাটা। ফলে এসব জমি তো বটেই, এর আশপাশের জমিগুলোতেও কোনো ফসল ফলানো যাচ্ছে না বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে।

স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে একের পর এক কৃষি জমিতে গড়ে তুলেছেন ৭০টি ইটভাটা। এসব ইটভাটার অধিকাংশের নেই কোনো লাইসেন্স, নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। তবুও ভাটাগুলোতে ইট পুড়িয়ে আসছেন ওই প্রভাবশালীরা। প্রতি বছর এ ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ঝলসে যায় কৃষকের সোনালি ফসল। তারা প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করলেও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা। এ নিয়ে কৃষকরা এখন আর ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চান না। উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৭০ ইটভাটার মধ্যে শুধু মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর মৌজাতেই রয়েছে ২৫টি ইটভাটা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী, কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। ওই আইনে বলা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বনভূমি, অভয়ারণ্য, জনবসতিপূর্ণ ও আবাসিক এলাকা এবং এলজিইডি সড়ক থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে; কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে এ আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছেন ওই ৭০ ইটভাটার মালিক। কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ২৬০ একর কৃষি জমির ওপর ওই ৭০ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগের হাট এলাকার এসএনবি ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় কাঁচা ইট পোড়ানো হচ্ছে। এই ইটভাটার নেই লাইসেন্স, নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। সেখানে কাঁচা ইট পোড়াতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। জানতে চাইলে ভাটার মালিক শামসুল হক বলেন, ‘ভাই, পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছি।’

সরেজিমনে আরও ঘুরে দেখা গেছে, ওই ইটভাটা ছাড়াও নাগেরহাট এলাকায় এএসবিএল, বাংলারহাট এলাকায় এমআরএস, পাঠানের হাট এলাকায় একতা, খামারপাড়া এলাকায় সততা ব্রিকস্সহ উপজেলার অর্ধশতাধিক ইটভাটায় কাঁচা ইট পোড়ানো হচ্ছে। এসব ইটভাটায় মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে কৃষি জমি থেকে। কাঁচা টাকার প্রলোভনে পড়ে কৃষকরা কৃষি জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে অনাবাদি হয়ে পড়ছে ফসলি জমি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ছোট একটি উপজেলায় ৭০টি ইটভাটা। দেশের আর কোনো উপজেলায় এত ইটভাটা আছে বলে মনে হয় না।’ তিনি বলেন, কৃষকেরা কাঁচা টাকার লোভে পড়ে ভাটা মালিকদের কাছে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রি করছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ উপজেলার কৃষি জমি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে এবং ভবিষ্যতে এ উপজেলায় খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

বদরগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহেববুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা প্রলোভনে পড়ে আবাদি জমির টপসয়েল (উপরিভাগ মাটি) বিক্রি করছেন; কিন্তু তারা জানেন না যে ওই মাটি কেটে নেওয়ার পর অন্তত ১০ বছর সেখানে আর স্বাভাবিক ফসল হয় না।’ দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ৭টি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে কৃষকদের প্রায় জমির ক্ষেত ঝলসে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পান না।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। এখানকার ইটভাটাগুলোর কী অবস্থা তা এখনো জানি না। তবে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কেউ ইটভাটা চালালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


নরসিংদীতে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালমা সুলতানা, নরসিংদী

বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে বাংলাদেশ। এ বিশাল উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সরকারের (কর্মযজ্ঞ) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরগুলো। এদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

নরসিংদী সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজল কুমার সরকার জানান, গত সাত বছরে মোট ৯টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। তার মধ্যে ২ হাজার ৯৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং দুটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। চলতি সালের জুনের মধ্যে এ দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলো হলো, পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়ককে একস্তর নিচু দিয়ে উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৮৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক ও নয়াপাড়া-আড়াইহাজার-নরসিংদী-রায়পুরা দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নীতকরণ। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

শতভাগ বাস্তবায়ন হওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ঘোড়াশাল টানস্টেশন-ধলাদিয়া-পলাশ (গাবতলী)-ফুলবাড়িয়া-চরসিন্দুর মহাসড়ক, এতে ব্যয় হয়েছে ৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। নব-নির্মিত জিহাসতলা-শেখেরচর মহাসড়ক, এতে ব্যয় হয়েছে ২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক মহাসড়ক, এতে ব্যয় হয়েছে ৭২ কোটি ১০ লাখ টাকা। নয়াপাড়া-আড়াইহাজার-নরসিংদী-রায়পুরা আঞ্চলিক মহাসড়ক এতে ব্যয় হয়েছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা সড়ক, এতে ব্যয় হয়েছে ১২৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। মরজাল-বেলাব ও পোড়াদিয়া-বেলাব মহাসড়ক, এতে ব্যয় হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদি আঞ্চলিক মহাসড়ক, এতে ব্যয় হয়েছে ৫৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

বর্তমানে নরসিংদী জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে রয়েছেন পেশাগত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চৌকস প্রকৌশলী মো. হামিদুল ইসলাম। তিনি ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগে যোগদান করেন। তিনি দক্ষতার সঙ্গে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উন্নতসমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের ঘোষিত সব কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রত্যেকটি উন্নয়ন কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা হচ্ছে। দরপত্র গ্রহণ এবং ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে এ বিভাগের কোনো দীর্ঘসূত্রিতা নেই।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উন্নয়ন কাজ রেকর্ড গড়েছে। কারণ অতীতে অন্য কোনো সরকারের আমলে এত বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। সড়ক ও জনপদ বিভাগের একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল রয়েছে। যাদের মধ্যে আছেন সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা। তাই যেকোনো রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ সবার প্রথম পছন্দ।


নোয়াখালীতে নতুন আরেকটি গ্যাসকূপের খনন উদ্বোধন

প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেকপুর গ্রামে নতুন গ্যাসকূপের (বেগমগঞ্জ-৪) আনুষ্ঠানিক খনন কাজের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কূপটির খনন কাজ শুরু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত মার্চ মাসে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের আওতাধীন ৩ নম্বর কূপের (চর কাঁকড়া) খনন শেষে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা কার্যক্রম এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। শিগগিরই ওই কূপটি থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। কর্মকর্তারা আশা করছেন ওই কূপ থেকেও প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় এই কূপটি খনন করা হচ্ছে। বাপেক্সের প্রকৌশলী ও শ্রমিকসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি এই খনন কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর আগে ২২ এপ্রিল কূপ খননের স্থানে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়েছে। ১২০ দিন চলবে এই খনন কাজ।

নতুন কূপের খনন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (খনন) প্রকৌশলী গাজী মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, মহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান ও মহাব্যবস্থাপক (ভূতাত্ত্বিক বিভাগ) শামসিয়া মুকতাদিরসহ বাপেক্সের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য আগেই ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কূপটির চারটি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
বা
পেক্স কর্মকর্তারা জানান, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। যার অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম গ্যাসের সন্ধানে প্রথম কূপ খনন করা হয়। এরপর ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করা হয়। দুটি কূপের কোনোটিতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যায়নি। পরে ২০১৩ সালে তৃতীয় আরেকটি কূপের খনন শেষে সেখানে কাঙ্ক্ষিত গ্যাস পাওয়া যায়। পরে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। ওই কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


কক্সবাজারে চক্ষু চিকিৎসা শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ রোগী নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৪৭
আনোয়ারা ও বাঁশখালী চট্টগ্রাম (প্রতিনিধি)

কক্সবাজারের বাঁশখালী এলাকায় বাইতুশ শরফ হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসা শেষে ফেরার পথে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ রোগী নিহত ও অনেক রোগী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ি এলাকায় কক্সবাজারগামী শ্যামলী পরিবহন এর সঙ্গে কক্সবাজার থেকে চকরিয়াগামী মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- ৭নং ওয়ার্ড বাহারছড়া ইলশা পুরাতন বাড়ি গ্রামের আবু আহমেদ। ৮নং ওয়ার্ড বাহারছড়া পশ্চিম ইলশার মাহমুদা বেগম। খানখানাবাদ চৌকিদার বাড়ি ডোংরা গ্রামের সায়রা খাতুন। খানখানাবাদ ৬ নং ওয়ার্ডের কুফিয়া ডোংরা গ্রামের দুলা মিয়া। মালুমঘাট হাইওয়ে থানাতে পরিচয় অজ্ঞাত খদিজা বেগম।

কক্সবাজার সমিতি বাঁশখালীর সদস্য রায়হান উদ্দীন ও মঈনুদ্দিন রানা জানান, আহত অনেকের অবস্থা এখনো আশংকাজনক। এই ঘটনায় বাঁশখালীর স্বজন হারানো মানুষের আর্ত চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল স্থান। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ জানান, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে মাইক্রোতে করে রওয়ানা দিয়েছেন। পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় তারা দূর্ঘটনায় কবলিত হয়েছেন। আমাদের চক্ষু হাসপাতালের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান এবং উদ্ধার সহায়তায় কাজ করেন।

ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যান ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যায়।’


চুয়াডাঙ্গায় ৯ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

তীব্র গরমে ছাতা হাতে ভ্যান চালাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩১
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

তাপমাত্রার আগের সব রেকর্ড ভেঙে আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টার দিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখানে রেকর্ডে করা হয় বলে জানিয়েছে চু্য়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

বৈশাখের টানা খরতাপে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টানা দাবদাহে ওষ্ঠাগত এ জেলার মানুষ। দিন রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকছে কম। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে। সকাল থেকে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ।

বেলা ১২ থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। দুপুরে মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। চলমান দাবদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবিরা।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

চু্য়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরের ভ্যানচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘এই গরমে খুব কষ্ট হচ্চি (হচ্ছে)। ঘন ঘন পানি তিষ্টা (তৃষ্ণা) লাগচি (লাগছে)। গরমে মানুষ রাস্তায় বের হচ্চি (হচ্ছে) না। তাই ভাড়াও কমি গিচে (কমে গেছে)।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ল চুয়াডাঙ্গা। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।’


কুমিল্লায় স্কুলগুলোতে পানিঘণ্টা চালু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৪৫
কুমিল্লা প্রতিনিধি

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই গতকাল রোববার থেকে স্কুল, কলেজে ক্লাশ শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান পানিঘণ্টা চালু করেছেন।

প্রচণ্ড গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রতিটি ক্লাশ শেষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে।

কুমিল্লা নবাব ফয়জুনেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকেই ক্লাশ শুরু হয়েছে। প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর আমাদের ক্লাশ শেষ হয়। তারপর পানিঘণ্টা বাজানো হয়। সে সময় শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে। ছোট শিশুরা অনেক বেশি চঞ্চল। তা ছাড়া এই গরমে তারা ঠিকমতো পানি পানের গুরুত্বও বোঝে না। ফলে গরমে শরীর পানিশূন্য হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। পানিঘণ্টা বাজলে সব শিশু একসঙ্গে পানি পান করতে শুরু করে। এতে বেশ একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং বাচ্চারাও আনন্দ পায়।’

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মুস্তাফা জানান, তিনি কুমিল্লা নগরীর স্কুলগুলোতে খোঁজ নিয়েছেন। সকাল থেকে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের পানি পানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শিশুরাও এ ব্যাপারে বেশ উৎসাহী।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীরা যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেজন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের পানি পানের ব্যবস্থা করার জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছি। সকাল থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খবর নিয়েছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিবার ক্লাশ শেষে পানি পান করছে।’


গাজীপুরে আঙুর চাষে বাজিমাত সবুজের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোতাহার খান, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিজ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সবুজ। তিনি ইউটিউবে আঙুর চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। পরবর্তীতে পরিকল্পনা করেন বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জায়গায় আঙুর চাষ করার। ২০ শতাংশের জমিতে প্রথমে ২৫টি আঙুরের চারা রোপণ করেন। শুরু করেন আঙুর চাষ, প্রথমবারেই এ ফল চাষে বাজিমাত করেন সবুজ ।

এদিকে আঙুর চাষে তার সফলতা দেখে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ আঙুর বাগান দেখতে আসছেন। এমন বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তা।

থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। দুই পাশে সারি সারি গাছে ধরেছে আঙুর, মাথার ওপর বাঁশের মাচায় ঝুলছে সবুজ আঙুর। একেক থোকায় শ-খানেক আঙুর। শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সবুজের বাগানে ফলেছে মিষ্টি আঙুর। সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ ওই কৃষক।

এ অঞ্চলের মাটিতে আঙুর চাষ করতে দেখে একসময় যারা সবুজকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন; এখন তারাই হতবাক হয়ে তার গুণগান করছেন।

২০২৩ সালে প্রথমবার ঝিনাইদহের মহেশপুরের জগিহুদা গ্রামের আব্দুর রশিদের কাছ থেকে প্রতি পিস ৫৫০ টাকায় ভারতীয় সুপার সনিকা জাতের ২৫টি চারা কিনে আনেন। শুরু করেন আঙুর চাষ, তবে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। তাই বলে আশাও ছাড়েননি। তারপর মিলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা। রোপণের এগারো মাসের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু করে। সবুজ আঙুর চাষের পাশাপাশি চারা উৎপাদনও করছেন। তার আঙুরের বাম্পার ফলন দেখে আশপাশের কৃষকরাও ভীষণ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। স্থানীয় বিভিন্ন নার্সারির মালিক ও ব্যক্তি তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করতে আসছেন। তিনি প্রতিটি আঙুরের কলম চারা মাত্র ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

সবুজ জানান, প্রথমবার ১১ মাসের মাথায় গাছগুলোয় আঙুর ধরেছে এবং ৩ থেকে ৪শ কেজি ফল পাওয়ার আশা করছেন। গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল হয়েছে। এ আঙুর গাছে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। আঙুর গাছ ৮ ফুট দূরত্বে লাগানো হয়েছে। এ গাছ লাগানোর আগে জমি প্রস্তুত করে প্রতিটি গর্তে পাঁচ কেজি বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করেছেন। ৩ ফুট গর্ত করে ইটের গুঁড়া, মোটা বালু ও জৈব সার মাটির সঙ্গে মিশ্রণ করে দিয়েছেন। প্রতিটি গাছের গোড়া মাটি দিয়ে উঁচু করেছেন, যাতে পানি না জমে। আঙুর গাছ যাতে দ্রুত লম্বা হতে পারে তার জন্য উঁচু করে সিমেন্টের খুঁটি এবং বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করেছেন। ফলে ঝড়-বৃষ্টি এলে গাছ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা কম থাকে।

সবুজ নিজের আঙুর বাগানকে উপজেলার একমাত্র বাগান দাবি করে আরও বলেন, ‘আশা করি এ বছর ভালো ফল পাব। সাধারণত ৮০-৮৫ দিনে ফল খাওয়ার উপযোগী হয়। এখন যে ফল দেখছেন, তা আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে খাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় কষ্টের বিষয় হলো, এর চাষ যখন শুরু করি; তখন আশপাশের মানুষ বিভিন্নভাবে উপহাস করতে থাকে। অনেকে পাগলও বলেন।’

তিনি বলেন, ‘দোকানে তো বসতেই পারতাম না। এখন আমার আনন্দ ধরে না। প্রতিদিন আঙুর দেখার জন্য অনেকের সাক্ষাৎ মিলছে। আশা করি এ বছর অনেক লাভবান হতে পারব। কোনো মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি। এখন স্থানীয় কৃষি অফিসসহ সব সময় মানুষ পাশে থাকছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে এখন আর তেমন বেশি খরচ নেই।

স্থানীয়রা জানান, আঙুর বাগান নিয়ে সবুজ প্রচুর খাটাখাটনি করেন। প্রচণ্ড খরায়ও বাগানে ২ ঘণ্টা পানি দেওয়ার কাজ করেন। সবুজ একাই বাগানে কাজ করতেন। তার স্ত্রী তাকে মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করেন। আঙুর বাগান করে এবার তিনি লাভবান হবেন।

শ্রীপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা দৈনিক বাংলাকে বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সার ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা এবং বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আরও বৃহদাকারে শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সবুজ এখানে জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়াই আঙুরের চাষ করছেন।


গোয়ালন্দে বেপরোয়া মাটি বালু ব্যবসায়ী চক্র

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:০৩
মইনুল হক মৃধা, (গোয়ালন্দ) রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি ব্যবসায়ী চক্র। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলেও আবার সবকিছু ম্যানেজ করে মাটি কাটা শুরু করে মাটি খেকোর দল। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, সামান্য জরিমানা করে চক্রকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

গত শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন সেতুর ডানপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী হতে বালু তোলা হচ্ছে। নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত দেদারছে মাটি তুলছেন মাটি খেকোরা। এ নিয়ে জমির মালিকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে তোয়াক্কা করছেন না। তাদের নানাভাবে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

উজানচর ইউনিয়নের স্থানীয় লিপু মেম্বারের তত্ত্বাবধানে কাবিখা প্রকল্পের একটি সরকারি রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি তুলছেন। এতে প্রশাসনের অনুমতি আছে।

মরা পদ্মায় ইসমাইল হোসেন ও মনোয়ার হোসেন মনা দাবি করেন, তারা জমির মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করেই মাটি তুলছেন। তবে প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই।

একইভাবে দেবগ্রাম পিয়ার আলীর মোড়ে লাল্টু, দৌলতদিয়া ক্যানালঘাটে কাদের ফকির, জিয়া, শহীদসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ও পুকুর থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি-বালি তুলছেন। উত্তোলিত বালি-মাটি বিভিন্ন ইটভাটা ও ব্যাক্তি-প্রতিষ্টানে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

তাছাড়া গ্রামীণ সড়কে এসব মাটি-বালি বহনকারী ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।

জানা গেছে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা-৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্য সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘সরকারি বা বেসরকারি কোন কাজের জন্যই কাউকে নদী হতে মাটি-বালি উত্তোলনের অনুমতি দেয়া হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইতিপূর্বে এ ধরনের দুটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। ভেকু্ ও ড্রাম ট্রাকের চালককে জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’


চট্টগ্রামে দিনভর ভোগান্তির পর পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

একই সভায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি বাস পুড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেন শ্রমিক নেতারা। চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুরোধে এবং জনস্বার্থে আমাদের ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।’

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে গাড়ি চলাচলে নিরাপত্তা প্রদান, গাড়ি পোড়ানোর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ, অবৈধ গাড়ির বিষয়ে ব্যবস্থা, শ্রমিকের ওপর অকারণে মামলা না করার দাবি উপস্থাপন করা হয়।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের ক্ষতিপূরণ এবং বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে আজ রোববার সকাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটিসির সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি প্রমুখ।

দিনভর জনভোগান্তি

চার দফা দাবিতে রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় পরিবহন ধর্মঘট। শনিবার বিকেলে ঘোষণা দেওয়া এই ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহন পায়নি লোকজন।

চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তায় বাসসহ কোনো ধরনের গণপরিবহন ছিল না। এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ ছিল। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।

অক্সিজেন মোড়ে অপেক্ষারত তরুণ সাদিক খান জানান, এই গরমের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো যানবাহন পাননি। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে গেছেন অনেকে। এতে সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা বেশি লাগে।

চট্টগ্রাম নগর থেকে দিনভর বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশে কোনো বাস ছাড়েনি। ওইসব এলাকা থেকে কোনো বাসও চট্টগ্রাম নগরীতে আসেনি। জেলাগুলোর শহর এলাকায়ও চলেনি কোনো গণপরিবহন।

সকালে অক্সিজেন এলাকায় গিয়ে কয়েকশ যাত্রীকে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অক্সিজেন এলাকা থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশে বাস ছাড়ে।

পার্বত্য জেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের কোনো উপজেলায় চলেনি যানবাহন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও ভাড়া হাঁকা হয় তিন থেকে চার গুণ বেশি। অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই রওনা হয়েছেন গন্তব্যে।

নগরীর মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি এলাকায় শত শত মানুষ যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন সকালের দিকে। এই জনদুর্ভোগকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে রিকশা, যাত্রী টানা মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা বাড়তি ভাড়া দাবি করে বসেন।

গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে। নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে সাধারণত কক্সবাজারগামী বাস ছেড়ে যায়। তবে সকালে কাউন্টারগুলোর সামনে কোনো বাস ছিল না। অধিকাংশ কাউন্টার ছিল বন্ধ। সকালের দিকে বহদ্দারহাট এলাকায় কয়েকটি বাস আটকে দেন পরিবহন শ্রমিকরা।

চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, ‘কর্মবিরতির সমর্থকরা নগরে চলাচলকারী বাস আটকে রেখেছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’


সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:০৪
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে রেললাইনের ওপর গাছ পড়ায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। আজ রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যার দিকে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কী ঘটেছিল

স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে হঠাৎ করেই মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে হয় কালবৈশাখী ঝড়। এতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে। ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন এই রুটের ট্রেনের যাত্রীরা।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বলেন, ঝড়ে সিলেট-শ্রীমঙ্গলের মাঝে রেললাইনের ওপর কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে বিকেল থেকে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়।

কবির আহমেদ আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস ট্রেন ৫টা ২০ মিনিটে আটকা পড়ে। এ ছাড়া ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ৫টা ৩৭ মিনিটে আটকা পড়ে।

বিষয়:

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:১৬
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ও বাসস

অতি তীব্র দাবদাহে চুয়াডাঙ্গায় মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র দাবদাহ চলছে চুয়াডাঙ্গায়। এর মধ্যে ৭ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

আজ রোববার বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় জেলার তাপমাত্রা একই থাকে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪১ শতাংশ। গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহের কারনে প্রশাসনের তরফ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে।

প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তাপদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বত্র লু হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জেলায় দুপুরের পর ঘরে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানায়, আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার লক্ষণ নেই। আরো বাড়তে পারে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সিলেট অঞ্চল বাদে সারা দেশে নতুন করে চতুর্থ দফায় ৭২ ঘন্টার হিট এলার্ট জারি করেছে।


বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫৬
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ওয়াকিটকিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদিও জব্দ করা হয়।

আজ রোববার সকালে রুমা ও থানচি উপজেলার সীমান্তের দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। তবে নিহতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপি আর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

তিনি বলেন, ‘বান্দরবানের জেলার রুমা ও থানচি দুই সীমান্তে উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযানের কুকি-চিনের দুইজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমান গোলাবারুদ, ওয়াকিটকিসহ অনান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে রুমা ও থানচির দুই উপজেলা সীমান্তের বাকলাই পাড়া এলাকায় দুটি মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। তবে তারা কে বা কারা সে বিষয়ে কেউ না জানলেও তাদের গায়ে কেএনএফের পোশাক দেখা যায়।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয়রা বাকলাই এলাকায় দুটি মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার পুলিশ। মরদেহ দুটি থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।

বিষয়:

banner close