বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১২ ভাদ্র ১৪৩২

ফরিদপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল বিতরণ

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪০

বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ফরিদপুরে ১০ হাজার মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সার্বিক সহযোগিতায় গত শুক্রবার সকালে নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়িতে সদর, নগরকান্দা, সালথা উপজেলা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

কম্বল বিতরণ করেন বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মো. ইউনুস খান, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাংকিং সেক্টরের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. রাজিব সামাদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সোহেল ও তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া। বিজ্ঞপ্তি


৪০০ জন দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি

আপডেটেড ২৭ আগস্ট, ২০২৫ ২১:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪০০ জন দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। বৃত্তিপ্রাপ্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কলেজ/মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ২০০ জন ছাত্র এবং ২০০ জন ছাত্রী রয়েছেন। ২ বছরে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের কোর্স সম্পন্ন করতে সর্বমোট ২,২০,০০,০০০.০০ (দুই কোটি বিশ লক্ষ) টাকার বৃত্তি প্রদান করা হবে। ২৭ আগস্ট ২০২৫ইং তারিখে ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত বৃত্তির চেক প্রদান করা হয়। ৫০ (পঞ্চাশ) জন বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী স্বশরীরে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বৃত্তির অর্থ গ্রহণ করেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত অবশিষ্ট ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তির অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হবে। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব এ. কে. আজাদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের এসইভিপি ও কোম্পানী সচিব জনাব মো: আবুল বাশার।

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ ইউনুছ ও জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ জনাব মো: সানাউল্লাহ সাহিদ, জনাব মো: আব্দুল বারেক, জনাব আব্দুল হালিম, জনাব আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, জনাব খন্দকার শাকিব আহমেদ, জনাব ফকির আখতারুজ্জামান, স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও জনাব মো: রিয়াজুল করিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম. এম. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকের এসইভিপি ও ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান জনাব মোহাম্মদ আশফাকুল হক, এফসিএ, এফসিএস, ব্যাংকের সিএফও জনাব মো: জাফর ছাদেক, এফসিএ, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং বিভাগের প্রধান জনাবা রুমানা কুতুবুদ্দিন, ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান জনাব মো: আমজাদ হোসেন এবং ব্যাংকের জনসংযোগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর ইনচার্জ জনাব কে. এম. হারুনুর রশীদ-সহ বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব এ. কে. আজাদ বলেন, সত্যিকারের মেধাবীরাই দেশকে একদিন সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে। এই মেধাবীদের যথাযথভাবে পরিচর্যার দরকার। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ২০০৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। অদূর ভবিষ্যতেও মেধাবীদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সাহায্যের হাত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ্। তাছাড়া তিনি সবার জন্য ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মেধাবীদেরকে সৎকর্মের মাধ্যমে তাদের জীবন গড়ে তোলার পাশাপাশি আলোকিত মানুষ হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব এ. কে. আজাদ।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক এই বৃত্তি প্রদান শুধুমাত্র মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা নয় বরং তাদেরকে অনুপ্রেরণা, সাহস ও উৎসাহ প্রদান। বিগত বছরগুলোতে সমাজের অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা যে কঠোর পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করেছে তার স্বীকৃতি হিসেবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে মেধাবীদেরকে এই স্বীকৃতি প্রদান। আমরা চাই ভবিষ্যতে তারা দ্বিগুণ উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশুনায় গভীর মনোনিবেশ করে নিজের, পরিবারের, সমাজের ও সর্বোপরি দেশের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে।


২০২৫ সালের প্রথমার্ধেও ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্র্যাক ব্যাংক ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় (এনপিএটি) ৫৩% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংকটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯০৬ কোটি টাকায়, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে অর্জিত ৫৯১ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
এ সময়ে এককভাবে (স্ট্যান্ডঅ্যালন) ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ৫১৯ কোটি টাকার তুলনায় ২০% বেশি। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটি মার্কেট অ্যাভারেজ প্রবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি হারে ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে গ্রাহক আমানত বেড়েছে ২৮% এবং গ্রাহক ঋণ বেড়েছে ৭%।
২১ আগস্ট ২০২৫ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত আর্নিংস ডিসক্লোজার অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এই আর্থিক তথ্যগুলো প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকটির স্থানীয় ও বিদেশি স্টেকহোল্ডার, বিনিয়োগ-বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞবৃন্দ।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাংকটির আর্থিক ফলাফল, সাফল্য, সক্ষমতা উপস্থাপনের পাশাপাশি ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ:
• সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.৫৬ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ২.৬২ টাকা।
• ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪২.৬০ টাকা, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩৯.৩৮ টাকা।
• ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের একক (স্ট্যান্ডঅ্যালন) আমানত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি কৌশল ও গ্রাহক আস্থার প্রতিফলন।
• সমন্বিত রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ) যথাক্রমে ১৭.৩৬% এবং ১.২৭%-এ উন্নীত হয়েছে।
• সমন্বিত মোট আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে সুদ আয়ের পাশাপাশি নন-ফান্ডেড আয়ের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
• ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৩৭%, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২.৬৩%।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন আর্থিক সাফল্য সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের এ সাফল্য গ্রাহক, সমাজ ও দেশের প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে আমরা উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সকল স্টেকহোল্ডারদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংক এখন এক আস্থার নাম। কর্পোরেট সুশাসন, কমপ্লায়েন্স এবং মূল্যবোধ-নির্ভর ব্যাংকিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক রোল-মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এমন অর্জনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রতি— তাঁদের অবিচল আস্থার জন্য, আমাদের চেয়ারপারসন ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতি— তাঁদের ধারাবাহিক দিকনির্দেশনার জন্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি— তাঁদের দূরদর্শী রেগুলেটরি দিকনির্দেশনা ও নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য।”
আর্থিক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: https://www.bracbank.com/en/investor-relations#financialStatements

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


রূপালী ব্যাংকের ইজিএম এবং এজিএম অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র ১০ম বিশেষ সাধারণ সভা এবং ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর ৩৪, দিলকুশাস্থ রূপালী ব্যাংকের কনফারেন্স রুম থেকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা।

সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শুেেভচ্ছা বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম । সভায় ব্যাংকের ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীসহ আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সকল প্রস্তাব শেয়ার হোল্ডারগণ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. শাহজাহান, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. রফিকুল আলম। এ ছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ এতে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সরাসরি ও ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।


ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

আপডেটেড ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (EU) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে Eastern University Research Society (EURS), যা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী। তিনি EURS-এর লোগো উন্মোচন করেন এবং তার বক্তব্যে উচ্চশিক্ষায় গবেষণার অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি EURS-কে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানচর্চা, উদ্ভাবন ও একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনের এক “নতুন সূচনা” হিসেবে অভিহিত করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আবুল বাশার খান, রেজিস্ট্রার; প্রফেসর ড. এম. ছায়েদুর রহমান, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন; এবং প্রফেসর ড. মো. মাহফুজুর রহমান, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি। তারা শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।

অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল হক “How to Write a Conference Paper” শীর্ষক একটি সেশন উপস্থাপন করেন, যা তরুণ গবেষকদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবন্ধ রচনার দক্ষতা গড়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ড. আবু বিন ইহসান, চেয়ারম্যান, ফার্মেসি বিভাগ এবং প্রধান সমন্বয়ক, EURS। তিনি রিসার্স সোসাইটির লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার এই যাত্রায় সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

EURS-এর উদ্বোধনের মাধ্যমে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য এক নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে -যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা, সৃজনশীলতা এবং বৈশ্বিক একাডেমিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করবে।


মধুখালীতে কৃষকদের মাঝে প্রাইম ব্যাংকের প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় কৃষকদের মাঝে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে ব্যাংকটি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে এই ঋণ বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আটজন কৃষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে প্রাইম ব্যাংক, যা অন্যান্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।

এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের অতিরিক্তি পরিচালক টি এম ফরহাদ রেজা জুয়েল; উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রাসেল; কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মাহবুব ইলাহী; প্রাইম ব্যাংক পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী; এসভিপি ও কৃষি ব্যবসা বিভাগের প্রধান শাহানা পারভীন; ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জোনাল হেড তরিকুল হাসান; মধুখালী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংক সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে প্রাইম ব্যাংক খাদ্য শস্য উৎপাদনের জন্য ‘আবাদ’; খামার ব্যবস্থাপনার জন্য ‘খামার’ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ‘নবান্ন’ নামে কৃষকদের কৃষি ঋণ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশের কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।


ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও তরুণদের আর্থিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. সম্প্রতি ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় (ইডব্লিউইউ) ও ইডব্লিউইউ ক্রিয়েটিভ বিজনেস ক্লাবের যৌথ সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন: এনগেজিং অ্যান্ড এম্পাওয়ারিং ইয়ুথ ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাইম ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ‘প্রাইমএকাডেমিয়া’-এর অংশ—যা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য কনভেনশনাল ও ইসলামি উভয় ব্যাংকিং সুবিধাসহ একটি সমন্বিত ব্যাংকিং সেবার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উদ্যোগটির লক্ষ্য ছিল শুধু আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও নেতৃত্বগুণ অর্জনে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করা। বিশেষ করে আর্থিক সাক্ষরতা, দায়িত্বশীল অর্থব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কনজিউমার এবং এসএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান এম. নাজিম এ. চৌধুরী। তার মূল বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি ডিজিটাল জ্ঞান, ভাষার দক্ষতা, যোগাযোগ ও উপস্থাপনা দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, “এ ধরনের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। জনসমক্ষে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নিজের ভাবনা প্রকাশে দক্ষতা অর্জন তাদের আত্মবিশ্বাসী ও সক্ষম করে তুলবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসভিপি ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড স্কুল ব্যাংকিং এম এম মাহবুব হাসান। এ সময় তিনি তরুণদের উন্নয়ন এবং আর্থিক সাক্ষরতার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় (ইডব্লিউইউ)-এর প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দেক; অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ চৌধুরী; স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ইসমাত শিরিন; সহকারী অধ্যাপক মো. ফারহান ফারুকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রাইমএকাডেমিয়া’র অংশ হিসেবে ‘প্রাইম ইয়ুথ অ্যাকাউন্ট’—যা বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পিত। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে আর্থিকভাবে দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে এই অ্যাকাউন্ট সহজভাবে ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করার সুযোগ করে দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা গ্রহণ করে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার অভিজ্ঞতা নেন।

প্রাইম ব্যাংকের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক সাক্ষরতা এবং তরুণবান্ধব উদ্ভাবন বিষয়ে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা উল্লেখ করেন, আগামী প্রজন্মকে ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা প্রাইম ব্যাংকের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এছাড়া, সেমিনারে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব বিশেষভাবে আলোচিত হয়। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক আরও উদ্যোগ, গবেষণা সহযোগিতা ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে প্রাইম ব্যাংক ও ইডব্লিউইউ উভয়ই দৃঢ় আগ্রহ প্রকাশ করে।

প্রাইমএকাডেমিয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সেমিনার প্রমাণ করে যে, প্রাইম ব্যাংক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সেবা কাঠামো গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—যার আওতায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যাংকিং, ডিজিটাল ফি সংগ্রহ, পেরোল সেবা, স্কুল ব্যাংকিং এবং শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্ট—সবই একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্মের অধীনে।


বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

‘স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)’–এর আওতায় উদ্যোক্তাদের জন্য এই সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে।

২৫ আগস্ট ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক এ বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম ব্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এসআইসিআইপি-এর নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা, একই ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।

ব্র্যাক ব্যাংকের আয়োজনে এক মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা হবে, যা তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও টেকসইতা অর্জনে সহায়ক হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)-এর অর্থায়নে পরিচালিত হবে। এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এসআইসিআইপি প্রকল্প এবং বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট।

এই উদ্যোগের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে। তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে থাকি আমরা। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন দেশের তৃণমূল উদ্যোক্তা উন্নয়নে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

তিনি আরও বলেন, “এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবেন, যা তাঁদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির গতি আরও বাড়িয়ে দেবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইমপ্যাক্টফুল কর্মসূচি আয়োজনের সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।”

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৮৫টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘দ্য ওয়ে’ ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রত্যয় তরুণ শিক্ষার্থীদের

আপডেটেড ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্য ওয়ে’ বা ‘আগামীর পথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল অংশগ্রহণমূলক বক্তৃতা, প্যানেল আলোচনা, বিতর্ক, তরুণদের উদ্ভাবিত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রদর্শন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, মিউজিক থেরাপিসহ নানা অনুষ্ঠান। ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও অ্যাডভোকেসির মতো নানা কাজে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা এবং তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে” তে রং দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ব্র্যাক ইয়ুথ প্রোগ্রামের সদস্য, তরুণ পেশাজীবী, উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যম এবং ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে”-এর একটি পর্বে বাগেরহাটের মংলার চিলা ইউনিয়নের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐতি রায় তার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অনুপ্রেরণামূলক গল্প শোনান। বামে দাড়িয়ে আছেন তার মা।

দিনের শুরুতে ‘দ্য সায়েন্স অফ ফাইন্ডিং আ ওয়ে’ শীর্ষক সেশনে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, সমাজ যা বলছে সেই গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে তরুণরা যে যেই পেশাতেই থাকুক না কেন, তারা পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে” তে ”দ্য সায়েন্স অফ ফাইন্ডিং অ্যা ওয়ে” শীর্ষক বক্তব্য দিচ্ছেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্।

তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে কারণ পরিবর্তনের উদ্যোগগুলো নিয়ে কাজ শুরু হলে তা স্বাভাবিকভাবেই অংশীদার এবং রিসোর্সকে আকৃষ্ট করে। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের যাত্রা এবং ব্র্যাকের ‘সল্যুশন ইকোসিস্টেম’ বা সমাধান কাঠামো, যেখানে উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সামাজিক উদ্যোগগুলো একসাথে কাজ করছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আসিফ সালেহ্ বলেন, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকাটা খুবই জরুরি। সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে তার জন্য দীর্ঘ অধ্যবসায় প্রয়োজন এবং দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে একই সাথে অ্যাকটিভিজম, পলিসি, উন্নয়ন এবং এর বাণিজ্যিক দিকগুলোকেও সন্নিবেশিত করতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এই অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দানেই প্রকৃত পরিতৃপ্তি। আমরা যখন নিজেদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সেগুলো পূরণের জন্য সৃজনশীল সমাধান খুঁজে পাই, তখনই এটি সম্ভব হয়। নিজের, সমাজের এবং দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে প্রায়ই হতাশা জন্ম নেয়। তবে অন্যদের সঙ্গে তুলনায় না গিয়ে নিজের ভেতরের স্বকীয়তাকে খুঁজে বের করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ অন্যের মঙ্গলে অবদান রাখার মাধ্যমেই নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে” তে সমাপনী বক্তব্য দিচ্ছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ঊর্ধ্বতন পরিচালক মৌটুসী কবীর এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, লার্নিং অ্যান্ড টিচিং ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার, অপারেশনস ডিরেক্টর সাজেদুল করিম, স্টুডেন্ট লাইফ-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।

‘স্পার্কটক’ পর্বে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐতি রায় তুলে ধরেন তার জীবন ও সংগ্রামের গল্প। এ ছাড়া ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহিনুর সাইফ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সংসদীয় ব্যবস্থার আদলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। পরে ‘বিয়ন্ড ওয়ান ওয়ে’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দ্য ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদীন হাসান, মাম্মিকিডস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম পলকা এবং ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাশিরা হারুন এতে অংশ নেন। ‘দ্য ওয়ে অফ হারমনি’ শীর্ষক সেশনে ছিল আরমিন মুসা ও তাঁর দলের সম্মিলিত মিউজিক থেরাপি পরিবেশনা। এ ছাড়া ‘ডিজাইন কোয়েস্ট: সলভ ফর সোসাইটি’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করে শিশুদের জন্য খেলাভিত্তিক শিক্ষার সোশ্যাল স্টার্ট ‘মেকা টিম’।

এ ছাড়াও ছিল তরুণ উদ্ভাবকদের পাশাপাশি ব্র্যাকের নানা উদ্যোগের প্রদর্শন। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ওয়াটার হ্যাকাথন এবং আমরা নতুন নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণকারীরা উপস্থাপন করেন তিনটি প্রকল্প—যত্নের দোকান, ইকো কেয়ার এবং উজ্জীবন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স ক্লাব এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে প্রদর্শিত হয় প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে পাঁচটি প্রকল্প।

ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি (সিসিপি); নগর উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউডিপি), ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপন্ট (বিআইইডি), ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি (আইডিপি) ও আল্ট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন (ইউপিজি) কর্মসূচি, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনগত সুরক্ষা কর্মসূচি (সেলপ) এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের (বিএলবিসি) নানা উদ্যোগ ও সেবাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার জন্য ‘মনের যত্ন’ এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তাদের বৈশ্বিক কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

‘অলওয়েজ অ্যা ওয়ে-দ্য হিউম্যান লাইব্রেরি’ শীর্ষক আয়োজনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং ব্র্যাক ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রাম ও আমরা নতুন নেটওয়ার্কের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও জীবনের গল্পগুলো তুলে ধরেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব দেশি ও আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে স্থাপিত গ্রাফিতি ওয়ালে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো রং দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে ‘ব্র্যাক-ইউ এক্সপ্রেস’-এর পক্ষ থেকে তরুণদের মতামতগুলো ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ধারণ করা হয়, যেখানে তরুণরা খোলামেলাভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত ‘দ্য ওয়ে’ বুথগুলো তরুণদের ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও সৃজনশীল উদ্ভাবনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তরুণদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রস্তুত করার জন্য ব্র্যাকের প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে ‘দ্য ওয়ে’।


পদ্মা ব্যাংকের ১২৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ১২৯ তম সভা ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদ্মা ব্যাংকের পর্ষদ সভায় অন্যান্য পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, তামিম মারজান হুদা, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান, ব্যারিস্টার-এট-‘ল এবং এএইচএম আরিফুল ইসলাম এফসিএ। সভা পরিচালনা করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোঃ তালহা (চলতি দায়িত্বে)।


ওয়ালটন ডিজি-টেকের দেশব্যাপী ডিলার মিট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিলার মিট আয়োজন করেছে। নলেজ শেয়ারিং সেশনের মাধ্যমে বিশ্বের নতুন নতুন টেকনোলজি, ওয়ালটনের নতুন ও আপকামিং প্রযুক্তিপণ্য, ব্যবসায়িক সুবিধা এবং আকর্ষণীয় অফারসহ কিভাবে ক্রেতাদের আরো বেশি সেবা দেয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়ে প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে অবহিত করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও কুমিল্লায় এসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ডিলাররা ওয়ালটনের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মনিটর, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন আইটি পণ্যের বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি বিশেষ ছাড়, প্রোমোশনাল সুবিধা ও ডিলারশিপের সুযোগ সম্পর্কেও তাঁদের অবহিত করা হচ্ছে। রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এই আয়োজন ডিলারদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের আইটি ব্যবসার গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানগুলোতে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও আইটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকছেন। তাঁরা মনে করেন, ওয়ালটনের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, "গ্রাহকদের সর্বোচ্চমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদানের পাশাপাশি তাদের কাঙিক্ষত সেবা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের সেতুবন্ধন হিসেবে ডিলারগণ কাজ করেন। ক্রেতাদের চাহিদা আরো ভালো করে বুঝতে এবং তাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সারা বছরব্যাপী আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।”


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় পরপর তৃতীয় বার যমুনা ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যমুনা ব্যাংক টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব অর্থায়ন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি, সেবার বিস্তৃতি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বহুমুখী সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় পরপর ৩ বার স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত সাসটেইনেবিলিটি রেটিং রিকগনিশন অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মির্জা ইলিয়াস উদ্দীন আহম্মদ -এর হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের (এসএফডি) পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী, যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ প্রসান্ত সামিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মির্জা ইলিয়াস বলেন: “যমুনা ব্যাংকের গৃহীত টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলো শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতার নিদর্শন নয়; বরং এগুলো আমাদের ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় করার দিকেও একটি সুপরিকল্পিত কৌশল। যমুনা ব্যাংক মনে করে, এই রেটিং শুধু একটি স্বীকৃতি নয়; বরং আমাদের দায়িত্বশীল ও ভবিষ্যৎমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রতিফলন”।


ব্লুমবার্গের ইএসজি রেটিংয়ে দেশসেরা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিংয়ে অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে টেকসই ব্যাংকিং-যাত্রায় আরও নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছর শীর্ষ দশে থাকার গৌরব অর্জন করেছে ব্যাংকটি। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও পঞ্চমবারের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ব্লুমবার্গ ইএসজি স্বীকৃতি

ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ ব্র্যাক ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩.৮ সামগ্রিক স্কোর অর্জন করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ (১.৭৬), সামাজিক (৫.৮৩) এবং সুশাসন (৩.০৭)-এর স্কোর। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স (৩.৫১) ও সিটি ব্যাংক (২.৬৪)-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পরিচালিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।

এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মতো ব্লুমবার্গের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জায়গা করে নিতে সমর্থ্য হয়েছে।

ব্লুমবার্গের এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি এসেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্বন নিঃসরণ রিপোর্ট, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট ২০২৪, আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট এবং অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাংকটি সুশাসনে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের টেকসই অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০,২১৫ কোটি টাকায়, যা ব্যাংকটির মোট অ্যাসেট পোর্টফোলিওর ৮২%।

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং (৩২%) আর্থিক খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বস্থানের প্রতিফলন। এছাড়াও, তিন ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ তথ্য (জিএইচজি স্কোপ ১, ২, ৩) প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই ব্যাংক রেটিং ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক পঞ্চম বছরের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ‘এক্সেলেন্ট’ রেটিং অর্জন করেছে, যা দেশে মাত্র আরও দুটি ব্যাংক অর্জন করতে পেরেছে।

সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইনডেক্স, সিএসআর অ্যাক্টিভিটিস, গ্রিন রিফাইন্যান্স, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স এবং ব্যাংকিং সার্ভিসেস কাভারেজ— এই পাচটি পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে রেটিং করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্র্যাক ব্যাংকই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক, যারা পার্টনারশিপ ফর কার্বন অ্যাকাউন্টিং ফাইন্যান্সিয়ালস (পিসিএএফ) ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে স্কোপ ১, ২, ৩ কার্বন নিঃসরণ তথ্য প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড (আইএসএসবি) মানদণ্ড অনুযায়ী স্বতন্ত্র আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকটি ১,০০০ কোটি টাকার সোশ্যাল বন্ড ইস্যুরও প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএমএ) প্রিন্সিপালস অনুযায়ী।

টেকসই অর্থায়নকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০টি সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স হেল্পডেস্ক স্থাপন করেছে, যাতে গ্রাহকদের জন্য গ্রিন ফাইন্যান্স ও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আরও সহজলভ্য হয়। ব্যাংকিংয়ের বাইরেও ব্র্যাক ব্যাংকের সিএসআর উদ্যোগগুলো সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। শুধু ২০২৪ সালেই ব্যাংকটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির আওতায় ৫০,০০০ মানুষকে সেবা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের আওতায় ৪৬,০০০ কৃষককে সহায়তা এবং শিক্ষা খাতের আওতায় ৭০০ সুবিধাবঞ্চিত নারীকে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি দিয়েছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন মর্যাদাপূর্ণ অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি এখন দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তি। ব্লুমবার্গ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্বশীল ব্যাংকিং, স্বচ্ছতা ও ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা বিশ্বাস করি, ইএসজি শুধু পরিবেশ রক্ষা বা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ই নয়, বরং এটি একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া, যেখানে বিনিয়োগকারী, রেগুলেটর, সহকর্মী ও গ্রাহকেরা আস্থা রাখতে পারেন। আমরা সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন আরও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে জাতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।”

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


রূপালী ব‍্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেল বিভিন্ন শাখা, জোনাল অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেছে। ২৩ আগস্ট (শনিবার) মতিঝিলস্থ রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন‍্য আলাদাভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ৩ বিভাগীয় কার্যালয়, শীর্ষ ৩ আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১০ টি শাখাকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।

এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুরস্কারের জন‍্য মনোনীত বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও মহাব‍্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের মহাব‍্যবস্থাপক, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এবং আরবিটিএ এর প্রিন্সিপালসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।


banner close