বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডাব্লিউ) বাংলাদেশে নারী পোশাক কর্মীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পথ প্রশস্ত করতে একটি নতুন অংশীদারত্বে প্রবেশ করেছে। তারা বাংলাদেশের পোশাকখাতে নারী শ্রমিকদের শিক্ষা, নেতৃত্ব দিতে সক্ষমতা তৈরি ও তাদের ক্ষমতায়নের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও এইউডাব্লিউর ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. রুবানা হক রোববার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছেন।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক এম. আহসানুল হক এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইউডি-ওভেন এন্ড নীট এর চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম। এইউডাব্লিউর পক্ষ থেকে আরও ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা কামাল আহমেদ, কলা ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. বীনা খুরানা, বোর্ড অফ ট্রাস্টি সদস্য ক্যাথরিন ওয়াটার্স-সাসানুমা, এইউডাব্লিউ সাপোর্ট ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য ক্যাথি মাতসুই এবং ছাত্রদের জন্য ভারপ্রাপ্ত ডিন সুমন চ্যাটার্জি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো থেকে আরও বেশি সংখ্যক নারী শ্রমিকদের জন্য তাদের স্ব স্ব নিয়োগকর্তার সহযোগিতায় বিনামূল্যে এইউডাব্লিউতে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ তৈরি করে দেয়া।
সমঝোতা স্মারকের আওতায়, বিজিএমইএ ও এইউডাব্লিউ বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত নারী কর্মীদের মধ্যে থেকে ৫০০ জন যোগ্য নারী কর্মীকে এইউডাব্লিউতে ৫-বছর মেয়াদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রোগ্রাম ‘পাথওয়েজ ফর প্রমিজ’-এ তালিকাভুক্ত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। পোশাকখাত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মেয়েদের শিক্ষার জন্য এইউডাব্লিউর বিশেষ উদ্যোগ ‘পাথওয়েজ ফর প্রমিজ’ এবং বিজিএমইএ বাংলাদেশী পোশাক কারখানাগুলোর কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে থেকে মেধাবী নারী শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি নারী পোশাককর্মী এইউডাব্লিউতে অধ্যয়নরত রয়েছে। অধ্যয়নকালীন বছরগুলোতে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ এই নারী পোশাক কর্মীদের নিয়মিত বেতন দিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে তাদের পরিবারগুলো কোনো সমস্যায় না পড়ে।
‘পাথওয়েজ ফর প্রমিজ’ কর্মসূচির আওতায় এইউডাব্লিউ প্রত্যেক পাথওয়েজ স্কলারকে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকালীন পুরো সময়জুড়ে একটি আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ দিয়ে থাকে, যা দিয়ে রুম, বোর্ড, টিউশন, বইপত্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদার সমস্ত ব্যয় নির্বাহ করা যায়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “পোশাক শিল্প শুধুমাত্র যে সর্ববৃহৎ রপ্তানিখাত তা নয়। বরং শিল্পটি লাখো লাখো মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে, তাদের স্বপ্ন পূরণ করছে। পোশাক শিল্প কীভাবে নারী শ্রমিকদের স্বপ্নপূরণ করছে, কীভাবে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান দিয়ে পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে, তারই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই ‘পাথওয়েজ ফর প্রমিজ’ কর্মসূচী।”
ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আজকের সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এইউডাব্লিউ এবং বিজিএমইএর মধ্যকার অংশীদারিত্বকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং এক্ষেত্রে আমরা আরও বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবো।’
শুধুমাত্র হাইস্কুল সম্পন্ন করা নারীরা আবেদন করার জন্য যোগ্য এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। যারা সফলভাবে পাশ করতে পারেন, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান।
ফার্মেসিতে ক্যারিয়ার গড়ার চ্যালেঞ্জে নিজেকে প্রস্তুত করার সঠিক গাইড লাইন দিতে সারা দেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফার্মা সামিটের আয়োজন করেছে ইয়ুথ ফর বেটার ফিউচার সোসাইটি (ওয়াইবিএফ)।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে প্রথমবারের মতো এ সামিটের আয়োজন করে সংগঠনটি।
ওয়াইবিএফ সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জুবায়ের সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন ও মেসিডিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘দেশ গঠনে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অনেক বেশি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফার্মা অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আবশ্যক। কেননা দেশের অন্যান্য সেক্টরের সাথে তাল মিলিয়ে ফার্মাসিস্টরা যত বেশি দক্ষতা অর্জন করবে, সে দেশ তত বেশি উন্নত হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প অনেক এগিয়ে আছে। প্রায় ৬৭ টি দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি হয়। এটাকে আরো বেশি এগিয়ে নিতে ভুমিকা রাখবে তোমরা।’
এ সময় শিক্ষার্থদের জীবনে সফলতা পেতে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি নিজেকে সৎ ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি।
সামিটে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ওয়াইবিএফ সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘একদিন তোমরা স্বনামধন্য ফার্মাসিস্ট হয়ে দেশের নাম বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল করবে। দেশে যে কোন ধরণের মহামারি আসলে সে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ঔষধ আবিষ্কার করে সব শ্রেণি পেশার মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। তবে ভালো ফার্মাসিস্ট হওয়ার পাশাপাশি তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে।’
এসময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করেন। একই সঙ্গে ওয়াইবিএফের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শেখ জহির রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের প্রফেসর ড. আব্দুল মাজিদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, প্রাণ গ্রুপের এইচআর এডমিন হাবিবুল হাসান সাইমন, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যানেজার বিএম আফসুন আক্তার এনি প্রমুখ।
সামিটে নর্থ সাউথ, ব্রাক, ড্যাফোডিল, ইস্ট-ওয়েস্ট, নর্দান, সোনারগাঁও, সাউথইস্ট, মানারাত, ওয়ার্ল্ড, বিইউবিটিসহ দেশের ৫০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মা অনুষদের এক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ওয়াইবিএফ ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি সামাজিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক, ছাত্রকল্যাণ ও জনকল্যানমূলক কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও লিডারশিপ ডেভেলপমেন্টে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের স্বনির্ভর করে আয় বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে জেসিআই ঢাকা ইমপ্যাক্ট পরিবার থেকে ‘প্রোজেক্ট স্বনির্ভরতার প্রত্যয়ে’ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি পাঁচটি নিম্ন আয়ের পরিবারের আয় বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে পাঁচটি দুই চাকার ভ্যান, তীব্র রোদ ও বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে একটি বড় ছাতা, ভ্যানের নিরাপত্তার জন্য শেকল ও তালা এবং ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রারম্ভিক নগদ মূলধন তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আগামী এক বছর প্রতি মাসে একবার করে তাদের ব্যবসা ও জীবনের উন্নয়নের পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রয়োজনে পরামর্শ এবং সাধ্যমত সহযোগীতা করার জন্যেও কাজ করবে জেসিআই ঢাকা ইমপ্যাক্ট।
মাঠপর্যায়ে কর্মরত এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসাররা যাতে ব্যবসা উন্নয়ন, উন্নততর গ্রাহকসেবা প্রদান, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারীর সমতা নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জন করতে পারে সে উদ্দেশ্যে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে একযোগে সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে। ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হোসেন গত ২০ এপ্রিল জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চ্যানেল ব্যাংকিং প্রধান জিয়াউল হাসান এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মাইক্রো মার্চেন্ট ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিজিটাল ডাকঘর ব্যাংকিং প্রধান কাজী মোরতুজা আলী এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) সহযোগিতায় পরিচালিত ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এজেন্ট মোটিভেশন, ব্যবসায়িক যোগাযোগ, গ্রাহক অধিগ্রহণ, ঋণ ব্যবসা এবং নারীবান্ধব ঋণ প্রচারণা, আমানত সংগ্রহ গতিশীলকরণ এবং কমপ্লায়েন্স ও মনিটরিংসহ বিভিন্ন প্রায়োগিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগ এবং কুমিল্লা ও ফরিদপুর জেলায়ও একই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। বিজ্ঞপ্তি
তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) চারবারের নির্বাচিত সভাপতি কাজিম উদ্দিন গত ১৪ এপ্রিল দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মরহুম মো. কাজিম উদ্দিনের স্মরণে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) উদ্যোগে গতকাল বুধবার তিতাস গ্যাস প্রধান কার্যালয়ের ২য় তলা অডিটোরিয়ামে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান, সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু, কার্যকরী সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এইচ এম মোতালেব, উপস্থিত ছিলেন। তিতাস গ্যাস টি অ্যান্ড ডি কোং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকরা, মহাব্যবস্থাপকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতারা ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিতাস গ্যাসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। বিজ্ঞপ্তি
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের উদ্যোগে বাংলাদেশ কর্পাস: পাবলিক লেকচার সিরিজ-২০২৪-এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধান এবং এর শাসন কাঠামো শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন অনুষ্ঠান ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন নিয়ন্ত্রক এবং নিরীক্ষক জেনারেল এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. হামিদুল হক।
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর বক্তৃতা বাংলাদেশের সংবিধান এবং এর শাসন কাঠামোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বিশ্লেষণ প্রদান করে। তার উপস্থাপনায় সংবিধান এবং সংবিধানের মৌলিক ধারণা, বাংলাদেশের সংবিধানের ঐতিহাসিক পটভূমি, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতাসহ বাংলাদেশের সংবিধানে নিহিত মৌলিক নীতিগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি হাইলাইট করেন যে এই নীতিগুলো কীভাবে শাসন কাঠামোকে নির্দেশ করে এবং আইনের শাসন বজায় রাখতে এবং সরকারি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অবিচ্ছেদ্য।
তার প্রবন্ধে, কার্যনির্বাহী, আইন প্রণয়ন এবং বিচার বিভাগীয় শাখাগুলোর মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণের ওপর একটি উল্লেখযোগ্য ফোকাস করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ রোধে এবং নাগরিকদের চাহিদার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল একটি সুষম শাসন কাঠামো নিশ্চিত করার জন্য এই বিচ্ছিন্নতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি শাসনব্যবস্থার সম্মুখীন হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংস্কারের প্রধান মাইলফলক এবং সুশাসন সম্পর্কিত উদীয়মান সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য ক্রমাগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া তিনি গণতান্ত্রিক শাসনকে শক্তিশালী করতে এবং সাংবিধানিক ম্যান্ডেট সমুন্নত রাখতে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর পক্ষে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও গতকাল বুধবার নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় দিবসটি পালিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় গতকাল বুধবার নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে। ‘আসুন সবাই শব্দদূষণ হ্রাসে সচেষ্ট হই’ এই মূল বার্তাটির ওপর ভিত্তি করে সব অংশীজনকে নিয়ে দিবসটিকে ঘিরে দেশব্যাপী বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। একই সঙ্গে ক্যাম্পেইন, মানববন্ধন, র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পুলিশ, ইমাম, পরিবহন মালিক ও চালকদের প্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, কারখানা ও নির্মাণশ্রমিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিটি আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নাগরিকদের দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দেশের প্রথম সারির বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে সচেতনতামূলক রঙিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সরকারি সব ওয়েবসাইটে পপ-আপ প্রদর্শন করা হয়েছে ও বিটিআরসির সহযোগিতায় সব সেল ফোনে সচেতনতামূলক বার্তা পাঠানো হয়েছে। চলমান প্রকল্পটির আওতায় সাংবাদিকসহ সবপর্যায়ের অংশীজনদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান আছে। মাঠপ্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ৬৪ জেলায় শব্দের মানমাত্রা পরিমাপবিষয়ক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা সম্পন্ন হয়েছে যার ভিত্তিতে পেশাজীবীদের ওপর শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিজ্ঞপ্তি
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ গতকাল ২৪ ও আজ ২৫ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী রাজধানীর আফতাবনগরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘সিএসই ফেস্ট’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের সিএসই ফেস্টে প্রায় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০টি আইটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো যে অবস্থায় ছিল, এখন তার চেয়ে বহুগুণ এগিয়েছে। তাদের দেশের মেধাবীরাই দেশকে এগিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের অর্জন আরও বেশি হতো যদি মেধাবীরা বিদেশমুখী না হয়ে তাদের মেধা দেশের কাজে লাগাত। তাই, শিক্ষার্থীদের দেশে থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের অর্জনে এই দেশ, সমাজ, বাবা-মায়ের অবদানের কথা চিন্তা করে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান এবং সিএসই বিভাগের চেয়ারপার্সন ও সহযোগী অধ্যাপক, ড. মাহিন ইসলাম। এবারের ‘সিএসই ফেস্ট’-এর আয়োজনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, গেমিং প্রতিযোগিতা, রোবো সকার, লাইন ফলোয়ার প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট শোকেসিং প্রতিযোগিতা, চাকরির মেলা, আইটি অলিম্পিয়াড, প্রযুক্তির নানা বিষয়ে ৫টি সেমিনার এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিজ্ঞপ্তি
বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির (এএলএসএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে সাত দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৮টি ব্যাংক ও ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৭ হাজার ৫৬৩.৪২ কোটি টাকার ১০৫টি বিড এবং এক দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির আওতায় ১৪টি পিডি ব্যাংক মোট ৫ হাজার ৪৫৭.৪৯ কোটি টাকার ৫৭টি বিড দাখিল করে। অকশন কমিটিতে সব বিডই গৃহীত হয়। ফলে রেপো এবং এএলএসএফের আওতায় সর্বমোট ১৩ হাজার ২০.৯১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। ৭ দিন মেয়াদি রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির সুদের হার ছিল যথাক্রমে বার্ষিক শতকরা ৮.১০ ও ৮.০০ ভাগ।
১৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভ. ট্রেজারি বন্ডের নিলাম:
১৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভ. ট্রেজারি বন্ডের ৪২/২০২৩-২৪ নং নিলাম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে ১ হাজার কোটি টাকা পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সর্বমোট ২ হাজার ৩৯৫.৬০ কোটি টাকার ১১৫টি দরপত্র দাখিল হয়। এর মধ্য ৮৭টি দরপত্র অকশন কমিটিতে গৃহীত হয়, যার মূল্যমান দাঁড়ায় ১ হাজার ৫১.৪০ কোটি টাকা। গৃহীত দরপত্রের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৯৯.৬৩৭১ টাকা (প্রতি ১০০ টাকার জন্য)।
২০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভ. ট্রেজারি বন্ডের নিলাম :
২০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভ. ট্রেজারি বন্ডের ৪২/২০২৩-২৪ নং নিলাম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে ১ হাজার কোটি টাকা পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সর্বমোট ৩ হাজার ৪.১৩ কোটি টাকার ৮০টি দরপত্র দাখিল হয়। এর মধ্যে ৪৫টি দরপত্র অকশন কমিটিতে গৃহীত হয়, যার মূল্যমান দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৩৯.০৪ কোটি টাকা। গৃহীত দরপত্রের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৭৫.৯৫৪৫ টাকা (প্রতি ১০০ টাকার জন্য)। বিজ্ঞপ্তি
কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ‘বিসিবিএল আগানগর শাখার’ অধীন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪-এর পাঁচটি কালেকশন বুথ যথাক্রমে ‘আটিবাজার’, ‘কলাতিয়া’, ‘রুহিতপুর’, ‘শুভাঢ্যা’ এবং ‘আবদুল্লাহপুর’-এর কার্যক্রম গতকাল বুধবার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আব্দুল কাদের। আটিবাজার কালেকশন বুথের গ্রাহক সংখ্যা-৩৬ হাজার ৯৮৫, কলাতিয়া কালেকশন বুথের গ্রাহক সংখ্যা- ৪৪ হাজার ২২৯, রুহিতপুর কালেকশন বুথের গ্রাহক সংখ্যা ২২ হাজার, শুভাঢ্যা কালেকশন বুথের গ্রাহক সংখ্যা-৯৫ হাজার এবং আবদুল্লাহপুর কালেকশন বুথের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার। ফলে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪-এর মোট ২ লাখ ৩৬ হাজার ২১৪ জন গ্রাহকের সঙ্গে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪-এর জিএম ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার, আটিবাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মো. আসাদুজ্জামান, কলাতিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোখলেসুর রহমান, আব্দুল্লাহপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম, রুহিতপুর জোনাল অফিসের এজিএম মো. মোস্তাকিম ফয়সাল, ইঞ্জিনিয়ার তরিকুল ইসলাম, শুভাঢ্যা জোনাল অফিসের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান। এ ছাড়া জোনাল অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিসিবিএল প্রধান কার্যালয়ের সংস্থাপন বিভাগের প্রধান, মার্কেটিং বিভাগের প্রধান, আগানগর শাখার ব্যবস্থাপকসহ অন্য কর্মকর্তারা। পল্লী বিদ্যুতের সব বিল এই কালেকশন বুথগুলোতে জমা দেওয়া যাবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আবাসিক বিল এবং দুপুর ৩টা পর্যন্ত সব ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল গ্রহণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ১০৬তম সভা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোসাদ্দেক-উল-আলমসহ অন্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ব্যাংক পরিচালনায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও হিসেবে গতকাল বুধবার যোগদান করেছেন মোহাম্মদ আবু জাফর। ৩৪ বছরের বর্ণাঢ্য ব্যাংকিং কর্মজীবনে রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) অর্থায়ন, অফশোর ব্যাংকিং, করপোরেট ব্যাংকিং, ট্রেজারি বিজনেস, ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট, বৈদেশিক বাণিজ্যে অর্থায়ন, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং এবং শাখা ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনাসহ ব্যাংকের সামগ্রিক পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ আবু জাফর। প্রিমিয়ার ব্যাংকে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ঢাকা ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ বিজনেস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ২০২১ সাল থেকে তিনি ঢাকা ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালে উত্তরা ব্যাংকে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাংকিং পেশায় তার কর্মজীবন শুরু করেন। এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছর উত্তরা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংকে এডি শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সঙ্গে অর্থনীতিতে বিএসএস (অনার্স) এবং এমএসএস করেন। এ ছাড়া তিনি ডিপ্লোমেড অ্যাসোসিয়েট অব দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (ডিএআইবিবি) থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন ব্যাংকিং প্রোগ্রাম, ট্রেনিং, সেমিনার এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্ত
মিনিস্টারের ‘জব্বর ব্যাপার: শত কোটি টাকার ঈদ উপহার’ ক্যাম্পেইনে মিনিস্টার ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টেলিভিশন ও এসি ক্রয় করে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে অনেকেই পেয়েছেন ১০০% ও ৫০% ফ্রি। এ ছাড়া মিনিস্টার ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয়ে ক্রেতারা আরও পেয়েছেন সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকার গিফট ভাউচার ও মূল্যছাড়সহ অসংখ্য নিশ্চিত উপহার। মিনিস্টার ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে ১০০% উপহার হিসেবে আরেকটি ফ্রি রেফ্রিজারেটর পেয়েছেন মিনিস্টারের ঢাকা উদ্যান শোরুম থেকে আসাদুজ্জামান সুমন, বেনাপোল শোরুম থেকে আজিজুল হক।
মিনিস্টার ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে ৫০% ফ্রি পেয়েছেন মিনিস্টারের নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল শোরুম থেকে মো. মাসুম, বগুড়া শোরুম থেকে জাকিউল ইসলাম, গাজীপুরের বাংলাবাজার শোরুম থেকে মেহেদি হাসান ও চুয়াডাঙ্গা শোরুম থেকে রুহুল আমিন।
এ ছাড়া মিনিস্টারের ‘জব্বর ব্যাপার: শত কোটি টাকার ঈদ উপহার’ ক্যাম্পেইনে মিনিস্টার ব্র্যান্ডের টেলিভিশন কিনে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে ১০০% উপহার হিসেবে আরেকটি টেলিভিশন ফ্রি পেয়েছেন মিনিস্টারের বিজয় সরণি শোরুম থেকে জাফর সাদেক ও রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা শোরুম থেকে দুলাল উদ্দিন।
শতভাগ ফ্রি পণ্য পাওয়ার আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে বেনাপোালের বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, ‘রেফ্রিজারেটরটি ঘরের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। আমার আশপাশের পরিচিত অনেকের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেই যে, মিনিস্টার কোম্পানির ফ্রিজই কিনব। কারণ আমার বাজেটের মধ্যে মিনিস্টার ফ্রিজই সেরা মনে হয়েছে। তখনও বুঝিনি যে, এত বড় বিস্ময় আমার জন্য অপেক্ষা করছে। একটি কিনে আরেকটি ফ্রি পেয়ে বাঁধভাঙা আনন্দ লাগছে। এটা আমার জন্য বিশেষ কিছু ছিল। মিনিস্টার কোম্পানিকে ধন্যবাদ এমন একটি অফার দেওয়ার জন্য।’
এ বিষয়ে মিনিস্টার গ্রুপের হেড অব ব্র্যান্ড সোহেল কিবরিয়া বলেন, ‘ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতেই মিনিস্টার এই ক্যাম্পেইনটি নিয়ে আসে। শুধু ১০০% কিংবা ৫০% নয়, মিনিস্টার পণ্য ক্রয়ে এমন আরও কোটি কোটি টাকার ঈদ উপহার পাবেন সম্মানিত গ্রাহকরা। আশা করি, সম্মানিত গ্রাহকরা দেশীয় পণ্য ক্রয় করে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবার মধ্যে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে মিনিস্টার গ্রুপ নিয়ে এসেছিল ‘জব্বর ব্যাপার: শত কোটি টাকার ঈদ উপহার’ অফার। এ অফারের মাধ্যমে একজন গ্রাহক মিনিস্টার গ্রুপের যেকোনো মডেলের ফ্রিজ, এলইডি টিভি ও এসি কিনলেই পেয়েছেন স্ক্র্যাচ কার্ড। আর কার্ড ঘষেই পাওয়া গেছে সর্বনিম্ন দশ হাজার টাকা মূল্যের ইনস্ট্যান্ট গিফট বক্স, ১০০% পর্যন্ত ফ্রি পণ্যসহ নিশ্চিত আকর্ষণীয় সব উপহার। বিজ্ঞপ্তি
তরুণদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমি ব্র্যান্ডটির রমজান মেগা ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া ভাগ্যবান বিজয়ী গ্রাহককে দুই লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে ‘ঈদের খুশি, রিয়েলমিতে বেশি’- শীর্ষক বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে একটি আকর্ষণীয় লটারির মাধ্যমে দুই লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের এ অসাধারণ সুযোগ জিতে নিয়েছেন এমরান আলী। রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন ও ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং সম্প্রতি বিজয়ীর হাতে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন। বোনাস হিসেবে ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় সি৫৫, সি৫৩, সি৫১, সি৬৭ ও নোট ৫০সহ নির্দিষ্ট কিছু ডিভাইস কিনে গ্রাহকরা পেয়েছেন বিশেষ বোগো (একটি কিনলে একটি ফ্রি) অফার উপভোগের দারুণ সুযোগ। এ ছাড়া, তিন হাজারেরও বেশি ভাগ্যবান ফোন ব্যবহারকারী পেয়েছেন ভিডিও স্ট্রিমিং স্ট্যান্ড। পাশাপাশি, বিশ্বস্ত গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রিয়েলমি তাদের দিয়েছে ফ্রি গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক ডেটা প্যাকেজের অফার। রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন বলেন, ‘এমরান আলীকে আমাদের বিশেষ রমজান মেগা ক্যাম্পেইনের ভাগ্যবান বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। কেননা এতে সত্যিকার অর্থেই রিয়েলমির সঙ্গে তার ঈদের আনন্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের এমন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ দিতে পেরে আমরাও খুবই আনন্দিত। এসব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে একটি অবিস্মরণীয় পারিবারিক ভ্রমণের সুযোগের পাশাপাশি রয়েছে আমাদের জনপ্রিয় ফোন মডেলগুলোতে একটি কিনলে একটি ফ্রির অবিশ্বাস্য অফার। রিয়েলমি বাংলাদেশে, আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা ভবিষ্যতে তাদের জন্য স্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করার জন্য উন্মুখ হয় আছি।’ দুই লাখ টাকার ভাগ্যবান বিজেতা এমরান আলী বলেন, ‘রিয়েলমি বাংলাদেশের বিশেষ রমজান মেগা ক্যাম্পেইনের ভাগ্যবান বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। পারিবারিক ভ্রমণের জন্য দুই লাখ টাকা জেতায় আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এত চমৎকার একটি ক্যাম্পেইন আয়োজন করার জন্য এবং এই অসামান্য পুরস্কারের জন্য আমি রিয়েলমি বাংলাদেশকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই এই ঈদকে আমার জন্য আরও বিশেষ করে তুলেছে এবং এই ভ্রমণের মাধ্যমে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে একটি অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করার অপেক্ষায় আছি। আমার এই ইচ্ছে পূরণকে সম্ভব করে তোলার জন্য রিয়েলমি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ!’ শীর্ষমানের স্মার্টফোন সরবরাহের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে রিয়েলমির। ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য হলো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে ব্র্যান্ডের পণ্য ও সেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণে রিয়েলমি তার গ্রাহকদের জন্য ক্রমাগত উচ্চমানের স্মার্টফোন নিয়ে হাজির হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি