প্রাইমার্কের মতো বড় পোশাক ব্র্যান্ডগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তৈরি পোশাক ক্রয় করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পাশাপাশি তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাইমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাউল মার্চেন্টের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বখ্যাত তৈরি পোশাক ব্র্যান্ড প্রাইমার্ক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাকশিল্পে দক্ষতা অর্জন করেছে। বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। এর মধ্যে প্রায় ৬৫ ভাগই নারী শ্রমিক। তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে, ২০৩০ সালে এ রপ্তানির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে আমরা কাজ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন চাহিদা মোতাবেক যেকোনো পরিমাণ পণ্য যথাসময়ে সরবরাহ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমরা রপ্তানি বাণিজ্যে বড় লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রাইমার্ক আমাদের বড় ক্রেতা, বিশ্বখ্যাত এ পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তৈরি পোশাক ক্রয় করবে বলে বিশ্বাস করি, একই সঙ্গে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত জনবলকে উৎসাহ দিতে তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের উন্নয়নে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে। তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, পণ্যের মান এবং ডিজাইন আধুনিক করা হচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পে কিছু বিদেশি দক্ষকর্মী ছিল, এখন আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মীরাই কাজ করছে। শিল্প বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
প্রাইমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাউল মার্চেন্ট এ সময় বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক সেক্টরে অনেক উন্নতি করেছে। গ্রিন ফ্যাক্টরিতে কর্মীবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদন করছে। শিল্প ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বেশি আকর্ষণীয় করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমাদের কাছে খুবই প্রিয়।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) প্রেসিডেন্ট কাজুশিক নোবুতানির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘জনতুষ্টিমূলক বাজেট দেয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। আমি বলব এখানে পরিসংখ্যান নিয়ে খেলা হয়েছে।’ রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বুধবার সিপিডি আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ অসুবিধাগ্রস্ত মানুষেরা যা পেল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘নির্বাচনের বছর উপলক্ষে যে জনতুষ্টিমূলক বাজেট দেয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। নির্বাচনী বাজেট বলা হলেও এটি নির্বাচনী বাজেট নয়। এখানে পরিসংখ্যান নিয়ে খেলা হয়েছে। ছলনা বললাম না। ভর্তুকি, কর রেয়াত সব একসঙ্গে করে ফেলা হয়েছে, যাতে অঙ্কটা বড় দেখায়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কোনো পরিসংখ্যানের বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক অভিলাষের প্রকাশ। এ বছর যে প্রবৃদ্ধির হার দেয়া হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, তা নির্বাচন উপলক্ষে উদ্দীপনা তৈরির জন্য দেয়া হয়েছে।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘প্রত্যেক বাজেটে আমরা গৎবাঁধা সমালোচনা করি। কিন্তু আপনি একই রোগের জন্য ডাক্তারকে তো ভিন্ন ওষুধ দিতে বলতে পারবেন না। আমাদের সমস্যা তো একই। ২০০৬ সালে বাজেট প্রক্রিয়ায় ১০০টি দেশের মধ্যে আমরা ৩৮তম ছিলাম। আর এখন যদি দেখেন, আমরা ৯৫ নম্বরে চলে এসেছি। এই র্যাংকিং নির্ধারণ করা হয় বাজেট প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ সঠিক সময়ে বাজেটের অর্থ পাওয়া গেল কি না, দলিল আছে কি না, জনগণের অংশগ্রহণ আছে কি না ইত্যাদি।’
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘যারা দাবি করেন, রাজনৈতিক কল্পকথা হিসেবে, আমরা যে বাজেট দিই, তা আমরা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করি, তথ্য-উপাত্ত তা সমর্থন করে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বড় ফারাক থেকে যাচ্ছে। যেটুকু আমাদের উন্নতি হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, তাও তুলনীয় দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে নিতান্তই কম।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমছে, কিন্তু বৈষম্য বাড়ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চায় কি না, এতে আমাদের প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। ২০২২ সালে সম্পদ নিয়ে যে জরিপ হয়েছে, তাতে বৈষম্যের ফল কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি। গ্রাম থেকে খাদ্য, নিরাপত্তা, উন্নয়নের জন্য মানুষ শহরে আসছে। এটি কি টেকসই উন্নয়ন হবে কি না, সেই প্রশ্ন আমাদের থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কর আহরণের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ হলো পরোক্ষ কর। এখানে নিম্নবিত্তরা যা কর দেয়, উচ্চবিত্তরাও একই হারে কর দেয়। তাহলে প্রত্যক্ষ কর কি বাড়ল? একই রকম ভ্যাটের ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ভ্যাট দিচ্ছে। এটি কোনোভাবেই আপনি আয়করের তুলনায় কমাতে পারলেন না। এটিকে মৌলিক বৈষম্যের একটি বড় অংশ হিসেবে দেখছি। এখনো উন্নয়ন কাজের ৪০ শতাংশ বিদেশি সাহায্যে হয়। একদিকে বলা হচ্ছে বিদেশি সাহায্য দরকার নেই, অন্যদিকে আমরা দেখি অনেক উচ্চমূল্যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি।’
সিপিডির এই ফেলো বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিবিএস একধরনের কথা বলছে, অর্থ মন্ত্রণালয় আরেক পরিসংখ্যান দিচ্ছে। তাহলে কি ডান হাত-বাম হাত একসঙ্গে কাজ করছে না? এ রকম হলে কিন্তু বাজার বেত্তমিজি করবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে গত বছর ২০ শতাংশ আপনি প্রাক্কলন করলেন, অথচ বাস্তবায়ন হলো ৭ দশমিক ১ শতাংশ। এ বছর আবার আপনি ১২ শতাংশ দিলেন। ডলার রেট আপনি প্রাক্কলন করছেন ১০৪ টাকা। অথচ এখনই বাজারে এটি ১০৮ টাকা হয়ে গেছে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অন্য সব মন্ত্রণালয়ের মতো জ্বালানি ও জলবায়ু নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দের সঙ্গে বাস্তবায়নের ফারাক থেকে যায়। আমরা বাজেট বিশ্লেষণের সময় বলেছি, বাজেট এমন এক সময়ে দেয়া হয়েছে, যখন আমরা আইএমএফের ঋণের আওতায় রয়েছি। সেই শর্ত অনুযায়ী, ১১টি খাতে সংস্কার করতে হবে। এর মধ্যে জলবায়ু খাতে সংস্কারের একটি শর্তও রয়েছে। কিন্তু, বাজেটে আমরা সেটির প্রতিফলন দেখতে পাইনি।’
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের যে সম্পদ আছে, সেটি বণ্টনে নায্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। একটি কথা খেয়াল রাখতে হবে, এনবিআর কত টাকা আয় করতে পারল তা নিয়ে কথা বলি। একইভাবে কত টাকা সাশ্রয় করা যায়, তাও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। আমাদের ১ হাজার ২৫০টির মতো প্রকল্প আছে, যার মধ্যে ৮৭৮টি ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর অধিকাংশই আগের প্রকল্প। এই যে ক্যারিওভার প্রকল্প, এগুলোর কারণেই সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। কেবল বাজেট প্রণয়ন নয়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও অনেক বৈসাদৃশ্য রয়ে গেছে। এগুলো এখন প্রতীয়মান হচ্ছে।
ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রাম হেড সমীর রঞ্জন নাথ বলেন, ‘শিক্ষার বাজেট বলতে আমরা যেটা বুঝি, তার মধ্যে এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যোগ করে একটি বড় অঙ্ক দেখানো হয়েছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাজেট যখন শিক্ষার ক্ষেত্রে জুড়ে দেয়া হয়, তা কিন্তু একটা বড় অঙ্কে দাঁড়িয়েছিল। ২২-২৩ অর্থবছরে ১০০ টাকার মধ্যে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমিয়ে বলা হচ্ছে, যা পরে দেখা যাবে।’
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে ড. দিবালোক সিংহ স্বাস্থ খাত, সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল হক সামাজিক সুরক্ষা খাত নিয়ে আলোচনা করেন। আর ব্যক্তি খাতে বাজেটের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ড. আসিফ ইব্রাহিম।
ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো ডলারের দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক ডলারের বিপরীতে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। লুটের মালের মতো যেভাবে পারছে, তারা (ব্যাংক) সেভাবে ডলারের দাম নিচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেয়া ডলারের বিনিময় হার কোনো কাজ করছে না।
রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বাজেটোত্তর আলোচনা সভায় বুধবার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং ইআরএফ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আমদানি বিল পরিশোধের সময় এক ডলারের বিপরীতে প্রায় ১১৫ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এখানে যার কাছ থেকে যা ইচ্ছা আদায় করছে তারা।’
জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য এফবিসিসিআই ও এনবিআরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স আছে, কিন্তু তাদের বৈঠক হয় না। তিনি আরও বলেন, পণ্য আমদানিতে এইচ এস কোডের ভুলের জন্য ২০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়, তার ২০ শতাংশ পান কর কর্মকর্তা। বাজেটে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে, তা কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকলে ভালো হতো।
এ ছাড়া এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে এনবিআরকেও ডিজিটাল করতে হবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়কর ও ভ্যাট আদায় করতে হবে। উভয়পক্ষের মধ্যে যত কম দেখা হবে, ততই দুর্নীতি কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসসংকট নিয়ে কথা বলেন মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘১৬ টাকার গ্যাস ২৫ টাকা করার প্রস্তাব আমরাই দিয়েছিলাম। আমাদের শর্ত ছিল, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দিতে হবে। ১৬ টাকার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা করা হলো, কিন্তু এখন আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছি না।’
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে অন্ধকার বেশি ব্যয়বহুল। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালাচ্ছি, প্রতি কিলোওয়াটের দাম পড়ছে ২৫ টাকা। অর্থনীতি টেকসই ও সেই সঙ্গে শিল্পোৎপাদন ধরে রাখতে হলে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে।’
এ ছাড়া ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার পক্ষপাতী নন মো. জসিম উদ্দিন। তিনি মনে করেন, এতে পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রতি টিআইএনের বিপরীতে প্রস্তাবিত ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর আদায়ের ঘোষণা থেকে সরে আসার কথা বিবেচনা করছে সরকার।
র্যাপিডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক সভায় বাজেট বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। আরও বক্তব্য দেন দৈনিক প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন মাসুম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ প্রমুখ। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
এখন পর্যন্ত দেশে ৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে দেশে চলে এসেছে আট হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
কৃষি মন্ত্রণালয় গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত চার লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। বুধবার আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রথম দিন গত সোমবার দুই লাখ ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।
গত রোববার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘোষণা দেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের এবং শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সকল ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
সোনার ভরি ফের প্রায় লাখ টাকায় উঠেছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি সোনা ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকায় বিক্রি হবে। ১০ দিনের ব্যবধানে ভরিতে এই মানের সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা সোনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর। এর আগে ১৮ মার্চ মূল্যবান এই ধাতুর দাম টানা বাড়তে বাড়তে প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায় উঠেছিল। পরে অবশ্য তা কমে ৯৮ হাজার থেকে ৯৭ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
অন্যান্য মানের সোনার দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। বুধবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া লিটন এই দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বলেছেন, বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাজুস। সর্বশেষ ২৮ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমানো হয়েছিল।
চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৬ ইসলামী ধারার ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ বা ঋণাত্মক অবস্থানে নেমেছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
নিয়ম অনুযায়ী সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (এসএলআর) এবং নগদ রিজার্ভ অনুপাত (সিআরআর) বজায় রাখার পর অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য এসএলআর খাতে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সিআরআর খাতে ৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দৈনিক বাংলাকে বলেন, এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার অর্থ ব্যাংকগুলো বেশি পরিমাণে ঋণ বিতরণ করেছে। কারণ ইসলামী ধারার ব্যাংক যদি ১০০ টাকা আমানত পায়, তাহলে ৯২ টাকা ঋণ বিতরণ করতে পারবে। বাকি টাকা সিআরআর ও এসএলআর খাতে দিতে হয়। তবে ৯২ টাকার মধ্যে পুরো অর্থ ঋণ হিসাবে বিতরণ করে না। ধরা যাক, ৮২ টাকা ঋণ হিসাবে বিতরণ করল, তাহলে অতিরিক্ত তারল্য ১০ টাকা। তবে এ ছয় ব্যাংক নেগেটিভ অর্থাৎ সীমা অতিক্রম করে ঋণ বিতরণ করেছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১৪ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৯৯৩ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৪৫২ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৪৫৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য ঋণাত্মক হয়েছে । অর্থাৎ নির্ধারিত সীমার বাইরে ঋণ বিতরণ করায় এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়েছে।
ডিসেম্বর প্রান্তিকে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য পজিটিভ বা ইতিবাচক ছিল। সে সময় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১ হাজার ৩০২ কোটি, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ২৭ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৮০৯ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামীর ৩৭৬ কোটি, ইউনিয়নের ৫০৯ কোটি এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৮ কোটি টাকা পজিটিভ অতিরিক্ত তারল্য ছিল।
এ বিষয়ে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ছিল এসব ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করা। কারণ এ ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। কারণ এগুলো জনগণের আমানতের অর্থ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনগণের স্বার্থ দেখে না, নির্দিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থ বিবেচনা করে।’
১৩টি ইসলামী ধারার ব্যাংকে ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ২২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। আর মার্চ প্রান্তিকে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য কমেছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো নিয়মকানুনের ঊর্ধ্বে গিয়ে ঋণ বিতরণ করছে। এতে জনগণের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার অর্থ নিয়ম ভঙ্গ করে ঋণ বিতরণ করেছে। ফলে ব্যাংকগুলো এসএলআর ও সিআরআর খাতেও টাকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত এসব ব্যাংকের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।’
শুধু ছাপা টাকা ব্যবহারের বদলে ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিবছর অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। সংসদ সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস ক্যাশলেস ডিজিটাল ট্রানজেকশন সিস্টেম’ শিরোনামের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদের শপথগ্রহণ কক্ষে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে গত সোমবার বিনিয়োগকারীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কিসমাতুল আহসান ও আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ আহমেদুর রহমান ও আইএসটিসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান প্রমুখ।
সোনালী ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে অভিযোগ প্রতিকারব্যবস্থা ও জিআরএস সফটওয়্যারবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম। সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. জাহিদ হোসেন।
সম্প্রতি মধুমতি ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত সিঙ্গাইর উপজেলা মানিকগঞ্জে ব্যাংকের অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কার্যক্রম ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিউল আজম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কৃষক, এজেন্ট, উদ্যোক্তা এবং এলাকার সাধারণ জনগণ।
এবি ব্যাংক গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৫০০-এর অধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে এ ঋণ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কোটালীপাড়ার কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২১তম সভা গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত হয়। গুলশান এভিনিউতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। সভায় অংশ নেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম ও ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মেদ আলমগীরসহ অন্য পরিচালকরা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক মোর্শেদ প্রমুখ।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের বাংলাবাজার এসএমই শাখা ১০ নর্থ ব্রুক হল রোড (দোতলা), বাংলাবাজার, ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসসিসির ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন, ভবন মালিক সানোয়ার আলী সিকদার ও পদ্মা গ্রুপের পরিচালক ফিদা হোসেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড পিআর তারেক উদ্দিনসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে ইস্টার্ন ব্যাংক লি. (ইবিএল) গতকাল তাদের প্রধান কার্যালয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তন: অভিযোজন ও প্রশমনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে মূল বক্তা ছিলেন পিকেএসএফের ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।
আরও বক্তব্য দেন ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী, বিআইবিএমের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীব, ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান কে এম রেজাউল হাসনাত ও ইবিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম।