বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
৫ আষাঢ় ১৪৩২
সাক্ষাৎকার

খেলাপি ঋণ আদায় করতেই হবে

ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার
আপডেটেড
২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:১৭
প্রকাশিত
প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:১১

ব্যাংকিং খাতে প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ। বিশাল অঙ্কের এই ঋণ আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু খেলাপি ঋণ কমছে না; উল্টো বেড়েই চলেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত মঙ্গলবার শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা জাতীয় সংসদে প্রকাশ করেছেন, যা নিয়ে দেশে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার। দৈনিক বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বাংলার প্রতিবেদক বীর সাহাবী

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য কেমন চলছে? অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি কেমন দেখছেন?
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়। করোনা-পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে তা এখনো বিদ্যমান এবং বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা যদি আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতির কথা বিবেচনা করি তাহলে দেখতে পাব যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সরাসরি আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রভাব সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় ও শিল্পসংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি খরচ অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলেছে। পাশাপাশি, আমরা যেসব দেশে রপ্তানি করে থাকি সেসব দেশে যুদ্ধপরিস্থিতির প্রভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় আমাদের রপ্তানিতেও প্রভাব ফেলেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থিতিশীল হয়েছে।

আমাদের স্থানীয় অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি অনেকাংশে বেড়ে গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ গ্যাস ও ডিজেলের আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের অর্থনীতি একটি চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করছে, কিন্তু বেসরকারি খাত ও সরকার যৌথভাবে এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম যে হারে বেড়েছে, এতে ব্যবসায়ীরা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো সংকটে পড়বে কী?
আন্তর্জাতিক বাজারে সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হওয়ার কারণে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিত তৈরি হয়েছে। সে কারণে নিরুপায় হয়ে সরকারকে ৬ মাস আগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক সময়ে ২২ শতাংশ বিদ্যুতের এবং শিল্পপর্যায়ে ১৯ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করতে হয়েছে। যাতে করে বেশি মূল্য দিয়ে আমদানি করে হলেও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত করছিল। এতে শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হচ্ছে। একই হারে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় কটেজ, ক্ষুদ্র, মাঝারিদের জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেতে পারে। সে কারণে তাদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে এবং স্থানীয় বাজারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি মূল্যের অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তবে স্থানীয় শিল্প এবং বেসরকারি খাতের ওপর যাতে বেশিমাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারকে পরবর্তী সময়ও কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

যেহেতু এটা দৃশ্যমান যে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে এবং সে- সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে, তাই সরকার যেন বিদ্যুতের মূল্য সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে, যাতে করে, বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির হয়তো কোনো বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যাতে করে এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে সরকার যেন ফের এই বর্ধিত মূল্য হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিষয়টি কোনোভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, বর্তমানে অস্থির বিশ্বপরিস্থিতির কারণে সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছে। আমরাও বুঝতে পারছি এ ছাড়া সরকারের অন্য কোনো পথ খোলা নেই। তবে যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে, বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমে আসবে, টাকা-ডলারের বিনিময় হার স্বাভাবিক হবে, গ্যাস-বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমে আসবে, তখন যেন সরকার বর্ধিত মূল্য হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ভর্তুকির অজুহাত দেখিয়ে শুধু দাম বাড়ানো হবে, পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে কমানো হবে না- এমনটা যেন না হয়।

বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব ছোট-বড় সব দেশেই পড়েছে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। এই সংকটে থেকে উত্তরণের পথ কী?
আমার মনে হয়, বিশ্বের ধনী-গরিব সব রাষ্ট্রই চলমান সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক এ সমস্যায় কিছু দেশ সংকটে পড়েনি বিষয়টি তেমন নয়। সংকটের কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানির মতো দেশে মূল্যস্ফীতি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১২%, যুক্তরাজ্য ১০.১%, কানাডা ৮.১%, জার্মানি ৭.৯%। যে জাপানের মূল্যস্ফীতি সব সময় নেগেটিভ থাকত তাদের মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়েছে ৪.১%।

উন্নত বিশ্বের এ ধরনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাদের স্থানীয় অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করেছে। এতে তাদের কাজের সুযোগ কমেছে এবং দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ওপর। কেননা, বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে সব থেকে বেশি রপ্তানি করে থাকে। তাদের ক্রমক্ষমতা কমে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে আমাদের রপ্তানিতে সরাসরি আঘাত। অথচ বাংলাদেশের সামগ্রিক জিডিপির ১৫ শতাংশ রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। একইভাবে আমাদের আমদানি খরচও বেড়েছে অত্যধিক হারে। কেননা, আমরা যেসব দেশ থেকে আমরা আমদানি করি তাদেরও উৎপাদন খরচ এবং সাপ্লাই চেইন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের কাছে বেশি দামে বিভিন্ন নিত্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল, মেশিনারি বিক্রি করছে। এর ফলে আমাদের রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমদানি খরচ বেড়ে গেছে এবং আমাদের অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়েছে সে কারণে সংকটে পড়েছে রিজার্ভ। সর্বোপরি বাংলাদেশ যেহেতু বর্তমান বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, সেহেতু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সংকট বাংলাদেশ এড়াতে পারে না।

এই পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে এখন করণীয় কী? সরকার ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি যেহেতু একটি ভূরাজনৈতিক ও শক্তিধর দেশের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের প্রতিফলন এবং বাংলাদেশ তার ভুক্তভোগী, সেহেতু বাংলাদেশ এককভাবে সংকট দূর করতে পারবে না। বাংলাদেশ তেমন কোনো শক্তিধর নয় বা ধনী দেশগুলোর প্রতিনিধিও নয়। সে কারণে বাংলাদেশ সরাসরি সংকট বন্ধের জন্য জোরালো পদক্ষেপেরও অংশ হতে পারছে না। এ সংকট কাটাতো জি-৭ ভুক্ত ও অন্যান্য ধনী দেশগুলোর কার্যকর আলোচনা মূলত প্রধান উপায়। বিশ্বের সংকটজনক পরিস্থিতি উত্তরণে উন্নত বিশ্ব যত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে, বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বার্থের জন্য সেটা ততটাই মঙ্গলজনক হবে। তবে বাংলাদেশ যে নীরব হয়ে আছে তেমন কিন্তু নয়, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মাধ্যমে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট কেটে গিয়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সে লক্ষ্যে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলে আবারও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিত স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের বাণিজ্য প্রায় ১ শতাংশ কমে যাবে। যার সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশ, চীনসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর পড়বে। সুতরাং শুধু যে বাংলাদেশ সংকটে রয়েছে অন্যরা তেমন সংকটে নেই এ কথাটি এমন নয়। আমরা আশা করি দ্রুততম সময়ে সংকটময় এ পরিস্থিতি কেটে গিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আবারও একটি স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসবে।

বর্তমান সংকট উতরাতে সরকার আর কী কী করতে পারে?
চলমান বৈশ্বিক এ সংকটকে মোকাবিলা করার জন্য সরকারের তেমন কিছু করার নেই। কারণ, আমরা বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছি না। কিন্তু আমরা যেহেতু এ সংকটের কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, সে কারণে সমমনা দেশগুলোকে নিয়ে জাতিসংঘ, ডব্লিউটিও ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ, সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক করা ও সংকট সমাধানের জন্য জোরালো আওয়াজ তুলতে পারি। অন্যদিকে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সরকারি ব্যয় কমিয়ে ও সামগ্রিক আমদানি ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরে পণ্য আমদানি না করে কৃচ্ছ্রসাধন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক রাখতে পারি।

সরকার ইতিমধ্যে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রচেষ্টা চলমান রেখেছে এবং আর্থিক খাত স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে, ব্যাংকিং খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ (নন পার্ফরমিং লোন বা এনপিএল) কমানোর মাধ্যমে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বেশি পরিমাণে তারল্য বাড়াতে সহায়তা করলে বেসরকারি খাত আরও উপকৃত হতে পারবে। আমার মনে হয়, এই সংকটকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। যারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের মতো একটি ছোট দেশে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাইট অফ বা অবলোপন এবং আদালতে মামলার কারণে আটকে থাকা খেলাপি ঋণ যোগ করলে প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। আর দেরি না করে, বিশাল অঙ্কের এই টাকাটা আদায়ের জন্য জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশেল এগিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান রাখছে বেসরকারি খাত। বর্তমানে বেসরকারি খাতের অবস্থা কেমন দেখছেন?
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কমবে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এই বাস্তবতায় ব্যবসায়িক মুনাফা কমে যাবে এবং বিনিয়োগের গতি কমবে। অনেকে সংশয়ের মধ্যে থেকে বিনিয়োগ করতে চাইবে না। মূল বিষয় হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়বে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বাড়বে না বরং অনেক ক্ষেত্রে কমবে। এদিকে, জ্বালানি ও আর্থিক খাতে ভূরাজনৈতিক সংকটের চ্যালেঞ্জ বাড়ছে এবং তা এক বছর আগে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি। এ কারণে নতুন বিনিয়োগ খুব কম মাত্রায় হবে। একই সঙ্গে সম্প্রতি ঘোষিত এমপিএস এ দেখা গেছে এ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতের ঋণের টার্গেট ছিল ১৪.১ শতাংশ কিন্তু তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি, মাত্র ১২.৮ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। নতুন যে টার্গেট নেয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নও যথেষ্ট অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। তবে এ ক্ষেত্রে যদি সরকারের ব্যয় লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকে। তবে সিএমএসএমইদের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিও গুরুত্বপূর্ণ।

যদি বিশ্ব পরিস্থিতি এমনই থাকে তাহলে সরকার বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করলে বেসরকারি খাতের ওপর তার প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি, আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া ও সাপ্লাই চেইন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতও বাধ্য হয়ে পণ্যের মূল্য বাড়াতে গিয়ে তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা হারাতে পারে এবং বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা হলেও নিরুৎসাহিত হবে।

এ বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ পরিস্থিতিতে কিসে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন?
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে, তবে আমরা মনে করি বাংলাদেশ এ ব্যাপারে অনেক বেশি কেয়ারফুল। বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে উদ্যোগগুলো নিচ্ছে তার ফলে অনেক সংকট আসার পরেও বাংলাদেশ এখনো বেশ ভালোভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সামনের দিনেও এভাবে চলতে পারলে আমরা হয়তো অত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব না যেমনটা ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ধরনের সহিংসতা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা হলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে কারণে আমি সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করছি। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমাদের সবাইকে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।

বিষয়:

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমায় উল্লম্ফন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ( প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে ) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ। এখনকার বিনিময় হার ধরলে যার পরিমাণ ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের কাছে সুইজারল্যান্ডের দায় ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমনাতকারীদের পাওনা এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগের অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা বাণিজ্য কেন্দ্রিক অর্থ বলে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বার্ষিক ব্যাংকিং পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।

সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অবৈধভাবে কেউ অর্থ নিয়ে গেছে এমন প্রমাণ সরবরাহ করলে তারা তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্য দেশের নামে অর্থ গচ্ছিত রাখে তাহলে তা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে থাকা পরিসংখ্যানের মধ্যে আসেনি। একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক দেশের নাগরিকই মূল্যবান সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।


বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় আইটি ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় তথ্য-প্রযুক্তি ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার উপপররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপ-অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা।

গতকাল বৃহস্পতিবার কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান তারা। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দেশটির পররাষ্ট্র ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি বৈঠকে অংশ নেয়।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারা শ্রীলঙ্কার উপপররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপঅর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমার সঙ্গে কলম্বোতে তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে আরুন হেমাচন্দ্র বলেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হলে আগামীতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করেছে এবং বাংলাদেশ সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এলে সরকার পূর্ণ সহায়তা দেবে।

তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তার দেশের সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং এলক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানসমূহে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ধারা পরিবর্তন হচ্ছে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তবে প্রযুক্তি, পণ্যের মূল্য সংযোজন এবং উদ্ভাবনের দিক থেকে শ্রীলংকা বেশ এগিয়ে রয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে দুদেশের বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ উভয় দেশের মধ্যে একটি এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যকার সংযোগ আরও সুদৃঢ় হবে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রীলংকার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং শ্রীলংকার উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলংঙ্কার অর্থনীতি প্রায় একই ধাঁচের যেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বাস্তবিক অর্থে ততটা কার্যকর হবে না। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

ডিসিসিআই’র ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে শ্রীলংকার উপ-অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা বলেন, আমাদের একসাথে কাজ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবা, ঔষধ, চা, জ্বালানি, আর্থিক সেবা ও পর্যটন খাত যৌথ বিনিয়োগের জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।

তিনি জানান, শ্রীলংকা ইতোমধ্যেই একটি উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে এবং এই পরিকল্পনার অধীনে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তর এবং প্রতিটি সেবা স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, শ্রীলংকায় অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ এগিয়ে আসতে পারেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শ্রীলংকার ঔষধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। যাতে দেশটির স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পতন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্য আরও কঠোর করার পর মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে পতন ঘটে, যা যুদ্ধকে আরও সম্প্রসারণ করার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পঞ্চম দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দাবি করেন এবং মার্কিন হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেন।

ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচক ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪২,২১৫.৮০ পয়েন্টে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ০.৮ শতাংশ কমে ৫,৯৮২.৭২ পয়েন্টে এবং প্রযুক্তি খাতভিত্তিক ন্যাশডাক কম্পোজিট ০.৯ শতাংশ কমে ১৯,৫২১.০৯ পয়েন্টে নেমে আসে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ এখন বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। একই সময়ে তারা ফেডারেল রিজার্ভের দিকে নজর রাখছে। যা বর্তমানে দুই দিনের আর্থিক নীতিমালা বৈঠকে রয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভ আপাতত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ, তারা ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতির গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছে।

গতকাল বুধবার ফেড তাদের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশ করবে, যাতে থাকবে প্রবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য।

এদিকে, বিনিয়োগকারীরা দুর্বল অর্থনৈতিক তথ্যের প্রভাবও মূল্যায়ন করছেন। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মোট খুচরা বিক্রি এপ্রিলের তুলনায় ০.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭১৫.৪ বিলিয়ন ডলারে। এই তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে, এপ্রিলে শুল্ক বৃদ্ধির আশঙ্কায় যে ভোক্তারা আগেভাগে পণ্য কিনে নিয়েছিলেন, মে মাসে সেই কেনাকাটার গতি কমে গেছে।

এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ১১টি খাতের মধ্যে ১০টিতেই দরপতন হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল জ্বালানি খাত, যা তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

প্রতিরক্ষা খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোও লাভ করেছে। লকহিড মার্টিন ২.৬ শতাংশ এবং নর্থরপ গ্রুমান ১.২ শতাংশ বেড়েছে।


২১ ও ২৮ জুন কাস্টমস, ভ্যাট ও কর কার্যালয় খোলা থাকবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২১ ও ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং এর অধীনে সব কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর কার্যালয় খোলা থাকবে। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ওই দুই দিনও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মূলত রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। গত ২ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২২ জুন বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) মোট ৩ লাখ সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে। এটি সাময়িক হিসাব। ভ্যাটের রিটার্ন দাখিলের হিসাবের এই সংখ্যা আরও বাড়বে। লক্ষ্য অর্জনে শুধু জুন মাসেই সব মিলিয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে এনবিআরকে।

এনবিআরকে চলতি অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সংশোধিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। মূল লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।


সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে ১০% ডিসকাউন্টসহ নানা অফার রিয়েলমির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তরুণদের কাছে জনপ্রিয় টেক ব্র্যান্ড রিয়েলমি কোম্পানির স্মার্টফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়ে সম্প্রতি ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে। রিয়েলমি সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে এই ক্যাম্পেইনের অফার চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।

এ ক্যাম্পেইন চলাকালে ইউজাররা সকল অ্যাকসেসরিজ ও সেফগার্ড সার্ভিসে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট লুফে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র দেশজুড়ে অবস্থিত রিয়েলমি’র অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারগুলো থেকে এই অফার পেতে পারবেন গ্রাহকরা।

এছাড়াও- স্মার্টফোনের ওয়ারেন্টি বিষয়ক সার্ভিস, ক্লিনিং ও মেইনটেন্যান্স, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন, প্রটেক্টিভ পেপার ফিল্মস ও প্রটেক্টিভ ফোন কেসে থাকবে বিভিন্ন ছাড়।

এখানে উল্লেখ্য যে- ঘোষিত অফারটি শুধুমাত্র রিয়েলমি’র অফিসিয়াল স্মার্টফোনগুলোর জন্যই প্রযোজ্য।

এসব অফার ছাড়াও- রিয়েলমি অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে ডিভাইস পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাদের রিয়েলমি অথরাইজড কালেকশন পয়েন্টস ব্যবহার করতে পারবেন।

অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউজাররা ফেসবুকে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল আফটার-সেল সার্ভিস পেজ "realme Service BD" ভিজিট করতে পারেন।

তাই ভিজিট করুন আপনার কাছেরই কোনো আউটলেট এবং ক্যাম্পেইন শেষের আগেই ডিসকাউন্ট উপভোগ করুন


পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় উত্থান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১৬ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩৬ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ১৭৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।

ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৫ কোম্পানির ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লাভেলো সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

গতদিনের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সারাদিনে ৪১৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২৬৩ কোটি টাকা।

৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এবং সাড়ে ৩ শতাংশ দাম কমে তলানিতে শ্যামপুর সুগ্যার মিল।

চট্টগ্রামেও উত্থান

ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে ১১৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৫৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এর আগের সবশেষ কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইসলামী ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।


সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন গতকাল রাজধানীর লালবাগে পোস্তা চামড়া আড়ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন,সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। নির্ধারিত দাম কার্যকরে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ দল।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় লালবাগের পোস্তায় কোরবানির পশুর চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

উপদেষ্টা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা যে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিলাম সেটি ছিল লবণসহ দাম।সাতশ থেকে আটশ টাকা যেটা বিক্রি হচ্ছে সেটি লবন ছাড়া। বিগত বহু বছর ধরে যে দামে বিক্রি হতো এই দাম তার থেকে বেশি।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসত্য। অসত্য এজন্য যে কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী যাদের চামড়া সংরক্ষণের ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা নেই,তারা চামড়া নিয়ে আধা পঁচা করে ফেলছে। আধা পঁচা চামড়া সাতশ আটশ টাকা বিক্রি হলে তো এটা অনেক বেশি। আর যেটা ভালো চামড়া সেটি বারো থেকে তেরোশ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা যে কাজটা শুরু করি তাহলো স্থানীয়ভাবে মজুত এবং লবন দেয়াকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে চামড়া সংরক্ষণ ও মজুত উপযোগী করা।যার ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় একটা স্থিতি এবং বাজারের চাহিদা ও সরবারহের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন চামড়া ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে আমরা একটি কন্ট্রোল রুম করেছি। সেখানে ২৪ ঘন্টা চামড়া ব্যবস্থাপনা মনিটরিং হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি চামড়ার উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে যেটা লবণ দেয়া চামড়া। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই সেটা বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ও মেইনস্ট্রিমের কিছু মিডিয়াও ভুল তথ্য প্রচার করছে।

চামড়া পঁচে গিয়েছে এমন একটি তথ্য দেখলাম চিটাগাং এর রাঙ্গুনিয়ার। একজন মৌসুমী ব্যবসায়ী ৬২০ টির মত চামড়া নিয়ে এসেছেন, তিনি চামড়াটি সংরক্ষণ উপযোগী করেননি। চামড়াটি আধা পঁচে গেছে।

এটা নিয়ে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে চামড়ার বাজারে আবারো একটা ধস নামানোর পরিকল্পনা করছে।

সরকার উদারভাবে লবণ দিয়েছে শুধুমাত্র উপযোগী করার জন্য। সব দায় সরকারের উপর দিয়ে দিলে চলবে না আপনি যদি আপনার নিজের দায়িত্ব পালন না করেন আকাঙ্ক্ষা করাটাও শোভনীয় নয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকার সক্ষমতা তৈরীর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। লবণ লাগিয়ে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে উপযুক্ত দাম চান আমি আশা করি উপযুক্ত দামই পাবেন। আমি আশা করছি তার চেয়েও বেশি দাম পাবেন।

সরকার চাহিদা তৈরীর জন্য কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। প্রণোদনার ২২০ কোটি টাকা ছাড় করিয়েছে। সারাদেশের প্রত্যেক জেলায়, উপজেলায়, গ্রামে মসজিদে মসজিদে লবন পৌঁছে দিয়েছে। এখন এর সঙ্গে সকলের সংযুক্ত হতে হবে।

তিনি বলেন, এককভাবে সরকারকে দায়ি করে কিছু ভুল তথ্য ও অপতথ্য ছড়িয়ে চামড়ার বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা ন্যাক্কারজনক কাজ হবে বলে আমি মনে করি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন,চামড়ার দাম গতকালের তুলনায় আজকে বেড়েছে। আশা করছি লবনযুক্ত চামড়ার দাম আগামীকাল আরো বাড়বে। আমরা চামড়া সংরক্ষণের সক্ষমতা তৈরি করেছি,যার মাধ্যমে দুই থেকে তিন মাস চামড়া ধরে রাখতে (সংরক্ষণ) পারবেন। ধরে রেখে উপযুক্ত দাম না পাওয়া পর্যন্ত বিক্রি না করার আহবান জানান তিনি।

আমরা চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে এটাকে উপযোগী করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করেছি। এবছরের শিক্ষা থেকে আগামী বছর রাজনৈতিক সরকার আমার ধারনা আরো বেশি কিছু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন(বিটিএ)-এর সভাপতি মো: শাহীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ১০ শতাংশ বেড়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি।

উপদেষ্টা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, ‘মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ৪৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।’

আসিফ মাহমুদ আরো বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন বা সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ছিলো চার হাজার ৮৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়ার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনও তুলে ধরেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।


সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।


জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৫ ২১:০১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।

জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।


সঞ্চয়পত্র কেনা, ক্রেডিট কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।

এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।


বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।


অনলাইন কেনাকাটা হবে আরও ব্যয়বহুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।

তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।


banner close