সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫
২০ শ্রাবণ ১৪৩২
সাক্ষাৎকার

এবার রোজায় কঠোর অবস্থানে থাকব

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান
আপডেটেড
১৮ মার্চ, ২০২৩ ০৯:৪৩
প্রকাশিত
প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০৯:৩১

এমনিতেই বাজারে সব জিনিসের দাম চড়া। কয়েক দিন পরই শুরু হবে রমজান মাস। রোজা এলেই দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যায়। প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বিশেষ করে কম আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়। রোজাকে সামনে রেখে পণ্যমূল্য আরেক দফা বাড়বে- এ নিয়ে আতঙ্কে আছেন মানুষ। কিন্তু আশার কথা শুনিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এবার রোজায় কঠোর অবস্থানে থাকব আমরা। বাজার স্বাভাবিক রাখতে রমজানজুড়ে অধিদপ্তর কঠোর অবস্থানে থাকবে।’

গতকাল শুক্রবার দৈনিক বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বাংলার প্রতিবেদক বীর সাহাবী

কয়েক দিন পরই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাস উপলক্ষে ভোক্তা অধিদপ্তর বিশেষ কী কার্যক্রম পরিচালনা করবে?
দেখুন, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের দ্রব্যাদির ওপরে বড় বড় ছাড় দিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে হয় তার বিপরীত। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বাজার অস্থির হয়ে যায়। সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে আসন্ন রমজানে যেন পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো না হয় সে বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছি। তখন তারা তাদের সমস্যার কথা বলেছেন। আমরা সে বিষয়টিও খেয়াল রাখব। কিন্তু তারা যতটা সমস্যার কথা বলেন, বাজারে তার প্রভাব আরও বেশি ফেলেন। এ জন্যই মূলত দামটা এত বাড়ে।

রমজানে বাজার পরিস্থিতি কেমন থাকবে বলে আপনার মনে হয়?
রমজানের বাজার পরিস্থিতিটা আসলে নির্ভর করে একজনের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। এর মধ্যে বাজারের দামের একটা ব্যাপারও রয়েছে। রমজানের আগে আমাদের দেশি পেঁয়াজ উঠবে। এতে করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই। ৫০ টাকার মধ্যেই থাকবে দাম। কিন্তু আদা-রসুনের বাজার অস্থির। রমজান আসার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করে আদা-রসুনের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বাড়ছে। কিছু পণ্য হয়তো আমদানিনির্ভর, ডলারের দাম বৃদ্ধি অনুসারে ২৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারত। কিন্তু ডলারের বাজারের তুলনায় পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। তাই আমরা রমজানে কঠোর অবস্থানে থাকব। কেউ যেন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রি করতে না পারে। আর রশিদ ছাড়া যেন কেউ মালামাল বিক্রি না করে- সেদিকেও কড়া নজরদানি করা হবে।

গত সপ্তাহে আমাদের টিম আদা-রসুনের বাজার নিয়ে কাজ করেছে। আমরা কারওয়ানবাজারসহ শ্যামবাজার পাইকারি, খুচরা এবং আড়তে একটু খোঁজ নিলাম। আন্তর্জাতিক এলসি খোলার বিষয়টা খোঁজ নিলাম। যেমন- আদা, রসুন, শুকনা মরিচ এবং হলুদ- এগুলো কিন্তু ইমপোর্ট (আমদানি) নির্ভরতা আছে। সম্পূর্ণভাবে দেশি উৎপাদন দিয়ে বাজার চালানো সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে এখানে যদি ইমপোর্ট কমে যায়, দেশীয় যে উৎপাদন সেখানে কিন্তু ঘাটতি পড়বে। সামনে রমজানের পরে কিন্তু কোরবানি। তাই এসব পণ্য যদি ইমপোর্ট স্মুথ (সচল) না রাখতে পারি তাহলে স্থানীয় উৎপাদন দিয়ে এই বাজার ধরে রাখা যাবে না।

বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অধিদপ্তরের আয়োজন কতটা সফল হলো?
ভোক্তা অধিকার বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। এই প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের জন্য শুভ কামনা। আইন করে ভোক্তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেয়া বাধ্যতামূলক করতে কাজ করছি। মামলা অনুযায়ী আমাদের নিষ্পত্তির হারও ভালো। আমরা কনজুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) চালু করেছি। বিশ্ব ভোক্তা দিবসে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর মাধ্যমে ভোক্তা যেকোনো জায়গা থেকে তার অভিযোগ করতে পারবেন। অভিযোগ নম্বর ও শুনানির তারিখও পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আমরা একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছি। সব মিলিয়ে বলা যায়, ভোক্তা দিবসে আমরা ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে আরও একধাপ সামনে এগিয়েছি। তাদের সেবায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ এবং পণ্য ও সেবার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত অধিদপ্তরের বিদ্যমান সক্ষমতা কতটুকু?
ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং বিভাগীয় পর্যায়ে আটটি ও প্রত্যেক জেলায় কার্যালয় রয়েছে। জেলা কার্যালয়ে একজন সহকারী পরিচালক (এডি) ও একজন কম্পিউটার অপারেটর আছেন। এই দুজন যখন অভিযানে যান, তখন অনেকে অভিযোগ তোলেন অফিস বন্ধ। কারণ আর তো কেউ তখন অফিসে থাকছেন না। একটি জেলায় ১০-১২টি উপজেলা থাকে, তাহলে বোঝেন কত জনবল দরকার। সত্যিকার অর্থে আমরা যে পরিমাণ কাজ করছি, সেই আলোকে আমাদের জনবল কাঠামো অপ্রতুল। অথচ আমাদের অভিযোগের পরিমাণ বেড়েছে। মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে। জনবল কাঠামো বৃদ্ধির জন্য ৪৬৫ জন নতুন জনবল চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।

২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এ আইন ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কতটুকু সক্ষম?
২০০৯ সালের প্রেক্ষাপট আর ২০২৩ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়। ২০০৭ সালের প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালের আইন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ বছর চলে গেছে। জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী এটি যুগোপযোগী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সেই সময়ে কিন্তু ই-কমার্স ছিল না। এখন সেটি যুক্ত হয়েছে। ই-কমার্স নিয়ে হাজার হাজার অভিযোগ এসেছে। ২০০৯ সালের আইন অনুযায়ী, কিন্তু সেসব নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। আইনটি বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ১৬ বছর আগের দণ্ড তো এখন চলছে না, এখনকার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দণ্ড নির্ধারণ করতে হবে।

দেশের সব শ্রেণির ব্যবসায়ী বেশ প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জের?
আমরা কিন্তু একটা আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে চলি। প্রভাবটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সমাজে সে সব থাকবে। আমরা আইন অনুযায়ী আমাদের কাজ করে থাকি। আমরা খুচরা বিক্রেতা থেকে উৎপাদনকারী কাউকেই ছাড়ছি না। তাদের ব্যত্যয়গুলো তুলে ধরেছি। আমরা সরকারের কাছে জানিয়েছি। আইনে আমাদের যতটুকু ক্ষমতা দেয়া আছে, আমরা সেই পর্যন্তই যেতে পারি। আইনের কাঠামোর বাইরে তো আমরা যেতে পারি না। প্রভাব বলয়ের চাপ আমি পাইনি। ভোক্তা অধিকারের বিষয়ে যেখানে প্রশ্ন উঠছে, আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম আমাদের অনেক সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। কারণ আমাদের নিজস্ব কোনো সোর্স নেই। আমি ৯-১০ বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছি, সেই হিসেবে ব্যবসায়ীদের পালস আমি বুঝি। সে জন্য তারাও আমাদের সহযোগিতা করে। অভিযানে গেলে কখনো বাধা দেয় না। এখানে কোনো প্রভাব নেই, বরং সহযোগিতাই পাচ্ছি।

সাধারণত যেসব বিষয় মিডিয়ার মাধ্যমে সবার নজরে আসে, সেসব বিষয়েই অধিদপ্তরের তৎপরতা বেশি দেখা যায়। এর বাইরে আর কোন কোন বিষয়ে অধিদপ্তর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনুসন্ধান করে এবং ব্যবস্থা নেয়?
আমাদের তো কোনো সোর্স নেই। এটা আমাদের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু কেউ জানালেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে একটি বিরিয়ানির রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করা হয়। কসমেটিকস নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়, এটা কিন্তু কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেয়েও যাচ্ছি, নিজেদের মতো করেও যাচ্ছি। আমরা সীমিত লোকবল নিয়েই আমাদের সর্বোচ্চটা করে যাচ্ছি। আমরা সামনে আরও বড় হতে কাজ করছি।

পণ্যের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কথা দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই?
আমাদের এখানে পণ্যের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে এক্সপেকটেশন, ব্যবসার ক্ষেত্রে যেটাকে বলা হয়ে থাকে অতি মুনাফা বা আশা। আমাদের এখানে প্রফিট এক্সপেকটেশন মনে হয় বেড়ে গেছে। আমাদের অনেক পণ্যের আমদানিকারকের সংখ্যা অনেক সীমিত। এরাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের লাভ করার মানসিকতা বেড়েছে।

এ ছাড়া যারা পাইকার বা খুচরা বিক্রেতা তাদের লাভ করার ইচ্ছাও বেড়ে গেছে। আগে তারা ১০০ টাকায় ২ টাকা লাভ করে সন্তুষ্ট থাকতেন। এখন তারা ১০০ টাকায় ৫ টাকা লাভ করার চেষ্টা করছেন। ভোক্তারা সেটা মেনে নিচ্ছেন বলে আমার ধারণা। এর ফলে পণ্যমূল্য যে পরিমাণ বাড়ার কথা তার চেয়ে বেশি বাড়ছে। আমাদের দেশে আরেকটা জিনিস হয়, হঠাৎ করে একটি ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। যেমন- কিছু দিন আগে হঠাৎ করেই এক দিনের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির দাম কেজিতে ৬০-৭০ টাকা বেড়ে গেল। এভাবে কখনো চিনি বা তেল বা পেঁয়াজ-রসুন সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এখানে সরবরাহ বিঘ্নিত করে দাম বাড়ানো হয়। আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা কখনো বড় ব্যবসায়ীরা করেন। কখনো মজুতদাররা করেন। আবার পাইকাররা বা খুচরা ব্যবসায়ীরা করেন। এটাও পণ্যমূল্য বাড়ার একটি অন্যতম কারণ। আমাদের দেশে মানুষের মুনাফা করার মানসিকতায় একটি ‘স্ফীতি’ ঘটছে। এটা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এটা বন্ধ করতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের তৎপরতাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
সরকার সচেতন। বিশেষ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুব সচেতন। তিনি সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন। প্রায় প্রতিদিনই তিনি অতি মুনাফা না করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছেন। তার নির্দেশনায় আমরা কাজ করছি। রমজান মাসে পণ্যমূল্য যাতে না বাড়ে সেজন্য তিনি নানা ধরনের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সারা দেশে কম দামে চালসহ প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য যাতে সহনীয় থাকে, সন্তোষজনক থাকে, সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট না পান, এর জন্য সরবরাহ পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে, মানুষের আয় যাতে ঠিক থাকে, বাড়ে-সেজন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অসহায় গরিব মানুষকে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা পণ্যমূল্য বাড়ার জন্য বিশ্ব পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্ববাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশ্ববাজারে যা ঘটে তার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়ে। এটা হচ্ছে বিশ্বায়নের কুফল বা সুফল, যাই বলেন না কেন। আমাদের দেশে নানা রকম সংকট আছে। বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম যে বেশি, সেই সংকট তো আছেই। পাশাপাশি বাংলাদেশে আমদানি ব্যয় আমাদের রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে বেশি। ফলে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ঋণাত্বক হচ্ছে। যার কারণে দিন দিন টাকা তার মূল্য হারাচ্ছে। ডলারের দাম বাড়ছে। এক বছর আগে এক ডলার কিনতে ৮৬ টাকা লাগত। এখন এক ডলার কিনতে ১০৭ টাকা লাগে।

দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই এক বছরের বেশি সময়ের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে গেছে। জাহাজ ভাড়া বেড়েছে। ডলারের দাম বেড়েছে; জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়ে সরকার। এসব কারণে আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যতটা বাড়ার কথা, ব্যবসায়ীরা ততটা বাড়িয়েছে, নাকি বেশি বাড়িয়েছে। আমরা বিশ্লেষণ বা তুলনা করে দেখেছি, অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ব্যবসায়ীরা বেশি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্তর্জাতিক বাজার পর‌্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, তার চেয়ে বেশি দামে বাজারে পণ্য বিক্রি হয়। যেমন-বর্তমানে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হলেও চিনি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ১০৭ টাকা কেজি দরে খোলা চিনি বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে এর চেয়ে বেশি দামে।

ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় আগামী দিনে অধিদপ্তর কী ধরনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে?
ভোক্তার অধিকার সর্বজনীন বিষয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা এবং তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নের অনেক জায়গায় আমরা সফলতা দেখিয়েছি; কিন্তু ভোক্তার অধিকার যদি সংরক্ষণ না হয়, তাহলে কিন্তু উন্নয়নগুলো অনেক ক্ষেত্রে ম্লান হয়ে যাবে। প্রত্যেক ভোক্তাকে সচেতন করাই আমাদের প্রথম কাজ।


বাংলাদেশের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটেড ১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:১০
বাসস

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই শুল্ক হার ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্থা 'ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)' এর মধ্যে চূড়ান্ত দফার আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমানোর কথা জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি চূড়ান্ত করার আগ মুহূর্তে ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার ৭০টি দেশের আমদানি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বার্তায় উল্লেখ করা হয় -এই চুক্তিগুলো শুধু শুল্ক সমন্বয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে এমন অভ্যন্তরীণ নীতিগত সংস্কারও এর অন্তর্ভুক্ত। এগুলো অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত উদ্বেগের দিকগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। আলোচনার অংশ হিসেবে, দেশগুলোকে মার্কিন পণ্য কেনার বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে বলা হয়েছিল, যাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসে।

বিষয়গুলোর পরিধি বিবেচনা করলে, আলোচনা প্রক্রিয়া জটিল এবং সময়সাপেক্ষ ছিল। শুল্ক ছাড় শুধুমাত্র মার্কিন রপ্তানির ওপর শুল্ক কমানোর সাথে যুক্ত ছিল না; বরং একটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অশুল্ক বাধা দূর করতে কতটা প্রস্তুত, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবেলা করতে কতটা আন্তরিক—সেটার ওপরও নির্ভর করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি দেশের শুল্কহার নির্ধারিত হয়েছে এসব বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতির গভীরতার ভিত্তিতে।

প্রেস উইং ওই বার্তায় উল্লেখ করে, বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্কহার পেয়েছে—যা তার মূল পোশাক খাতের প্রতিযোগীদের (যেমন শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া, যারা ১৯ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পেয়েছে) অনুরূপ। এর ফলে, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের আপেক্ষিক প্রতিযোগিতা অক্ষুণ্ন থাকছে। অপরদিকে, ভারত একটি বিস্তৃত চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৫ শতাংশ শুল্ক পেয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান আলোচক ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, 'আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে আলোচনা করেছি, যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আমাদের পোশাক শিল্পকে রক্ষা করাই ছিল আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার, তবে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার প্রতিশ্রুতির দিকেও মনোযোগ দিয়েছি। এটি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্য তৈরি করবে।'

'খলিলুর রহমান আরো বলেন, ‘আজ আমরা একটি সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছি। এটি আমাদের পোশাক খাত এবং এর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য সুখবর। আমরা আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা অক্ষুণ্ন রেখেছি এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি'।


খেলাপি ঋণ রেকর্ড ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ব্যাংকিং খাত চরম সংকটজনক সময় পার করছে। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে খেলাপি ঋণ। প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসে শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের প্রায় ২৭ শতাংশ।

গত তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে। এক বছরে এই ঋণ বেড়েছে তিন লাখ ১৯ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। গত মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা।

গত বছরের জুনে ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫০ দশমিক ৯১ শতাংশ। এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়কালেও ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা বা ৫৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতীতে বড় ঋণগ্রহীতারা নীতিগত ছাড়ের সুযোগ নিয়ে পুরোনো ঋণ ‘নিয়মিত’ দেখিয়ে আবার নতুন নামে ঋণ নিতেন। এতে প্রকৃত ঋণ চিত্র আড়াল থাকত। তবে সরকার পরিবর্তনের পর মার্চ থেকে নতুন নিয়মে নির্ধারিত সময় পেরোলেই ঋণকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করা হচ্ছে। এতে প্রকৃত খেলাপি চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, শিল্প খাতের দুরবস্থা, উদ্যোক্তাদের দেশত্যাগ কিংবা কারাবরণ এবং ব্যাংকের দুর্বল ঋণ আদায় ব্যবস্থাই ঋণ প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে।


বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৃহস্পতিবার চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।

এদিন ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে এই এমপিএস ঘোষণা করবেন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এসময় গভর্নর বর্তমান মুদ্রানীতির আওতায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করতে বর্তমান এমপিএস এর ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদসহ ব্যাংকের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।


সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


সবজির বাজারে উত্তাপ, কাঁচামরিচ আড়াইশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সবজির অনেক দাম বেড়েছে। প্রায় সব সবজির দামই ৮০ টাতা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। এদিকে কাঁচামরিচের দাম প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন আড়াইশ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বেগুন ও শসার দাম উঠেছে ৮০ থেকে ১২০ টাকার ঘরে। মাছ ও মুরগিও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, গত সপ্তাহে যেসব সবজির দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, সেগুলোর দাম এখন ৬০ থেকে ১০০ টাকা। যেমন—৬০ টাকার গোল ও লম্বা বেগুন এখন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল এখন ৬০ টাকা, কাঁকরোল, লতি, বরবটি, করলা ৮০ টাকা, ৪০ টাকার পটোল, ঢেঁড়শ, লাউ, মুলা এখন ৬০ টাকা কেজি।

কচুরমুখীর কেজি ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচা কলা (হালি) ৪০ টাকা, কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। সবজির মধ্যে কেফসি প্রজাতির সবুজ কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা কেজি, হলুদ মরিচ ৮০০ টাকা কেজি, চাইনিজ ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি, গাজর ১৪০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, দেশি শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। আর ২০০ টাকার কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার, পাকিস্তানি ও দেশি মুরগির দামও আগের মতোই চড়া। বাজারে আজ ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে। আর পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা।

বিক্রেতা শিপন জানান, ‘বড় সাইজের ব্রয়লার এখন কম আসছে, তাই দাম কিছুটা বেশি। পাকিস্তানি ও দেশি মুরগির দাম এক মাস ধরে প্রায় একই আছে, তবে আগে কিছুটা কমে পাওয়া যেত।’

মাছের বাজারেও তেমন কোনও পরিবর্তন নেই। গতকাল শুক্রবার হওয়ায় অনেক ধরনের মাছের দাম কিছুটা বেশি দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো আজও দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছের দাম প্রতিকেজি ৪৫০ টাকা, দেড় থেকে ২ কেজির দাম প্রতিকেজি ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা, এক থেকে দেড় কেজির ওজনের রুই মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, আর এক কেজির কম ওজনের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে, মৃগেল মাছ প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, তেলাপিয়ার দাম প্রতি কেজি আড়াইশ টাকা, এক কেজি থেকে কিছুটা বেশি পাঙাশের দাম ১৮০ টাকা কেজি, দেড় কেজি বেশি ওজনের পাঙাশের দাম ২৫০ টাকা কেজি। শিং মাছ প্রতি কেজি সাড়ে পাঁচশত থেকে ৬০০ টাকা। চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা প্রতি কেজি, আর ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা কেজি।


চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক (ট্যারিফ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম শাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নিয়ে প্রচারণা (প্রোপাগান্ডা) চালানোর কিছু নেই।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল-এনসিটিতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সালের পর এবারই প্রথম ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে, তবে আমদানি-রপ্তানিতে খরচ বাড়বে ব্যবসায়ীদের।’

নৌ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে চায়। এ বন্দরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে হলে বিদেশি অপারেটরকে পরিচালনার ভার দিতে হবে। এ নিয়ে প্রোপাগান্ডা না ছড়াতে সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশিদের হাতে বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে, বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। গত ৭ জুলাই সাইপ পাওয়ার টেক থেকে নিয়ে বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়।’

এরপর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ২০০ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

১৬ বছর পর চলতি বছরে ৭ জুলাই থেকে এনসিটিতে পরিচালনা করছে নতুন অপারেটর চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড।

মূলত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বন্দরের অত্যাধুনিক নিউমুরিং টার্মিনালটি সুপার স্ট্রাকচার সমৃদ্ধ একটি আন্তর্জাতিকমানের এ টার্মিনালে এসেছে ব্যাপক অগ্রগতি।

তবে আগে যে প্রতিষ্ঠান এনসিটি পরিচালনা করেছে তারাও ভালোভাবে কাজ করেছে বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা।

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এনসিটিতে জাহাজে কন্টেইনার উঠা নামা কার্যক্রম পরিদর্শন এবং এর অগ্রগতি বিষয়ে অবগত হন।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

নৌবাহিনী চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, আগের অপারেটরের তুলনায় ড্রাইডক পরিচালিত এনসিটিতে ৭ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১৭ দিনে বিশ ফুট সমতুল্য কন্টেইনার দৈনিক গড় হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ টিইইউএস, যা পূর্ববর্তী মাসে একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

একই সময়ে মোট ৩০টি জাহাজের কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিং সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ১০ ঘণ্টা জাহাজের সময় কমিয়ে আনা হযেছে। বর্তমানে এনসিটির ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর জেটিতে একযোগে ৪টি জাহাজে পণ্য ওঠানামার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম ড্রাই ডকের এ কার্যকর ভূমিকা বন্দরের সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি এনেছে, যা দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীরা।


বড় উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৮ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১১২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ৫০০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২০২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে ১০৫ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৫৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


বিএসডব্লিউ ব্যবহারে এনবিআর ও বিএইআরএ- এর মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিএইআরএ) আজ বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

বাণিজ্য সুবিধা আরও সহজ করা এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এনবিআর-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় বিএসডব্লিউ সিস্টেম ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। বিএসডব্লিউ মূলত একটি অনলাইন প্লাটফর্ম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক-রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) এর জন্য অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিএলপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

সিএলপি গ্রহণের পূর্বে ব্যবহারকারীদের তাদের ব্যবসায়িক শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডব্লিউ সিস্টেমে (Website: bswnbr.gov.bd) নিবন্ধন করতে হবে।

এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যে সকল সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো: একটি কমন প্ল্যাটফর্মে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সিএলপি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা কর্তৃক যুগপৎভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে, সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিএসডব্লিউ সিস্টেম হতে ইতোমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস্যুকৃত সিএলপির সংখ্যা আজ ২০ জুলাই পর্যন্ত ৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯টি।

সিএলপি সমূহের ৮৫.৩০ শতাংশ এক ঘণ্টার কম সময়ে এবং ৯৪.১৪ শতাংশ এক দিনের কম সময়ে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সিএলপি ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার (ডিজিডিএ, ইপিবি, ডিওইএক্স, বিএনএসিডব্লিউসি, বেজা, বেপজা, ডিওই, বিএসটিআই, বিএইআরএ, বিএইসি, সিএএবি, বিটিআরসি, ডিওএফ, ডিএলএস, পিকিউডব্লিউ, বিডা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং সিসিআই এন্ড ই) ক্ষেত্রে ইস্যুকৃত সিএলপি বিএসডব্লিউ সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই ১৯টি সংস্থা বিএসডব্লিউ পোর্টালে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ৩৮টি দপ্তর/সংস্থা/মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্ত সকল অংশীজনকে বিএসডব্লিউ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।

যেকোনো প্রয়োজনে কল সেন্টার এ (হটলাইন: ১৬১৩৯) ফোন করে এবং ওয়েবসাইট (www.bswnbr.gov.bd) থেকে বিএসডব্লিউ সংক্রান্ত সকল সেবা গ্রহণ করা যাবে।­


চামড়ার জ্যাকেটে এআই স্বপ্নচারী জেনসেন হুয়াং

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

চিপ জায়ান্ট এনভিডিয়ার প্রধান জেনসেন হুয়াং মাত্র তিন বছর আগেও সাধারণ মানুষের কাছে অচেনা একজন ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর উদ্যোক্তাদের একজন।

৬২ বছর বয়সি এই মিতভাষী প্রযুক্তিবিদের কথা শুনতে এখন স্টেডিয়ামভর্তি ১০ হাজার জনেরও বেশি মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কারণ তার প্রতিষ্ঠানের তৈরি চিপগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)’র সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি জানায়, এনভিডিয়ার তৈরি গ্রাফিক্স কার্ড ইউনিট বা জিপিইউ হলো জেনারেটিভ এআই’এর চালিকাশক্তি, যা চ্যাটজিপিটির মতো প্রযুক্তিকে পরিচালনা করে।

বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর অপরিসীম চাহিদার কারণে এনভিডিয়ার প্রতিটি জিপিইউ আজ হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পেরিয়ে গেছে, যা এই মাইলফলকে পৌঁছানো প্রথম প্রতিষ্ঠান।

এই উত্থানের হাত ধরে জেনসেন হুয়াংয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ এখন ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এনভিডিয়ার প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি। তিনি ত্রিশ বছর আগে সিলিকন ভ্যালিতে এক ডিনার আয়োজনের মাধ্যমে দুই বন্ধুকে নিয়ে এটি শুরু করেছিলেন।

সম্প্রতি তার প্রভাবের প্রমাণ মিলেছে যখন তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চীনের ওপর থেকে নির্দিষ্ট জিপিইউ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি করান। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এখন এআই আধিপত্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি সনেনফেল্ড বলেন, ট্রাম্পকে তিনি বোঝাতে পেরেছেন যে, বিশ্ব যখন মার্কিন প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, তখন সেটি দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। দারুণভাবেই এটি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব মূল প্রোটোকল হিসেবে মার্কিন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে এবং এটি অবশ্যই এই দেশের স্বার্থেই। এটি চীনা সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করবে না।

প্রাথমিক জীবন :

১৯৬৩ সালে তাইপেতে জন্ম গ্রহণকারী জেনসেন হুয়াং (প্রকৃত নাম জেন-হসুন) আমেরিকান সাফল্যের গল্পের মূর্ত প্রতীক। নয় বছর বয়সে তাকে তার ভাইয়ের সঙ্গে ছোট শহর কেন্টাকির একটি বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছিল।

হুয়াংয়ের চাচা তার তাইওয়ানিজ বাবা-মায়ের কাছে এই স্কুলটিকে একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে তাকে এখানে ভার্তি করার সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু এটি ছিল মূলত সমস্যাগ্রস্ত যুবকদের জন্য একটি স্কুল ছিল।

সেখানে তিনি স্থানীয় তামাক চাষিদের সন্তানদের সঙ্গে পাবলিক স্কুলে পড়তেন। দুর্বল ইংরেজি জানার কারণে তিনি ব্যুলিংয়ের শিকার হন এবং দুই বছর ধরে টয়লেট পরিষ্কার করতে বাধ্য হন। তবে সেই কঠিন সময়ই তার জীবনকে বদলে দেয়।

মার্কিন সম্প্রচারক এনপিআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব কঠোর পরিশ্রম করতাম। আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতাম আর বাকি ছেলেগুলোও ছিল রুক্ষ ও নির্দয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি সেই সময়টাকেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম।’

চামড়ার জ্যাকেট ও ট্যাটু:

পরবর্তীতে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে ফিরে আসেন হুয়াং। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে এএমডি এবং এলএসআই লজিকে চিপ ডিজাইনের কাজ শুরু করেন।

তবে হুয়াং এতে তৃপ্ত ছিলেন না। তিনি আরও বড় কিছু করতে চেয়েছিলেন।

তিনি ১৯৯৩ সালে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন এই লক্ষ্যে যে, এটি দিয়ে এমন সব সমস্যার সমাধান করা যা, সাধারণ কম্পিউটার সমাধান করতে পারত না। তিনি ৩ডি গ্রাফিক্স সামলাতে সক্ষম শক্তিশালী সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করেন।

১৯৯৯ সালে এনভিডিয়া তৈরি করে প্রথম ডিপিইউ, যেটি ভিডিও গেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড কম্পিউটিং ও এখন জেনারেটিভ এআই-এর ভিত্তি।

সব সময় কালো টি-শার্ট ও চামড়ার জ্যাকেট পরে থাকেন হুয়াং। তার হাতে এনভিডিয়া লোগোর একটি ট্যাটুও আছে। স্পোর্টস কারের প্রতিও তার আগ্রহ আছে।

এটি তার স্থির আত্মবিশ্বাস যে, নিরপেক্ষ রাজনৈতিক অবস্থান ও আত্মপ্রচারের অভাব তাকে এলন মাস্ক ও মার্ক জুকারবার্গের মতো ব্যক্তিদের থেকে আলাদা করেছে।

তিনি কখনো ট্রাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।

ইয়েল অধ্যাপক সনেনফেল্ড বলেন, হুয়াং নিজের আভাকে এড়িয়ে যান এবং নিজের চেয়ে প্রযুক্তিকেই বেশি প্রাধান্য দেন। বিশ্বাস করেন হুয়াং আজকের সকল প্রযুক্তি টাইটানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত।

এনভিডিয়ার একজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মচারী তাকে এএফপির কাছে ‘সবচেয়ে বেশি উৎসাহী ব্যক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার সাথে তিনি কখনও দেখা করেননি।

স্ট্রিট ফুড ও জনপ্রিয়তা:

নিজ জন্মভূমি তাইওয়ানে গেলে হুয়াং যেন মেগাস্টার। ভক্তরা তার অটোগ্রাফ ও সেলফির জন্য ভিড় করেন। সাংবাদিকেরা অনুসরণ করেন তার প্রিয় বার্বারশপ থেকে শুরু করে রাতের বাজার পর্যন্ত।

উইটোলজি মার্কেট ট্রেন্ড এর ওয়েইন লিন বলেন, তার ব্যক্তিত্বের আকর্ষণই এই উন্মাদনার জন্ম দিয়েছে। এত বড় মানুষ হয়েও তাইওয়ানে এলেই তিনি স্ট্রিট ফুড খেতে ভুলে যান না। তিনি অসাধারণ বন্ধুসুলভ।

এনভিডিয়া একটি সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান, যা হুয়াংয়ের চারপাশে কোনো নাটকীয়তা না রাখার চেষ্টা করে।

তবে ওই সাবেক কর্মকর্তা বলেন, হুয়াং একজন ‘দ্বৈত ব্যক্তিত্বের’ অধিকারী। তিনি যেমন কর্মীদের জন্য দায়িত্বশীল, তেমনি ভুলের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের চরমভাবে তিরস্কার করতেও পিছপা নন।


বিশ্ববাজার মাতাচ্ছে সাতক্ষীরার সফটশেল কাঁকড়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় চাষ হওয়া নরম খোসার (সফটশেল) কাঁকড়া আন্তর্জাতিক বাজারে বিপুল চাহিদা তৈরি করেছে।

বর্তমানে সফটশেল (নরম খোসার) কাঁকড়া সাতক্ষীরা জেলার মানুষের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলে কাঁকড়া উৎপাদনের জন্য প্রতি বছর গড়ে উঠছে নতুন নতুন খামার, যা জেলা তথা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

সম্পতি সাতক্ষীরা জেলা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সূত্রে এই সব তথ্য পাওয়া গেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন মাসে কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-জুন) এ রপ্তানি ছিল ৯ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এতে বিগত বছরে চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। শুধু চলতি বছরের জুন মাসে রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমান বাণিজ্যিকভাবে চাষ যোগ্য কাঁকড়ার মধ্যে শিলা কাঁকড়া অন্যতম।

শিলা কাঁকড়া খোলস বদলের সময় প্রায় ৩ ঘণ্টা খোলস বিহীন থাকে। তখন কাঁকড়ার ওপর শুধু একটি নরম আবরণ থাকে। ঠিক সেই সময় কাকড়াঁগুলো বিক্রির জন্য উপযুক্ত হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে সফটশেল (নরম খোসা) কাঁকড়ার উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়, যার কারণে অনেক চাষি চিংড়ি ছেড়ে এখন কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন। লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা এখন চিংড়ি চাষ ছেড়ে কাকড়াঁতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বেশি।

বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ছাড়াও সদর উপজেলা ও কালিগঞ্জ উপজেলাসহ অন্যান্য স্থানেও সফটশেল কাঁকড়া চাষ হচ্ছে।

কাঁকড়া চাষে পুকুরের পানির উপরিস্তর ব্যবহৃত হয়। যাতে অব্যবহৃত থাকে পানির নিচের স্তর। পুকুরের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কাঁকড়ার পাশাপাশি সাদা মাছ যেমন- রুই, কাতলা ও তেলাপিয়াসহ নানা মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেক চাষি।

সফটশেল কাঁকড়া সাধারণত খাঁচা পদ্ধতিতে চাষ হয়। যাতে পানির ওপরে খাঁচাগুলোতে কাঁকড়া চাষ করলে নিচের স্তরের পানিতে সাদা মাছের চাষ করা যায়।

সফটশেল কাঁকড়া দ্রুত প্রক্রিয়াজাত ও রান্না করা যায় বলে আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা বেশি। বর্তমানে সফটশেল কাঁকড়া চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন এশীয় দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

কাঁকড়া শুধু সাতক্ষীরা জেলার মানুষের আয়েরই উৎস নয়, বরং কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে এই অঞ্চলে মানুষের বেকারত্বও দূর করছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এই কাজ করে স্বাবলম্বি হচ্ছেন।

সরেজমিনে শ্যামনগর উপজেলার কয়েকটি কাঁকড়ার খামারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁকড়ার খামারে কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন নারী ও পুরুষরা। কেউ ছোট ছোট করে কাটছেন কাঁকড়ার খাবার তেলাপিয়া মাছ এবং কেউ কেউ নিয়ম করে দেখছেন কাঁকড়ার খোলস পাল্টাচ্ছে কি না।

খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সফটশেল কাঁকড়া রপ্তানিতে গত ২ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬৪৪ দশমিক ৭৬৮ মেট্রিক টন সফটশেল কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছিল, যার বাজার মূল্য ছিল ৮ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরবর্তী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬৬ দশমিক ৮৮৮ মেট্রিক টনে। যার বাজার মূল্য ছিল ১৪ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে ১ বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে সফটশেল কাঁকড়ার রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮০২ দশমিক ৭১৩ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য ছিল ১১ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শ্যামনগরের দুগাবাঁটি এলাকার কাঁকড়া চাষ করেন গৌতম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আমাদের অর্থনৈতিক একটা ঝুঁকি সব সময় থাকে। চিংড়ি পোনার লবণাক্ততা সহ্য করার ক্ষমতা কম এবং পোনায় ভাইরাসের আক্রমণে এটি মারা যায়। তাই আমি এবার কাঁকড়া চাষ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, এতে তুলনামূলক লাভ বেশি হয় ও কাঁকড়ার পাশাপাশি পুকুরে সাদা মাছ চাষ করছি, যাতে এটি থেকেও আর্থিকভাবে কিছুটা লাভবান হওয়া যায়।

একই এলাকার চাষি সৌরভ সরকার বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের সবাই সফটশেল কাঁকড়া চাষ করছেন। আমি এই মৌসুমে ৭০০ খাঁচায় তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা । বাজার ভালো থাকলে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। বর্তমানে ‘এ’ গ্রেডের সফটশেল কাঁকড়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, ‘বি’ গ্রেডের ৬৫০ টাকা, আর ‘সি’ গ্রেডের ৫০০ টাকা দামে।’

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম বলেন, ‘সফটশেল কাঁকড়ার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। চাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা আধুনিক ও টেকসই পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, তবে বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায়, চাষিরা কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহে কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। এই সংকট মোকাবিলায় সরকারিভাবে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।


দরপতন ঠেকাতে আরও ৩১ কোটি ডলার কিনবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের দরপতন ঠেকাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে আরও ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে আরও ৩১ কোটি ৩ লাখ ডলার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, ২২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এই ডলার কিনবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এর আগে গত রবিবার ১৭০ কোটি ডলার বাজার থেকে তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলছে, রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত।


এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন মারা গেছেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সাঈদ হোসেন চৌধুরী কর্ণফুলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী, ভাষাসৈনিক ও সমাজসেবক হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর ছেলে এবং কর্ণফুলী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও দেশ টিভির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরীর বড় ভাই।

তিনি দেশের চা শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মালিকানাধীন এইচআরসি গ্রুপ দেশের অন্যতম চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে।

এইচআরসি গ্রুপ শুধু চা শিল্প নয়- পর্যটন, জাহাজ নির্মাণ, আবাসন, পরিবহন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সাঈদ হোসেন চৌধুরী আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি স্পেনে বাংলাদেশের সাবেক অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কূটনৈতিক মহলে তার ভাবমূর্তি ছিল অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।

তিনি দীর্ঘসময় ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ফোরামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

শিল্পোদ্যোক্তা হলেও তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। শিক্ষাবিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা ও দারিদ্র্য বিমোচনে তার বিভিন্ন উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

বিজনেস লিডার ও সমাজসেবী হিসেবে তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন জাতীয় সংগঠন তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে।

সাঈদ হোসেন চৌধুরী মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা শোকাহত।


সূচকের সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

আপডেটেড ১৪ জুলাই, ২০২৫ ২১:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৪ জুলাই) পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার (১৪ জুলাই) ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১০৪ ও ১৯০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে ৫৬৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৬৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।

সোমবার (১৪ জুলাই) ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।

এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, খান ব্রাদার্স, বিচ হ্যাচারি, বিএটিবিসি, সী পার্ল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইসলামী ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, রহিমা ফুড ও মিডল্যান্ড ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সোমবার (১৪ জুলাই) ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর।

সোমবার (১৪ জুলাই) সিএসইতে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।


banner close