শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনও

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
আপডেটেড
১৯ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৩৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনও। রোববার ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২০৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ২১৭ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, দর কমেছে ৮৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৩টির।

ডিএসইতে ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম। এর আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩২৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৩১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৫টির এবং ৭৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না: ডিএসই চেয়ারম্যান

বৃহস্পতিবার সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডিএসই চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ২০:৩৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, ‘বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রেক্ষাপট ও গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিএসইও অবকাঠামোগতভাবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাবে। কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।’

বৃহস্পতিবার সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডিএসইর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ডিএসই কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডিএসই ও সিইও ফোরামের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য, আর সেটি হলো পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমি ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। তাই ব্রোকারেজ হাউজ এবং ডিএসই এই দুই প্রান্তের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে।’

ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক বিবেচনায় দেশের পুঁজিবাজার এমন থাকতে পারে না। সকল পক্ষের অংশীদারিত্বমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং যথোপোযুক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের পুঁজিবাজারের পরিবর্তন আনতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতায় আমরা বাজারের উন্নয়ন করতে চাই। অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, পুঁজিবাজার পিছিয়ে থাকতে পারে না।’

সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে বেশ কিছু সমস্যা কাজ করছে। এরমধ্যে এক্সপোজার লিমিট, মাল্টিপল ট্যাক্স, ফ্লোর প্রাইস, ভালো ভালো কোম্পানি বাজারে না আসা ইত্যাদি বিষয় অন্যতম। আমরা আশা করি, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সব রেগুলেটর সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করবে। আমাদের সহযোগিতা সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকবে।’

বিষয়:

শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনের উত্থান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৯টি এবং কমেছে ৪৫টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৯৫টির।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিক হোটেল ৪১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ৩৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ৩৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ১৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সি পার্ল বিচ ১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, আমরা নেটওয়ার্ক ১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা, এডিএন টেলিকম ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বুধবার ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৪টি, কমেছে ২৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬০টির।


ফের ২০০ কোটিতে নামল পুঁজিবাজারের লেনদেন

মঙ্গলবার ডিএসইতে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৭২ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকার। ছবি: ডিএসই ওয়েবসাইট
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা পতন চলছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্য দিবস মঙ্গলবারও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুদিন পতন দেখল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। এ দিন সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ১০ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট সূচক কমে লেনদেন শেষ হয়েছে। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৭২ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩১৭ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর আগে গত ২৩ মার্চ পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার।

ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ২৮৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৮টির এবং কমেছে ৫৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০১টির। এদিন ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ইস্টার্ন হাউজিং ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

এদিন লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিক হোটেল ১৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, সি পার্ল বিচ ১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা, আরডি ফুড ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আলহাজ টেক্সটাইল ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং আমরা নেটওয়ার্ক ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দেশের অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৩৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৮টির।


বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ডিএসইর শ্রদ্ধা

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ডিএসই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পরিচালনা পর্ষদ
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু ও সংস্থাটির নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ডিএসই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পরিচালনা পর্ষদ। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর নব-নিযুক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও মো. আফজাল হোসেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্তিক আহমেদ শাহ, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ছামিউল ইসলাম, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো ও শফিকুর রহমান।

গত ৫ মার্চ অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ঢাবির ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্রাফিক কমিশন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন এবং ওরাকল বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান এর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলাকে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে অনুমোদন দেয় দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিষয়:

সূচকের পতনে লেনদেন শেষ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সব মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি।

তথ্যমতে, সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১১ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। একইসঙ্গে ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২ পয়েন্ট কমে এবং ‘ডিএসইএস’ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ২২১৫ ও ১৩৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে ৩১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে মোট ২৮৩ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৮ কোম্পানির। দরপতন হয়েছে ৭২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর।

অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার।


বীর শহীদদের প্রতি ডিএসইর শ্রদ্ধা

রোববার সকালে ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৮:১২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই)।

রোববার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের প্রতি এই শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ডিএসইর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নব-নিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্তিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ছামিউল ইসলাম, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান।


অর্থ আত্মসাৎ: ইউএফএস’র এমডির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএসইসি

আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৩ ২০:৩৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (ইউএফএস) এর বিরুদ্ধে বিনিয়োগেকারীদের টাকা নিয়ে নয়-ছয় করার প্রমাণ পেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিনিয়োগকারীদের প্রায় ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ইউএফএস’র বিরুদ্ধে। এরপর বিএসইসি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পায় বিএসইসি।

বিএসইসি তদন্ত করে ইউএফএস’র বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মিউচুয়াল ফান্ড বিধি ২০০১ ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে। তারা এখন ইউএফএস’র লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ইউএফএস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইউএফএসের ২০৭ কোটি টাকা আত্মসাতে আইসিবির মামলা

এ ছাড়া ট্রাস্টি ও কাস্টোডিয়ান হিসেবে ব্যর্থতার জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর তখনকার ট্রাস্টি ও কাস্টোডিয়ান বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তি আরোপ করা হবে না, এই মর্মে নোটিশ জারিরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিরীক্ষা ফার্ম আহমেদ জাকির অ্যান্ড কোং ও রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত মাসের শুরুতে চারটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উধাও হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে। পর আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয় ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লোপাট হওয়া অর্থের পরিমাণ আরও ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

এর আগে চারটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা নিয়ে ১৩ অক্টোবর দুবাই পাড়ি জমান ইউএফএসের এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর। ২০১৮ সাল থেকে তহবিল সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির তদন্তে উঠে আসে।

এই জালিয়াতির ক্ষেত্রে ব্যাংকের প্রতিবেদন জালিয়াতি ও ভুয়া এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিড রেট) দেখিয়ে বিএসইসিকে অন্ধকারে রাখা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে চার বছর নিষ্ক্রিয় ছিল ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান (গ্যারান্টি দেয়া প্রতিষ্ঠান) আইসিবি।

চলতি বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ২ জানুয়ারি এমডির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চান হাইকোর্ট। পাশাপাশি সৈয়দ আলমগীরের দুবাই পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও আইসিবিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়।

পরদিন ৩ জানুয়ারি ইউএফএস ও এর এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীরসহ ১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত বা জব্দ করা হয়। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন বন্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ কথা জানিয়ে চিঠি পাঠায়।


পুঁজিবাজারে নেই বিদেশি বিনিয়োগ

আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০৯:২৮
আবদুর রহিম হারমাছি

পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ নেই। গত আড়াই বছর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এক টাকাও বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। উল্টো অতীতে যে বিনিয়োগ এসেছিল, সেগুলোও বিক্রি করে দিয়ে টাকা দেশে নিয়ে যাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের যে বেহাল দশা তার জন্য বিদেশি বিনিয়োগের এই করুণ দশাও একটি কারণ বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিট বিনিয়োগের (পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট) পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর পরের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এটি কমে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা আরও কমে নেমে আসে মাত্র ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারে। ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়। অর্থাৎ ওই বছরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যতো বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল, তার থেকে প্রায় ২৭ কোটি ডলার বেশি চলে যায়।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরেও সেই ঋণাত্মক ধারা অব্যাহত থাকে; বছর শেষে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ২০ কোটি ডলারের মতো ঋণাত্মক হয়। সর্বশেষ চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই তথ্যই বলছে, গত আড়াই বছরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন কোনো বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি।

অথচ দেশে সার্বিক বিদেশি বিনিয়োগ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। দুই বছরের করোনা মহামারির পর এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো হোঁচট খেলেও বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৩০৬ কোটি ৬০ লাখ (৩.০৭ বিলিয়ন) ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে দেশে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই সাত মাসে ২৭৩ কোটি (২.৭৩ বিলিয়ন) ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই সাত মাসে দেশে নিট এফডিআই বেড়েছে ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। ১৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের নিট এফডিআই এসেছে দেশে। গত বছরের এই সময়ে এসেছিল ১২৯ কোটি ডলার।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৪৭০ কোটি ৮০ লাখ (৪.৭১ বিলিয়ন) ডলারের এফডিআই এসেছিল দেশে, যা ছিল আগের বছরের (২০২০-২১) চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি। নিট এফডিআই বেড়েছিল আরও বেশি, ৬১ শতাংশ। গত অর্থবছরে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিট এফডিআই এসেছিল ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ঘিরে দেশে বিনিয়োগের যে আবহ তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে বিদেশি বিনিয়োগে। সংকটের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াকে দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গল বলছেন তারা। বিশ্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এফডিআই আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা। কিন্তু এই ইতিবাচক ধারার মধ্যে পুঁজিবাজারে বিদেশি না আসায় হতাশ হয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে চলা বাজারের মন্দাবস্থাই এর কারণ বলে মনে করছেন তারা।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো পুঁজিবাজারে ৪ থেকে ৫ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ থাকা ভালো। আমাদের বাজারেও তেমনটাই ছিল। কিন্তু ২০০৯-১০ সালে বাজারে বড় ধসের পর ৪-৫ বছর বিদেশি বিনিয়োগ ছিল না বললেই চলে। ২০১৫ সাল থেকে কিছুটা আসতে শুরু করে। মাঝে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ভালোই বিনিয়োগ করেছিল। ২০২০ সালে বাজারে যে একটা ধস হয়েছে সে আতঙ্কে অনেকে চলে গেছে। আর আসেনি। এখন সামান্য যে বিদেশি বিনিয়োগ আছে, সেটা আগে বিনিয়োগ করা। বাজার সুস্থ-স্বাভাবিক না হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবে না বলে জানান তিনি।

বিদেশি বিনিয়োগের এই করুণ দশা নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘২০২১ সালের প্রথমার্ধে কিছুদিন আমাদের বাজার ভালো ছিল। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছিল; বেশির ভাগ শেয়ারের দাম চড়া ছিল। ওই চড়া বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগ করেনি। বরং মুনাফা তুলে নিতে হাতে থাকা শেয়ারগুলোই বিক্রি করে দিয়েছেন। এরপর থেকে বাজারে আর নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। সে কারণে নিট বিনিয়োগ অনেক দিন ধরে নেগেটিভ রয়েছে।’

আন্তর্জাতিক বড় বড় বাজারের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসলে অনেক কিছু চিন্তা করে বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অডিটসহ স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, স্টক এক্সচেঞ্জের পারফর্মমেন্স ইত্যাদি। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে আমাদের পুঁজিবাজার দুই মাসের বেশি বন্ধ ছিল। এটা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পছন্দ করেনি। মূলত সে সময়ের পর থেকেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। নতুন করে কেউ বিনিয়োগ করেনি।’ তবে এখনো কয়েকটি ভালো কোম্পানিতে বিদেশিদের বিনিয়োগ আছে বলে জানান স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রথম প্রথম যখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন সেটা করেছেন মূলত ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে। এক বছরের ব্যবধানে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ৮৬ টাকার ডলার এখন ১০৭ টাকায় উঠেছে। সব দেশেই ডলারের বাজার অস্থির থাকলে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়। কেননা, ডলারের দাম বেশি থাকলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যখন শেয়ার বিক্রি করেন তখন তারা আগের চেয়ে কম পরিমাণ ডলার নিয়ে যেতে পারেন। আমাদের বাজারে সেটাই হয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় নতুন কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ নিয়ে আসেনি। এর মধ্যেও কিছু বিনিয়োগ আসতে পারত। কিন্তু পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইজ থাকার কারণে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি।’

২০১০ সালের মহাধসের এক দশক পর ২০২০ সালের ১৭ মে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে চেয়ারম্যান করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুনর্গঠন করা হয়। এরপর বাজার চাঙা করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। মাঝেমধ্যে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। দিন যত গেছে বাজারের অবস্থা ততই খারাপ হয়েছে। এখন অবস্থা খুবই খারাপ; লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে। গতকাল বুধবার দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩২৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে; প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬ পয়েন্টের বেশি। মাঝে এই বাজারে লেনদেন ২০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছিল।

দায়িত্ব নেয়ার পর পুঁজিবাজারে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রোড শোর আয়োজন করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। কিন্তু তার কোনো ইতিবাচক ফল এখনো বাজারে পড়তে দেখা যায়নি।


পুঁজিবাজার সংকটময় সময় পার করছে: ডিএসই চেয়ারম্যান

বুধবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পুনর্নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ডিএসইর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ মার্চ, ২০২৩ ২২:০৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, পুঁজিবাজার বর্তমানে এক সংকটময় সময় পার করছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বুধবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পুনর্নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ডিএসইর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন।

ডিএসই চেয়ারম্যান হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু সিএসইর চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আপনার নিয়োগ নিঃসন্দেহে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে সরকারের যে আস্থা রয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করি, আপনার নেতৃত্বে দেশের পুঁজিবাজার আগামীতে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করবে এবং পুঁজিবাজারের গতিশীলতা আনয়ন করবে।’

তিনি বলেন বলেন, ‘পুঁজিবাজার বর্তমানে এক সংকটময় সময় পার করছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আস্থার সংকট চলছে, সে অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। এ জন্য আমাদের একটি কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে।’

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেকোনো মূল্যেই হোক বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারকে গতিময় করে তুলতে হবে।’

সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ‘ডিএসই এবং সিএসই একসঙ্গে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করবে। তার মধ্যে আমরা যে বিষয়ে কথা বলেছি সেটা হচ্ছে, পুঁজিবাজারে আরও বেশি পরিমাণে ভালো সিকিউরিটিজ লিস্টেড করতে হবে এবং আরও প্রডাক্ট চালু করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ওপর আমাদের যথেষ্ট জোর দিতে হবে, যাতে আমরা পুঁজিবাজারকে আরও অনেক বিকশিত করতে পারি। আমরা এ বিষয়ে একমত হয়েছি, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জই একসঙ্গে পরামর্শমূলক মেকানিজম ও আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে রেগুলেটরের কাছে যাব যাতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ভালো একটা পরিবর্তন আনতে পারি।’

এ সময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম সাইফুর রহমান মজুমদার এবং সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।


সূচক ও লেনদেন কমেছে

আপডেটেড ২২ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্য দিবসে সূচক ও লেনদেনে ভাটা পড়েছে। এ দিন সূচক কমার সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সব সূচকের পতন হয়েছে। এদিন প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হারিয়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ছয় হাজার ২০৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া ‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমেছে।

সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনও কমেছে। এদিন ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে, যা গত ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ডিএসইতে মোট ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ২১৩টি কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর বেড়েছে ১৭ কোম্পানির, বিপরীতে ৮২ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

এদিকে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে সাত কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বিষয়:

লেনদেন ফের নামল ৩০০ কোটির ঘরে

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্য দিবসে পুঁজিবাজারের লেনদেন ৩০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছে। লেনদেন কমার সঙ্গে সঙ্গে মূল্য সূচকেরও পতন হয়েছে। গত কয়েকদিন ৫০০ কোটি, ৬০০ কোটি ও ৭০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছিল।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। যা আগের দিনের তুলনায় ১০৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কম। লেনদেন কমার পাশাপাশি আগের দিনের থেকে সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২০৪ পয়েন্টে।

তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছ। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন দর বেড়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ৫১টি, দর কমেছে ৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৪টি কোম্পানির।

অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নামমাত্র উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।


জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৯ মার্চ, ২০২৩ ২১:৫৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু ও নবনিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন এবং রুবাবা দৌলা বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত মন্তব্য খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

রোববার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ।

এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম সাইফুর রহমান মজুমদার, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্তিক আহমেদ শাহ, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ছামিউল ইসলাম, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এবং ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিকুর রহমান।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিএসইসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্রাফিক কমিশন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন এবং ওরাকল বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলাকে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে অনুমোদন দেন। পরে গত ৫ মার্চ ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বিষয়:

banner close