বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বেঁধে দেয়া দামে চিনি ও পাম তেল মিলছে না

চিনি ও পাম তেল।
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:২৪

বীর সাহাবী

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে চিনি ও পাম তেল বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী জানেনই না এ দুটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার খবর।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। যা গতকাল রোববার থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হলেও সে নির্দেশনা অনুযায়ী পাম সুপার খোলা তেল ও চিনি বিক্রি করছেন না দোকানিরা।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মহাখালীসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেঁধে দেয়া এ দুটি পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

দেখা যায়, পাম সুপার তেল সেই আগের দাম ১৪৫ টাকা লিটারেই বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেন সরকারের বেঁধে দেয়া দামে চিনি ও পাম তেল বিক্রি করছেন না- এ প্রশ্নে কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো দাম নির্ধারণ করি না। দাম যারা নির্ধারণ করে তারাই এসব বিষয়ে বুঝবে। আমরা বেশি দাম দিয়ে কিনেছি, তাই সে দামেই বিক্রি করব। আমাদের কাছে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি।’

বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, দেশে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সবাই তড়িঘড়ি করে দাম বাড়িয়ে দেন। কিন্তু যখন সে পণ্যের দাম কমার ঘোষণা আসে সরকারের পক্ষ থেকে, তখন আর কেউ সহজে দাম কমাতে চান না। বিগত দিনগুলোতে এমন কর্মকাণ্ডের জন্য বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণও দিতে হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানকে। তার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না।

গত বৃহস্পতিবার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার, কাজী ফার্মস, সিটি গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। তার পরও বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। বেশি মূল্যে পণ্য কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের; সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি হিসাব-নিকাশ করে চিনি ও পাম তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; কিন্তু সে মূল্যে কোনো ব্যবসায়ী এই দুটি পণ্য বিক্রি করছেন না।

দাম বাড়লে তা সরকারি নির্দেশনা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে কমে যেতে হবে এমন কোনো আইন নেই বলে মনে করেন মহাখালীর এক খুচরা দোকানি। মফিজ উদ্দিন নামে এ বিক্রেতা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মূল্য সরকারিভাবে বাড়ানো হয়েছিল। আমরা সে অনুযায়ীই বিক্রি করছি। এখন আজ থেকে আবার কমার সিদ্ধান্ত দেয়া আছে শুনেছি। কমার সিদ্ধান্ত দিলেই কি সঙ্গে সঙ্গে কমিয়ে ফেলতে হবে? সিদ্ধান্ত নিছে কমার, তা আস্তে আস্তে কমবে।’

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য শাখা দুটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে; যা গতকাল রোববার থেকে কার্যকর হয়। নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী, পাম সুপার তেল প্রতি লিটার খুচরায় সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকা; যা এত দিন ১৪৫ টাকায় নির্ধারিত ছিল। মিল গেটে পাম তেল প্রতি লিটার ১২৮ টাকা এবং পরিবেশক পর্যায়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একইভাবে পরিশোধিত খোলা চিনি প্রতিকেজি ৮৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ৮৯ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল গেটে খোলা চিনি প্রতিকেজি ৭৯ টাকা এবং পরিবেশক পর্যায়ে ৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে প্যাকেটজাত চিনি মিল গেটে ৮২ টাকা এবং পরিবেশক পর্যায়ে ৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার ‘দ্য কন্ট্রোল অব অ্যাসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬’ এর ক্ষমতাবলে মিল গেট, পরিবেশক ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে তেল, চিনির দাম নির্ধারণ করল।

এর আগে বিভিন্ন সময় তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সবশেষ বাজার বিশ্লেষণ করে চিনি ও পাম তেলের দাম কমিয়ে ঠিক করে দেয়া হলো।

চাল, লবণসহ অত্যাবশ্যকীয় অন্তত ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়া হবে বলে চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকশি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, আমাদের নির্ধারিত মূল্যেই পাম তেল ও চিনি বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে মন্ত্রণালয় মূল্য কমিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে। যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। বেঁধে দেয়া নতুন দর অনুযায়ী, খুচরায় চিনির মূল্য কেজিতে ৬ টাকা এবং পাম তেলের দাম লিটারে ১২ টাকার মতো কমেছে। তবে এ মূল্যের বাইরে যদি কোনো ভোক্তা কেনাকাটা করে তাহলে সে আইন অনুযায়ী ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভোক্তা জরিমানার ২৫ শতাংশ ফেরত পাবে।’

ভোক্তার অভিযোগ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান লতিফ বকশি।

এ প্রসঙ্গে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সরকার শুধু মূল্য বেঁধে দিলে হবে না, বাজার তদারক করতে হবে; মনিটর করতে হবে। যে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে, সেই মূল্যে ব্যবসায়ীরা যাতে বাজারে পণ্য বিক্রি করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার, কাজী ফার্মস, সিটি গ্রুপসহ ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করাকে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের ‘শুভ সূচনা’ বলে মন্তব্য করেছেন গোলাম রহমান।

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পরে প্রথম কোনো দৃশ্যমান কাজ করল প্রতিযোগিতা কমিশন। কিছু করল বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা কমিশন। আর এই কাজকে শুভ সূচনা বলে আমি মনে করি।’

গোলাম রহমান বলেন, ‘ভোক্তাদের স্বার্থে প্রতিযোগিতা কমিশন তো এত দিন কিছুই করেনি। এই প্রথম বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করল। এখন দেখতে হবে, কত দ্রুততার সঙ্গে মামলাটির নিষ্পত্তি হয়। আইন অনুযায়ী কাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অন্যায়ভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষের পকেট থেকে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই অপরাধে যদি সত্যিই এদের উপযুক্ত শাস্তি হয়, তাহলে বাজারে এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। অন্যরা ভয় পাবে, অযৌক্তিকভাবে ইচ্ছামতো আর পণ্যের দাম বাড়াবে না। দেশের মানুষ স্বস্তি পাবে।’


আবার কমলো সোনার দাম

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কমেছে সোনার দাম। আজ বুধবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাজুস। সে দিন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল বিকেল থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

এদিকে সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২৩-২৪ করবর্ষের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রপ্তানি শুল্ক মিলে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা, যা বিগত করবর্ষের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। গত করবর্ষের ৯ মাসে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, খাতভিত্তিক রাজস্ব আয়ের হিসাব হলো- ৯ মাসে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে ১ লাখ ৭০২ কোটি ৩৯ লাখ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা আয় হয়েছে। তবে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। ৯ মাসে যে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ করবর্ষের ৯ মাসে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আহরণ ছিল ৬৭ হাজার ৩৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। চলতি করবর্ষের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসের ৭১ হাজার ২২৭ কোটি ২২ লাখ টাকার আয়কর রাজস্ব আয় এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও আয়করের মত মূসক আহরণের ক্ষেত্রেও উল্লেখ করার মতো প্রবৃদ্ধি এসেছে। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসে মূসক রাজস্ব আয় ছিল ৮৬ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।


আবার কমলো সোনার দাম

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়ে।

সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম হবে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল বিকেল থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

এর আগে চল‌তি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বাড়ানো হয়েছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর এক দিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এরপর ৪৮ ঘণ্টা পার না হতেই ভালো মানের সোনার ভরি ৩ হাজার ১৩৮ কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস।


দাবদাহে চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে ডাবের দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। চলমান দাবদাহে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য চাহিদা বেড়েছে ডাবের। সে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে দামও। রাজধানীতে ৩০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর মাঝারি ও বড় আকারের ডাব প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এটি এ বছরের রেকর্ডমূল্য।

মতিঝিল এলাকায় ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করেন জুসিনুর। তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখেননি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও নয়।

সদরঘাটের বাদামতলীতে ডাব ও ফলের পাইকারি বিক্রেতা ইব্রাহিম সরদার জানান, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত কিন্তু এবার তীব্র দাবদাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।

উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন আর সেই কারণে পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা। সে কারণেই তাকেও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে বেশি দামেই ডাব কিনতে হয়েছে।

গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ, গুলিস্তান, পল্টন ও শাহবাগ এলাকায় ডাবের দাম বেশ বাড়তি দেখা গেছে। ঢাকার অন্যতম পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারেও দেখা গেছে ডাবের দাম বেশি। ব্যবসায়ীদের দাবি, বরিশাল, ভোলা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, ফরিদপুর, যশোর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের সরবরাহ পয়েন্টেও বেড়েছে ডাবের দাম।

গত ১০ দিনের ব্যবধানে সরবরাহ পর্যায়ে ডাবের দাম প্রতিটিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বিক্রেতা সূর্য আলী জানান, ১০০টি ডাবের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এত চড়া দাম আগে দেখা যায়নি। গত রমজান মাসেও ডাবের দাম ২ থেকে ৩ হাজার টাকার কম ছিল বলে জানান তিনি।

এই দামে ক্রেতারা কিছুটা অসন্তুষ্ট হলেও গরমে পানির চাহিদা মেটাতে ডাব কিনছেন তারা। মৌচাক মোড়ে ডাব খেতে খেতে মো. মিলন নামের এক পথচারী বলেন, ঈদের আগে রমজানের মধ্যে ৬০ টাকা দিয়ে যে আকারের ডাব কিনেছিলাম; আজ সেই একই আকারের ডাম ১২০ টাকা দিয়ে খেলাম। গরমে আর কিছু তো সেভাবে খাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য দাম দিয়ে হলেও ডাব খেলাম।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে ঢাকায় একটি ডাবের দাম ছিল গড়ে ২২ টাকা। ২০২০ সালে প্রতিটির দাম উঠেছিল ৭৪ টাকা।

ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ডাবের গড় দাম ১০০ টাকার নিচে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে নারিকেলের উৎপাদন ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯১ টন থেকে কমে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ২২১ হেক্টর জমিতে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৬০ টনে নেমে এসেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের পর থেকে নারকেলের উৎপাদন কমতে শুরু করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫১ টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৩২ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৮ টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৬০ টন নারিকেল উৎপাদন হয়েছে। ভোলা জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮৮ হাজার টন নারিকেল উৎপাদিত হয় এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলায় উৎপাদন হয় ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৫০ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বছরব্যাপী ফল উৎপাদন ও পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারিকেলের চাষ বাড়ছে না। দেশে চাহিদা বাড়ায় ডাব ও নারিকেলের উভয়ের দামই বেড়েছে বলে জানান তিনি।


কমানোর পরের দিনই বাড়ল সোনার দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কমানোর পরের দিনই বাড়ল সোনার দাম। ভালো মান বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বেড়েছে ৬২৯ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৭ টাকা।

আজ রোববার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রোববার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৫১৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৪২০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল দেশের বাজারে রেকর্ড সোনার দাম বাড়ায় বাজুস। ওই সময় ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮টাকা। এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল। পরে গতকাল শনিবার ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে ৮৪০ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।


প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান রাষ্ট্রদূত ইমরানের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ ইমরান।

তিনি একই সাথে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে প্রবাসে দেশের অসাধারণ সাফল্য গাঁথা তুলে ধরার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সোনালী এক্সচেঞ্জের ‘গ্রাহক সমাবেশ ও এসইসিআই (SECI) অ্যাপ ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ আহ্বান জানান।

বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আফজাল করিম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ইনকরপোরেশন, ইউএসএ-এর সিইও দেবশ্রী মিত্র।

রাষ্ট্রদূত ইমরান উল্লেখ করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত দেড় দশকে সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন এই সময়কালে দেশে অনেক ইতিবাচক অর্জন ও পরিবর্তন ঘটেছে এবং যদি আমরা এই সাফল্যের গল্প সবাইকে জানাতে পারি ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে দেশ একটি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বাংলাদেশ একটি বিজয়ী জাতি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই জাতি বহুল আকাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই লক্ষ্য অর্জন থেকে দেশ এখন আর বেশি দূরে নয়।

রাষ্ট্রদূত বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের এসইসিআই অ্যাপ প্রবর্তনের প্রশংসা করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অ্যাপটির সুবিধাগুলো সবাইকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

তিনি ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক বর্তমানে প্রদত্ত বিভিন্ন কনস্যুলার সেবার কথাও সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

সোনালী ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আফজাল করিম তার বক্তব্যে দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সেবা জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে এর বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এসইসিআই অ্যাপের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন এই অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রবাসীরা তাৎক্ষণিকভাবে এবং সহজে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ও বৈধ পথে অর্থ পাঠালে দেশ অত্যন্ত উপকৃত হবে।

ওয়াশিংটন ডিসি এবং এর পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যগুলিতে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দুতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।


এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এল ১২৮ কোটি মার্কিন ডলার

আপডেটেড ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্যমতে, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

এর আগে মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার।


বাজার মূলধন বাড়ল সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা 

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্য সূচক কমেছে। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। এর আগে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে দুই মাসের বেশি সময় ধরে নিম্নমুখী ছিল শেয়ারবাজার। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন এক লাখ কোটি টাকার ওপরে কমে যায়। তবে ঈদের আগে শেষ চার কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকে বাজার। অবশ্য তাতে খুব একটা উপকার হয়নি বিনিয়োগকারীদের। ঈদে বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে থেকেই যান বিনিয়োগকারীরা। আর ঈদের পর আবার শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা যাচ্ছে।

ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে শেয়ারবাজার এই পতনের ধারা থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দেয়। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন রকেট হামলা করে ইরান। এতে বৈঠকে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারেও। ফলে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই পতন দেখতে হয় বিনিয়োগকারীদের।

গত ১৭ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। ধারাবাহিকভাবে কমে ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে সেই বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ অব্যাহত পতনের মধ্যে পড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন হারায় ১ লাখ ৩ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। আর ঈদের পর শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলেও গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। অবশ্য এরপরও ১৭ জানুয়ারির সঙ্গে তুলনা করলে ডিএসইর বাজার মূলধন এখনো ৮২ হাজার ১২৪ কোটি টাকার ওপরে কম রয়েছে।

গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৯টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৫টির। আর ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৭৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ৪৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ৩৫ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সবকটি মূল্য সূচক কমলেও লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। দৈনিক গড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেস্ট হোল্ডিং, ফু-ওয়াং ফুড, ফু-ওয়াং সিরামিক, গোল্ডেন সন, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।


কমলো সোনার দাম

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৪৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি মাসে তিন বার সোনার দাম বাড়ানোর পর এবার কিছুটা কমা‌নোর ঘোষণা এসেছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) পক্ষ থেকে। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে এই নতুন দাম কার্যকর করা হয়।

আজ শ‌নিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সোনার দাম তিন দফায় ৪ হাজার ৫৬০ টাকা বাড়িয়ে এখন প্রতি ভরিতে কমা‌নো হ‌য়ে‌ছে মাত্র ৮৪০ টাকা। কমানোর পর ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত যার দাম ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কিছুটা কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, আইএমএফের ঋণের দশটি শর্তের নয়টি পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তাই ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে কোনো অসুবিধা হবে না।

তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফরে আইএমএফ প্রতিনিধি দল আসবে বলেও জানান আব্দুর রউফ তালুকদার।

উল্লেখ্য, গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্থনীতির সবগুলো সূচকে বাংলাদেশ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে দিনভর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের স্প্রিং মিটিং-২০২৪-এর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

গভর্নর বলেন, মরিশাসের সঙ্গে অফশোর ব্যাংকিং চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে মরিশাসের ব্যাংকের লেনদেন সহজ হবে।

তিনি বলেন, মরিশাসের গভর্নরের সঙ্গে এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। এর ফলে মরিশাসে অবস্থানরত ৪০ হাজার বাংলাদেশি খুব সহজেই বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। এখন দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সরাসরি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন না।


প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী

গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৩৭
বাসস

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন।

আজ শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী এ তিনি কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের স্প্রিংমিটিং-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং মাহমুদ আলীর বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক কর্মজীবন সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন এবং তার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তিনি জাতিকে এর অভীষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান এবং তারা দেশের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।’

আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে তার কূটনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত প্রথম কূটনীতিক যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এর আগে অর্থমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

দূতাবাসে পৌঁছালে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।


পোশাক রপ্তানিতে নতুন উদ্বেগ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান লোহিত সাগর-সংকট ও গাজা যুদ্ধের কারণে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি নতুন করে উদ্বেগের মুখে পড়েছে।

স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা আশঙ্কা করছেন, ব্যবসার খরচ আরও বাড়বে। কারণ, এই উত্তেজনা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের রূপ নিলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম অনেক বেড়ে যেতে পারে। ফলে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের খরচ বেড়ে যাবে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে।

সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে গত রোববার ইরান থেকে ইসরায়েলে সরাসরি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বিদেশি ক্রেতারা ইতোমধ্যে রপ্তানিকারকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পণ্য সরবরাহ করতে বলেছেন। কেননা, গত অক্টোবরে লোহিত সাগর সংকটের পর পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

সুয়েজ খালের মাধ্যমে এশিয়া ও ইউরোপের সংযোগকারী লোহিত সাগরে সংকট বৈশ্বিক উত্তেজনার কেন্দ্র হিসেবে দেখা দেওয়ার আগে চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপের বন্দরে পণ্য পাঠাতে সাধারণত ৩০ দিন লাগত।

সেই নৌপথে চলাচলকারী জাহাজগুলো লক্ষ্য করে হুতিদের হামলার কারণে পণ্যবাহী জাহাজগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপ ঘুরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার ঘুরে যাওয়ার কারণে পণ্য সরবরাহে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দেরি হচ্ছে এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

এই সংকটের কারণে বেশ কয়েকটি খুচরা পোশাক বিক্রেতা ও ব্র্যান্ড পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বাধা এড়াতে কিছু পণ্যের কার্যাদেশ বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক বা ভিয়েতনামে সরিয়ে নিচ্ছে।

কার্যাদেশ কমে যাওয়ার এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন বাংলাদেশের আয়ের সবচেয়ে বড় খাতটি করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মারাত্মক বিপর্যয় থেকে জেগে ওঠার চেষ্টা করছে।

পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঊর্মি গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাছাকাছি জায়গা থেকে পণ্য নেওয়া হচ্ছে। এসব কার্যাদেশ বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও অনেক ক্রেতা তুরস্ককে দিচ্ছেন। কারণ সময়মতো পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ক্রেতাদের জন্য জরুরি।

বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানকে এক সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হয় বলে কম সময়ের মধ্যে পণ্য বাজারে আনার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর পণ্যের দাম বাড়লে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম কমে যায়। এটি শেষ পর্যন্ত রপ্তানিকারকদের মুনাফা কমিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, লোহিত সাগর সংকটের কারণে বিদেশি ক্রেতারা রপ্তানিকারকদের কম দাম দিয়ে জাহাজ পরিচালনার খরচ তুলে নিচ্ছে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, যদিও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাহাজ চলাচলের খরচ বহন করে তবু অনেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রপ্তানিকারকদের ওপর খরচ চাপিয়ে দেন।

৯৫ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে ক্রেতারা ফ্রেইট অন বোর্ড পদ্ধতিতে পণ্য কেনায় জাহাজের খরচ দিয়ে থাকেন। রপ্তানিকারকরা পাঁচ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে পরিবহন খরচ দেন।

আশরাফ ও নাসির উভয়ের মতে, ক্রেতারা যেকোনো অতিরিক্ত খরচ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দেন।

কারখানার মালিকরা আশঙ্কা করে বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বাড়লে তা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে।

তেলের দাম বাড়লে জাহাজ চলাচলের খরচ বেড়ে যাবে। এটি উৎপাদন ও পণ্য পরিবহন খরচ বাড়িয়ে তুলবে।

দীর্ঘ সময় মধ্যপ্রাচ্য সংকট চললে সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক ও ইরানের মতো উদীয়মান বাজারগুলোয় পোশাক বিক্রি ততটা সহজ হবে না, যতটা অনেকে আশা করছিলেন।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, লোহিত সাগর সংকট শুরুর পর ঢাকা থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে গেছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে তা আরও বাড়তে পারে।

বর্তমানে ঢাকা থেকে ইউরোপের বিমানবন্দরগুলোয় এক কেজি পণ্য পরিবহনে এয়ারলাইনসগুলো আড়াই ডলারের বেশি চার্জ করে। সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে একই গন্তব্যে ৩০ মার্কিন সেন্টের চেয়ে বেশি দরকার হয়।


বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪ টাকা বেড়েছে। আগে পাঁচ লিটারের তেলের বোতলের দাম ছিল ৮০০ টাকা সেটি এখন বিক্রি হবে ৮১৮ টাকায় এবং পাম ওয়েলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, ‘বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৪৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে। আজ থেকে এ দাম কার্যকর হবে।’

গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৭৩ টাকা করার প্রস্তাব দেয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে শেষ হচ্ছে বিধায় আগামী ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা এক লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়।

এর আগে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। আমদানি পর্যায়ে তেলের শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এতে ব্যবসায়ীরাও হাসি মুখে তেলের দাম কমানোর প্রস্তাব মেনে নেন। সেসময় সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয় প্রতি লিটারে ১০ টাকা। তবে ঈদ যেতে না যেতেই আবারও দাম বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেন ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীরা।


banner close