বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এফডিআরের নামে টাকা আত্মসাৎ যমুনা লাইফের

এ এস এম সাদ ও তাসনীম হাসান
প্রকাশিত
এ এস এম সাদ ও তাসনীম হাসান
প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০৮:২৩

জালিয়াতি বা ছলচাতুরির মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে জীবন বিমা কোম্পানি যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে। এফডিআর বা মেয়াদি আমানতের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না কোম্পানিটি। মাসে মাসে কোনো মুনাফাও দিচ্ছে না।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ৯৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা তুলেছে যমুনা লাইফ। এক বছরে ৯ শতাংশ হারে মুনাফা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিপুল এই অর্থ তুলে নেয় কোম্পানিটি। পরে সেই টাকাগুলো গ্রাহকদের না জানিয়ে ১৫-২০ বছর মেয়াদি বিমা পলিসি করে ফেলে যমুনা লাইফ। এতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন গ্রাহকরা। কোম্পানিটির দাবি, সব গ্রাহক যমুনা লাইফে বিমা করেছেন। ফলে অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।

চট্টগ্রামে যারা এফডিআর করেছেন তাদের একজন রিপন বড়ুয়া। দীর্ঘদিন পর প্রবাস থেকে ফিরে নিজের সঞ্চিত কয়েক লাখ টাকা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে রেখেছিলেন তিনি। মুনাফাও ভালো পাচ্ছিলেন। হঠাৎ দুই বছর আগে তার বাসার উল্টো পাশের বাসায় বসবাস করা যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মী মোহাম্মদ রায়হানের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে রায়হান রিপনকে একদিন জানান, তাদের কোম্পানি একটি এক বছর মেয়াদি এফডিআরের অফার দিচ্ছে। সেখানে ৫ লাখ টাকা রাখার জন্য মাসে প্রতি লাখের জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকা করে মুনাফা দেয়ার কথাও জানান। অতিরিক্ত লাভের আশায় রিপন এরপর ৫ লাখ টাকা দেন।

রিপন বড়ুয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এফডিআরের বিপরীতে প্রতি মাসেই লাখপ্রতি তারা ১ হাজার ৪০০ টাকা মুনাফা আমার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিচ্ছিল। এক বছর যাওয়ার পর আমি আমার মূল টাকা তুলতে গেলে তারা আমাকে আরও এক বছর রাখতে বলেন। তারা বলেন, এখন থেকে প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা করে মুনাফা দেব। আমি আর তাদের কিছু বলিনি এবং টাকাও তুলিনি। ছয় মাস ঠিকঠাক মুনাফা দেয়। এরপর মুনাফা দেয়া বন্ধ হয়ে গেলে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে আমি বুঝতে পারি প্রতারণার শিকার হয়েছি। তারা জাল কাগজপত্র বানিয়ে এফডিআরকে বিমায় রূপান্তর করেছে। রায়হানকে বারবার বিষয়টি জানিয়েও সমাধান পাইনি। এখন আমি আর মুনাফা নয়, আমার মূল টাকাটা ফেরত চাই।’

চট্টগ্রামে আরও যারা এফডিআর করেছেন তাদের আরেকজন স্কুলশিক্ষক বদিউল আলম। এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা মুনাফা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সাড়ে ৬ লাখ টাকার এফডিআর করার জন্য অর্থ নেয় যমুনা লাইফ। বদিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম অনুযায়ী রাজধানীর রূপালী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকে যমুনা লাইফের অ্যাকাউন্টে মোট সাড়ে ৬ লাখ টাকা জমা দেন। প্রথম আট মাসে তাকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা দেয় যমুনা লাইফ। এরপর টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় কোম্পানিটি। বদিউল আলম পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটিতে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় তার পুরো টাকা ২০ বছরের জন্য জীবন বিমা পলিসি করা হয়েছে। অথচ তার কাছ থেকে এফডিআর করার শর্ত দিয়ে টাকা নেয়া হয়েছিল। যমুনা লাইফ সে সময় এফডিআর-সংক্রান্ত এক সার্কুলার প্রকাশ করেছিল। সেই সার্কুলারে বলা হয়, এককালীন এফডিআরের ওপর ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হলো।

এ বিষয়ে বদিউল আলম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছে যমুনা লাইফ। আমাকে না জানিয়ে ২০ বছরের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকার বিমা করেছে যমুনা লাইফ। অথচ ৯ শতাংশ সুদে এক বছরের জন্য টাকা জমা দিয়েছিলাম। যমুনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুল হাসান খন্দকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, যমুনার এজেন্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে। আমি তো যমুনা লাইফের অ্যাকাউন্টেই টাকা জমা দিয়েছিলাম। তাহলে কেন এমডি এখন এ কথা বলবেন। এ রকম অব্যবস্থাপনায় তিনিও (এমডি) দায়ী।’

যমুনা লাইফের এমডি কামরুল হাসান খন্দকারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছি, বিকেলে কল দেন, তখন কথা বলব।’ এরপর টানা তিন দিন একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

চট্টগ্রামে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বরে এক সার্কুলার দেয় যমুনা লাইফ। যেখানে উল্লেখ থাকে এফডিআর করলে সুদ দেয়া হবে। এই সার্কুলার দেখিয়ে যমুনা লাইফের এজেন্টরা বাড়তি সুদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে লোকজনকে এফডিআর করতে বলে। যমুনা লাইফ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে গিয়েও সাধারণ মানুষদের এফডিআর করতে বলেন। এর মধ্যে অন্যতম যমুনা লাইফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন ও সহকারী উপব্যবস্থপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই দুজন চট্টগ্রামে প্রতারণার প্রধান হোতা।

চট্টগ্রামে সরেজমিন দেখা যায়, বিমা করার নির্ধারিত বয়স পার হয়ে গেলেও এমন অনেকজনকে বাড়তি সুদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জাল সনদপত্র ও ভোটার আইডি নিজেরাই তৈরি করেছে যমুনা লাইফ। ৬৫ বছর বয়সী একজনকে জাল সনদ বানিয়ে বয়স পঞ্চাশের কম করা হয়। আবার অনেকের কর্মস্থলের নাম পরিবর্তন করে অন্য প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সনদপত্র তৈরি করেছে যমুনা লাইফ। এ রকম অসংখ্য গ্রাহকের জাল সনদ বানিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বেসরকারি এ বিমা কোম্পানিটি। একাধিক এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুল হাসান খন্দকারের নির্দেশে তারা অসংখ্যজনের কাছ থেকে এফডিআরের কথা বলে গ্রাহকদের নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে বলেন। এসব গ্রাহক কয়েক মাস কোম্পানি থেকে মুনাফা পেলেও একসময় সেটা দেয়া বন্ধ করে দেয় যমুনা লাইফ। এজেন্ট এবং গ্রাহকদের কোনো কিছু না জানিয়ে তাদের টাকা ১৫-২০ বছর মেয়াদি জীবন বিমা পলিসি করে দেয়।

একাধিক এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখন এমডি এজেন্টদের দোষারোপ করছেন। অথচ এমডি এফডিআরে মুনাফার কথা বলে অ্যাকাউন্ট খোলাতে বলেছেন। যমুনা লাইফের এমডি, সাবেক অতিরিক্ত এমডি, ভাইস চেয়ারম্যানসহ কোম্পানিটির কয়েকজন কর্মকর্তা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কারণ গ্রাহকদের সবাই এফডিআরএর টাকা যমুনা লাইফের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন। কোম্পানি থেকেই এজেন্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে কোম্পানিতে এফডিআর করা হলে ৯ শতাংশ সুদ দেয়া হবে এবং এক বছর পর পুরো অর্থ ফেরত দেয়া হবে। পরে সেই টাকা একেক জনের দীর্ঘমেয়াদি বিমা পলিসি করা হয়েছে। এতে গ্রাহকদের প্রতারিত করা হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আইডিআরএ একটা অকার্যকর নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইডিআরএ যারা নানা সময়ে দায়িত্বে ছিলেন তারাও নানা রকমের অনিয়মের মধ্যে জড়িয়ে গেছেন। কারণ আইডিআরএর দায়িত্ব এসব কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করা।’ তিনি বলেন, ‘গ্রাহক এফডিআরের জন্য বিমা কোম্পানিতে অর্থ জমা রাখছে, কোনোভাবেই তাকে না জানিয়ে কিংবা গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া বিমা পলিসি নেয়া যাবে না। কোনো কোম্পানি এ রকম করলে তার লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া উচিত।’

তাড়নার শিকার হওয়া গ্রাহকরা যমুনা লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান খন্দকার, অতিরিক্ত সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন, সহকারী অতিরিক্ত ব্যবস্থপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম, উন্নয়ন ও প্রশাসন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইদুল হক শামীম- এই চারজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের মূল হোতা রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া সব অনিয়ম কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এ চারজন কর্মকর্তার মাধ্যমে।

প্রতারিত হওয়ার ঘটনায় গ্রাহকদের করা মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক অবশ্য এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি। জানতে চাইলে সিআইডির এই কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না।’

এসব গ্রাহক আইডিআরএতে লিখিত চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে আইডিআরএ এখনো কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এ বিষয়ে আইডিআরএর পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইডিআরএ কাজ করছে। পর্যালোচনা করে আপনাদের জানানো হবে।’

শুধু গ্রাহকদের নয়, কোম্পানিটি নিজেদের কর্মীদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে। তাদের একজন হলেন সাজু দাশ। তিনি কোম্পানির চট্টগ্রাম শাখায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ছিলেন। শাখা ব্যবস্থাপক হলেও তিনি মূলত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অধীনেই ছিলেন। তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী সাজু বিভিন্নজনের কাছ থেকে কখনো এফডিআর, কখনো ডিপোজিট পেনশন স্কিমের (ডিপিএস) নামে কোম্পানিকে টাকা এনে দিয়েছেন। এসবের জন্য কোম্পানির নিয়মে কমিশন থাকলেও কখনো সেটি পাননি সাজু।

সাজু দাশ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ওপর গ্রাহক বাড়ানোর চাপ থাকত। সে জন্য নিজের অন্তত ১৪ জন আত্মীয়ের কারও ১ লাখ, কারও ২ লাখ ও কারও ৫ লাখ টাকা নিয়ে কোম্পানিতে জমা দিয়েছি। কোম্পানির শর্ত অনুযায়ী আত্মীয়দের বলেছিলাম তাদের প্রতি মাসেই ভালো অঙ্কের মুনাফা দেয়া হবে। আর টাকা আনার বিপরীতে নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কমিশন দেয়ার কথা থাকলেও তা কখনো দেয়া হয়নি। আমাকে মাসে কখনো ৫ হাজার, কখনো ১০ হাজার বেতনের নামে দেয়া হতো। একপর্যায়ে গত বছর প্রতারিত কয়েকজন গ্রাহক মামলা করলে আমাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। এই কোম্পানির সঙ্গে বড় বড় মানুষ জড়িত। তাদের দেখে কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলাম, আত্মীয়স্বজনের টাকা এনে দিয়েছিলাম। এখন আমি ফেঁসে গেছি। এখন আত্মীয়রা নিয়মিতই তাদের মূল টাকার জন্য আমাকে বিরক্ত করছেন। এই যন্ত্রণায় বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’


পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন চলছে সূচকের উত্থানে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন চলছে সূচকের উত্থানে। এই সময়ে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। বাকি দুটি সূচকের মধ্যে শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৬ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২১১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৭৯টির কমেছে এবং ৭৮টির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৮ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮১টি কোম্পানির মধ্যে ৪১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৩২টির কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।


স্বায়ত্তশাসিত ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হবে এনবিআর: অর্থ মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) স্বায়ত্তশাসিত ও বিশেষায়িত একটি বিভাগে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। রবিবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দেওয়া সাম্প্রতিক বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতেই এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাজস্ব নীতি ও প্রশাসন সংস্কার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি দূর করতে সরকার পুনরায় ব্যাখ্যা দিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, রাজস্ব নীতিকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া থেকে পৃথক করার যে কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (ট্যাক্সেশন) ক্যাডারের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।

এ বিষয়ে এনবিআর, রাজস্ব সংস্কার পরামর্শক কমিটি এবং অন্যান্য প্রধান অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় একদিকে যেমন এনবিআরকে আরও শক্তিশালী করা হবে, অন্যদিকে রাজস্ব নীতির জন্য একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশোধন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত অধ্যাদেশটি বলবৎ করা হবে না।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার আশা করে, এই ঘোষণার মাধ্যমে কর, শুল্ক ও মূসক বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের সব ধরনের উদ্বেগ দূর হবে এবং সকল রাজস্ব অফিস পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে রাজস্ব আহরণ ও সেবা কার্যক্রমে ফিরে যাবে।’


কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার

বাণিজ্য উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন নগরীর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লবণ-প্রয়োগকৃত কাঁচা চামড়ার দাম ঘোষণা করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।


টিসিবির ট্রাকসেলে বেড়েছে দাম কমেছে ভিড়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় দুই মাস পর ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

জানা গেছে, আগের তুলনায় টিসিবির পণ্যের দাম বেড়েছে এবং একই সঙ্গে কমেছে ট্রাকের পেছনে মানুষের ভিড়।

টিসিবির এই ভ্রাম্যমাণ ‘ট্রাকসেল’-এর আওতায় সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে। তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা, চিনির দাম কেজিপ্রতি ৮৫ টাকা ও ডাল কেজিপ্রতি ৮০ টাকা।

এই তিন পণ্যের খুচরা বাজারমূল্য যথাক্রমে লিটারপ্রতি ১৯০ টাকা, কেজিপ্রতি ১২০ টাকা ও কেজিপ্রতি ১১৫-১২০ টাকা। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি ডাল কিনতে পারবেন।

পুরান ঢাকার সুরিটোলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সেখানে ট্রাকসেলের দায়িত্বে থাকা মুক্তার এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. সেন্টু মিয়া জানান, দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে তারা বিক্রি শুরু করেছেন। মোট ৪০০ জনকে তাদের ট্রাক থেকে পণ্য দেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

টিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজধানীসহ সারা দেশে এ রকম ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি হবে ৩ জুন পর্যন্ত।

সেন্টু আরও জানান, সবশেষ ঈদুল ফিতরের আগে ২৭ মার্চ ট্রাকসেল করা হয়েছে টিসিবির পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, ‘আগের মতো উপচে পড়া ভিড় নেই। রোজার সময় পণ্য পেতে চার-পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন দেড়-দুই ঘণ্টার মতো লাগছে।’

দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করে পণ্য নেওয়ার আগ মুহূর্তে সুরিটোলার বাসিন্দা শাহীদা আক্তার জানান, দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর লাইনের সামনে এসেছেন তিনি।

পণ্য নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আগে জিনিস (পণ্য) বেশি ছিল। দাম কম ছিল। দাম এতটা না বাড়ালে ভালো হতো।’

রমজানের ট্রাকসেলের তুলনায় এবার তেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৫ টাকা, ডালের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা ও চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা করে বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণে ভিড় কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: সূচক বাড়লেও লেনদেন তলানিতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন নেমেছে তলানিতে। ক'মাস আগেও যেখানে গড় লেনদেন ছিল ৪০০ কোটি টাকার ঘরে তা কমতে কমতে নেমেছে ২০০ কোটি টাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সারা সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। ৪৭৮১ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু করে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বেড়ে হয়েছে ৪৭৮৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৮ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ পয়েন্ট।

সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন নেমেছে তলানিতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১১ শতাংশের বেশি; ৩২৪ কোটি টাকার গড় লেনদেন কমে হয়েছে ২৮৬ কোটি টাকা।

লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে ক্রয়-বিক্রয়ের শেয়ারের পরিমাণ। সপ্তাহ ব্যবধানে ঢাকার বাজারে ২১ শতাংশ শেয়ার কম লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার বাজারে ২৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এক সপ্তাহে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৬.৪২ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে দাম কমেছে ২১, বেড়েছে ৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।

অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শেয়ারের দাম কমেছে ১০.৪৮ শতাংশ। সাধারণ বীমাখাতে শেয়ারের দর ৯ শতাংশের ওপর কমলেও জীবন বীমা খাতে দর বেড়েছে ৪.৭৯ শতাংশ।

এক সপ্তাহের লেনদেনে মিউচুয়াল ফান্ডে ইউনিটের দাম কমেছে ৪০ শতাংশের ওপরে। এছাড়া পাট, টেলিকম, পর্যটন এবং জ্বালানি খাতেও উল্লেখযোগ্য হারে দর হারিয়েছে পুঁজিবাজার।

সাপ্তাহিক লেনদেনে ভালো অবস্থানে আছে সিরামিক, করপোরেট বন্ড, চামড়া শিল্প, ওষুধ, চামড়া এবং টেক্সটাইল খাত। এরমধ্যে টেক্সটাইল খাতে সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে।

সারা সপ্তাহে ঢাকার বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বিচ হ্যাচারি। এছাড়া যথাক্রমে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং স্কয়ার ফার্মার শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে আছে।

ডিএসই ব্লক মার্কেটে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। অন্যদিকে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড ব্লক মার্কেটে ২১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সারা সপ্তাহের দরবৃদ্ধিতে ঢাকার বাজারে শীর্ষ শেয়ার সোনারগাঁও টেক্সটাইল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ২৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ টাকা।

দরপতনে শীর্ষে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

ডিএসই'র সাপ্তাহিক শেয়ার বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দরবৃদ্ধিতে শীর্ষ দশে থাকা বেশিরভাগই বি এবং জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি। তালিকায় এ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।

অন্যদিকে দরপতনে শীর্ষে দশে নয়টি কোম্পানিই এ ক্যাটাগরির। তালিকায় নেই লভ্যাংশ না দেয়া তৃতীয় শ্রেণীর জেড ক্যাটাগরির কোনো প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এক সপ্তাহের ব্যবধানে সার্বিক সূচক কমেছে ৯২ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১৭ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগরই দাম কমেছে।

১৪৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৪৯ কোম্পানির দর পতন হয়েছে এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতো সিএসইতেও শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় বি ক্যাটাগরির কোম্পানির সোনারগাঁও টেক্সটাইল। এরপরেই দরবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বি ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকস।

চট্টগ্রামের বাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস, এনভয় টেক্সটাইল এবং আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খান ব্রাদার্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ওয়াল্টন হাইটেকের শেয়ার।


পুঁজিবাজার: লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান হলেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ৪ এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচকও বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

এই সময়ের ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৮০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৯৫টির কমেছে এবং ৯০টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ৭০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট।

অন্যদিকে, সিএসইতে প্রধান সূচক ৯ পয়েন্ট কমে গেছে। সেখানে লেনদেন হওয়া ৬২ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দাম বেড়েছে, ২৪টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন ১ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।


পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।


উচ্চ সুদহার ও মূল্যস্ফীতিতে খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হালকা ইস্পাতের রড থেকে ইলেকট্রনিক্স বা খাবার- সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে সব পণ্যের বিজ্ঞাপন কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, টাকার মান কমে যাওয়া ও ব্যাংকের উচ্চ সুদহারের কারণে তাদের খরচ কমাতে হচ্ছে।

এ ছাড়াও, কয়েকটি কারখানা অফিস ইউটিলিটি ব্যবহার ও ব্যাংক নির্ভরতা কমানো এবং অর্থায়নের বিকল্প উৎস খোঁজার পথে হাঁটছে।

অন্যরা পরিচালন খরচ পর্যালোচনা করছে। অতিরিক্ত খরচ কমানো ও সীমিত সংখ্যক কর্মী দিয়ে সর্বাধিক উৎপাদন পাওয়ার চেষ্টা করছে।

ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আফসার বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যিই কঠিন।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইলেক্ট্রো মার্ট খরচ কমানোর অংশ হিসেবে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপনসহ প্রচারণামূলক কার্যক্রম কমিয়েছে।

ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপ সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের দাম বাড়াতে পারেনি এই ভয়ে যে চলমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে তাদের পণ্য বিক্রি আরও কমে যেতে পারে। এর পরিবর্তে তারা খরচ কমানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানান নুরুল আফসার।

তিনি আরও জানান, ব্যাংক সুদের হার ১৭ শতাংশের বেশি হওয়ায় তার প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কমেছে।

তিন বছর আগেও ব্যাংকগুলোর সুদহার ছিল ১০ শতাংশের নিচে। সেসময় ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮০ টাকা। মূল্যস্ফীতি ছিল ছয় থেকে সাত শতাংশ।

নুরুল আফসার বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় উচ্চ সুদহারের কারণে আমাদের মুনাফা অনেক কমেছে। বাড়তি খরচ মোকাবিলায় অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর চেষ্টা করছি।’

এই প্রচেষ্টার মধ্যে আছে ইউটিলিটি ব্যবহার সীমিত করা ও অফিসের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো।

‘যেখানেই অর্থ সাশ্রয়ের সুযোগ আছে, সেখানেই খরচ কমিয়ে আনছি,’ যোগ করেন তিনি।

বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, ‘ব্যাংকের সুদহার ক্রমাগত বাড়ছে। মূল্যস্ফীতিও অসহনীয় পর্যায়ে। এসব মোকাবিলায় আমরা খরচ কমানোর বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছি।’

তার ভাষ্য, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে খরচ কমানো ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ সুদহার ও মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টা করছি।’

‘কর্মীদের বেতন নিয়মিত রাখতে খরচ কমানোয় মনোযোগ দিচ্ছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কেবল সেখানেই খরচ করি সেখানে খরচ না করলেই নয়। প্রচারের বাজেট কমিয়ে আনা হয়েছে।’

বিনিয়োগের জন্য ঋণ নেওয়া জরুরি। কিন্তু, ব্যাংকের উচ্চ সুদহার এড়ানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

এ দিকে, ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।

দেশের অন্যতম শীর্ষ এই শিল্পগোষ্ঠীর প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘টিকে থাকার জন্য ব্যাংক ঋণ কমাতে হয়েছে। খরচ কমাতে হয়েছে। নতুন কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।’

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন খরচ ও ব্যাংকের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং টাকার বিকল্প উৎস খোঁজার দিকে মনোনিবেশ করছে।

‘আমাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। খরচ কমানো ও দক্ষতা বাড়াতে ক্রমাগত উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োগ করছি।’

আহসান খান চৌধুরী আরও বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে ব্যাংকের বাড়তি সুদহার ও মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘ইউটিলিটি বিলের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সংকট আরও বেড়েছে।’

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, ব্যাংকের উচ্চ সুদহার আমাদের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।’

এমন পরিস্থিতিতে অনেক কারখানার মালিক পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। এটি জীবনযাত্রার বাড়তি খরচে পিষ্ট মানুষের ওপর সরাসরি বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার মতো বলে মনে করেন তিনি।

গত বছরের তুলনায় এ বছর পণ্য বিক্রি ও মুনাফা কমে যাওয়ার কথা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।

আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এতটা হিমশিম খায়, তাহলে তালিকাভুক্ত নয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্দশা কত বেশি তা কল্পনাও করা যায় না।’

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে বিসিআইয়ের সাম্প্রতিক মূল্যায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জরুরি নীতিগত উদ্যোগ নেওয়া না হলে গভীর স্থবিরতা দেখা দেবে।’


জনতা ব্যাংক পিএলসি এর আরব আমিরাতের আবুধাবী শাখার নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সোমবার (১৯ মে ২০২৫) জনতা ব্যাংক পিএলসি এর আরব আমিরাতের প্রধান নির্বাহীর কার্যালয় ও আবুধাবি শাখা স্থানান্তরিত নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। এ উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ও গ্রাহক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জনতা ব্যাংক পিএলসি'র চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা ও কেক কেটে নতুন ভবনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।

এ সময় দূতাবাসের উপপ্রধান শাহনাজ আক্তার রানু, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম এবং ইউএই জনতা ব্যাংক পিএলসি'র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আবুধাবি রিজিওনাল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি, গ্রাহক সেবার মান ও প্রসার বৃদ্ধির পরামর্শ দেন । এ সময় জনতা ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে ১৩ টি এটিএম বুথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা চালুর ঘোষণা প্রদান করেন। তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য আহবান জানান।


এনবিআরে কর্মবিরতি: রাজস্ব ঘাটতি ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়ানোর শঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে টানা পাঁচ দিনের মতো চলছে কর্মকর্তাদের কলমবিরতি কর্মসূচি। এই কর্মবিরতির ফলে দেশের রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে এবং এ নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রক্রিয়া আরও চাপে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালক ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে অবশ্যই রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন ঘটছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ ধরনের কর্মবিরতিতে যাওয়া উচিৎ হয়নি।’

এই কর্মবিরতির ফলে সৃষ্ট ক্ষতি পরবর্তীতে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ‘এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই’ বলে জানান তিনি।

সরকার সম্প্রতি এনবিআর ভেঙে দুটি নতুন সংস্থা—রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও রাজস্ব নীতি বিভাগ—গঠনের সিদ্ধান্ত দিলে এর প্রতিবাদে কলমবিরতির ঘোষণা দেন এনবিআর কর্মকর্তারা। এর ফলে দেশের রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুনর্গঠন কার্যকর হয়।

সরকারের দাবি, এর ফলে রাজস্ব সংগ্রহ ও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়া আরও দক্ষ হবে। তবে হঠাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর আপত্তি জানিয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। তাদের আশঙ্কা, নতুন কাঠামোয় তাদের দায়িত্ব ও চাকরির নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

কর্মবিরতির ফলে আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া, কাস্টমস ছাড়পত্র ও ভ্যাট আদায়ে বিলম্ব হচ্ছে। এতে করে রাজস্ব আদায়ের ওপর বিদ্যমান চাপ আরও বেড়েছে।

২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই–ডিসেম্বর) এনবিআর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় করেছে, যা ২৫ শতাংশ ঘাটতি। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫১ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ মার্চ মাস পর্যন্তই রাজস্ব ঘটতি হয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা।

এই ঘাটতির জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা, আমদানির হ্রাস ও কর ব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এনবিআর কর্মকর্তাদের চলমান কর্মবিরতি রাজস্ব আদায় আরও ব্যাহত করছে, যার ফলে ঘাটতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

পলিসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজস্ব আদায়ের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতি ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে ব্যয় সংকোচন করতে হতে পারে কিংবা বাড়াতে হতে পারে ঋণগ্রহণের পরিমাণ, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এই সংকট মোকাবিলায় কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া এনবিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্বেগের অবসান ঘটানো এবং নতুন কাঠামোকে তারা যাতে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই আলোচনা।

তাছাড়া কর্মবিরতি চলাকালে জরুরি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম সচল রাখতে বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভাবছে সরকার। তবে দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আস্থা পুনর্প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সংকটের সমাধান করে নতুন রাজস্ব বিভাগের সফল বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘কর্মবিরতি যে ক্ষতিসাধন করেছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তার আনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। সমস্যাটির সমাধান তাড়াতাড়ি এলে ঘাটতি পূরণ বড় কোনো সমস্যা হবে না।’


পুঁজিবাজারে উত্থানের মুখ দেখলো ঢাকা, পতন চট্টগ্রামে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা দুই দিন পতনের পর ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রামে। তবে দুই বাজারেই বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯০ কোম্পানির দাম বেড়েছে বেশিরভাগের। ২২১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৩ কোম্পানির মধ্যে ১০৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ৭০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ১৩ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির।

৩১ কোম্পানির ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৯৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৮৮ কোটি টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফুওয়াং ফুড। অন্যদিকে ৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইউসিবি ব্যাংক।

চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯, কমেছে ৬৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে : বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০.০৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


banner close