রোববার, ৪ জুন ২০২৩

ডলার বিক্রি কমছে, বাড়ছে রিজার্ভ

আবদুর রহিম হারমাছি
প্রকাশিত
আবদুর রহিম হারমাছি

রমজান মাস সামনে রেখে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। সে কারণে রেমিট্যান্সপ্রবাহে ফের গতি ফিরেছে। চলতি মার্চ মাসের ২৪ দিনেই ১৬০ কোটি (১.৬০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

এই অঙ্ক ফেব্রুয়ারি মাসের পুরো সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির পরিমাণও কমছে। আর এতে রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে। বাড়তে শুরু করেছে এই সূচক।

চলতি মাসের বাকি ৭ দিনে এই হারে রেমিট্যান্স আসলে ছয় মাস পর অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে ২০৭ কোটি (২.৭ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে পৌঁছবে।

রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের জন্য এখন ১০৭ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এ হিসাবে টাকার অঙ্কে এই ২৪ দিনে ১৭ হাজার ১২০ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটি প্রবাসী। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ডলার বা ৭১৩ কোটি টাকা।

সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের আট মাস ২৪ দিনে (২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ) ১ হাজার ৫৬১ কোটি ৯ লাখ (১৫.৬১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি।

২৪ মার্চ থেকে রমজান মাস (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) শুরু হয়েছে। রোজায় প্রতিবারের মতো এবার বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল দেশে ঈদ উদযাপিত হবে। ঈদকে সামনে রেখে আরও বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে বলে আশা করছেন ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা। সে হিসাবে এপ্রিল মাসেও ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে বলে মনে করছেন তারা।

টানা তিন মাস বাড়ার পর ফেব্রুয়ারিতে হোঁচট খায় রেমিট্যান্স। ওই মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগের তিন মাস- নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ, ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ এবং ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় ওই মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছিল বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।

তবে মার্চ মাসে এই সূচকে ফের গতি ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার রেমিট্যান্সপ্রবাহের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, এই মাসের প্রথম ২৪ দিনে ১৫৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারের যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৩৬ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম এসেছিল। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি ছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১.০৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের বছরের (২০২০-২১) চেয়ে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম। তবে বেশ উল্লম্ফনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর; প্রথম মাস জুলাইয়ে ২১০ কোটি (২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। দ্বিতীয় মাস আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ (২.০৩ বিলিয়ন) ডলার। পরের মাস সেপ্টেম্বরে হোঁচট খায়, এক ধাক্কায় নেমে আসে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলারে। অক্টোবরে তা আরও কমে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে নেমে আসে।

পরের তিন মাস টানা বেড়েছে, নভেম্বরে আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৭০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে আসে আরও বেশি, ১৯৬ কোটি ডলার। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে তা বেশ কমে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাসে অন্যান্য মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স কিছুটা কম আসে। এর কারণ, ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে শেষ হয়।’ এখন রেমিট্যান্স বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই রোজা ও দুই ঈদে রেমিট্যান্স বাড়ে; রোজা ও ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের বাড়তি প্রয়োজন মেটাতে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান। এবারও তাই হচ্ছে।’ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চলতি অর্থবছরের শেষ মাস জুনেও রেমিট্যান্স বাড়বে জানান তিনি।

ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় বেশি টাকা পাওয়ায় মাঝে কয়েক মাস প্রবাসীরা অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানোয় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক হুন্ডির বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মনে করছেন মেজবাউল হক।

অর্থনীতির গবেষক গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই কিন্তু সংকট সামাল দিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি টাকা পাওয়ায় প্রবাসীরা অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোয় মাঝে কয়েক মাস রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় এখন বাড়ছে। এই ধারা যদি জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে তাহলে অর্থবছর শেষে ৫ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হবে। বর্তমান পেক্ষাপটে তা অবশ্যই ভালো।’

তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্স যদি না বাড়ত তাহলে কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যেত; অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়ত। তাই রিজার্ভ যাতে আর না কমে যায়, সে জন্য রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও কম সুদের বিদেশি ঋণ বাড়ানোর দিকেও সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে।’

ডলার বিক্রি কমছে, বাড়ছে রিজার্ভ

সোমবার দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের ১ দশমিক শূন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। রেমিট্যান্স বাড়ায় গত কয়েক দিনে তা বেড়ে ৩১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এদিকে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অস্থির ডলারের বাজার সুস্থির করতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের আট মাস ২৭ দিনে (২০২২ সালে ১ জুলাই থেকে ২৭ মার্চ) ১০ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে কোনো অর্থবছরের (১২ মাস) পুরো সময়েও রিজার্ভ থেকে এত ডলার বিক্রি করা হয়নি।

তবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির পরিমাণ গত তিন মাস ধরে কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ থেকে ১ দশমিক শূন্য ছয় বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। অক্টোবরে বিক্রি করা হয় আরও বেশি ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। নভেম্বরে তা কিছুটা কমে ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ডিসেম্বরে তা ফের বেড়ে ১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন বিক্রি করা হয়। একক মাসের হিসাবে যা রেকর্ড; এর আগে কখনোই এক মাসে রিজার্ভ থেকে এত ডলার বিক্রি করা হয়নি।

এরপর থেকে অবশ্য বিক্রি কমছে। জানুয়ারিতে বিক্রি করা হয় ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে নেমে আসে ১ বিলিয়নের নিচে; বিক্রি হয় ৯২ লাখ ৪২ হাজার ডলার। আর চলতি মার্চ মাসের ২৭ দিনে অর্থাৎ গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৭০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে।


ন্যূনতম আয়কর ২০০০ টাকা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে আইসিএবি

শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার সিএ ভবনে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি এবং অন্যান্য বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও সরকারের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন বাজেট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি উৎসাহজনক পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে ন্যূনতম আয়কর দুই হাজার টাকা নির্ধারণকে হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার সিএ ভবনে বাজেট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনের সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন মতামত তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন আইসিএবির টেক্সেশন ও করপোরেট ল’জ কমিটির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর এফসিএ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএবির সিইও শুভাশীষ বসু। মাল্টি মিডিয়া প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে স্নেহাশীষ বড়ুয়া এফসিএ সম্মেলনে ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস সম্পর্কিত চিত্র তুলে ধরেন।

মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ন্যূনতম কর নতুন নয়। ৮২ (সি) ধারায় ব্যবসায়ে লাভ না হলেও বা অতিরিক্ত উৎসে কর আদায় করা হলেও ন্যূনতম আওতায় কর আদায়, অনাদায়ে সুদ আরোপসহ জরিমানার আইন কার্যকর আছে। বর্তমানে বহু ব্যাংক ডিপোজিট হোল্ডার আছেন বাস্তবে কর দেন (যা উৎসে কেটে রাখা হয়) কিন্তু রিটার্ন জমা দেন না। রিটার্ন জমার আবশ্যকতার কারণে অনেকের রিফান্ড ক্রিয়েট হচ্ছে, তাদের ফাইল মেইনটেইন করতে সার্টিফিকেট ইস্যুর প্রয়োজন হতে পারে, তবে কস্ট রিকভারির জন্য এই ট্যাক্স ইম্পোজিশন অনৈতিক হবে না। এতে করে সবচেয়ে বড় যুক্তি হলো ট্যাক্স নেট তথা রিটার্ন দাতার সংখ্যা বাড়বে।

আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ডিভিএস বাস্তবায়ন হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি বাড়বে।

প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগ নেয়ায় সরকারের প্রশংসা করেছে সংগঠনটি। যেমন- পরিবেশ সারচার্জ প্রবর্তন, যা পরিবেশকে রক্ষা করবে, যানবাহনের সংখ্যা কমাবে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ব্যবহার বাড়বে। একাধিক যানবাহনে বিভিন্ন সিসি বা কিলোওয়াটভিত্তিক পরিবেশগত সারচার্জ আরোপ, ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘মার্কেট প্লেস’কে ‘পণ্যের অনলাইন বিক্রয়’-এর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন উৎসাহিতকরণ এবং স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে করের বোঝা কমাতে ‘অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল’ উৎপাদন পর্যাযয়ে ৫ শতাংশের বেশি ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাব। রিবেট বা রেয়াত গণনার অস্পষ্টতা দূর করার জন্য আংশিক রিবেটের সূত্রে পরিবর্তন; বন্ডেড পণ্যের ছাড়পত্রের জন্য সাবেক বন্ড বিল অফ এন্ট্রি জমা দেয়া এবং সেই সঙ্গে এটিকে চূড়ান্ত মীমাংসাকরণের জন্য বিল অফ এন্ট্রির সংজ্ঞা প্রতিস্থাপন করা, স্থানীয় শিল্প রক্ষার জন্য কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির জন্য গৃহীত উদ্যোগ।


মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখা খুবই চ্যালেঞ্জিং: আতিউর

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ২০:২৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এবং মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করা ‘কঠিন’ হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান।

শনিবার রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে।

উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ের খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কনফারেন্স কক্ষে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের আতিউর রহমান বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি উচ্চাভিলাষী নয়, বরং সংস্কারমুখী এবং আশাবাদী। তবে ৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।’

তবে বিদ্যমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার বিকল্প ছিল না বলে মনে করেন তিনি।

ড. আতিউর আরও বলেন ‘ঘাটতি অর্থায়ন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগের পাশাপাশি মুদ্রানীতিতেও পদক্ষেপ থাকতে হবে। তাই বাজেট ও মুদ্রানীতির সুসমন্বয় নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি’

উন্নয়ন সমন্বয়ের এমেরিটাস ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলীর সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্থার লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা, এবং সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শাহনাজ হীরা।

উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেট বিশ্লেষণ উপস্থাপনের সময় ড. আতিউর বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ করায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন অনেক নাগরিক। তবে ধনীদের সম্পদের ওপর করের সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে ৪ কোটিতে উন্নীত করা, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রায় বাড়তি করারোপের আওতায় রাখার মতো কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

আর করযোগ্য নন এমন ব্যক্তিদের জন্যও ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করের প্রস্তাবটি রাজস্ব আয় এবং কর প্রদানের সংস্কৃতির প্রসারে সহায়ক হতেও পারে বলে তিনি মনে করেন।

তবে এটা যেন সাধারণ মানুষের হয়রানির কারণ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলে তৃণমূল পর্যায়ের চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন রবার্ট শুভ্র গুদা। বর্তমানে সামাজিক সুরক্ষার উপকারভোগীদের মধ্যে মাত্র এক-চতুর্থাংশ নিম্নআয় শ্রেশি থেকে আসছেন বলে জানান তিনি।

শাহনাজ হীরা মনে করেন বাস্তবায়নের অদক্ষতার দোহাই দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের জন্য বরাদ্দ না বাড়ানোয় জনগণের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ বাড়ছে। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শূন্য পদে লোকবল নিয়োগে বরাদ্দ বাড়ালে গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রার্থীদের আউট-অফ-পকেট স্বাস্থ্য ব্যয়ের অনুপাত ৬৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব।

বিষয়:

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন বেশ চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই

শনিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৯:১৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করা বেশ চ্যালেঞ্জ হবে। তিনি বলেন, বিশাল এ বাজেট বাস্তবায়নে অর্থনীতিতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এরমধ্যে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণসহ রিজার্ভ বাড়ানো, ডলার সংকট, এবং বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স সবকিছুর গতি নিম্নমুখী। অথচ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী।

শনিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। বিশাল আকারের এই রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া।

উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছাতে দেশের অর্থনীতির আকার স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন, ২০৩১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছাতে দেশের অর্থনীতির আকার স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। এজন্য দেশের বাজেটের আকারও বাড়ছে। বাজেটের আকার ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৭৯ হাজার ৬১৪ কোটির তুলনায় সাড়ে নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রস্তাবিত ২০২৩-১৪ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের তুলনায় ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। বাজেটে জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। তার মধ্যে কর থেকে রাজস্ব আসবে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অংশ ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য রাজস্ব ৭০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্বের মধ্যে মৃসক থেকে সংগ্রহ করা হবে ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ, আয়কর থেকে আসবে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ , সম্পূরক শুল্ক থেকে আসবে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, আমদানি শুল্ক থেকে আসবে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য কর ১ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাজেটি স্মাট বাংলাদেশ গড়তে বাজেট গুরুত্ব রাখবে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা শিরোনামে বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ বাজেট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নামেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা, দূরদর্শী, বিচক্ষণ পরিকল্পনা এবং আন্তরিক প্রয়াস আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুদৃঢ় করেছে। গত ১৪ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি। জিডিপির আকার অনুযায়ী ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিলো বিশ্বের ৬০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ১৪ বছরের ব্যবধানে দেশ আজ বিশ্বে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।

বিষয়:

‘বাজেটে লক্ষ্য হওয়া দরকার ছিলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা’

শনিবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি । ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৮:২৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে জিপিডি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। আর এই লক্ষ্য পূরণে সাজানো হয়েছে দেশের আগামী বাজেট। বাজেটে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সেটা কমানো হয়নি। বাড়ন্ত মূল্যস্ফীতিকে বাজেটের কেন্দ্রে না রাখায় সমালোচনা করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সহ সভাপতি ডা. সাদিক আহমেদ।

শনিবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। ব্যবসায়ী এই সংগঠনের সঙ্গে জোট বেধে বাজেট প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই এর সহ সভাপতি ডা. সাদিক আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সাদিক আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় দেশের বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া দরকার ছিল অর্থনৈতিক যে অস্থিতিশীলতা সেটা কমানো। মূল্যস্ফীতি কমাতে পারলে দেশের মানুষ স্বস্তি পেত। এটা করতে গিয়ে যদি উন্নয়ন কিছুটা বাধাগ্রস্থা হয় তাতে সমস্যা ছিল না। কিন্তু সেটা না করে বাজেটে জিডিপির লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।’

পিআরআইর সহ সভাপতি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদের হার বাড়ানো দরকার ছিল। ডলারের দাম বাড়ানো দরকার ছিল। সুদের হারকে বাড়িয়ে দিলে মানুষের চাহিদা কমে যেতো। পৃথিবীর সব দেশ এই পথেই তাদের মূল্যস্ফীতি কমিয়েছে।’

সাদিক আহমেদ বলেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল তারা সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনেছে। কিন্তু বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে পাড়ছে না।’

ডা. সাদিক আহমেদ বলেন বাংলাদেশের দরকার ছিলো সুদের হার বাড়াতে দেওয়া তাহলে হয়তো জিডিপি কিছুটা কমে যেতো তাতে কি। দুয়েক বছর পরে সেটা আবার কমিয়ে এনে জিপিডি বাড়ানো যেতো।

বর্তমানে দেশের যে মূল্যস্ফীতি সেটা কমাতে হলে সুদের হার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে সাদিক আহমেদ বলেন, ‘সুদের হার বাড়িয়ে মানুষের চাহিদা কমাতে হবে। কিন্তু সরকার যেভাবে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে সমানে খরচ করছে। এই টাকা মেটাতে টাকা ছাপাতে হচ্ছে। এভাবে মূল্যস্ফীতি কমবে না। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

বাজেটের লক্ষ্যকে অবাস্তব দাবি করে সাদিক আহমেদ বলেন, ‘বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সেটা গত বছরের প্রস্তাবিত বাজেট থেকে ১৬ শতাংশ বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা গেছে প্রতিবছর আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশর বেশি রাজস্ব বাড়ে না। কিন্তু সরকার যখন রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ঠিক করলো তখন কেনো আগের বছরের প্রস্তাবিত বাজেট থেকে ১৬ শতাংশ বাড়াল। সবাই জানে এই লক্ষ্য পূরণ হবে না। তাহলে কেনো সরকার এই অবাস্তব লক্ষ্য নেয়। সরকার কাকে বোকা বানাতে চায়?’

ব্যক্তি পর্যায়ে ২০০০ টাকা করের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটা সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত। একদিকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে কর মুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হল। অন্যদিকে আবার যাদের আয় নেই তাদের ২ হাজার টাকা কর দিতে বলা হচ্ছে। এভাবে চলে না বাংলাদেশের বড় লোক কম কর দিচ্ছে।’

কর কাঠামো ঠিক করার দাবি তুলে সাদিক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে কর কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। এই কাঠামোতে সরকার ঠিক মতো কর পাচ্ছে না। যার কর দেয়ার কথা সে ঠিক মতো কর দিচ্ছে না। মাঝখান থেকে কিছু টাকা অন্য মানুষের পকেটে যাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পিআরআই চেয়ারম্যান ডা. জাহেদী সাত্তার বলেন, ‘দেশে সুদের হার বাড়তে দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ট্যারিফ কমিয়ে আনতে হবে। তাহলে দেশে মূল্যস্ফীতি কমবে।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাভান্সড কেমিক্যাল বাংলাদেশের (এসিআই) লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ্ দৌলা বলেন, ‘আগাম কর দিলে সেই টাকা আর ফেরত পাওয়া যায় না। আর বাংলাদেশে লভ্যাংশের উপরে দুই তিন বার কর দিতে হয়ে সেটা বন্ধ করতে হবে।’

মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সহ সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন. করিম বলেন, ‘দেশে আস্তে আস্তে প্রত্যক্ষ কর থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। ভ্যাট থেকে রাজস্ব আহরণ কমাতে হবে। কারণ ভ্যাট ধনী গরিব সবাই একই হারে দেয়।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমি মনে করি ভ্যাট থেকে রাজস্ব আহরণ আরও বাড়ানো দরকার। এখান থেকে সরকার যদি ঠিক মতো সংগ্রহ করতে পারে অনেক টাকা আহরণ করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে নিম্নবিত্তকে ছাড় দেয়া যেতে পারে।’

সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুদের হার বাড়িয়ে দিলে জীবনযাত্রার মান কমে যেতে পারে। তাই আমরা সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে আগ্রহী।’

এছাড়া ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একবার বিষয়টি নেয়ে চেষ্টা করতে দেন, দেখি কি হয়।’

বিষয়:

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পিএমকের ব্র্যান্ডিং প্রকল্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) প্রকল্পটি নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে পরিচালনা করছে।

প্রকল্পের আওতায় হোসিয়ারি ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি তাদের ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নমূলক ট্রেইনিংয়ের ব্যবস্থা, কারখানার নিরাপত্তার জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফার্স্ট এইড বক্স, পোস্টার, সাইন, সিম্বলসহ ইত্যাদি দেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ড্রিমার্স অ্যান্ড ডুয়ার্সের (ডিঅ্যান্ডডি) মাধ্যমে হোসিয়ারি পণ্যের ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও অনলাইন মার্কেটিংয়ের ওপর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এভাবে পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।


মেঘনা ব্যাংকের লোন সিন্ডিকেশনে আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের প্রকল্পে অর্থায়ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মেঘনা ব্যাংক এবং আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপ সম্প্রতি একটি লোন সিন্ডিকেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। আকিজ বাইসাইকেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কাঠামোগত উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এ ঋণ ব্যবহৃত হবে।

এ ক্ষেত্রে মেঘনা ব্যাংক লিড অ্যারেঞ্জার এবং এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে। মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হোসেন এবং আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের চেয়ারম্যান এস কে শামীম উদ্দিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।


অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ‘অনুভবের’ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ‘অনুভব’-এর উদ্বোধন হয়েছে গত বুধবার। ফিতা কেটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ইন্ডিয়ান অ্যাসিসট্যান্ট হাইকমিশনার (চট্টগ্রাম) ডা. রাজীব রঞ্জন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ডা. রবিউল হোসেন। আরও বক্তব্য দেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিদ নবী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আনানথ এন রাও প্রমুখ।

বর্তমানে ‘অনুভবের’ আওতায় যে সেবাগুলো পাওয়া যাচ্ছে অবস্ অ্যান্ড গাইনি সার্জারি, ইএনটি, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক ও ট্রমা, গ্যাস্ট্রো প্রসিডিউর ইত্যাদি।


জ্বালানি-বিদ্যুৎ ঠিকমতোই সরবরাহ করা হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

‘দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। জ্বালানি-বিদ্যুৎ মর্যাদার জায়গায় এসেছে। আমরা ভালো ভালো শিল্পকারখানা গড়ে তুলছি। জ্বালানি-বিদ্যুৎ ঠিকমতোই সরবরাহ করা হচ্ছে’—প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ভালো, খাদ্য ঘাটতিও নেই। ১৪ বছরে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা ভালো, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলে তারা অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় মূল্যায়ন করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভালোভাবে চলছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে, আইএমএফ এটা বলেছে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিডের পর বিশ্ব সংকটে পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানিসহ সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। জ্বালানির উপকরণ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। দেশের অর্থনীতি বিবেচনা করে অনেক বেশি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেশি। এশিয়ায়ও প্রভাব পড়েছে। সরকার কৌশলী ভূমিকায় থেকে কাজ করছে। এ কারণেই মূলত জ্বালানি-বিদ্যুৎ ঠিকমতো সরবরাহ করা হচ্ছে। জিডিপির গ্রোথও ভালো।’

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।


পণ্যের দাম বাড়লেও আমরা ভালো আছি: বাণিজ্যমন্ত্রী

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো বলে মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘পণ্যের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে আমরা ভালো আছি।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা আশা করছি সামনে আরও ভালো কিছু হবে। তবে অন্যদের তুলনায় দেখলে আমরা ভালো আছি।’

তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীর দিকে তাকালে দেখবেন আমরা কোন অবস্থায় আছি। নিম্ন আয়ের মানুষের কিছু কষ্ট হচ্ছে, এটা অর্থমন্ত্রীও বলেছেন। আমরা কিন্তু এটা মাথায় রেখে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডাল, চিনি ও ভোজ্যতেল দিয়েছি। পেঁয়াজের দাম যখন বেড়েছে আমরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিয়ে সমস্যা তৈরি করে। আমরা যেসব পণ্য আমদানি করি তার দাম যদি বাড়ে বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। কোথাও কোথাও সমস্যা আছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিয়ে সমস্যা তৈরি করে।’

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।


গত বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

গত এক বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জানতে চান, গত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলেও এবারের বাজেটে এ ধরনের কোনো সুযোগ কেন রাখা হয়নি।

জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, গত বছরের বাজেটে বলেছিলাম, কেউ যদি অপ্রত্যাশিত টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে সেই টাকার কোনো কর দিতে হবে না। গত বাজেটে এ সুযোগটি দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত টাকা বাংলাদেশে আসেনি। তাই এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর থেকে অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বাজেটে ঘোষণা করা লক্ষ্যগুলোকে অবাস্তব বলা হচ্ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট ফেল করবে না।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমরা যে বাজেটগুলো দিয়েছি, প্রতিবছরই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, তা সব সময় প্রচার করেছি। ফেল করিনি, ইনশাআল্লাহ আগামীতেও ফেল করব না। এটি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’

মানুষের কর্মদক্ষতা ও দায়বদ্ধতার ওপর ভর করেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সবকিছুর মূলে হচ্ছে এ দেশের মানুষ, জনগোষ্ঠী- তাদের কর্মদক্ষতা, দেশের প্রতি তাদের মায়ামমতা, মানুষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা, এটা অসাধারণ এক উদাহরণ আমি মনে করি।’

‘এবং সে জন্য আমার বড় বিশ্বাস, আপনার মতো করে আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের পরাজয় নেই। ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হবই হব।’

৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটে এবার রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন মুস্তফা কামাল। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৬ শতাংশের বেশি। টাকার ওই অংক মোট বাজেটের ৫৬.৪৪ শতাংশের মত।

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন প্রথম দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন এনবিআরের রাজস্ব ছিল ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এখন সেটা ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। যদি ৫৯ হাজার কোটি টাকা থেকে এখন যদি তিন লাখ কোটি টাকাতে যায়, যেটুকুন বাড়তি বলছেন, এটা আমরা অর্জন করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রজেকশন যেগুলো আছে, আমরা ফুলফিল করতে পারব।’


রিটার্ন দিলেই ২০০০ টাকা করের ব্যাখ্যা এনবিআরের

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রিটার্ন দিলেই ২০০০ টাকা কর দেয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। কর আদায়ের প্রস্তাবটিকে কেউ কেউ বৈষম্যমূলক বললেও এ নিয়মে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলছেন, যাদের ক্ষেত্রে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক, সেই শ্রেণির মানুষদের জন্য এই ন্যূনতম কর বোঝা হওয়ার কথা নয়।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

সংবাদ সম্মেলনে নূন্যতম করের বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। অর্থমন্ত্রী তখন এনবিআর চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে উত্তর দিতে বলেন।

রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমি আগে রিকোয়েস্ট করব আপনাদের, কাদের টিআইএন থাকতে হয়, টিআইএন বাধ্যতামূলক কাদের, সিই লিস্টটা যদি সামনে নেন, তাহলে সেখানে দেখবেন টিআইএন বাধ্যতামূলক আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ট্রেড লাইসেন্সধারীর জন্য, কমিশন এজেন্সির জন্য। টিআইএন বাধ্যতামূলক পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য। সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি, গাড়ির জন্য।

‘আপনি যেটা বললেন, সাধারণ গরিব মানুষের কোনো অসুবিধা হবে কি না, সাধারণ গরিব মানুষেরতো টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়।’

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যে ক্যাটাগরিগুলো বললাম, আপনারা লিস্টে দেখবেন, এই ধরনের ক্যাটাগরিতে যে মানুষগুলো আছে, তাদের জন্য দুই হাজার টাকা বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হওয়া, এটি একটি গর্বের বিষয় হওয়ার কথা। বোঝা মনে করার কথা নয়।’


স্বস্তি সবজিতে, উত্তাপ মাছ বাজারে

সবজির দোকানে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতা। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজার থেকে তোলা। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির দাম না বাড়ায় ক্রেতাদের মাঝে খানিক স্বস্তির দেখা মিললেও মাছের চড়া দামে কপালে ভাঁজ পড়েছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে গত সপ্তাহের মত গরুর মাংস, সোনালী মুরগি এবং ডিমের দাম অপরিবর্তত থাকলেও কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার পর নগরবাসী আতঙ্ক নিয়ে বাজারে গেলেও ফিরছেন বেশ স্বস্তির সঙ্গেই।

রাজধানীর মহাখালী, আরজতপাড়া ও মধ্যবাড্ডার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

এদিন সবজির বাজার ছিল খানিকটা অপরিবর্তিত। তবে কিছু সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়লেও কমেছে একাধিক সবজির দাম। মোটাদাগে বিভিন্ন সবজি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অবশ্য কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে করলা ও কাকরোল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কচুরলতি কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে, ধুন্দল, পটল, বরবটি, শসা ও টমেটো ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়শ ও বেগুন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাঁচামরিচের দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মধ্যবাড্ডা বাজারের সবজি বিক্রেতা স্বপন আলী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘দাম কিছুটা কমই আছে। গেল সপ্তাহে যে দামে বেচছি এহন তার চেয়ে কম দামে ব্যাচতাছি। সামনে দাম কিছুডা বাড়তে পারে। তবে এহন দাম কম আছে ৬০ টাকায় সব সবজি পাওয়া যাইতেছে।’

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে এসেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মধ্যবাড্ডার বাসিন্দা রেজাউল করিম। সবজির দাম নিয়ে খানিকটা স্বস্তি থাকলেও মাছের চড়া দাম নিয়ে অস্বস্তি এই ক্রেতার। তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাজেট ঘোষণা হইছে। ভাবছিলাম আজকে সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে। তবে কাঁচাবাজারে দাম কিছুটা কমলেও মাছের বাজারের দাম বেড়েছে। প্রতিদিন বাজারে দাম বাড়লেও আমাদের বেতন তো বাড়ে না। তাই প্রতি মাসেই আমাদের মধ্যবিত্তদের সমন্বয় করেই চলতে হয়।’

বাজেটের উত্তাপ মাছের বাজারে
সবজির বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও বাজেট উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রকারভেদে মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এক কেজি ওজনের ইলিশ। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আইড় মাছ প্রতি কেজি ১৪০০ টাকা, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ১৬০০ টাকা, আকার ভেদে পুঁটি মাছ প্রতি কেজি ৫০০-৭০০ টাকা, বড় সাইজের গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ১৩০০-১৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রুই মাছ। কাতল মাছে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।

হাইব্রিড তেলাপিয়া মাছ গত সপ্তাহে ২০০ টাকা দামে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি কই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়, শিং প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

মহাখালীর মাছ বিক্রেতা রজ্জব আলী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সব মাছেরই দাম বাড়ছে। কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। বেচা- বিক্রি তেমন নাই। দাম বাড়লে ক্রেতা কইমা যায়।’

আরজতপাড়ার বাসিন্দা মঈন হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মাছ-মাংসের দাম বেড়েই চলছে। গত সপ্তাহে যে দামে কিনছি তার চেয়ে ১০০ টাকা দাম বেশি। এভাবে সব জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের জীবনযাপন করাই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।’


পুরো বাজেটই গরিবের জন্য উপহার: অর্থমন্ত্রী

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

নতুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গরিবের জন্য উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, পুরো বাজেটই গরিব মানুষের জন্য উপহার। আমরা বিগত দিনে ফেল করিনি, ইনশাআল্লাহ আগামীতেও ফেল করব না।

অর্থমন্ত্রী শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

কর দেয়ার যোগ্য সবাইকে কর দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ দেশে অনেক মধ্য আয়ের মানুষ আছেন, তাদেরও ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে। যারা আয় করেন ট্যাক্স দেয়ার সক্ষমতা আছে, তাদের ট্যাক্স দিতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে আমরা যে বাজেটগুলো দিয়েছি, প্রতি বছরই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, তা সবসময় প্রচার করেছি। ফেল করিনি, ইনশাআল্লাহ আগামীতেও ফেল করব না। এটি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে যারা উপস্থিত প্রত্যেকের দেশপ্রেম আছে, দেশপ্রেম আছে বলেই আমরা বারবার বিজয়ী হয়েছি। এদেশের সব কিছুর মূলে হলো মানুষ। তাদের কর্মদক্ষতা, দেশের প্রতি তাদের মায়া-মমতা, দায়বদ্ধতা অসাধারণ এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আমার বিশ্বাস আমরা পরাজিত হবো না, বিজয়ী হবোই হবো।

বাজেটে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রভাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের পরামর্শে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমরা কোনো পণ্য না পেলে খুঁজি বিকল্প কোন দেশে সেটি পাওয়া যাবে। সার্বিক বিষয়ে আইএমএফের ওভারঅল প্রেসক্রিপশন থাকে। তবে সেখান থেকে যেটুকু গ্রহণ করা যায় করবো। বাকিসব আমরা আমাদের মতো করবো।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বিশাল এই বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।


banner close