বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
মো. আব্দুছ ছালাম আজাদের সাক্ষাৎকার

আবার সেরা হবে জনতা ব্যাংক

মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ
আপডেটেড
৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৭:০২
আবদুর রহিম হারমাছি ও এ এস এম সাদ
প্রকাশিত
আবদুর রহিম হারমাছি ও এ এস এম সাদ
প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০৮:১৮

একসময় দেশের সেরা ব্যাংক ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। কিন্তু নানা ঝামেলায় সেই সাফল্যে ভাটা পড়েছিল। সুখবর হচ্ছে, ঘুরে দাঁড়িয়েছে জনতা ব্যাংক। আবার দেশের সেরা ব্যাংক হতে চলেছে জনতা ব্যাংক। কীভাবে সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে, সেসব বিষয় নিয়ে দৈনিক বাংলায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বাংলার বিজনেস এডিটর আবদুর রহিম হারমাছি ও প্রতিবেদক এ এস এম সাদ

দৈনিক বাংলা: জনতা ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা কী?

আব্দুছ ছালাম আজাদ: আগের সব সংকট অতিক্রম করে জনতা ব্যাংকের সব সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী। আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, এসএমই প্রকল্প, কৃষিঋণ বিতরণসহ ব্যাংকিং খাতের প্রায় সব মাপকাঠিতে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমছে। এই বছরের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করি এটা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ব্যাংকটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া নিয়মনীতি অনুসরণ করে এননটেক্স, ক্রিসেন্ট লেদারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

দৈনিক বাংলা: এননটেক্স গ্রুপের ঋণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এই গ্রুপের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?

আব্দুছ ছালাম আজাদ: এননটেক্স গ্রুপ উৎপাদনমুখী একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই নিয়ম মেনেই এই প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণ করেছে জনতা ব্যাংক। তবে একটা সময় নানা রকমের সমস্যার কারণে এননটেক্স গ্রুপ খেলাপি হয়ে পড়ে। খেলাপির সঙ্গে সুদের পরিমাণও বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে ৩ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা সুদ উঠে যায়। গত বছর সুদ আরোপের ফলে পাওনা দাঁড়ায় ৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২০১৫ সাল থেকে কোম্পানিটি রিস্ট্রাকচার শুরু করে। এরপর ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে পুনঃতফসিল প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে এননটেক্স ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগের সার্কুলার অনুসরণ করে সর্বশেষ ২০২২ সালের নভেম্বরে এননটেক্সের কাছ থেকে নগদ ২ শতাংশ বা ১৪২ কোটি টাকা ডাউন পেমেন্ট নিয়ে সুদ মওকুফ করা হয়।

এননটেক্স গ্রুপের ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে বড় পরিমাণের ঋণ দেয়া হয়েছে। খেলাপি হওয়ায় গ্রুপটির মালিক এই দায় থেকে বের হতে চাইছিল। তাই তিনি জনতা ব্যাংককে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ বিক্রি করে কিংবা হস্তান্তর করে ঋণ পরিশোধ করবেন তিনি। সে জন্য ১৪২ কোটি টাকা নগদ আদায় করে সুদ মওকুফ করা হয়েছে। ফলে জুন পর্যন্ত বাকি টাকা পরিশোধের সময় দেয়া হয়েছে। জনতা ব্যাংকের কস্ট অব ফান্ড ৬ দশমিক ৩৪। ফলে ব্যাংকটির কোনো লোকসান হয়নি।

দৈনিক বাংলা: এননটেক্স গ্রুপের ঋণটি আদায় হলে জনতা ব্যাংকের কী ধরনের সুবিধা হবে?

আব্দুছ ছালাম আজাদ: এননটেক্সকে যে পরিমাণ অর্থঋণ দেয়া হয়েছে তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এই ঋণের ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের বাইরে রয়েছে। অর্থের দিক বিবেচনা করলে এটি বড় রকমের ঋণের পাওনা রয়েছে। তাই এই টাকা আদায় করলে জনতা ব্যাংকের তারল্য অনেক বেড়ে যাবে এবং সার্বিক দিক থেকে ব্যাংকটির অবস্থান শক্তিশালী হবে। বিশাল পরিমাণের অর্থ ব্যাংক ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। ৫ হাজার কোটি টাকা ফেরত আসার জন্যই এসব প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। বাকি টাকা আদায় করতে পারলে জনতা ব্যাংক এ বছর শেষে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবে। জনতা ব্যাংকের অবস্থান আরও ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন ঘটবে। ফলে জনতা ব্যাংক শ্রেষ্ঠ ব্যাংকে পরিণত হবে। কারণ নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে কস্ট অব ফান্ডে করা সম্ভব হয়েছে। কয়েক বছর ধরে ব্যাংকের নেগেটিভ অ্যাসেটও কমেছে। এ ছাড়া সুদ মওকুফ একটা চিরাচরিত নিয়ম।

দৈনিক বাংলা: দেশের ব্যাংকিং খাতের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?

আব্দুছ ছালাম আজাদ: সত্যি কথা বলতে কী, সার্বিক দিক বিবেচনা করলে বর্তমানে দেশের পুরো ব্যাংকিং খাত খারাপ অবস্থানে রয়েছে। ফলে ব্যাংকের ভিত শক্তিশালী করার জন্য সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থায় নানা রকমের সংস্কার করতে বলেছে। তাই জনতা ব্যাংক সব দিক বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

সবচেয়ে ভালো খবর হচ্ছে, জনতা ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে। এখন আমাদের ব্যাংকে মোট বিতরণ করা ঋণের ১৭ শতাংশ খেলাপি; টাকার অঙ্কে যা ১৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। একটা সময় দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপির শীর্ষে থাকলেও বর্তমানে দ্বিতীয়তে জনতা ব্যাংক। ফলে জনতা ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

একটা সময় দেশের বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল। নানা সময়ে সেগুলো খেলাপি হয়ে গেছে। চলতি বছর এই খেলাপি ঋণের অর্ধেক আদায় করা হবে। ফলে ২০২৩ সাল শেষে খেলাপি ঋণ ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়েই ব্যাংকটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।

আরেকটি ভালো খবর হচ্ছে, অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় জনতা ব্যাংকের অবলোপন বা রাইট অব ঋণের পরিমাণ কম। জনতার অবলোপন ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে বড় রকমের কোনো খেলাপি ঋণ অবলোপন করা হয়নি। কিছু ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ছাড়া বাকি ঋণ অবলোপন করা হয়নি। ফলে দেশের তিনটি বৃহৎ ব্যাংকের মধ্যে জনতা ব্যাংকের অবলোপন ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে কম। ফলে মুনাফা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বড় ঋণগুলো অবলোপন করলে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে যেত।

দৈনিক বাংলা: বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এর প্রভাবে ব্যাংকগুলোতে আমানত কমার খবর পাওয়া যাচ্ছে। জনতা ব্যাংকের আমানতের কী অবস্থা?

আব্দুছ ছালাম আজাদ: এখানেও আমি ভালো তথ্য দিতে চাই। অন্যান্য ব্যাংকের আমানত বা ডিপোজিট কমলেও জনতা ব্যাংকের আমানত বাড়ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১২ হাজার কোটি টাকা বেসরকারি ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছে এবং সরকারি এলসি খোলা হয়েছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো জনতা ব্যাংকে এলসি খুলেছে। স্কয়ার, নাসা, বেক্সিমকো, ওরিয়নসহ দেশে যত বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে সব কোম্পানির ঋণপত্র বা এলসি খোলে জনতা ব্যাংকে।

গত বছর ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করেছে জনতা ব্যাংক। আবার ২০২১-এর চেয়ে ২০২২ সালের নিট মুনাফা ৪০০ কোটি টাকা বেড়েছে। একই সময়ে নিট ইন্টারেস্ট মার্জিন ৫০৭ কোটি টাকার বেশি। নতুন আটটি শাখা চালু হয়েছে। ২০২১ সালে অ্যাসেট ছিল ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা, ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা।

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রেও বড় সাফল্য দেখিয়ে চলেছে জনতা ব্যাংক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভাইবোনেরা। চলতি মার্চ মাসের আরও বেড়েছে। ২৩ মার্চ পর্যন্ত এসেছে ৬৬ মিলিয়ন ডলার। আশা করছি মাস শেষে এটি ৮০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ফলে সার্বিকভাবে বলতে চাই, জনতা ব্যাংকের অবস্থা ও অবস্থান ভালোর দিকে যাচ্ছে। দিন যত যাবে, ব্যাংকের তত উন্নতি হবে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। একটা কথা আমি বলতে চাই, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই দেশপ্রেমের প্রতিফলন ঘটিয়েছি। জনতা ব্যাংককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমার একটি চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করছি।

দৈনিক বাংলা: এননটেক্স ছাড়াও ক্রিসেন্ট গ্রুপসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে জনতা ব্যাংকের মোটা অঙ্কের খেলাপি ঋণ রয়েছে। সেগুলোর কী অবস্থা?

আব্দুছ ছালাম আজাদ: ক্রিসেন্টের ৭০০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে এ গ্রুপের মাধ্যমে পাওনা টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে আদায় করা হবে। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিবিধান মেনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে জনতা ব্যাংকের অবস্থান ২০১০ সালের আগে যে রকম ছিল সেই অবস্থানে ফিরে যাবে। জনতা ব্যাংক শুধু বাংলাদেশের মধ্যে নয়, সাব-কন্টিনেন্টের মধ্যে একটি শক্তিশালী ব্যাংকে পরিণত হবে।


এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে ৫১ কোটি ডলার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিনের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ হিসাবে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। আর ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। আগের সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে ৫১ কোটি ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার।

রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ায় রিজার্ভ বেড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে এই রিজার্ভ সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছেন তারা।

মার্চ শেষে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের চাওয়া শুধু নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ কত, সেটি। দেশে ডলার-সংকটের মধ্যে আর্থিক হিসাব ও চলতি হিসাবে ঘাটতি হওয়ায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণ চায় বাংলাদেশ। ছয় মাস পর সংস্থাটি গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।

২ ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের নতুন শর্ত অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ রাখার কথা ছিল ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া চলতি বছরের মার্চে তা ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী জুন মাস শেষে ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে বলা হয়। তবে ডিসেম্বর ও মার্চের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি সরকার।

এদিকে রিজার্ভ বাড়াতে গত দেড় মাসে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অদল-বদল (সোয়াপ) করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মোট রিজার্ভ বাড়লেও প্রকৃত রিজার্ভ বাড়েনি। কারণ, এই রিজার্ভ দায়হীন নয়।

তবে সোয়াপ-সুবিধা চালুর ফলে ব্যাংকগুলোর টাকার সংকট কিছুটা দূর হয়েছে, আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও মোট রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স বাড়ায় রিজার্ভ বাড়ছে। এখন রিজার্ভ বাড়তির দিকেই থাকবে। এছাড়া আগের মতো শর্ত মানা নিয়ে আইএমএফের কড়াকড়ি নেই। তারা দেখতে চায়, বাংলাদেশ আর্থিক সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে কি না। আমরা চেষ্টা করছি, সংকট অনেকটা কেটে গেছে। শর্ত পূরণ না হলেও তারা ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় করবে।

এদিকে দুই বছর ধরে চলা ডলার-সংকট এখনো কাটেনি। ব্যাংকে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা; কিন্তু ব্যাংকগুলো ১১৪-১১৫ টাকা দামে ডলার কিনছে।

গত বছরের ১২ জুলাই থেকে আইএমএফের কথামতো রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘গ্রস’ হিসাবের পাশাপাশি বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ করেও রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। ওই দিন ‘গ্রস’হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।

১২ জুলাইয়ের আগে শুধু ‘গ্রস’হিসাবের রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করত বাংলাদেশ ব্যাংক। এক বছর আগে ৩ এপ্রিল ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।

আমদানি কমায় এবং রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় রিজার্ভ বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের আগস্টে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪৮ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। কিন্তু এর পর থেকে কমতে কমতে এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম-৬ হিসাবের রিজার্ভকে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য’ রিজার্ভ হিসাবে দাবি করে।

সবশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের ৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসাবে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য’ ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের কম সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, আমদানি ব্যয় কমায় এবং রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ায় বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। সে কারণেই ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে দুই বছর ধরে চলা ডলারের অস্থির বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে; রিজার্ভ বাড়বে। যার ইতিবাচক ধারা অর্থনীতিতেও পড়বে।


সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল ও রাকাব

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রায়ত্ত দুটি ব্যাংক অন্য দুটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) অন্য দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাকাবকে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বিডিবিএলকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একীভূত করার এ সিদ্ধান্তের কথা গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে আলাদা করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংক চারটিকে জানানো হয়, শিগগির ব্যাংক একীভূতের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা দেবে। এরপরই নীতিমালা মেনে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় একীভূত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেহেতু সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারি ব্যাংককে একীভূত করা হবে, তাই রাকাব ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

ওই সভায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংককে জানানো হয়, যে দুটি ব্যাংককে একীভূত করা হবে, তাদের খারাপ সম্পদ বা মন্দ ঋণ কিনে নেবে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি। এরপর শুধু ভালো সম্পদ নিয়ে ব্যাংক দুটিকে একীভূত করা হবে। এতে চাপে পড়বে না ভালো ব্যাংকগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আর ১৯৮৬ সালে উত্তরাঞ্চলের কৃষি ব্যাংকের শাখাগুলো নিয়ে গঠন করা হয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। এখন আবার দুটি ব্যাংককে এক করে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে ২০১০ সালে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক (বিএসবি) ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা (বিএসআরএস) একীভূত হয়ে বিডিবিএল ব্যাংক নামে যাত্রা শুরু করে।

ব্যাংক খাতের সংস্কারে নানা সমস্যার সমাধান করতে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি পথনকশা তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে ব্যাংক একীভূত করার বিষয়টি রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের এমডিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে।


ঈদ উপলক্ষে আজ থেকে নতুন টাকার নোট মিলবে

আপডেটেড ৩১ মার্চ, ২০২৪ ০০:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল ‌ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর মাধ‌ম্যে নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন নোট বি‌নিময় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আজ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকেও আলোচিত সময়ে ৫, ১০,২০, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট প্রতিটি একটি প্যাকেট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। একজন ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না।

যেসব শাখায় মিলবে নতুন নোট

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড করপোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব করপোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি করপোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের করপোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা (দিলকুশা), যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখা।


ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এক মাসের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ।

এ বছরের জানুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকরা ব্যয় করেছেন ২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।

অন্যদিকে জানুয়ারিতে দেশের বাইরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৩২ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ৫৭৯ কোটি ৩ লাখের চেয়ে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ কম।

দেশের মধ্যে কিন্তু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন জানুয়ারিতে ১৮১ কোটি ৬ লাখ টাকায় নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ১৮৪ কোটি ১ লাখ টাকার চেয়ে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম।

দেশের মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ১ হাজার ৩০৯ কোটি ৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে এ বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ৩২০ কোটি ৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

একইভাবে খুচরা আউটলেটে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে সামান্য বেড়েছে।

অন্যদিকে ইউটিলিটি বিষয়ক লেনদেন ডিসেম্বরের ২৪৪ কোটি ১ লাখ টাকা থেকে কমে এ বছরের জানুয়ারিতে ২২৮ কোটি ৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। জানুয়ারিতে নগদ উত্তোলন কমে ২০৭ কোটি ১ লাখ টাকা হয়েছে, যা এক মাস আগে ছিল ২১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রায় ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন ভিসার মাধ্যমে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ মাস্টারকার্ড ও ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ আমেরিকা এক্সপ্রেসের মাধ্যমে হয়েছে। বাকি লেনদেন অন্য কার্ডের মাধ্যমে হয়েছে।


করপোরেট ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি

সিইউবির করপোরেট ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে তৃতীয় হওয়ায় সিইউবির খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৪৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি)-এর করপোরেট ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডকে (এসএফআইএল) ৬৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সিইউবির পূর্বাচলের স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠে এই ম্যাচ হয়।

কাইছার আহমেদ আসিফের বোলিং, কাজী সাব্বির ও ইমতিয়াজ কবিরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সিইউবি।

জবাবে এসএফআইএল ১০ ওভারে ৮ উইকেটে করে মাত্র ৪৯ রান। ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন সিইউবির লিয়ন।

উল্লেখ্য, একই দিনে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ হয়। ফ্রন্টিয়ার টাওয়ার বাংলাদেশকে (এফটিবি) হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পদ্মাব্যাংক।

খেলার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।

ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন মাসুদ শেখ।

বিষয়:

ভোটের মাঠে জয়ের পরদিন ক্রিকেটের মাঠে সাকিব

সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:৫৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে জয় পাওয়ার পরদিনই ক্রিকেটের মাঠে ফিরেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই বিশাল জয় পেয়েছেন তিনি। তবে নির্বাচিত হওয়ার পরদিন ৮ জানুয়ারি ক্রিকেট মাঠে ফেরার জন্য লড়াই শুরু করলেন তিনি।

মাগুরা-২ আসন থেকে প্রায় দুই লাখ ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর ভোরে ঢাকায় ফিরে দুপুরে মিরপুরে আসেন সাকিব।

সোমবার টিম নিয়ে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি। অনুশীলনে সঙ্গে আছেন ট্রেনার, ডাক্তার ও কোচ।

এদিন বেলা ৩টার পর সাকিব ইনডোরে প্রবেশ করেন। অনুশীলনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন তিনি। ইনডোরে সাকিবের প্রবেশের আগে আসেন কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এরপর ইনডোরে আসেন ট্রেনার বায়েজেদুল ইসলাম, তুষার কান্তি দাস হাওলাদার ও চিকিৎসক মনজুর হোসেন।

আগামী ১৯ জানুয়ারী থেকে শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এতে সাকিব খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। মাগুরায় নির্বাচনী প্রচারণার ফাঁকে ফিটনেসের কাজ করছিলেন। বিপিএল’র জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন সাকিব আল হাসান।

বিষয়:

হয়ে গেল ডুফার ইনডোর অলিম্পিকের পুরস্কার বিতরণী

ডুফার অনুষ্ঠানে পুরস্কার নিচ্ছেন এক বিজয়ী। ছবি: সৌজন্য
আপডেটেড ৭ জুন, ২০২৩ ২০:১৯
ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত শনিবার হয়ে গেছে ডুফা ইনডোর অলিম্পিকের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বনানীর ডুফা ক্লাবে হয়ে যাওয়া সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য, ক্রীড়া জগতের সংগঠক ও সাংবাদিকরা।

অলিম্পিকের ঢংয়ে হওয়া এ আয়োজনে পরিচিত সব খেলাই ছিল– ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ, কল ব্রিজ, দাবা, লুডু, ডার্ট, ক্যারম ও টেবিল টেনিস।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যারম ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ লিয়ন, বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আয়োজনের স্পনসর অ্যাকফিনটেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আহমেদ হুমায়ুন মুরশেদ, প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মেজারুল মুশরেফিসহ অনেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৫-৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যালায়েন্স – সংক্ষেপে ডুফা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজনও করে তারা। প্রতিবছর মাঠে গড়ায় ডুফা প্রিমিয়ার লিগ। আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাকফিনটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় ডুফা ইনডোর অলিম্পিক শুরু হয়েছে এ বছর থেকে।

ডুফা অলিম্পিক-২০২৩ এ কোন বিভাগে কে কী জিতলেন

ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ:

সোনা জিতেছে প্যারিস ও সুবীর জুটি, রূপা টিটু-তালেব জুটি।

স্পেডস

সোনা জিতেছেন জাকারিয়া মামুন। রূপা জিতেছেন ইদ্রিস, ব্রোঞ্জ পেয়েছেন আরজু ও ফরিদ।

দাবা

সোনা জিতেছেন মিরাজ। রূপা রাজু। ব্রোঞ্জ এনাম।

লুডু

সিঙ্গেলস: সোনা জিতেছেন সুবীর, রূপা পেয়েছেন টিটু, ব্রোঞ্জ সুজান।

ডাবলস: সোনা জিতেছে রাজু-বাঁধন জুটি। রূপা পেয়েছে আরজু-শফিক জুটি। ব্রোঞ্জ পেয়েছে রোমেল-রুমানা এবং টিটু-সোমা জুটি।

ডার্ট (নারী)

সিঙ্গেলস: সোনা জিতেছেন ইসরান শাহানা, রূপা রুমানা, ব্রোঞ্জ ইভা।

ডার্ট (পুরুষ)

সিঙ্গেলস: সোনা জিতেছে রোমেল, রূপা জাকারিয়া মামুন, ব্রোঞ্জ পারভেজ।

ডার্ট (দলগত)

সোনা – ডুফা ওয়েস্ট (শোয়েব, মিরাজ, টুটুল, সজল, আরজু ও রাজু)। রূপা – ডুফা ইস্ট (সুমন, ফরিদ, মুনির, আরমান, এবাদত ও আশিক)। ব্রোঞ্জ – ডুফা সাউথ (শাহজাহান, মিরাজ, মিঠু, বিপু, হিমন, মনির এবং আমু)।

ক্যারম (নারী)

সিঙ্গেলস: সোনা জিতেছেন ইভা। রূপা পেয়েছেন শোমা। আর ব্রোঞ্জ জিতেছেন রুমানা ও রুমা।

ডাবলস: সোনা জিতেছে শোমা-রুমা জুটি। রূপা জিতেছে ইভা-রোমানা জুটি। ব্রোঞ্জ লুনা-দীপা জুটি।

ক্যারম (পুরুষ)

সিঙ্গেলস: সোনা জিতেছেন আরমান, রূপা জিতেছেন মিরাজুল, ব্রোঞ্জ জাকারিয়া মামুন।

ডাবলস: সোনা জিতেছে আরমান-ফরিদ জুটি। রূপা জিতেছে পারভেজ- জাকারিয়া মামুন জুটি। ব্রোঞ্জ জিতেছে শফিক-শোয়েব এবং জে. সুমন-মল্লিক জুটি।

ক্যারম (মিক্সড ডাবলস)

সোনা জিতেছে দীপা-ফরিদ জুটি। রূপা লুনা-আরমান জুটি। ব্রোঞ্জ টুটুল-শোমা এবং শফিক-ইভা জুটি।

সব মিলিয়ে ডুফা ওয়েস্ট জিতেছে সর্বোচ্চ ২৭টি পদক। তারা সোনা জিতেছে ৮টি, রূপা জিতেছে ৮ এবং ব্রোঞ্জ জিতেছে ১১টি।

ডুফা নর্থ জিতেছে ৯টি পদক (সোনা ৩টি, রূপা ৪টি এবং ব্রোঞ্জ ২টি)। ডুফা ইস্ট জিতেছে ১০টি পদক, এর মধ্যে সোনা ৩টি, রূপা ২টি এবং ব্রোঞ্জ ৫টি। ডুফা সাউথের ৩টি পদকের মধ্যে সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ একটি করে।


বাংলাদেশের ম্যাচ কীভাবে দেখবেন, মাদ্রিদ-সিটি কোন চ্যানেলে?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টিভিতে কিংবা মোবাইলে কখন কোথায় কোন খেলা দেখবেন আজ? সূচিটা দেখে নিন...

ক্রিকেট

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড

প্রথম ওয়ানডে । বেলা ৩টা । আইসিসি টিভি (https://app.icc.tv/home - আইসিসি ফ্যান একাউন্ট দিয়ে ঢুকতে হবে)

আইপিএল

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু । রাত ৮টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

ফুটবল

ফেডারেশন কাপ: সেমিফাইনাল

বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান । বেলা ৩টা । টি স্পোর্টস

চ্যাম্পিয়নস লিগ

রেয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি । রাত ১টা । সনি টেন স্পোর্টস ২


আইপিএলে আজ কার ম্যাচ, পাকিস্তানের ম্যাচ কোন চ্যানেলে?

আপডেটেড ৩ মে, ২০২৩ ১২:১৬
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট

আইপিএল

লক্ষ্ণৌ - চেন্নাই । বিকেল ৪টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

পাঞ্জাব - মুম্বাই । রাত ৮টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

পাকিস্তান - নিউজিল্যান্ড

তৃতীয় ওয়ানডে । বিকেল ৪টা ৩০ মি. । সনি টেন ৫

ফুটবল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ম্যান সিটি - ওয়েস্ট হ্যাম । রাত ১টা । স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২


আইপিএলে মোস্তাফিজ, বার্সা-মাদ্রিদ-আর্সেনাল...টিভিতে কী কোন চ্যানেলে

আপডেটেড ২ মে, ২০২৩ ১০:৩১
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট

আইপিএল

গুজরাট - দিল্লি । রাত ৮টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

ফুটবল

ফেডারেশন কাপ

কোয়ার্টার ফাইনাল । রহমতগঞ্জ - শেখ রাসেল । বিকেল ৩টা ১৫ মি. । টি স্পোর্টস

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

আর্সেনাল - চেলসি । রাত ১টা । স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

লা লিগা

বার্সেলোনা - ওসাসুনা । রাত ১১টা ৩০ মি. । র‍্যাবিটহোল, স্পোর্টস ১৮

সোসিয়েদাদ - রেয়াল মাদ্রিদ । রাত ২টা । র‍্যাবিটহোল


মাদ্রিদের ম্যাচ কোথায় কখন, আইপিএলে আজ কী আছে

মাদ্রিদ আজ নামছে জিরোনার মাঠে। ছবি: টুইটার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টিভিতে, মোবাইলে আজ কখন কোন খেলা কোন চ্যানেলে, মিলিয়ে নিন -

ক্রিকেট

আইপিএল

গুজরাট টাইটানস - মুম্বাই ইন্ডিয়ানস । রাত ৮টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

ফুটবল

লা লিগা

জিরোনা - রেয়াল মাদ্রিদ । রাত ১১টা ৩০ মি. । স্পোর্টস ১৮, র‍্যাবিটহোল

প্রিমিয়ার লিগ

অ্যাস্টন ভিলা - ফুলহ্যাম । রাত ১২টা ৪৫ মি. । স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

লিডস ইউনাইটেড - লেস্টার সিটি । রাত ১টা । স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১


আইপিএলে আজ কোন ম্যাচ, বায়ার্ন-সিটি ম্যাচ কোন চ্যানেলে

হলান্ডের গোলের উল্লাসও আজও দেখা যাবে? ছবি: টুইটার
আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:১১
ক্রীড়া ডেস্ক

টিভি ও মোবাইলে আজ কোন খেলা কখন কোন চ্যানেলে দেখতে পাবেন, তা দেখে নিন –

ক্রিকেট

আইপিএল

রাজস্থান – লক্ষ্ণৌ । রাত ৮টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

ফুটবল

চ্যাম্পিয়নস লিগ

বায়ার্ন মিউনিখ – ম্যানচেস্টার সিটি । রাত ১টা । সনি টেন ২, টফি অ্যাপ

ইন্টার মিলান – বেনফিকা । রাত ১টা । সনি টেন ১, টফি অ্যাপ


আইপিএলে আজ কার ম্যাচ, মাদ্রিদ-চেলসি ম্যাচ কোন চ্যানেলে?

লন্ডনে যাওয়ার পথে মাদ্রিদের দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস। ছবি: টুইটার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টিভিতে-মোবাইলে আজ কোন খেলা, কখন, কোন চ্যানেলে তা দেখে নিন –

ক্রিকেট

আইপিএল

হায়দরাবাদ – মুম্বাই । রাত ৮টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

ফুটবল

ফেডারেশন কাপ

মোহামেডান – চট্টগ্রাম আবাহনী । বেলা ৩টা ১৫ মি., । টি স্পোর্টস

চ্যাম্পিয়নস লিগ

চেলসি – রেয়াল মাদ্রিদ । রাত ১টা । সনি স্পোর্টস টেন ২

নাপোলি – এসি মিলান । রাত ১টা । সনি স্পোর্টস টেন ১


banner close