ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, ‘বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রেক্ষাপট ও গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিএসইও অবকাঠামোগতভাবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাবে। কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।’
বৃহস্পতিবার সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডিএসইর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ডিএসই কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডিএসই ও সিইও ফোরামের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য, আর সেটি হলো পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমি ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। তাই ব্রোকারেজ হাউজ এবং ডিএসই এই দুই প্রান্তের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে।’
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক বিবেচনায় দেশের পুঁজিবাজার এমন থাকতে পারে না। সকল পক্ষের অংশীদারিত্বমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং যথোপোযুক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের পুঁজিবাজারের পরিবর্তন আনতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতায় আমরা বাজারের উন্নয়ন করতে চাই। অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, পুঁজিবাজার পিছিয়ে থাকতে পারে না।’
সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে বেশ কিছু সমস্যা কাজ করছে। এরমধ্যে এক্সপোজার লিমিট, মাল্টিপল ট্যাক্স, ফ্লোর প্রাইস, ভালো ভালো কোম্পানি বাজারে না আসা ইত্যাদি বিষয় অন্যতম। আমরা আশা করি, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সব রেগুলেটর সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করবে। আমাদের সহযোগিতা সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকবে।’
জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের পর দুই কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে রেকর্ড লেনদেন হলেও তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার ছয় গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব কটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলেও লেনদেনের শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। শুরুতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের শেষ দিকে এসে একশ্রেণির বিনিয়োগকারী বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন। বিশেষ করে শেষ দেড় ঘণ্টায় বিক্রির চাপ এতটাই বেশি ছিল, যা নিতে পারেনি বাজার। ফলে একদিকে দরপতনের তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সব কটি সূচকের বড় পতন হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে মাত্র ২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ১৫৭টির দাম কমেছে। আর ১৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সব কটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের গতি। ডিএসইতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৯৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে আরডি ফুড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লুব-রেফ বাংলাদেশ, জেমিনি সি ফুড, অগ্নিসিস্টেম এবং আমরা নেটওয়ার্ক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির এবং ৯২টির দাম অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
শূন্য থাকায় নতুন করে আরও দুজনকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পরিচালক হিসেবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- শাহিদুল ইসলাম ও কাওসার আহমেদ।
মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে তাদের নিয়োগের কথা জানিয়ে দেয়া হয় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা বিভাগকে। এর মধ্য দিয়ে ডিএসইর পর্ষদে ৭ স্বতন্ত্র পরিচালকের সব কটিতেই নিয়োগ সম্পন্ন হলো।
শাহিদুল ইসলাম জনতা ব্যাংক থেকে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন। আর কাওসার আহমেদ একজন মানবাধিকার কর্মী।
এর আগে মেয়াদ শেষে শূন্য হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে চার পরিচালক নিয়োগ দিয়েছিল বিএসইসি। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হাফিজ মো. হাসান বাবু, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এবং বিমা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন এবং ওরাকলের আবাসিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) রুবাবা দৌলা।
তাদের মধ্যে হাফিজ মো. হাসান বাবু বতর্মানে ডিএসইর পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পরিচালকদের ভোটে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পর্ষদে সদস্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় আগের নিয়োগ পাওয়া ৬ স্বতন্ত্র পরিচালকের। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, ডিএসইর পর্ষদে ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবেন। এই ৭ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগের স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে শুধু ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদের মেয়াদ এখনো রয়েছে।
আগের দিনের মন্দা ভাব থেকে বের হয়ে দেশের পুঁজিবাজার দিয়েছে ছুট। মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে ছয় মাস পরে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের ঘর ছাড়িয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
করোনাভাইরাস পরবর্তী ২০২১ সালে বড় উত্থান হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে। এরপরে ২০২১ সালের শেষের দিকে শুরু হয় পতন। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ৯০ পয়েন্ট। সেখান থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ কমে ছয় হাজারের নিচে নেমে আসে ডিএসই সূচক। সেটা গত বছরের জুলাই মাসের ঘটনা। সেখান থেকে আবার জোয়ার আসলেও ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টের ঘরে গিয়ে আবার কমতে শুরু করে সূচক।
গত বছরের নভেম্বরে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের নিচে নেমে যায় ডিএসই সূচক। এর পরে বহুবার ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টর খুব কাছাকাছি গিয়েও সেখান থেকে নেচে নেমে যায় ডিএসই সূচক। এক কথায় দেশের পুঁজিবাজারের একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা ছিল এই ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট। গত কয়েক সপ্তাহের সুবাতাসে এবার সেই বাধা পার করল দেশের পুঁজিবাজার।
সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ডিএসই সূচক বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট। সূচক হয়েছে ৬ হাজার ৩০৬ পয়েন্ট। এই সূচক গত সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে বেশি। এর আগে এরচেয়ে বেশি সূচক ছিল ২০২২ সালের নভেম্বরের ১০ তারিখ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৯২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭০৭ কোটি ৪০ লাখ।
মঙ্গলবার মোট ৩৪৮টি শেয়ার লেনদেন হয় ঢাকার পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির কমেছে ৩৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৮টির।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন বিমা খাতে, ওষুধ আর পাট খাতে হাওয়া
গত কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় বিমা খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মঙ্গলবার। এদিনের মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ ছিল বিমা খাতে। এ দিন পাট খাতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ১২০ শতাংশ। আর ওষুধ খাতে লেনদেন বেড়েছে ১০০ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: বিএসসি, ইস্টার্ন হাউজিং, নাভানা ফার্মা, রূপালি লাইফ ইন্সুঃ, জেমীনি সী ফুড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিঃ, ওরিয়ন ইনফিউশন, মেঘনা লাইফ ইন্সুঃ, সিএলআইসিএল ও এডভেন্ট ফার্মা।
দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা প্রধান ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: চাটার্ড লাইফ ইন্সঃ কোং, জিকিউ বল পেন, ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুঃ, রহিম টেক্স, আরামিট সিমেন্ট, মেঘনা লাইফ ইন্সুঃ, মেঘনা ইন্সুঃ, এনটিসি, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও নরদান জুট।
দাম কমার শীর্ষে থাকা প্রধান ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: যমুনা ব্যাংক, সিম টেক্স, স্ট্যান্ডাড ইন্সুঃ, নাভানা সিএনজি, নাভানা ফার্মা, আফতাব অটো, শ্যামপুর সুগার, জিলবাংলা সুগার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিঃ, ফারইস্ট নিটিং ও আরএসআরএম স্টিল।
মঙ্গলবার দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। এদিন সিএসই সূচক বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট। লেনদেন কমেছে ৫ কোটি। মোট শেয়ার লেনদেন হয় ২১৪ কোটি। দাম বেড়েছে ৯১টির। কমেছে ৩৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও বেড়েছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৮৩১ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গতকাল সোমবার ডিএসইতে ৭৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০০ পয়েন্টে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৯টির।
অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। সিএসইতে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সঙ্গে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন প্রায় ৮৭ কোটি টাকা কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৬১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ০৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৬৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, দর কমেছে ৬৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৫টির।
ডিএসইতে এদিন ৭৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম। এর আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৮৪৬ কোটি ২১ লাখ টাকার।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে।
সিএসইতে ১৯০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৪টির এবং ৯৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে এদিন।
দেশের পুঁজিবাজারে ঈদ পরবর্তী সুবাতাস বইছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ঈদের আগে ও ঈদ পরবর্তী সময়ের দৈনন্দিন লেনদেনের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে। টানা ৯ কার্যদিবস সূচক বাড়ার পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন ৯৬৭ কোটি ছাড়িয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়েছে।
এর আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা, সেটি হয়েছিল গত বছরের ৯ নভেম্বর। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ৯৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় ঢাকার শেয়ারবাজারে। যা এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে। গত বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। যা এ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। এদিন সূচক কমার তালিকায় নাম লেখায় ডিএসই৩০। এই সূচকটি ৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এরমধ্যে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই ছিল ২১০টি, দাম বেড়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৯টি এবং দাম কমার তালিকায় রয়েছে ৬২টি প্রতিষ্ঠান।
এ দিন দেশের অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা শেয়ার। আগের দিন বুধবার সিএসইতে ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৪৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৮টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা করে মোট ৭০ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। এ ছাড়া দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে।
এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা। সেই বছর শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। সেই হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। কিন্তু লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়েনি।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুন। ওই দিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ মে।
পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে বিভিন্ন ছাড় দিচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তাতে কাজ না হওয়ায় বিএসইসি এবার ঘোষণা দিয়েছে— ভালো কোম্পানির দাম বেশি হলেও তাতে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪০-এর বেশি হলেও সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগের তিন বছর যদি কোনো কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকে এবং তার পরিশোধিত মূলধন যদি ৫০ কোটি টাকার বেশি হয়, তাহলে যেসব কোম্পানির মূল্য-আয় অনুপাত ৫০ সেসব শেয়ার মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে। আগে কোনো কোম্পানির মূল্য-আয় অনুপাত ৪০-এর বেশি হলে সেখানে মার্জিন ঋণ দেয়া যেত না।
মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও হচ্ছে সেই রেশিও যেটা ব্যবহার করে বের করা হয় যে শেয়ারটির দাম বেশি না কম দামে বাজারে লেনদেন হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শেয়ারপ্রতি মুনাফা দিয়ে শেয়ারের বাজার মূল্যকে ভাগ করা হয়।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, পিই রেশিও ১৭-এর আশপাশে হলে সেই শেয়ারে বিনিয়োগ করা ভালো। তবে ভালো শেয়ারের ক্ষেত্রে মূল্য-আয় অনুপাত একটু বেশি হতে পারে। আর মার্জিন ঋণ হচ্ছে শেয়ার কেনার জন্য যে ঋণ ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের দিয়ে থাকে। এখন বেশি পিই রেশিও শেয়ারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ। আর এসব শেয়ারে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ। মার্জিন ঋণের উচ্চ সুদের হারের কারণে বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
তা সত্ত্বেও চারটি কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানালেন বিএসইসির মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিএসইসি চেয়েছে বিনিয়োগকারীরা ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করুক। দ্বিতীয়ত, এর আগে ৪০ পিইর যেসব কোম্পানিতে মার্জিন ঋণ দেয়া হয়েছিল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সেগুলোর মুনাফা কমে গেছে। এখন সেগুলোর পিই বেড়ে গেছে। এসব শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা যেন ফোর্স সেলের আওতায় না পড়েন, সে জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
‘এ ছাড়া এর ফলে দেশের পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়বে। বাজার মধ্যস্থতাকারীরা এর জন্য অনেক দিন ধরে বলে আসছিলেন। সব মিলিয়ে আজ আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি’,— বলেন মুখপাত্র রেজাউল করিম।
তবে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েও পুঁজিবাজারকে টেনে তোলা যাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এভাবে বাজার ভালো করা যাবে না। যদি কোম্পানি ভালো করে তাহলে বাজার ভালো করবে। এভাবে জোর করে বাজার ধরে রাখার চেষ্টা করলে ঝুঁকি বাড়ে, আখেরে কোনো লাভ হয় না।’
বাজারের পতন ঠেকাতে এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা বাজারের ক্ষতি করছে। এখন ঝুঁকি আরও বাড়ানো হলো।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮টি কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ জানিয়েছে। সভায় কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। একই সঙ্গে পর্ষদ সদস্যরা এই প্রতিবেদন অনুমোদন শেষে সবার উদ্দেশে প্রকাশ করবে।
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করা কোম্পানিগুলো হলো— পেনিনসুলা চট্রগ্রাম, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল টি, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ন্যাশনাল পলিমার, মালেক স্পিনিং, বেঙ্গল ইউন্ডসর, এমজেএল বাংলাদেশ, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, শমরিতা হাসপাতাল, এপেক্স ফুটওয়্যার, ইবনে সিনা, রেনেটা, দেশ গার্মেন্টস, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, মালেক স্পিনিং, শাইনপুকুর সিরামিক, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, হামিদ ফেব্রিক্স, ইনডেক্স এগ্রো এবং আল আরাফাহ্ ব্যাংক।
কবে, কখন সভা
পেনিনসুলা চট্রগ্রামের পর্ষদ সভা আগামী ২৭ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে, ন্যাশনাল টির আগামী ২৭ এপ্রিল দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের আগামী ২৭ এপ্রিল দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে, ন্যাশনাল পলিমারের আগামী ২৬ এপ্রিল বিকেল ৪টায়, মালেক স্পিনিংয়ের আগামী ২৭ এপ্রিল দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে, বেঙ্গল ইউন্ডসরের আগামী ২৯ এপ্রিল দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে, এমজেএল বাংলাদেশের আগামী ২৭ এপ্রিল বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের আগামী ২৭ এপ্রিল দুপুর ৪টায়, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের আগামী ২৭ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, শমরিতা হাসপাতালের আগামী ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে, এপেক্স ফুটওয়্যারের আগামী ২৭ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, ইবনে সিনার আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, রেনেটার আগামী ২৯ এপ্রিল দুপুর ১২টায়, দেশ গার্মেন্টসের আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৫টায়, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৫টায়, ইন্দো-বাংলা ফার্মার আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৪টায়, সামিট পাওয়ারের আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, জিবিবি পাওয়ারের আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, মালেক স্পিনিংয়ের আগামী ৩০ এপ্রিল বিকেল ৩টায়, শাইনপুকুর সিরামিকের আগামী ২৯ এপ্রিল দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে, বেক্সিমকো আগামী ২৯ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে, বেক্সিমকো ফার্মা আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে, হামিদ ফেব্রিক্স আগামী ২৯ এপ্রিল বিকেল ৪টায়, ইনডেক্স এগ্রো আগামী ২৭ এপ্রিল বিকেল ৪টায় এবং আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের পর্ষদ সভা আগামী ৩০ এপ্রিল দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে শুরু হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। রোববার ডিএসই ও সিএসই তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানিয়েছে।
ডিএসই ও সিএসই জানিয়েছে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে।
২৪ এপ্রিল সোমবার থেকে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হবে আগের নিয়মে। অর্থাৎ ঈদের ছুটির পরে লেনদেন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০ টায়। লেনদেন শেষ হবে বেলা ২টা ২০ মিনিটে। পরের ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং সেশন অর্থাৎ আড়াইটা পর্যন্ত।
এছাড়া ঈদের পরে সকাল ৯ টায় ডিএসইতে অফিস শুরু হবে শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়। তবে সিএসই জানিয়েছে ঈদের পরে সকাল ৯টায় সিএসইতে অফিস শুরু হবে শেষ হবে ৪টায়।
রমজানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দেশের দুই শেয়ারবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হচ্ছে। আর ক্লোজিং সেশন থাকছে ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
১৯ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। ২০ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ২১ তারিখ শুক্রবার। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ বা ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা পতন চলছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে আগের দিনের তুলনায় টাকার অংকে লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে সূচকও।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৪৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। গত সোমবার হয়েছিল ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ গত দিনের চেয়ে আজ লেনদেন কম হয়েছে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার।
এ দিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬১৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ২ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৪৩ এবং ২১৯৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৪টির এবং কমেছে ৭৮টির। আর শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ১৮৩টির।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ৪৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮২৭৯ পয়েন্টে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করতে পারছে না। সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ডিএসইর সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯৮ কোটি ৮১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।
এ দিন প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে। ডিএসই ৩০ সূচক ৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩১১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টি কোম্পানির, কমেছে ৮৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে ১১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৩৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টির।
দিন শেষে সিএসইতে ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ২৪৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম দিনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
রোববার ডিএসইতে ৪৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬১২ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৪ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে।
এছাড়া ডিএসইএস সূচক দশমিক ১৮ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৪৮ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২০০ দশমিক ১৫ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪০টি এবং কমেছে ৭৫টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১৪টির।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২৮টি, কমেছে ৩৮টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫১টির।
রোববার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০৯ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২৭ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স ২ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে এবং ১০ হাজার ৯৭৫ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫০ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে।