রোববার, ২৮ মে ২০২৩

ঈদে পোশাক বিক্রিতে প্রতারণা করলে ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিদপ্তর

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
আপডেটেড
৩১ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৫৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ঈদে ক্রেতারা বছরের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কাপড় কেনেন। ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতারা যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সে জন্য এবার আগেভাগে নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভোক্তার সঙ্গে কোনো ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নিলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে গত বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাকের বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও বুটিক হাউসের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এমন বার্তা দেয়া হয়। শুক্রবার অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সভায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে একই পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, এক ধরনের পোশাকে ভিন্ন ভিন্ন দামের ট্যাগ লাগানো, ছিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার এবং আসল বলে নকল কাপড় বিক্রির অভিযোগ পেলে ভোক্তা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ছাড়া কারখানা থেকে পোশাকের মোড়কের গায়ে খুচরা মূল্য না লেখা, খুচরা মূল্য ঘষামাজা বা কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ, পুরোনো মূল্যের ওপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশি দাম নেয়া, শতভাগ কটন ঘোষণা দিয়ে তাতে ভেজাল দেয়া, কাটা-ফাটা পোশাক বিক্রি করা, সময়মতো কাপড় পরিবর্তন করে না দেয়া এবং টাকা পরিশোধে লম্বা সারিতে অপেক্ষমাণ না রাখার বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের তাগিদ দেয়া হয়।

নকল পণ্যের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অন্যান্যবারের মতো এবারও কাপড়ের বাজারে আমাদের তদারকি থাকবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদেশি পোশাক ও প্রসাধনীর ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম ও সিল থাকতে হবে।’

শপিংমলগুলোতে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কিছু ব্যবসায়ী আমাদের দেশে আসেন। তারা বাসা ভাড়া নিয়ে ভেতরে–ভেতরে টার্গেট কাস্টমারের কাছে বিদেশি কাপড় বিক্রি করেন। এ ধরনের কার্যক্রম দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে দেয়া হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা চাই, সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক। ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান।’

সভার স্বাগত বক্তব্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভালো থাকে। যাতে বিদেশি যারা আসেন, তারা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। কাপড়ের দামের ট্যাগ যেন কারখানায় লাগানো হয়। বিক্রয়কেন্দ্রে যেন দামের ট্যাগ লাগানো না হয়। এর ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, আড়ং, আর্টিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন পোশাকের ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এ নিয়ে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়াল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হালনাগাদ তথ্যে এটি পাওয়া যায়।

২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। খেলাপি ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে রয়েছে ৫৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ৬৫ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়েছে।

অন্যদিকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর তিন হাজার ৪২ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ঋণ খেলাপি। আর সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত তিনটি ব্যাংকের মোট ঋণের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৪ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা বর্তমানে খেলাপি।

গত বছরের মার্চে ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো এখন নিজেরাই নিজেদের ঋণ পুনঃতফসিল করছে। ফলে ব্যাংক নিজেই খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। তাই খেলাপি ঋণের এ তথ্য প্রকৃত চিত্র নয়। বাস্তবে খেলাপি ঋণ আরও বেশি হতে পারে। অনেক ব্যাংক ঋণ আদায় করতে না পেরে তারল্য–সংকটে ভুগছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, মার্চে খেলাপি ঋণ দেয়ায় অনেক ব্যাংক দেরি করেছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ কমানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কাজ করছে। ফলে বাস্তবে খেলাপি ঋণ এর চাইতেও বেশি।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা হলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে তা প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। কারণ, আইএমএফ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি দেখানোর পক্ষে।

এছাড়া সরকার আইএমএফের কাছে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করে। তার অংশ হিসেবে আইএমএফের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে নানা পরামর্শ দেয় আইএমএফ। সে সময় খেলাপি ঋণকে ব্যাংক খাতের অন্যতম সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়েও জানতে চায় বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাদিগ দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিতরণ করা এসব ঋণের বেশির ভাগই অসৎ উপায় অবলম্বন করে দেয়া হয়েছে। এমন লোকদের ঋণ দেয়া হয়েছে, যারা পরবর্তী সময়ে এসব টাকা আর পরিশোধ করছে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এসব ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জড়িত থাকে। এসব ঋণ এখন আর ফেরত আসছে না। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দিন দিন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। আর্থিক খাত দুর্বল হওয়ার কারণ খেলাপি ঋণ বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আর্থিক খাতে নানা রকমের কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব খেলাপি ঋণের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, সেসব বিষয়ে তারা এড়িয়ে যায়।’

আহসান মনসুর বলেন, ‘যারা ভালো কাজ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের শাস্তি দেয়। আর যারা খারাপ কাজ করে তাদের বিষয়ে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।’

বিষয়:

যমুনা স্মার্ট ডিজিটাল ডিসপ্লে রেফ্রিজারেটরের মোড়ক উন্মোচন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যমুনা ইলেকট্রনিক্সের নতুন পণ্য ‘ফ্যামিলি বস যমুনা স্মার্ট ডিজিটাল ডিসপ্লে’ রেফ্রিজারেটরের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

যমুনা ইলেকট্রনিক্সের বিপণন বিভাগের এজিএম রুহুল কে সাগর বলেন, ‘এই রেফ্রিজারেটরের মধ্যে থাকবে বিল্টইন ব্লুটুথ মিউজিক সিস্টেম, স্মার্ট ওয়াই-ফাই কন্ট্রোল, ডিজিটাল টাচ ডিসপ্লে, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টেম্পারেচার কন্ট্রোল, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজিসহ আরও অনেক ফিচার।’

সহজ কিস্তি ও সুদহীন ইএমআই সুবিধায় পণ্যটি গ্রাহকরা দেশব্যপী যমুনা প্লাজা কিংবা ডিলারশপ এবং estorejamuna.com থেকে কিনতে পারবেন।


ইস্টার্ন ব্যাংকের নেতৃত্বে ক্রাউন সিমেন্টের সিন্ডিকেশন ঋণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসির জন্য ২৫০ কোটি টাকার সিন্ডিকেশন ঋণব্যবস্থা করেছে বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডিল ক্লোজিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্রাউন সিমেন্টের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোল্লা মো. মনজু, ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড বাংলাদেশ অপারেশন্স অমিত কুমার, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরানুল হক, ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আদীল চৌধুরী। ইবিএল এই সিন্ডিকেশন লোন ডিলের লিড অ্যারেঞ্জার।


প্রথম এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের ২৪টি বেসরকারি টেকসই উদ্যোগকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে গত শুক্রবার বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজন করেছে আকিজ বশির গ্রুপের সৌজন্যে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডসের প্রথম সংস্করণ।

সাইটেইনাবিলিটি ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই প্রচেষ্টাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। রাজধানীর একটি হোটেলে বিজয়ী ১১টি এবং অনারেবল মেনশনে ১৩টি ব্র্যান্ডের টেকসই উদ্যোগগুলোকে সম্মাননাটি প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ডিরেক্টর ও ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব প্রীমা বলেন, ‘এই কার্যক্রমটি আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটি প্রক্রিয়া শুরু করবে।’


ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করল এমজিআই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নারীদের পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে সম্প্রতি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ‘ফ্রেশ অনন্য’ স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনা মূল্যে বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাজারীবাগ গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে ‘ফ্রেশ অনন্যা’ স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে এমজিআই ডিরেক্টর ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা যদি সবাই মিলে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে আমরাই পারি মেয়েদের চিন্তামুক্ত পিরিয়ড নিশ্চিত করতে।’


সিআইপি হওয়ায় আমানউল্লাহকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ফুলেল শুভেচ্ছা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এম আমানউল্লাহ সিআইপি নির্বাচিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এ এস এম ফিরোজ আলম ও আব্দুল হান্নান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।


মধুমতি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মধুমতি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ১১৯তম সভা গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য শারমীন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন, লা-বীব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর, বেঙ্গল গ্রুপের পরিচালক হুমায়ূন কবির বাবলু, আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিউল আজম।


পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানির দাপট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজার টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু এ সময় শেয়ারবাজারে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে দুর্বল বা ‘জেড ক্যাটাগরির’ কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি স্থানের মধ্যে চারটিই দখল করেছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। দাম বাড়ার শীর্ষ দশে ভালো বা ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আছে তিনটি।

গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। এতে এক সপ্তাহেই শেয়ার দাম বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।

দাম বাড়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল টি। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৫২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৪২ টাকা ২০ পয়সা। পরের স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

এর পরের চারটি স্থানই রয়েছে ‘জেড’ গ্রুপের দখলে। ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে জুট স্পিনার্সের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১০৯ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪৫ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩৩৬ টাকা ১০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও ১৯৮৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো না। কোম্পানিটি সর্বশেষ কবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। বছরের পর বছর শেয়ারহোল্ডাদের আর কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার কারণে কোম্পানিটির বর্তমান স্থান ‘জেড’ গ্রুপে।

এদিকে ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানিটি সর্বশেষ চলতি হিসাব বছরের ৯ মাসের (২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলমান হিসাব বছরের ৯ মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ৩৫ টাকা ৪ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৩২ টাকা ৫০ পয়সা।

এর পরের স্থানে রয়েছে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ কোম্পানিটিও কবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে তার তথ্য পাওয়া যায়নি। লোকসানের ভারে বছরের পর বছর লভ্যাংশ না দেয়ায় এ কোম্পানিটি বর্তমানে জেড গ্রুপে রয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৯ পয়সা।

লোকসানে পতিত হয়ে বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়া আরেক প্রতিষ্ঠান ইমাম বাটন। এ কোম্পানিটিও গত সপ্তাহে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিরেছে। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে না পারা আর এক প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দাম গত সপ্তাজুড়ে বেড়েছে ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

পচা বা জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর দাম বাড়ার সপ্তাহে ডিএসইর দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লিগাসি ফুটওয়্যারের ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ, নর্দান জুটের ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম বেড়েছে।

বাজার মূলধন বেড়েছে ১৯২২ কোটি টাকা

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়কটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে প্রায় তার দ্বিগুণের। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি সব কটি মূল্যসূচকও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২৪ শতাংশের ওপরে। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে দশমিক ৫৬ শতাংশ।

দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হলেও তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংকট ছিল গত সপ্তাহজুড়েই। ফলে দুইশোর বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

এমন বাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা বা দশমিক ২৫ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির। আর ২০২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অর্থাৎ টানা তিন সপ্তাহ বাড়ল ডিএসইর প্রধান সূচক।

প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৩ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৮১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ২৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ৫৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় তিন হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯০৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫১ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ১২৯ কোটি ৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ইনফিউশন, জেমিনি সি ফুড, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।


এনআইডি থাকলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেটেড ২৭ মে, ২০২৩ ২০:৪২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

করের আওতা বাড়াতে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে তাদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে শনিবার প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুহিত ভাই অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আমি করের আওতা বাড়ানোর জন্য এনআইডি যাদের আছে, তাদের সবাইকে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি হয়নি আমলাতন্ত্রের কারণে। এনআইডি যাদের আছে সবাইকে করের আওতায় আনতে পারলে কর জিডিপির হার বাড়বে। বর্তমানে এক শতাংশ মানুষ করের আওতায় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের দেশ অথচ ট্যাক্স দেয় মাত্র সাড়ে সাত থেকে আট শতাংশ লোক। তখন আমি ভাইকে বলেছিলাম, আমেরিকায় যাদের সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড আছে, তাদের ট্যাক্স দিতে হয়।’

আমি বলেছিলাম, যাদের এনআইডি আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। এটা সম্ভব। তিনি এ বিষয়ে আমলাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বলেছেন। এখন এটা আমার দাবি, কারণ আমাদের করদাতা বাড়াতে হবে। এ জন্য যারই এনআইডি থাকবে তাকেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জুটির কারণে দেশ ও মানুষের মঙ্গল হয়েছে। কারণ, শেখ হাসিনা মানুষের মঙ্গল চান। আর এ মঙ্গল কীভাবে অর্জন করা যায়, সেই মাধ্যম বের করতেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য এ জুটি সব সময় কাজ করেছেন। তার ফলে আজ আমাদের দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। দেশ উন্নত হচ্ছে, আজ ২৪ ঘণ্টার পথ ৪৫ মিনিটে যেতে পারছি। সেটা সম্ভব হয়েছে এ রকম কৃতী পুরুষ ছিল বলে। আমরা তার মাগফিরাত কামনা করছি।’

সৌদিতে স্থায়ী মিশন খোলার বিষয়ে মুহিতের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সময় ২৭টি মিশন করা হয়েছে এবং কেনা হয়েছে। সৌদি আরবে ৩৭ বছর পর শেখ হাসিনার সময়ে মিশন হয়েছে। সব মিলিয়ে নিজেদের মিশন থাকার কারণে সরকারের ৪৭ হাজার ডলারের মতো সেভ হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অর্থের অভাবে মিশনগুলোতে জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন করা হতো না। সেটা জানার পর প্রধানমন্ত্রীর সামনেই মুহিত ভাই অর্থ দেয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলেন।

ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির এবং সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাবেক গভর্নর ফজলে কবির বলেন, তাকে নিয়ে কথা বলার জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল না। যেকোনো স্থান থেকে শুরু করলেই হলো, খানিক বললেই অনেক বলা যাবে। মুহিত ছিলেন একজন বড় মনের অর্থনীতিবিদ। সবকিছুকে তিনি সহজভাবে নিতেন।

সাবেক অর্থসচিব মাহাবুব আহমেদ বলেন, রাত ১-২টা পর্যন্ত তিনি জেগে জেগে ফাইল দেখতেন, পড়াশোনা করতেন। কম ঘুমিয়ে কাজ করতে পারতেন। তার প্রচুর প্রাণশক্তি ছিল। তিনি বলতেন, বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারত। কিন্তু রোহিঙ্গার কারণে করতে পারেনি। তার কথা শুনে মিয়ানমারের প্রতিনিধি নাখোশ হয়েছিলেন।


বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা সহায়তা দিল এফবিসিসিআই

শনিবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নেতাদের হাতে ১ কোটি টাকার চেক তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ অন্য নেতারা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ঘোষিত ১ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের ওই অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারানো ব্যবসায়ীদের জন্য এই অনুদানের ঘোষণা দিয়েছিল সংগঠনটি।

রাজধানীর মতিঝিলে শনিবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নেতাদের হাতে এক কোটি টাকার চেক তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ অন্য নেতারা।

এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবাজারের আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কিছুই অবশিষ্ট নেই। সেখানে যাওয়ার পর আমার মনে হয়েছে এই সংকটে আমাদের পক্ষ থেকে সামান্য হলেও সহযোগিতা করা উচিত। সে জন্য আমরা এক কোটি টাকা সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজ আমরা এই চেক হস্তান্তর করছি। সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্যবান ব্যবসায়ীদের উচিত এ ধরনের দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোগে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অবশ্যই নিয়মনীতি মেনে (কমপ্লায়েন্স) ব্যবসা করা উচিত। ব্যবসায়ীরা যেমন সতর্ক থাকবেন, সরকারের যেসব সংস্থা বিভিন্ন অনুমোদন দেয়, তাদেরও নিয়মিত তদারকি করা দরকার। ফায়ার সার্ভিস থেকে বারবার নোটিশ দেয়ার পর ব্যবসায়ীদের ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল।’‍ বঙ্গবাজারে স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের ও মার্কেট কমিটিগুলোকে সচেতন হওয়া ও প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের কলকারখানাগুলোতে এফবিসিসিআই প্রাইভেট সেক্টরে ফায়ার সেফটি নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘ফায়ার সেফটি কাউন্সিল’ গঠন করেছে। এই সেফটি কাউন্সিলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি কলকারখানায় অগ্নিনির্বাপণ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই সেফটি কাউন্সিল সারা দেশে ৪৪ হাজার কোম্পানি ভিজিট করবে।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হুদা বলেন, সবাই যেভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাতে আমরা অভিভূত। তবে ঘটনার দিন একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফায়ার সার্ভিসের একটা মামলা হয়েছে। এই মামলায় ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই চায়।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শমী কায়সারসহ অন্যরা।


বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
আপডেটেড ২৭ মে, ২০২৩ ০৮:২৪

কোভিড-১৯ ও ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাইরের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দৈনিক বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রতিবেদক এ এস এম সাদ

গত কয়েক মাস ধরেই দেশের মূল্যস্ফীতি চড়া। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন?
বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর একটি দেশ। প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। দুটি কারণে দাম বাড়তে পারে। প্রথমত, এসব পণ্যের সরবরাহ কম। যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সরবরাহ হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলে সঠিকভাবে মজুত করা হয়নি। কারসাজির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সংকট তৈরি করছে। এ জন্য এসব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা রকমের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাইরের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। আয় না বাড়লেও ব্যয় বাড়ছে। এতে মানুষের জীবনমানের অবনতি হয়েছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী জ্বালানি থেকে ভর্তুকি উঠিয়ে দেবে সরকার। ফলে জ্বালানির দাম সামনে আরও বাড়বে। জ্বালানির দাম বাড়লে মধ্যবিত্তরা আরও চাপের মধ্যে পড়বে। কারণ সবকিছুর দাম বাড়তে থাকে। অন্যদিকে গত এক বছর ধরে টাকার মানের অবমূল্যায়ন হয়েছে। এতে আমদানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এলসি খুলতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি করতেই হবে। না হলে দেশের উৎপাদন ব্যাহত হবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

বিভিন্ন খাত থেকে ভর্তুকি উঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
আইএমএফ যতই শর্ত দিক না কেন কৃষি খাত থেকে ভর্তুকি উঠানো যাবে না। কৃষি খাত থেকে ভর্তুকি উঠিয়ে দিলে বিপর্যয় নেমে আসবে। কারণ কৃষক তার ন্যায্যমূল্য পান না। তার মধ্যে আমদানি বাড়িয়ে দিতে হবে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও হুমকির মধ্যে ফেলবে। জ্বালানি খাত থেকে ধীরে ধীরে ভর্তুকি উঠিয়ে দেয়া যায়। বিভিন্ন খাতকে সরকার বিশেষ সুবিধা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে গার্মেন্ট খাত। তাদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা দেয়া হয়। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে তাদের জন্য নানা রকমের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে গার্মেন্ট খাতের ব্যবসায়ীদের এটাও বোঝা জরুরি, স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে নিজেদের দাঁড়ানোর সময় হয়েছে। তাই সরকারকে এমন জায়গায় মনোযোগী হওয়া জরুরি- যেখানে সর্বসাধারণ উপকৃত হন। ফলে ভর্তুকি থাকবে। একেবারে যেন না উঠিয়ে দেয়া হয়। সরকার মাছের খামারি ও পোলট্রি খাতে ভ্যাট বসিয়েছে। এসব খাত থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স উঠিয়ে দেয়া জরুরি। কারণ এসব খাতে উৎপাদনে যত কম খরচ হবে, তত কম দাম পাওয়া যাবে। বরং যেসব খাতে ট্যাক্স বাড়ানোর দরকার, সেসব খাতে ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়া উচিত। সেবা খাত মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করে না। খাদ্যপণ্যের দাম কমলে মূল্যস্ফীতি কমবে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাত থেকে অপ্রয়োজনীয় ভ্যাট-ট্যাক্স উঠিয়ে দেয়া জরুরি বলে আমি মনে করি।

সমাজে বৈষম্য কমানোর জন্য বাজেট কী রকম হওয়া জরুরি?
দেশে জিডিপির অনুপাতে প্রত্যক্ষ কর আহরণের পরিমাণ অনেক কম। এটিই দেশে ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্যের অন্যতম বড় কারণ। তাই আয়বৈষম্য কমাতে ও কর–জিডিপির অনুপাত ি বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেয়া কর অব্যাহতি সুবিধাও বাদ দেয়া যায় কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। অনেকের আয় বছরে ১০ লাখ টাকা। আবার অনেকের ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু দেখা যায় কম বেতন পাওয়া নাগরিকরা সঠিকভাবে কর প্রদান করছে। কিন্তু মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করার পরও অনেকে সঠিক নিয়মে কর প্রদান করছে না। ফলে সমাজে কর দেয়া না দেয়া নিয়ে এক ধরনের বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এ বৈষম্য দূর করা জরুরি। রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। কারণ এই আয়ের মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হয়। রাজস্ব আয় যত বেশি হবে, এসব খাত তত বেশি উন্নত হবে। সুফল ভোগ করবে দেশের গরিব ও সাধারণ জনগণ। এটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া একটি সফল বাজেট তৈরি করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য খাতের কথা উঠলেই দেখা যায় সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকার মধ্যে ৭০ টাকা খরচ হয়। আর বেসরকারি হাসপাতালে আরও বেশি। বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া তো এখন কোনো চিকিৎসাই পাওয়া যায় না।

আর্থিক খাতে সবচেয়ে দুর্বল দিক কোনটি?
আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ব্যাংক ব্যবস্থায়। এ খাতে কোনো ধরনের সুশাসন নেই। কারণ ব্যাংক থেকে অনেকে ঋণ নেয়। কিন্তু সেই ঋণের টাকা আর ফেরত দেয় না। সেসব টাকা তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ফলে ব্যাংক খাতে এক ধরনের অরাজকতা তৈরি হয়েছে। প্রভাবশালীরা বিভিন্ন কায়দায় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোরও দোষ রয়েছে। প্রথমে একটি ব্যাংকে একই পরিবার থেকে ২ জন পরিচালক থাকতে পারত। পরে চারজন করা হলো। আবার ৩ জনের নিয়ম করা হলো। এসব কিছু তো প্রভাবশালীদের প্রভাবেই হয়েছে। এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না। আবার ব্যাংকে যাদের ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর করা হয় তারা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা চেয়ারম্যানের বন্ধু। খেলাপি ঋণের বিষয়টি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেখভাল করা উচিত। কারণ ব্যাংক এসব খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে না। আইনেও নানা ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। একটি ব্যাংকে চেয়ারম্যান ও পরিচালক নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে। চেয়ারম্যান এমডিদের নানাভাবে খুশি করেন আবার এমডিরাও চেয়ারম্যানদের খুশি করেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবও রয়েছে।

প্রতিবছর বাজেটের দুর্বল দিকগুলো সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী?
প্রতিবছরই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পুরো বাস্তবায়ন হয় না। কারণ প্রতিবছর বড় বড় বাজেট ঘোষণা করলেও বাস্তবায়ন হয় না। বাজেট বাস্তবধর্মী হওয়া জরুরি। ছোট বাজেট ঘোষণা করলেও সেটি বাস্তবায়ন করা ভালো। প্রকল্পগুলোর গুণগতমান খুবই দুর্বল। ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নির্বাচন, পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া, যথাসময়ে বাস্তবায়ন এবং গুণগতমান নিশ্চিত করা জরুরি। কিছু বরাদ্দ একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। এরপরও রাজনৈতিক কারণে বরাদ্দ দেয়া হয়। এটি যৌক্তিক নয়। দুর্নীতিও বাজেট বাস্তবায়নে বড় বাধা। সরকারের অনেক কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অপচয় হয়। এগুলো বাজেটের উল্লেখযোগ্য দুর্বল দিক। এডিপিতে রাস্তাঘাট উন্নয়নে অনেক বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে কোনো কাজই ঠিকমতো করা হয় না। ফলে সার্বিক দিক থেকে বিবেচনায় আনতে হবে কোন খাতে উন্নয়নের জন্য কত বরাদ্দ দেয়া জরুরি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থব্যবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের অবস্থাও নাজুক। এই যুদ্ধ কবে থামবে কেউ বলতে পারছে না। কাঙ্ক্ষিত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। আমদানির চিত্রও প্রায় একই। বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কারণ বিনিয়োগের অনেকটাই আমদানিনির্ভর। মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এগুলোর আমদানি কমে গেলে বুঝতে হবে বিনিয়োগ কমে গেছে।

বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে করণীয় কী?
যুদ্ধ পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে বিনিয়োগ বাড়বে না। যদিও যুদ্ধের আগে থেকেই বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি খারাপ ছিল। বিনিয়োগের পরিবেশটা আগে তৈরি করতে হবে। আস্থাহীনতা দূর করতে হবে। শুধু ট্রেড বাণিজ্য নয়, শিল্পায়নে নজর দিতে হবে। তাহলে বেসরকারি বিনিয়োগ কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। বিনিয়োগ বাড়লে বাড়বে কর্মসংস্থান। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা জরুরি।

দেশে বেকারত্ব সমস্যা কীভাবে দেখছেন?
বেকারত্ব বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। তাই বাজেটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকা জরুরি। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। সে হিসাবে চাকরি তারা পাচ্ছেন না। সার্বিক দিক থেকে বিবেচনা করলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে না। প্রবৃদ্ধি অনেক কম। ফলে এসব বিষয় নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে।

বিষয়:

কিছুটা কমেছে সবজির দাম, ঝাঁজ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ ও আদা

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সপ্তাহের ব্যবধানে বেশির ভাগ সবজির দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে বেশ কিছু সবজির দাম। কাঁচামরিচের দামেও স্বস্তি কিছুটা ফিরেছে। তবে বাজারে দামের ঝাঁজ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ ও আদা। পেঁয়াজের দাম আগের মতো ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নেই চীনা আদা। ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় মিলছে বার্মার আদা। তবে পণ্যের দাম নিয়ে অখুশি বাজার করতে আসা ক্রেতারা।

শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সরেজমিনে ঘুরে এমনটি দেখা গেছে। বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির উত্তাপ সব কিছুতে ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়তি দামের তালিকা দিন দিন বাড়ছে বাজারে।

বাজারে আলুর দাম আরও বেড়ে এখন প্রতি কেজি হয়েছে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল প্রতি কেজি ৩৫ টাকা। আলুর এ মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে ঈদের পর থেকে। ঈদের পরপর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা। অর্থাৎ মাসখানেকের মধ্যে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা।

এদিকে আলুর এ মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যেও। সংস্থাটি বলছে, বাজারে গত এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম ২৯ শতাংশ, আর বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৭৪ শতাংশ। গত বছরের এই সময় প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ১৮ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে, যা এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের চেয়ে বেশির ভাগ সবজির দাম কমে এসেছে। মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো ৬৫-৭০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫৫-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুরমুখি ১০০-১১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কাঁচামরিচের দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি, দাম কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী জমিরউদ্দিন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য বাজারে নেই। প্রতিনিয়ত হু হু করে বাড়ছে সবকিছুর দাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ সবচেয়ে বেশি ভোগ করছি আমরা মধ্যবিত্তরা।’

এ ছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, চিনি, তেল, ডালের মতো দ্রব্যাদির দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার (বোতলজাত) ২০০ টাকা, তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম হালিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২০০-২১০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে।

কারওয়ানবাজারের মাংস বিক্রেতা স্বপন কুমার বলেন, ‘মানুষ মাংস কিনছে কম। বিশেষ করে খাসির মাংসের ক্রেতা একদমই নেই। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ছাগল, তাই দাম বেশি মাংসের।’

বাজারে মাংস কিনতে আসা আজাদুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘যাদের নির্দিষ্ট আয়, তারা কোনোদিনই বাড়তি টাকা দিয়ে মাংস কিনে খেতে পারবে না। কারণ একদিন বেশি কিনলে সংসারের অন্য খরচ বাড়বে। বাজারে বর্তমানে এমন একটা পণ্য নেই যে দাম বাড়েনি।’

এদিকে মাছের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকায়, ইলিশ মাছ ১৬০০-১৮০০ টাকায়, ছোট মাছ ৪৫০-৫০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায়, রুই মাছ ২৮০ টাকায় এবং রুপচাঁদা মাছ ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিষয়:

এক্সিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, গ্লোবাল ইসলামী ও শাহ্‌জালালের জয়

শুক্রবার সকালে এ বি ব্যাংকের মুখোমুখি হয় ডাচ্‌ বাংলা ব্যাংক । ছবি: ওসমান গনি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে চলছে শেখ হাসিনা আন্তব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের খেলায় শুক্রবার জয় পেয়েছে এক্সিম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া এবি ব্যাংকের সঙ্গে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে পূবালী ব্যাংকের ম্যাচ ড্র হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠ ও মিরপুর পুলিশ লাইনস মাঠে দিনব্যাপী এসব খেলা হয়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। টুর্নামেন্টে দেশের ৩৪টি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৯ জুন বিকেলে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে গ্রুপ পর্বের ১২তম দিনে দুই মাঠে ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুর পুলিশ লাইনস মাঠে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে যমুনা ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে প্রিমিয়ার ব্যাংকের খেলা হয়। অন্যদিকে ইউনাইটেড ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে এবি ব্যাংকের সঙ্গে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে সীমান্ত ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে পূবালী ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংকের সঙ্গে শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের খেলা হয়। গ্রুপ পর্বের শেষ দিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে উঠেছে টুর্নামেন্ট। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে মরিয়া প্রতিটি দল।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে ৬ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে যমুনা ব্যাংক। শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে খেলতে থাকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে যমুনা ব্যাংকের রক্ষণভাগ। অন্যদিকে যমুনা ব্যাংক একটি গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি দলটি।

এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ম্যাচেও গোলবন্যা দেখেছেন পুলিশ লাইনস মাঠের দর্শক। ৬-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। যার ফলে গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। তবে তিন ম্যাচের দুটিতে জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে প্রিমিয়ার ব্যাংকও।

সীমান্ত ব্যাংকের সঙ্গে ৬ গোলের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে এক্সিম ব্যাংক। নির্ধারিত ৬০ মিনিটের খেলায় আক্রমণেই উঠতে পারেনি সীমান্ত ব্যাংক। পুরোটা সময় নিজেদের ডি-বক্সে আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল তারা।

উত্তরা ব্যাংকের সঙ্গে ৩ গোলের ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক। ম্যাচের ৮ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পায় শাহ্‌জালাল ব্যাংক। গোল শোধ দিতে দারুণ সব আক্রমণ সাজালেও বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ মিস করে উত্তরা ব্যাংক। অন্যদিকে ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। ম্যাচে জোড়া গোল করেন শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের খেলোয়াড় কংকর বিশ্বাস।

অন্যদিকে এবি ব্যাংকের সঙ্গে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের খেলায় গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে পূবালী ব্যাংকের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। ম্যাচে প্রথমেই গোলে লিড নেয় ট্রাস্ট ব্যাংক। পূবালী ব্যাংকের খেলোয়াড়রাও গোল শোধ দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। ফলে প্রথমার্ধেই পূবালী ব্যাংক গোল শোধ দিলেও ফের ব্যবধান বাড়ায় ট্রাস্ট ব্যাংক। ফলে ২-১ গোলে বিরতিতে যায় খেলা। বিরতির পর খেলার ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরে পূবালী ব্যাংক। উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। তবে খেলার ৫৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে পূবালী ব্যাংকের দূরপাল্লার শট গোলপোস্ট থেকে ফিরে এলে জয় হাতছাড়া হয়। ফলে শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।


banner close