মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
২২ আশ্বিন ১৪৩২
৮ মাসে এসেছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন

বিদেশি বিনিয়োগে আশার আলো

আপডেটেড
২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৩৫
আবদুর রহিম হারমাছি
প্রকাশিত
আবদুর রহিম হারমাছি
প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০৮:০৭

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) সবশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আশার কথা বলা হয়েছিল। গত বছরের ৯ জুন প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট (ডব্লিউআইআর)-২০২২’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ২০২১ সালে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের পর দ্বিতীয় শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের হালনাগাদ যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে আঙ্কটাডের ওই প্রতিবেদনের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঈদের ছুটির আগে বিদেশি বিনিয়োগের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৩৫০ কোটি ৪০ লাখ (৩.৫০ বিলিয়ন) ডলারের এফডিআই পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই আট মাসে ৩১৩ কোটি ১০ লাখ (৩.১৩ বিলিয়ন) ডলারের এফডিআই এসেছিল বাংলাদেশে।

ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ঘিরে দেশে বিনিয়োগের যে আবহ তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে বিদেশি বিনিয়োগে। সংকটের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াকে দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গল বলছেন তারা। বিশ্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এফডিআই আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা। দুই বছরের করোনা মহামারির পর এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে এফডিআই বাড়াকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মজবুত ভিত্তি প্রমাণ করে বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে নিট এফডিআই বেড়েছে ৫ শতাংশ। এই আট মাসে ১৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের নিট এফডিআই এসেছে দেশে। গত বছরের এই সময়ে এসেছিল ১৪৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৪৭০ কোটি ৮০ লাখ (৪.৭১ বিলিয়ন) ডলারের এফডিআই এসেছিল দেশে, যা ছিল আগের বছরের (২০২০-২১) চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি। নিট এফডিআই বেড়েছিল আরও বেশি, ৬১ শতাংশ। গত অর্থবছরে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিট এফডিআই এসেছিল ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। বিভিন্ন খাতে মোট যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর অবশিষ্ট অঙ্ককে নিট এফডিআই বলা হয়।

অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন দেশে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করায় বিনিয়োগের একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেছে। রাজধানীতে মেট্রোরেল ছুটছে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হবে খুব শিগগিরই। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ১০-১২টির কাজ শেষের দিকে। করোনার ছোবল ও যুদ্ধের মধ্যেও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে দেশের অর্থনীতি। অল্প সময়ের মধ্যে আইএমএফের ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। তাদের পরামর্শে বা কথামতো কিছু সংস্কার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এসবের ইতিবাচক প্রভাব বিদেশি বিনিয়োগে পড়েছে। তাই আশা করা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। তবে একটি দেশে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। দেশে বিনিয়োগ না বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। সন্তোষজনক রিজার্ভ থাকতে হয়। বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ ও সরকারের নীতি-সহায়তা প্রয়োজন হয়।’

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে দেশে বিনিয়োগ একই জায়গায় আটকে আছে; জিডিপির ৩০ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যে। ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। দেশি বিনিয়োগ যদি বাড়ে, ডলারের বাজারের অস্থিরতা যদি কেটে যায়, তাহলে দেশে দেশি-বিদেশি উভয় বিনিয়োগই বাড়বে।’

২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি ৩০ লাখ (৩.২৩ বিলিয়ন) ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিট বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল ১২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল দেশে। এর মধ্যে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ২৬৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসে এই বছর। এর মধ্যে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে জাপানের কোম্পানি জাপান টোব্যাকো। আকিজ গ্রুপের তামাক ব্যবসা কেনা বাবদ প্রায় ১৫০ কোটি (১.৫ বিলিয়ন) ডলার বিনিয়োগ করেছিল তারা।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে যে এফডিআই দেশে এসেছে, বছরের বাকি চার মাসে (মার্চ-জুন) সেই হারেও যদি আসে, তাহলে অর্থবছর শেষে মোট এফডিআইয়ের পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশে আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের চেম্বার অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদও তেমনটাই বলছেন। দৈনিক বাংলাকে তিনি বলেন, ‘নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি কিন্তু শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সেটা বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও দৃষ্টি কেড়েছে। তাই আগামী দিনগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই দেশে বিনিয়োগের আবহ তৈরি হয়। গত বছরের ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এই সেতু ঘিরে কয়েক মাস ধরে দেশে বিভিন্ন খাতে নতুন বিনিয়োগ হচ্ছিল। সে কারণেই শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতি বা ক্যাপিটাল মেশিনারি, পরিবহন খাতের বাস-ট্রাক তৈরির যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য খাতের সব ধরনের যন্ত্রপাতি-সরঞ্জামের আমদানি বেশ বাড়ছিল। সব মিলিয়ে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।

কিন্তু সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আমদানির লাগাম টেনে ধরতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় এখন আমদানি ব্যয় বেশ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছিল ৪১ শতাংশের মতো। কিন্তু চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ কমেছে ৫৭ দশমিক ১১ শতাংশ। শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি কমেছে ৩০ শতাংশ। মধ্যবর্তী পণ্যের এলসিও কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি।

এদিকে নানা উদ্যোগের পরও কাটছে না ডলার সংকট। পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত ডলার পাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এক বছর আগে এই রিজার্ভ ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২১ সালের আগস্টে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয় ডলার অতিক্রম করেছিল।

অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে এফডিআইয়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্র্যান্ডিং। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে আমরা এখনো আমাদের ব্র্যান্ডিং যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এ ছাড়া আমাদের বন্দরের সমস্যা আছে। এত দিনেও আমরা আমাদের বন্দরের অটোমেশন করতে পারিনি। এগুলো ঠিক হলে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একা বিনিয়োগ করে খুবই কম। দেশি বিনিয়োগকারীদের হাত ধরে বিদেশি বিনিয়োগ আসে। সে কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে দেশি বিনিয়োগও বাড়াতে হবে।’

এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এই সেতু ঘিরে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবশ্যই বিদেশি বিনিয়োগও আসবে। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্ব একটি কঠিন সময় পার করছে। এই সংকট কেটে গেলে বাংলাদেশে এফডিআই বাড়বে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর করতে হবে।’

অ্যামচেম সভাপতি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের বেশ ভালো বিকাশ হয়েছে। রপ্তানিও বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরনের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এ খাতে কিছু এফডিআই ইতিমধ্যে এসেছে। ভবিষ্যতে আরও আসবে বলে আশা করছি। সে ক্ষেত্রে কৃষি খাত বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আশা জাগিয়েছে বলে আমি মনে করছি।’

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সূত্রে জানা যায়, আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে কোরিয়া, চীন ও হংকং থেকে উল্লেখযোগ্য বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন খাতেও কিছু বিনিয়োগ এসেছে। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী বিদেশি কোম্পানিগুলো তিনভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। মূলধন হিসেবে নগদ বা শিল্পের যন্ত্রপাতি হিসেবে বাংলাদেশে ব্যবসা করে অর্জিত মুনাফা বিদেশে না নিয়ে পুনর্বিনিয়োগ করে এবং এক কোম্পানি অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। এই তিন পদ্ধতির যেকোনোভাবে দেশে বিনিয়োগ এলে তা এফডিআই হিসেবে গণ্য করা হয়।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা মোট বিনিয়োগের প্রায় ১৭ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে সিঙ্গাপুর। তারা মোট বিনিয়োগের ১৬ শতাংশের মতো বিনিয়োগ করেছে। তৃতীয় অবস্থানে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ ৮ শতাংশ। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, চীন, মিসর, যুক্তরাজ্য, হংকং এবং অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ রয়েছে। ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ এই পাঁচ অর্থবছরে দেশে মোট ২৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার এফডিআই এসেছে। এর মধ্যে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ১৭ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে গত ১২ মার্চ দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আসুন, বিনিয়োগ করুন, বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত আপনাদের আগমনের জন্য।’

সামিটে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সাতটি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে বলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। খাত সাতটি হচ্ছে- অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন, বস্ত্র ও চামড়া, স্বয়ংষ্ক্রিয় ও হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তেল, গ্যাস ও সমুদ্র অর্থনীতি।


সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬ শতাংশে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে সবজির দাম বেড়েছে হু-হু করে- যেখানে ১০০ টাকার কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আলু ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজিই ক্রেতার নাগালের বাইরে। ভালো বোরো ফলন সত্ত্বেও চালের দামও প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) অনুসারে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা গত আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০.০৭ শতাংশ পয়েন্ট।

মূল্যস্ফীতি ৮.৩৬ শতাংশ মানে হলো- ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যে পণ্য ১০০ টাকায় কেনা যেত, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সেটির জন্য গুণতে হয়েছে ১০৮ টাকা ৩৬ পয়সা।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছিল। অথচ চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে। এই লক্ষ্য অর্জনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রহণ করেছে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। তবুও লক্ষ্য পূরণ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

সিপিআই বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা আগস্টে ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময় খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা এক মাস আগে ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ, দুই খাতেই পণ্যমূল্য বেড়েছে।

গ্রাম ও শহরের তুলনায় দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলে জীবনযাত্রার ব্যয় শহরের চেয়ে বেশি বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে গ্রামীণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশে, যেখানে শহরাঞ্চলে তা ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম বৃদ্ধির চাপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে।

গ্রামাঞ্চলে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে খাদ্য খাতে ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।

তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এর আগের বছর ২০২৩ সালে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ- খাদ্যে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ২০২২ সালে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ, যেখানে খাদ্যে ছিল ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এখনো বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ। বর্তমানে ভারতে মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, আফগানিস্তানে ২ দশমিক ২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ভুটানে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ববাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও দেশীয় বাজারে সরবরাহ ব্যয়, পরিবহন খরচ ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।


নিলামে আরও ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের দাম ধরে রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে আরও ১০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (১০৪ মিলিয়ন ডলার) কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৮টি ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর চলতি বছর জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ডলারের দরে এক রকম স্থিতিশীলতা জরুরি। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার না কিনলে বৈদেশিক মুদ্রাটির দর পড়ে যেত।

আর ডলারের দর বেড়ে যাওয়া যেমন অর্থনীতির জন্য ভালো নয়, তেমনি কমে যাওয়াও ভালো নয়।

বর্তমানে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনার জন্য রেমিট্যান্স প্রেরক ও রপ্তানিকারকরা সুবিধা পাচ্ছেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও এ দুই সূচকের প্রবাহ ইতিবাচক রাখার জন্যই নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে। অন্যদিকে ডলার কেনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ-ও বাড়াচ্ছে।


পোশাকশিল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে বিজিএমইএ ও ডিবিপির কৌশলগত সহযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স (ডিবিপি) একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্বে আবদ্ধ হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য হলো- ‘ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি)’ নামে একটি যুগান্তকারী ব্যবস্থা চালু করা। এটি হবে এআইচালিত একটি ইএসজি (পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন) কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক, যা দেশের পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়াকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বাড়াবে এবং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

এ বিষয়ে গত রোববার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃতখান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান এবং পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।

ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের পক্ষ থেকে ছিলেন নাবিল চৌধুরী ও হায়দার আনওয়ার।

এই ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট একটি সমন্বিত ডিজিটাল টুল হিসেবে কাজ করবে, যা কারখানার তথ্য ব্যবস্থাপনা ও রিপোর্টিং প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করবে। বিশেষ করে পোশাক কারখানার সকল তথ্য, যেমন- উৎপাদন প্রক্রিয়া, পরিবেশগত প্রভাব, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ এবং সাপ্লাইচেইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে। ফলে বিভিন্ন ক্রেতা ও সংস্থার জন্য বারবার অডিট বা নিরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং টেকসই কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণে দক্ষতা বাড়বে।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবন অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, বিজিএমইএ ও ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের এই অংশীদারিত্ব পোশাকশিল্পে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএর চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

সর্বোপরি, একটি মানসম্মত ও এআইচালিত পদ্ধতি প্রদানের মাধ্যমে এই উদ্যোগটি কারখানাগুলোকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের শর্ত পূরণে সহায়তা করবে এবং বৈশ্বিক সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে ভবিষ্যতে আরও সুরক্ষিত করবে।

ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই শিল্পকে আরও বেশি দক্ষতা ও স্বচ্ছতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।


এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেন সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেন প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক ক্রেডিট, ডেবিট অথবা প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে বছরে সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে পারবে।

গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনায় বৈদেশিক লেনদেন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি কার্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিশোধের সুযোগ তৈরি করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

সার্কুলার অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠান তাদের মনোনীত কর্মকর্তার নামে রিফিলযোগ্য আন্তর্জাতিক কার্ড অথবা ‘এসএমই কার্ড’ নিতে পারবে।

প্রাথমিকভাবে এই কার্ডে সর্বোচ্চ ৬০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত লোড করা যাবে, যা বৈধ অনলাইন খরচ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে কার্ড লেনদেন ও সরাসরি রেমিট্যান্স- এই দুটি ক্ষেত্র মিলিয়ে বছরে মোট বৈদেশিক লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলার। এই অর্থ আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মেলন, প্রযুক্তিগত সহায়তা ফি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কেবল একটি অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। শাখা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

লেনদেনের সময় ব্যাংকগুলোকে প্রচলিত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। উৎস কর, ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক আদায়ের পাশাপাশি গ্রাহক যাচাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ সংক্রান্ত সব নীতিমালা মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


১২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং কয়েকটি বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর নামে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ১২টি আন্তর্জাতিক সম্পদ পুনরুদ্ধার ও ল-ফার্মের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) চুক্তি করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত এক সভায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের উপস্থিতিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ওমর ফারুক খান বাসসকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় পাচার হওয়া অর্থের উৎস অনুসন্ধান ও ফেরত আনার কাজে যুক্ত হবে।’

তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা দেবে।

তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বদানকারী হিসেবে কিছু ব্যাংক অন্যদের সঙ্গে কনসোর্টিয়াম গঠন করে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করবে। চুক্তি সম্পন্ন হলে পুনরুদ্ধারকৃত অর্থ কীভাবে জমা দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার প্রাথমিকভাবে পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দেশের ১১টি শিল্পগোষ্ঠীকে শনাক্ত করেছে। যার মধ্যে নাসা ও এস আলম গ্রুপের নাম রয়েছে।

ওমর ফারুক খান বলেন, ‘আমরা নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের (এনডিএ) আওতায় এসব সম্পদ পুনরুদ্ধার সংস্থার সঙ্গে কাজ করব। কিছু প্রাথমিক আলোচনাও শুরু হয়েছে।’

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি অর্থপাচারের অভিযোগে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, সিকদার গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, ওরিয়ন, জেমকন, নাবিল ও সামিটসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ শেষ পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপকারে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, এসব গোষ্ঠীর মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপকৃত করেছে বলে ধারণা করা হয়।


স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি দুই লাখ ছাড়াল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো দুই লাখ টাকায় উঠেছে দাম। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) দাম বেড়েছে তিন হাজার ১৫০ টাকা। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হবে দুই লাখ ৭২৬ টাকায়। আজ মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে নতুন এ দর কার্যকর হবে।

সোমবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাম বৃদ্ধির তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি দাম বেড়ে এক লাখ ৯১ হাজার ৬০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি দাম এক লাখ ৬৪ হাজার ২২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৮১১ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৬৮৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ২৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ অক্টোবর স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৯২৯.৯১ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ডিসেম্বর ডেলিভারির মার্কিন স্বর্ণ ফিউচার ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ে এবং দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৫৪.৭০ ডলারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়েনের দুর্বলতা, মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়েছে। কেসিএম ট্রেডের বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, কম সুদের পরিবেশে স্বর্ণই সবচেয়ে লাভজনক বিনিয়োগ।

২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম ২৭ শতাংশ বেড়েছিল, চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয়, এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডের চাহিদা, ডলারের দুর্বলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ভূমিকা রেখেছে।

অন্য মূল্যবান ধাতুর বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার স্পট সিলভার ৪৮.৫৩ ডলার, প্লাটিনাম ১,৬২৩.৮৮ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ১,২৭৫.৬৫ ডলারে পৌঁছেছে।


চাহিদা মেটাতে সেপ্টেম্বরে ১০ কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করেছে সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা মেটাতে গত সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলএনজি বোঝাই ১০টি কার্গো বাংলাদেশে পৌঁছেছে। রোববার সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার পরিচালক এ. কে. এম. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, বিদেশি এলএনজি উৎপাদনকারীদের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তি এবং অন দ্য স্পট ক্রয় নীতিমালা মেনে গত সেপ্টেম্বরে এলএনজি বোঝাই এসব কার্গো গ্রহণ করা হয়েছে।

এই ১০টি কার্গোর মধ্যে কাতার এনার্জি চারটি কার্গো সরবরাহ করেছে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ভিত্তিতে। ওমানের ওকিউ ট্রেডিং (ওকিউটি) দুটি কার্গো দিয়েছে—একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং একটি স্বল্পমেয়াদি চুক্তির আওতায়।

তিনি আরও জানান, বাকি চারটি এলএনজি কার্গো স্পট মার্কেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, যাতে দেশে জ্বালানি সরবরাহে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। এর আগে আগস্ট মাসে সরকার ১১টি এলএনজি কার্গো সংগ্রহ করেছিল, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩.৬৫ কোটি এমএমবিটিইউ।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, প্রতিটি কার্গোতে গড়ে ৩২ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি থাকে।

সরকারের নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সাপ্তাহিক বৈঠকে তরল গ্যাসের চাহিদা পর্যালোচনা করে এলএনজি সংগ্রহের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।


২৫ লাখ ডলারের রপ্তানি আদেশ পেল বাংলাদেশ

মিহাস ২০২৫-এ নজিরবিহীন সাফল্য
আপডেটেড ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের বৃহত্তম হালাল পণ্য প্রদর্শনী মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস (মিহাস) ২০২৫-এ অংশ নিয়ে বাংলাদেশের কসমেটিক্স ও স্কিনকেয়ার শিল্প নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে।

রোববার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া দেশি কোম্পানিগুলোর পণ্যের প্রতি ২১টি দেশের ১১৮টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও রিটেইলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ২৫ লাখ মার্কিন ডলারের সম্ভাব্য রপ্তানি অর্ডার পেয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে এবারে মোট ১২টি বুথ অংশ নেয়, যার মধ্যে দুটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ হাইকমিশন। খাদ্য, কসমেটিক্স, হস্তশিল্প, সিরামিক, পাটজাত এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য প্রদর্শিত হয়। হালাল সার্টিফায়েড কসমেটিক্স, স্কিনকেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্য মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে জায়গা করে নেয়।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ক্রেতারা বাংলাদেশে উৎপাদিত হালাল কসমেটিক্সের গুণগত মান, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং প্যাকেজিং দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রদর্শনীর সময় একাধিক দেশি কোম্পানি সরাসরি রপ্তানি অর্ডার পায় এবং ভবিষ্যতে প্রাইভেট লেবেল উৎপাদন ও প্যাকেজিং সহযোগিতায় প্রাথমিক সমঝোতা হয়।

মালয়েশিয়ার জাতীয় ঐক্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জেনারেল দাতো হাসলিনা বিনতে আবদুল হামিদ বাংলাদেশের পণ্যের মান ও উপস্থাপন দেখে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তৈরি হালাল পণ্যের মান আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছেছে এবং এটি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রাখে।’

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোছাম্মৎ শাহানারা মনিকা এবং বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবির) মহাপরিচালক বেবি রানী কর্মকার। তারা প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর স্টল পরিদর্শন করে পণ্যের মান ও প্যাকেজিংয়ের প্রশংসা করেন।

প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া রিমার্ক ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদুল ইসলাম জানান, ‘রপ্তানির এই নতুন দিগন্ত শুধু আমাদের জন্য নয়, দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।’

মিহাস ২০২৫-এ অংশ নেয় বিশ্বের ৮০টি দেশের ১ হাজার ১৯টি কোম্পানি, যেখানে ছিল ২ হাজার ৩৮০টিরও বেশি স্টল। প্রায় ৪৫ হাজার দর্শনার্থী প্রদর্শনীতে অংশ নেন।

আয়োজনের মধ্যে ছিল ইনভেস্টমেন্ট ও পারচেজিং মিশন, বিজনেস সেমিনার, অ্যাওয়ার্ড শো এবং নলেজ হাব।


জুলাই-সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৫.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে ১৫.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৮৬ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪৩ মিলিয়ন ডলার।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে ২ হাজার ৬৮৫ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৪০৫ মিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ২৫ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৫ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে আসে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আগস্টে প্রবাসীরা পাঠান ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে, যা ছিল বছরের রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্সপ্রবাহ ছিল যথাক্রমে- জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি ডলার; আগস্টে ২২২.১৩ কোটি ডলার; সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি ডলার; অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি ডলার; নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার; ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার; জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার; ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার; মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার; এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার; মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।

এদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।


ডিএসইতে সূচক বেড়েছে, লেনদেন ছয়শ কোটি টাকার ওপরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার মোট ৩৯৫টি কোম্পানির ১৯ কোটি ৮৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৩টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দিনের শেষে মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯০৭টি ট্রেডের মাধ্যমে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১৯ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৯ টাকা।

সূচকের দিক থেকেও দিনটি ইতিবাচক ছিল। সব সূচক বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩১.৮৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৪৪৭.৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ১০.৭২ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ২,০৯২.৫৬ পয়েন্টে।

অন্যদিকে ডিএসই শরীয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ২.০৫ পয়েন্ট বেড়ে বর্তমানে ১,১৭৪.০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৮৩টির দর বেড়েছে, ১৪৭টির কমেছে এবং ৬৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

মূল্য অনুযায়ী লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: সিভিও পেট্রোলিয়াম, সোনালি পেপার, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, তৌফিকা ফুডস, ওরিয়ন ইনফিউশন, ডমিনেজ স্টিল, খান ব্রাদার্স পিপি, কে অ্যান্ড কিউ, বিএসসি এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি:

এক্সিম ব্যাংক, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এসআইবিএল, এবি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোলিয়াম, রিলায়েন্স ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রহিমা ফুডস এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স।

দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি:

ট্রাস্ট ব্যাংক ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইনটেক লিমিটেড, মিথুন নিটিং, এমএল ডায়িং, আইএসএন লিমিটেড, আনলিমা ইয়ার্ন, সেলভো কেমিক্যাল, এশিয়াটিক ল্যাব, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আলহাজ টেক্সটাইল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সক্রিয় ছিল। ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধিতে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। মধ্যম মানের লেনদেনের সঙ্গে সূচকের ধারাবাহিক উত্থান বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে।


রপ্তানি কমলো টানা ২ মাস *সেপ্টেম্বরে কমেছে ৪.৬১ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসেই পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা হোঁচট আসে। আয় কমে যায় ৩ শতাংশের মত। তৃতীয় মাসও চলে সেই ধারায়। এবার রপ্তানি আরও কিছুটা কমেছে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমে গেছে ৫ শতাংশের মতো।

গত বছরের একই মাসের চেয়ে মাসটিতে পরিমাণে রপ্তানি কমলো ১৭ কোটি ডলারেরও বেশি। রপ্তানির পরিমাণ নেমে আসে ৩৬৩ কোটি ডলারে, যা আগের সেপ্টেম্বরে ছিল ৩৮০ কোটি ডলারেরও বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশের মত। মূলত পোশাকের রপ্তানি এ হারে কমে যাবার প্রভাবেই গোটা রপ্তানি আয় নেতিবাচক ধারা চলছে। পোশাকের রপ্তানি কমে দাঁড়ায় ২৮৪ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৩০১ কোটি ডলার।

একক মাসের হিসেবে রপ্তানি কমলেও অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ শতাংশের মত বেশি আছে।

এর কারণ, অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি বেশি হয় ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় মাস রপ্তানি কমে ৩ শতাংশের মতো।

অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে কার্পেট রপ্তানি ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং হিমায়িত মাছ রপ্তানি ১২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে একব্যবসায়ী নেতা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়েও প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, কারণ বেশির ভাগ ক্রেতাই নতুন করে কোনো ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন না। তারা এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক‍্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রপ্তানিকারকদের পক্ষে এ অতিরিক্ত চাপ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ তারা এরই মধ্যে প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছেন।

এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। কারণ চীনা ও ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যোগ করেন বিকেএমইএ সভাপতি।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেনা, "এ ধীরগতি আগামী দুই থেকে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে, আমাদের রপ্তানি আবারও পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছি। এ সময়টায় রপ্তানিকারকদের ধৈর্য সহকারে ক্রেতাদের যে কোনো ধরনের চাপ মোকাবিলা করতে হবে।’


‘সৌদি-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ শুরু হচ্ছে আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে আজ (সোমবার) রাজধানীতে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘সৌদি আরব-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’।

সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসএবিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সামিটের লক্ষ্য হচ্ছে- সৌদি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের উপস্থিতি বাড়ানো এবং সীমিত সংখ্যক ক্রেতার ওপর নির্ভরতা কমানো।

রোববার গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসএবিসিসিআই সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই যৌথ উদ্যোগটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যা শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব গঠনে সহায়ক হবে। সামিটের মূল লক্ষ্য হলো- সৌদি বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি বাড়ানো, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতার সীমিত নির্ভরতা কমানো যায়।’

সামিটে দুদেশের ব্যবসায়ী নেতা, অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক এবং খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।

২০ সদস্যের একটি সৌদি ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধিদল এই আয়োজনে অংশ নেবে, যা বিভিন্ন খাতে বিশাল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়ক হবে। সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন মাজদ আল উমরান গ্রুপের মালিক শেখ ওমর আবদুল হাফিজ আমির বখশ।

আগামীকাল ৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিতব্য সামিটের মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

সামিটের সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিন সৌদি প্রতিনিধিদলের ঢাকা আসবে এবং তাদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন। শেষ দিন, ৮ অক্টোবর, থাকবে বি২বি (ব্যবসায়িক) বৈঠক এবং সৌদি প্রতিনিধিদলের চূড়ান্ত সভা।

সৌদি বাজারে বাংলাদেশি পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল ফিন্যান্স এবং পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি, বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন খাতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী, যা অতীতের দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের প্রচলিত ধারা থেকে একটি অগ্রগতি।

আশরাফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, পেট্রোকেমিক্যাল, স্টিল, কৃষিশিল্প, সবুজ প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা এবং সেমিকন্ডাকটরসহ বিভিন্ন উন্নত ও শিল্প খাতে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।


চিটাগং চেম্বারে চূড়ান্ত প্রার্থী ৬৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রায় শতবর্ষী ব্যবসায়িক সংগঠন চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)-এর পরিচালক পদে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।

ঋণ খেলাপি হওয়ায় ও পুলিশি প্রতিবেদন ঠিক না থাকায় তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৮ জন। আর চূড়ান্তভাবে প্রার্থিতা পেয়েছেন ৬৩ জন। তবে, পরিচালক পদের জন্য লড়তে হবে ৫৭ জনকে। অন্যদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হচ্ছেন টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপে তিনজন।

রোববার প্রকাশিত বৈধ প্রার্থী তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নির্বাচন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত তালিকায় সাধারণ শ্রেণি থেকে ৪১ জন, সহযোগী শ্রেণি থেকে ১৬ জন এবং ট্রেড ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণি থেকে যথাক্রমে ৩ জন করে মিলে মোট ৬৩ জন প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

এর আগে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মোট ৭১টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে ৩৫টি মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল তারা ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল করার সুযোগ পান। এরপর ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি শেষে আজ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

চিটাগং চেম্বারের সহকারী সচিব মো. তারেক বলেন, ‘মনোনয়ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এতে সকল শ্রেণি থেকে বৈধ প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নির্বাচনের জন্য এখন প্রস্তুতি শুরু হবে। পাশাপাশি কেউ যদি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চান, তারা তা ৮ অক্টোবর দুপুর ১টার মধ্যে আবেদন করবেন।’


banner close