সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

এপ্রিল থেকে নতুন নিয়মে মূল্যস্ফীতি: বিবিএস ডিজি

আপডেটেড
২ মে, ২০২৩ ১৬:৩০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২ মে, ২০২৩ ১৬:০৭

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে বৈঠক করেছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকের পর বিবিএস মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মতিয়ার রহমান দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে নতুন নিয়মে মূল্যস্ফীতি বের করা হবে।

মো. মতিয়ার রহমান বলে, ‘আইএমএফের সঙ্গে আজকে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা আর ফাইন্যান্স ডিভিশন (অর্থ বিভাগ) মিলে তিনটি কাজ করব। সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আমাদের ৫০ বছরের জিডিপির তথ্য একত্রিত করতে হবে। সেটা আমরা করেছি। এ ছাড়া ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) নতুন মেথডে যাব। সেটাও শুরু হয়েছে।’

বিবিএস ডিজি বলেন, ‘সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এপ্রিল মাসে সিপিআই আমরা নতুন মেথডে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আর দুই-এক দিনের মধ্যে আমরা নতুন তথ্য প্রকাশ করব নতুন নিয়মে। এ ছাড়া প্রতি প্রান্তিকে জিডিপির তথ্য প্রকাশ করব, সেটা তাদের (আইএমএফ) অবহিত করলাম।’

মতিয়ার রহমান বলে, ‘সিপিআইতে মেথডলজি বদলেছে। আমাদের বাস্কেটে আগে ছিল ৮টি গ্রুপ, এখন হয়েছে ১২টি গ্রুপ। আগে ৪২২টি পণ্য থেকে মূল্যস্ফীতির তথ্য বের করা হতো। এখন ৭২০টি পণ্য থেকে মূল্যস্ফীতির তথ্য বের করা হবে। আগে আমরা মূল্যস্ফীতি বের করতে একটি সূত্র ব্যবহার করতাম। নতুন এই পদ্ধতিটি আইএমএফ দ্বারা স্বীকৃত। মূল্যস্ফীতি বের করার এই পদ্ধতি ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১৮০টি দেশ ফলো করছে। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল। এবার বাংলাদেশ সেটা করে ফেলল।’

আগামী নভেম্বর মাসে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে অর্থনীতির সার্বিক অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য আইএমএফের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গেও বৈঠক করে।

আইএমএফ গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণ সুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় আরও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।

ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের তিন দিন পরই সংস্থাটি প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ দেবে আইএমএফ।

বিষয়:

সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে প্রথম দিনে ৬০ টন পেঁয়াজ এসেছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির নতুন ধাপ রোববার (৭ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে মোট ৬০ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় ট্রাকগুলো বন্দর এলাকায় প্রবেশ করে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের মধ্যে মেসার্স গৌড় ইন্টারন্যাশনাল ৩০ টন এবং ওয়েলকাম ট্রেডার্স আরও ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

পানামা পোর্টের ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলো কোনো জটিলতা ছাড়াই বন্দর এলাকায় প্রবেশ করেছে এবং আনলোডিং কার্যক্রম দ্রুতগতিতে চলছে। তিনি বলেন, আমদানিকারকরা নিয়মিত এলসি খুললে প্রতিদিনই পেঁয়াজ আনা সম্ভব হবে।

বন্দরের আমদানিকারক ও শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এদিকে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, নিয়মিত আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম শিগগিরেই আরও স্থিতিশীল হবে।


বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার ফলে বিচার সংস্কারে গতি সঞ্চার হবে

সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের অভিমত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের যৌথ উদ্যোগে গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আইনজীবী ও ব্যবসায়ী অংশীদারদের সঙ্গে ধারাবাহিক পরামর্শ সভার পর এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি, আইন বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেন।

আলোচনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক রোডম্যাপের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

ইউএনডিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব আদালত দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক বিরোধ ও স্থগিত বাণিজ্যিক মামলার দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা দূর করবে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের পথ প্রশস্ত করবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বিলম্বজনিত অর্থনৈতিক ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি উল্লেখ করেন, বিশেষ করে চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা বিচার ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণ ঘটাবে এবং বিশ্বকে বার্তা দেবে যে বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।

তিনি আইনজীবী সমাজ ও বিচার-সম্পর্কিত সব অংশীজনকে সততা, শৃঙ্খলা ও দক্ষতার সঙ্গে বাণিজ্যিক আদালত আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা একটি অপরিহার্য ভবিষ্যতমুখী সংস্কার, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব বাংলাদেশির জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। এসব আদালত বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি করবে, বাণিজ্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা গভীর করবে এবং এর ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, যথাসময়ে স্বচ্ছ বিরোধ নিষ্পত্তি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। বাণিজ্যিক আদালত কার্যকর করা আকাঙ্ক্ষাকে কর্মে রূপান্তরের একটি সাহসী পদক্ষেপ, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা জোরদার করে।

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, ‘মুক্ত, স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য বিরোধ নিষ্পত্তি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে, বাংলাদেশকে একটি বিশ্বস্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। প্রতিশ্রুতিকে কর্মে রূপান্তরিত করে, ব্যবসাকে জোরদার করে এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ উন্মুক্ত করে এমন একটি বিচার ব্যবস্থার জন্য সুইডেন এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বাণিজ্যিক আদালতের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক আদালত বাংলাদেশকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।

অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পবকে বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রধান মূল্যবোধ এবং আমরা বিচার বিভাগ সংস্কারে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে সাধুবাদ জানাই। বাণিজ্যিক আদালত কার্যকর করা একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ, যা বিলম্ব কমায় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায়। অস্ট্রেলিয়া গর্বের সঙ্গে এসব সংস্কারকে সমর্থন করছে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

বিশেষজ্ঞদের প্যানেলে ছিলেন ব্যারিস্টার মারগুব কবির, ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার, উপসচিব, ইউএনডিপি কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ওয়াইস প্যারে এবং ইউএনডিপি ডিজিটালাইজেশন স্পেশালিস্ট ক্রিস ডেকার।

তারা দীর্ঘদিনের মামলার জট, ভঙ্গুর আইনি কাঠামো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) জন্য প্রবেশাধিকারের প্রতিবন্ধকতা এবং অবকাঠামোগত চাহিদা নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপির সিনিয়র অ্যাডভাইজর রোমানা শভাইগার।

সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বিচার বিভাগের জাতীয় অগ্রাধিকারের অংশ হিসেবে বাণিজ্যিক আদালত কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক আদালত কার্যকর করা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিচার বিভাগকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।


অর্থনীতি সম্প্রসারণের ধারায় থাকলেও নভেম্বরে পিএমআই মান কমেছে

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের সামগ্রিক পারচেজিং ম্যানেজার্স’ ইনডেক্স (পিএমআই) নভেম্বর মাসে ৫৪ দশমিক শূন্যতে দাঁড়িয়েছে। যা অক্টোবরের তুলনায় ৭.৮ পয়েন্ট কম। পিএমআই হ্রাস পেলেও এটি এখনো সম্প্রসারণ পর্যায়ে রয়েছে। নভেম্বর মাসের পিএমআই ফলাফলে দেখা গেছে, কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবাসহ সব প্রধান অর্থনৈতিক খাতে সম্প্রসারণের গতি ধীর হয়েছে। এই ফলাফল দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে নভেম্বর মাসের এ পিএমআই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পিএমআই উদ্যোগটি দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের তাৎক্ষণিক ও নির্ভুল চিত্র তুলে ধরার একটি অগ্রণী পদক্ষেপ, যা ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটি এমসিসিআই ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্টের (এসআইপিএমএম) কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি করা হয়।

নভেম্বরের পিএমআই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে কৃষি খাত টানা তৃতীয় মাসের মতো সম্প্রসারণে থাকলেও এর গতি কিছুটা কমেছে। নতুন ব্যবসা, কর্মসংস্থান এবং ইনপুট ব্যয়ের উপসূচকে ধীরগতির সম্প্রসারণ দেখা গেলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম উপসূচকে দ্রুততর সম্প্রসারণ রেকর্ড হয়েছে। অর্ডার ব্যাকলগ উপসূচকে ধীর সংকোচন দেখা যায়।

উৎপাদন খাত টানা ১৫তম মাসের মতো সম্প্রসারণ বজায় রেখেছে, তবে হার ছিল তুলনামূলক কম। নতুন অর্ডার, রপ্তানি অর্ডার, উৎপাদন, ইনপুট ক্রয়, সমাপ্ত পণ্য, আমদানি, ইনপুট মূল্য, কর্মসংস্থান ও সাপ্লায়ার ডেলিভারি সব উপসূচকই সম্প্রসারণে ছিল। তবে অর্ডার ব্যাকলগ উপসূচকে দ্রুততর সংকোচন রেকর্ড হয়েছে।

নির্মাণ খাত টানা তৃতীয় মাসের মতো সম্প্রসারণ ধরে রাখলেও গতি কমেছে। নির্মাণ কার্যক্রম, কর্মসংস্থান ও ইনপুট খরচ- সব উপসূচকেই সম্প্রসারণ দেখা গেছে। তবে অর্ডার ব্যাকলগ উপসূচকে দ্রুত সংকোচন এবং নতুন ব্যবসা উপসূচক সংকোচন পর্যায়ে ফিরে এসেছে।

সেবা খাত টানা ১৪তম মাসের মতো সম্প্রসারণে থাকলেও প্রবৃদ্ধি ছিল মন্থর। কর্মসংস্থান ও ইনপুট ব্যয়ের উপসূচকে সম্প্রসারণ রেকর্ড হলেও নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও অর্ডার ব্যাকলগ উপসূচকগুলো সংকোচনে ফিরে গেছে।

ভবিষ্যৎ ব্যবসা অনুভূতি সূচকে কৃষি, নির্মাণ ও সেবা খাতে দ্রুততর সম্প্রসারণ প্রত্যাশা দেখা গেলেও উৎপাদন খাতে ধীরগতির সম্প্রসারণ রেকর্ড হয়েছে।

পিএমআই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, নভেম্বর পিএমআই দেখায় যে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের গতি দুর্বল হয়েছে। বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস, রপ্তানি প্রতিযোগিতা কমে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ চাহিদা পতন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে বিনিয়োগ স্থগিত রাখার প্রবণতার অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

যদিও বার্ষিক রপ্তানি কমা সত্ত্বেও মাসওয়ারি প্রবৃদ্ধি এবং কৃষি খাতে ধারাবাহিক ফসল সংগ্রহ সামগ্রিক সম্প্রসারণ বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে উৎপাদন খাত ব্যতীত অন্যান্য সব খাতেই ভবিষ্যৎ ব্যবসার দ্রুততর সম্প্রসারণ প্রত্যাশা দেখা গেছে।

সূত্র : বাসস


নির্ধারিত দামে মেলে না এলপিজি

* ১২ কেজির সিলিন্ডারে বেশি দিতে হচ্ছে  ১০০-২৫০ টাকা * ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয় বিভিন্ন দামে
আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক 

বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতি মাসে সমন্বয় করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা দামে এলপিজি পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ আছে। ভোক্তাদের ভাষ্য, ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি দিতে হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়ও বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় এলপিজি।

গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ডিসেম্বরের জন্য দাম ঘোষণা করেছে বিইআরসি। এতে ১২ কেজি সিলিন্ডারে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫৩ টাকা। গত নভেম্বর মাসে দাম ছিল ১ হাজার ২১৫ টাকা। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।

এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে। ঢাকা থেকে পৌনে তিন শ কিলোমিটার দূরের দ্বীপজেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় থাকেন কেয়া হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি মাসেই ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বাড়তি দিতে হয়। সবশেষ নভেম্বরে ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনেছেন ১ হাজার ৩০০ টাকায়। বাসায় পৌঁছাতে বাড়তি খরচ করতে হয় আরও ৫০ টাকা।

বিইআরসি তার আইনি দায়িত্ব পালন করছে না। আইনে যেসব ক্ষমতা দেওয়া আছে, তার প্রয়োগ করে না। ভোক্তাস্বার্থও সংরক্ষিত হচ্ছে না।

ঢাকার কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদও বললেন, অভিন্ন কথা। তাঁর ভাষ্য, নভেম্বরে ১২ কেজির এলপিজি কিনেছেন ১ হাজার ৪৫০ টাকায়। আর বাসায় পৌঁছানোর জন্য দিতে হয়েছে ৫০ টাকা। এ মাসে দাম বাড়ার পর আরও ৫০ টাকা খরচ বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

অবশ্য ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা কামরুন্নেছা রুহী বলেন, গত মাসে ১২ কেজির এলপিজি তিনি কিনেছেন ১ হাজার ৩০০ টাকায়। অর্থাৎ কামরুন্নেছার চেয়ে ফয়সালকে দেড় শ টাকা বেশি দিতে হয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। টানা দুই বছর দাম নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ ছিল পরিবেশক ও এলপিজি কোম্পানির মধ্যে। বিইআরসি পরিবেশক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দিলেও সেই দামে কোম্পানির সরবরাহ করত না। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণের সূত্রে পরিবর্তন এনে কোম্পানি পর্যায়ে আরও কিছু খরচ যুক্ত করা হয়। এরপর কোম্পানি থেকে বাড়তি দামে সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

সারা দেশে এলপিজি সিলিন্ডার পরিবেশক সমিতির সভাপতি সেলিম খান বলেন, পরিবেশক পর্যন্ত দাম এখন ঠিকই আছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রির সুযোগ নেই। তবে খুচরা বিক্রেতারা বেশি নিচ্ছেন। এটি বন্ধে ভোক্তা অধিকারের অভিযান চালানো উচিত।

নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রির জন্য বাজার নজরদারির সামর্থ্য নেই বিইআরসির। বিভিন্ন সময় তারা জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে নজরদারির অনুরোধ করেছে। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরও মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে।

লাইসেন্স না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, জানুয়ারির মধ্যে সব পরিবেশককে বিইআরসির লাইসেন্স নিতে বলা হয়েছে। এরপর খুচরা বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। এতে জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে।

বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাট) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১০৪ টাকা ৪১ পয়সা। গত মাসে তা ছিল ১০১ টাকা ২৪ পয়সা; অর্থাৎ এ মাসে দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অধিকাংশ ভোক্তা অবশ্য এর নাগাল পায় না। বাজারে চাহিদার ৯৯ শতাংশের বেশি এলপিজি সরবরাহ করে বেসরকারি খাত।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, বিইআরসি তার আইনি দায়িত্ব পালন করছে না। আইনে যেসব ক্ষমতা দেওয়া আছে, তার প্রয়োগ করে না। ভোক্তা স্বার্থও সংরক্ষিত হচ্ছে না। এ কারণে রাষ্ট্রপতির কাছে বর্তমান কমিশনের অপসারণ দাবি করেছে ক্যাব।


মূল্যস্ফীতি ও নতুন শুল্কের চাপের পরেও মার্কিনিদের কেনাকাটা বেড়েছে ৯ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

মূল্যস্ফীতি ও নতুন শুল্কের চাপের পরেও চলতি উৎসব মৌসুমে বিক্রি বেড়েছে আমেরিকায়। অ্যাডোবি অ্যানালাইটিকস বলছে, ক্রেতারা অনলাইনে এবার ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলার খরচ করেছেন, যা গত বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। অবশ্য বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে কম।

ছুটির মধ্যেও তীব্র চাপ সামলাতে হচ্ছে মার্কিন ডাক পরিষেবা, লস অ্যাঞ্জেলেস সেন্টারের কর্মীদের। প্রতি ঘণ্টায় দশ হাজার পার্সেল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্মীরা। সংস্থাটির ডিস্ট্রিবিউশন অপারেশনের সিনিয়র ম্যানেজার জর্জ ব্যাংকস বলেন, ‘প্রতিটি মেশিন ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার পার্সেল প্রক্রিয়া করতে সক্ষম।’

জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন ক্রেতারা আগের চেয়ে বেশি সচেতন। তারা এমন দোকান খুঁজছেন যেখানে তুলনামূলক কম দামে পণ্য পাওয়া যায়। এতে বেড়েছে অনলাইনে কেনাকাটা এবং চাপের মুখে রয়েছে বড় ব্র্যান্ডগুলো।

ফ্যাশন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির শিক্ষক ম্যারি এপনার বলেন, ‘এ বছর অন্য যেকোনো ব্ল্যাক ফ্রাইডে উইকএন্ডের চেয়ে আলাদা। শুল্কবৃদ্ধির ফলে ব্র্যান্ডগুলো খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তাই বেশিরভাগ ক্রেতাই এখন অনলাইনে ঝুঁকছে।’

অ্যাডোবি অ্যানালিটিক্সের তথ্য বলছে, ব্ল্যাক ফ্র্যাকাইডেতে যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে কেনাকাটা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অফারের তথ্য খুঁজতে ও পণ্যের দাম তুলনা করতে এআই চ্যাটবট ব্যবহার করেছেন অনেক ক্রেতা।

ম্যারি এপনার বলেন, ‘ভোক্তারা এবার সবচেয়ে বেশি খুঁজছিল কীভাবে একটি ফ্রি গিফট পাওয়া যাবে, বা ফাইন্যান্সিং নেওয়া, বা পরে মূল্য পরিশোধ করা। তাই এই সব পয়েন্টই বছরের বাকি সময়ে গ্রাহককে আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

মার্কিন ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশনের পূর্বাভাস বলছে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি বাড়বে ৩ দশমিক ৭ থেকে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এতে মোট বিক্রির পরিমাণ বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে।


বাংলাদেশে পৌঁছাল ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর খাদ্য সহায়তা জোরদারে ইউক্রেনের মানবিক উদ্যোগ ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার মেট্রিক টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া লজিস্টিক হাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার, ইউক্রেন ও সুইডেনের দূতাবাস এবং জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) যৌথভাবে এ সহায়তা গ্রহণ করে। ডব্লিউএফপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এই সূর্যমুখী তেল সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনে উৎপাদিত হয়েছে এবং এর ক্রয় ও পরিবহনসহ মোট ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের ব্যয় বহন করেছে সুইডেন সরকার। রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনায় ডব্লিউএফপি ও অন্যান্য মানবিক সংস্থার কাজে এই সহায়তা ব্যবহার করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফিজুর রহমান, রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া উইংয়ের পরিচালক এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ড. ওলেক্সান্দ্র পলিশচুক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সিমোন পার্চমেন্ট এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে শারলে। ফ্রান্সও ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ কর্মসূচির সহযোগী।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মোস্তফিজুর রহমান বলেন, সুইডেন ও ইউক্রেনের এই সহযোগিতা রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি এটিকে মানবিকতা, সহমর্মিতা এবং বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেন।

রোহিঙ্গা ত্রাণ কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, এই যৌথ উদ্যোগ মানবিকতার ওপর অভিন্ন বিশ্বাসকে তুলে ধরছে, যা বাংলাদেশ, ইউক্রেন, সুইডেন, ফ্রান্স ও ডব্লিউএফপিকে একই প্ল্যাটফর্মে এনেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহিউদ্দিন কায়েস বলেন, এই সহায়তা কেবল মানবিক উদ্যোগ নয়, বরং রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তরিক বন্ধুত্ব ও সংহতির প্রকাশ।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ড. পলিশচুক বলেন, সুইডেন ও অন্যান্য অংশীদারদের সমর্থন ছাড়া এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও ডব্লিউএফপির কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন রাখা জরুরি এবং এই সহায়তা দেখায় যে আন্তর্জাতিক সংহতি কথার বাইরে গিয়ে বাস্তব পদক্ষেপে রূপ নিতে পারে।

ডব্লিউএফপির সিমোন পার্চমেন্ট বলেন, ইউক্রেন ও সুইডেনের এই সহায়তা বৈশ্বিক একতার শক্তিশালী উদাহরণ এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশগুলোরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা ডব্লিউএফপির খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গারা ই-ভাউচার ব্যবস্থার মাধ্যমে মাসে ১২ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ খাদ্য সংগ্রহ করেন। ১৯টি ই-ভাউচার আউটলেট থেকে তারা চাল, ডাল, তাজা শাকসবজি, মাছ, মুরগি এবং স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী নিতে পারেন। এই ব্যবস্থায় স্থানীয় ক্ষুদ্র কৃষক ও উৎপাদকরাও সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন।


চিনি আমদানি বন্ধ, আগে দেশি কলের চিনি বিক্রি হবে: শিল্প উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় চিনি বিক্রি শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে। বিদেশ থেকে চিনি আমদানি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশের চিনিকলে জমে থাকা চিনি আগে বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, শুধু ভর্তুকি দিয়ে চিনিকল চালানো সম্ভব নয়। এজন্য স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগের বিকল্প নেই। সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শনিবার নাটোরের উত্তরা গণভবন সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর শিল্প উপদেষ্টা নাটোর সুগার মিলস লিমিটেড পরিদর্শন করেন।

শিল্প উপদেষ্টা বলেন, চিনিকলগুলো দেশের চাহিদার অল্প একটি অংশ পূরণ করতে সক্ষম। তাই চিনিকলের সক্ষমতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) রাশিদুল হাসান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব, নাটোর সুগার মিলস লিমিটেডের এমডি মো. আখলাছুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।


সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়াল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ৭ ডিসেম্বর থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি যে সকল আমদানিকারক রপ্তানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ঢাকায় খুচরা বাজারে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর জন্য সরবরাহ ঘাটতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামের এই ঊর্ধ্বগতি বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট, উত্তরার হজ ক্যাম্প বিভিন্ন বাজার ঘুরে পেঁয়াজের বাড়তি দামের খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাবনার ভালো মানের পুরোনো পেঁয়াজ এক পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। খুচরা কিনলে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ১৬০ টাকা। তবে ১৪০ টাকা দরেও পেঁয়াজ মিলছে।

কারওয়ান বাজারে দু-একটি দোকানে আগাম পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি কেজির দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা নীরব মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। তখন পেঁয়াজের দাম পড়ে যাবে। প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। তিনি জানান, এ সময়ে প্রতি বছরই পেঁয়াজের দাম বাড়ে। এবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তাই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি।

মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট ও উত্তরার হজ ক্যাম্প বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। তবে বিক্রেতারা জানান, তাদের এক কেজি পেঁয়াজ পাইকারি কেনা পড়ছে ১৪০-১৪৮ টাকা।


সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকায় ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনছে নেটফ্লিক্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

হলিউড বিনোদনে সব থেকে পুরোনো ও জনপ্রিয় ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’-এর মালিকানা কেনার ঘোষণা দিয়েছে নেটফ্লিক্স। ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি ও ফিল্ম স্টুডিয়োর সঙ্গে নেটফ্লিক্সের মালিকানায় থাকবে এইচবিও ম্যাক্স, এইচবিও ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো। গত শুক্রবার জনপ্রিয় অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবর জানিয়েছে।

জানা গেছে, নগদ ও স্টক মিলিয়ে ওয়ার্নারের প্রত্যেক শেয়ারের মূল্য ধরা হয়েছে ২৭ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। এতে প্রতিষ্ঠানটির মোট মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৮২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার যা বিনোদন জগতে সাম্প্রতিক কালের অন্যতম বৃহৎ অধিগ্রহণ। ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে লেনদেন সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বেশকিছু দিন ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে বিনোদন জগতে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি কিনতে নিলামে এগিয়ে ছিল কমকাস্ট ও প্যারামাউন্ট স্কাইডান্সের মতো সংস্থা। তবে তাদের পেছনে ফেলে এর মালিকানা কিনে নিয়েছে নেটফ্লিক্স। ‘হ্যারি পটার’, ‘গেম অব থ্রোন্স’-এর মতো জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা ছিল ওয়ার্নার ব্রাদার্সের হাতে।

নেটফ্লিক্সের মুখপাত্র টেড সারানডোস বলেছেন, আমরা এই পরিবর্তনের হাত ধরে বিনোদুনিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারব বলেই আশা করব। এবার দেশ-বিদেশের নানা বিনোদনমূলক কনটেন্ট দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।


নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করবে ক্যাব ও বিএসএএফই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোক্তার অধিকার রক্ষায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ সেফ অ্যাগ্রো ফুড ইফোর্টস (বিএসএএফই)।

শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন ভবনে আয়োজিত এক জাতীয় সেমিনারে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন দুটি।

ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএএফই এর লিংক পরিচালক মাহমুদ হাসান।

এতে বলা হয়, দেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা করা এখন জাতীয় অগ্রাধিকার। কারণ প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি মানুষ খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। বাজারে ভেজাল, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন, অনিরাপদ পণ্য ও অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ বাড়ছে। দেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন বেড়েছে। কিন্তু বাজারের ৭১ শতাংশ সবজিতে অতিরিক্ত কীটনাশক, তেলের নমুনায় বিপজ্জনক ট্রান্সফ্যাট এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে জনস্বাস্থ্যের ওপর বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, ডিএনসিআরপিতে গত বছর জমা পড়া ৮০ হাজারের বেশি অভিযোগ থেকে জানা যায়, দেশে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন মারাত্মকভাবে বাড়ছে। এ অবস্থায় শক্তিশালী ভোক্তা অধিকার গড়ে তোলা এবং সর্বস্তরে ভোক্তা সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের নীতি-কৌশলকে প্রভাবিত করা প্রয়োজন। কারণ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। আরের জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরে প্রযুক্তি ও গবেষণাভিত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং শক্তিশালী অংশীদারত্ব জোরদার করা।

ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সরকার গঠন করবে, তাদের উচিত নাগরিকদের জন্য সেফ ফুড (নিরাপদ খাদ্য) নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা। কারণ এটি এখন রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম দায়িত্ব। অথচ এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা দেখা যাচ্ছে না। তাই নতুন সরকার বা বিরোধী দল যাতে সেফ ফুড নিয়ে কাজ করে, সেই বিষয়ে আমাদের সোচ্চার হতে হবে এবং এই লক্ষ্যে আমাদের দ্রুত মাঠে নামতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে আপনাদের (বিএসএএফই) সঙ্গে ক্যাব থাকবে। কারণ ক্যাবের লক্ষ্য ভোক্তার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। ক্যাবের আন্দোলনের ফলেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পেয়েছি। অথচ তারা (ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি) এই আলোচনায় নেই, এটা দুঃখজনক। কিন্তু ক্যাব চায় সবাইকে নিয়ে নাগরিকদের ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।


চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে ইপিবির সমঝোতা স্মারক সই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

ইউনান প্রদেশের টোংদে কুনমিং প্লাজায় অনুষ্ঠিত মেকং-লানচাং ফল উৎসবে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের ফল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকরা প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে। তারা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সামনে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করছে।

থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস ও মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে একই ধরনের সহযোগিতা চুক্তির আওতায় এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন ইপিবির মহাপরিচালক ও সরকারের যুগ্ম সচিব বেবি রাণী কর্মকার। চীনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের উপমহাপরিচালক মা জুন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ও ফল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুনমিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. খালেদ, বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্য কাউন্সিলর মো. জিয়াউর রহমান এবং কুনমিং কনসুলেটে বাণিজ্য বিভাগের প্রথম সচিব রিদওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ৯ জন ফল রপ্তানিকারক ও উৎপাদক প্রথমবারের মতো এ উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লানচাং মেকং ফল উৎসবে বাংলাদেশের উপস্থিতি এবং এই এমওইউ স্বাক্ষর এক সঙ্গে সরকারের রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও বাজার অনুসন্ধানে অবিচল প্রচেষ্টাকে তুলে ধরছে।

চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ইউনান প্রদেশে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সুবিধা পাবে, যার মধ্যে রয়েছে—

১. ইউনানের নির্দিষ্ট এলাকায় সর্বোচ্চ ২,০০০ বর্গমিটার পর্যন্ত ভাড়ামুক্ত বন্ডেড গুদাম সুবিধা, যা সরবরাহ শৃঙ্খলার খরচ কমাবে এবং চীনা বাজারে প্রবেশ সহজ করবে।

২. সর্বোচ্চ ২,০০০ বর্গমিটার পর্যন্ত ভাড়া-মুক্ত অফলাইন প্রদর্শনী স্থান, যা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পণ্য প্রদর্শন ও আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

৩. ইউনানের নির্দিষ্ট অনলাইন কমোডিটি সিটিতে বিনা খরচে অন্তর্ভুক্তি, যার মাধ্যমে একীভূত ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের পণ্য প্রদর্শন ও বাণিজ্য পরিচালনার সুযোগ মিলবে।

৪. মার্কেট প্রকিউরমেন্ট ট্রেডের ক্ষেত্রে লজিস্টিক খরচ হ্রাস ও মওকুফ, তাজা ও দ্রুত পচনশীল কৃষিপণ্যের জন্য দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, যা সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করবে ও ট্রেড খরচ কমাবে এবং বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা বাড়াতে সুবিধাজনক এয়ার ফ্রেইট ও লজিস্টিক নীতি সহায়তা পাবে।

দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স কেবল তখনই সুযোগ হয়ে উঠবে যদি রপ্তানিকারকরা ধারাবাহিকভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ দিতে পারেন। বাংলাদেশকে অবশ্যই কোল্ড চেইন লজিস্টিকস এবং ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে সরবরাহ চেইনে শৃঙ্খলা তৈরি হয়।


ফিজি ও টোঙ্গার জন্য বিশ্বব্যাংক ও এডিবির যুগান্তকারী প্রকল্প ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বব্যাংক (ডব্লিউবি) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রথমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুই দ্বীপরাষ্ট্রে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও অবকাঠামো উন্নয়নে দু’টি বড় প্রকল্প ঘোষণা করেছে।

মোট ২৩ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পগুলো ‘ফুল মিউচুয়াল রিলায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক’ নামে উদ্ভাবনী যৌথ অর্থায়ন মডেলের আওতায় বাস্তবায়িত হবে। লক্ষ্য হলো উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও দ্রুত ও ফলপ্রসূ করা।

এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা আজ ফিজি ও টোঙ্গার জন্য এসব প্রকল্প ঘোষণা করেন।

ফিজিতে বিশ্বব্যাংক নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করা হবে। পাশাপাশি একটি অত্যাধুনিক আঞ্চলিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এর ফলে ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির চিকিৎসা পুরো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও সহজলভ্য হবে।

অন্যদিকে, টোঙ্গায় এডিবি নেতৃত্বাধীন ‘সাসটেইনেবল ইকোনমিক করিডোরস অ্যান্ড আরবান রেজিলিয়েন্স (এসইসিইউআরই)’ প্রকল্পের আওতায় পরিবহন, নগর ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের উন্নয়ন করা হবে।

এ প্রকল্পে ৭২০ মিটার দীর্ঘ ফাঙ্গা’উতা লেগুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিনিয়োগের ফলে যানজট কমবে, গ্রামীণ মানুষের বাজারে পৌঁছানো সহজ হবে এবং বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর সঙ্গে সংযোগ আরও মজবুত হবে। পাশাপাশি সুনামিসহ বিভিন্ন দুর্যোগকালে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার রুটও নিশ্চিত হবে।

এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন অর্থায়নকে আরও সহজ, দ্রুত ও কার্যকর করা।’

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা বলেন, এই ফ্রেমওয়ার্ক বিশ্বব্যাংক ও এডিবির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। আর যেসব দেশ ও জনগোষ্ঠী বাস্তব উন্নয়ন ফলাফলের জন্য তাদের ওপর নির্ভর করে, তাদের জন্য এর তাৎপর্য আরও বেশি।


পাট খাতের ভুলের পুনরাবৃত্তি বস্ত্র খাতে হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য প্রদান করেন। ছবি : পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, পাট শিল্পের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে যেতে চাই। পাট খাতের ভুলের পুনরাবৃত্তি বস্ত্র খাতে হবে না।

তিনি বলেন, ‘পাট শিল্পে অতীতে অদক্ষতা, অযোগ্যতা, দুর্বৃত্তায়ন ও অব্যবস্থাপনার কারণে শিল্পটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। রঙিন স্বপ্ন দেখানো হয়েছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। কিছু অর্জন করতে না পেরেই স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল।’

পাট শিল্পে অতীতে যে ভুল হয়েছে, বস্ত্র খাতে সেই ভুল পুনরায় না করার আশ্বাস দিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। আমাদের সিদ্ধান্ত হবে বাস্তবতার নিরিখে।’

বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে আয়োজিত ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড রেইনভেনশন: ক্রিয়েটিং স্কিল্ড প্রফেশনালস ফর দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব বিলকিস জাহান রিমি। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্র শিল্পের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের বস্ত্র খাত এখন শুধু একটা শিল্প নয়, বরং অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। এই শিল্প দেশের প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে বিরাট ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি অর্জন করতে চাই। এই লক্ষ্য পূরণে শিল্প, একাডেমিয়া ও নীতিনির্ধারকদের একত্রে কাজ করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি না করতে পারলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। মধ্যপ্রাচ্যের আছে ক্রুড অয়েল, আর আমাদের আছে ১৮ কোটি মানুষ। এই মানবসম্পদকে দক্ষ করে তুলতে পারলে বস্ত্রশিল্প আরো সমৃদ্ধ হবে এবং অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।

পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। ১ হাজার ৬০০ এর বেশি উদ্যোক্তাকে নিয়ে জলবায়ু ফান্ডের আওতায় একটি রিভলভিং ফান্ড গঠন করা হয়েছে। এখান থেকে পাটপণ্য কিনে পুনরায় বিক্রি করা হচ্ছে, যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করছে।

তিনি বলেন, এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০ লাখ পাটের ব্যাগ বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশীয় ঐতিহ্যের পাটের ব্যাগকে আবার মূলধারায় ফিরিয়ে আনাই সরকারের লক্ষ্য।


banner close