ব্যাংক খাতে পরিচালনা পর্ষদ নানা সময় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। পর্ষদের চাপে পড়ে যাতে নির্দেশিত ঋণ বিতরণ করা না হয় সেদিকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। ব্যাংকের পর্ষদ থেকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রভাবমুক্ত করা জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমরানুল হক। ব্যাংক খাত নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে দৈনিক বাংলাকে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক বাংলার প্রতিবেদক এ এস এম সাদ।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর অনেক সময় পরিচালনা পর্ষদের হস্তক্ষেপ থাকে। পর্ষদ থেকেই নির্ধারিত ব্যক্তিকে ঋণ দেয়ার জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে চাপ দেয়া হয়। ফলে ব্যাংকাররা কী তাদের কাজটি সঠিকভাবে করতে পারছেন?
আইন অনুযায়ী ব্যাংক পরিচালনায় যেকোনো সিদ্ধান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।পরিচালনা পর্ষদ শুধু ব্যাংকের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। যদিও দেশের অনেক ব্যাংকে এভাবে আইন অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে না। পরিচালকরা পর্ষদ থেকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশিত ঋণ দেয়ার চাপ তৈরি করলে সেই ব্যাংকটি মান ধরে রাখতে পারবে না। এতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। ব্যাংকে বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি হয়। মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এমনকি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যেমন পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, সেটি নেয়ার মতো সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একই সঙ্গে কাজ করবে। পর্ষদের চাপে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যাতে না পড়ে সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। ব্যাংক শুধু উদ্যোক্তাদের নয়। এখানে আমানতকারীদের আমানত জমা রাখা হয়। ফলে তাদের স্বার্থ সবার আগে। তাই একটি ব্যাংক যাতে কোনোভাবে আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর দেয়া জরুরি। কোনো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পর্ষদের চাপে পড়লে অফিশিয়াল না হলেও আন-অফিশিয়ালি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবহিত করতে হবে। কারণ একটি ব্যাংক রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।
গত দুই বছর ধরে দেশে ডলারসংকট। এটি নিরসনের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারপরও কেন সংকট কাটছে না?
মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো আশা করছে রেমিট্যান্সে দর আরও বেশি দেয়া হবে। তবে অর্থনীতির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এবিবি-বাফেদা প্রতি মাসেই ডলারের দর নির্ধারণ করে দেয়। সেই অনুযায়ী ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। তবে রেমিট্যান্স হাউসগুলো পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করছে না। এতে সমস্যায় পড়ছে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্স দেশে আসছে। তবে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আসার পরিবর্তে সেকেন্ডারি চ্যানেলের মাধ্যমে আসছে কি না সে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের খতিয়ে দেখা দরকার। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলোকে কাজ করা দরকার। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করছে। ডলারের দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে পুরো অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, এক্সচেঞ্জে রেটে পরিবর্তন আসে এবং রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়। ফলে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে এবিবি-বাফেদার নির্ধারিত দরে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে হবে। তবে এটা ঠিক আশানুরূপ প্রবাসী আয় আসছে না। প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করা হয়। কিন্তু গত দুই মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কম। ঈদের আগে ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রত্যাশা করা হলেও এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ফলে এ বিষয়টি চিন্তার মধ্যে ফেলছে ব্যাংকগুলোকে।
ইন্টার ব্যাংকে ডলার লেনদেন প্রতিদিন ২৫ মিলিয়নের মতো হলেও বর্তমানে তা দেড় মিলিয়ন হচ্ছে। এত কমে যাওয়ার কারণ কী মনে করছেন?
সবকিছু চাহিদা ও জোগানের ওপর নির্ভর করে। সব ব্যাংকে ডলারের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পণ্য আমদানির জন্য এলসি বা ঋণপত্র খুলতে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। ফলে প্রত্যেক ব্যাংকে ডলারের চাহিদা রয়েছে। এতে দেখা যায় চাহিদা থেকে ডলারের জোগান অনেক কম। এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিকারকদের রপ্তানির আয় থেকেই ইন্টার ব্যাংক ডলারের সোর্স। প্রত্যেক ব্যাংক নিজেদের খরচ মেটানোর পর যা উদ্বৃত্ত থাকে সেটা ইন্টার ব্যাংকে দেয়া হয়। আপনি বলছেন আগে দিনে ২৫ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সেকশন হতো, এখন সেটা দেড় মিলিয়নে নেমে এসেছে। এটার প্রধান কারণ হতে পারে ডলারে সরবরাহ কম। আগের চেয়ে রপ্তানি কমেছে। বিজিএমইএর সভাপতির মতে, ২০ শতাংশ রপ্তানি কমেছে। রপ্তানি কমলে দেশে ডলার আসাও কমে যায়। অন্যদিকে আমদানি করার জন্য ডলারের তো প্রয়োজন আছেই। ফলে ডলারের এক ধরনের সংকটের কারণে ইন্টার ব্যাংক ডলারের ট্রান্সেকশন আগের মতো হচ্ছে না।
আসন্ন মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদের হারে পরিবর্তনের একটি নির্দেশনা আসবে। এতে বিনিয়োগে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন কি?
বিনিয়োগে পরিবর্তন আসবে বলে আমি মনে করি না। কারণ ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একেবারে উন্মুক্ত না করে সরকারি ট্রেজারি পণ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত রেখে সুদহার নির্ধারণ করা হবে। ব্যাংক ঋণের সুদহার যেন একবারে হঠাৎ বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হবে সরকারি বিল বা বন্ডের সঙ্গে মিল রেখে। যেমন ছয় মাস মেয়াদি বন্ডের সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১ বা ২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিতে পারবে ব্যাংক। ছয় মাসের ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৭ শতাংশ, এর সঙ্গে আরও দুই শতাংশ যোগ করলে ৯-১০ শতাংশ সুদ উঠবে। ফলে এমন একটি সরকারি ট্রেজারি পণ্য নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার সুদহার চাহিদা ও জোগানোর সঙ্গে ওঠানামা করে। তবে এমন পণ্য বেছে নেয়া হবে, যাতে ঋণের সুদহারের মাধ্যমে সুদহার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ, বন্ডের সুদ বাড়লে ঋণের সুদ বাড়বে। ফলে ঋণের সুদের হারে খুব বেশি বাড়বে না। এ ছাড়া এক সময় ব্যাংকগুলো ঋণে সুদের হার ১৫-১৬ শতাংশ দিয়ে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ফলে ঋণের সুদের হার এমন পর্যায় যাওয়া উচিত নয় যা ব্যবসা বান্ধব হওয়াতে বাঁধা দেয়। সামগ্রিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে ব্যবসা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। ঋণের সুবিধা দেশের শিল্পকারখানাগুলোতে দেয়া জরুরি। ফলে ব্যবসা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য দরকার ব্যাংকের ঋণের সুদের হারকে সহনীয় পর্যায় রাখা। তাই আমার মতে, আসন্ন মুদ্রানীতিতে ব্যাংকের ঋণের সুদের হারে যে পরিবর্তন আসছে তা অবশ্যই ব্যবসাবান্ধব হতে হবে। তবে বাজারের পর্যাপ্ত পরিমাণে তারল্য রয়েছে কি না সেটার ওপর সুদের হারে পরিবর্তন আসবে। কারণ বাজারে তারল্যসংকট না থাকলে সুদের হার বাড়বে না, আর সংকট থাকলে সুদের হার বাড়বে। তখন ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশের ওপর চলে যাবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলার মার্কেটকে স্থিতিশীল করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত বাজারে ডলার বিক্রি না করা। এ বিষয়কে কীভাবে দেখছেন?
ইচ্ছা করলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করা বন্ধ করে দিতে পারে না। সার ও জ্বালানির মতো অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ডলার সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এলসি খোলার জন্য এসব ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এক ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। কারণ আমদানি করতে পেমেন্ট দিতে ব্যর্থ হলে বাইরের ব্যাংকগুলোতে দেশের ব্যাংক সম্পর্কে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে।
তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর জন্য কী করা জরুরি?
দেশে বর্তমানে উচ্চমূলস্ফীতি তৈরি হয়েছে। এটা সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ মূল্যস্ফীতি বাড়লে সঞ্চয় ভাঙতে হয়। আমানত ভাঙার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে যত দ্রুত সম্ভব এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া গত দুই বছর ধরে দেশে ডলারসংকট তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। এর বিপরীতে টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে। ফলে বাজারে তারল্য সংকট আছে। ডলার বিক্রি আগের চেয়ে কমিয়ে আনতে হবে। এ ছাড়া টাকার প্রবাহ বাড়াতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খাতে কোনো ব্যাংক যাতে ব্যয় না করে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি ।
ব্যাংক খাতের উন্নয়নে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি?
খেলাপি ঋণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। কারণ একটা ব্যাংক তত শক্তিশালী যত খেলপি ঋণ কম। দেশের ব্যাংক খাতে সর্বশেষ খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ হাজার কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কোভিডের পর অনেক ব্যাংক রিকভার করতে কম নজরদারি করেছে। বর্তমানে এই ব্যাপারে আরও বেশি নজর দেয়া জরুরি বলে আমি মনে করি। এমনকি ঢাকা ব্যাংক খেলাপি ঋণ নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। অনেক খেলাপি ঋণ আইনের মধ্যে চলে যায়। তখন টাকা আদায় করা সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। ফলে আইনে পরিবর্তন আনার সময় হয়েছে। বিশেষ করে অর্থঋণ আদালতের মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। আবার অনেক জায়গায় অর্থঋণ আদালত নেই। ফলে সব কাজ একটা দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়ে যায়। আর এ জায়গায় সুযোগ নেয় খেলাপিরা। ব্যাংক থেকেই খেলাপিদের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যাংক থেকে চাপ তৈরি করা হয় না ততক্ষণ পর্যন্ত খেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা সম্ভব হয় না। ফলে আইনকে আরও শক্তিশালী না করার কোনো বিকল্প নেই। সুশাসনের জায়গা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটি পালন করার জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে মন্দ ঋণ কমাতে হবে। যখন ঋণ দেয়া হয় তখন সঠিক জায়গায় ঋণ দেওয় হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য ব্যাংকাররা সব নিয়ম-কানুন মেনে ঋণ প্রদান করবে। নির্দেশিত ঋণ কিংবা নিজেদের কোনো স্বার্থ রয়েছে এমন কোনো ঋণ দেয়া যাবে না। কারণ এসব ঋণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খেলাপিতে পরিণত হয়। আর যেসব ঋণ মন্দ হয়েছে সেগুলা সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। তাহলে ব্যাংক খাত উন্নত হবে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে কী ধরনের প্রভাব পড়েছে?
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব শুধু বাংলাদেশের নয় বরং সারা পৃথিবীর আমদানি রপ্তানিতে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময়মূল্য বেশ অনেক বছর ৮৪-৮৫ টাকায় স্থির ছিল, কিন্তু এই যুদ্ধের প্রভাবে এক্সচেঞ্জ রেটে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। আমদানি করা পণ্যের দাম শুধু বেড়েই চলেছে। ফলে মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। একইসঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সিএসআর খাতের অর্থ কী প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সিংহভাগ ব্যবহার করা হচ্ছে?
বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপূর্ণ দেশ। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা কিংবা কোনো জায়গায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাত থেকে ব্যয় করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এসব খাতে ব্যয় করা হয়। এটি একটি ইতিবাচক দিক বলে আমি মনে করি। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত রয়েছে- এ দুটি খাতও তুলনামূলক পিছিয়ে রয়েছে। একজন ব্যাংকার হিসেবে আমি মনে করি, এই দুই খাতে সিএসআর খাতের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করতে হবে।
গত দুই বছর ঢাকা ব্যাংকের আমদানি-রপ্তানির চিত্র কেমন ছিল?
ঢাকা ব্যাংকের আমদানি-রপ্তানি তুলনামূলকভাবে ২০২১ সালে ভালো ছিল। সে সময় ডলারের সংকট তীব্র ছিল না। তবে ২০২২ সালের জুন শেষে ডলারের এক ধরনের সংকট তৈরি হয়। ফলে আমদানি-রপ্তানি আগের চেয়ে কমে যায়। এতে ঢাকা ব্যাংকের আমদানি-রপ্তানিও কমেছে। ২০২১ সালে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ভালো থাকলেও ২০২২ সালে তা কমেছে। এতে ফরেন এক্সচেঞ্জ মানি মার্কেট অনেকটা চাপের মধ্যে পড়ে।
১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময় মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এ হিসাব চলতি বছরের ৩১ মার্চের।
তিন মাস আগে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। সে সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
গতকাল রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের পতন পরবর্তী নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, বিগত সরকার খেলাপি ঋণ নানাভাবে লুকিয়ে রেখেছিল। এসব খেলাপি ঋণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এটা বেড়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। সেই হিসেবে প্রতি তিন মাসে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে আনার সময় এর পরিমাণ বাড়ছে।
সোমবার (১৯ মে ২০২৫) জনতা ব্যাংক পিএলসি এর আরব আমিরাতের প্রধান নির্বাহীর কার্যালয় ও আবুধাবি শাখা স্থানান্তরিত নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। এ উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ও গ্রাহক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জনতা ব্যাংক পিএলসি'র চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা ও কেক কেটে নতুন ভবনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।
এ সময় দূতাবাসের উপপ্রধান শাহনাজ আক্তার রানু, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম এবং ইউএই জনতা ব্যাংক পিএলসি'র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আবুধাবি রিজিওনাল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি, গ্রাহক সেবার মান ও প্রসার বৃদ্ধির পরামর্শ দেন । এ সময় জনতা ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে ১৩ টি এটিএম বুথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা চালুর ঘোষণা প্রদান করেন। তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য আহবান জানান।
বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী জুন মাসে বাংলাদেশের জন্য ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুই কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।
ওয়াশিংটনে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠকের পর বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
এর ফলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের আওতায় জুন মাসে ১৩০ কোটি ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করা এবং কর-জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইস্যুতে মতানৈক্যের কারণে এতদিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে, ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। তারা এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ), এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পর্যালোচনা সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে আগামী বুধবার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হবে। গভর্নর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি এতে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কক্সবাজারে ‘ঋণ আদায় কর্ম কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নবিষয়ক ‘আউটরিচ ট্রেনিং’ গত ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজারে বিয়াম ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক কেন্দ্রে উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ও উপ-মহাব্যবস্থাপক ইস্কান্দার পারভেজ, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জামিল আবদুল নাছের, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ফেরদাউস খায়ের। দিনব্যাপী আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব ব্যবস্থাপক ও অন্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি
চেন্নাইভিত্তিক হাসপাতালে ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক এবং সহকর্মীদের আকর্ষণীয় অফার প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের চেন্নাইয়ের জীবন মিত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড উইমেন কেয়ার সেন্টারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং জীবন মিত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড উইমেন কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রাম্যা রামালিঙ্গম এমডি (ওজি) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত রোববার এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিএফও এম মাসুদ রানা, জীবন মিত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড উইমেন কেয়ার সেন্টারের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আর. মালারকোডি এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই চুক্তি-স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডে গত ১৪ অক্টোবর ‘ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বার্ষিক সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার একটি কনফারেন্স সেন্টারে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সব আঞ্চলিক কার্যালয়, শাখা ও উপশাখার নির্বাহী ও কর্মকর্তারা সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহমুদ হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আরিফ-উজ জামান।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা সৈয়দ রইস উদ্দিনসহ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগীয় প্রধান ও নির্বাহীরা। প্রধান অতিথি মো. মেহমুদ হোসেন বলেন, ‘এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকের সব স্তরে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, যাতে একটি শক্তিশালী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতি এবং অবকাঠামোর উন্নয়ন সহজতর হয়। বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলায় জ্ঞান আদান-প্রদানের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য।
এ জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য আমাদের সব নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে ঝুঁকি সম্পর্কে কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে এবং সেগুলো কাটিয়ে উঠতে উপায় খুঁজে বের করার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এতে বিভিন্ন ঝুঁকির রেটিং যেমন-ক্যামেলস রেটিং, কোর রিস্ক রেটিং এবং সামগ্রিকভাবে ব্যাংকের ঝুঁকি রেটিংও উন্নত হবে। বিজ্ঞপ্তি
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড বিশেষ সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষি খাতে নতুন প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে। সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার কাছে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ‘ডেভেলপমেন্ট অব ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড ইনোভেশন ইন অরগানাইজেশনাল সার্ভিস ডেলিভারি : সাকসেসফুল কেইস স্টাডি ফ্রম ফাইন্যান্সসিয়াল অ্যান্ড ব্যাংকিং সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কনফারেন্সের আয়োজন করে।
ওই কনফারেন্সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। কনফারেন্সে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন।
তিনি বর্তমান সময়ে আর্থিক ও ব্যাংকিং সেক্টরে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি এর আরও উৎকর্ষতা সাধনের ওপর জোর দেন। বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘সাসটেইনেবল রেটিং-২০২২’-এর সম্মাননা পেয়েছে যমুনা ব্যাংক। সম্প্রতি বিআইবিএম আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা প্রদান করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও বিআইবিএমের ইমেরিটাস ফ্যাকাল্টি ফজলে কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। বিজ্ঞপ্তি
সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিবিধ ফি ও চার্জ আদায়ের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল রোববার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ মিলনায়তনে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, সোনালী ব্যাংক পিএলসির জেনারেল ম্যানেজার মো. নূরুন নবী ও গোপাল চন্দ্র গোলদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুপ্রভাত হালদার।
এই চুক্তির ফলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে তাদের যাবতীয় ফি ও চার্জ পরিশোধ করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি
উন্নততর সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে নতুনভাবে সজ্জিত শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাতমসজিদ রোড শাখা গতকাল রোববার থেকে নতুন ঠিকানায় (গ্রিন সিটি সেন্টার, ৫৮ সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা) ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই স্থানান্তরিত শাখার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ। একই দিনে ব্যাংকের শাখা প্রাঙ্গণে একটি এটিএম বুথের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক এফ এম নেওয়াজ আলী, ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান মো. সামছুদ্দোহা, ব্যাংকের সাধারণ সেবা বিভাগের প্রধান মাহমুদুল শামীম তালুকদার, সাতমসজিদ রোড শাখার মোহাম্মদ হাসিব উদ্দিন, কলেজ কারওয়ান বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. ইফতেখার শহীদ, কলেজ গেইট শাখার ব্যবস্থাপক এ এইচ এম শাহরিয়ারসহ ব্যাংকের গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্থানান্তরিত শাখার কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে ব্যাংকের সমৃদ্ধি কামনা করে ব্যাংকের শাখা প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআন খতম, দরুদ এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধান অতিথি ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গ্রাহকদের আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ১৪০টি শাখা, ৪টি উপশাখা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এটিএম বুথ ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরলসভাবে সেবা প্রদান করে আসছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সেবার মানের কারণে এই ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই ব্যাংকটির সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি, আর্থিক ভিত মজবুত হচ্ছে, শাখা সম্প্রসারিত হচ্ছে, গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকটি সাধ্যমতো অবদান রাখছে। বর্তমানে এই ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা ৯ লক্ষাধিক। গ্রাহকদের চাহিদা ও তাদের সুবিধার্থে এই সাতমসজিদ রোড শাখাটিকে সু-পরিসর স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টরে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে একটি আস্থার নাম। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান করে আসছে। আধুনিক প্রযুক্তির সকল সুবিধা এই ব্যাংকে রয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে আসছেন। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক সে লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই, আমাদের তারল্য অনেক উদ্বৃত্ত রয়েছে। উন্নয়নমূলক ও সম্ভাবনাময় খাতে আমরা অধিক বিনিয়োগে আগ্রহী।’ বিজ্ঞপ্তি
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে সোনালী ব্যাংকের উদ্যোগে অংশীজনের অংশগ্রহণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টার) সভা ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রিন্সিপাল অফিস, ঢাকা ওয়েস্ট, ঢাকার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভা ও গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন প্রিন্সিপাল অফিস, ঢাকা ওয়েস্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুল কুদ্দুস, জেনারেল ম্যানেজার ও শুদ্ধাচার ফোকাল পয়েন্ট মো. সাফায়েত হোসেন পাটওয়ারী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও বিকল্প শুদ্ধাচার ফোকাল পয়েন্ট বীথি আক্তার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি