কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা গতকাল বুধবার ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সভায় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এইচপিভি টিকা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিডিডিআর,বি -কে সহায়তা দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
‘নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ শীর্ষক বিশেষ উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশের নারীদের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএফপিবি) মোট ১৮৮ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিশোরী মেয়েদের জন্য চলমান কর্মসূচির বাইরে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবী নারীদের টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করবে।
আইসিডিডিআর,বি এর সহকারী বিজ্ঞানী ডা. রিজওয়ানা খানের নের্তৃত্বে সাত ধাপে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এতে নৈতিক অনুমোদন, প্রাথমিক জরিপ, সচেতনতা কর্মসূচি, টিকা প্রদান, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি নারীদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ও সামগ্রিক সুস্থতা সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
এ উপলক্ষে আইসিডিডিআর,বি -তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতীকী চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং আইসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম, বিপিএম বলেন: “আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা দেশের জন্য নিরলস কাজ করছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। আইসিডিডিআর,বি -এর সঙ্গে এই উদ্যোগ সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উদ্যোগে আইসিডিডিআর,বি -এর পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি কেবল শুরু; সামনের দিনে আমরা আরও অর্থবহ উদ্যোগে সহযোগিতা করে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই।”
ডা. তাহমিদ আহমেদ ব্যাংকটির অবদানের প্রশংসা করে বলেন, “কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা জাতীয় নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এতে করে বাংলাদেশে আরও অনেক নারী সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাবেন।”
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং মেডবক্স সল্যুশন লিমিটেড এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের ফার্মেসিগুলোকে সহজে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পাওয়ার সুযোগ দিতে এমবেডেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
এক্সক্লুসিভ ফাইন্যান্সিং পার্টনার হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক দ্রুত ও তথ্য-ভিত্তিক ঋণ সুবিধা প্রদান করবে মেডবক্সের বিটুবি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের। ফলে প্রথাগত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা পাবে ফার্মেসিগুলো।
চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই অংশীদারিত্ব আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছি; যেখানে ফার্মেসিগুলো নির্ভরযোগ্য অর্থায়নের মাধ্যমে টেকসই সমাধান পাবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান। অন্যদিকে মেডবক্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কাজী আশিকুর রাসেল, আহমেদ আরফিন রাফি, মো. আমিনুর রশিদ, মো. নাজমুল আহসান এবং এইচ.এম আসিফ ইমতিয়াজ আলম।
আয়োজকেরা জানান, প্রথমে পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে উদ্যোগটি শুরু হবে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে এই অংশীদারিত্ব।
বৃহত্তর নতুন পরিসরে গ্রাহকদের সবচেয়ে আধুনিক এবং সর্বোত্তম সেবা প্রদানে সম্প্রতি দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান, মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানান্তরিত শাখার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও); সৈয়দ সাফকাত রাব্বি, ইভিপি ও প্রধান, জেনেরাল সার্ভিসেস ডিভিশন (জিএসডি) এবং মো. তারেক উদ্দিন, ইভিপি ও প্রধান, ব্র্যান্ড মার্কেটিং ও কমিউনিকেশনস ডিভিশন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. হামিদুল্লাহ, অধ্যাপক, ডি. এন. কলেজ, নওয়াবগঞ্জ, ঢাকা; মানবেন্দ্র দত্ত, সাবেক অধ্যক্ষ, সরকারি দোহার-নওয়াবগঞ্জ কলেজ; মো. আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট এবং মায়ারানি বাউল, এআইপি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষাণী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা, শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখায় (হক প্লাজা, কলেজ রোড, নবাবগঞ্জ বাজার, নবাবগঞ্জ, ঢাকায়) পুরোদমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে।
ফ্যাশন সবসময় পরিবর্তনশীল। সেই পরিবর্তনের সাথেই তাল মিলিয়ে ট্রেন্ডি ও ইউনিক কালেকশন নিয়ে আসে ‘ভারগো’। প্রতি সিজনেই ভারগো তার সেরা স্টাইল তুলে ধরে, আর এবারের শরৎ ও পূজার আয়োজনও তার ব্যতিক্রম নয়। আরাম ও স্টাইলের নিখুঁত সমন্বয়ে তৈরি এই কালেকশন আপনাকে করবে মুগ্ধ। উৎসবমুখর ও আভিজাত্যপূর্ণ স্টাইল সবসময়ই Virgo–র বিশেষত্ব। বিশেষ করে পূজা ও শরতের জন্য আনা কালেকশনগুলোতে পাওয়া যায় নরম, ঝলমলে ফ্যাব্রিক, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি স্ক্রিন প্রিন্ট , ডিজিটাল প্রিন্ট, সাবলিশন প্রিন্ট আর আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়। প্রতিটি পোশাক যেন একেকটি উৎসবের অনুপ্রেরণা। ২০২৫ সালের ফলের কালার প্যালেটেও আছে নানা চমক। যেমন—
পুরুষদের জন্য পূজার ও শরতের আভিজাত্য
শরতের মৌসুমে স্টাইল আর আভিজাত্যের নিখুঁত সমন্বয় নিয়ে এসেছে আমাদের বিশেষ পুরুষদের কালেকশন। এখানে আছে এমন সব পোশাক, যা একদিকে আরামদায়ক আবার অন্যদিকে আপনার লুককে দেবে এক্সক্লুসিভ স্টেটমেন্ট।
স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট
উৎসবের দিনে পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে অফিস বা আড্ডার জন্য ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট—সবই থাকছে নতুনত্বে ভরপুর ডিজাইনে।
প্রিমিয়াম ফেব্রিক কালেকশন
স্প্যানডেক্স, ব্যাম্বু কটন ও জ্যাকার্ড কাপড়ে তৈরি প্রতিটি পোশাক শুধু আরামদায়কই নয়, বরং স্টাইলেও আনে পরিপূর্ণতা। এছাড়া ইউনিক ফ্যাব্রিক কালেকশন যেটা শুধু ভারগোতেই পাওয়া যায়।
ট্রেন্ডি ডিজাইন
ফ্যাশনে যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য—স্ট্রাইপ, চেক থেকে শুরু করে ফ্লোরাল শার্ট, যা আপনাকে দেবে আধুনিক ও ট্রেন্ডি লুক।
আরাম ও স্টাইল একসঙ্গে
ডে-টু-ডে স্টাইলের জন্য থাকছে সুইফট শার্ট, রিল্যাক্স প্যান্ট, টুইল প্যান্ট ও হাই-কোয়ালিটি ডেনিম। প্রতিটি পোশাক তৈরি হয়েছে এমনভাবে, যাতে আরাম ও আভিজাত্য একসঙ্গে উপভোগ করতে পারেন।
মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান এনআরবিসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিনি দেশের ব্যাংকিংখাতে ডিজিটাল পণ্যের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত সুশাসন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমপ্লায়েন্স পরিপালন মডেল তৈরি, গ্রাহককেন্দ্রিক বিজনেস মডেল তৈরি, সেবার ডিজিটাল রুপান্তর, ডিজিটাল সেলস ও সার্ভিস নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দেন।
এনআরবিসি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি কমিউনিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন নেটওয়ার্ক এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার হিসেবে ২০০৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। কাইয়ুম খান ব্যাংক এশিয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে আইটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এক্সিম ব্যাংকেও কাজ করেন।
নটরডেমিয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ থেকে এমবিএ অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে সেমিনার অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য তিনি আমেরিকা, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করেন।
হামদর্দ পাবলিক কলেজের ২০২৫-২৬ সেশনের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর বাংলামোটরে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ ওয়াক্ফ বাংলাদেশ এর চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ; হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হামদর্দ পাবলিক কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা ড.হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। এ সময় ড.হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, সৎ ও যোগ্য মানুষ গড়ে তুলতে হামদর্দ পাবলিক কলেজ নিরন্তর চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টায় বিপুল সফলতাও আমরা পেয়েছি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হামদর্দ পাবলিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র পরিচালক সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং হামদর্দ পাবলিক কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাকীম কামরুন নাহার পলিন।
সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন শিল্পী মাহতিম সাকিব, হামদর্দ এর পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তরুণ সমাজকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাক্ষরতা ও সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করেছে, যা দেশের তরুণ সমাজের মাঝে দায়িত্বশীল আর্থিক অভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ইন্টারেক্টিভ সেশন পরিচালনা করেন। এগুলোর মধ্যে ছিল সঞ্চয়ের গুরুত্ব, বিনিয়োগের সুবিধা, ব্যাংকিং সেবার যথাযথ ব্যবহার এবং সামগ্রিক আর্থিক দায়িত্বশীলতা। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো, যুবসমাজকে প্রয়োজনীয় জ্ঞানদানের মাধ্যমে তাঁদের সক্ষম করে তোলা, যাতে তাঁরা তথ্যভিত্তিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারার পাশাপাশি নিজের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। এতে দেশের অর্থনীতিও হবে শক্তিশালী।
এই উদ্যোগ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আর্থিক সাক্ষরতা হলো একজন তরুণের মাঝে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতার একটি। জীবনের শুরু থেকেই এই বিষয়টির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আগামী প্রজন্মকে আর্থিকভাবে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ ব্যাংককে, যারা এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র ব্যক্তিক উন্নয়নই নিশ্চিত হয়নি, বরং বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি টেকসইতাও নিশ্চিত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর ভিশনকে ধারণ করে ব্র্যাক ব্যাংক যুবসমাজকে আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের নানান বিষয় নিয়ে সচেতন করার মাধ্যমে তাঁদের মাঝে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শারদীয় দুর্গোৎসব সামনে রেখে বাটা বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে ‘পূজা কালেকশন ২০২৫।’ আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যবাহী নকশার সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ এই পূজা কালেকশনটি এখন থেকে দেশের সব বাটা আউটলেট এবং অনলাইনে ব্র্যান্ডটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট-এ পাওয়া যাচ্ছে।
এবার পূজা কালেকশনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল তাদের ‘বাটা কমফিট।’ দুর্গাপূজার মতো বড় উৎসবের দিনে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকতে এই জুতাগুলো সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও, এ কালেকশনে নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য নানা ধরনের জুতার সমাহার রয়েছে; যাতে সকলেই পূজায় পরার জন্য সঠিক জুতাটি খুঁজে পান। এছাড়াও এবার পূজায় থাকবে বাটার প্রিমিয়াম কালেকশন’। নতুন এ কালেকশনের মূল্য শুরু হয়েছে ১,৪৯৯ টাকা থেকে।
এছাড়াও, ক্রেতাদের কেনাকাটাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে বাটা দেশের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। এসব ব্যাংকের কার্ড যাদের থাকবে তারা ক্যাশব্যাকের বিশেষ অফার উপভোগ করতে পারবেন। শোরুমে গিয়ে কেনাকাটা কিংবা অনলাইনে অর্ডার করা; উভয় ক্ষেত্রেই ক্রেতারা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
দুর্গাপূজা সামনে রেখে দেশের শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর একটি টুয়েলভ (Twelve) উন্মোচন করেছে তাদের সমৃদ্ধ Puja Collection 2025। এ বছর শুধু পোশাকের নকশা ও বৈচিত্র্যেই নয়, প্রচারণাতেও এসেছে অভিনবত্ব। টুয়েলভ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করেছে AI-জেনারেটেড অনলাইন ভিডিও কমার্শিয়াল (AI OVC), যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এই বিজ্ঞাপন কন্টেন্ট ফ্যাশনপ্রেমী গ্রাহকদের সামনে কালেকশনের সারমর্ম তুলে ধরছে একেবারেই নতুনভাবে। ফলে টুয়েলভ কেবল একটি পোশাক ব্র্যান্ড নয়, বরং ফ্যাশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পথিকৃৎ হিসেবেও নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে।
ট্রেন্ড আর ট্র্যাডিশনের মিলন
টুয়েলভের পূজা কালেকশনে এ বছর সমন্বিত হয়েছে সমকালীন ট্রেন্ড ও বাঙালির শিকড়-গাঁথা ঐতিহ্য। নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সব বয়সী ও রুচির গ্রাহকদের জন্য আলাদা আলাদা রেঞ্জ থাকলেও আরাম, নিখুঁত ফিট ও ডিজাইনের নিখাদ শৈল্পিকতার আলোকে এগুলোকে এক সুতোয় গেঁথেছে টুয়েলভ।
পোশাকগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে কটন, মিক্সড কটন, ব্লেন্ডেড সিল্ক, জর্জেটসহ আরামদায়ক নানা ফ্যাব্রিক। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি, সিকুইন ও কারচুপির মতো বড়সর ডিজাইনের কাজ এনে দিয়েছে বাড়তি আভিজাত্য।
নারী-পুরুষ-শিশুর জন্য বৈচিত্র্যময় আয়োজন
কালেকশনের নারীদের ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৩ পিস, ২ পিস, গাউন, কুর্তি, টপ, শারারা বটম ও ওড়না। প্রতিটি পোশাকেই সমসাময়িক কাট ও ফিটের পাশাপাশি রয়েছে উৎসবের আবহ।
পুরুষদের জন্য এসেছে বেসিক ও এমব্রয়ডারি পাঞ্জাবির পাশাপাশি রেডিমেড ধুতি, যা বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার প্রত্যাশা করছে ব্র্যান্ডটি। কারণ ঐতিহ্যবাহী ধুতি পরতে ঝামেলার কারণে অনেকেই তা এড়িয়ে যান; এবার টুয়েলভের রেডিমেড ধুতি উৎসবে এনে দেবে সহজ সমাধান।
শিশুদের জন্য রয়েছে বয়েজ পাঞ্জাবি এবং গার্লস ২ পিস ও ফ্রক। একই ডিজাইন ও রংয়ের মিল রাখা হয়েছে শিশুদের পোশাকে, যাতে পরিবারসহ সহজেই তৈরি হয় কমপ্লিমেন্টারি লুক।
ফ্যামিলি কম্বো: একসঙ্গে উৎসবের রঙ
টুয়েলভ বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ফ্যামিলি কম্বো কালেকশন-এ। একই মোটিফ ও রঙে নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য পোশাক রাখা হয়েছে, যা পরিবারকে উৎসবে এনে দেবে ভিন্ন মাত্রার ঐক্য ও আনন্দ। বর্তমান সময়ে গ্রুপ বা পারিবারিক ফ্যাশন ট্রেন্ডকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছে ব্র্যান্ডটি।
প্রযুক্তির সংযোজন: AI OVC
এবারের পূজা কালেকশনের সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় হচ্ছে AI OVC। বাংলাদেশে এটাই প্রথমবার, যখন কোনো ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাদের ক্যাম্পেইনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি ভিডিও কন্টেন্ট ব্যবহার করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই উদ্যোগ বিজ্ঞাপন প্রক্রিয়াকে করেছে দ্রুততর, ব্যয়সাশ্রয়ী ও আরও আকর্ষণীয়।
ভিডিওগুলো টুয়েলভের ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। ফলে অনলাইনে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি যেমন জোরদার হয়েছে, তেমনি গ্রাহকরাও পাচ্ছেন নতুন ধরণের ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।
গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত
দেশব্যাপী সব টুয়েলভ আউটলেটে ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে Puja Collection 2025। গ্রাহকরা নিকটস্থ শোরুমে এসে ট্রাই করে নিতে পারবেন নিজেদের পছন্দের আউটফিট। এছাড়া অনলাইনে পুরো কালেকশন দেখতে পাবেন www.twelvebd.com ওয়েবসাইটে।
শেষকথা
ফ্যাশন জগতে প্রযুক্তির সংযোজনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল টুয়েলভের এবারের পূজা কালেকশন। ট্রেন্ড আর ট্র্যাডিশনের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ পোশাক লাইনআপের সঙ্গে AI-ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং নিঃসন্দেহে দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রার উদ্ভাবন। এবারের পূজা তাই শুধু রঙিন পোশাকেই নয়, ফ্যাশনের প্রযুক্তি-নবায়নেও হয়ে উঠছে বিশেষ সৌন্দর্যের অধিকারী।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৫৬তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব শেখ জাহিদুল ইসলাম, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইকবাল এবং জনাব মিজানুর রহমান কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধিকল্পে ইস্যুভিত্তিক বিশদ পর্যালোচনান্তে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য দেশে থাকা প্রিয়জনের কাছে রেমিটেন্স পাঠানো আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ করলো কাতারের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গালফ এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাতারে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা সরাসরি দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ ওয়ালেটে রেমিটেন্স পাঠাতে পারবেন। ফলে, পরিবারের প্রয়োজনে যেকোনো সময়ই তাৎক্ষণিক টাকা পাঠাতে পারবেন তাঁরা। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিষ্পত্তি হয়ে বিকাশ-এর নিরাপদ ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি প্রিয়জনের হাতে পৌঁছে যাবে মুহূর্তেই। ভালো বিনিময় হার, দ্রুত টাকা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা এবং সহজে ব্যবহারের সুবিধা থাকায় এটি প্রবাসী ও তাদের প্রিয়জন – উভয়ের জন্যই নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হবে।
সম্প্রতি, কাতারের রাজধানী দোহায় গালফ এক্সচেঞ্জ-এর প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় গালফ এক্সচেঞ্জ এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমাদ আলী আল-সারাফ, বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আহমাদ আলী আল-সারাফ বলেন, “বিকাশ-এর মতো বিশ্বস্ত ও বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়ে আমরা আমাদের বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য দেশে টাকা পাঠানোর আরও দ্রুত, নিরাপদ ও সুবিধাজনক উপায় এনেছি। এর মাধ্যমে উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক আর্থিক সেবা দেয়ার আমাদের প্রতিশ্রুতি আরও শক্তিশালী হলো।”
বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “গালফ এক্সচেঞ্জ-এর সঙ্গে এই পার্টনারশিপ বিশ্বব্যাপী আমাদের রেমিট্যান্স নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা চাই, বিদেশে থাকা লাখো বাংলাদেশি যেন আরও সহজে আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এই নতুন রেমিটেন্স চ্যানেলের ফলে তাদের পাঠানো টাকা মুহূর্তেই পৌঁছে যাবে পরিবারের কাছে, যা শুধু তাদের পরিবারকে সাহায্যই করবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
সিলেটের হাওর অঞ্চল সুনামগঞ্জে পাঁচ’শ পরিবারের দারিদ্র্য বিমোচন সহায়তায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দারিদ্র্য মোকাবিলায় পরিবারগুলোকে আয় বাড়ানোর কাজে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা হবে।
এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া পরিবারগুলোকে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন, সেলাই, মাছ চাষ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, নৌকা ও জাল দিয়ে মাছ ধরা এবং বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষের মত কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যেন তারা নিজেরাই এ থেকে আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারে।
এ উদ্যোগ সম্পর্কে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “দারিদ্র পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগে পাঁচ শ’ পরিবারের জীবনে পরিবর্তন আনার এই উদ্যোগ, আমাদের সে লক্ষ্য পূরণে বড় একটি সুযোগ ও শক্তিশালী যৌথ প্রয়াসের প্রতিফলন।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, “মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের তহবিলের মাধ্যমে আমরা এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছি, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে। এই প্রকল্প শুধু পাঁচ’শ পরিবারের ক্ষমতায়নেই সহায়তা করবে না, একইসাথে জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।”
বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক সক্ষমতা ও পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এ ফাউন্ডেশন দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরিতে অবদান রাখছে।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট রিয়েলস্টেট প্রতিষ্ঠান এবিবিসি রিয়ের এস্টেট লিমিটেড-এর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রিমিয়াম আবাসন সল্যুশন উপভোগ করতে পারবেন। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা আবাসন চাহিদা মেটাতে এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড থেকে আকর্ষণীয় সুবিধা ও কাস্টমাইজড অফার উপভোগ করবেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টর সৌগত ঘোষ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস এবং রিটেইল অ্যাসেট জোয়াদ্দার তানভীর ফায়সাল এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার, সেলস মোহাম্মদ জাকির হোসেন।