চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এ বাজেট সহায়তার ঋণচুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমান্বয়ে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তহবিল বাড়াতে সহায়তা করবে এডিবির বাজেট সহায়তা।
দাতা সংস্থা ও দেশগুলো সাধারণত উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে অর্থ দেয়। এ ধরনের অর্থসহায়তা পেতে নির্দিষ্ট একটি প্রকল্প তৈরি করতে হয়। এরপর ওই প্রকল্প ধরে দাতাদের সঙ্গে দর-কষাকষি চলে। কিন্তু বাজেট সহায়তার অর্থ দিয়ে সরকার নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। বাজেট সহায়তার অর্থ সরকার যেকোনো খাতে খরচ করতে পারে। তাই অর্থনীতির চাপ সামলাতে বাজেট সহায়তার অর্থ নেয়া সরকারের জন্য বেশি সুবিধাজনক। তবে এ জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
এডিবির সঙ্গে এখন বাজেট সহায়তার যে দর-কষাকষি হয়েছে, তাতে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন, জ্বালানির দাম নির্ধারণ, ভর্তুকিসহ বিভিন্ন খাতে নীতি সংস্কার আনতে হবে। এসব শর্ত কতটা বাস্তবায়িত হলো, তা নিয়মিত নজরে রাখবে এডিবি। বাজেট সহায়তার জন্য কোনো খাত দেখাতে না হলেও এডিবিকে বাজেট সহায়তার অর্থের খরচের খাত জানাতে হয়। এবার যে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দেয়া হচ্ছে, তা সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে খরচ করতে চায় বলে জানা গেছে।
এর আগে এডিবির নেতৃত্বে কো-ফান্ডিং উদ্যোগের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পেয়েছে। এই বাজেট সহায়তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাবে। দুই ধাপে এই তহবিল বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে এপ্রিলে ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে দেশে। আগামী জুনে আরও প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আসার কথা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সরকারকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছে এডিবি। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানি, পানিসম্পদ, কৃষি, স্থানীয় সরকার, সুশাসন, আর্থিক ও বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেয়।
এখন পর্যন্ত দেশে ৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে দেশে চলে এসেছে আট হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
কৃষি মন্ত্রণালয় গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত চার লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। বুধবার আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রথম দিন গত সোমবার দুই লাখ ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।
গত রোববার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘোষণা দেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের এবং শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সকল ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
সোনার ভরি ফের প্রায় লাখ টাকায় উঠেছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি সোনা ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকায় বিক্রি হবে। ১০ দিনের ব্যবধানে ভরিতে এই মানের সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা সোনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর। এর আগে ১৮ মার্চ মূল্যবান এই ধাতুর দাম টানা বাড়তে বাড়তে প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায় উঠেছিল। পরে অবশ্য তা কমে ৯৮ হাজার থেকে ৯৭ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
অন্যান্য মানের সোনার দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। বুধবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া লিটন এই দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বলেছেন, বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাজুস। সর্বশেষ ২৮ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমানো হয়েছিল।
চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৬ ইসলামী ধারার ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ বা ঋণাত্মক অবস্থানে নেমেছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
নিয়ম অনুযায়ী সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (এসএলআর) এবং নগদ রিজার্ভ অনুপাত (সিআরআর) বজায় রাখার পর অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য এসএলআর খাতে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সিআরআর খাতে ৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দৈনিক বাংলাকে বলেন, এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার অর্থ ব্যাংকগুলো বেশি পরিমাণে ঋণ বিতরণ করেছে। কারণ ইসলামী ধারার ব্যাংক যদি ১০০ টাকা আমানত পায়, তাহলে ৯২ টাকা ঋণ বিতরণ করতে পারবে। বাকি টাকা সিআরআর ও এসএলআর খাতে দিতে হয়। তবে ৯২ টাকার মধ্যে পুরো অর্থ ঋণ হিসাবে বিতরণ করে না। ধরা যাক, ৮২ টাকা ঋণ হিসাবে বিতরণ করল, তাহলে অতিরিক্ত তারল্য ১০ টাকা। তবে এ ছয় ব্যাংক নেগেটিভ অর্থাৎ সীমা অতিক্রম করে ঋণ বিতরণ করেছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১৪ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৯৯৩ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৪৫২ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৪৫৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য ঋণাত্মক হয়েছে । অর্থাৎ নির্ধারিত সীমার বাইরে ঋণ বিতরণ করায় এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়েছে।
ডিসেম্বর প্রান্তিকে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য পজিটিভ বা ইতিবাচক ছিল। সে সময় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১ হাজার ৩০২ কোটি, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ২৭ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৮০৯ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামীর ৩৭৬ কোটি, ইউনিয়নের ৫০৯ কোটি এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৮ কোটি টাকা পজিটিভ অতিরিক্ত তারল্য ছিল।
এ বিষয়ে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ছিল এসব ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করা। কারণ এ ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। কারণ এগুলো জনগণের আমানতের অর্থ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনগণের স্বার্থ দেখে না, নির্দিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থ বিবেচনা করে।’
১৩টি ইসলামী ধারার ব্যাংকে ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ২২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। আর মার্চ প্রান্তিকে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য কমেছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো নিয়মকানুনের ঊর্ধ্বে গিয়ে ঋণ বিতরণ করছে। এতে জনগণের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার অর্থ নিয়ম ভঙ্গ করে ঋণ বিতরণ করেছে। ফলে ব্যাংকগুলো এসএলআর ও সিআরআর খাতেও টাকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত এসব ব্যাংকের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।’
শুধু ছাপা টাকা ব্যবহারের বদলে ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিবছর অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। সংসদ সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস ক্যাশলেস ডিজিটাল ট্রানজেকশন সিস্টেম’ শিরোনামের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদের শপথগ্রহণ কক্ষে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে গত সোমবার বিনিয়োগকারীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কিসমাতুল আহসান ও আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ আহমেদুর রহমান ও আইএসটিসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান প্রমুখ।
সোনালী ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে অভিযোগ প্রতিকারব্যবস্থা ও জিআরএস সফটওয়্যারবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম। সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. জাহিদ হোসেন।
সম্প্রতি মধুমতি ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত সিঙ্গাইর উপজেলা মানিকগঞ্জে ব্যাংকের অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কার্যক্রম ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিউল আজম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কৃষক, এজেন্ট, উদ্যোক্তা এবং এলাকার সাধারণ জনগণ।
এবি ব্যাংক গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৫০০-এর অধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে এ ঋণ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কোটালীপাড়ার কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২১তম সভা গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত হয়। গুলশান এভিনিউতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। সভায় অংশ নেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম ও ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মেদ আলমগীরসহ অন্য পরিচালকরা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক মোর্শেদ প্রমুখ।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের বাংলাবাজার এসএমই শাখা ১০ নর্থ ব্রুক হল রোড (দোতলা), বাংলাবাজার, ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসসিসির ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন, ভবন মালিক সানোয়ার আলী সিকদার ও পদ্মা গ্রুপের পরিচালক ফিদা হোসেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড পিআর তারেক উদ্দিনসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে ইস্টার্ন ব্যাংক লি. (ইবিএল) গতকাল তাদের প্রধান কার্যালয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তন: অভিযোজন ও প্রশমনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে মূল বক্তা ছিলেন পিকেএসএফের ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।
আরও বক্তব্য দেন ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী, বিআইবিএমের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীব, ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান কে এম রেজাউল হাসনাত ও ইবিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লি. (বিসিবিএল)-এর প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকের প্যানেলভুক্ত আইনজীবীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আব্দুল কাদের। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা।
ড. আব্দুল কাদের তার বক্তব্যে দীর্ঘদিনের বিপুল অঙ্কের অনাদায়ি খেলাপি ঋণ আদায়ে দায়েরকৃত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে আইনজীবীদের অপরিসীম ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এ লক্ষ্যে তিনি আইনজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বার্ষিক পারফরমেন্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে তাদের অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ঘোষণাও দেন।
আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ না করতেই ঝাঁজ কমছে এই কৃষিপণ্যের। চলতি সপ্তাহে ৯০ টাকা দামে বিক্রি হওয়া এই পণ্য রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়তে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। আর চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।
দাম কমার এ প্রভাব পাড়া-মহল্লায় এখনো পড়তে শুরু করেনি। মহল্লার খুচরা বাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। তবে খুব শিগগির ৫০ টাকায় নেমে আসবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
আমদানির ঘোষণা দেয়ার পরপরই হঠাৎ দাম পড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক ব্যাখা দিতে পারছেন না আড়তদাররা। তাদের দাবি, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশের ফলে দাম পড়ে গেছে। এত দামের পেছনে মজুতদাররা জড়িত তা মানতে নারাজ পেঁয়াজের আড়তদাররা। তাদের দাবি, কৃষকরা বেশি দাম পাওয়ার জন্য মাল বিক্রি করত না। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশে চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে ৫০ টাকার কমে চলে আসবে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকেছে। ভারত থেকে আনা পেঁয়াজের দাম কেজিতে পড়ছে ১৪ থেকে ১৭ টাকা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। গত মাসে হঠাৎ দাম বাড়তে শুরু করে। তারপর সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা কেজি প্রতি বাড়তে থাকে। পাশাপাশি এ মাসেই কোথাও কোথাও সেঞ্চুরি অর্থাৎ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মসলা জাতীয় এ পণ্য।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার কথা। গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার আগেই চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ভোগ্য পণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এক রাতে ৩০ টাকা কমে গিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে পণ্যটি বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সাতক্ষীরায় বর্তমানে খুচরা বাজারে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে আজ বুধবার থেকেই ৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হবে বলে আশা পাইকারী ব্যবসায়ীদের।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে কদিন আগে ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। দিনাজপুরে ৮০ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৩৭ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে ঢাকার শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। খুচরা দোকানে এই রেশ পড়ে নাই। তাই নগরীর খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা নওয়াব আলী দৈনিক বাংলাকে জানান, প্রতি পাল্লা অর্থাৎ পাঁচ কেজি পেঁয়াজ চার শ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘মাঝখানে কেজি এক শ বেচছি এক শ টাকা। বিশ টাকা কমছে। তবে ওহন ক্রেতাও কমছে।’
পেঁয়াজের দাম সামনে ৫৫ টাকায় নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. শুভ। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আশা করি দাম আরও কমবে। এহন দেশি বাছাডা ৮০ টাকা কেজি বেচি। পাল্লা ৪০০ টাকা। ছোট-বড় দেশি এই পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি বেচতেছি। পাল্লা ৩৫০ টাকা। দুই-একের ভিতরে আরও দাম কমবো।’
এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এহন কেজিতে কমছে মনে করেন বিশ টাকা। ৬০ থেকে ৫৫ টাকায় আসতে পারে। আগে তো ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ছিল না। তাই দাম বেশি।’
শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সহসভাপতি ও রাজবাড়ী ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. মাজেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শ্যামবাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমে গেছে।’
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সিন্ডিকেট করে মজুতদাররা এই দাম বাড়িয়েছে বলে মনে করেন না এই ব্যবসায়ী। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কৃষকরা দাম ছাড়তে চায় নাই। তারাও দাম বাড়াইয়া দিছিলো। শুধু মজুতদাররা জড়িত না।’
খাতুনগঞ্জে ৫০ টাকায় পেয়াঁজ
আমদানি অনুমতির এক দিন পর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমেছে আরও ৫ থেকে ১০ টাকা। গত মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে পণ্যটি বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আমদানি করা মালবাহী গাড়ি চট্টগ্রামে পৌঁছালেও গতকাল রাত আটটার আগে শহরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি করা কোনো পেঁয়াজ ঢোকেনি চট্টগ্রাম শহরে।
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘আমরা গতকাল ৬০ টাকা বিক্রি করলেও আজ দাম আরেকটু কমেছে। আজকে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতেছি আমরা। এখনো তো আমদানির পেঁয়াজ আসেনি। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দাম কমে গেছে। পুরোপুরি পেঁয়াজ এলে ৪০ টাকারও নিচে নেমে যাবে দাম।’
পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কমার প্রভাব ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।
নগরীর অক্সিজেন এলাকায় ৯০ টাকা দরে পণ্যটি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘আমি আগে কিনেছি পেঁয়াজ, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এমনিতে যারা নতুন আনতেছে, তারা কম নিচ্ছে। আমদানির কারণে দাম কমেছে।’
এদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসার আগেই পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম ৪০ টাকা কমে যাওয়ার ঘটনা বাজার নিয়ন্ত্রণের সিন্ডিকেটের কারসাজিকেই ইঙ্গিত বলে মনে করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন।
তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমদানির পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার আগেই ৪০ টাকা দাম কমে গেছে। এর মানে হলো তারা চাইলে আমদানির ঘোষণার আগেও পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে পারত। এটা স্পষ্টতই সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রমাণ করে। আমরা যতই বলি, বাজার মনিটরিংয়ের কেউ নেই আসলে। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু বসে বসে দেখেন।’
ভোমরা দিয়ে প্রবেশ করেছে ৯২০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রাপ্তির দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি ট্রাকে ৯২০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে সোমবার ১১টি ট্রাকে ৩৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করলেও গতকাল মঙ্গলবার তা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ ট্রাকে দাঁড়াবে।
সাতক্ষীরা বড় বাজার কাঁচা ও পাকামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, আগামীকাল থেকে আমরা ৬০ টাকায় খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারব। আর এলসি ঢুকে গেলে এমনিতে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। দুদিনের ব্যবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা।
সোমবার বিকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেয়াঁজবাহী ট্রাক আসা শুরু হয়। সোমবার ভারত থেকে ৫৬ ট্রাকে ১ হাজার ৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। অন্যদিকে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পযন্ত এ বন্দর দিয়ে ১৩৩ ট্রাকে ২৭৭৭ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহরের পুরাতন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে কদিন আগে ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে।
দিনাজপুরে ৩৭ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ!
দিনাজপুরে ৮০ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৩৭ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) অনুমোদন দিলে প্রথম দিন দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলি দিয়ে গত সোমবার ভারতীয় তিনটি ট্রাকে ৬৩ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে।
এর আগে গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর থেকে টানা ৮২ দিন বন্ধ ছিল ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। এতে ৪০ টাকা থেকে দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে দেশীয় পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে।
মঙ্গলবার বিকেলে হিলি পানামা পোর্ট লিংক ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক। এসব ট্রাকে ভারত থেকে এসেছে আমদানি করা নাসিক, ইন্দ্রোর ও মধ্য প্রদেশের পেঁয়াজ। বন্দর থেকে এসব পেঁয়াজ কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার ও ব্যবসায়ীরা ট্রাকের আশপাশে ভিড় জমিয়ে আছে। আমদানিকারক এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরদাম করতে ব্যস্ত তারা সকলে। পাইকারি বাজারে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কোয়ালিটিভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। যা খুচরা বাজারে ৩৭ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গাজীপুর থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন তৌফিক হাসান নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ করি। টানা প্রায় তিন মাস সময় পেঁয়াজের আমদানি ছিল না। দীর্ঘদিন পর আজ হিলি বন্দরে এসেছি পেঁয়াজ কিনতে। চার ট্রাক পেঁয়াজ কিনব। দরদাম করছি।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক আবুল হাসানাত বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পেঁয়াজ আমদানি না থাকায় পেঁয়াজের দাম স্থবির হয়ে পড়েছিল। যথাসময়ে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাইকার ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো বন্দর।’