দেশের বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে চলছে শেখ হাসিনা আন্তব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের খেলায় শুক্রবার জয় পেয়েছে এক্সিম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া এবি ব্যাংকের সঙ্গে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে পূবালী ব্যাংকের ম্যাচ ড্র হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠ ও মিরপুর পুলিশ লাইনস মাঠে দিনব্যাপী এসব খেলা হয়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। টুর্নামেন্টে দেশের ৩৪টি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৯ জুন বিকেলে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে গ্রুপ পর্বের ১২তম দিনে দুই মাঠে ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুর পুলিশ লাইনস মাঠে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে যমুনা ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে প্রিমিয়ার ব্যাংকের খেলা হয়। অন্যদিকে ইউনাইটেড ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে এবি ব্যাংকের সঙ্গে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে সীমান্ত ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে পূবালী ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংকের সঙ্গে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের খেলা হয়। গ্রুপ পর্বের শেষ দিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে উঠেছে টুর্নামেন্ট। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে মরিয়া প্রতিটি দল।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে ৬ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে যমুনা ব্যাংক। শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে খেলতে থাকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে যমুনা ব্যাংকের রক্ষণভাগ। অন্যদিকে যমুনা ব্যাংক একটি গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি দলটি।
এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ম্যাচেও গোলবন্যা দেখেছেন পুলিশ লাইনস মাঠের দর্শক। ৬-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। যার ফলে গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। তবে তিন ম্যাচের দুটিতে জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে প্রিমিয়ার ব্যাংকও।
সীমান্ত ব্যাংকের সঙ্গে ৬ গোলের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে এক্সিম ব্যাংক। নির্ধারিত ৬০ মিনিটের খেলায় আক্রমণেই উঠতে পারেনি সীমান্ত ব্যাংক। পুরোটা সময় নিজেদের ডি-বক্সে আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল তারা।
উত্তরা ব্যাংকের সঙ্গে ৩ গোলের ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। ম্যাচের ৮ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পায় শাহ্জালাল ব্যাংক। গোল শোধ দিতে দারুণ সব আক্রমণ সাজালেও বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ মিস করে উত্তরা ব্যাংক। অন্যদিকে ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। ম্যাচে জোড়া গোল করেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের খেলোয়াড় কংকর বিশ্বাস।
অন্যদিকে এবি ব্যাংকের সঙ্গে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের খেলায় গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে পূবালী ব্যাংকের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। ম্যাচে প্রথমেই গোলে লিড নেয় ট্রাস্ট ব্যাংক। পূবালী ব্যাংকের খেলোয়াড়রাও গোল শোধ দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। ফলে প্রথমার্ধেই পূবালী ব্যাংক গোল শোধ দিলেও ফের ব্যবধান বাড়ায় ট্রাস্ট ব্যাংক। ফলে ২-১ গোলে বিরতিতে যায় খেলা। বিরতির পর খেলার ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরে পূবালী ব্যাংক। উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। তবে খেলার ৫৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে পূবালী ব্যাংকের দূরপাল্লার শট গোলপোস্ট থেকে ফিরে এলে জয় হাতছাড়া হয়। ফলে শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো ডলারের দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক ডলারের বিপরীতে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। লুটের মালের মতো যেভাবে পারছে, তারা (ব্যাংক) সেভাবে ডলারের দাম নিচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেয়া ডলারের বিনিময় হার কোনো কাজ করছে না।
রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বাজেটোত্তর আলোচনা সভায় বুধবার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং ইআরএফ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আমদানি বিল পরিশোধের সময় এক ডলারের বিপরীতে প্রায় ১১৫ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এখানে যার কাছ থেকে যা ইচ্ছা আদায় করছে তারা।’
জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য এফবিসিসিআই ও এনবিআরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স আছে, কিন্তু তাদের বৈঠক হয় না। তিনি আরও বলেন, পণ্য আমদানিতে এইচ এস কোডের ভুলের জন্য ২০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়, তার ২০ শতাংশ পান কর কর্মকর্তা। বাজেটে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে, তা কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকলে ভালো হতো।
এ ছাড়া এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে এনবিআরকেও ডিজিটাল করতে হবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়কর ও ভ্যাট আদায় করতে হবে। উভয়পক্ষের মধ্যে যত কম দেখা হবে, ততই দুর্নীতি কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসসংকট নিয়ে কথা বলেন মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘১৬ টাকার গ্যাস ২৫ টাকা করার প্রস্তাব আমরাই দিয়েছিলাম। আমাদের শর্ত ছিল, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দিতে হবে। ১৬ টাকার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা করা হলো, কিন্তু এখন আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছি না।’
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে অন্ধকার বেশি ব্যয়বহুল। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালাচ্ছি, প্রতি কিলোওয়াটের দাম পড়ছে ২৫ টাকা। অর্থনীতি টেকসই ও সেই সঙ্গে শিল্পোৎপাদন ধরে রাখতে হলে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে।’
এ ছাড়া ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার পক্ষপাতী নন মো. জসিম উদ্দিন। তিনি মনে করেন, এতে পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রতি টিআইএনের বিপরীতে প্রস্তাবিত ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর আদায়ের ঘোষণা থেকে সরে আসার কথা বিবেচনা করছে সরকার।
র্যাপিডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক সভায় বাজেট বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। আরও বক্তব্য দেন দৈনিক প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন মাসুম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ প্রমুখ। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
এখন পর্যন্ত দেশে ৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে দেশে চলে এসেছে আট হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
কৃষি মন্ত্রণালয় গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত চার লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। বুধবার আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রথম দিন গত সোমবার দুই লাখ ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।
গত রোববার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘোষণা দেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের এবং শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সকল ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
সোনার ভরি ফের প্রায় লাখ টাকায় উঠেছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি সোনা ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকায় বিক্রি হবে। ১০ দিনের ব্যবধানে ভরিতে এই মানের সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা সোনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর। এর আগে ১৮ মার্চ মূল্যবান এই ধাতুর দাম টানা বাড়তে বাড়তে প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায় উঠেছিল। পরে অবশ্য তা কমে ৯৮ হাজার থেকে ৯৭ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
অন্যান্য মানের সোনার দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। বুধবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া লিটন এই দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বলেছেন, বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাজুস। সর্বশেষ ২৮ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমানো হয়েছিল।
চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৬ ইসলামী ধারার ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ বা ঋণাত্মক অবস্থানে নেমেছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
নিয়ম অনুযায়ী সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (এসএলআর) এবং নগদ রিজার্ভ অনুপাত (সিআরআর) বজায় রাখার পর অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য এসএলআর খাতে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সিআরআর খাতে ৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দৈনিক বাংলাকে বলেন, এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার অর্থ ব্যাংকগুলো বেশি পরিমাণে ঋণ বিতরণ করেছে। কারণ ইসলামী ধারার ব্যাংক যদি ১০০ টাকা আমানত পায়, তাহলে ৯২ টাকা ঋণ বিতরণ করতে পারবে। বাকি টাকা সিআরআর ও এসএলআর খাতে দিতে হয়। তবে ৯২ টাকার মধ্যে পুরো অর্থ ঋণ হিসাবে বিতরণ করে না। ধরা যাক, ৮২ টাকা ঋণ হিসাবে বিতরণ করল, তাহলে অতিরিক্ত তারল্য ১০ টাকা। তবে এ ছয় ব্যাংক নেগেটিভ অর্থাৎ সীমা অতিক্রম করে ঋণ বিতরণ করেছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১৪ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৯৯৩ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৪৫২ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৪৫৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য ঋণাত্মক হয়েছে । অর্থাৎ নির্ধারিত সীমার বাইরে ঋণ বিতরণ করায় এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়েছে।
ডিসেম্বর প্রান্তিকে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য পজিটিভ বা ইতিবাচক ছিল। সে সময় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১ হাজার ৩০২ কোটি, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ২৭ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৮০৯ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামীর ৩৭৬ কোটি, ইউনিয়নের ৫০৯ কোটি এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৮ কোটি টাকা পজিটিভ অতিরিক্ত তারল্য ছিল।
এ বিষয়ে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ছিল এসব ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করা। কারণ এ ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। কারণ এগুলো জনগণের আমানতের অর্থ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনগণের স্বার্থ দেখে না, নির্দিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থ বিবেচনা করে।’
১৩টি ইসলামী ধারার ব্যাংকে ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ২২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। আর মার্চ প্রান্তিকে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য কমেছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো নিয়মকানুনের ঊর্ধ্বে গিয়ে ঋণ বিতরণ করছে। এতে জনগণের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার অর্থ নিয়ম ভঙ্গ করে ঋণ বিতরণ করেছে। ফলে ব্যাংকগুলো এসএলআর ও সিআরআর খাতেও টাকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত এসব ব্যাংকের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।’
শুধু ছাপা টাকা ব্যবহারের বদলে ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিবছর অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। সংসদ সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস ক্যাশলেস ডিজিটাল ট্রানজেকশন সিস্টেম’ শিরোনামের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদের শপথগ্রহণ কক্ষে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে গত সোমবার বিনিয়োগকারীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কিসমাতুল আহসান ও আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ আহমেদুর রহমান ও আইএসটিসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান প্রমুখ।
সোনালী ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে অভিযোগ প্রতিকারব্যবস্থা ও জিআরএস সফটওয়্যারবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম। সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. জাহিদ হোসেন।
সম্প্রতি মধুমতি ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত সিঙ্গাইর উপজেলা মানিকগঞ্জে ব্যাংকের অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কার্যক্রম ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিউল আজম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কৃষক, এজেন্ট, উদ্যোক্তা এবং এলাকার সাধারণ জনগণ।
এবি ব্যাংক গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৫০০-এর অধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে এ ঋণ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কোটালীপাড়ার কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২১তম সভা গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত হয়। গুলশান এভিনিউতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। সভায় অংশ নেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম ও ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মেদ আলমগীরসহ অন্য পরিচালকরা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক মোর্শেদ প্রমুখ।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের বাংলাবাজার এসএমই শাখা ১০ নর্থ ব্রুক হল রোড (দোতলা), বাংলাবাজার, ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসসিসির ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন, ভবন মালিক সানোয়ার আলী সিকদার ও পদ্মা গ্রুপের পরিচালক ফিদা হোসেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড পিআর তারেক উদ্দিনসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে ইস্টার্ন ব্যাংক লি. (ইবিএল) গতকাল তাদের প্রধান কার্যালয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তন: অভিযোজন ও প্রশমনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে মূল বক্তা ছিলেন পিকেএসএফের ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।
আরও বক্তব্য দেন ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী, বিআইবিএমের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীব, ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান কে এম রেজাউল হাসনাত ও ইবিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লি. (বিসিবিএল)-এর প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকের প্যানেলভুক্ত আইনজীবীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আব্দুল কাদের। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা।
ড. আব্দুল কাদের তার বক্তব্যে দীর্ঘদিনের বিপুল অঙ্কের অনাদায়ি খেলাপি ঋণ আদায়ে দায়েরকৃত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে আইনজীবীদের অপরিসীম ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এ লক্ষ্যে তিনি আইনজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বার্ষিক পারফরমেন্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে তাদের অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ঘোষণাও দেন।