১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১৬১ টাকা কমেছে। ফলে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৪ টাকা। এর আগে গত মে মাসে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের দাম ছিল ১ হাজার ২৩৫ টাকা, আর এপ্রিলে ছিল ১ হাজার ১৭৮ টাকা। এখন প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ঠিক করা হয়েছে ৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা।
কমেছে যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসেরও দাম। এখন থেকে প্রতি লিটার অটোগ্যাস বিক্রি হবে ৫০ টাকা ৯ পয়সা করে। গত মে মাসে এই দাম ছিল ৫৭ টাকা ৫২ পয়সা। নতুন দর আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হল রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করেন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।
বাড়ছে সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামালের দাম
এদিকে এলপি গ্যাসের দাম কমলেও এর সিলিন্ডারের কাঁচামালের ওপর আমদানিকর নতুন করে যুক্ত করায় বাড়বে সিলিন্ডারের দাম। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্ততায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এলপিজি সিলিন্ডারের ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দাম নির্ধারণ করতো এই পণ্যের উৎপাদক ও বাজারজাত কোম্পানিগুলো। উচ্চ আদালতের নির্দেশে এরপর থেকে বিইআরসি এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা করছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা করে। এটাকে সৌদি সিপি বলা হয়। এই সৌদি সিপি অনুযায়ী দেশেও প্রতি মাসের গোড়ার দিকে এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা করে বিইআরসি।
আইন অনুযায়ী বিইআরসির বেঁধে দেয়া দামে এলপি গ্যাস বিক্রি করবে কোম্পানিগুলো। এর বেশি দামে বিক্রি করলে জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, বিইআরসির বেঁধে দেয়া দামে দেশে এলপি গ্যাস বিক্রি হয় না। সিলিন্ডার প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম দিতে হয় গ্রাহককে।
বিইআরসির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) প্ল্যাটফর্মে রেনাটা পিএলসি কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রেফারেন্স শেয়ারের আনুষ্ঠানিক লেনদেন শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রথমবারের মতো এই প্রেফারেন্স শেয়ারের লেনদেন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম এবং রেনাটা পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ এস কায়সার কবির।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমি, নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেনাটা পিএলসির মধ্যে তালিকাভুক্তিকরণ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস এবং রেনাটা পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ এস কায়সার কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় রেনাটা পিএলসির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মোস্তফা আলিম আওলাদ, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. জুবায়ের আলম এবং ইস্যু ম্যানেজার সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. সোহেল হক উপস্থিত ছিলেন।
ওটিসি মার্কেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ ফয়সাল আব্দুল্লাহের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ‘রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স শেয়ার তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ডিএসইতে একটি নতুন প্রোডাক্টে লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি জানান, এই প্রথম প্রেফারেন্স শেয়ারকে ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ হিসেবে ডিএসইর অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা দেশের পুঁজিবাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেফারেন্স শেয়ার ইক্যুইটি ও ডেট- উভয় সিকিউরিটিজের বৈশিষ্ট্য ধারণ করায় এটি একটি হাইব্রিড ইন্সট্রুমেন্ট। এটিবি প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে এ ধরনের বিকল্প আর্থিক উপকরণ তালিকাভুক্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা পুঁজি উত্তোলনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রেনাটার এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে অন্যান্য কোম্পানিকেও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুতে উৎসাহিত করবে’ বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রেনাটা পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ এস কায়সার কবির বলেন, ‘প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জপূর্ণ প্রক্রিয়া। হঠাৎ বড় পরিসরে মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে রেনাটার পরিকল্পিত বিনিয়োগ ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়, যা মোকাবিলায় বিকল্প অর্থায়ন কাঠামো হিসেবে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেফারেন্স শেয়ার ভোটাধিকারবিহীন হওয়ায় মালিকানায় বড় ধরনের ডাইলিউশন ছাড়াই মূলধন সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, প্রেফারেন্স শেয়ারের লভ্যাংশ হার ট্রেজারি বন্ডের রেফারেন্স রেটের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কার্যকর রিটার্ন প্রায় ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয়। আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে রেনাটার আর্থিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেটে ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে বাজারভিত্তিক অর্থায়ন জোরদার করা সময়ের দাবি। রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু ও তালিকাভুক্তি একটি ইতিবাচক উদাহরণ, যা অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে বিকল্প আর্থিক উপকরণ ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।’
তিনি জানান, ভবিষ্যতে রেগুলেশন সংস্কার, প্রক্রিয়াগত সরলীকরণ ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এ ধরনের তালিকাভুক্তি আরও দ্রুত ও কার্যকর করা হবে।
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ফাস্ট-ট্র্যাক লিস্টিং সুবিধা ও বিশেষায়িত বিনিয়োগ কাঠামো রয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটিবিতে তালিকাভুক্ত করতে ডিএসই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’
উল্লেখ্য, রেনাটা পিএলসি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে নন-কিউমুলেটিভ, নন-পার্টিসিপেটিভ এবং সম্পূর্ণরূপে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করে মোট ৩২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। প্রতিটি প্রেফারেন্স শেয়ারের মূল্য ১ হাজার ৯০০ টাকা। এসব শেয়ারের মেয়াদ ১৯ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ছয় বছর। তৃতীয় বছরের শেষ থেকে প্রতি বছর ধাপে ধাপে প্রেফারেন্স শেয়ারগুলো সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে।
বর্তমানে রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স শেয়ারসহ ডিএসই এটিবি প্ল্যাটফর্মে মোট ২টি ইক্যুইটি ও ৭টি বন্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও আনভীর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর। পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো বাজুসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের কর্ণধার এনামুল হক খান দোলন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে বাজুস কার্যালয়ে সংগঠনের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সভায় সবার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সায়েম সোবহান আনভীরকে প্রধান উপদেষ্টা ও সংগঠনের সব সাবেক সভাপতিদের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন, বাজুসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রনজিত ঘোষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, আজাদ আহমেদ, অভি রায় প্রমুখ।
মোবাইলের দাম কমিয়ে আনতে দেশে উৎপাদন ও আমদানির উভয়ক্ষেত্রেই কর ছাড় দিতে রাজি থাকার কথা জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, ব্যবসা সহজ করতে আমদানি করের পরিবর্তে ভ্যাট ও আয়কর আদায়ের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ আমদানি বন্ধে মোবাইল ফোন আমদানি শুল্ক কমানো হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই ট্রেড থেকে এত ট্যাক্স নেয় না- আমাদের যত পরিমাণ আমরা ট্যাক্স ইম্পোজ করি। এটা যে ট্যাক্সের জন্য করা হয় তা কিন্তু না। মোস্ট অব দ্য কেইসে আমাদের লোকাল ইন্ডাস্ট্রি (সুরক্ষা দিতে)। যেমন আজকেও সকালবেলা আমাদের মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারাররা দলবেঁধে এসছেন যে, আপনারা যে ট্যাক্স কমাবেন (মোবাইল) ইম্পোর্টের, আমাদের ইনভেস্টমেন্টের কী হবে? কারণ আপনারা জানেন যে, আগামীকাল থেকে এনইআইআর চালু হবে এবং সে কারণে আমরা, সরকার চিন্তাভাবনা করছে যে- এটাকে কীভাবে অ্যাডজাস্ট করা যায়।
আবদুর রহমান খান বলেন, আমরা এনবিআর থেকে যেটা বুঝি, সেটা হলো যে- উভয় গ্রুপের স্বার্থরক্ষা করে এবং কনজিউমার ইন্টারেস্ট প্রোটেক্ট করার জন্য আমরা চাই মোবাইল ফোন, স্মার্টফোনের দাম বাংলাদেশে কমুক। এবং এটা করতে গেলে আমরা দুই জায়গাতেই ছাড় দিতে রাজি আছি।
বিজয় দিবস থেকে দেশে কার্যকর হচ্ছে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন বা এনইআইআর। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে আনা ফোনগুলো আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে; এই সময়ের পরে আর কোন অবৈধ ফোনকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে দেওয়া হবে না। উচ্চ শুল্কের কারণে বৈধপথে খুব কমই মোবাইল আমদানি হয়ে থাকে বলে ভাষ্য ব্যবসায়ীদের।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু এখন গ্রে মার্কেটে বেশিরভাগ হাই অ্যান্ড ফোন আসে, ফলে আসলে আমরা সত্যিকার্র অর্থে কোন রেভিনিউ পাই না। এটা যদি আমরা ফরমাল করতে পারি- এনইআইআর ইমপ্লিমেন্টেশনের মাধ্যমে, ইভেন রেভিনিউ যদি আমরা ছেড়েও দেই; তার পরেও কিন্তু ফরমাল চ্যানেলে আসার কারণে আমাদের রেভিনিউ বাড়বে।
স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে অনেক সময় যে সংশ্লিষ্ট পণ্যে উচ্চ আমদানি শুল্ক বসানো হয়, সেই প্রসঙ্গ টেনে আবদুর রহমান খান বলেন, আমরা লোকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে প্রোটেক্ট করার জন্যই কিন্তু অনেক সময় বেশি বেশি রেট ধরি। তারপরও আমরা এটা (আমদানি শুল্ক) কমাব।
বর্তমানে স্মার্টফোনে আমদানি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) মিলে ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ কর রয়েছে। উৎপাদন ও সংযোজনের ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট রয়েছে।
‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার’ বা এনইআইআর পদ্ধতির বিরোধিতা করে সম্প্রতি বিক্ষোভ করছিলেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা।
এনইআইআর চালু হলে দেশে অবৈধ পথে আসা ফোনগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাবে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা পুরনো ফোনের ব্যবসাও। এ পরিস্থিতিতে গত ডিসেম্বর বহুপক্ষীয় বৈঠক করে ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, যেখানে অবৈধ ফোন তিন মাসের জন্য ছাড় পেয়েছে।
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই–নভেম্বর) সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। তবে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার বাজারে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৬.১১ বিলিয়ন ডলার।
একক বাজার হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে আলোচ্য সময়ে পোশাক রপ্তানি ৩ শতাংশ বেড়েছে। জুলাই–নভেম্বর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৩.২২ বিলিয়ন ডলার, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩.১৩ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে কানাডায় ৬.৫১ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৩ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের মধ্যে স্পেন, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি বাড়লেও একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি কমেছে। পাশাপাশি ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও ইতালিতেও রপ্তানিতে পতন লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়াসহ নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এসব বাজারে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি কমেছে ৩.৩৯ শতাংশ।
নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে বড় গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক ও মেক্সিকোতে রপ্তানি কমেছে বেশি হারে। এর মধ্যে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৮ শতাংশের বেশি; পাঁচ মাসে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ২৯৮ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ মিলিয়ন ডলার কম। অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১২ শতাংশ, মেক্সিকোতে ১৬ শতাংশ, তুরস্কে ২৫ শতাংশ এবং রাশিয়ায় ২৩ শতাংশ।
খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্বব্যাপী ভোক্তা ব্যয়ে শ্লথগতি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর বিপণন উদ্যোগের ঘাটতি, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে না পারা এবং নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারে সরকারি প্রণোদনা কমে যাওয়াই রপ্তানি হ্রাসের প্রধান কারণ।
বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ১৬ শতাংশ নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারে যায়, যেখানে উল্লেখযোগ্য গন্তব্য দেশের সংখ্যা প্রায় ১৫টি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর বাইরে থাকা বাজারগুলোকে সাধারণত নন-ট্র্যাডিশনাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারের মধ্যেও কিছু দেশে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। ব্রাজিল, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের উভয় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতন এবং লেনদেন কমার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির চাপে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়, যার ফলে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেল।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৪৮টির দাম বেড়েছে, বিপরীতে দাম কমেছে ২৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির শেয়ারদর। এই দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। পাশাপাশি ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬ পয়েন্টে এবং বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৪১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা কম। লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, যার ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এরপর যথাক্রমে অবস্থান করছে সায়হান কটন ও ফাইন ফুডস। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৭৬ পয়েন্ট কমেছে এবং সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৮টিরই দাম কমেছে।
গত তিন দিনে ভরিতে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪ হাজার ৫০২ টাকা। এতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায়। মূলত বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশেও বাড়ছে দাম।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি গত শুক্রবার সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা এবং গত রোববার থেকে আরও ৩ হাজার ৪৫২ টাকা বাড়িয়েছে। তার মানে তিন দিনে দাম বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তার আগে অবশ্য বিশ্ববাজারে আউন্সপ্রতি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
নতুন দর অনুযায়ী, রোববার থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা শনিবারও ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। তার মানে শনিবারের চেয়ে রোববার দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা।
এদিকে হলমার্ক করা ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে ভরিতে ৩ হাজার ৩০১ টাকা।
একইভাবে ১৮ ক্যারেটের দাম বেড়েছে ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা। রোববার ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। এদিকে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও ২ হাজার ৪১৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা হয়েছে। পূর্বে দাম ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।
চলতি বছর বিশ্ববাজারে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করছে, পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে গেছে যে স্বর্ণের দাম আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে চাহিদা অনেকটা বাড়তে হবে তা নয়; বরং বিনিয়োগকারীরা স্টকে বিনিয়োগের পাশাপাশি কিছু পরিমাণে সোনা কিনলেই এর দাম অনেকটা বেড়ে যাবে। ফলে বিনিয়োগ যত বেশি বাড়বে, স্বর্ণের দাম তার চেয়েও বেশি হারে বাড়বে।
গোল্ডম্যান স্যাকস আরও বলছে, আগামী বছর স্বর্ণের দাম অতটা বাড়বে না। তবে চলতি বছর যে দুটি কারণে স্বর্ণের দাম বেড়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনার ধারা অব্যাহত থাকবে। দ্বিতীয়ত, ফেডারেল রিজার্ভ এখন নীতি সুদ কমাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসেও নীতি সুদহার কমেছে।
ভূরাজনীতিতে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম খুঁজছেন। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাতে বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক বন্ডের চেয়ে স্বর্ণের বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করছেন।
দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নভেম্বর মাসে মোট ১১ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করেছে। এসব কার্গোর মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ এমএমবিটিইউ, যার বিপরীতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৩৬০.৯৯ মিলিয়ন ডলার।
পেট্রোবাংলার পরিচালক একেএম মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, ‘দেশের বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আমরা দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকেও নিয়মিতভাবে এলএনজি আমদানি করছি।’
তিনি জানান, অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তি এবং স্পট মার্কেটের আওতায় মোট প্রায় ২ কোটি ৮৮ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয় করেছে।
রহমান আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তি এবং স্পট মার্কেটের আওতায় সরকার মোট ১০ কার্গোর মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সংগ্রহ করেছে। প্রতিটি কার্গোতে গড়ে প্রায় ৩২ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি ছিল।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতারএনার্জি চার কার্গো এলএনজি সরবরাহ করে ১১৫.৯৭ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। একই চুক্তির আওতায় ওমানের ওকিউ ট্রেডিং (ওকিউটি) দুই কার্গোর জন্য পেয়েছে ৫৫.২৮ মিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া স্বল্পমেয়াদি চুক্তির আওতায় ওমানভিত্তিক ওকিউটি দুই কার্গোর জন্য পেয়েছে ৭৫.২১ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে সরকার তিন কার্গো এলএনজি কিনতে ব্যয় করেছে ১১৪.৫৩ মিলিয়ন ডলার।
তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে স্পট মার্কেটের আওতায় পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল এক কার্গোর জন্য পেয়েছে ৩৮.০৮ মিলিয়ন ডলার এবং টোটালএনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার দুই কার্গোর জন্য পেয়েছে ৭৬.৪৫ মিলিয়ন ডলার।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানির জন্য এর আগে একাধিক পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ক্রয় কমিটির এক বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকারের ওপর আর্থিক চাপ কমানোর পাশাপাশি এলএনজির সরবরাহ বাড়ানোর দিকেও কমিটির সদস্যরা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তুলনামূলকভাবে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে এলএনজি সংগ্রহ করছে।
সূত্র : বাসস
প্রগতি টয়োটা পার্টনারশিপের আওতায় বিশ্বখ্যাত জাপানি টয়োটা হায়েস এখন থেকে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজে পাওয়া যাচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনস্থ প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (পিআইএল) চট্টগামের কারখানায় এ পার্টনারশিপ যাত্রার শুভ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান প্রধান অতিথি এবং টয়োটা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেমিথ সিং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান মু. আনোয়ারুল আলম (অতিরিক্ত সচিব), যুগ্মসচিব ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বিপিএ, প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি এবং প্রগতির কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টয়োটা হায়েস ১২ সিটের এ গাড়িতে আছে উচ্চ ক্ষমতার অকটেন চালিত ২৬৯৪সিসি’র ২.৭ লিটার ইঞ্জিন, ৫ স্পিড ম্যানুয়াল, হুইলবেস ২৫৭০, টর্ক-২৪১/৩৮০০, ডাবল উইসবন লিফ স্প্রিং সাসপেনশন, ৫ মি. টার্নিং রেডিয়াস, ২ হুইল ড্রাইভিং সিস্টেম ও ৭০ লিটার ধারণ ক্ষমতার ফুয়েল ট্যাংক। টয়োটা হায়েস কমিউটার গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন বাদে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পঞ্চাশ লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে যৌথ সভা করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের আমদানি-রপ্তানিকারকরা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আয়োজনে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সোনামসজিদ-মহদিপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি যেসব পণ্য আদান-প্রদান বন্ধ রয়েছে তা পুনরায় চালুর দাবি জানান।
ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এক সময় মসলা জাতীয় পণ্য এবং ফল আমদানি-রপ্তানি বেশি ছিল, যা এখন অনেকটা কমে গেছে। এসব পণ্যের আদান-প্রদান বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেন।
সেমিনারে সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবুল হাসনাত দুরুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ইতি, দপ্তর সম্পাদক এসবি মাসুম বিল্লাহ, সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব রুহুল আমিন, মহদিপুর রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি জগন্নাথ ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় ঘোষ, মহদিপুর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুণ্ডু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভূপ্রতি মণ্ডল প্রমুখ। এ সময় দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে ভারত থেকে এবার প্রতিদিন ৬ হাজার টন করে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রথম দিনে ২০০ আইপি (ইমপোর্ট পারমিট বা আমদানি অনুমতিপত্র) ইস্যু করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) অনুমোদন পাওয়া এসব আইপির বিপরীতে প্রতিদিন ওই পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন আমদানিকারকরা। তবে আইপি প্রতি ৩০ টনের বেশি পেঁয়াজ আনা যাবে না।
এ নিয়ে আট দিনে সরকার মোট ১৯ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক বনি আমিন খান।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর ভারত থেকে দৈনিক ৫০টি আইপির বিপরীতে দেড় হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
তাতেও দেশি পেঁয়াজের দাম সহনীয় না হওয়ায় আমদানি শুরুর আট দিনের মাথায় দৈনিক আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির বাজার দরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে রোববার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি।
২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতি কেজি দেশি পেয়াঁজ বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৯০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা দরে।
গেল ৭ ডিসেম্বর থেকে আমদানির পেঁয়াজ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করলেও আমদানিকৃত পেঁয়াজের বাজার দরের কলামটি রোববারও শূন্য রেখেছে টিসিবি।
‘বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এর কার্যালয় এবং পোল্যান্ডের সুপ্রিম অডিট ইন্সটিউশন- এর কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক টুইনিং প্রকল্পের কিক-অফ কনফারেন্স সম্প্রতি ঢাকার শেরাটন হোটেলে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার, ভারতে নিযুক্ত পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি. পিওতর আন্তোনি শিতালস্কি এবং পোল্যান্ডের সুপ্রিম অডিট ইন্সটিটিউশন (NIK)-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মি. জাসেক কোজলোস্কি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ, পোল্যান্ডের সুপ্রিম অডিট ইন্সটিটিউশন (NIK) প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মিশন, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলাম বলেন—‘বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এর কার্যালয় দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং নাগরিক আস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অংশীদারিত্ব আমাদের নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিকীকরণ এবং অগ্রাধিকার ক্ষেত্রসমূহে নিরীক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার প্রকল্পটির উদ্বোধনকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের জন-তদারকি ও আর্থিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ইইউ-এর অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, কার্যকর নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
ভারতে নিযুক্ত পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি. পিওতর আন্তোনি শিতালস্কি বাংলাদেশ ও পোল্যান্ডের দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এর কার্যালয় এবং পোল্যান্ডের সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউশন -এর এই অংশীদারিত্ব পেশাগত অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।
পোল্যান্ডের সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউশন (NIK)-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মি. জাসেক কোজলোস্কি বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয় এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সেরা চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে NIK-এর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প সরকারি নিরীক্ষা শক্তিশালীকরণ এবং জবাবদিহিতা কাঠামো উন্নয়নে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
টুইনিং প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফাইন্যান্সিয়াল অডিট, পারফরমেন্স অডিট এবং ইনফরমেশন সিস্টেম (আইটি) অডিট পরিচালনায় বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয় -এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে – ফিন্যান্সিয়াল অডিটের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, পারফরমেন্স অডিট শক্তিশালীকরণ এবং মডেল অডিট ও কৌশলগত উন্নয়নের মাধ্যমে আইটি অডিটের অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন জনসম্পদের ব্যবহারে স্বাধীন নিশ্চয়তা প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করবে এবং একটি নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে।
দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে অনিয়মের মধ্যেও রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারবাজারে অপ্রত্যাশিত উত্থান ঘটেছে। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ এবং গত চার বছর ধরে কোনো নিরীক্ষিত আর্থিক তথ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। এই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারের দর ছিল মাত্র ১ টাকা ৪০ পয়সা। কিন্তু এরপর থেকেই শেয়ারের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ টাকা ১০ পয়সায়। এর ফলে আলোচিত সময়ে শেয়ারদর ২.২১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিএসইর কর্মকর্তারা ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট টেক্সটাইলের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান যে সেখানে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে কারখানাটি বন্ধ আছে। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ থাকলে তা বিনিয়োগকারীদের জানাতে কোম্পানিটি বাধ্য থাকলেও রিজেন্ট টেক্সটাইল স্টক এক্সচেঞ্জকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক তথ্যে দেখা যায়, কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১১০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, কিন্তু কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছিল ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি, যা আগের বছরের লোকসানের চেয়ে অনেক বেশি। ঐ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৬২ পয়সা। এছাড়া, এই অর্থবছরের জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬ টাকা ৫২ পয়সা।
২০২৬ সালের শেষ ভাগে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০০ ডলারে উঠে যেতে পারে পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। সোনার দাম যখন আউন্সপ্রতি চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেল, তখনই অনেক সংস্থা পূর্বাভাস দেয়, সোনার দাম আরও বাড়তে পারে।
গোল্ডম্যান স্যাকস ছাড়াও গত দুই মাসে বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থা সোনার দাম নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে। এসব পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছর সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৫০০ ডলার থেকে ৪ হাজার ৯০০ ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৩০০ ডলার।
গোল্ডম্যান স্যাকস বাজার বিশ্লেষণ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, বর্তমানে সোনায় যে পরিমাণ বিনিয়োগ হওয়ার কথা, সে পরিমাণ হচ্ছে না। সে কারণে বিনিয়োগকারীরা সোনায় আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছেন। বিষয়টি হলো, এখন বিনিয়োগকারীদের সোনা ধরে ধরে রাখার প্রবণতা কম বলে ভবিষ্যতে হঠাৎ যদি বিনিয়োগ বেড়ে যায়, তাহলে সোনার দাম হুট করে অনেকটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করছে, পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে গেছে যে সোনার দাম আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে চাহিদা অনেকটা বাড়তে হবে তা নয়; বরং বিনিয়োগকারীরা স্টকে বিনিয়োগের পাশাপাশি কিছু পরিমাণে সোনা কিনলেই এর দাম অনেকটা বেড়ে যাবে। ফলে বিনিয়োগ যত বেশি বাড়বে, সোনার দাম তার চেয়েও বেশি হারে বাড়বে।
চলতি বছর ইতোমধ্যে সোনার দাম ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করছে, আগামী বছর সোনার দাম অতটা বাড়বে না। তবে যে দুটি কারণে এ বছর সোনার দাম বেড়েছে, সেই কারণ দূর হবে না, থাকবে।
প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনার ধারা অব্যাহত থাকবে। ২০২২ সালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ পশ্চিমারা জব্দ করার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুঝে যায়, এখন সোনায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলও মাস খানিক আগে সে কথা বলেছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫-এ বলা হয়েছে, ৪৩ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
দ্বিতীয়ত, ফেডারেল রিজার্ভ এখন নীতি সুদ কমাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসেও নীতি সুদহার কমানো হয়েছে। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ২০২৬ সালে আরও ৭৫ ভিত্তি পয়েন্ট হারে নীতি সুদহার কমানো হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সোনার দিকে ঝুঁকে পড়ার যেসব কারণ অতীতে ছিল, সেগুলো এখনো আছে।
ভূরাজনীতিতে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম খুঁজছেন। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক বন্ডের চেয়ে সোনায় বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করছেন।
সোনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর দাম সাধারণত কমে না। গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ২০ বছরে সোনার দাম বেড়েছে ৭১৮ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ; এক বছরে ৬১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।