রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট ও লেনদেন ১৬৯ কোটি টাকা কমেছে
আপডেটেড
৬ জুন, ২০২৩ ২০:৪৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৬ জুন, ২০২৩ ২০:৪০

জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের পর দুই কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে রেকর্ড লেনদেন হলেও তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার ছয় গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব কটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলেও লেনদেনের শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। শুরুতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের শেষ দিকে এসে একশ্রেণির বিনিয়োগকারী বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন। বিশেষ করে শেষ দেড় ঘণ্টায় বিক্রির চাপ এতটাই বেশি ছিল, যা নিতে পারেনি বাজার। ফলে একদিকে দরপতনের তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সব কটি সূচকের বড় পতন হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে মাত্র ২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ১৫৭টির দাম কমেছে। আর ১৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সব কটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের গতি। ডিএসইতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৯৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে আরডি ফুড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লুব-রেফ বাংলাদেশ, জেমিনি সি ফুড, অগ্নিসিস্টেম এবং আমরা নেটওয়ার্ক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির এবং ৯২টির দাম অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।


৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে ওয়ালটন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পর্ষদ সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। এর বাইরে উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশে সুপারিশ করেছে কোম্পানিটি। যদিও আলোচ্য হিসাব বছরে ইলেকট্রনিক ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা কমেছে তা সত্বেও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ বাড়িয়েছে কোম্পানিটি।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা বা সাড়ে ৩৫ শতাংশ। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪২ টাকা ১৮ পয়সায় (পুর্নমূল্যায়িত)। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সায় (পুর্নমূল্যায়িত)।

ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে এ বছরের ২৯ অক্টোবর বেলা ১২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ২ অক্টোবর।

এর আগে ২০২১-২২ হিসাব বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। এর বাইরে এ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।


দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘রোড শো’: উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিশ্বে দেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপ্তি বাড়াতে ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বিনিয়োগ মেলা করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় সবচেয়ে বৃহত্তম শহর জোহানেসবার্গে ‘রোড শো’ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার রোড শোটি উদ্বোধন করবেন। এটি হবে বিএসইসির সপ্তম আয়োজন। দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী ২৩ আগস্ট (বুধবার) ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ শীর্ষক এবারের রোড শোটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) যৌথভাবে আয়োজন করছে। এ ছাড়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সহযোগিতায় রয়েছে আলিফ গ্রুপ।

তথ্যমতে, আগামী বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় সবচেয়ে বৃহত্তম শহর জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বোর রেডিসন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রোড শো শুরু হবে। এ আয়োজন চলবে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা পর্যন্ত। দুটি পর্বে রোড শোটি আয়োজন করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি ও দেশটির বিনিয়োগকারীরা যোগ দেবেন।

জানা গেছে, এবার দক্ষিণ আফ্রিকার রোড শোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জানিয়েছেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনটি সকালে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সরকার, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বিশিষ্টজন, প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এ রোড শো অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামসহ বিএসইসির প্রতিনিধিরা।

এবারের রোড শোতে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এবং স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথিরা বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। সেখানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি, পুঁজিবাজার ও সার্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং এফডিআইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হবে।

এছাড়া দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কীভাবে শেয়ার বাজারে সরাসরি বিনিয়োগ করবেন তার কৌশল ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় তুলে ধরা হবে।

দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ও শহরগুলোতে ধারাবাহিক রোড শো করার পরিকল্পনা করেছে বিএসইসি।

এর আগে প্রথম দফায় দুবাইতে, দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রে, তৃতীয় দফায় সুইজারল্যান্ড, চতুর্থ দফায় যুক্তরাজ্য, পঞ্চম দফায় কাতার ও ষষ্ঠ দফায় জাপানে সফলতার সঙ্গে রোড শো সম্পন্ন করেছে বিএসইসি। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, জার্মানি, কানাডা, রাশিয়া, ইতালি, হংকং, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে রোড শো আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ ছাড়া, চলতি বছরের অক্টোবরে ইউরোপের বিনিয়োগ আকৃষ্টে ফ্রান্সের দুই শহরে রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে বিএসইসির সপ্তম আয়োজন। চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর প্যারিস ও ১৮ অক্টোবর টুলুসে এ রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। ফ্রান্সের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত চলবে সম্মেলন। এতে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি ও দেশটির বিনিয়োগকারীরা যোগ দেবেন।


পুঁজিবাজার: ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেন ফু ওয়াং ফুডের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত কয়েক মাস ধরেই ফু ওয়াং ফুড কোম্পানি হয় লেনদেনের শীর্ষে থাকছে, না হয় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে থাকছে। গত সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু ওয়াং ফুড। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববারও লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ফু ওয়াং ফুড।

গত ২ জুলাই ফু ওয়াং ফুডের দাম ছিল ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। এর পরে টানা বাড়তে থাকে শেয়ারটির দাম। ১৬ জুলাই দাম বেড়ে হয় ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা। এই সময়ে ২০ টাকা বা ৮৫ দশমিক ১১ শতাংশ বাড়ে এই শেয়ারের দাম। এর পরেই এই শেয়ারের দাম কমতে থাকে। গতকাল এই শেয়ারের দাম হয়েছে ২৮ টাকা ৩০ পয়সা। ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমেছে ৩৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সূচক কমেছে। লেনদেন বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) এদিন সূচক ও লেনদেন কমেছে।

গতকাল ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৭ দশমিক ৮১ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক ছিল ৬ হাজার ২৯৭ দশমিক ২৫ পয়েন্ট।

গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকে লেনদেন হচ্ছে ৪০০ কোটির আশপাশে। দুই দিন লেনদেন হয়েছে ৪০০ কোটির নিচে।

গতকাল ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির দাম কমেছে। এই দিন ডিএসইতে মোট ৩৩৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৫টির। দাম কমেছে ৮৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত আছে ১৭১টির।

গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য খাতের শেয়ারে। খাদ্য খাতে লেনদেন হয় ৭৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে সাধারণ বিমা খাতে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার।

এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আরডি ফুড, জেমিনি সি ফুড, এমারেল্ড অয়েল, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, সোনালী আঁশ এবং কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স।

দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হচ্ছে, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেঃ ইন্স্যুরেন্স, আরামিট, অ্যাম্বি ফার্মা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী পেপার ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্স।

দাম কমার শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হচ্ছে; ফু ওয়াং ফুড, দেশবন্ধু পলিমার, খান ব্রাদার্স পিপি, ইয়াকিন পলিমার, অলিম্পিক এক্সেসোরিজ, খুলনা প্রিন্টিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, মেট্রো স্পিনিং, ফার কেমিক্যাল ও বিচ হ্যাচারী।

এই দিন দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। সিএসইতে এই দিন লেনদেন হয়েছে মোট ১৯৬টি শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির কমেছে ৬৫টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৮৭টির। সিএসইতে এই দিন সূচক সামান্য কমেছে। সিএসইতে এই দিন সূচক কমেছে ৩০ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট। সূচক কমে হয়েছে ১৮ হাজার ৫৬৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট। আগের দিন সূচক ছিল ১৮ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট।


ফ্লোর প্রাইসের সুযোগ নিচ্ছে একটি গোষ্ঠী

আপডেটেড ৬ আগস্ট, ২০২৩ ১২:৩৩

একদিকে লেনদেন খরা অন্যদিকে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে না পারা, সব মিলে সময়টা অনুকূলে নেই পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের।

এমন সময়েও গুজব ছড়িয়ে কিছু ‍কিছু কোম্পানিকে অতি মূল্যায়িত করা হচ্ছে।

বিপরীতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপ কাজে আসছে কতটুকু?

পুঁজিবাজারের বর্তমান নিয়ে ‘দৈনিক বাংলা’কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন। তার সঙ্গে কথা বলেছেন সিনিয়র রিপোর্টার সুলতান আহমেদ।

আল-আমিন, সহযোগী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ

প্রশ্ন: আমরা দেখছি, গত দুই সপ্তাহে বাজারে লেনদেন কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি অল্প করে হলেও কমছে প্রধান সূচকগুলো। অন্যদিকে আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান বলেছেন, বাজারে সুসময় এলেই তুলে নেয়া হবে ‘ফ্লোর প্রাইস’। এখন বিনিয়োগকারীদের মনেও প্রশ্ন সেই সুসময় আসবে কবে?

আল-আমিন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি জানেন যে, বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্য স্থির বেঁধে দেয়া রয়েছে। এর অর্থ কোনো শেয়ার সেই সীমার নিচে নেমে লেনদেন করতে পারছে না। এর ‍সুযোগ নিয়েছে একটা শ্রেণি। বাজারে যখন ভালোমানের প্রায় ৮০ ভাগ কোম্পানি আটকে রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে তখন দুর্বল শেয়ার নিয়ে সেই শ্রেণিটা কারসাজি করছে। তারা স্মার্ট মানি বা নতুন করে কিছু পুঁজি ঢুকিয়ে কোম্পানিগুলোকে অতি মূল্যায়িত করেছে। এমন হয়েছে যে, ৩৭ টাকার শেয়ার ১৮৮ টাকায় চলে গিয়েছে, ২০ টাকার শেয়ার ৪০ টাকা হয়েছে। মানে হচ্ছে একটা সিগনিফিকেন্ট গ্রোথ হয়েছে। আবার বিমা খাতে দেখেন নতুন নতুন ফান্ড এসেছে, এখানে আমি বলব যদি ভালোমানের কোম্পানি হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তবে যেগুলোর মৌলভিত্তি নেই সেগুলোতে ফান্ড ঢুকলেই বিপদ।

এবার আসি লেনদেনে, কিছুদিন আগেও ১ হাজার থেকে ১২০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, এখন সেটা নেমে এসেছে ৫০০ কোটির ঘরে। এই যে ড্রপ ডাউনটা হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে কিছু ফান্ড বাজার থেকে বের হয়ে গেছে। অন্যদিকে ফ্লোর প্রাইসের কারণে বিনিয়োগকারীরা চাইলেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। অনেকের অনেক বিপদেও তাদের টাকা ক্যাশ করতে পারছেন না। এই যদি হয় তাহলে বাজারে সুদিন কীভাবে আসবে আমার বোধগম্য নয়। এখন তো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শুধু বিক্রির প্রবণতা দেখি। ফান্ড যদি বের না হয়ে বাজারে থাকে তাহলে এটা সমস্যা নয়, তবে ফান্ড বের হয়ে গেলে তো বাজার ভালো হবে না।

প্রশ্ন: তাহলে লোকসান হওয়ার কারণে ফান্ড চলে যাচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণ?

আল-আমিন: অবশ্যই। লোকসান হওয়ার কারণে। আপনি কি চাইবেন বিনিয়োগ করে বছরের পর বছর লোকসান গুনতে? সবাই এখানে আসে কিছু লাভের আশায়। একটা শেয়ার কিনবে সেখান থেকে কিছু লাভ হবে, আবার দু-এক জায়গায় হয়তো লোকসান হবে, এটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে এসব হচ্ছে না, এখনকার বাজারে দেখেন ভালোমানের শেয়ার পড়ে আছে ফ্লোরে। অনেক কোম্পানির ইপিএস, পিই রেশিও ভালো, ডিভিডেন্টও দিচ্ছে ভালো, তার পরও দেখতে পাচ্ছি সেই শেয়ারের মুভমেন্ট হচ্ছে না। কারণ হচ্ছে, বড় বিনিয়োগকারী যারা তারা সেই কোম্পানির সঙ্গে নেই। যারা বাজারে ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করেছেন তারাও এখন হতাশ হয়ে তাদের ফান্ড সরিয়ে নিতে চাচ্ছেন।

যেটা কোনো স্বাভাবিক বাজারের লক্ষণ নয়। আবার দেখেন, যে কোম্পানির নিলাম হচ্ছে, ১০০ কোটি টাকার ওপর দায়-দেনা রয়েছে সেই কোম্পানি ৩৭ টাকা থেকে ১৮৮ টাকা হয়ে যাচ্ছে। এমন বহু কোম্পানির ক্ষেত্রে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এসব জায়গাতে কোনো সাধারণ বিনিয়োগকারী নেই বরং কোনো চক্র কাজ করছে।

প্রশ্ন: তাহলে এই বাজারে ব্যবসা করছে কারা?

আল-আমিন: আপনি জেনে থাকবেন, বহু ব্রোকারেজ হাউস তাদের কর্মী ছাঁটাই করছে। আবার কেউ কেউ ভালো ব্যবসাও করছে। এর কারণ হলো একই বাজারে ভালো কোম্পানি, ভালো বিনিয়োগকারীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। আবার এমন চক্রে যারা আছেন তারা ভালো ব্যবসা করছেন। সে জন্য আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখানে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কারও বিষয়ে কোনো অভিযোগ উঠলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সিদ্ধান্ত দিতেই যদি পাঁচ ছয় মাস লেগে যায়, তাহলে যা হওয়ার তা তো হয়েই গেল। তার ব্যবসা সে করে নিল এই সময়ের মধ্যে, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখানেও ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

প্রশ্ন: তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের করণীয় কি?

আল-আমিন: ওই যে আগেই বললাম, বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী এখন চাচ্ছে বাজার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে। সেটাও তারা পারছেন না। কারণ চাইলেও তাদের শেয়ার তারা বিক্রি করতে পারছেন না। দেখুন, ফ্লোর প্রাইসে থাকা কোনো শেয়ার যদি ব্লকেও বিক্রি করতে চান তাহলে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার মানে ছোটরা চাইলেও তাদের হাতে থাকা ১ লাখ, ২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় ধৈর্য ধরা ছাড়া কিছুই করার নেই। ভালোমানের শেয়ারে থাকলে একদিন সেটার দাম বাড়বেই। তখন চাইলে যে কেউ বিক্রি করে বের হতে পারবেন।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে দেখছি, দুর্বল শেয়ারের লেনদেনও বেশি হচ্ছে। ‘বি’ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরি শুধু দাম বাড়ার শীর্ষে নয়, লেনদেনেও শীর্ষে উঠে আসছে। এর কারণ কি?

আল-আমিন: ওই যে বললাম, চক্র। তারা তাদের অ্যাকাউন্টে শেয়ার কিনে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে এটা বাড়বে, ওটা বাড়বে। বিনিয়োগকারীরাও দেখে শেয়ারটির দাম কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে, তখন বুঝে হোক আর না বুঝে হোক শেয়ার কেনার হিড়িক পড়ে। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে চক্রটি শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যাচ্ছে, দিন শেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিতে পড়ছেন। কোনো কোনো শেয়ারের ক্ষেত্রে দেখবেন একটু বাড়লেই ডিএসইর পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হচ্ছে, আবার কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে বহুগুণ বাড়লেও তা দেয়া হচ্ছে না। এগুলো কেন হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খুঁজে বের করতে হবে। বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে কখনোই মানুষের আস্থা ফিরবে না।


কবে পুঁজিবাজার আরও ভালো করবে, জানালেন বিএসইসি চেয়ারম্যান

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এক সভায় বক্তব্য রাখেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৩ ২০:৪১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের পুঁজিবাজার কবে আরও ভালো করবে, সে ব্যাপারে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলছেন, ‘সরকারের বিভিন্ন নীতির কারণে আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ঠিক হয়ে এসেছে। রিজার্ভ কম ছিল, সেটা আবার ৩০ বিলিয়নে স্থিতিশীল আছে। আমাদের ডলারের সরবরাহ বাড়ছে। আমাদের ডলারের দাম হয়তো ৯০-এর ঘরে চলে আসবে। সেদিকে এখন যাচ্ছে। ডলারের দাম ৯০ টাকায় এলে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নেমে আসবে।’

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘যখন দ্রব্যমূল্য কমে আসবে, তখন আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। তখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও ক্ষমতা বাড়বে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এক সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) তাদের কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘ডলার সংকটের বড় প্রভাব পড়েছিল আমাদের পুঁজিবাজারে। তারল্যের সংকটে পড়ায় পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে ফেলেছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। সেই টাকা ফিরে এসেছে, আসছে। আমাদের জ্বালানি সংকট হয়েছিল, সেটা সমাধান হয়ে গেছে। এখন যদি আমাদের জ্বালানি সংকট না থাকে, তারল্য ব্যবস্থাপনা ভালো হয়, খাদ্যশস্য সরবরাহে যদি সমস্যা না থাকে, তাহলে আমরা একটি ভালো অবস্থার দিকে যাচ্ছি।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান এসময় বলেন, ‘আমরা খুব তাড়াতাড়ি যদি দেখি মানুষের পুঁজির নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব, কেউ বিপদে পড়বে না। কখনো সেই ইতিহাস ফিরে আসবে না। সাথে সাথে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেব।’

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সাংবাদিক মোহাম্মদ মোফাজ্জল। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সভাপতি হাসান ইমাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ডা. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল।


ফ্লোর প্রাইস তুলে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি: বিএসইসি চেয়ারম্যান

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এক সভায় বক্তব্য রাখেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৩ ১৯:৩৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশের পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে শেয়ারের যে সর্বনিম্ন দাম (ফ্লোর প্রাইস) বেঁধে দেয়া হয়েছিল, তা পুঁজিবাজারের সুসময়ে তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এক সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান এ কথা জানান। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিতে আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। পুঁজিবাজারের লেনদেন আরও বাড়লে, শেয়ারের দামগুলো বেড়ে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেব।’

ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন শিবলী রুবাইয়াত। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নিয়েছি তিন বছর দুই মাস হয়েছে। যখন আমরা কাজ শুরু করি তখন মানুষ বাসা থেকে বের হতো না। করোনাভাইরাসের আক্রমণ ছিল। এরপর আবার শুরু হয় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধের পরে পৃথিবীর অনেক দেশ বিপদে পড়ে যায়। এরপর আমাদের দেশে জ্বালানির দাম বেড়ে গেল। তারপর খাদ্যের দাম বেড়ে গেল। এরপর সারা বিশ্বে ডলারের দাম নিয়ে সমস্যা শুরু হয়ে গেল। দেশে দেশে আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে এর প্রভাব পড়ে গেল। এই সমস্যার কারণে আমাদের রিজার্ভ কমে গেল।’

‘আমাদের আমদানিনির্ভর অর্থনীতিতে যখন আমদানি কমে যায় তখন সমস্যা দেখা দেয়। আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে কাঁচামাল আসা কমে হয়ে যায়। তখন উৎপাদন কমে যায়। উৎপাদন কমে গেলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কারখানাগুলো সমস্যায় পড়ে গেলে তারা ব্যাংকের টাকা ফেরত দেয় না। তখন ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়ে যায়।’

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘অর্থনীতিতে একটি মহাবিপদ আসতে যাচ্ছে, সেটা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। সেই সময় সব মিলিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারের সূচক কমা শুরু করে। আমরা তখন আমাদের বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তার কথাটা প্রথমেই চিন্তা করি। লাভ-ক্ষতি ব্যবসা-বাণিজ্যে হবে, তবে আগে আমাদের বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষা করতে হবে। সেই কারণেই আমর চাইনি যে আমাদের বিনিয়োগকারীদের ওপর বড় কোনো ধাক্কা আসুক। এই প্রক্ষাপটে আমরা দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস দেই। এটা একটি সাময়িক বিষয়। কখনো কখনো সময় আসে মানুষকে রক্ষা করা মূল দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। তখন কিছু করার থাকে না। আর দেশের বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতেই এই ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সাংবাদিক মোহাম্মদ মোফাজ্জল। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সভাপতি হাসান ইমাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ডা. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল।


শীর্ষ ১০ কোম্পানির দখলে বাজার মূলধনের ৩৬%

আপডেটেড ৮ জুলাই, ২০২৩ ১৩:১৯
ইকবাল হোসেন

২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৮ কোটি টাকায়। এর মধ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ডের অংশ ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বেড়েছে। আর পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। এই বাজার মূলধনের ১ লাখ ৮৬ হাজার ২২২ কোটি টাকাই শীর্ষ ১০ কোম্পানির, যা মোট ইক্যুইটির বাজার মূলধনের ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

গ্রামীণফোন: ৩৮ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে টেলিকম খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন। যদিও কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২২ টাকা ২৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ২৫ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা বা ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ৩৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, যেখানে আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ৩৯ হাজার ৭১২ কোটি টাকায়। গত এক বছরে ১ হাজার ১২ কোটি টাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে গ্রামীণফোন। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারে রিটার্ন কমেছে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গ্রামীণফোনের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা লেনদেন হচ্ছে।

ওয়ালটন: ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের বাজার মূলধন ৩১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। এর পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো: ৫৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির বাজার মূলধন ২৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে বিএটিবিসির বাজার মূলধন ছিল ২৯ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ শেয়ারে রিটার্ন কমেছে ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ডিএসইতে ফ্লোর প্রাইসে ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে তাদের শেয়ার।

স্কয়ার: স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকায়। অর্থবছরের শুরুতে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ১৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে ৬১২ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারে রিটার্ন কমেছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে ২০৯ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।

রবি: পরিশোধিত মূলধনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কিন্তু ১৫ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের অর্থবছরে শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ১৪ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারে রিটার্ন কমেছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

রেনেটা: ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের অর্থবছরে শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ১৪ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারে রিটার্ন কমেছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রেনেটার শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ১ হাজার ২১৭ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।

ইউনাইটেড পাওয়ার: ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস ২৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় ডিএসইতে লেনদেন হচ্ছে।

বেক্সিমকো: বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৮৯৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে খাতসংশ্লিষ্ট আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের বাজার মূলধন ছিল ৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছর শেষে যা ৬ হাজার ৫২২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে ৩৭৫ কোটি টাকা। ডিএসইতে শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।

বার্জার পেইন্ট: ৪৬ কোটি ৪০ টাকার পরিশোধিত মূলধনের বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশের বাজার মূলধন ৮ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। কোম্পানিটির ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৪ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৪৩ টাকা ১৮ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৯৮ পয়সা বা ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এই কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ১ হাজার ৭১১ টাকা ৬ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ: লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭২ কোটি টাকায়। এর আগের অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ৭ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকায়। বাজার মূলধন এক বছরের ব্যবধানে ১২৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারে রিটার্ন বেড়েছে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের সামান্য ওপরে ৬৫ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।


সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে সাড়ে ২৩ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

টানা দুই সপ্তাহ পতনের পর গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার সাত গুণ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব কয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। তবে কমেছে লেনদেনের গতি।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে সাড়ে ২৩ শতাংশ। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ। আর বাজার মূলধন বেড়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।

দাম বাড়ার তালিকা বড় হলেও গত কয়েক মাসের মতো তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের ক্রেতাসংকট ছিল গত সপ্তাহজুড়েও। ফলে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসইর তথ্যমতে, ১৮ জুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৪ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২২ জুন) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫২৯ কোটি ৪ লাখ ৫ হাজার ২৮২ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি ফিরেছে ১ হাজার ৯৯৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪২৮ টাকা। এর ফলে টানা দুই সপ্তাহের মূলধন সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা হারানোর পর বিদায়ী সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার পুঁজি ফিরে পেলেন বিনিয়োগকারীরা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬২টির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩টির। এ ছাড়া ২০৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৭২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ পতনের পর ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ল।

প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৫ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।

ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি ১৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে।

সব কটি মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের গতি কমে গেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৮২ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

সর্বশেষ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৫৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৯১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেমিনি সি ফুডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ৬৬ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইস্টার্ন হাউজিং, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং খান ব্রাদার পিপি ওভেন ব্যাগ।


ডিএসইতে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

আপডেটেড ১৫ জুন, ২০২৩ ১৮:৪১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার সূচক সামান্য বেড়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। তবে ডিএসইতে লেনদেন কমে চলে গেছে দুই মাস আগের অবস্থানে।

এই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয় ৪৬৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। এই লেনদেন গত ২ মাসের মধ্যে কম। এর আগে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিলো চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ। সেদিন লেনদেন হয়ে ছিলো ৪৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন ছিলো ৭২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে অনেক দিন পর গুটিগুটি পায়ে এগোতে থাকা দেশের পুঁজিবাজার বড় ধাক্কা খেলো।

বৃহস্পতিবার ডিএসই প্রধান সূচক বেড়েছে মাত্র ৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। সূচক বেড়ে ডিএসইএক্স সূচক হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্ট। আগের দিন সূচক ছিলো ২০ দিনের মধ্যে কম।

বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিটের মাথায় সূচক আগের দিন থেকে ১৬ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের ২ ঘণ্টার মাথায় সূচক আগের দিন থেকে ৭ পয়েন্ট বেশি ছিলো। শেষ পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় মাত্র ৫ দশমিক ২৬ সূচক বেড়ে দিন শেষ হয়েছে।

এই দিন ডিএসইতে মোট ৩৪০টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৯টির, দাম কমেছে ৬২টির। দাম অপরিবর্তিত ছিলো ১৮৯টির।

সপ্তাহ শেষে সূচক কমেছে ও লেনদেন কমলো

চলতি সপ্তাহে ৫ দিন লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে এর মধ্যে ৪ দিন সূচক কমেছে দেশের পুঁজিবাজারে। চলতি সপ্তাহে সূচক কমেছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সপ্তাহ শেষে আগের সপ্তাহের তুলনায় সূচক কমলো ৭৩ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার সূচক ছিলো ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার সূচক কমে হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্ট। দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩০ শতাংশ বা ৩১৫ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহে দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৭৪ কোটি।

আগের সপ্তাহে দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৮৯ কোটি। লেনদেন কমেছে ৩০ শতাংশ। ছয় মাস পরে আবার সূচক ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টর নিচে।

গত মাসের ২৩ তারিখে প্রায় সাড়ে ছয় মাস পরে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট ছাড়ায় ডিএসাই সূচক। চলতি সপ্তাহে আবার ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের নিচে নেমে গেলো ডিএসই সূচক।

করোনাভাইরাস পরবর্তী ২০২১ সালে বড় উত্থান হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে। এরপরে ২০২১ সালের শেষের দিকে শুরু হয় পতন। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ৯০ পয়েন্ট। সেখান থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ কমে ছয় হাজারের নিচে নেমে আসে ডিএসই সূচক। সেটা গত বছরের জুলাই মাসের ঘটনা। সেখান থেকে আবার জোয়ার আসলেও ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টের ঘরে গিয়ে আবার কমতে শুরু করে সূচক।

গত বছরের নভেম্বরে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের নিচে নেমে যায় ডিএসই সূচক। এর পরে বহুবার ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টর খুব কাছাকাছি গিয়েও সেখান থেকে নেচে নেমে যায় ডিএসই সূচক। এক কথায় দেশের পুঁজিবাজারের একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা ছিল এই ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট। কয়েক সপ্তাহের সুবাতাসে গত মাসের ২৩ তারিখে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট পার করেছিলো দেশের পুঁজিবাজার। এক মাস যেতে না যেতেই আবার ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের নিচে নেমে আসলো দেশে পুঁজিবাজার।

বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি শেয়ার হচ্ছে: বিএসসি, নাভানা ফার্মা, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স, সী পার্ল রিসোর্ট, জেনেক্স ইনফোসেস, সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স, রূপালি লাইফ ইন্সুরেন্স, পেপার প্রসেসিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেড ও ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: এপেক্স ট্যানারী, খুলনা পেপার, খান ব্রাদার্স, সিম টেক্স, এপেক্স স্পিনিং, ওয়াই ম্যাক্স ইলেক্ট্রোড, সমতা লেদার, আমরা নেটওয়ার্ক, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স ও, জেনেক্স ইনফোসেস।

দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: বঙ্গজ লিমিটেড, মুন্নু এগ্রো, সিএপিএম আইবিবিএল মি. ফা., স্ট্রাইলক্র্যাফট, ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্সুরেন্স, পেপার প্রসেসিং, জিকিউ বলপেন, নাভানা ফার্মা, ইয়াকিন পলিমার ও সী পার্ল রিসোর্ট।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরে (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট। সূচক হয়েছে ১৮ হাজার ৫৬০ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট। এইদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। আগের দিন লেনদেন ছিলো ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হয় ২১০ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ৫৪টির আর অপরিবর্তিত আছে ১০৩টির।


ডিএসইতে নতুন দুই পরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

শূন্য থাকায় নতুন করে আরও দুজনকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

পরিচালক হিসেবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- শাহিদুল ইসলাম ও কাওসার আহমেদ।

মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে তাদের নিয়োগের কথা জানিয়ে দেয়া হয় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা বিভাগকে। এর মধ্য দিয়ে ডিএসইর পর্ষদে ৭ স্বতন্ত্র পরিচালকের সব কটিতেই নিয়োগ সম্পন্ন হলো।

শাহিদুল ইসলাম জনতা ব্যাংক থেকে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন। আর কাওসার আহমেদ একজন মানবাধিকার কর্মী।

এর আগে মেয়াদ শেষে শূন্য হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে চার পরিচালক নিয়োগ দিয়েছিল বিএসইসি। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হাফিজ মো. হাসান বাবু, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এবং বিমা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন এবং ওরাকলের আবাসিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) রুবাবা দৌলা।

তাদের মধ্যে হাফিজ মো. হাসান বাবু বতর্মানে ডিএসইর পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পরিচালকদের ভোটে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পর্ষদে সদস্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় আগের নিয়োগ পাওয়া ৬ স্বতন্ত্র পরিচালকের। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, ডিএসইর পর্ষদে ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবেন। এই ৭ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগের স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে শুধু ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদের মেয়াদ এখনো রয়েছে।


সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে বেশি ডিএসই সূচক

ডিএসইতে মঙ্গলবারের লেনদেনের চিত্র। ছবি: ডিএসই ওয়েবসাইট
আপডেটেড ২৩ মে, ২০২৩ ২০:৪৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আগের দিনের মন্দা ভাব থেকে বের হয়ে দেশের পুঁজিবাজার দিয়েছে ছুট। মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে ছয় মাস পরে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের ঘর ছাড়িয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।

করোনাভাইরাস পরবর্তী ২০২১ সালে বড় উত্থান হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে। এরপরে ২০২১ সালের শেষের দিকে শুরু হয় পতন। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ৯০ পয়েন্ট। সেখান থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ কমে ছয় হাজারের নিচে নেমে আসে ডিএসই সূচক। সেটা গত বছরের জুলাই মাসের ঘটনা। সেখান থেকে আবার জোয়ার আসলেও ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টের ঘরে গিয়ে আবার কমতে শুরু করে সূচক।

গত বছরের নভেম্বরে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের নিচে নেমে যায় ডিএসই সূচক। এর পরে বহুবার ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টর খুব কাছাকাছি গিয়েও সেখান থেকে নেচে নেমে যায় ডিএসই সূচক। এক কথায় দেশের পুঁজিবাজারের একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা ছিল এই ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট। গত কয়েক সপ্তাহের সুবাতাসে এবার সেই বাধা পার করল দেশের পুঁজিবাজার।

সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ডিএসই সূচক বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট। সূচক হয়েছে ৬ হাজার ৩০৬ পয়েন্ট। এই সূচক গত সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে বেশি। এর আগে এরচেয়ে বেশি সূচক ছিল ২০২২ সালের নভেম্বরের ১০ তারিখ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্ট।

মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৯২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭০৭ কোটি ৪০ লাখ।

মঙ্গলবার মোট ৩৪৮টি শেয়ার লেনদেন হয় ঢাকার পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির কমেছে ৩৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৮টির।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন বিমা খাতে, ওষুধ আর পাট খাতে হাওয়া
গত কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় বিমা খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মঙ্গলবার। এদিনের মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ ছিল বিমা খাতে। এ দিন পাট খাতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ১২০ শতাংশ। আর ওষুধ খাতে লেনদেন বেড়েছে ১০০ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: বিএসসি, ইস্টার্ন হাউজিং, নাভানা ফার্মা, রূপালি লাইফ ইন্সুঃ, জেমীনি সী ফুড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিঃ, ওরিয়ন ইনফিউশন, মেঘনা লাইফ ইন্সুঃ, সিএলআইসিএল ও এডভেন্ট ফার্মা।

দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা প্রধান ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: চাটার্ড লাইফ ইন্সঃ কোং, জিকিউ বল পেন, ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুঃ, রহিম টেক্স, আরামিট সিমেন্ট, মেঘনা লাইফ ইন্সুঃ, মেঘনা ইন্সুঃ, এনটিসি, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও নরদান জুট।

দাম কমার শীর্ষে থাকা প্রধান ১০টি কোম্পানি হচ্ছে: যমুনা ব্যাংক, সিম টেক্স, স্ট্যান্ডাড ইন্সুঃ, নাভানা সিএনজি, নাভানা ফার্মা, আফতাব অটো, শ্যামপুর সুগার, জিলবাংলা সুগার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিঃ, ফারইস্ট নিটিং ও আরএসআরএম স্টিল।

মঙ্গলবার দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। এদিন সিএসই সূচক বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট। লেনদেন কমেছে ৫ কোটি। মোট শেয়ার লেনদেন হয় ২১৪ কোটি। দাম বেড়েছে ৯১টির। কমেছে ৩৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির।


সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও বেড়েছে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ৮৩১ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গতকাল সোমবার ডিএসইতে ৭৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০০ পয়েন্টে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৯টির।

অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। সিএসইতে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।


banner close