শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নতুন ব্যাংক খুলতে মূলধন লাগবে ৫০০ কোটি টাকা

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০২৩ ২৩:১৬

নতুন করে বাণিজ্যিক ব্যাংক চালু করার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইনে দেয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার এই সীমা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন এতদিন পর্যন্ত ছিল ৪০০ কোটি টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন ব্যাংক-কোম্পানি খোলার লাইসেন্সের জন্য যারা আবেদন করবেন তাদের জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

চালু ব্যাংকগুলোর জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয় কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক ব্যাংক তাদের মূলধন বাড়াতে পারেনি। এ কারণে তাদের জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও ব্যবসায়িক মন্দার কারণে তা বাস্তবায়ন করেনি।

আগামীতে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। আগের নিয়মে প্রচলিত ধারার ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন ছিল ৪০০ কোটি টাকা। তবে গত ৩ বছরে যেসব ব্যাংককে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উত্তীর্ণ করার শর্ত বেঁধে দিয়েছিল। আগের প্রায় সব ব্যাংক মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৩ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে শাখাভিত্তিক কার্যরত ব্যাংক-কোম্পানিসহ যেকোনো নতুন ব্যাংক-কোম্পানি স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করল। এ ছাড়া শাখাবিহীন ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করল।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গত বুধবার ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের নীতিমালা অনুমোদন করে। গত বৃহস্পতিবার তা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয়।


সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


এখন থেকে ডলারের দাম হবে বাজারভিত্তিক: গভর্নর

জুনের মধ্যে আইএমএফের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে ডলার-টাকার বিনিময় হার এখন থেকে বাজারনির্ভরভাবে নির্ধারণের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ আগামী জুন মাসের মধ্যে ১৩৩ কোটি ডলারের ঋণ কিস্তি পাবে বলেও জানান তিনি।

ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের দর-কষাকষি চলছিল। মূলত সে কারণে আইএমএফ ঋণের কিস্তি ছাড় করছিল না। এর মধ্যে গতকাল জানা যায়, বাংলাদেশ ডলারের বিনিময় আরও নমনীয় করতে রাজি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারে ঋণের দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করতে রাজি হয়েছে আইএমএফ।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত ৯ মাসে রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করা হয়নি, তবুও বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। এ অবস্থায় বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে ব্যাংকারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বাজারভিত্তিক করায় হঠাৎ করে ডলারের রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘদিন ধরে ডলারের রেট ১২২ টাকার আশপাশে রয়েছে এবং তা সেখানেই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ডলারের রেট দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা-সরবরাহ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে, বাইরের দেশের নির্দেশে নয়। বর্তমানে বাজারে ডলারের সরবরাহও পর্যাপ্ত রয়েছে।

তবে, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দুবাইভিত্তিক কিছু সিন্ডিকেট বাজারে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক থাকবে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. মো. হাবিবুর রহমান, কবির আহমেদ, উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ এবং নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

এদিকে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির জন্য নির্ধারিত ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে ছাড় করবে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সকল বিষয় সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা বিনিময় হারসহ অন্যান্য সংস্কার কাঠামো বিষয়ে সম্মত হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং বিনিময় হার ব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে অধিকতর পর্যালোচনার লক্ষ্যে চতুর্থ রিভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর উভয় রিভিউয়ের জন্য নির্ধারিত কিস্তির অর্থ একত্রে ছাড় করা হবে বলে বিগত তৃতীয় রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ রিভিউয়ের সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ব্যাংক-ফান্ড সভায় এবিষয়ে আলোচনা চলমান ছিল।

এ ছাড়া বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা জুন মাসের মধ্যে পাবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়া গেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে। ফলে মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসকল সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিবেচনায় পরিকল্পিত এবং জাতীয় স্বার্থে গৃহীত। এ সকল সংস্কার কর্মসূচির ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরি সহায়তা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।


জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করবে আইএমএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির জন্য নির্ধারিত ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে ছাড় করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সকল বিষয় সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা বিনিময় হারসহ অন্যান্য সংস্কার কাঠামো বিষয়ে সম্মত হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং বিনিময় হার ব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে অধিকতর পর্যালোচনার লক্ষ্যে চতুর্থ রিভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর উভয় রিভিউয়ের জন্য নির্ধারিত কিস্তির অর্থ একত্রে ছাড় করা হবে বলে বিগত তৃতীয় রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ রিভিউয়ের সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ব্যাংক-ফান্ড সভায় এবিষয়ে আলোচনা চলমান ছিল।

এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা জুন মাসের মধ্যে পাবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়া গেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো শক্তিশালী হবে। ফলে মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসকল সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিবেচনায় পরিকল্পিত এবং জাতীয় স্বার্থে গৃহীত। এ সকল সংস্কার কর্মসূচির ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরি সহায়তা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।


সূচকের পতনে চলছে তৃতীয় কার্যদিবসের লেনদেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের পতন দিয়ে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১ পয়েন্ট।

দিনের প্রথমার্ধের লেনদেনে ঢাকায় ১৪২ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৭ কোম্পানির শেয়ারদর।

সামগ্রিকভাবে ডিএসইতে প্রথমার্ধে মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ১৩৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও হয়েছে সূচকের কমেছে ; সার্বিক সূচক কমেছে ৬০ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে চট্টগ্রামের বাজারে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নিয়ে এবারের বাজেট করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নিয়ে কিংবা টাকা ছাপিয়ে এবারের বাজেট করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মোটামুটিভাবে বাজেটটাকে বাস্তবায়ন করবো। বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে বাজেট করব না। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে ধার করে ডেফিসিট দিয়ে এগুলা করব না। ব্যাংক থেকে বড় ঋণ করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা এসব করব না। কিছুটা তো ডেফিসিট থাকবে। সেটা আমরা আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাথে বসে প্রজেক্টের ব্যাপারে নেগোশিয়েট করবো।’

গতবারের চেয়ে বাজেট ছোট হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা সময় হলেই জানতে পারবেন।’

ক্রয় কমিটির নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তেলের একটু ঘাটতি আছে। আমরা রাইস ব্রান অয়েল আনার বিষয় কথা বলেছি। বেশিরভাগ প্রস্তাবগুলো পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। আমাদের নদীর পাড়গুলো ভেঙে গেছে, সেখানে আমরা প্রজেক্ট এপ্রুভ করলাম। নদীগুলো যদি আমরা সংরক্ষণ করি, তাহলে বর্ষা মৌসুমে দেখা যাবে রাস্তা ভাঙতে থাকবে। এর ৬টি প্রজেক্ট। আর বাকিগুলো খাদ্য গুদাম নিয়ে। আর এলএনজি আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সবার স্বার্থ রেখেই এনবিআরের নতুন অধ্যাদেশ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ে যে নতুন অধ্যাদেশ করা হয়েছে, সেখানে সবার স্বার্থ সংরক্ষিত আছে বলে মন্তব্য সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

কাস্টমস কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, তাদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে এনবিআরের অর্ডিন্যান্স করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাই না। তারা যা বলার বলবে। আপনারা বিষয়টা ভালো করে পড়বেন। দেখবেন তাদের স্বার্থ সংরক্ষিত আছে। সুতরাং তাদের দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। এনবিআরটা যেভাবে আছে, তাদের টার্মস অব রেফারেন্স অনুযায়ী একটা ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস।’

তিনি বলেন, ‘পলিসি ডিভিশন আর ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশন এক থাকে না। সব দেশেই আলাদা থাকে। পলিসি ডিভিশনটা একটু প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং জিডিপি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর এনবিআর করবে এটা ইমপ্লিমেন্ট। এনবিআর যদি এটা পলিসিও করে (যাদের কাজ হলো কালেক্ট করা), তাদের একটা ইন্টারেস্ট থাকে। আমি একটা পলিসি করলাম আবার আমি আদায়ও করলাম।’

সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি বলবো অধ্যাদেশ অন্তত সুচিন্তিতভাবে করা হয়েছে। ওদের সাথে যে আলাপ করা হয়নি; তা না। এনবিআরের হাজার হাজার লোকের সাথে তো আলোচনা করা যায় না। যারা মেম্বর বা সদস্য অবশ্যই তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আবার প্রশাসনের লোকের কিছু মন্তব্য আছে। তাদের সাথেও আলোচনা করা হয়েছে।’

রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি গতবারের তুলনায় রাজস্ব আদায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে৷ এটা হতাশাব্যাঞ্চক না। ফলে আমি আশা করছি, অন্তত গতবারের চেয়ে কম হবে না।’


অবশেষে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে সম্মত আইএমএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী জুন মাসে বাংলাদেশের জন্য ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুই কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।

ওয়াশিংটনে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠকের পর বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।

এর ফলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের আওতায় জুন মাসে ১৩০ কোটি ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ।

বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করা এবং কর-জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইস্যুতে মতানৈক্যের কারণে এতদিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এর আগে, ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। তারা এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ), এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পর্যালোচনা সম্পন্ন করে।

এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে আগামী বুধবার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হবে। গভর্নর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি এতে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।


পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।


সিএজি কার্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

আপডেটেড ১২ মে, ২০২৫ ১৮:১৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

১২ মে ২০২৫ বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫২তম বর্ষপূর্তি ও ৪ (চার) দিনব্যাপী (১২-১৫ মে, ২০২৫) সারা বাংলাদেশের সকল নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অফিসে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনলাইনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো: নুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সম্পদের যথাযথ কার্যকর ও মিতব্যয়ীতার সাথে ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেবা সহজীকরণ করে সেবাগ্রহীতাগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সার্ভিস অটোমেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন অফিসে আগত সেবা গ্রহীতাগণ, বিশেষ করে সম্মানিত পেনশনার ও সরকারি চাকুরিজীবী এবং অন্যান্য সেবা গ্রহীতাকে আন্তরিকতার সাথে এ ডিপার্টমেন্ট নিয়মিত সেবা প্রদান করে যাচ্ছে এবং সেবাগ্রহীতাগণ সহজে দ্রুত সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। তিনি সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে অধিকতর নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এস এম রেজভী, ডেপুটি সিএজি (সিনিয়র) মোঃ শরীফুল ইসলাম এবং সিজিডিএফ এএইচএম শামসুর রহমানসহ নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০২৫ উপলক্ষ্যে চারদিনব্যাপী (১২-১৫ মে ২০২৫ খ্রি.) "বিশেষ সেবা কার্যক্রম" চলছে। উক্ত কার্যক্রমে অডিট অধিদপ্তরসমূহে অডিট বিষয়ক সেবা এবং দেশব্যাপী সকল হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে বেতন-ভাতা, পেনশন, জিপিএফ ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে।


পুঁজিবাজার: লেনদেন শেষে সূচকের উত্থান, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পতন দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। তবে প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচকের সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার বাজার।

শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৮৯ কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।

দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরে পতন হয়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩ কোম্পানির।

২১ কোম্পানির ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। বেকন ফার্মা সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচক এবং কোম্পানির শেয়ারের দাম সন্তোষজনক হলেও লেনদেনে সুবিধা করতে পারেনি ডিএসই। সারাদিনে মোট ৩৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নর্দান ইসলামি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে সাড়ে ৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

চট্টগ্রামেও উত্থান

ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯১, কমেছে ৭১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২১ কোটি টাকার ওপরে।

৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে রয়েছে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স পিএলসি।


পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা

আপডেটেড ১১ মে, ২০২৫ ১৭:২৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই নির্দেশনাগুলো দেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা হচ্ছে:

সরকারের মালিকানা রয়েছে এমন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে সরকারের শেয়ার কমিয়ে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; বেসরকারি খাতের দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে প্রনোদনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; স্বার্থান্বেষী মহলের কারসাজি রুখতে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজার সংস্কার করা; পুঁজিবাজারে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের প্রত‍্যকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং বড় ধরনের ঋণ প্রয়েজন এমন ব‍্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব‍্যাংক ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে পুঁজিবাজার থেক বন্ড ও ইক্যুইটির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহে আগ্রহী করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ।

লুটপাটের মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে বেসামাল করে দেয়ার পেছনে গত কয়েক দশক ধরে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় না আনতে পারলে মানুষের আস্থা ফিরবে না জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শেয়ারবাজারকে যে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা অকল্পনীয়। আমাদেরকে অবশ্যই এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে।”

“শেয়ারবাজারের প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে এমন অবস্থায় ফেরাতে হবে যেন মানুষ আস্থা ফিরে পায়, এটা যেন লুটেরাদের আড্ডাখানায় পরিণত না হয়,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে অন‍্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।


বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন

আপডেটেড ৮ মে, ২০২৫ ১২:৩৭
ইউএনবি

গত দিনের দেড়শ পয়েন্ট সূচকের পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে উত্থান দিয়ে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২৫ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ৩৬৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের।

দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৫০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় আছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬৬ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ১২৭ কোম্পানির মধ্যে ৮০ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


সিঙ্গার বেকো নিয়ে এলো অভিনব “সলিউশন কার্ড”

আপডেটেড ৬ মে, ২০২৫ ১৬:৫৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদ উৎসবের প্রস্তুতির সময়ে গ্রাহকদের প্রয়োজন এবং অনুভূতির কে প্রাধান্য দিয়ে সিঙ্গার।বেকো নিয়ে এসেছে অভিনব “সলিউশন কার্ড” ক্যাম্পেইন।এই “সলিউশন কার্ড” এ গ্রাহকদের জন্য রয়েছে এমন সব আকর্ষণীয় ও দরকারি অফার, যা এই ঈদে গ্রাহকদের জীবনকে সহজ ও স্বস্তিময় করে তুলবে। ভোক্তা ও বাজার গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি এই "সলিউশন কার্ড" শুধুমাত্র একটি সেলস প্রোমোশন নয় এটি সিঙ্গার।বেকো এর গ্রাহক সেবা, সহানুভূতি এবং কঠিন সময়ে পাশে থাকার এক বাস্তব উদাহরণ।

ইতোমধ্যেই সারা দেশে এই ক্যাম্পেইন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আজ রাজশাহীর মোছা: জিন্নাতুনাছ একটি ফ্রিজার কেনার মাধ্যমে “সলিউশন কার্ড” স্ক্রাচ করে জিতে নিয়েছেন প্রথম "হাউসফুল অ্যাপ্লায়েন্স" অফার। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আরও অনেক গ্রাহক সিঙ্গার বা বেকো পণ্য কিনে সলিউশন কার্ডের আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন, যা তাদের ঈদ-উল-আযহার প্রস্তুতিকে করে তুলছে আরও সহজ ও স্বস্তিময় ।

যে কোনো সিঙ্গার বা বেকো স্টোর থেকে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা মাইক্রোওয়েভ ওভেন ক্রয় করলে গ্রাহকরা পাচ্ছেন একটি সলিউশন কার্ড। এই “সলিউশন কার্ড” স্ক্র্যাচ করেই গ্রাহকরা জিতে নিতে পারবেন সম্পূর্ণ হাউসফুল অ্যাপ্লায়েন্স অফার, যার মধ্যে রয়েছে একটি রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, গ্রাইন্ডার ও রিচার্জেবল ফ্যান। এছাড়াও গ্রাহকরা পেতে পারবেন যেকোনো একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ্লায়েন্স যেমন টিভি, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, রিচার্জেবল ফ্যান বা গ্রাইন্ডার জেতার সুযোগ । এছাড়াও সলিউশন কার্ডে আরো আছে এলপিজি গ্যাস বিল ডিসকাউন্ট, ঈদ বাজার ডিসকাউন্ট যা গ্রাহকদের উৎসব কে আরও অর্থবহ করে তুলবে। এই অফার ঈদের দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে।

সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, মি. এম এইচ এম ফাইরোজ বলেন, “সিঙ্গার।বেকোতে আমরা শুধুমাত্র পণ্য বিক্রি করি না আমরা গ্রাহকের সম্ভাব্য সমস্যার সমাধান দেবার চেষ্টা করি । সলিউশন কার্ড ক্যাম্পেইন এমন একটি উদ্যোগ, যা প্রমাণ করে আমরা গ্রাহকদের কথা শুনি , গ্রাহকদের প্রয়োজন বা সমস্যা গুলো বোঝার চেষ্টা করি । আমরা আমাদের গ্রাহকদের জীবনে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিশেষ করে ঈদ-উল-আযহার মতো তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে।”

ঈদের প্রস্তুতিকে আরও সহজ ও স্বস্তিময় করতে আজই আপনার নিকটস্থ সিঙ্গার বা বেকো স্টোরে যান অথবা ভিসিট করুন সিঙ্গারবিডি ডট কম ।


পুঁজি সংকটে বিপর্যস্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের শাসনামলে বছরের পর বছর লাগামহীন অনিয়মে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত হিমশিম খাচ্ছে দুর্বল মূলধন নিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে ব্যাংক খাতজুড়ে মূলধন ঝুঁকিজনিত সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) নেমে এসেছে মাত্র তিন দশমিক শূন্য আট শতাংশে। যেখানে আন্তর্জাতিক কাঠামো বাসেল থ্রি অনুযায়ী থাকা উচিত ন্যূনতম ১০ শতাংশ। তিন মাস আগেও এই হার ছিল ছয় দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালের জুনে ছিল ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

কিছু ব্যাংক এখনো তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী মূলধন ধরে রাখতে পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যাঅনুযায়ী এই খাতে রয়েছে বড় ফারাক। রাষ্ট্রায়ত্ত, ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে, অপরও দিকে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকগুলো অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে।

ডিসেম্বরের শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সিআরএআর ছিল ঋণাত্মক আট দশমিক ৪২ শতাংশ, ইসলামি ব্যাংকগুলোর ছিল ঋণাত্মক চার দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ছিল ঋণাত্মক ৪১ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ।

এর বিপরীতে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সিআরএআর ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো ৪২ দশমিক শূন্য নয় শতাংশ— যা বাসেল থ্রি কাঠামো অনুযায়ী ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তার অনেক ওপরে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা যায়।

সিআরএআর হচ্ছে একটি ব্যাংকের মূলধন ও তার ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের অনুপাত, যেখানে ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী সম্পদের হিসাব নির্ধারণ করা হয়।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি গোটা আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

তারা উল্লেখ করেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের আস্থা কমে যায় এবং সেই ব্যাংকগুলোর ক্রেডিট রেটিং কমে যায়। ফলে তাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর খারাপ ঋণের আসল পরিমাণ সামনে আসে। এই তথ্য উদ্ঘাটনের ফলে অনেক ব্যাংক আরও বড় আকারে মূলধন সংকটে পড়েছে।

২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ মোট ১৯টি ব্যাংক সম্মিলিতভাবে এক লাখ ৭১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়ে, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। এটা বেড়েছে মূলত তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের কারণে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, অনেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক এখন লোকসানে চলছে। তাদের জন্য ঋণ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, ‘তারা এখন অনেক ক্ষেত্রেই মূলধন ঠিক রাখার চেষ্টায় ঋণ দিতে পারছে না।’

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন করে বেশ কয়েকটি ব্যাংক পুঁজি ঘাটতিতে থাকা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এর বেশির ভাগই পতিত সরকারের সময় রাজনীতি সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, খারাপ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঋণের টাকা ফেরত না আসায় প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে যায়। এর ফলে মূলধন ঘাটতিও বহু গুণ বেড়ে যায়।

ব্যাংকগুলোকে তাদের পরিচালন মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ প্রভিশন হিসেবে রাখতে হয় ঋণের বিপরীতে এবং এই প্রভিশন পর্যাপ্ত না হলে মূলধন ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

২০২৪ সালের শেষে জনতা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ হাজার ৮৯০ কোটি টাকায়, যার প্রধান কারণ ছিল ৬৭ হাজার ১৪৮ কোটি টাকার খারাপ ঋণ-যা ব্যাংকটির বিতরণ করা মোট ঋণের ৭২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, জনতা ব্যাংকের প্রধান ঋণখেলাপিদের মধ্যে রয়েছে আননটেক্স, ক্রিসেন্ট, বেক্সিমকো, থারম্যাক্স ও এস আলম গ্রুপ। তাদের সম্মিলিত ঋণের পরিমাণ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১৮ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের চার হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের তিন হাজার ১৫০ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি ছিল।

এত বেশি মূলধন ঘাটতির কারণে একক ঋণগ্রহীতা সীমার আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এখন বড় অংকের ঋণ দিতে পারছে না।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংকের ১৫ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৩ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংকের ১২ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১১ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকের নয় হাজার কোটি টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের সাত হাজার ৭০০ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি ছিল।

এ ছাড়া, পদ্মা ব্যাংকের ঘাটতি চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা, এবি ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ২৫০ কোটি টাকা।

ব্যাংক সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য এবং ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, পুনরায় মূলধন জোগাড় করাই হচ্ছে সবচেয়ে সহজ সমাধান। ব্যাংক রেজলিউশন অর্ডিন্যান্স পাসসহ বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে।

তবে তিনি সতর্ক করেন, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থ ঢালার আগে অবশ্যই সেসব প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সরকার যদি পুনরায় মূলধন দেওয়ার কথা বিবেচনা করে, তার আগে সমস্যাসংকুল ব্যাংকগুলো থেকে অনিয়ম দূর করতেই হবে।’


banner close