রোববার, ৫ মে ২০২৪

ব্যাংকের বিনিয়োগের তথ্য চায় বিএসইসি

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন লাগো। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:০০

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা বা এক্সপোজার এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার পরে প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে কমিশনে জমা দেয়ার জন্য ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, ‘তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোকে (দুটি এক্সচেঞ্জের যেকোনো একটিতে তালিকাভুক্ত) পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত ফান্ডের বিনিয়োগ সম্পর্কে কমিশন এবং স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তথ্য সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

চিঠিটি ব্যাংকগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এক্সচেঞ্জ দুটিকে। এতে বলা হয়, ‘উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে এই চিঠিটি ছড়িয়ে দেয়ার এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তথ্যপ্রাপ্তির পরে প্রতি মাসের ৫ তারিখে বা তার আগে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধসের পর নানা সময় ব্যাংকে বিনিয়োগের সীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনা পদ্ধতি পাল্টানোর দাবি ছিল। কোনো শেয়ারের ক্রয়মূল্য বা বাজার মূল্যের মধ্যে যেটি বেশি, সেটি হিসাব করেই এই লিমিট গণনা করা হতো। এর ফলে শেয়ারের দর বেড়ে গেলে ব্যাংকগুলো তা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হতো। ফলে বাজারে শেয়ারের বিক্রয় চাপ তৈরি হতো।

এ কারণে শেয়ারের ক্রয়মূল্য ধরে এক্সপোজার লিমিট নির্ধারণের দাবি ছিল। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও এই সুপারিশ করে আসছিল। কিন্তু ফজলে কবির গভর্নর থাকাকালে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

আবদুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনোভাব পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এর মধ্যে গত ১৮ জুলাই এক্সপোজার লিমিটের হিসাব পরিবর্তনে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২ আগস্ট মন্ত্রণালয় থেকে ফিরতি চিঠিতে একটি কৌশলী মতামত দেয়া হয়।

এতে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকেই বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনার মত দেয়া হয়। ফলে এক্সপোজার লিমিটের সংজ্ঞায় বাজারমূল্য থাকলেও কার্যত ক্রয়মূল্যতেই সেটি নির্ধারণের সুযোগ তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সেই মত মেনেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনো ব্যাংক কোম্পানির একক ও সমন্বিত উভয় ভিত্তিতে শেয়ার ধারণের ঊর্ধ্বসীমা নিধারণে সংশ্লিষ্ট শেয়ার করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রে বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্রয়মূল্যকেই বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

তবে এক যুগের দাবি পূরণের পরও পুঁজিবাজারে যে হতাশা, তা কাটছে না। গত দুই মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৫০০ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও সেটি বেড়েছে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানির কারণে। পৌনে ২০০ কোম্পানির শেয়ার এখনো বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে। আর এই দরেও শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে না বললেই চলে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছে, তার মধ্যে ২০০টি কোম্পানি মিলিয়ে কেবল ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে। অন্যদিকে ১০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।


ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৬ হাজার কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ওই সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল বাজার। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি সব মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১৩৩টির ও ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বা দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৬৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৭৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচক বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৫১ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৪৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

আর ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে সূচটি কমে ৩৫ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

সবকটি মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭০৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৫২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। মোট লেনদেন কম হারে বাড়ার কারণ গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে: লাভেলো আইসক্রিম, ওরিয়ন ইনফিউশন, আইটি কলসালট্যান্ট, সোনালী আঁশ, গোল্ডেন সন, স্যালভো কেমিক্যালস ও ওরিয়ন ফার্মা।


ট্যানারির ৪৩ শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পান না

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্যানারি শিল্পের কাজে নিয়োজিত ৪৩ শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পান না। এ তথ্য উঠে এসেছে এই শিল্প খাতটি নিয়ে করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে। এ গবেষণায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন, তাদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি কত? তা তারা জানেন না।

আজ শনিবার ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও এসব তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

এ সময় মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে বর্তমানে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খরচ অনেক বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ট্যানারি বা চামড়া খাতের শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি। তবে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি শিল্পের মালিকরা বলছেন, এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, অশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ। এতে তিনি জানান, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্যানারি বা চামড়া খাতের একজন শ্রমিকের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মাসে ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা। আর খাদ্যবহির্ভূত খরচ ১২ হাজার ৯১৪ টাকা। প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারের গড়ে সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ৬ জন। এর মধ্যে উপার্জনক্ষম সদস্য ১ দশমিক ৫ জন। সেই হিসাবে শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘নানা সময়ে চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা কম হয়। সুতরাং মজুরি বাড়লে এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি।’

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘সিপিডির প্রস্তাবটি তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলেনি। তবু সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ খাতের সার্বিক অবস্থা উঠে এসেছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি মালিকপক্ষ ও মজুরি বোর্ডের কাছে দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়া খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিডির এমন প্রস্তাবনা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কারণ ডলারের দাম বাড়ার কারণে আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিপরীতে রপ্তানিতে চামড়ার ইউনিট মূল্য কমেছে। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি মজুরি নির্ধারণ করা হলে সেটি বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।

ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, বোর্ডে আলোচনা করে দেখা হবে মজুরি কতটা বাড়ানো সম্ভব। যাতে শিল্পটিকে এবং শ্রমিকরাও বেঁচে থাকেন সেটি বিবেচনায় রেখে বাস্তবায়নযোগ্য একটি বেতন কাঠামো দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

সিপিডির প্রস্তাবনায় ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য মোট পাঁচটি গ্রেডে মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম গ্রেডের জন্য ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং প্রথম গ্রেডের জন্য ৩৯ হাজার ২৭০ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।


ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের এডিএফ গঠনে সম্মতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দাতা সংস্থা ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশীয় উন্নয়ন তহবিল-১৪ (এডিএফ)-এর এবং কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল-৮ (টিএএসএফ)-এর জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভায় এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

নিম্নলিখিত উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলো এডিএফ-১৪ থেকে অনুদানের প্রাথমিক প্রাপক- মাইক্রোনেশিয়ার ফেডারেটেড স্টেটস, কিরিবাটি, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, মালদ্বীপ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, তাজিকিস্তান, টোঙ্গা, টুভালু ও ভানুয়াতু।

আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জনগণকে সহায়তা করার জন্য এবং বাংলাদেশে রূপান্তরমূলক প্রকল্পগুলোর জন্যও অনুদান পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অনুদান পাবে ভুটান, কম্বোডিয়া, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নিউই, পাকিস্তান, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর এবং উজবেকিস্তান।

দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এডিএফ হচ্ছে এডিবির সবচেয়ে বড় অনুদানের উৎস এবং প্রতি চার বছর পরপর তা পুনরায় পূরণ করা হয়। ২০২৫-২০২৮ সালের অনুদান কার্যক্রমকে সমর্থন করবে এডিএফ-১৪ তহবিল ১৩তম পুনঃপূরণ।

এডিএফ-১৪ পুনঃপূরণকৃত এডিএফ-১৩-তে প্রাপ্ত ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি এবং যোগ্য এডিবি সদস্যদের এডিএফ অনুদানের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরবরাহ করবে।

টিএএসএফ-৮ অনুদান সরবরাহ করবে, যা প্রকল্পগুলো প্রস্তুত, সক্ষমতা তৈরি ও প্রযুক্তিগত বা নীতি পরামর্শ সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

আজ শুক্রবার এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘আমাদের দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যরা সাম্প্রতিক উন্নয়নের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে চাইছে। ফলে তাদের জন্য অনুদান আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘এই অসাধারণ পুনঃপূরণ যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জরুরি উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবির সঙ্গে এডিএফ দাতাদের অব্যাহত অংশীদারত্বকে তুলে ধরে।’

এডিএফ-১৪ ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভঙ্গুর ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকা দেশগুলোকে নিবেদিত সহায়তা করতে অগ্রাধিকার দেয়।

এডিএফ-১৪ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক জনসাধারণের পণ্য এবং রূপান্তরমূলক লিঙ্গভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহায়তা কার্যক্রমে সক্ষম করবে। এটি তার সংকট প্রতিক্রিয়া শাখার মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সহায়তাও সরবরাহ করবে।

আড়াই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বা ৫১ শতাংশ পুনঃপূরণ দুটি নতুন দেশ- আর্মেনিয়া ও জর্জিয়াসহ দাতাদের অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। এডিবি এডিএফে তার নেট আয় স্থানান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। এডিএফ-১৩ তে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার থেকে এডিএফ-১৪ তে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে, যা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি।

অবশিষ্ট শূন্য দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে আগের এডিএফ চক্র থেকে স্থানান্তর এবং তারল্য বিনিয়োগ থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একইভাবে এডিএফ-১৪ মেয়াদে এডিবি ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণ প্রদান করতে চায়, যা দীর্ঘ ঋণ পরিশোধের সময়ে খুব কম সুদের হার রয়েছে।

সব মিলিয়ে এডিবি প্রতি ১ ডলার দাতাদের অনুদানের বিপরীতে ৮ ডলারের বেশি অনুদান ও রেয়াতি ঋণ দিতে পারবে।

যেসব রাষ্ট্র এডিএফ-১৪ তে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো হলো- আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লুক্সেমবুর্গ, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তাইপেই, চীন, তুর্কিয়ে, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


ফয়সাল খান সামিট করপোরেশনের নতুন এমডি

ফয়সাল খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এলএনজি অবকাঠামো ও জ্বালানি ট্রেডিং কোম্পানি সামিট করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন ফয়সাল খান। সামিট গ্রুপ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

ফয়সাল খান সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফরিদ খানের বড় ছেলে। তিনি ২০১৭ সাল থেকে সামিট করপোরেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন। ফয়সাল খান যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন (ইউসিএল) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং লন্ডন বিজনেস স্কুল (এলবিএস) থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০০৭ সালে সামিট গ্রুপে যোগদান করেন।

গত এক দশকে ফয়সাল খান সামিটের ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি ও এফএসআরইউ প্রকল্পের উন্নয়নে কাজ করেছেন। সিঙ্গাপুরের সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) পরিচালক এবং সামিট গ্রুপের অধীনে থাকা সব কোম্পানির পরিচালকের দায়িত্বে আছেন তিনি। বর্তমানে ফয়সাল খান বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) সভাপতি।

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ফয়সাল খান সামিট করপোরেশন এমডির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমি অনেক খুশি যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভালো ও সৎ মানুষ এবং চমৎকার ব্যবস্থাপক হিসেবে বেড়ে উঠেছে। কর্মক্ষেত্রে ফয়সাল আমার সঙ্গে ১৭ বছর ধরে আছে এবং এর আগে সে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছে। আর তাই এই পদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সে অবহিত। আমি নিশ্চিত তাঁর হাত ধরে সামিট আরও অনেক সামিটে (চূড়ায়) পৌঁছাবে।’

সামিট করপোরেশনের নবনিযুক্ত এমডি ফয়সাল খান বলেন, ‘আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি, কারণ আমি আমার চাচা ও সামিটের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খানের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়েছি। তাঁর (আজিজ খান) পরামর্শ, জ্ঞান আর নিঃশর্ত সমর্থন আমার পেশাগত জীবনে ভূমিকা রেখেছে এবং আমার ব্যক্তিগত জীবনকেও প্রভাবিত করেছে। সামিটের পরিচালনা পর্ষদ, বিনিয়োগকারী, সরকার ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করতে চাই।’

সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম অবকাঠামো উন্নয়কারী প্রতিষ্ঠান, যার অধীনে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, টেলিকমিউনিকেশনস, বন্দর ও আবাসন খাতের ব্যবসা আছে। সামিট করপোরেশন, সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ও জ্বালানি-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি।


দাম কমল এলপিজির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ২১:৫৯
ইউএনবি

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৪ টাকা ১ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বিইআরসি।

কেজিপ্রতি নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৬ টাকা ৮ পয়সা। আগেই এর দাম ছিল ১২০ টাকা ১৮ পয়সা। ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আগের ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এলপিজি সিলিন্ডারের আকারের ভিত্তিতে সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এই মূল্যহারের ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য সংশোধন করবে।

এ ছাড়া মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি ভ্যারিয়েন্টে অটো গ্যাস-এর দাম আগের লিটারপ্রতি ৬৬ টাকা ২১ পয়সার পরিবর্তে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই গ্যাসের বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।

আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ক্রমহ্রাস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দাম সমন্বয় করার সিদ্ধান্তটি এসেছে। বিশেষত যা সৌদি সিপি (চুক্তি মূল্য) বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। এটি প্রাথমিকভাবে মধ্য প্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানিকারী স্থানীয় অপারেটরদের জন্য একটি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে।


চলতি অর্থ বছরের ১০ মাসে এল রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে আবারও রেকর্ড গড়েছেন। একক মাস হিসেবে সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া গত দুই বছরের তুলনায় এবার প্রবাসী আয় অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার বেশি পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম ১০ মাসে (জুলাই -এপ্রিল) প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৯ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তারা পাঠিয়েছিলেন ১৭ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ১৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে ১০ মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। একক মাস হিসাবে এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশের বেশি।

গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের এই ধারা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। আগামী কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা আরও বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাবেন বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এপ্রিল মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১১ কোটি বা ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৭ কোটি ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স।

অবশ্য এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। ২০২১-২২ অর্থবছরেও প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৫:১০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মে মাসের জন্য ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের খুচরা মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুচরা গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নতুন এই দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। আজ ১ মে থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় মূল্য বাড়বে-কমবে এবং প্রতি মাসে সরকার এক মাস মেয়াদে এ ধরনের দাম ঘোষণা করবে।

নতুন দামে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৭ টাকা করা হয়েছে, পেট্রোল প্রতি লিটার আড়াই টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং অকটেন ১২৬ টাকা থেকে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দামও বাড়িয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ঘনমিটারে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ঘনমিটারে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১ মে অর্থাৎ আজ বুধবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে।

এর আগে গত ১ মার্চ দেশব্যাপী জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে 'জ্বালানি মূল্য নির্দেশিকা' জারি করে সরকার।


২৮.৯ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে আইডিবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশকে ২৮ দশমিক ৯ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ দেবে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা অনুযায়ী)।

আজ মঙ্গলবার সৌদি আরবের রিয়াদে আইডিবির পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক সভা চলাকালে বাংলাদেশ সরকার ও আইডিবির মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়। ‘রুরাল অ্যান্ড প্রি-আরবান হাউজিং ফাইন্যান্স প্রজেক্ট-সেকেন্ড ফেইজ’ শীর্ষক প্রকল্পে এ ঋণ দিচ্ছে আইডিবি। প্রকল্পটি ৫ বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

ঋণ চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং আইডিবির পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মনসুর মুহতার সই করেন। ওই সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং আইডিবি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মদ আল জাসের উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের পল্লী ও শহরতলি এলাকায় বসবাসরত নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিতকল্পে সাশ্রয়ী গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান করা হবে। এতে গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।


টানা সাত দফায় কমল সোনার দাম

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হুর হুর করে বেড়ে যাওয়া স্বর্ণের দাম আবার নিম্নমুখী হওয়া শুরু করেছে। এতে করে সাধারণ ক্রেতারা বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে জানা যায়। গত কয়েকদিন ধরে সোনার দাম ক্রমান্বয়ে কমতে থাকায় ক্রেতারা স্বর্ণ কেনায় আগ্রহ বাড়ার কথা জানান বিক্রেতারা। জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এক দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবারও কমানো হয়েছে। এ নিয়ে টানা সাত দফায় কমে স্বর্ণের দাম।

সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৪২০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। আজ বিকেল ৪টা থেকে এ দাম কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

মঙ্গলবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪২০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩৩৮ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৮৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২৮০ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৫৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৬ষ্ঠ দফায় দাম কমিয়ে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৬ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪৪ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ২০১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৯৩ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


গত বছর এডিবি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২৩৬০ কোটি ডলার সহায়তার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:২৬
বাণিজ্য ডেস্ক

টেকসই উন্নয়নে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অগ্রগতিতে সহায়তার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২০২৩ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে ২৩.৬ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এর মধ্যে জলবায়ু মোকাবিলায় রেকর্ড পরিমাণ ৯.৮ বিলিয়ন বা ৯৮০ কোটি ডলার রয়েছে।

এডিবির ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে তাদের আর্থিক ও পরিচালন খাতের তথ্যে এই পরিসংখ্যান তথ্য রয়েছে। প্রতিবেদনটি গত রোববার প্রকাশিত হয়েছে। জলবায়ু সংকটের অবনতির পাশাপাশি সংঘাত, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও ঋণের বোঝা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবি কীভাবে উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে (ডিএমসি) সহায়তা করেছে, তার সারসংক্ষেপ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, এডিবি জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বার্ষিক সর্বোচ্চ অর্থায়ন করে, এ অঞ্চলের জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে তার পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘অভিযোজন ও প্রশমনে আমাদের বিনিয়োগের ওপর জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কার্বন অপসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

২৩.৬ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে রয়েছে- সরকারি ও বেসরকারি খাতকে দেওয়া ঋণ, অনুদান, ইক্যুইটি বিনিয়োগ, গ্যারান্টি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা। নিজস্ব সম্পদের সম্পূরক হিসেবে এডিবি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সহ-অর্থায়ন হিসেবে অতিরিক্ত ১৬.৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চমানের জ্বালানি, পরিবহন এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে এডিবি প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য বর্ধিত সহায়তার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানব মূলধন আরও বাড়িয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা করা ব্যাংকের কাজের মূল ভিত্তি হিসেবে অব্যাহত রয়েছে, ২০২৩ সালে এর প্রায় সব কার্যক্রম জলবায়ু পরিবর্তনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ লিঙ্গ প্রভাবগুলো প্রশমিত করতে সহায়তাসহ অবশিষ্ট ভারসাম্যহীনতা কমাতে অবদান রেখেছে। প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, কীভাবে এডিবি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দিকে অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার সহায়তাকে বিকশিত করতে সাহায্য করতে পারে। ২০২৩ সালে চালু করা গুরুত্বপূর্ণ মূলধন ব্যবস্থাপনা সংস্কারগুলো পরবর্তী দশকে নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষমতায় ১০০ বিলিয়ন ডলার উন্মুক্ত করে ব্যাংকের ভবিষ্যতের ঋণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে। এডিবি ২০২৩ সালে নতুন যে কার্যক্রম পদ্ধতি চালু করতে শুরু করে, তা তাদের গ্রাহকসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকটির একটি প্রজন্মগত রূপান্তর।

আসাকাওয়া বলেন, ‘আমাদের নতুন কার্যক্রম ধারণাটি এডিবি’কে আমাদের ডিএমসিগুলোকে আরও ভালো, দ্রুত এবং আরও উপযোগী সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় মূল পরিবর্তনগুলো করতে সক্ষম করেছে।’

এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবির ৬৮ সদস্যের মধ্যে ৪৯টিই এ অঞ্চলের।


ছয় দফায় সোনার দাম ভরিতে কমল ৭,৯৬৭ টাকা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ আজ সোমবার ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এতে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এবং ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল পাঁচ দফা সোনার দাম কমানো হয়। ২৮ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ৩১৫ টাকা কমানো হয়। ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে ছয় দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা কমল।

আজ বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা গতকাল বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৬ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৪৫ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৯৩ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২০ হাজার ৫৩৩ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে গত রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩১৫ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১২ হাজার ৩১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩০৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২৫৬ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২১০ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ দামে সোনা বিক্রি হবে।

সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


লবণ উৎপাদনে নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, কৃষির মতো অনেক খাতে সংকট তৈরি হলেও লবণ খাতে উৎপাদন বেড়েছে। প্রখর রোদ ও উত্তাপের কারণে অল্প সময়ে মাঠ থেকে লবণ আহরণ করা যাচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে রেকর্ডভাঙা উৎপাদনের সম্ভাবনা কড়া নাড়ছে এ খাতে।

লবণ চাষের মৌসুম শেষ হতে আরও ১৮ দিন বাকি। এর মধ্যে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৪ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয়েছে। অথচ চলতি মৌসুমের শুরুতেও ঘূর্ণিঝড়সহ বৈরী আবহাওয়া কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম লবণ উৎপাদন হয়েছিল।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) লবণ সেলের প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরোয়ার হোসেন বলেন, শিল্পকারখানা বাড়ায় চলতি মৌসুমে লবণের চাহিদা বেড়েছে। এর ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও বেড়েছে।

তিনি বলেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনের আশা করছি এবার।

বিসিকের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মোট ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে লবণ চাষ করেছেন মোট ৪০ হাজার ৬৯৫ জন কৃষক। চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।

গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট লবণ উৎপাদন হয়েছে ২১ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৩ সালের একই দিন পর্যন্ত উৎপাদন ছিল ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ৯.৮ শতাংশ।

গত মৌসুমে ৬৬ হাজার ৪২০ একর জমিতে রেকর্ড ২২ লাখ ৩০ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। শিল্প-সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, তীব্র দাবদাহের কারণে আবারও সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে দেশের লবণ খাত।

সাধারণত নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদন ও আহরণ হয়ে থাকে।

সাধারণত মাঠ থেকে লবণ আহরণের উপযোগী হতে ১৪ দিন সময় লাগে। তবে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রাভেদে মাত্র ৪ থেকে ৯ দিন পর্যন্ত লাগে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশব্যাপী তাপপ্রবাহ বইছে। চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় তুলনামূলক কম সময়ে লবণ আহরণের উপযোগী হয়ে উঠেছে। গত কদিন ধরে ২-৩ দিনেই লবণ তোলা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

গত কয়েক দশক ধরে দেশে লবণ চাষের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো। সিংহভাগ উৎপাদন হয় কক্সাবাজারে। চলতি মৌসুমে কক্সবাজারে ৫৯ হাজার ৫০০ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষ হয়েছে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া এলাকার চাষি নূর কাদের চলতি মৌসুমে ছয় একর জমিতে লবণ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, গরম পড়ায় আমরা দুই-তিন দিনে লবণ আহরণ করতে পারছি। ভালো মানের ও বেশি লবণ চাষ করা সম্ভব হয়েছে এবার।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, লবণ চাষের জন্য রোদ, গরম ও বাতাস প্রয়োজন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে আছে। এ জন্য লবণ উৎপাদন অনেক ভালো হচ্ছে।

বিসিকের লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমের শুরুতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে লবণ উৎপাদন কম ছিল। আমরাও চিন্তিত ছিলাম। সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় চলতি মৌসুমে লবণ আমদানির অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। চাহিদার বেশি উৎপাদন সম্ভব।

দেশে লবণ চাষিরা এক মৌসুমে প্রতি একর জমি থেকে মোট ৩০০ মণ লবণ আহরণ করেন। বিপরীতে জমির ইজারা ও প্লাস্টিকের পলিথিনের ব্যয় ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি ৩ একর জমির জন্য এক লাখ টাকা চুক্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রতি একর জমিতে লবণ চাষের পেছনে মোট ব্যয় হয় ৯০-৯৩ হাজার টাকার মতো।

উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় তুলে বেশি লাভের আশায় কিছু কৃষকের মধ্যে অপরিপক্ব ও অপুষ্ট অবস্থায় মাঠ থেকে দ্রুত লবণ তোলার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। ফলে লবণের মান খারাপ হয়। পাশাপাশি পরিশোধনের সময় অপচয়ের হারও বাড়ে।

লবণ পরিশোধনের মিল মালিকরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে সাধারণ মিলগুলোতে লবণ পরিশোধনে ঘাটতি থেকে যেত ৫ থেকে ১০ শতাংশ। কিন্তু লবণের দাম বৃদ্ধি এবং বিপরীতে চাষের ব্যয় বৃদ্ধি প্রভাবে বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ব ও অপুষ্ট থাকা অবস্থায় মাঠ থেকে লবণ আহরণ করছেন চাষিরা। ফলে মিলে আসা লবণে ঘাটতি থাকছে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

বিশেষ করে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে লবণের চাহিদার বিপরীতে যখন উৎপাদন কম থাকে, তখন এ প্রবণতা দেখা যায়। তখন প্রতি মণ কাঁচা লবণ ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

তবে ভরা মৌসুমে, অর্থাৎ বর্তমানে প্রতি মণ কাঁচা লবণ ৩২০ টাকায় কিনছেন মিল মালিকেরা—গত বছর একই সময়ে যার দর ছিল ৪২০ টাকা।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, ভালো গরম পড়ার পাশাপাশি বাতাসও আছে। আশা করছি, লবণের মান কিছুটা বাড়বে।

বিসিকের লবণ সেলের প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরোয়ার হোসেন লবণ পরিশোধনের সময় কয়েক বছর ধরে প্রসেস লসের হার বেড়েছে বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই হার কমে আসে। এবার অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এই হার আরও কমবে। আশা করছি, ধীরে ধীরে প্রসেস লসের হার আরও কমবে।’


গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

বিএসইসি চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনিয়োগ পেয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নের্তৃত্বাধীন কমিশন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। পুনঃনিয়োগ পেয়েই গুজব রটনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে যাচ্ছে তার নেতৃত্বাধীন কমিশন। এ লক্ষ্যে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে ভুয়া ও অসত্য তথ্য বা গুজব প্রকাশ অথবা প্রচার থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে আজ রোববার সতর্ক বার্তা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে যারা ভুয়া ও অসত্য তথ্য বা গুজব প্রকাশ বা প্রচারে জড়িত রয়েছেন কিংবা আগামীতে জড়িত থাকবেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু ভিত্তিহীন গুজব ও অসত্য তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যার কোনও ভিত্তি নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দেশের পুঁজিবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়মিতভাবে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভুয়া ও অসত্য তথ্য বা গুজব প্রকাশ অথবা প্রচারের উপর সতর্ক নজর বজায় রাখছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেটে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশ, শেয়ার দরের পূর্বাভাস কিংবা ভবিষ্যদ্বাণীসহ যে কোনো ধরনের অসত্য তথ্য ও গুজব প্রকাশ বা প্রচার আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে এ ধরনের ভুয়া ও অসত্য তথ্য বা গুজব প্রকাশ অথবা প্রচার থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে সতর্ক করা হলো।

উল্লেখ্য, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম নিয়ে কারাসাজি এবং গুজব রটনাকারী চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন - মো. আমির হোসাইন ওরফে নুর নুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২) এবং আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাঁদাবাজিসহ বাজার অস্থিতিশীল করতে নেতিবাচক ভুমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গেপ্তারকৃতদের মধ্যে আমির হোসাইনের (ছদ্মবেশী নাম নূর নূরানী) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য দমণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১১টি মামলা রয়েছে। নুরুল হক হারুন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিত করে কোম্পানিগুলোতে চাঁদাবাজি করত। ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮-১০ টি গ্রুপ চালায় সে। অন-লাইনে তার অনেক ফলোয়ার। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি তিনি। এ পরিষদের নামে তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন। আর আব্দুল কাউয়ুম রয়েল ক্যাপিটাল নামক একটি ব্রোকারেজ হাউজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। হোয়াটস্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে তিনি বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন।


banner close