অগ্রণী ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (এবিটিআই) কর্তৃক আয়োজিত ক্রেডিট অপারেশন ও ক্রেডিট ম্যানেজমেন্টবিষয়ক ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গতকাল রোববার এবিটিআইয়ে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচির উদ্বোধন ও সেশন পরিচালনা করেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবীর। এ সময় তিনি সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, ঋণ বিতরণ এবং ঋণ আদায়ের ওপর প্রশিক্ষণার্থীদের বিশেষ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
ওই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (এইচআরপিডিওডি) আমিনুল হক। উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বিভিন্ন শাখার ৬২ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
National Single Window (NSW) প্রকল্প কর্তৃক “Celebrating Half a Million CLPs & Seminar on Paperless Customs & Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers” শীর্ষক অনুষ্ঠান ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, লা মেরিডিয়ান, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মাননীয় উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শেখ বশির উদ্দিন, মাননীয় উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত জনাব লুৎফে সিদ্দিকী এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মো: আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ, সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ/উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা BSW প্ল্যাটফর্মের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
BSW সিস্টেমটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানিকারকগণের খরচ হ্রাস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গত ০২ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি: তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে BSW পোর্টাল উদ্বোধন ও আংশিকভাবে সিস্টেমটি চালু করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে, সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী ১৯ টি সংস্থার মধ্যে ৭ টি সংস্থার (DoE, DGDA, EPB, DoEX, BNACWC, BEPZA and BEZA) ক্ষেত্রে Go-Live এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে অন্য ১২ টি সংস্থাও (BAEC, BGMEA, BKMEA, BSTI, BTRC, CAAB, , DLS, , DoF, PQW, , BAERA, BIDA, CCIE) BSW সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে এবং অনলাইনে সাটির্ফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট প্রদানের কার্যক্রম সম্পাদন করছে।
বিগত ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হতে পরিপত্র জারীর মাধ্যমে সকল সংস্থার (১৯ টি) ক্ষেত্রেই BSW সিস্টেম এর মাধ্যমে CLP প্রদানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। BSW এর মাধ্যমে এ পযর্ন্ত মোট ৫,৭৮,৪৯১টি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট অনলাইনে ইস্যু করা হয়েছে।
অনলাইনে ইস্যুকৃত এসব সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটসমূহের মধ্যে ৮৪ শতাংশের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের ১ ঘণ্টার মধ্যে এবং ৯৫ শতাংশের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের ১ দিনের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো:
• Celebrating Half a Million CLPs: BSW প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ০৫ (পাঁচ) লক্ষ সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (CLP) ইস্যুর মাইলফলক অতিক্রম করায়, এ কৃতিত্বপূর্ণ অর্জন উদযাপন করা হয়। এছাড়াও BSW এর কার্যকারিতা এবং ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য এর প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো তুলে ধরা হয়। অধিকন্তু সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (CLP) ইস্যুর ফলে বিভিন্ন অংশীজনদের অভিজ্ঞতা ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
• Seminar on Paperless Customs: বাংলাদেশের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পেপারলেস Customs. WTO –TFA Agreement এর আর্টিকেল ১০.৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ কাস্টমস এর রূপরেখা হিসেবে Paperless Customs বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। Paperless Customs বাস্তবায়ন হলে পন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে ।
• Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers: বিগত কর বছরে সর্বাধিক অনলাইন রিটার্ন দাখিলকারী ০৫ টি প্রতিষ্ঠানকে “e-Return Champion” সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ১) সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ২) ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ৩) ব্র্যাক, ৪) বুরো বাংলাদেশ, ৫) রেনেটা পিএলসি
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন অংশীজনগণ তাঁদের বক্তব্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
NSW প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে BSW এবং e-Return সিস্টেমের অধিকতর উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রকল্প দুটি সফল করার ক্ষেত্রে সকল সহযোগী সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, বেসরকারি খাতের সকল অংশীজন এবং সম্মানিত সকল করদাতাগণের দৃঢ় ভূমিকার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
রাজশাহী উপশহরে নতুন একটি উপশাখা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাজশাহী উপশহরে দড়িখরবোনা রোডের মনোয়ারা ম্যাক্স টাওয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উপশাখাটি উদ্বোধন করেন।
ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও মো: সাব্বির হোসেন, সিনিয়র জোনাল হেড ফর নর্থ এ. কে. এম. তারেক এবং ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থকরী ফসল - আম ও রেশমের মতো জন্য বিখ্যাত। এই উপশাখা চালুর ফলে এখানকার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকরা অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের মাল্টি-চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউশন স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবে উপশাখা নেটওয়ার্ক চালু করেছে।
নতুন উপশাখাটি একটি বিস্তৃত পরিসরে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার ব্যবস্থা করবে, যা একক ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে। এখানে গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট খোলা, নগদ জমা ও উত্তোলন, ডিপোজিট পেনশন স্কিম, ইএফটিএন (EFTN) ও আরটিজিএস (RTGS) ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রেমিটেন্স, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইল, কনজিউমার লোন, ডেবিট কার্ড ও চেকবুক প্রসেসিং, আস্থা অ্যাপ নিবন্ধন, স্কুল ব্যাংকিং, সঞ্চয়পত্র এবং আরও অনেক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন, তবে বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত সেবা এখানে প্রদান করা হবে না।
২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস ও ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসিতে সর্বস্তরের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য শরীয়াহ্ নীতিমালার আলোকে আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে। এ সকল আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্পে সকলের বেশ আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। নিজ নিজ প্রয়োজনানুসারে ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্প সমূহের সেবা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ব্যাংক সর্বস্তরের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানকে জানাচ্ছে সু-স্বাগতম।
জনাব আখতারুদ্দিন মাহমুদ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি-তে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা পদে যোগদান করেছেন।
জনাব মাহমুদ ব্যাংকিং ও ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস (এফএমসিজি) সেক্টরে মানবসম্পদ নেতৃত্বে দুই দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক। ব্যাংক এশিয়ায় যোগদানের পূর্বে তিনি ব্র্যাক ব্যাংকে হেড অফ হিউম্যান রিসোর্সেস হিসেবে কর্মরত ছিলেন, যেখানে তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার কৌশলগত নীতি, সাংগঠনিক সংস্কৃতি শক্তিশালীকরণ এবং ট্রান্সফরমেটিভ এইচআর প্র্যাকটিস চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সাংগঠনিক উন্নয়ন, প্রতিভা বিকাশ ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং কর্মীর উদ্যোগকে ব্যবসায়িক কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ক্ষেত্রে জনাব মাহমুদ ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষভাবে পরিচিত। তার মানবসম্পদ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠানে শক্তিশালী টিম গঠন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তার যোগদান ব্যাংক এশিয়ার কর্মকৌশলকে ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সমন্বয় করার অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করা এবং নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। জনাব মাহমুদ একজন এক্সিকিউটিভ এমবিএ এবং এভিয়েশনে স্নাতক ডিগ্রীধারী।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করতে বিকাশ ও বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। ঢাকা’র পর বিভাগীয় এই শহর দু’টির উৎসবে প্রায় ১০০টি স্কুলের ১৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠে বিজ্ঞান চর্চার এই আয়োজন।
সম্প্রতি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাজশাহীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ -এ আয়োজিত এই উৎসবে দুই বিভাগ থেকে ১২০টির বেশি প্রকল্প প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্য থেকে প্রতিটি বিভাগে সেরা দশ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, রংপুর উৎসবে কুইজে অংশগ্রহণকারী ৮০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে ২৫ জন ও রাজশাহীতে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রংপুরে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন ড. মিজানুর রহমান, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. কে এম জালাল উদ্দীন আকবর ও বিকাশ এর ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ুন কবির। রাজশাহীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি ও বিকাশ এর রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার ।
বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, বিজ্ঞান ভিত্তিক জাদুর প্রদর্শনী, লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে ও কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকে বীমা আবেদনের ঝুঁকি পর্যালোচনা বা আন্ডাররাইটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইমেইলের মাধ্যমে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট পেয়ে যাবেন। এই উদ্যোগ দেশের বীমা খাতে গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
সাধারণত, বীমা আবেদনের ঝুঁকি পর্যালোচনার পর কাগজে প্রিন্ট করা পলিসি ডক্যুমেন্ট গ্রাহককে সরবরাহ করতে কয়েকদিন সময় লাগে। এই নতুন উদ্ভাবনের ফলে এখন গ্রাহকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইমেইলে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট পাবেন, যা তাদের জন্য আরও অনেক সুবিধাজনক হবে। উল্লেখ্য, গ্রাহক কাগজে ছাপানো পলিসি ডকুমেন্টও পাবেন। গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে এই ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হবে।
ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্টে থাকবে গ্রাহকের পূরণকৃত আবেদনপত্র, বীমা পলিসির বিস্তারিত তথ্য, একটি স্বাগত বার্তা এবং শর্তাবলি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ডক্যুমেন্টের মতো, বীমা সম্পর্কিত ডক্যুমেন্টও সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। ডিজিটাল চ্যানেল যুক্ত হওয়ায় এখন গ্রাহকরা আরও সহজে তাদের বীমা ডক্যুমেন্ট নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
“মেটলাইফে, আমাদের লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের জন্য বীমা সহজ, দ্রুত এবং আরও সহজলভ্য করা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট ইস্যু চালু করে, আমরা কেবল প্রক্রিয়াটি দ্রুততর-ই করছি না, সেই সাথে গ্রাহকদের বীমা অভিজ্ঞতায় নতুনত্ব নিয়ে আসছি। এই উদ্ভাবনটি সুরক্ষা এবং সুবিধার সমন্বয় করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায় এবং নিশ্চিত করে যে আমাদের গ্রাহকরা যেন তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে মনোনিবেশ করতে পারেন,” আলা আহমদ, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, মেটলাইফ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে মেটলাইফ প্রায় ১০ লাখ গ্রাহককে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে আসছে। মেটলাইফের বিস্তৃত জীবনবীমা সেবা এবং ডিজিটাল উদ্যোগ দেশের আর্থিক নিরাপত্তা ও আস্থার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
দেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা নিজস্ব ব্যাকিং অ্যাপ ‘সিটি টাচ’ থেকে সরাসরি গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পলিসি কিনতে পারবেন। নতুন এই ফিচারটির মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের পলিসি সম্পর্কে জানা, তাৎক্ষণিক পলিসি কেনা, এমনকি ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম জমা দিতে পারবেন। ইন্স্যুরেন্স খাতে এই নতুনত্ব প্রমাণ করে যে, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স একত্রিত হলে তা গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা এবং আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে।
গার্ডিয়ান এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম এফসিএ বলেন, “ইন্স্যুরেন্সকে সবার জন্য সহজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবে জীবন ও স্বপ্নকে সুরক্ষা দিতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে আমরা দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করছি। এ অংশীদারিত্বের ফলে গ্রাহকেরা খুব সহজেই অনলাইনে এখন তাদের ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।”
সিটি ব্যাংকের ডিএমডি এবং হেড অফ রিটেল ব্যাংকিং মোঃ অরূপ হায়দার বলেন, “সিটি ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক যারা বাজারে ব্যাংকান্সুরেন্স চালু করে। স্থানীয় ব্যাংকিং ইন্ডাষ্ট্রিতে ডিজিটাল সমাধান আনার ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে আছি। তাই ব্যাংকিং অ্যাপে সরাসরি বীমা পণ্য চালু করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক হওয়া একটি স্বাভাবিক অগ্রগতি ছিল, যার ফলে আমাদের গ্রাহকদের বিস্তৃত পরিসরের আর্থিক সমাধান প্রদান করা হচ্ছে।”
গার্ডিয়ান সব সময় ইন্স্যুরেন্সকে আরও সহজলভ্য ও স্বচ্ছ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের সেবার অনুশীলন অনুসরণ করে আসছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সূচনা দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স খাতে গার্ডিয়ানের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবনবীমা প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর সাথে একটি পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য আধুনিক, নিরাপদ ও সুবিধাজনক পেরোল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে প্রাইম ব্যাংক। কৌশলগত এই অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে না, ভবিষ্যতে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরও সহযোগিতার পথ সুগম করবে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও স্পন্সর ডিরেক্টর জাকারিয়া আহাদ।
এ সময় প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন- এসইভিপি ও হেড অব ডিস্ট্রিবিউশনস মামুর আহমেদ; হেড অব পেরোল ব্যাংকিং হাসিনা ফেরদৌস; রিলেশনশিপ অফিসার ধীমান বর্মন। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদ সাইদুল আমিন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর; আব্দুল্লাহ আল-মানসুর, এসইভিপি ও কোম্পানি সেক্রেটারি; মো. গাজিউর রহমান বখতিয়ার, ইভিপি ও হেড অব এইচআর; শাখাওয়াত হোসেন, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এবং আলিমা আক্তার খানম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মৌলভীবাজারের ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. কর্তৃক আয়োজিত এএমএল/সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (এএমএল এবং সিএফটি) প্রতিরোধ” শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের মোট ৯০ জন ব্যাংকার অংশগ্রহণ করেন।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. মোস্তাকুর রহমান। কর্মশালার সেশনসমূহ পরিচালনা করেন বিএফআইইউ এর দক্ষ ও অভিজ্ঞ রিসোর্স পার্সনগণ, যাদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইমানুর হাসান এবং উপ-পরিচালক মো. মুশফিকুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডিএমডি ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইকবাল হোসেন এবং প্রাইম ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. হুমায়ুন কবির।
কর্মশালায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন: আইন ও বিধির নির্দেশাবলী, কেওয়াইসি, লেনদেন মনিটরিং, ক্রেডিট ও ট্রেড বেইজড মানিলিন্ডারিং প্রতিরোধে বিষয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটি ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য, প্রশিক্ষণ সেশনের পরে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেরা পারফর্মারদের পুরষ্কার প্রদান এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরিশেষে, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং বিএফআইইউ জাতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকিং খাতের প্রস্তুতি আরও জোরদার করার জন্য এই ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সকলের বিশ্বস্ত স্মার্ট লাইফ ব্র্যান্ড আইটেল, বাংলাদেশে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোন সুপার ২৬ আলট্রা খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে। ২০,০০০ টাকার সেগমেন্টের এই ডিভাইসটি উন্নত ডিজাইন, ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ডিসপ্লে, টেকসই নির্মাণ ও শক্তিশালী এআই ফিচারের সমন্বয়ে এই ক্যাটাগরিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে; একইসাথে, এটি সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
নতুন সুপার ২৬ আলট্রা ডিভাইসটি ৬.৮ মিলিমিটারের সুপার স্লিম ডিজাইনে নিয়ে আসায় হাতে আরামদায়ক অনুভূতি দেয় এবং প্রতিদিনের ব্যবহারেও থাকে কার্যকর। এর থ্রিডি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে ১.৫কে রেজল্যুশন ও ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেটের সাথে রয়েছে ৪৫০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস; যা ইনডোর, আউটডোর বা উজ্জ্বল সূর্যালোকের মধ্যেও চমৎকার ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত করে। এতে ব্যবহৃত কর্নিং গরিলা গ্লাস ৭আই ও টাইটানশিল্ড আর্কিটেকচার ডিভাইসে অতিরিক্ত শক্তি যোগ করে এবং রেইন অ্যান্ড স্প্ল্যাশ রেজিজট্যান্স ফোনটিকে প্রতিদিনের চাহিদা পূরণের উপযোগী করে তোলে।
এছাড়াও, অতিরিক্ত ফিচার হিসেবে এনএফসি ওয়ান-টাচ শেয়ারিং, ১.২ কিলোমিটার আলট্রা-লিংক কানেক্টিভিটি ও ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল ফোনটিকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তোলে। এর সুবিশাল ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সারাদিনের নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার নিশ্চিত করে। এটি স্লিম এই ফোনটিকে স্টাইলিশ ও টেকসই করে তোলে।
সফটওয়্যারের দিক থেকেও সুপার ২৬ আলট্রায় সর্বাধুনিক এআই ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রতিদিনের স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এর এআই ইমেজ এডিটর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফটো অর্গানাইজ করে ও পোর্ট্রেট উন্নত করে; এতে ব্যবহৃত সিনেমাটিক ভ্লগ জেনারেটর সেকেন্ডের মধ্যেই পেশাদার মানের ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম; এআই ক্যামেরা ইরেজার ছবির অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মুছে ফেলতে সাহায্য করে এবং সার্কেল টু সার্চ ফিচার ব্যবহারকারীদের নির্বাচিত স্ক্রিন কনটেন্টের ভিত্তিতে তথ্য অনুসন্ধানে সহায়তা করে। আইটেলের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট সোলা প্রতিদিনের কাজ ও বিনোদনকে আরও সাবলীল করে তোলে।
আইটেল সুপার ২৬ আলট্রা স্টাইল, পারফরম্যান্স ও উদ্ভাবন একসাথে চান এমন তরুণ, ডিজাইন-প্রেমী ও প্রযুক্তি-সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। এর উন্নত প্রযুক্তি, প্রিমিয়াম ডিউরেবিলিটি ও শক্তিশালী এআই ইন্টিগ্রেশন এটিকে তার সেগমেন্টে একটি অনবদ্য ডিভাইস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে; যা সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাগশিপ-লেভেলের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি.-এর ৩০তম (ভার্চ্যুয়াল) বার্ষিক সাধারণ সভা গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ইং রোজ বুধবার, সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব এম. এ. কাশেম সভাপতিত্ব করেন। সভায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহন করেন ব্যাংকের সম্মানিত ভাইস চেয়ারপারসন মিসেস রেহানা রহমান। এছাড়াও বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ মিসেস জোসনা আরা কাশেম, মিসেস দুলুমা আহমেদ, জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসান (চয়োরম্যান, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমটি)ি, জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম (প্রতিনিধি পরিচালক: এশিয়া ইন্স্যুরেন্স পিএলসি), জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম (প্রতিনিধি পরিচালক: সিঙ্গেল ক্লিক আইটি সল্যুশন (প্রা:) লিমিটেড), স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যারিস্টার এম, মঈন, আলম ফিরোজী (চয়োরম্যান, অডটি কমটি)ি এবং ড: মো: মজিবুর রহমান (পিএইচডি)। সভায় আরও সংযুক্ত ছিলেন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব আবিদুর রহমান চৌধুরী এবং কোম্পানী সচিব জনাব মামুনুর রশীদ, এফসিএস। ব্যাংকের সম্মানিত উদ্যোক্তাগণ এবং বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারগণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহন করেন।
সভায় ব্যাংকের পরিচালন ফলাফল, ভাল পরিচালন প্রসূত মুনাফা ও ব্যবসায়ে উত্তম প্রবৃদ্ধি অর্জনের উপর আলোকপাত করা হয়। সভায় প্রকাশ করা হয় যে, ব্যাংক বিগত ২০২৪ সালে ১১,৭২১.২৯ মিলিয়ন টাকা (সম্মিলিত) পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখে ব্যাংকের আমানতের পরিমান ৪১১,৩৪৩.৯০ মিলিয়ন টাকা, মোট সম্পদের পরিমান ৫৪৫,৮৫৮.৬০ মিলিয়ন টাকা, শেয়ার প্রতি আয় ০.৩২ টাকা (সম্মিলিত), শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য ২৩.৫৯ (সম্মিলিত)। ২০২৪ সালে ব্যাংকের মূল্য-আয় অনুপাত ছিল ২৩.৯৪ গুন। ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখে ব্যাংকের রেগুলেটরি মূলধনের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৪১,৫৮২.০৯ মিলিয়ন টাকায়। ব্যয় দক্ষতার ভিত্তিতে সাউথইস্ট ব্যাংক ব্যাংকিং খাতে অন্যতম শীর্ষস্থানে অবস্থান করে। ব্যাংকের আয় অনুপাত ব্যয় ছিল ৩৮.৮৩% ।
ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসল) ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর এবং ৩০শে জুন, ২০২৫ সালের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর উপর ভিত্তি করে দীর্ঘমেয়াদের জন্য ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং এএ (ডবল এ) এবং স্বল্প মেয়াদের জন্য এসটি-২ প্রদান করেছে।
ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব এম. এ. কাশেম, তাঁর বক্তব্যে ব্যাংকের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সর্বাত্নক সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য পরিচালকবৃন্দ এবং শেয়ারহোল্ডারগণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। ব্যাংকের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে তিনি ব্যাংকের পরিচালন দক্ষতার মান ও মুনাফা বৃদ্ধির জন্য শেয়ারহোল্ডারদের পাঠানো সুচিন্তিত ও গঠনমূলক পরামর্শসমূহ ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের মূল্যবান প্রশ্ন ও মতামত প্রেরণ করেন। তাঁরা চমৎকার পরিচালন ফলাফল, স্থিতিশীল লভ্যাংশ ঘোষনা এবং তথ্য-সমৃদ্ধ, সমন্বিত এবং আকর্ষনীয় বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৪ প্রকাশের জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় এখন থেকে কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডধারী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদাপূর্ণ বলাকা এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ -এর বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সম্প্রতি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং অ্যান্ড হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব কার্ডস জাহির আহমেদ এবং হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম জনাব মো. মামুন-উর রহমান। অন্যদিকে ইন্টারকন্টনিন্টোল ঢাকা পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফাইন্যান্স অ্যান্ড বিজনেস সাপোর্ট ডিরেক্টর মো. কামাল হোসেন মোরশেদ, মার্কেটিং ডিরেক্টর মি. সাদমান সালাহউদ্দিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই চুক্তির মাধ্যমে কমউিনিটি ব্যাংক ক্রেডিট র্কাডধারীরা বলাকা এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে এক্সক্লুসিভ প্রিমিয়াম সুবিধা উপভোগ করবেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্ববৃহৎ প্রিমিয়াম লাউঞ্জ হিসেবে বলাকা এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে ভ্রমণকারীদরে জন্য প্রিমিয়াম খাবার ও পানীয়, নির্দিষ্ট ওয়ার্কস্টেশন, হাই-স্পিড ওয়াই-ফাই, শাওয়ার সুবিধা, হুইলচেয়ার অ্যাক্সেস এবং নিরাপদ লাগেজ স্টোরেজসহ নানা বিশ্বমানের সুবিধা রয়েছে। আভিজাত্যপূর্ণ পরিবেশ ও সর্বাঙ্গীন সেবার সমন্বয়ে এই লাউঞ্জ ভ্রমণকারীদের ফ্লাইটের আগে কিংবা ফ্লাইটের বিরতিতে বিলাসবহুল ও আরামদায়ক সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়।
স্টারকম বাংলাদেশ “স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা – সামারাইজ, জাস্ট লাইক দ্যাট!” ক্যাম্পেইনের জন্য ডিজিটাল ক্যাটাগরিতে যুক্তরাজ্যের ক্রিয়েটিভপুল ২০২৫ পুরস্কার পেয়েছে।
স্টারকম বাংলাদেশ যা গ্লোবাল স্টারকম নেটওয়ার্ক এবং বিটপী গ্রুপের একটি অংশ, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন এজেন্সি যা মিডিয়া প্ল্যানিং, বায়িং ও ৩৬০° মার্কেটিং সলিউশ্যনের জন্য সুপরিচিত।
এ বিষয়ে স্টারকম বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সারাহ আলী বলেন, "এই পুরস্কারটি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। এটি শুধু আমাদের টিমের সৃজনশীলতাকে নয়, বরং শক্তিশালী গল্প বলার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতাকে প্রমাণ করে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি যে বাংলাদেশ বিশ্বমানের ডিজিটাল উদ্ভাবন করতে পারে যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়।"
বিজয়ী ক্যাম্পেইনটি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা এর এআই ফিচার প্রদর্শনের জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ ব্যানার বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর ৬০ শব্দের রিয়েল-টাইম সারাংশ দেখানো হয়।
এই ক্যাম্পেইনটি একটি সহজ প্রশ্নকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছিল -“সংবাদের মূল বিষয়বস্তু কি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে? বলেন স্টারকম বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়া ডিরেক্টর রবিউল হাসান সজিব। তিনি আরও জনান “এই পদ্ধতি ব্যাবহারের মাধ্যমে আমরা সৃজনশীল ভাবে ফোনটির বিশেষ ফিচারগুলো গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছি, এবং দেখিয়েছি ফোনটির উল্লেখযোগ্য এআই পাওয়ারড রিয়েল টাইম সামারাইজেশন এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যাবহার।“
স্টারকম বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আহমেদুন ফায়েজ, বলেন “আমরা কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু পুরষ্কার জিতেছি, এখন আমাদের লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করা। এই পুরস্কারটি আমাদের প্রথম অর্জন এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে এমন অনেক পুরস্কার আমরা অর্জন করতে চাই।“
ক্রিয়েটিভপুল একটি আন্তর্জাতিক ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক যারা সারা বিশ্বের এজেন্সি, ব্র্যান্ড এবং দক্ষ পেশাদারদের একত্রিত করে তাদের এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে। প্রতি বছর এই ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি বিজ্ঞাপন, ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পুরস্কার প্রদান করে থাকে। কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি ক্রিয়েটিভপুলের এই আয়োজন উদ্ভাবন, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয় বিশেষজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী এবং সাধারণ মানুষের ভোটের মাধ্যমে।
ডিজিটাল ক্যাটাগরিতে এই বিজয়ী ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ঃ https://creativepool.com/annual/2025/winners/