রোববার, ২২ জুন ২০২৫
৯ আষাঢ় ১৪৩২

৫ হাজার কোটি টাকা চায় আইসিবি: আবুল হোসেন

আবুল হোসেন
আপডেটেড
১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০৯:৩২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০৯:৩০

লেনদেনে ভাটা পড়ার সঙ্গে সম্প্রতি সূচকগুলোতেও নেতিবাচক প্রভাব- সব মিলে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। আবার অনেক বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বাজার থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন এমন সংবাদও প্রকাশ পাচ্ছে। তবে এ অবস্থায়ও পুজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে নাজুক বলতে নারাজ ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন। সম্প্রতি দৈনিক বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বাজারের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার সুলতান আহমেদ

এক নজরে আবুল হোসেন

মো. আবুল হোসেন ২১ আগস্ট ২০১৯ এ ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে যোগদান করেছেন। ১৯৯৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি আইসিবিতে সিস্টেম অ্যানালিস্ট/সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। আইসিবিতে যোগদানের পরে তিনি কর্পোরেশনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে আইসিবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি কর্মসংস্থান ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিনিয়োগ ব্যাংকিং, বিশেষায়িত ও বাণিজ্যিক ব্যাংকিং, ইসলামিক ব্যাংকিং, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং আইসিটি সম্পর্কিত কাজে তার ৩০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। দীর্ঘ পথচলায় তিনি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড এবং আজিজ পাইপস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, দ্য ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড), নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং আরমিট লিমিটেডের মতো বেশ কয়েকটি সংস্থার পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর পেশাদারী দক্ষতার সাথে সাক্ষর রেখে চলেছেন।

দৈনিক বাংলা: লেনদেন হঠাৎ কমে চারশ কোটির নিচে, এর কারণ কী বলে মনে করেন?

আবুল হোসেন: বিনিয়োগকারিদের আস্থা যদি ফিরিয়ে আনা না যায় লেনদেন বাড়বে না। আমাদের বিনিয়োগকারিদের ট্রেন্ড হচ্ছে মার্কেট ভালো হলে সবাই দৌড়ে আসে আবার খারাপ হলে তারা বের হতে চায়। আইসিবি কি করে, মার্কেট খারাপ হলে সবসময় শেয়ার কেনার ট্রাই করে।

আবার যখন মার্কেট খুব ভালো প্রচুর লেনদেন হচ্ছে তখন আস্তে আস্তে শেয়ার কিছু কিছু করে বিক্রি করে। এখন আসি এই ফ্লোর প্রাইসে, এর আগে যখন ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ওঠানো হলো বিনিয়োগকারিরা আস্থা পেয়ে লেনদেন বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার আবার দেয়ার পর সহজে বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না, বেশিরভাগ শেয়ারই ফ্লোরে পড়ে আছে। এতে অটোমেটিক লেনদেন কমে যাচ্ছে।

এখন এই বাজারকে স্বাভাবিক করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা না এলে মার্কেট স্টেবল হবেনা। আরেকটা হচ্ছে, মিউচুয়াল ফান্ডের সাইজ বাড়াতে হবে। তাহলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাদের ভালো ডিভিডেন্ড দিতে হবে। কাঙ্খিত ডিভিডেন্ড পেলে বিনিয়োগকারিরা এই ফান্ডে বিনিয়োগ করবে।

বেশিরভাগ বিনিয়োগকারি দেখবেন, নিজেরা বাজার বোঝেনা। তারা আমার কাছে আপনার কাছে কিংবা ব্রোকারের কাছে জিজ্ঞেস করে শেয়ার কিনতে চেষ্টা করে। এসব বিনিয়োগকারিদের একটা জায়গাতেই যাওয়া উচিত তা হলো মিউচুয়াল ফান্ড।

যেখানে রিস্ক খুবই কম। আমাদের এখানে ইনভেস্টরের পরিবর্তে ট্রেডারের পরিমান বেশি হয়ে গেছে। এখান থেকে আমাদের বের হতে হবে। মার্কেটটা হয়ে গেছে ইকুইটি বেজড, এটা থেকে বের হতে হবে। এখানে ভালো ভালো বন্ড নিয়ে আসতে হবে। এগুলোকে মানুষের কাছে আকর্ষনীয় করতে হবে। আজকে কিনলে তিনদিন পরেই লাভ পাবো এমন মানসিকতা থেকে বের হতে হবে আমাদের। মার্কেটটা এখনো ইমমেচিউর এটাকে মেচুউর বানাতে হবে। আমরাও চেষ্টা করছি একটা ভালো বন্ড আনতে।

দৈনিক বাংলা: আইসিবি প্রসঙ্গে আসি, প্রতিষ্ঠানটি এখন কি কোন চাপে রয়েছে? আপনারা কি এই বাজারে বিনিয়োগ করছেন ?

আবুল হোসেন: আমাদের বেশিরভাগ অর্থ কিন্তু টার্ম ডিপোজিট নিয়ে আসে। সেখানে আমাদের নিয়মিত সুদ দিতে হয়। এখন এই সুদ আমি কোথা থেকে দেবো? আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে লভ্যাংশ ও অন্যান্য কমিশন থেকে যে ইনকাম হয় সেখান থেকেই তো আমরা সুদ টা পরিশোধ করি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, ফ্লোর প্রাইসের কারনে ট্রেডিং কমে গেছে আবার আমাদের একটা পলিসি হচ্ছে আমরা কখনো লোকসানে শেয়ার বিক্রি করিনা। এখন আমরা এই মার্কেটকে স্ট্যাবল করার জন্য, বিনিয়োগকারিদের সুরক্ষার জন্য সরকারের কাছে ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল চেয়েছি। আমরা ঋণ চেয়েছি অনুদান না। তবে সেটা স্বল্প সুদে চেয়েছি আমরা। এটা পেলে আমাদের প্রাইভেট ব্যাংকের ঋণের সুদ পরিশোধের যে চাপ রয়েছে তা কিছুটা পরিশোধ করতে পারবো। আবার নতুন করে বাজারে একটা অংশ বিনিয়োগও হবে।

দৈনিক বাংলা: এর কোন আপডেট কি আছে?

আবুল হোসেন: আমরা সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এটা পাঠিয়েছি। প্রথমে আমাদের কমিটি এটা এনালাইসিস করে পরিচালন বোর্ডে দেয়া হয়েছে। তারা অনুমোদন করার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এখন বিষয়টা মন্ত্রণালয়ের হাতে। আমাদের চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি, দেখা যাক কি সিদ্ধান্ত আসে। মার্কেটের স্বার্থে যত তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে ততই মঙ্গল।

দৈনিক বাংলা: স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড থেকে যে টাকা আপনারা পেয়েছেন সেটা দিয়ে মার্কেটের কতটুকু কল্যান হলো?

আবুল হোসেন: এই ফান্ড থেকে আমরা ২২৫ কোটি টাকা পেয়েছি সেটা কিন্ত লোন না টিডিআর হিসেবে। অর্থাৎ প্রতি তিন মাস পর পর আমাকে সুদ দিতে হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাকে যদি তিন মাস পর পর সুদের বোঝা টানতে হয় তাহলে আমি কি করে মার্কেটকে স্ট্যাবল করবো। সুদের টাকা যোগাতে গিয়েতো আমাকেই লাভের পিছে ছুটতে হচ্ছে। পুরো অর্থটা নিয়ে আমরা একটা আলাদা বিও একাউন্ট করেছি। ওই টাকা দিয়ে কি কেনা হয়েছে কি বিক্রি হয়েছে সব হিসেব ওই একাউন্টে আছে। এখানে লোকসান হলেও আমাদের সুদ টানতে হচ্ছে লাভ হলেও তাই। সবচেয়ে ভালো হতো মার্কেট স্ট্যাবিলাইজ ফান্ডের টাকা যদি ১ থেকে ২ শতাংশ সুদে আমাদের দেয়া হতো। তাহলে বাজারের বিপদের সময়ে আমরা সেখানে আরো ভালো সাপোর্ট দিতে পারতাম। তবে দু:খজনক হলো অন্যান্য ঋণ দাতাদের আমরা যেমন ইন্টারেস্ট দিচ্ছি তাদেরকেও সেটাই দিতে হচ্ছে।

দৈনিক বাংলা: এমন পরিস্থিতিতে কি আইসিবি চাপে রয়েছে?

আবুল হোসেন: (মুচকি হাসি) হ্যা একটু চাপে থাকা তো স্বাভাবিক। ওইদিন আমাদের কাছে বিনিয়োগকারিরা আসছে, তাদের নানা রকম সমস্যার কথা বল্লো। আইসিবির বিনিয়োগকারি যারা রয়েছে তাদের সুদ মওকুফের দাবি তুলেছে তারা। এর আগেও আমরা বিনিয়োগকারিদের মার্কেটে ধরে রাখতে সুদ মওকুফ করেছি। আইসিবির তিন প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা এবারও চেষ্টা করবো তাদের সুদ মওকুফের জন্য।

দৈনিক বাংলা: বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের অবদান অনেক কম, মাত্র ২ শতাংশের ঘরে। এটা বাড়াতে তাহলে করণীয় কি?

আবুল হোসেন: ওই যে বললাম, যাদের মিউচুয়াল ফান্ডে যাওয়ার কথা তারা সেখানে না গিয়ে সেকেন্ডারি বাজারে আসছে। এখানে আসলে দ্রুত লাভ পাওয়া যাবে এমন আশায় তারা গুজবে শেয়ার কিনছে। তারা যদি মিউচুয়াল ফান্ডেই থাকতো তাহলে এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তো। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, অনেক ব্যাংক এখন শরিয়াহ ব্যাংকিং বাড়াচ্ছে তবে আমাদের বাজারে এ নিয়ে কোন চিন্তা নাই। একটা শরিয়াহ ইনডেক্স রয়েছে তবে কোন কোন শেয়ার এর অন্তভূর্ক্ত তা আপনি আমি জানিনা। মানুষ শুধু জানে যেগুলোর নামের সাথে “ইসলাম” শব্দটা রয়েছে সেগুলো শরিয়াহ সূচকের অর্ন্তভূক্ত।

তবে বিষয়টা কিন্তু মোটেও তেমন নয়। এর বাইরেও অনেক কোম্পানি আছে যারা হালাল ব্যবসা করছে অর্থাৎ তারাও শরিয়াহ সূচকের অন্তভূর্ক্ত। মাথায় রাখতে হবে অনেক বিনিয়োগকারি আছেন যারা হালাল বা শরিয়াহ্ সম্মত হলে সেখানে বিনিয়োগ করবেন। এটা আমাদের বাজারে পরিস্কার নয়।

এটা পরিস্কার হলে অনেক বিনিয়োগ বাড়বে বলেই আমার মনে হয়। যারা সুদ খেতে চায়না তারা অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করার জায়গা পাচ্ছেনা, তাদেরকে আনতে হবে এখানে।

দৈনিক বাংলা: এই দায়িত্ব কার প্রচারণার?

আবুল হোসেন: ডিএসই, সিএসই কিংবা বিএসইসিকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের মাধ্যমেই মানুষকে এটা জানাতে হবে। এখন যারা শরিয়াহ মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজ করে তারা একটা ফি এর বিনিময়ে এটা জানতে পারে। সবার পক্ষেতো ফি দিতে জানা সম্ভব না। এই বিষয়ে আমি মনে করি প্রচারণা আরোও বাড়ানো প্রয়োজন।

দৈনিক বাংলা: আপনি কি তাহলে বিনিয়োগকারি সহ সকলের কথা ভেবে বলবেন ফ্লোর প্রাইস তুলে দিতে?

আবুল হোসেন: এখন এটা নিয়ে দুই রকমের মত রয়েছে। অনেক বিনিয়োগকারি চায় এটা তুলে দেয়া হোক আবার অনেকে চায় এটা থাকুক। তবে সত্যি তো এটাই যে ফ্লোর প্রাইস তুলতেই হবে। এখন কবে তুলবে এটা বিএসইসির সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়। ফ্লোর প্রাইস থাকলে আমরাও চাপে থাকি, শেয়ারের মুভমেন্ট থাকেনা। একটা সময় দেখবেন অবশ্যই এই ফ্লোর প্রাইস থাকবেনা। এর আগেও একবার দিয়ে আবার তুলে দেয়া হয়েছিলো তখন বাজারের পরিস্থিতিও ভালো হয়েছিলো। আমি মনে করি এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখনো ইনডেক্স ৬ হাজার ৩ শর উপরে রয়েছে। এটা কিন্তু ৩ হাজার ৬ শ তে নেমে এসেছিলো। সেখান থেকে যেহেতু এতটা উপরে আসছে তাহলে হতাশার কি আছে বলেন?

দৈনিক বাংলা: তাহলে বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই এটাই কি বলছেন?

আবুল হোসেন: আমরা কিন্তু বাজার নিয়ে ‍মোটেও দুশ্চিন্তা করিনা। এটা একটা পর্যায়ে আবার গেইন করবে। এখন বিনিয়োগকারিরা অনেকেই চাপে আছে এটা আমরা সবাই জানি। অনেকে বলে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলবো সেই উপায়টাও নেই। আমি সবসময় বলি, একক কোন শেয়ারে সব অর্থ বিনিয়োগ না করতে। কয়েকটা আইটেমে বিনিয়োগ থাকলে এখন জরুরী অর্থ যোগাতে কোন সমস্যা হতো না। আমাদের বিনিয়োগকারিরা শর্ট টাইম রিটার্ন চায়, শেয়ার কেনার তিনদিনের মাথায় লাভ হবে এমন মানসিকতা তৈরি হয়েছে যেটা ক্ষতিকর।

দৈনিক বাংলা: অনেক বিনিয়োগকারি বাজার থেকে সরে যাচ্ছে, অনেকেই ফ্লোর প্রাইস উঠে গেলে চলে যাবে বলে জানাচ্ছে। এটা কি দীর্ঘমেয়াদে বাজারের জন্য ক্ষতিকর না?

আবুল হোসেন: হ্যা অবশ্যই ক্ষতিকর। তবে এটাই স্বাভাবিক, কেউ আসবে কেউ যাবে এটা সবসময় হয়েছে শেয়ার বাজারে। আমার মনে হয় এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এখন যাবে আবার বাজার একটু ভালো হলেই তারা চলে আসবে।

দৈনিক বাংলা: অনেকেই বলে, বাজারে অর্থের সংকট নেই রয়েছে আস্থার সংকট। আপনি কি মনে করেন?

আবুল হোসেন: হ্যাঁ, প্রতিটি কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখবেন পরিচালনা বোর্ড আর ম্যানেজমেন্ট বডিকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হয়। সেটা হলেই কোম্পানিটি ভালো চলে। বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসইসি সেই ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেক কোম্পানিকে রূগ্ন দশা থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এভাবেই আস্তে আস্তে আস্থার জায়গাটা আরোও শক্তিশালি হবে।

দৈনিক বাংলা: আপনি কি মনে করেন এই বাজার বিনিয়োগ উপযোগী?

আবুল হোসেন: সারা পৃথিবীর প্র্যাকটিস হলো যখন মার্কেট খারাপ তখন ভালো বিনিয়োগকারিরা বাজারে আসে। ঢাকার বাজারে হয় উল্টো। তবে আমি মনে করি যারা বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারি তারা এমন বাজারের সুবিধা টা নিবে। আইসিবি এই কাজটিই করে। এখন আমাদের সাথে যদি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে সাপোর্ট দেয় তাহলে বাজার ঘুরে যাবে। আমি মনে করি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিরা যদি ১ কোটি করে বিনিয়োগ করলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।


নতুন আরো তিন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে ব্রি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ধানের আরও তিনটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে একটি লবণাক্ততা সহনশীল, একটি উচ্চফলনশীল বোরো এবং অন্যটি ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। এ নিয়ে ব্রি আটটি উচ্চফলনশীল বা হাইব্রিড জাতসহ মোট ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।

নতুন উদ্ভাবিত তিনটি জাত হলো; লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি-১১২, উচ্চফলনশীল বোরো ব্রি-১১৩ ও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ব্রি-১১৪। গত বুধবার জাতীয় বীজ বোর্ডের (এনএসবি) ১১৪তম সভায় নতুন এ তিনটি জাত অনুমোদন করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততা সহনশীল ও মাঝারি জীবনকালীন রোপা আমনের জাত। এ জাতের ডিগপাতা প্রচলিত ব্রি ধান-৭৩-এর চেয়ে খাড়া। ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততার মাত্রাভেদে হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ১৪ থেকে ৬ দশমিক ১২ টন ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের জীবনকাল ১২০ থেকে ১২৫ দিন এবং গাছের উচ্চতা ১০৩ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার। গাছের কাণ্ড মজবুত। এ কারণে ঢলে পড়ে না। এ জাতের ধানের চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। ভাত ঝরঝরে। এটি লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। দানা মাঝারি চিকন ও শিষ থেকে ধান সহজে ঝরে পড়ে না। জীবনকাল তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ফসল কর্তনের পর মধ্যম উঁচু থেকে উঁচু জমিতে সূর্যমুখী ও লবণ সহনশীল সরিষা আবাদের সুযোগ তৈরি হবে।

ব্রি ধান-১১৩ জাতটি বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি-২৯-এর বিকল্প হিসেবে ছাড়করণ করা হয়েছে। এটি মাঝারি চিকন দানার উচ্চফলনশীল জাত। এ জাতের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা এবং ধান পাকলেও সবুজ থাকে। গাছ শক্ত ও মজবুত বিধায় সহজে হেলে পড়ে না। জাতটির গড় জীবনকাল ১৪৩ দিন। চালের আকার-আকৃতি মাঝারি চিকন ও রং সাদা। দেখতে অনেকটা নাজিরশাইলের মতো। এ ধানের চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৮ শতাংশ এবং ভাত ঝরঝরে। এ ছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় দেখা গেছে, জাতটি ব্রি ধান-৮৮-এর চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি ফলন দিয়েছে। এ জাতের গড় ফলন হেক্টরে ৮ দশমিক ১৫ টন। উপযুক্ত পরিবেশে সঠিক ব্যবস্থাপনা করলে জাতটি হেক্টরে ১০ দশমিক ১ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, নতুন ব্রি ধান-১১৪ বোরো মৌসুমের দীর্ঘ জীবনকালীন ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত। এ জাতের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। গাছ মজবুত এবং হেলে পড়ে না। পাতার রং গাঢ় সবুজ। এর গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৭৬ টন। দানা মাঝারি মোটা এবং সোনালি বর্ণের। ভাত ঝরঝরে হয়। জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন। ফলে এ জাতের ধান চাষে কৃষককে ব্লাস্ট রোগ নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হবে না, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হবে।

ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, জাতগুলো অনুমোদন লাভ করায় এখন আমরা এসব ধানের বীজ বাজারজাত করতে পারব। কৃষকেরা এ জাতের ধান চাষ করে লাভবান হবেন। তাদের উৎপাদনও বাড়বে। উপকূলীয় অঞ্চলে পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকায় অনেক সময় ধান চাষ করা যেত না। এখন আমাদের ব্রি ধান-১১২ সেসব এলাকায় সহজে চাষ করা যাবে। এ ছাড়া অন্য জাতগুলো আমাদের ধান উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

সূত্র: বাসস


সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমায় উল্লম্ফন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ( প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে ) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ। এখনকার বিনিময় হার ধরলে যার পরিমাণ ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের কাছে সুইজারল্যান্ডের দায় ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমনাতকারীদের পাওনা এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগের অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা বাণিজ্য কেন্দ্রিক অর্থ বলে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বার্ষিক ব্যাংকিং পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।

সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অবৈধভাবে কেউ অর্থ নিয়ে গেছে এমন প্রমাণ সরবরাহ করলে তারা তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্য দেশের নামে অর্থ গচ্ছিত রাখে তাহলে তা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে থাকা পরিসংখ্যানের মধ্যে আসেনি। একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক দেশের নাগরিকই মূল্যবান সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।


বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় আইটি ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় তথ্য-প্রযুক্তি ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার উপপররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপ-অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা।

গতকাল বৃহস্পতিবার কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান তারা। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দেশটির পররাষ্ট্র ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি বৈঠকে অংশ নেয়।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারা শ্রীলঙ্কার উপপররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপঅর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমার সঙ্গে কলম্বোতে তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে আরুন হেমাচন্দ্র বলেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হলে আগামীতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করেছে এবং বাংলাদেশ সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এলে সরকার পূর্ণ সহায়তা দেবে।

তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তার দেশের সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং এলক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানসমূহে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ধারা পরিবর্তন হচ্ছে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তবে প্রযুক্তি, পণ্যের মূল্য সংযোজন এবং উদ্ভাবনের দিক থেকে শ্রীলংকা বেশ এগিয়ে রয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে দুদেশের বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ উভয় দেশের মধ্যে একটি এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যকার সংযোগ আরও সুদৃঢ় হবে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রীলংকার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং শ্রীলংকার উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলংঙ্কার অর্থনীতি প্রায় একই ধাঁচের যেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বাস্তবিক অর্থে ততটা কার্যকর হবে না। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

ডিসিসিআই’র ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে শ্রীলংকার উপ-অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা বলেন, আমাদের একসাথে কাজ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবা, ঔষধ, চা, জ্বালানি, আর্থিক সেবা ও পর্যটন খাত যৌথ বিনিয়োগের জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।

তিনি জানান, শ্রীলংকা ইতোমধ্যেই একটি উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে এবং এই পরিকল্পনার অধীনে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তর এবং প্রতিটি সেবা স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, শ্রীলংকায় অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ এগিয়ে আসতে পারেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শ্রীলংকার ঔষধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। যাতে দেশটির স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পতন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্য আরও কঠোর করার পর মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে পতন ঘটে, যা যুদ্ধকে আরও সম্প্রসারণ করার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পঞ্চম দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দাবি করেন এবং মার্কিন হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেন।

ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচক ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪২,২১৫.৮০ পয়েন্টে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ০.৮ শতাংশ কমে ৫,৯৮২.৭২ পয়েন্টে এবং প্রযুক্তি খাতভিত্তিক ন্যাশডাক কম্পোজিট ০.৯ শতাংশ কমে ১৯,৫২১.০৯ পয়েন্টে নেমে আসে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ এখন বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। একই সময়ে তারা ফেডারেল রিজার্ভের দিকে নজর রাখছে। যা বর্তমানে দুই দিনের আর্থিক নীতিমালা বৈঠকে রয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভ আপাতত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ, তারা ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতির গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছে।

গতকাল বুধবার ফেড তাদের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশ করবে, যাতে থাকবে প্রবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য।

এদিকে, বিনিয়োগকারীরা দুর্বল অর্থনৈতিক তথ্যের প্রভাবও মূল্যায়ন করছেন। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মোট খুচরা বিক্রি এপ্রিলের তুলনায় ০.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭১৫.৪ বিলিয়ন ডলারে। এই তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে, এপ্রিলে শুল্ক বৃদ্ধির আশঙ্কায় যে ভোক্তারা আগেভাগে পণ্য কিনে নিয়েছিলেন, মে মাসে সেই কেনাকাটার গতি কমে গেছে।

এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ১১টি খাতের মধ্যে ১০টিতেই দরপতন হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল জ্বালানি খাত, যা তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

প্রতিরক্ষা খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোও লাভ করেছে। লকহিড মার্টিন ২.৬ শতাংশ এবং নর্থরপ গ্রুমান ১.২ শতাংশ বেড়েছে।


২১ ও ২৮ জুন কাস্টমস, ভ্যাট ও কর কার্যালয় খোলা থাকবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২১ ও ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং এর অধীনে সব কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর কার্যালয় খোলা থাকবে। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ওই দুই দিনও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মূলত রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। গত ২ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২২ জুন বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) মোট ৩ লাখ সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে। এটি সাময়িক হিসাব। ভ্যাটের রিটার্ন দাখিলের হিসাবের এই সংখ্যা আরও বাড়বে। লক্ষ্য অর্জনে শুধু জুন মাসেই সব মিলিয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে এনবিআরকে।

এনবিআরকে চলতি অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সংশোধিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। মূল লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।


সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে ১০% ডিসকাউন্টসহ নানা অফার রিয়েলমির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তরুণদের কাছে জনপ্রিয় টেক ব্র্যান্ড রিয়েলমি কোম্পানির স্মার্টফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়ে সম্প্রতি ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে। রিয়েলমি সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে এই ক্যাম্পেইনের অফার চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।

এ ক্যাম্পেইন চলাকালে ইউজাররা সকল অ্যাকসেসরিজ ও সেফগার্ড সার্ভিসে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট লুফে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র দেশজুড়ে অবস্থিত রিয়েলমি’র অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারগুলো থেকে এই অফার পেতে পারবেন গ্রাহকরা।

এছাড়াও- স্মার্টফোনের ওয়ারেন্টি বিষয়ক সার্ভিস, ক্লিনিং ও মেইনটেন্যান্স, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন, প্রটেক্টিভ পেপার ফিল্মস ও প্রটেক্টিভ ফোন কেসে থাকবে বিভিন্ন ছাড়।

এখানে উল্লেখ্য যে- ঘোষিত অফারটি শুধুমাত্র রিয়েলমি’র অফিসিয়াল স্মার্টফোনগুলোর জন্যই প্রযোজ্য।

এসব অফার ছাড়াও- রিয়েলমি অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে ডিভাইস পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাদের রিয়েলমি অথরাইজড কালেকশন পয়েন্টস ব্যবহার করতে পারবেন।

অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউজাররা ফেসবুকে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল আফটার-সেল সার্ভিস পেজ "realme Service BD" ভিজিট করতে পারেন।

তাই ভিজিট করুন আপনার কাছেরই কোনো আউটলেট এবং ক্যাম্পেইন শেষের আগেই ডিসকাউন্ট উপভোগ করুন


পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় উত্থান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১৬ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩৬ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ১৭৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।

ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৫ কোম্পানির ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লাভেলো সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

গতদিনের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সারাদিনে ৪১৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২৬৩ কোটি টাকা।

৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এবং সাড়ে ৩ শতাংশ দাম কমে তলানিতে শ্যামপুর সুগ্যার মিল।

চট্টগ্রামেও উত্থান

ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে ১১৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৫৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এর আগের সবশেষ কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইসলামী ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।


সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন গতকাল রাজধানীর লালবাগে পোস্তা চামড়া আড়ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন,সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। নির্ধারিত দাম কার্যকরে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ দল।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় লালবাগের পোস্তায় কোরবানির পশুর চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

উপদেষ্টা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা যে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিলাম সেটি ছিল লবণসহ দাম।সাতশ থেকে আটশ টাকা যেটা বিক্রি হচ্ছে সেটি লবন ছাড়া। বিগত বহু বছর ধরে যে দামে বিক্রি হতো এই দাম তার থেকে বেশি।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসত্য। অসত্য এজন্য যে কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী যাদের চামড়া সংরক্ষণের ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা নেই,তারা চামড়া নিয়ে আধা পঁচা করে ফেলছে। আধা পঁচা চামড়া সাতশ আটশ টাকা বিক্রি হলে তো এটা অনেক বেশি। আর যেটা ভালো চামড়া সেটি বারো থেকে তেরোশ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা যে কাজটা শুরু করি তাহলো স্থানীয়ভাবে মজুত এবং লবন দেয়াকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে চামড়া সংরক্ষণ ও মজুত উপযোগী করা।যার ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় একটা স্থিতি এবং বাজারের চাহিদা ও সরবারহের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন চামড়া ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে আমরা একটি কন্ট্রোল রুম করেছি। সেখানে ২৪ ঘন্টা চামড়া ব্যবস্থাপনা মনিটরিং হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি চামড়ার উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে যেটা লবণ দেয়া চামড়া। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই সেটা বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ও মেইনস্ট্রিমের কিছু মিডিয়াও ভুল তথ্য প্রচার করছে।

চামড়া পঁচে গিয়েছে এমন একটি তথ্য দেখলাম চিটাগাং এর রাঙ্গুনিয়ার। একজন মৌসুমী ব্যবসায়ী ৬২০ টির মত চামড়া নিয়ে এসেছেন, তিনি চামড়াটি সংরক্ষণ উপযোগী করেননি। চামড়াটি আধা পঁচে গেছে।

এটা নিয়ে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে চামড়ার বাজারে আবারো একটা ধস নামানোর পরিকল্পনা করছে।

সরকার উদারভাবে লবণ দিয়েছে শুধুমাত্র উপযোগী করার জন্য। সব দায় সরকারের উপর দিয়ে দিলে চলবে না আপনি যদি আপনার নিজের দায়িত্ব পালন না করেন আকাঙ্ক্ষা করাটাও শোভনীয় নয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকার সক্ষমতা তৈরীর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। লবণ লাগিয়ে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে উপযুক্ত দাম চান আমি আশা করি উপযুক্ত দামই পাবেন। আমি আশা করছি তার চেয়েও বেশি দাম পাবেন।

সরকার চাহিদা তৈরীর জন্য কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। প্রণোদনার ২২০ কোটি টাকা ছাড় করিয়েছে। সারাদেশের প্রত্যেক জেলায়, উপজেলায়, গ্রামে মসজিদে মসজিদে লবন পৌঁছে দিয়েছে। এখন এর সঙ্গে সকলের সংযুক্ত হতে হবে।

তিনি বলেন, এককভাবে সরকারকে দায়ি করে কিছু ভুল তথ্য ও অপতথ্য ছড়িয়ে চামড়ার বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা ন্যাক্কারজনক কাজ হবে বলে আমি মনে করি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন,চামড়ার দাম গতকালের তুলনায় আজকে বেড়েছে। আশা করছি লবনযুক্ত চামড়ার দাম আগামীকাল আরো বাড়বে। আমরা চামড়া সংরক্ষণের সক্ষমতা তৈরি করেছি,যার মাধ্যমে দুই থেকে তিন মাস চামড়া ধরে রাখতে (সংরক্ষণ) পারবেন। ধরে রেখে উপযুক্ত দাম না পাওয়া পর্যন্ত বিক্রি না করার আহবান জানান তিনি।

আমরা চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে এটাকে উপযোগী করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করেছি। এবছরের শিক্ষা থেকে আগামী বছর রাজনৈতিক সরকার আমার ধারনা আরো বেশি কিছু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন(বিটিএ)-এর সভাপতি মো: শাহীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ১০ শতাংশ বেড়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি।

উপদেষ্টা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, ‘মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ৪৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।’

আসিফ মাহমুদ আরো বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন বা সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ছিলো চার হাজার ৮৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়ার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনও তুলে ধরেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।


সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।


জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৫ ২১:০১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।

জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।


সঞ্চয়পত্র কেনা, ক্রেডিট কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।

এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।


বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।


banner close