গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোসলেহ উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ছাইদুজ্জামান ভূঞা এবং নূর মোহাম্মদ সহ গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর উপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন, গান ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ বলেন,বঙ্গবন্ধু বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ যেন স্বনির্ভর হতে পারে সেইজন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি শুধু স্বপ্নই দেখেননি বরং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশের মাটি ও মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়ে গেছেন। আমরা যদি তার আদর্শ ও চেতনাকে হৃদয়ে লালন করে দেশ গঠনে যে যার অবস্থান থেকে আত্মনিয়োগ করি তাহলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোসলেহ উদ্দীন বলেন,প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রামীণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণ ব্যাংক দারিদ্র বিমোচনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত ও প্রধানমন্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে প্রধান কার্যালয় চত্বরে ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়।
গ্রামীণ ব্যাংক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী ৩ কোটি গাছের চারা লাগানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে ইসলামী ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ গোলটেবিল বৈঠক গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংকার, শরিয়াহ বিশারদ এবং শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেন।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. ফারহানা খান।
আরও বক্তব্য প্রদান করেন, প্রফেসর ড. ছায়েদুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, মো. মেজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক, ফরিদ আহমেদ ফকির, ভাইস প্রেসিড্যান্ট, এবি ব্যাংক, মুহাম্মদ মুনিরুল হক, হেড অব শরিয়া সেক্রেটারিয়েট, ইবিএল ইসলামিক ব্যাংকিং, মো. আজাদ রহমান, এভিপি ও ডেপুটি হেড, ব্যাংক এশিয়া ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন, মো. ছায়েদ জোনায়েদ, সহকারী ভাইস প্রেসিড্যান্ট, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, মো. রাজা মিয়াহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব ডিভিশন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, মুফতি সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক টিভি, মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিটি ব্যাংক, ড. আব্দুর রহমান, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিটি ব্যাংক পিএলসি, নায়মুল ইসলাম, হেড অব ডিপার্টমেন্ট লঙ্কা বাংলা ফিন্যান্স, একেএম জাহিদুল আলম, এসভিপি, এনসিসি ব্যাংক, আব্দুস সালাম ভুইয়া, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জুবায়ের আল্ মাহমুদ, এফএভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার, ইসলামিক ব্যাংকিং, ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, খাইরুল হাসান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন, সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, সদস্য, শরিয়াহ বোর্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং চেয়ারম্যান, শরিয়াহ এডভাইজারি অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল, মুফতি জুবায়ের আব্দুল্লাহ, একেএম মিজানুর রহমান, হেড অব ইবিএল ইসলামিক, ইস্টার্ন ব্যাংক লি., ড. মো. গোলজারে নবী, নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ ব্যাংক।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. মনজুর মফিজ। একইসঙ্গে, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে তাকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
প্রায় ৩২ বছরের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই দক্ষ ব্যাংকার ১৯৯৩ সালে সোনালী ব্যাংক পিএলসি-তে তার পেশাগত কর্মজীবন শুরু করেন। প্রিমিয়ার ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি ওয়ান ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকসহ দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর পেশাগত নেতৃত্বে করপোরেট ব্যাংকিং কার্যক্রমের কেন্দ্রীয়করণ, শক্তিশালী ফান্ড ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা প্রণয়ন, খরচ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ, রিটেইল ও এসএমই ডিপোজিটে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা চালুসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
মো. মনজুর মফিজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শিল্প খাত বিশ্লেষণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ক্রেডিট ও ইকুইটি স্ট্রাকচারিং, টিম বিল্ডিং এবং স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্টে তার দক্ষতা পরীক্ষিত ও স্বীকৃত।
তার অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রিমিয়ার ব্যাংক গ্রাহককেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধি, ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং শক্তিশালী সুশাসন আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে।
গ্রাহকদের ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে শুরু হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ, চট্টগ্রাম- ২০২৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসির সার্বিক সহযোগিতায় এ উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. নিয়ামূল কবীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-এর পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোছাইনী এবং ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা আজহার আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-এর পরিচালক মুনীর আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-এর অতিরিক্ত পরিচালক এবং স্ট্র্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন টিমের প্রধান মোহাম্মদ মাহেনূর আলম।
আলোচনায় প্রধান অতিথি বলেন, গ্রাহকই হলো ব্যাংকিং সেবার প্রাণ। ব্যাংকিং কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পাদনে ব্যাংকারের পাশাপাশি গ্রাহকদের সচেতনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকারদের সচেতন থাকার পাশাপাশি গ্রাহকদের অধিকতর সচেতন করে তোলার ব্যাপারে তিনি ব্যাংকারদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার উপর জোর দেন।
আয়োজনে অতিথিবৃন্দের মূল আলোচনার পাশাপাশি ছিলো ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন বিষয়ের উপর সচেতনতামূলক অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন এবং প্রেজেন্টেশন। উক্ত অনুষ্ঠানে গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১২০ জনেরও অধিক কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। গ্রাহকদের নিরাপদ ও সচেতন ব্যাংকিংয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালিত হবে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দ্য ফাস্ট মোড অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ দুটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলালিংক। নেতৃত্বের উৎকর্ষের স্বীকৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে পেয়েছেন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ‘সিইও অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার, আর গ্রাহক অভিজ্ঞতার উন্নয়নে ধারাবাহিক অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে ‘কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স (সিএক্স) চ্যাম্পিয়ন’ সম্মাননা।
মালয়েশিয়াভিত্তিক টেলিযোগাযোগবিষয়ক গণমাধ্যম ও গবেষণা প্ল্যাটফর্ম দ্য ফাস্ট মোড এই পুরস্কারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে উদ্ভাবন, নেতৃত্ব এবং শিল্পেপ্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবাচক প্রভাবকে তুলে ধরে। এ বছরের আয়োজনে টেলিযোগাযোগ, সেবাদাতা ও নেতৃত্বে উৎকর্ষ, এই তিনটি বিভাগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তিন শতাধিক মনোনয়ন জমা পড়ে। এসব মনোনয়ন মূল্যায়ন করেন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা, শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ বিশ্লেষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন প্যানেল।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিইও অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির রূপান্তরমূলক কর্মসূচি রিসেট ২.০। তার নেতৃত্বে বাংলালিংকের কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে গড়ে উঠেছে একটি দৃঢ় ‘গ্রাহক-প্রথম’ সংস্কৃতি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় স্তরবিন্যাস কমানো, এবং নেতৃত্বের সামনের সারির দলগুলো আরও ক্ষমতায়িত হয়েছে।
টানা পাঁচ প্রান্তিকের রাজস্ব পতন কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পুনরায় প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরাতে ইওহান বুসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবাপ্রদানকারী এবং বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের ডিও-১,৪৪০ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বাংলালিংকের বিস্তৃত ও আরও গতিশীল ডিজিটাল রূপান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করেছেন। এই লক্ষ্য গ্রাহকের দিনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সহজ, নিরবচ্ছিন্ন এবং কার্যকর করে তোলাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
বাংলালিংকের গ্রাহকসেবা চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তি ও উদ্ভাবননির্ভর সেবার মাধ্যমে গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন। গ্রাহকের সুবিধা বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটি এআই প্রযুক্তিনির্ভর একাধিক সেবা চালু করেছে, মাইবিএল অ্যাপের মাধ্যমে নিজ সেবার পথ আরও সহজ করেছে এবং গ্রাহকের মতামত গ্রহণ ও সাড়া দেওয়ার জন্য একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া গড়ে তুলেছে। ফলস্বরূপ, গ্রাহকসেবায় ৯৪ শতাংশ প্রথম যোগাযোগেই সমাধান, কল সেন্টারে কলের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ কমে আসা এবং দেশের প্রথম উদ্ভাবনমূলক এআইভিত্তিক কথোপকথন সেবার মাধ্যমে এই অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত টেলিযোগাযোগ অ্যাপ মাইবিএল গ্রাহক অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এতে রয়েছে বিশটিরও বেশি সেবাসুবিধা, স্মার্ট প্রযুক্তিতে সহজ ও স্বচ্ছভাবে সমস্যা শনাক্ত ও অভিযোগ নিবন্ধনের ব্যবস্থা, এবং জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মাইবিএল সহকারী প্রতিদিন লাখো গ্রাহককে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সহায়তা প্রদান করছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইওহান বুসে বলেন, ‘এই স্বীকৃতিগুলো বাংলালিংকের সকল সহকর্মীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। শুরু থেকেই আমরা গ্রাহকদের প্রয়োজন আন্তরিকভাবে শুনছি, উপলব্ধি করছি এবং তাদের প্রত্যাশার প্রতি সহমর্মিতার সাথে সাড়া দিচ্ছি। আমাদের গ্রাহকদের সন্তুষ্টি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর এটা আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেরই প্রতিফলন। প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের পাশাপাশি সেবার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি আমাদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে আরও দুটি মোবাইল অপারেটর এ আয়োজনে পুরস্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন অপারেশনাল এক্সিলেন্স বিভাগে এবং রবি আজিয়াটা উদীয়মান টেলিযোগাযোগ ব্র্যান্ড বিভাগে সম্মাননা পেয়েছে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ বারেরও বেশি সিটি ব্যাংক-এর জামানতবিহীন ডিজিটাল লোন নিলেন গ্রাহকরা। চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ডিজিটাল লোন বিতরণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হলো এই মাইলফলক। এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা থেকেই ১৯ লাখেরও বেশি গ্রাহক এই লোন সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যাদের ২৫ শতাংশই নারী। লোন সুবিধা গ্রহণকারীদের অধিকাংশই একাধিক বার নিয়েছেন এই সেবা।
সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের বাইরে থাকা বা সীমিত ব্যাংকিংয় পাওয়া গ্রাহকের জন্য বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন পাবার সুবিধা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করে আর্থিক সেবাপ্রাপ্তির (access to finance) সুযোগকে বিস্তৃত করছে। গ্রাহকরা কোন ধরনের কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো সময় মাত্র কয়েক ট্যাপে তাৎক্ষণিক ৫০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন এই লোন নিতে পারছেন। গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে কোন গ্রাহক কত টাকার লোন পাবেন সিটি ব্যাংক থেকে। উল্লেখ্য, এই লোন তারা খরচ করছেন চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসার মূলধন বাড়ানো, নতুন উদ্যোগ শুরু করা, ভ্রমণসহ নানা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোন নেয়ার সময় প্রয়োজন হয় না কোনো নথিপত্রের। লোন নেয়ার পর নির্ধারিত তারিখে ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা জমা হয়ে যায়। এই লোনের উপর ইন্টারেস্ট, প্রসেসিং ফিসহ বিভিন্ন তথ্য লোন নেয়ার সময় অ্যাপ থেকেই দেখে নিতে পারেন গ্রাহক। আবার নির্ধারিত সময়ের আগে লোন পরিশোধ করতে চাইলে শুধু যে কয়দিনের জন্য লোন নিয়েছেন সেই কয়দিনের জন্যই ইন্টারেস্ট দিতে হয়। লোনের কিস্তি পরিশোধের তারিখ অ্যাপ নোটিফিকেশন ও এসএমএস-এর মাধ্যমে মনে করিয়ে দেয়া হয় গ্রাহকদের।
পাশাপাশি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা আরও সহজ করতে ‘পে-লেটার’ নামের সেবাও চালু করেছে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক। পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় গ্রাহকরা ‘পে-লেটার’ সেবা ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোনের লিমিট দিয়ে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন। পে-লেটার-এর মাধ্যমে নেয়া লোন ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করলে দিতে হয় না কোনো ইন্টারেস্ট, আবার সহজ মাসিক কিস্তিতেও পরিশোধ করা যায় লোনটি।
টি.কে. গ্রুপের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আয়োজিত দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট– সিজন-২’-এর রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন টি.কে. গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক। দেশবরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ, বিশিষ্ট আলেমরা, এবং শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী হাফেজ কিশোর-কিশোরীদের জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন ও মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই পবিত্র কোরআন চর্চায় পুষ্টি যে যাত্রা শুরু করেছে তা অব্যাহত থাকবে। দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আর ও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে বলে তিনি আশাবাদী। টি.কে. গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়া আরও বক্তব্য রেখেছেন, টি.কে. গ্রুপের পরিচালক- এইচআর, জনাব আলমাস রাইসুল গনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারী, ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শেখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি.কে. গ্রুপের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদে প্রতিভাবান হাফেজরা প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমদের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনের প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় গিফট পাবেন।
চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন পুরস্কার। আগামী ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হবে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব।
চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে মাগরিবের আজানের পূর্বে দেশের অন্যতম চ্যানেল নাইন এ প্রচারিত হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে টি.কে. গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আধুনিক ও সহজ ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পূবালী ব্যাংক পিএলসি তাদের ৫১৫তম শাখা কক্সবাজার জেলার টেকনাফে শুভ উদ্বোধন করেছে। আজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শাখাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ খান, চট্টগ্রাম প্রিন্সিপাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক ও অলটারনেটিভ ডেলিভারী চ্যানেল ডিভিশনের প্রধান মোঃ রবিউল আলম। চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চল প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শাহেদ আলী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন যে, বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতি এবং জনগণের সঞ্চয় ও বিনিয়োগ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ব্যাংকিং সেবার প্রসার অপরিহার্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে টেকনাফে এই নতুন শাখা চালুর ফলে স্থানীয় জনগণ আধুনিক ও সহজলভ্য ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে এবং এই অঞ্চলের সঞ্চয়, ঋণ, রেমিট্যান্স ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনে নতুন গতি আসবে, যা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং শাখা ব্যবস্থাপকসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সিএমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীদের দ্রুত ও সহজতর ভাবে ব্যাংক-ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিসি ব্যাংক সম্প্রতি ইচিবা লিমিটেড-এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি স্বাক্ষর দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি, সাপ্লাই চেইন দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইচিবা এর নেটওয়ার্কভুক্ত সিএমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীরা পণ্য সংগ্রহ, পেমেন্ট, কালেকশন এবং দৈনন্দিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সম্ভাব্য ও কাম্যক্ষেত্রে আরও দ্রুত ও সহজতর ভাবে অর্থায়ন সুবিধা পাবেন। এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের ফলে সিএমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো এবং এর ফলে দেশের সিএমএসএমই খাত আরও আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।
রাজধানীর মতিঝিলস্থ এনসিসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান এবং ইচিবা লিমিটেডের পরিচালক নার্গিস ফাতেমা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর ও হস্তান্তর করেন। এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. খোরশেদ আলম; উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও মোঃ মনিরুল আলম; ইভিপি ও হেড অব সাসটেইনেবল অ্যান্ড উইমেনস ব্যাংকিং নিঘাত মমতাজ; এসভিপি ও হেড অব এসএমই শরীফ মোহাম্মদ মহসীন; এসভিপি ও হেড অব আইসিটি ডিভিশন মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম; এসভিপি ও হেড অব ট্রানজেকশন ব্যাংকিং অ্যান্ড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন শাহীন আক্তার নুহা এবং ইচিবা লিমিটেডের পক্ষে উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসাইন ও জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার হোসাইন।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ও আধুনিক আবাসন প্রকল্প রূপায়ণ সিটি, উত্তরা-তে আগামী ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বর ছয় দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে “Rupayan City Investment Carnival”। এই বিনিয়োগ উৎসবে আবাসন ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিতে আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ মূল্যছাড়, স্পট বুকিং সুবিধা এবং সহজ কিস্তির (EMI) সুযোগ।
এই কার্নিভালে রূপায়ণ সিটির বিভিন্ন প্রিমিয়াম প্রকল্প যেমন— Rupayan Sky Villa, Rupayan Grand, Rupayan Majestic এবং দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক প্রকল্প Rupayan Maxus Mall-এর নির্বাচিত ইউনিট বুকিংয়ের সুযোগ থাকবে।
রূপায়ণ সিটি কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমান বাজার বাস্তবতায় ক্রেতাদের জন্য নির্ভরযোগ্য, পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করতেই এই কার্নিভালের আয়োজন। একই সঙ্গে প্রকল্প পরিদর্শন, লাইভ কনসালটেশন এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক নানা সুবিধা রাখা হয়েছে।
কার্নিভাল চলাকালে আগত দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে প্রকল্পভিত্তিক উপস্থাপনা, সীমিত সময়ের এক্সক্লুসিভ অফার এবং বিশেষ ক্রেতা সুবিধা।
আবাসন ও বাণিজ্যিক বিনিয়োগে আগ্রহীরা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রূপায়ণ সিটি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই ইনভেস্টমেন্ট কার্নিভালে অংশ নিতে পারবেন।
২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত এসডিজি-৬ অর্জন করার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) সহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ঢাকা শহরের বস্তি এলাকায় নিম্নআয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ পানি সরররাহ করে আসছে। ইতিমধ্যে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক সিটিজেন চার্টার প্রকাশের মাধ্যমে নিম্নআয়ের এলাকায় বৈধ পানির সংযোগ প্রদান কার্যক্রম বেগবান হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের এলাকায় বসবাসরত মানুষেরা সহজে বৈধ পানির সংযোগ নিতে পারছেন এবং নিয়মিত পানির বিল পরিশোধের মাধ্যমে ওয়াসার রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা ওয়াসা, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার রাজধানীর ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে নিম্নআয় এলাকার গ্রাহকদের মধ্যে "আদর্শ গ্রাহক সম্মাননা স্মারক ২০২৫" প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সালাম ব্যাপারী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসা’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) মোঃ আমিরুল ইসলাম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)-এর নির্বাহী পরিচালক ডাঃ দিবালোক সিংহ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বস্তিভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বস্তিবসীদের মধ্যে যারা নিয়মিত পানির বিল প্রদান করা ৩০ জন আদর্শ গ্রাহক এবং বস্তি এলাকায় ওয়াশ অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় তিনটি কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, অতিথিরা বস্তি এলাকায় পানি সরবরাহ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সমস্যা চিহ্নিত করা এবং উক্ত সমস্যাসমূহ সমাধানে করণীয় নির্ধারণ করার উপর গুরুত্ব প্রদান করেন।
পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসেবে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা চালুর জন্য বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনাপত্তিপত্র পেয়েছে বাংলালিংক। সবার জন্য ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের সুযোগ তৈরিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে এবং গ্রাহকদের প্রতিদিনের ১,৪৪০ মিনিট কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা কৌশল ‘ডিও ১৪৪০’ অনুযায়ী বাংলালিংক প্রয়োজনীয় আর্থিক ও ডিজিটাল সেবা সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন এই অনুমোদনকে দেশের ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে। ভিওনের আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রযুক্তি সক্ষমতা এ অগ্রগতি আরও সুদৃঢ় করেছে।
এ অনুমোদনের ফলে দেশের বিপুলসংখ্যক গ্রাহক আরও নিরাপদে, দ্রুতগতিতে ও সহজে নিজেদের মোবাইল ডিভাইস থেকে বিভিন্ন ডিজিটাল আর্থিক সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। একই সাথে, এ অনুমোদন দেশজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা চালুর পথও উন্মুক্ত করবে।
ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ পাঠানো, রেমিট্যান্স সেবা, বিদ্যুৎ ও সরকারি বিল পরিশোধ, অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় ও দোকানদারকে অর্থ পরিশোধ এবং বেতন ও ভাতা বিতরণসহ সঞ্চয় ও বিমা কিস্তি পরিশোধের মতো বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা উপভোগ করবেন।
এ সেবার অন্যতম লক্ষ্য হলো ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীসহ সবার জন্য আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা। শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামোতে নির্মিত এই প্ল্যাটফর্ম গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য এবং নির্বিঘ্ন লেনদেন নিশ্চিত করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, ‘দেশজুড়ে বাংলালিংকের সেবার বিস্তৃতি এবং ভিওনের আন্তর্জাতিক সক্ষমতা মিলিয়ে আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলছি। এ অনুমোদন আমাদের সে বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করেছে।’
বাংলালিংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবার বাণিজ্যিক উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম দ্য ফ্রন্ট পেজ (টিএফপি) তাদের যাত্রার পাঁচ বছরপূর্তি উদযাপন করছে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি সোশ্যাল-ফার্স্ট সাংবাদিকতা, টেকসই ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবসায়িক মডেল এবং বিকেন্দ্রীভূত সংবাদ অবকাঠামো গড়ে তোলায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ছোট একটি সোয়াইপ-ফার্স্ট পরীক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও, দ্য ফ্রন্ট পেজ এখন তরুণ ও মোবাইলনির্ভর পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য মিডিয়া ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির অনুসারীর সংখ্যা কয়েক লাখ এবং প্রতি মাসে বিভিন্ন মাধ্যমে এর কনটেন্ট কোটি সংখ্যক ভিউ অর্জন করছে।
শুরু থেকেই দ্য ফ্রন্ট পেজ সংবাদকে শুধু কনটেন্ট হিসেবে নয়, বরং মোবাইলে পড়ার উপযোগীভাবে উপস্থাপন করে এসেছে। তাদের সম্পাদকীয় কাজের ভিত্তি হলো ছোট আকারের ভিজ্যুয়াল ব্যাখ্যামূলক কনটেন্ট, তথ্যভিত্তিক ও নিরপেক্ষ উপস্থাপন এবং নিয়মিত যাচাই-বাছাই।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কন্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় নানা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছে।
দ্য ফ্রন্ট পেজের সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহ মো. আকিব মজুমদার বলেন, ‘সংকটকালে আমাদের নীতি হলো দায়িত্বশীল, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ থাকা এবং তথ্য প্রকাশে কিছুটা দেরি হলেও সব সময় সত্য তথ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া।’
ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমটির আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাসবীর এসকান্দার বলেন, ‘মানুষ শুধু ব্রেকিং নিউজের হেডলাইন খোঁজে না- তারা এমন তথ্য চায়, যেটার ওপর ভরসা করা যায় এবং যা পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করে। আমাদের কাজ হলো তথ্যভিত্তিক সচেতনতা তৈরি করা।’
ষষ্ঠ বছরে পা রেখে দ্য ফ্রন্ট পেজ তাদের বিকেন্দ্রীভূত কন্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত করা, তথ্য যাচাই ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক কনটেন্ট বাড়ানো এবং মিডিয়া সাক্ষরতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমানসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান সভাপতির ভাষণে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে ইসলামী ব্যাংক অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল। একটি গোষ্ঠী দেশের শীর্ষ এ ব্যাংকটির ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছিল। তবে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গঠিত নতুন পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল দায় পরিশোধ করেছে এ ব্যাংক। ২.৫ কোটি গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের আস্থার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক। জুলাই বিপ্লবের পরে এ ব্যাংকটিকে পুনরুদ্ধার ও গ্রাহকস্বার্থ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমান পরিচালকদের নিয়োগ দিয়েছে। পরিচালকরা ব্যাংকের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি এ ব্যাংকের প্রতি আস্থা রাখার জন্য গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের কৃতজ্ঞতা এবং অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান।