‘পুঁজিবাজার নিয়ে হুটহাট আমরা অনেকেই অনেক মন্তব্য করি। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেক কথা বলি। এসব অহেতুক অনেক কথা পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়ে। এখানে প্রতিটি কথা জেনে, বুঝে ও বিশ্লেষণ করে বলতে হয়। কারণ পুঁজিবাজার অন্য সব বাজারের মতো নয়। পুঁজিবাজার অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি স্থান। এখানে কোম্পানির শেয়ার (মালিকানা স্বত্ব) কেনাবেচা হয়। পুঁজিবাজারে শেয়ারদর ওঠানামা করবে, যা স্বাভাবিক। এখানে কোনো কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লে তড়িঘড়ি করে কেনার জন্য ঝুঁকে পড়বেন, আবার দর কমলে হতাশায় পড়ে তড়িঘড়ি করে হাতে থাকা শেয়ার বেচবেন, এসব বর্জন করতে হবে। কারণ অর্থ আপনার। সিদ্ধান্তও আপনার। বিনিয়োগ আপনার কথামতো হবে। লাভ-লোকসান যাই হবে, সেটাও আপনাকে বহন করতে হবে। তাই পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোম্পানির শেয়ারদর, শেয়ারপ্রতি আয়, শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য, তারল্য, ঋণ, পলিসি, ডিভিডেন্ড, কোম্পানির পরিচালকদের রেকর্ড দেখা উচিত। পাশাপাশি বুঝে, বিশ্লেষণ ও কোম্পানির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে সেসব সম্পর্কে জেনে বিনিয়োগ করবেন।’
সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিলে তার ব্যবসায়িক কার্যালয়ে পুঁজিবাজার নিয়ে দৈনিক বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মতামত তুলে ধরেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী। এর আগে তিনি ডিএসইর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানকে এই সাক্ষাৎকার দেন।
বর্তমান পুঁজিবাজার আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
: বর্তমানে পুঁজিবাজার এক ব্যতিক্রম পরিবেশ অতিবাহিত করছে। এটা হলো সম্প্রতি ভৌগোলিক পরিবর্তন, বিভিন্ন মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি, ডলারের মান বেড়ে যাওয়া, সবকিছু মিলে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দাবস্থায় চলছে। এ ছাড়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। এসব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে প্রভাব পড়েছে। যদিও এগুলো সাময়িক। সামনে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে এটা সত্যি যে, বর্তমান রেগুলেটররা (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে বিভিন্ন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। শক্তিশালী করতে পুঁজিবাজারের ভেতর ও বাহিরে নানা সংস্কার করেছেন। এসব প্রভাবে এই পরিবেশেও পুঁজিবাজার ভালোর দিকে যাচ্ছে। কয়েকটি ইন্ডিকেটর দেখলে সহজেই এটা বোঝা যায়। এর মধ্যেও বড় বিষয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ছে। পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়ে বর্তমানে ৭ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকায় এসে দাঁড়িছে। সূচক ৬ হাজারের ওপরে। পুঁজিবাজারের উত্থান-পতনের আচরণ স্বাভাবিক। এক কথায় এমন পরিবেশেও পুঁজিবাজার পরিপক্বভাবে আগাচ্ছে।
সামনে বাজারকে কোথায় দেখতে চান?
: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে এসেছে। এই লম্বা সময়ে অনেক ধস পেরিয়েছে। অতীতের (১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১০) কয়েকটি বড় ধস পুঁজিবাজারে এসেছিল। প্রতিটি ধস ছিল ব্যতিক্রম ধরনের। প্রতিটি ধস পুঁজিবাজারে নতুন নতুন ম্যাসেজ নিয়ে এসেছিল। এতে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা তাদের ভুলত্রুটি ধরতে পেরেছেন। অতীতের ধস থেকে বিনিয়োগকারীরা অনেক কিছু শিখেছেন। ফলে ধস-পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগের ভুলগুলো সংশোধন করে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বিপুল উৎসাহে বিনিয়োগ এসেছেন। দক্ষতার সঙ্গে আজও তারা টিকে আছেন। বর্তমান লেনদেনে বিনিয়োগকারীরা বেশ পরিপক্ব আচরণ করছেন। বুঝে, শুনে ও বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে লেনদেন করছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিএসই এশিয়ার মধ্যে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের গতিশীল পুঁজিবাজারের তালিকায় নাম লেখাবে ডিএসই।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো নিয়ে কী ভাবছেন?
: ইতিবাচক পুঁজিবাজারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের শেয়ারের ধারণক্ষমতা অনেক বেশি। তাদের বিনিয়োগ সাইজও বড়। পুঁজিবাজারে এদের আনাগোনা বৃদ্ধি মানে অন্যদেরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভরসা জোগায়। এতে পুঁজিবাজারে অন্যদের বিনিয়োগ বাড়ে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বুঝে ও বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগে আসেন। অনেক যাচাই-বাছায়ের পর তারা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। তাই তাদের বিনিয়োগে লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে লোকসানের ঝুঁকি কম থাকে। গতিশীল পুঁজিবাজারের জন্য এদের বিনিয়োগে আরও আগ্রহী করাতে হবে। অবশ্য দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগে আগ্রহ করাতে হবে। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজারে অতি লাভের আশায় এরা প্রতিদিনের ট্রেডার হয়ে গেছেন। এটি তাদের করা ঠিক নয়। গতিশীল পুঁজিবাজারে জন্য আরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। আমাদের এখানে যে পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী রয়েছেন, তা যথেষ্ট নয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়লে আমাদের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। একই সঙ্গে তাদের বিনিয়োগও বাড়বে।
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে, আপনি কীভাবে দেখছেন?
: পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকে আমি সব সময় স্বাগত জানাই। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের গতি কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি আমাদের আশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের পর সম্প্রতি বিদেশি বিনিয়োগের গতি বাড়ছে, যা বাজারে সুদিনের ইঙ্গিত বহন করে। তার মতে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আবেগে বা হুজুগ-গুজবে বিনিয়োগ করেন না। গবেষণা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করেন। যে কোম্পানিতে তারা বিনিয়োগ করেন, তাদের রিসার্চ রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখেন তারা। প্রয়োজনে নিজেরাও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তাদের মৌলিক দিকগুলো বুঝে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দেশের বিনিয়োগকারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার কয়েক দিন মন্দা থাকলেই ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেন। গুজবে কম দরে শেয়ার বেচে দিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তারা। বিদেশিরা ওই সাময়িক মন্দায় হতাশ হন না। ওই সময়ে তারা বেশি করে শেয়ার কিনেন। এভাবে পুঁজিবাজার অনেকটা সাপোর্ট পায়। অন্যদিকে শেয়ারের দর বাড়লে তারা তা বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন।
অনেক বহুজাতিক ও সরকারি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে না, এর কারণ?
: দেশের পুঁজিবাজারে বেসরকারি কোম্পানির অন্তর্ভুক্তির জন্য দুটি নিয়ম। একটি ফিক্সড প্রাইস। অন্যটি বুকবিল্ডিং পদ্ধতি। এসব কোম্পানির পুঁজিবাজারে প্রবেশ ক্ষেত্রে আইপিওসহ নানা প্রক্রিয়ার সহজ করে তালিকাভুক্তির সুযোগ করা দেখা যেতে পারে। বাজারের আসার প্রক্রিয়া সহজ হলে, এদের অংশগ্রহণ বাড়বে। অন্যদিকে সরকারি কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হলে কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা হাতছাড়া হতে পারে। এমন ভুল ধারণায় সরকারি কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসে না। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, তাদের সেই ভুল ধারণা দূর করা। পাশাপাশি এসব কোম্পানিগুলো যেন তালিকাভুক্তি হতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া। এখনই উপযুক্ত সময় সরকারি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার। আমি বলতে চাই, এটি বিনিয়োগকারীকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করবে। এতে কোম্পানিগুলোতে স্বচ্ছতা বাড়বে। তার মতে, এসব কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে এলে জবাবিদিহিতা, মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী হবে।
পুঁজিবাজারে জন্য রিসার্চ-অ্যানালাইসিস কতটা জরুরি?
: কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার আগে ওই কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া দরকার। কোন শেয়ার কিনব, কেন কিনব তার একটা যৌক্তিকতা থাকা উচিত। কোন কোম্পানি রাইট শেয়ার দেবে, স্টক শেয়ার আসছে এমন খবরে কিন্তু শেয়ারের মৌলভিত্তি বোঝা যাবে না। মৌলভিত্তির কোম্পানি বুঝাতে গেলে আমাকে পেশাদারত্ব দিয়ে চেক করাতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে না জেনে আমরা অনেক জায়গায় বিনিয়োগ করি। এ বিষয়গুলো ভালো করে জানার জন্য কোম্পানির বিশ্লেষণ জরুরি। এটি সবার পক্ষে সম্ভব না। তাই ভালো রিসার্চ অ্যানালাইসিস টিম খুবই জরুরি। তথ্য বা জ্ঞান আহরণের জন্য এই টিম সক্রিয় থাকাটা প্রয়োজন। কারণ পুঁজিবাজার পুরোটাই তথ্যনিভর বাজার।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ
: কোম্পানিগুলো থেকে যাচাই-বাছাই করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা করলে নিশ্চিত লাভ করা সম্ভব। অথচ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ যাচাই-বাছাইয়ের ধার ধারেন না। তারা করেন ঠিক উল্টো। তারা আজ বিনিয়োগ করে কালই দ্বিগুণ লাভ করতে চান। দেখা যায়, পুঁজিবাজারে যখন শেয়ারের দর কমে যায় তখন বিনিয়োগকারীরা তাদের কাছে থাকা শেয়ারকে বোঝা মনে করে হুজুগে বিক্রি করে দেন। আবার যখন দর বাড়ে তখন লাভের আশায় বেশি দরে শেয়ার ক্রয় শুরু করেন। ফলে তারা অনবরতই লোকসানের মধ্যে থাকেন। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফা করতে চাইলে শেয়ারের দর যখন নিম্নপর্যায়ে থাকে তখন বিনিয়োগ করা উচিত। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে তার প্রোফাইল ও ভিত্তি যাচাই করে নিতে হবে। অধিক মুনাফার আশায় কোনো অবস্থাতেই গুজবের ওপর ভিত্তি করে বা হুজুগে বিনিয়োগ করা যাবে না। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে হতে পারে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে। কিন্তু দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়া বাজারের জন্য ভালো খবর, এমনটি নয়। অনেক ক্ষেত্রে অকারণে এসব কোম্পানির শেয়ারদর বাড়াটা কারসাজি চক্রের কাজ বলে জানা যায়। তাই এসব কোম্পানির দর বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিপদ বয়ে আনার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং দুর্বল কোনো কোম্পানির শেয়ার দরের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করা। কারণ পুঁজি তাদের, তাই সবার আগে পুঁজির নিরাপত্তার কথা তাদেরই ভাবা উচিত। তাই মুনাফার আশায় ঝুঁকি নেয়া, বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ব্যবসা চলমান থাকবে। ভারতের পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা এখনও অফিসিয়ালি কিছু জানি না। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর ব্যবস্থা নিতে পারবো। যদি সমস্যা দেখা দেয় বা তৈরি হয় তাহলে উভয়পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো।
উপদেষ্টা আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ও নিউজ থেকে আমরা জেনেছি তারা স্থলবন্দর বিশেষ করে আখাউড়া, ডাউকিস্থ বন্দরসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনই আমাদের বড় লক্ষ্য। এটা দু’দেশের জন্য লাভজনক বিষয়। আমরা মনে করি ভারত নিজেও একটা টেক্সটাইল বা বস্ত্র শিল্পে সমৃদ্ধ দেশ। এরপরও যখন আমাদের দেশ থেকে এসব পণ্য রফতানি হয় সেটা আমাদের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই হয়।
তিনি আরো বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রভাব আমাদের নেই। আমরা নিজেদের সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্বভাবেই এ সমস্যার সমাধান করেছি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা যেহেতু ভৌগোলিকভাবে কানেক্টেড একটা দেশ, আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা, পরিবহণ ব্যয়সহ অন্যান্য বিষয়গুলো নির্দিষ্ট। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের কৃষিপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করি, ভারতও করে। এটা বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া এবং আমরা সে বিষয়ে কাজ করছি। সেখানে যদি সমস্যা দেখা দেয় বা তৈরি হয় তাহলে উভয়পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো।
উপদেষ্টা বলেন, আমি উদার বাণিজ্যে বিশ্বাসী। আমার কাছে বাণিজ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমার দেশের ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাণিজ্য ইনক্লুশন ছাড়া আর কোনো রাস্তা আমি দেখি না। বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের বৈচিত্র্যকরণ ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে কাজ করবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন কিন্তু বিএনপির কার্যক্রমে বাধা দেননি, জুলুম নির্যাতন করেননি এমন ব্যক্তি এবং সামাজিকভাবে যারা গ্রহণযোগ্য তারা বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন।
চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউরীতে অবস্থিত দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল শনিবার দুপুরে ‘সদস্য নবায়ন’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বিভাগীয় বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আমীর খসরু বলেন, দীর্ঘদিন পর এভাবে সদস্য সংগ্রহ করার সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। এটিকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপিতে যোগ দেওয়া গর্বের বিষয়। এ জন্য অনুষ্ঠান করে সবার উপস্থিতিতে দলের প্রত্যেকটি ইউনিট সদস্য সংগ্রহ করবে। এগুলো মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে। পাশাপাশি ফেসবুকেও দিতে হবে।
এ সময় সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে দলে নেওয়া যাবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি। বলেন, তাদের কারণে আমাদের ভোট কমে যাবে। আবার আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না।
‘তবে আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল; কিন্তু বিএনপির কার্যক্রমে বাধা দেয়নি, আমাদের ওপর জুলুম করেনি, উল্টো ভেতরে-ভেতরে আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের দলে নিতে কোনো সমস্যা নেই’ বলে উল্লেখ করেন আমীর খসরু।
একই সঙ্গে গোপনে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। বলেন, বিএনপিতে যোগ দিতে হলে ঘোষণা দিতে হবে এবং প্রকাশ্যে যোগ দিতে হবে।
বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যতদ্রুত সম্ভব সম্মতি তৈরি করে একটি জাতীয় সনদের দিকে এগিয়ে যেতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রবিবার (১৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর দ্বিতীয় দফার আলোচনার শুরুতে তিনি এ আশ্বাস দেন।
তিনি জানান, জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দুয়েক দিনের মধ্যে শেষ করে শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা থাকবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সেসব বিষয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে এই আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাদের আত্মদানে এই সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায় আছে। এ দায় শুধুমাত্র কমিশনের নয় বরং বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক শক্তি, সুশীল সমাজ ও সামাজিক শক্তিগুলোরও এ দায় রয়েছে।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এর নেতৃত্বে আলোচনায় ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, এহসান মাহবুব যোবায়ের, সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শিশির মোহাম্মদ মনির এবং সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
গত ২০ মার্চ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয় জামায়াতে ইসলামী। পরে গত ২৬ এপ্রিল দলটির সঙ্গে আলোচনায় বসে কমিশন। প্রথমদিনের আলোচনার অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে আজ (রবিবার) বর্ধিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু হলেও প্রথম ঘণ্টার পর কমতে শুরু করে লেনদেন সূচক। প্রথম ধাক্কায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও সূচকের অকস্মাৎ পতনে দোলাচলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএসও নিম্নমুখী।
বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া, লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৭ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু করলেও দুই ঘণ্টার মধ্যে সূচকে ধস নামে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৮২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৭১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৪ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজারে এক সপ্তাহের লেনদেনে কমেছে সবকটি সূচক, লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২১ পয়েন্ট। ৪৯০২ পয়েন্টে লেনদেন শুরু করে সূচক দাঁড়িয়েছে ৪৭৮১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২.৪৭ শতাংশ কম এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ঢাকার বাকি দুই সূচকেরও বেহাল দশা। শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএসের সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। গত ক'দিনের লেনদেনে শরীয়া খাতে সূচকের পতন ৩.২৯ শতাংশ, যা অন্য যেকোনো সূচকের তুলনায় সর্বোচ্চ।
বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ারের হয়েছে ভরাডুবি। ২.৭৬ শতাংশ সূচক কমেছে ডিএস-৩০ এ। এক সপ্তাহের লেনদেনে মোট সূচক কমেছে ৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া তালিকাভুক্ত ৩২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৪ কোম্পানির।
টানা পতনে বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক লেনদেনে। এক সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেন কমেছে ৩২.৭৮ শতাংশ।
গড় লেনদেন ৪৮০ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩২৪ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা কমেছে ১৯.৫২ শতাংশ।
খাতোয়ারি ধস
বিনিয়োগকারীদের আস্থার শেয়ার ব্যাংক খাতে বড় ধস নেমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের সামগ্রিকভাবে শেয়ারের দাম কমেছে ৪৭.৮২ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের শেয়ারেও বিনিয়োগকারীরা ভরসা রাখতে পারছেন না তার বড় প্রমাণ লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমে আসা। এ খাতে লেনদেন কমেছে ৩১.২৪ শতাংশ।
পৃথকভাবে ১০ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়লেও দাম কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের পাশাপাশি সুবিধা করতে পারেনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও। তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক শেয়ারের দাম কমেছে ২৬.৫৫ শতাংশ, মোট শেয়ার লেনদেন কমেছে ১৯.৫৩ শতাংশ।
খাতভিত্তিক শেয়ারে সবচেয়ে করুণ দশা আবাসন খাতে। এ খাতে দাম কমেছে ৬০ শতাংশ ওপরে আর লেনদেন কমেছে ৫৩ শতাংশ।
পুরো সপ্তাহ শুধু সাধারণ বীমা আর মিউচুয়াল ফান্ড ভিত্তিক শেয়ারের দাম বেড়েছে, বাকি সবকটি খাতের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বড় পতন হয়েছে, সার্বিক সূচক কমেছে ২২৬ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ৩০০ কোম্পানির মধ্যে ২০৩ কোম্পানির দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৭৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছে বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। সারা সপ্তাহের লেনদেন সিএসই'র শীর্ষ শেয়ার সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ২২ শতাংশ দাম হারিয়ে চট্টগ্রামে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
এজন্যে তিনি ‘মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি’ আইন করার কথা বলেছেন।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ব্যাংক প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মতো হবে না। ব্যাংক চলবে বিশ্বাস ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে। যেখানে ঋণ নিতে জামানত লাগবে না। এর পাশাপাশি এই ব্যাংকের বড় উদ্দেশ্য হবে সামাজিক ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সরঞ্জাম তাঁর হাতে তুলে দেবো। বিনিয়োগের টাকা পেলে মানুষ বিশেষ করে তরুণরা নিজের বুদ্ধি দিয়ে ব্যবসা চালু করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস আরো বলেন, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীরা কেউ টাকা মেরে চলে যায়নি। অথচ প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংক হাওয়া হয়ে গেছে। ব্যাংকের টাকা নিয়ে অনেকে উধাও হয়েছে। তাই আমাদের এখন প্রকৃত ব্যাংকের দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, সেটাই প্রকৃত ব্যাংক যার ওপর মানুষ বিশ্বাস রাখে,আস্থা রাখে যেমন- ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের ইতিহাস তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এমআরএ কেবল বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণের জন্য নয় বরং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্যও ভালো কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গৃহীত সংস্কার উদ্যোগসহ বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ যেন এক ধরনের রাজনৈতিক ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে গেছে- এমন মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও মাইক্রোক্রেডিটের পথিকৃৎ মুহাম্মদ ইউনূস। তার মতে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনকাল ছিল এক ধরনের স্বৈরশাসন। ২০২৪ সালের আগস্টে বড় ধরনের গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা থেকে সরানো হয়। এখন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে ইউনূস বলছেন, আমাদের যা নষ্ট হয়েছে, তা আবার গড়ে তুলছি। সঠিক পথে এগোচ্ছি, জনগণ আমাদের পাশে আছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর তার সরকারের নানা দুর্নীতির চিত্র সামনে এসেছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার দেশ থেকে পাচার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও গণহত্যার মতো মামলাও হচ্ছে (যদিও তিনি এসব অস্বীকার করেছেন)। সব রাজনৈতিক দল এখন এমন এক ব্যবস্থা চায়, যেখানে আবার কেউ যেন এত ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পারে।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেপ্টেম্বর থেকে ইউনূস বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য একাধিক কমিশন গঠন করেন- যেমন নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনে দেশের শিক্ষক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।
সব সুপারিশ নিয়ে কাজ করছে একটি বড় কমিশন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তারা এখন পর্যন্ত ১৬৬টি প্রস্তাব নিয়েছে এবং দেশের ৩৫টি রাজনৈতিক দল এতে মতামত দিয়েছে। এই কমিশন ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি নীতিমালা তৈরি করছে, যাতে নির্বাচনের পথ তৈরি হবে এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়া সম্ভব হবে।
তবে সবাই একমত নয়। কেউ বলছে, তৈরি পোশাক খাতের জন্য আলাদা কমিশন দরকার ছিল। কেউ আবার বলছে, শিক্ষা খাত উপেক্ষিত। সবচেয়ে বিতর্ক হয়েছে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কমিশন নিয়ে। তারা নারীদের জন্য উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা নিয়ে অনেকে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
তবুও অনেকে আশাবাদী। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ জানান, কিছু ভালো পরিবর্তন এরইমধ্যে হয়েছে- যেমন বিচারপতি নিয়োগে স্বাধীনতা এসেছে। তিনি আশা করছেন, আগস্টের মধ্যেই চূড়ান্ত নীতিমালা তৈরি হয়ে যাবে।
সব ঠিকঠাক চললে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। ইউনূস আশ্বাস দিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হবে- তবে তিনি নিজে তাতে অংশ নেবেন না। দ্রব্যমূল্য ও ব্যাংক খাত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, অর্থনৈতিক গতি এখনো কম। রাজনীতি এখনো অস্থির। এক জরিপ বলছে, ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করে আইনশৃঙ্খলায় তেমন উন্নতি হয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ নিয়মিতই হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবি- আওয়ামী লীগের বিচার। ১২ মে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, ফলে তারা এখন কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। যদিও দলটি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে, তারপরও তাদের কিছু সমর্থন এখনো আছে। দলের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ আরাফাত বলেছেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলাম, জঙ্গিরা আমাদের সরিয়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। ক্ষমতার বাইরে থেকেও, আওয়ামী লীগ এখনো দেশের রাজনীতিতে প্রভাব রাখছে।
চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকেই ভারতের সঙ্গে কূটনতিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে বাংলাদেশের। তবে রাজনৈতিক এই সঙ্কটের প্রভাব এখনও দেখা যাচ্ছে না অর্থনীতিতে। বৈরী সম্পর্কের মধ্যেও ভারতে পণ্য রপ্তানি বেড়েই চলছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের দেশভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ভারতে ১৫২ কোটি (১.৫২ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
এই অঙ্ক গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারতের বাজারে ১৩১ কোটি ৬৮ লাখ (১.৩১ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
এই প্রবৃদ্ধি অপ্রচলিত বা নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি; একক বাজার হিসাবে সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমান। অন্য বড় বাজার জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও কানাডার চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে এই খাত থেকে।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের দশ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়ে ভারতের বাজারে পোশাক রপ্তানি থেকে ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স- এ সব বড় বাজারের চেয়েও ভারতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এই দশ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬২৩ কোটি (৬.২৩ বিলিয়ন) ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও কানাডার বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১০ দশমিক শূন্য দুই, ৩ দশমিক ৪১, ১ দশমিক ৮৬ এবং ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জুলাই-এপ্রিল সময়ে জাপানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। চীনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিপরীতে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। রাশিয়ায় কমেছে সবচেয়ে বেশি ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ।
ইপিবির এই তথ্যই বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে। ভারত থেকে পণ্য আসা যেমন কমেনি; তেমনি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তো কমেইনি, বরং বাড়ছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ যত পণ্য আমদানি করে, তার অনেক কমই রপ্তানি করে থাকে।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ভারতে রপ্তানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় বাংলাদেশের সেটাই প্রথম।
তার আগের অর্থ বছরে (২০২১-২২) ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছিল ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলার, যা ছিল ২০২০-২১ অর্থ বছরের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
তবে গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সেই রপ্তানিতে ভাটা পড়ে; আয় নেমে আসে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলারে।
গত বছরের জুলাই মাসে অর্থ বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। তা আগস্টের শুরুতেই জনবিস্ফোরণে রূপ নিলে পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। তিনি আশ্রয় নেন ভারতে।
এরপর থেকে ঢাকা-নয়া দিল্লি কূটনৈতিক টানাপড়েন চললেও নভেম্বরে এসে তা তীব্রতা পায় হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার নিয়ে।
তার জেরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধেরও হুমকি দেন।
এরই মধ্যে গত ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক হয়। তবে ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হওয়ার তেমন আভাস পাওয়া যায়নি।
এসবের মধ্যেই গত ৯ এপ্রিল ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে ভারত সরকার।
এরই মধ্যে কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কয়েকটি স্থানে গত ৬ মে প্রথম প্রহরে সামরিক অভিযান চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তানও হামলা চালায় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে, যাতে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে।
চার দিন পর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। তবে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই উত্তেজনার প্রভাব বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
গত বছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে ১৫১ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার (১.৫২ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা এই দশ মাসের মোট রপ্তানি আয়ের ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
২০১১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয়। তবে সেই সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।
ওই বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়ে টাকা দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সে জন্য বেশ কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতেও ভাটা পড়েছিল।
এরপর ভারতে রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রথমবারের মতো দেশটিতে পণ্য রপ্তানি আয় ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পাঁচ বছরের মাথায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সেই আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।
২০২০-২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের বাজারে ১২৮ কোটি (১.২৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১২৫ কোটি (১.২৫ বিলিয়ন) ডলার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে তা কমে ১০৯ কোটি ৬২ লাখ (১.০৯ বিলিয়ন) ডলারে নেমে আসে।
বাংলাদেশ ভারতে মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। এছাড়া কাঁচা পাট ও পাটজাতপণ্য, সুতা, প্লাস্টিক পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ভারতে তৈরি পোশাক থেকে আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে ওভেন পোশাক থেকে আয় হয়েছে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর নিট পোশাক থেকে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৮ লাখ ডলার।
এছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ৯ কোটি ১৪ লাখ ডলার, কটন ও কটন প্রোডাক্টস থেকে ২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানি থেকে ৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে ডলার-টাকার বিনিময় হার এখন থেকে বাজারনির্ভরভাবে নির্ধারণের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ আগামী জুন মাসের মধ্যে ১৩৩ কোটি ডলারের ঋণ কিস্তি পাবে বলেও জানান তিনি।
ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের দর-কষাকষি চলছিল। মূলত সে কারণে আইএমএফ ঋণের কিস্তি ছাড় করছিল না। এর মধ্যে গতকাল জানা যায়, বাংলাদেশ ডলারের বিনিময় আরও নমনীয় করতে রাজি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারে ঋণের দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করতে রাজি হয়েছে আইএমএফ।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত ৯ মাসে রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করা হয়নি, তবুও বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। এ অবস্থায় বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে ব্যাংকারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বাজারভিত্তিক করায় হঠাৎ করে ডলারের রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘদিন ধরে ডলারের রেট ১২২ টাকার আশপাশে রয়েছে এবং তা সেখানেই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ডলারের রেট দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা-সরবরাহ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে, বাইরের দেশের নির্দেশে নয়। বর্তমানে বাজারে ডলারের সরবরাহও পর্যাপ্ত রয়েছে।
তবে, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দুবাইভিত্তিক কিছু সিন্ডিকেট বাজারে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক থাকবে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. মো. হাবিবুর রহমান, কবির আহমেদ, উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ এবং নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
এদিকে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির জন্য নির্ধারিত ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে ছাড় করবে।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সকল বিষয় সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা বিনিময় হারসহ অন্যান্য সংস্কার কাঠামো বিষয়ে সম্মত হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং বিনিময় হার ব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে অধিকতর পর্যালোচনার লক্ষ্যে চতুর্থ রিভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর উভয় রিভিউয়ের জন্য নির্ধারিত কিস্তির অর্থ একত্রে ছাড় করা হবে বলে বিগত তৃতীয় রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ রিভিউয়ের সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ব্যাংক-ফান্ড সভায় এবিষয়ে আলোচনা চলমান ছিল।
এ ছাড়া বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা জুন মাসের মধ্যে পাবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়া গেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে। ফলে মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসকল সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিবেচনায় পরিকল্পিত এবং জাতীয় স্বার্থে গৃহীত। এ সকল সংস্কার কর্মসূচির ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরি সহায়তা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির জন্য নির্ধারিত ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে ছাড় করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সকল বিষয় সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা বিনিময় হারসহ অন্যান্য সংস্কার কাঠামো বিষয়ে সম্মত হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং বিনিময় হার ব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে অধিকতর পর্যালোচনার লক্ষ্যে চতুর্থ রিভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর উভয় রিভিউয়ের জন্য নির্ধারিত কিস্তির অর্থ একত্রে ছাড় করা হবে বলে বিগত তৃতীয় রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ রিভিউয়ের সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ব্যাংক-ফান্ড সভায় এবিষয়ে আলোচনা চলমান ছিল।
এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা জুন মাসের মধ্যে পাবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়া গেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো শক্তিশালী হবে। ফলে মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসকল সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিবেচনায় পরিকল্পিত এবং জাতীয় স্বার্থে গৃহীত। এ সকল সংস্কার কর্মসূচির ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরি সহায়তা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের পতন দিয়ে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১ পয়েন্ট।
দিনের প্রথমার্ধের লেনদেনে ঢাকায় ১৪২ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৭ কোম্পানির শেয়ারদর।
সামগ্রিকভাবে ডিএসইতে প্রথমার্ধে মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ১৩৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও হয়েছে সূচকের কমেছে ; সার্বিক সূচক কমেছে ৬০ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে চট্টগ্রামের বাজারে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নিয়ে কিংবা টাকা ছাপিয়ে এবারের বাজেট করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মোটামুটিভাবে বাজেটটাকে বাস্তবায়ন করবো। বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে বাজেট করব না। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে ধার করে ডেফিসিট দিয়ে এগুলা করব না। ব্যাংক থেকে বড় ঋণ করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা এসব করব না। কিছুটা তো ডেফিসিট থাকবে। সেটা আমরা আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাথে বসে প্রজেক্টের ব্যাপারে নেগোশিয়েট করবো।’
গতবারের চেয়ে বাজেট ছোট হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা সময় হলেই জানতে পারবেন।’
ক্রয় কমিটির নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তেলের একটু ঘাটতি আছে। আমরা রাইস ব্রান অয়েল আনার বিষয় কথা বলেছি। বেশিরভাগ প্রস্তাবগুলো পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। আমাদের নদীর পাড়গুলো ভেঙে গেছে, সেখানে আমরা প্রজেক্ট এপ্রুভ করলাম। নদীগুলো যদি আমরা সংরক্ষণ করি, তাহলে বর্ষা মৌসুমে দেখা যাবে রাস্তা ভাঙতে থাকবে। এর ৬টি প্রজেক্ট। আর বাকিগুলো খাদ্য গুদাম নিয়ে। আর এলএনজি আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সবার স্বার্থ রেখেই এনবিআরের নতুন অধ্যাদেশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ে যে নতুন অধ্যাদেশ করা হয়েছে, সেখানে সবার স্বার্থ সংরক্ষিত আছে বলে মন্তব্য সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
কাস্টমস কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, তাদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে এনবিআরের অর্ডিন্যান্স করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাই না। তারা যা বলার বলবে। আপনারা বিষয়টা ভালো করে পড়বেন। দেখবেন তাদের স্বার্থ সংরক্ষিত আছে। সুতরাং তাদের দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। এনবিআরটা যেভাবে আছে, তাদের টার্মস অব রেফারেন্স অনুযায়ী একটা ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস।’
তিনি বলেন, ‘পলিসি ডিভিশন আর ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশন এক থাকে না। সব দেশেই আলাদা থাকে। পলিসি ডিভিশনটা একটু প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং জিডিপি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর এনবিআর করবে এটা ইমপ্লিমেন্ট। এনবিআর যদি এটা পলিসিও করে (যাদের কাজ হলো কালেক্ট করা), তাদের একটা ইন্টারেস্ট থাকে। আমি একটা পলিসি করলাম আবার আমি আদায়ও করলাম।’
সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি বলবো অধ্যাদেশ অন্তত সুচিন্তিতভাবে করা হয়েছে। ওদের সাথে যে আলাপ করা হয়নি; তা না। এনবিআরের হাজার হাজার লোকের সাথে তো আলোচনা করা যায় না। যারা মেম্বর বা সদস্য অবশ্যই তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আবার প্রশাসনের লোকের কিছু মন্তব্য আছে। তাদের সাথেও আলোচনা করা হয়েছে।’
রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি গতবারের তুলনায় রাজস্ব আদায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে৷ এটা হতাশাব্যাঞ্চক না। ফলে আমি আশা করছি, অন্তত গতবারের চেয়ে কম হবে না।’