সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। এজন্য বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজ করতে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার অর্থ বিভাগের অধীন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। এ স্কিমের অধীনে ২ হাজার, ৩ হাজার, ৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জমার চারটি অপশন আছে।
যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর দেশের বিভিন্ন ধরনের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরটি হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে।
সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ।
এর আগে, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর যে চারটি স্কিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেগুলো হলো – প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি (বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য), সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য) এবং সমতা (স্বল্পআয়ের নাগরিকদের জন্য)।
দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষ পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসবেন- এমন প্রত্যাশা সরকারের রয়েছে। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনা এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই পেনশন স্কিম চালু করা হয়। দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন, সরকারের এমন প্রত্যাশা থাকলেও প্রথম তিন মাস পর্যন্ত মানুষের সাড়া খুবই কম।
চারটি কর্মসূচির মধ্যে প্রগতিতে এখন পর্যন্ত চাঁদা দিয়েছেন সাত হাজার জনের কিছু বেশি। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ আরও সহজ করার লক্ষ্যে আরজেএসসির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। এ স্কিমের অধীন এত দিন ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা পরিমাণে মাসিক অর্থ (চাঁদা) জমা রাখার সুযোগ ছিল। এখন ১০ হাজার টাকা চাঁদা জমারও সুযোগ রাখা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফা জানান, আরজেএসসির সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষরের ফলে নিবন্ধিত এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের যাচাইপ্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে।
দেশের বিভিন্ন ধরনের যৌথ, একক কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন দিয়ে থাকে আরজেএসসি। গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত সরকারি এ সংস্থা ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন দিয়েছে।
নিয়ম অনুসারে, প্রগতি স্কিমের চাঁদা কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ এবং মালিকপক্ষ ৫০ শতাংশ হারে বহন করবে। তবে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্কিমে অংশ নিতে না চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিজ উদ্যোগে এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত ১৫ হাজার ৮৫৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। এ কর্মসূচিতে জমা হওয়া অর্থ থেকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে।
গত পাঁচ মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বহুলাংশে কমেছে। একইভাবে গত বছরের রমজানের তুলনায় এ বছর বেশির ভাগ পণ্যের দাম কমেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় রয়েছে চাল, গম, ডাল, মুরগি, ডিম, মাছ, সয়াবিন, পামওয়েল, চিনি, লবণ, আলু, টমেটো, মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও হলুদ।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মুদি দোকান ও মুরগির মার্কেট থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সংগৃহীত তথ্যে এ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার চাল (নাজিরশাইল, মিনিকেট, বিআর২৮, গুটি ও পাইজাম) এবং গমের (লুজ আটা, প্যাকেটজাত আটা, লুজ ময়দা ও প্যাকেটজাত ময়দা) দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও গত বছরের রমজানের তুলনায় চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও গমের দাম (আটা ও ময়দা লুজ প্যাকেটজাত) কমেছে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানি করতে কয়েকটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি।
আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, স্থানীয় গ্যাসের চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা।
সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ৭৫৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৭৩ ডলার। এছাড়া সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই ৭৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে। যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৪৭ ডলার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রস্তাব অনুযায়ী সংস্থাটি স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে।
শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা বাল্ক মসুর ডাল ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সরবরাহ করবে। যার প্রতি কেজির দর পড়বে ৯৫ টাকা ৪০ পয়সা।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১৫৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন ব্যাগযুক্ত গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। যার প্রতি টনের দাম পড়বে ৪২২ দশমিক ৬২৫ ডলার।
ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার ২৫০ টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
আজ বুধবার সকালে এসব চাল দেশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম।
তিনি বলেন, জি টু জি ভিত্তিতে পাকিস্তান থাকে আমদানির ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এসআইবিআই এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের (প্যাকেজ-০৫) আওতায় ভারত থেকে আমদানির ১১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি এইচটি ইউনাইট জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজ দুটিতে আনা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও নতুন বাজার ছাড়া বাকি সব বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর প্রথমার্ধে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের অর্ধেকের গন্তব্য ছিল ইইউ। বড় এই বাজারে রপ্তানি হয়েছে ৯৮৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। ইইউর দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, ইতালি ও ডেনমার্কে ৫০ কোটি ডলার বা তার বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে স্পেন ও ইতালি ছাড়া বাকি দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে জার্মানিতে ২৪৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া স্পেনে ১৭০ কোটি, ফ্রান্সে ১০৯, নেদারল্যান্ডসে ১০৬, পোল্যান্ডে ৭৯, ইতালিতে ৭৭ ও ডেনমার্কে ৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ডে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ আর সর্বনিম্ন স্পেনে, ৩ শতাংশের কাছাকাছি। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সে দেশে ৩৮৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ১৯-২০ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনা দেখছেন তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ সরাবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ বা অর্ডার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যদিয়ে লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়েছে ৫ হাজার ৪৫১ কোটি টাকার বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সপ্তাহ শেষে এটি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি ৫৮ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে বাজার মূলধনে ৫ হাজার ৪৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সামান্য ১ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০২ শতাংশ কমেছে। তবে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৭ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৬২ শতাংশ। অন্যদিকে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৯ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ২ হাজার ১০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা থেকে ২৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের দৈনিক গড় ৪২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২০৩টির কমেছে এবং ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ফলে লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধন উভয়ই বেড়েছে। তবে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা এখনো কিছুটা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
৮ কোম্পানির শেয়ারে ভালো মুনাফা
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা ১০ কোম্পানি হলো-এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, শাইনপুকুর সিরামিকস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ইনটেক অনলাইন, ফু-ওয়াং ফুড, ফার কেমিক্যাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, গোল্ডেন সন, সোনারগাঁ টেক্সটাইল ও আল্-আরাফা ব্যাংক লিমিটেড। স্টকনাও সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৮টি কোম্পানির শেয়ার হলো ‘বি’ গ্রুপের। যেগুলো হলো- এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, শাইনপুকুর সিরামিকস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ইনটেক অনলাইন, ফু-ওয়াং ফুড, ফার কেমিক্যাল, গোল্ডেন সন ও সোনারগাঁ টেক্সটাইল।
ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার কিছুটা নেতিবাচক থাকলেও ‘বি’ গ্রুপের এই ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা সপ্তাহের ব্যবধানে ভালো মুনাফা পেয়েছেন। যে কারণে কোম্পাানিগুলোর বিনিয়োগকারিরা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে দর বেড়েছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের ৫৭.১৪ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ২৭.৮৩ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্টের ১৮.৫৮ শতাংশ, ইনটেক অনলাইনের ১৫.৭১ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডের ১৪.৯৩ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের ১৪.৬১ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ১১.৬৩ শতাংশ এবং সোনারগাঁ টেক্সটাইলের ১১.১১ শতাংশ।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাগ্যবান এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের বি বিনিয়োগকারিরা। কারণ কোম্পানিটির শেয়ার দর সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে। প্রতিদিনই কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ দরে উঠে হল্টেড হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহ শেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা।
অন্যদিকে শাইনপুকুর ও গোল্ডেন হার্ভেস্টের শেয়ার সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ৩ কর্মদিবস সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়ে হল্টেড হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী করেছে সাত কোম্পানি
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে দরপতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- মিডল্যান্ড ব্যাংক, তুংহাই নিটিং, নূরানী ডাইং, আর এ কে সিরামিকস, অ্যাপেলো ইস্পাত, ভিএফএস থ্রেড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, তাল্লু স্পিনিং, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ও পিপলস লিজিং লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭টি কোম্পানির শেয়ার হলো ‘জেড’ গ্রুপের। যেগুলো হলো- তুংহাই নিটিং, নূরানী ডাইং, অ্যাপোলো ইস্পাত, ভিএফএস থ্রেড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, তাল্লু স্পিনিং ও পিপলস লিজিং লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে আগের সপ্তাহেও বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারে পতন হয়েছিল। বিদায়ী সপ্তাহের পতনে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হয়েছে। যে কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ার তাদের বেশ চাপে ফেলেছে।
তবে কোম্পানিগুলোর শেয়ার জানুয়ারি মাসজুড়ে বিনিয়োগকারীদের ভালো মুনাফা দিয়েছে। কারণ জানুয়ারি মাসে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তখন এসব কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
কিন্তু যেসব বিনিয়োগকারী গত সপ্তাহের শুরুতে বা মাঝামাঝি নাগাদ কোম্পাানিগুলোর শেয়ার কিনেছেন, তারা এখন অনেক লোকসানে রয়েছেন। তাদের জন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ার অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি দর কমেছে তুংহাই নিটিংয়ের। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৮ শতাংশ ১২ শতাংশ পর্যন্ত।
দুই কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রবি আজিয়াটা ও সামিট পাওয়ার লিমিটেড গত সপ্তাহে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে রবি। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। যার পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। গত বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ-সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পর্ষদ সভা শেষে রবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে লভ্যাংশসহ গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।
সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে রবির মুনাফা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। গত বছর শেষে রবি আজিয়াটার মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০২ কোটি টাকায়। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ৩২০ কোটি টাকা।
সর্বশেষ বছরে রবির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর ৬১ পয়সা ছিল। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১১৯ শতাংশ।
আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৮ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর ৭ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল।
আগামী ২১ এপ্রিল রবির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মার্চ।
সামিট পাওয়ার
তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ-সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছর ২ টাকা ০৭ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪১ টাকা ৪৪ পয়সা।
আগামী ১৩ এপ্রিল কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্চ।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দলটির নেতাকর্মীরা কালো ব্যাধ পড়ে সকাল সাড়ে ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হয়। তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবর জিয়ারত করেন। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
এছাড়া সারা দেশে বিএনপির বিভিন্ন শাখাও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ভাষা বীরদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা বাজার কয়েক মিনিট আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান।
এ ছাড়া এর আগে রাত ১১টা থেকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পলাশী প্রান্তে অপেক্ষা করতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে। ভারত থেকে পণ্য আসা যেমন কমেনি; তেমনি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তো কমেইনি, বরং বাড়ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) প্রতিবেশী দেশটিতে ১১১ কোটি (১.১১ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
এই অঙ্ক গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এই ধারায় চললে অর্থ বছর শেষে রপ্তানির অঙ্ক ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারে গিয়ে ঠেকতে পারে।
এর আগে কেবল ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়েছিল। ওই অর্থ বছরে ২১৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।
ইপিবির দেওয়া তথ্যে চোখ রাখলে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের ভারতে ১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারের যে পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪ শতাংশ। এই আয়ের মধ্যে ৪২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। যা গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।
পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানি থেকে এসেছে ১১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে এসেছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। প্লাস্টিক দ্রব্য থেকে এসেছে ৪ কোটি ২২ লাখ ডলার এবং সুতাজাত দ্রব্য রপ্তানি থেকে এসেছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এই সাত মাসে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৯৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলারের পণ্য।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের সঙ্গে ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বড়। বাংলাদেশ যত রপ্তানি করে তার বহু গুণ বেশি আমদানি করে। বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে রপ্তানি বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। দেশটিতে পণ্য রপ্তানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় বাংলাদেশের সেটাই প্রথম।
তার আগের অর্থ বছরে (২০২১-২২) ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছিল ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলার, যা ছিল ২০২০-২১ অর্থ বছরের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
তবে গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সেই রপ্তানিতে ভাটা পড়ে; আয় নেমে আসে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলারে। এবার আবার ঊর্ধবগতি দেখা যাচ্ছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো দেশটিতে পণ্য রপ্তানি আয় ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পাঁচ বছরের মাথায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তার আগে মাত্র চারটি অর্থ বছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের বাজারে ১২৮ কোটি (১.২৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১২৫ কোটি (১.২৫ বিলিয়ন) ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা কমে ১০৯ কোটি ৬২ লাখ (১.০৯ বিলিয়ন) ডলারে নেমে আসে।
বাংলাদেশ ভারতে মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। এছাড়া কাঁচা পাট ও পাটজাতপণ্য, সুতা, প্লাস্টিক পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে ৫৫ কোটি ডলার, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে ২২ কোটি ডলার এবং চামড়া থেকে ১১ কোটি ডলার আয় এসেছিল।
ভারত থেকে কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, আলু, চাল, ডালসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানি হয়। তবে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল তুলা ও সুতা।
সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) আমদানির তথ্য পাওয়া না গেলেও এই সময়ে কোনও পণ্য আসা থেমে ছিল না।
ভারতের বাজারে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে তা যেন নষ্ট হয়ে না যায়, তা চাইছেন পোশাক ব্যবসায়ীরা।
নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “আমাদের তৈরি পোশাকের খুবই সম্ভাবনা এবং ভালো বাজার হয়ে উঠছে ভারত। সার্বিক রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাঝে হোঁচট খেয়েছিল।
‘এখন আবার বাড়ছে। এটা ধরে রাখতে হবে। সেজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে যে সম্পর্ক দেখা দিয়েছে, তার সম্মানজনক সমাধান করতে হবে।’
‘মনে রাখতে হবে, পাশের দেশ হওয়ায় ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে আমাদের পরিবহন খরচ অনেক কম হয়। স্থলবন্দর দিয়েই সব পণ্য রপ্তানি হয়। সে কারণে ভারতে আমাদের রপ্তানি যত বাড়বে, ততই ভালো,’ বলেন হাতেম।
আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের পর জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দেওয়া যাবে না।
এর আগে রিটার্ন জমার সময়সীমা তিন দফা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি এক আদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করে। যারা অনলাইনে নয়, সনাতনী পদ্ধতিতে কাগুজে রিটার্ন দিতে চান, তারা আগামীকাল নিজ নিজ কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত অনলাইনে ১৩ লাখ ৯৫ হাজারটি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। এখন পর্যন্ত কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৩টি।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩০টি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল হয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯টি। রিটার্ন দাখিলকারীদের মধ্যে ব্যক্তি করদাতা ২৪ লাখ ৭ হাজার ৫৩৬ জন এবং কোম্পানি করদাতা ১১ হাজার ১০৫ জন। এ সময়ে মোট আয়কর আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৬৫৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।
যেভাবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে
অনলাইন রিটার্ন জমার ঠিকানা হলো etaxnbr.gov.bd। অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হবে না। শুধু ওই সব দলিলের তথ্য দিলেই হবে। যেমন- সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়ের বা বেতন-ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিলেই চলবে। আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে।
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানি। এর মধ্যে অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ২৮টি কোম্পানি। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে ১৩ কোম্পানির। একই সময়ে আয় কমেছে ৮টির এবং লোকসানে রয়েছে ৭টি কোম্পানি।
আয় বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, কোহিনূর কেমিক্যাল কোং (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ম্যারিকো, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেড।
জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৯৮ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়েছে। গত অর্থবছর একই সময়ে ০৭ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৯১ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭১ পয়সা আয় হয়েছে। গত অর্থবছর একই সময়ে ১৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ১ টাকা আয় (ইপিএস) হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৯৮ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ২৫ পয়সা আয় হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ২ টাকা ০৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
ওরিয়ন ইনফিউশন : চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৪৯ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ৪১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৮ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ০৩ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ১ টাকা ০৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
কোহিনূর কেমিক্যাল কোং (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৮৫ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ৩ টাকা ১০ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭৫ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ডাইলুটেড) ৬ টাকা ৮৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ৫ টাকা ৫১ পয়সা আয় হয়েছিল (ডাইলুটেড)।
একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১৯ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৮৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ২ পয়সা।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২৬ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ২৫ পয়সা।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৪৫ পয়সা আয় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ৫ টাকা ৯২ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুন-ডিসেম্বর, ২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১২ টাকা ৬৯ পয়সা।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৮৯ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ৬৯ পয়সা।
প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশফ্লো হয়েছে ৬ টাকা ১৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ১০ টাকা ১ পয়সা ছিল।
ম্যারিকো: তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ টাকা ৩৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৪ টাকা ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৯ টাকা ৪৩ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (এপ্রিল-ডিসেম্বর’২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪৫ টাকা ৬৫ পয়সা। গত অর্থবছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১৪ টাকা ২২ পয়সা।
ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৭৫ পয়সা। গত অর্থবছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৫ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৯২ পয়সা।
এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬২ পয়সা। গত অর্থবছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬০ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।
ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুন’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২০ পয়সা।
এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৪০ পয়সা আয় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুন’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪ টাকা ৩৪ পয়সা।
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবে-বরাত পালিত হবে।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে-বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।
পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুুটি থাকবে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, এই সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।
পবিত্র এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত।’
পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
বৃস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
পবিত্র শবে-বরাত, ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
ইফা আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় বিষয়ে ওয়াজ করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রাত ৭টা ১০ মিনিটে লাইলাতুল বারাআতের ফজিলত ও তাৎপর্য বিষয়ে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।
রাত ৮টা ৫০ মিনিটে লাইলাতুল বারাআতের ফজিলত ও তাৎপর্য তুলে ধরে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. খলিলুর রহমান মাদানি।
রাত সাড়ে ৯টায় পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও চরমোনাই আহসানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি।
রাত সোয়া ২টায় (দিবাগত রাত) নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান এবং ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাবেন।
মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করবেন।
টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীরা ‘পুঁজি রক্ষার’ দাবিতে আন্দোলনে নামার পর শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের গতি। ফলে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণও কিছুটা কমে আসছে।
আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়লো।
এর আগে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন দেখা দিলে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার মতিঝিলে সমাবেশের ডাক দেন বিনিয়োগকারীরা। সমাবেশের ডাক দেওয়ার পর রোববার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বিনিয়োগকারীদের সামাবেশের দিন অর্থাৎ সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। পরের কার্যদিবস মঙ্গলবার দাম কমার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাড়ে মূল্যসূচক।
বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২০৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৯টির। এছাড়া ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ডিএসইতে চারশ কোটি টাকার বেশ লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। এছাড়া ১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অগ্নি সিস্টেমস। ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাচারি, গ্রামীণফোন, কোহিনুর কেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মা, ম্যারিকো বাংলাদেশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৭টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের দক্ষতা ও প্রতিযোগী মনোভাব তৈরি করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) ৮ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছি। এই গ্র্যাজুয়েশনের কারণে সামনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আসবে।
তিনি আরও বলেন, এতে আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে, তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ কারণে দক্ষতার মাধ্যমে আমাদের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। আমি মনে করি, এটা দীর্ঘ সময়। আমি মনে করি, যদি আমরা ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হই, তবে আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো একসঙ্গে কাজ করলে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা সম্ভব।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ করতে হবে। আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।
সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব সেতু বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব ), বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই আইয়ের প্রশাসক, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ)সহ কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য উদারীকরণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধি-বিধান ও কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমদানী ও রপ্তানি পণ্যের প্রসার ও চলাচল ত্বরান্বিত করা।
ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে ৩টি (এ, বি, সি) ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এ ক্যাটাগরির ২১টি কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউটিও-তে পাঠানো হয়। বি ক্যাটাগরির ১৮টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন সময়সীমা নির্ধারিত ছিল।
বি ক্যাটাগরি কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ডব্লিউটিও-তে প্রেরণ করা হয়। সি ক্যাটাগরির ১৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের সর্বশেষ সময়সীমা ২০৩০ সালের ৩০ জুন। ইতোমধ্যে সি ক্যাটাগরির ৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ডব্লিউটিও-তে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০টি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।