শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ডলারের দামের সঙ্গে বাজারে বাড়ল মসলার দাম

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২৪ ১১:১২

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পরপরই রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে আমদানিকৃত মসলার পাইকারি দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কচুক্ষেত ও পুরান ঢাকার কিছু পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে আমদানি করা বেশিরভাগ মসলার দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে।

প্রতি কেজি জিরার দাম ৫৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮০ টাকা, এলাচের সর্বনিম্ন দাম ২৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০০ টাকা করা হয়েছে। আরেক ধরনের এলাচের দাম আগে ৩২০০ টাকা ছিল এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়।

এ ছাড়া গোল মরিচের (কালো) দাম ১০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা ১০২ টাকা থেকে বেড়ে ১০৮ টাকা কেজি করা হয়েছে।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, হঠাৎ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করে।

সম্প্রতি দাম বেড়ে যাওয়ার হতাশা প্রকাশ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আদা ৫৭০-৫৮০ টাকায় কিনতাম। কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অথচ ডলারের দাম বাড়ার আগেই এই মসলা আমদানি করা হয়েছে। এটা সিন্ডিকেটের কাজ।’

মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের মসলার এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘এসব মসলার কেনা দাম একই হলেও কিছু আমদানিকারক ডলারের বাড়তি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দাম বাড়াতে বলেছেন।’

কারওয়ান বাজারে এক দোকান মালিক বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বর্তমানে পাইকারি বাজারে সীমাবদ্ধ। তবে খুব শিগগির এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে। বিশেষ করে ঈদুল আজহার আগে দাম বেড়ে যাবে।’

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম কমলে তারা কি দাম কমায়?’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন দাম বেশি না বাড়ায়।’


কারফিউর শিথিলতায় কিছুটা কমল সবজির দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কারফিউ শিথিল হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমতে দেখা গেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও বাড্ডার কিছু কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় আজ সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। বেগুন, টমেটো ও করলা ছাড়া এখন বেশির ভাগ সবজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছে ভোক্তারা। যদিও কিছুদিন আগে ৭০ টাকার নিচে কম সবজিই পাওয়া যেত।

বাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অনেক বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়, দাম কমে এখন ২৪০ টাকায় নেমেছে। প্রতি কেজি করলা ১৫০ টাকায় ওঠে, গতকাল কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।

দাম কমে প্রতি কেজি পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে কেজি ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, শসা কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুমুখি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, কারফিউর কারণে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি হয়। এ কারণে কিছুটা দাম বেড়েছিল। এখন সরবরাহ বাড়ায় মুরগির দাম কমে এসেছে।

সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর পাইকারি কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কেজিতে ৫টাকা পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় এবং প্রতি কেজি আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এক পাইকারি আলু বিক্রেতা বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় এখন পাইকারিতে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, আলুর দাম কেজিতে তিন-চার টাকার মতো কমেছে।

বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি রসুন কেজি ২২০ টাকায়, আমদানি করা রসুন কেজি ২০০ টাকায়, ছোট দানার মসুর ডাল কেজি ১৪০ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছের দাম কমেনি। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বর্তমান বাজারদর অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে এসেও চাহিদার তুলনায় বাজার করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কষ্টসাধ্য।

বিষয়:

এক দশকে ১ শতাংশ অতিধনীর আয় ৪০ ট্রিলিয়ন বেড়েছে 

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এক শতাংশ তাদের ভাগ্য গত এক দশকে মোট ৪২ ট্রিলিয়ন বাড়িয়েছে। অতি ধনী ব্যক্তিদের ওপর করারোপ করার প্রধান আলোচ্যসূচি নিয়ে ব্রাজিলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে অক্সফাম আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছে।

এই বিপর্যয়কর বৈষম্য সত্ত্বেও, ধনীদের ওপর কর ‘ইতিহাসের সবচেয়ে নিম্ন’ পর্যায়ে নেমে গেছে উল্লেখ করে এই এনজিওটি বাকি বিশ্বের সাথে ‘অশ্লীল মাত্রার’ বৈষম্যেও চরম পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেছে।’

বিশ্বের জিডিপির ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোর গ্রুপ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি ব্রাজিল অতি-ধনীদের কর আরোপের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। রিও ডি জেনিরোতে এই সপ্তাহের শীর্ষ সম্মেলনে গ্রুপের অর্থমন্ত্রীরা অতি-ধনী ব্যক্তিদের ওপর শুল্ক বাড়াতে এবং বিলিয়নিয়ারদের ট্যাক্স সিস্টেম ফাঁকি দেওয়া রোধকল্পে উপায়গুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এই উদ্যোগে কোটিপতি এবং অন্যান্য উচ্চ-আয়ের উপার্জনকারীদের কর পদ্ধতি নির্ধারণ জড়িত। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শীর্ষ সম্মেলনে প্রস্তাবটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হওয়ার কথা। ফ্রান্স, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রস্তাবের পক্ষে কিন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে বিপক্ষে।

অক্সফাম এটিকে ‘জি-২০ সরকারের জন্য সত্যিকারের লিটমাস পরীক্ষা (সিদ্ধান্ত ও মতামত)’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের অতি-ধনীদের ‘চরম সম্পদ’ এর ওপর কমপক্ষে আট শতাংশের বার্ষিক নেট সম্পদ কর কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের বৈষম্য নীতির প্রধান ম্যাক্স লসন বলেছেন, ‘অতি ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির গতি অনস্বীকার্য।’ অক্সফাম বলেছে, ৪২ ট্রিলিয়ন সংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার দরিদ্র অর্ধেক সঞ্চিত সম্পদের প্রায় ৩৬ গুণ বেশি। এনজিওটি বলেছে, তা সত্ত্বেও, বিশ্বজুড়ে বিলিয়নিয়াররা ‘তাদের সম্পদের ০.৫ শতাংশেরও কম সমতুল্য কর প্রদান করছেন।


ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড়, টাকা তোলার হিড়িক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে টানা তিন কার্যদিবস বন্ধ থাকার পর খুলেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। দিনে মাত্র চার ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে বলে আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে শাখায় শাখায় দেখা গেছে গ্রাহকের উপচেপড়া ভিড়। টাকা জমার চেয়ে উত্তোলনই বেশি ছিল, এমনটা বলছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

গ্রাহকরা বলেন, গত কয়েকদিন ইন্টারনেট না থাকায় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা সরবরাহ কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলেনি। এ কারণে ব্যাংকগুলোর শাখায় নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা তুলতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।

আজ বুধবার মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোর শাখার প্রতিটি সেবা কাউন্টারে উপস্থিত সিংহভাগ গ্রাহকই এসেছেন টাকা উত্তোলন করতে। দু-একজন জমা দিতে এসেছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাকা উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংকে অপেক্ষা করছিলেন আহসানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে নগদ টাকার জন্য বেশ অস্বস্তিতে ছিলাম। এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারিনি। কয়েকটি বুথ ঘুরে দেখেছি সেখানে টাকা না থাকায় আমার মতো আরও অনেকেই বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন। আজ ব্যাংক খোলার কথা শুনে চলে এসেছি।

মো. শফিক নামে আরেকজন গ্রাহক এসেছেন পুবালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখায়। তিনি বলেন, নগদ টাকা সংকটের কারণে নানা সমস্যায় পড়েছি। বাজার করতে পারছিলাম না। সুপার শপ দূরে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেখানেও যেতে পারিনি। আজ ব্যাংক খুলেছে, লেনদেন করতে পেরে ভালোই লাগছে। অন্তত কাছে টাকা থাকায় মনে শান্তি পাচ্ছি।

শাখায় জমার চেয়ে উত্তোনই বেশি ছিল—এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের কারণে তিন কার্যদিবস ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ সময়ে হয়তো অনেক গ্রাহকই তাদের নগদ টাকা কেনাকাটায় শেষ করেছেন। এ কারণে আজকের বেশির ভাগ গ্রাহকই টাকা উত্তোলন করছেন।’

আজমত উল্লাহ নামে আরেক গ্রাহক এসেছেন ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখায়। তিনি বলেন, নগদ টাকা সংকটের কারণে নানান সমস্যায় পড়েছি। বাজার করতে পারছিলাম না। সুপারশপ দূরে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেখানেও যেতে পারিনি। আজ ব্যাংক খুলেছে, লেনদেন করতে পেরে ভালোই লাগছে। অন্তত কাছে টাকা থাকায় মনে শান্তি পাচ্ছি।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সসহ কিছু সেবা সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোবাইল ফিন্যান্স কোম্পানি ও এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। এতে করে নগদ টাকায় টান পড়েছে গ্রাহকের। এর ফলে এদিন অধিকাংশ গ্রাহকই ব্যাংকে গেছেন টাকা উত্তোলন করতে।

ব্যাংকে বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, নগদ টাকা না থাকায় নানা সংকটে পড়েন তারা। প্রয়োজনীয় কোনো কিছু কিনতে পারেননি। এর আগে, সরকার বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের সীমিত সংখ্যক শাখা খোলা রাখা যাবে। কতগুলো শাখা খোলা থাকবে এবং কোন কোন শাখা খোলা থাকবে তা ব্যাংকগুলো ঠিক করবে। এই দুদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় খোলা থাকবে।

বিষয়:

বৃষ্টির অজুহাতে সবজির বাজার চড়া, টমেটোর ডবল সেঞ্চুরি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সকাল থেকে রাজধানীতে ভারী বর্ষণের কারণে সবজির বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম আগের থেকে কিছুটা বেশি দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সব ধরনের সবজিই বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি দামে। টমেটো ২০০ টাকা কেজি এবং পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

এ ছাড়া প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৫০- ১৭০ টাকায়, শসা ৮০-১২০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে হঠাৎ করে বেগুনের দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। লম্বা বেগুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগেও ছিল ৮০-১০০ টাকায়। আর সবুজ গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০- ১০০ টাকায়। কালো গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

রাজধানীর মেরাদিয়া হাট বাজার, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারসহ বেশকিছু বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, কাঁকরোল ৮০-৯০ টাকায়, পেঁপে ৫০-৬০ টাকায়, ঢেঁড়স ৭০- ৮০ টাকায়, পটল ৫০-৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০- ১২০ টাকায়, কচুর লতি ৮০- ১০০ টাকায়, কচুরমুখী ১০০- ১২০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায়। প্রতিটি লাউ ৭০- ৮০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে।

সবজির বাজারে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দাবি করছেন, বন্যায় ও বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। অন্যদিকে উচ্চমূল্যের বাজারে নাকাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। প্রতিনিয়তই বাজারে এসে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষের।

প্রায় দেড় মাস ধরে কোরবানির ঈদের আগে থেকেই বাজারে পেঁয়াজের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।

দক্ষিণ বনশ্রীর এলাকার এক মুদি দোকানি জানান, গত সপ্তাহ দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ৯৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে। তবে এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা হয়েছে। এই দাম শুনলে ক্রেতারা তেমন একটা কিনতে চায় না। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কম হলেও বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে নিম্নমানের ভারতীয় পেঁয়াজ মিশিয়ে বিক্রি করছেন অনেকে। ফলে দেশি পেঁয়াজের দামে বিক্রি হচ্ছে কম দামি ভারতীয় পেঁয়াজ। যদি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যেত তাহলে দাম হতো সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত।


সাত দেশ থেকে পরিশোধিত তেল কিনবে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জি-টু-জি চুক্তির আওতায় বিশ্বের ৭টি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত তেল কিনবে সরকার। জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ের প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী এ ক্রয় প্রস্তাব দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সচিব বলেন, তেল কেনার আগে একটু নেগোশিয়েট করে রাখতে হয়৷ আমরা কোন কোন দেশ থেকে কী পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনব এসব বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এ ক্রয় প্রস্তাবের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৮৪ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ওকিউটি ওমান, পিআইএলসিএল মালয়েশিয়া, পিআইটিটি থাইল্যান্ড, এনকো আরব আমিরাত, পেট্রো চায়না, চীন, বিএসপি ইন্দোনেশিয়া, ইউনিপেক চীন এবং আইওসিএল মালয়েশিয়া।


রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে আমিরাত, সৌদি চতুর্থ

আমিরাত থেকে এসেছে ৪৬০ কোটি ডলার
আপডেটেড ৮ জুলাই, ২০২৪ ১২:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর থেকে প্রতিবারই সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। কিন্তু এবার ঘটেছে ব্যতিক্রম; ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছর সৌদিকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। রেমিট্যান্স আহরণের তালিকায় সৌদি আরব নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। দ্বিতীয় স্থান বহাল রেখেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র; তৃতীয় যুক্তরাজ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহে রেমিট্যান্স প্রবাহের দেশভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সৌদি আরবের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রেমিট্যান্স এসেছে আমিরাত থেকে। এই অর্থবছরে সৌদি থেকে ২৭৪ কোটি ১৫ লাখ (২.৭৪ বিলিয়ন) ডলার এসেছে। আমিরাত থেকে এসেছে ৪৬০ কোটি (৪.৬ বিলিয়ন) ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২৯৬ কোটি ১৬ লাখ (২.৯৬ বিলিয়ন ডলার।

গত অর্থবছরের প্রতি মাসেই সৌদির চেয়ে আমিরাত থেকে বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। সবচেয়ে বেশি এসেছে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে। এ মাসে আমিরাতে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ৫৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। সৌদি আরবের প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩২ কোটি ৩ লাখ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ২৭৯ কোটি ৩২ লাখ (২.৭৯ বিলিয়ন) ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে ৩৭৬ কোটি ৫৩ লাখ (৩.৭৬ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। আরব আমিরাত থেকে এসেছিল ২৪ দশমিক ১০ শতাংশ কম, ৩০৩ কোটি ৩৮ লাখ (৩.০৩ বিলিয়ন)। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে যথাক্রমে ৩৫২ কোটি ২০ লাখ (৩.৫২ বিলিয়ন) ও ২০৮ কোটি ৪ লাখ ডলার।

তার আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) সৌদি থেকে ৪৫৪ কোটি ১৯ লাখ (৪.৫৪ বিলিয়ন) ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। আমিরাত থেকে এসেছিল অর্ধেকেরও কম, ২০৭ কোটি ১৮ লাখ (২.০৭ বিলিয়ন) ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৩৪৩ কোটি ৮৪ লাখ (৩.৪৩ বিলিয়ন) ও ২০৩ কোটি ৯২ (২.৩ বিলিয়ন) লাখ ডলার। ওই দুই অর্থবছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের উৎস ছিল আরব আমিরাত। দ্বিতীয় ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

হিসাব বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের পাঁচ ভাগের এক ভাগই এসেছে আরব আমিরাত থেকে। সৌদি আরবের চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে আরব আমিরাত থেকে; যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি এসেছে ৫৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। ৬৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি এসেছে যুক্তরাজ্যের চেয়ে।

গেল অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) চেয়ে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। তবে আমিরাত থেকে বেড়েছে ৫১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। তবে যুক্তরাজ্য থেকে বেড়েছে ৩৪ দশমিক ২৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২০ শতাংশই এসেছে আরব আমিরাত থেকে। উপসাগরীয় এই দেশটি বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যদিও বিনিয়োগের অর্থ কীভাবে পাঠানো হয়েছে তা জানা যায়নি। কারণ কেবল হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে।

অনেকে অবৈধভাবে আরব আমিরাতে টাকা পাচার করে সেখানে বিনিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আরব আমিরাতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর দুবাই ও রাজধানী আবুধাবি বর্তমানে অর্থ পাচারের জন্য বিশ্বের ধনীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। আরব আমিরাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা সৌদি আরবের চেয়ে অর্ধেক।

আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফনের আভাস ২০২২-২৩ অর্থবছরেই পাওয়া গিয়েছিল। ওই অর্থবছরে দেশটি থেকে ৩০৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার (৩.০৩ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।

আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত সাতটি স্বাধীন রাজ্যের ফেডারেশন-সংযুক্ত আরব আমিরাত। সাতটি রাজ্যের নাম হলো- আবুধাবি, আজমান, দুবাই, ফুজাইরা, রাস আল খাইমা, আশ শারজাহ এবং উম্ম আল কোয়াইন। প্রতিটি রাজ্যের শাসনব্যবস্থা বংশগত রাজতন্ত্র এবং প্রতিটি রাজ্যের শাসনকর্তার পদবি হলো ‘আমির’।

ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী আবুধাবির আমির সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একইভাবে দুবাইয়ের আমির হলেন প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান।

আবুধাবি শহর এই ফেডারেশনের রাজধানী। আবুধাবি ফেডারেশনের বৃহত্তম রাজ্য, যা মোট ভূমির তিন-চতুর্থাংশের বেশি অংশ নিয়ে গঠিত। দুবাই এই ফেডারেশনের বৃহত্তম ও জনবহুল শহর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র।


৫ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় আসছে: শিল্পমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আনতে যাচ্ছে সরকার। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দও আগের চেয়ে বেড়েছে।

মন্ত্রী রেবাবার নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মাঝে এককালীন আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের অসহায় মানুষ আজ আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, একজন অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনেক কিছু। এই টাকা একজন অসহায় মানুষের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. ফারহানা আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুশফিকুর রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুল হাসান তাপস, সহকারী পরিচালক নঈম জাহাঙ্গীর ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা সুরভী আফরোজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলার ২০৬ জন রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।


'দক্ষ কর্মী তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা দিতে আগ্রহী দ. কোরিয়া'

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বাংলাদেশে দক্ষ কর্মী গড়তে ১০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোইকার প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘কোইকা চট্টগ্রামের বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিকায়ন ও চাহিদানির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়তে আর্থিক সহায়তা করবে বলে প্রস্তাব করেছে।’

‘আমরা প্রস্তাবটিকে ভালো মনে করছি। এ জন্য দ্রুত তাদের প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছি,’ বলেন তিনি।

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষ জনবল গড়তে কোরিয়ার এ ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আরও যুগোপযোগী করবে।’

‘এসব কেন্দ্র আমাদের জনবলকে দক্ষভাবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, বিএমইটির মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি


পুঁজিবাজারে সব খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সব খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬১৭ কোটি টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৪২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৪৯৮ পয়েন্ট হয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্ট। এ ছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে দাঁড়ায়। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯২৩ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ১৮৪ পয়েন্ট। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৯টির, কমেছে ২৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪০টির দর। এ ছাড়া লেনদেন হয়নি ১৯টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, পাওয়ার গ্রিড, ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির (বিএটিবিসি) শেয়ার। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ৮০২ কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৭ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ১০ দশমিক ৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর সাধারণ বীমা খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ১ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে সব খাতের শেয়ারেই ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। এর মধ্যে সেবা খাতে ৯ দশমিক ২ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৮ দশমিক ১, কাগজ খাতে ৬ দশমিক ২, ভ্রমণ খাতে ৬ দশমিক ১ এবং সাধারণ বিমা খাতে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৫ হাজার ৮৯ পয়েন্টে।

সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৩১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৯ হাজার ৮৬ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৭টির, কমেছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির বাজারদর। সিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৬৬৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩০৮ কোটি টাকা।


পুঁজিবাজারে বড় উত্থান

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বড় উত্থান হয়েছে। একদিনেই এক্সচেঞ্জটির সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ৩১টি বাদে সবগুলোর দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি নতুন ফান্ড নিয়ে ক্রেতার উপস্থিতিও বেড়েছে। যাতে এক্সচেঞ্জের লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জের লেনদেন আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) রিফান্ডের টাকা আজ পুঁজিবাজারে এসেছে। এতে তারল্য বৃদ্ধির সুবাদে সূচক ও লেনদেন বেড়েছ। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তারা বিনিয়োগের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে। এতে সামনে বাজারে তারল্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। এ বিষয়গুলো আজ বাজারের উত্থানে সহায়ক ভূমিক হিসেবে কাজ করেছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘বাাজারে আইপিও রিফান্ডের টাকা এসেছে। যারা অনেক কম দামে শেয়ার বিক্রি করে আইপিওতে আবেদন করেছিল। তারাই অনেক বেশি দাম দিয়ে শেয়ার কিনছে। এতে আজ সূচক ও লেনদেন বেড়েছে।’

অন্য আরেক বিশ্লেষক বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাণিজ্য অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা সবাই বিনিয়োগকারী। তবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে গেলে সরকারি কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হয়। এখন যদি আইন করে সবাইকে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয় তা পুঁজিবাজারে জন্য খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হবে।’

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ লেনদেন শেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সূচকটি ৭ সপ্তাহ পর আবারো সাড়ে ৫০০ হাজারের কাছাকাছি এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আজ সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), বেস্ট হোল্ডিংস এবং রেনাটা লিমিটেডের শেয়ার। এছাড়া গ্রামীনফোন, খান ব্রাদার্স, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারও ডিএসইর সূচক বৃদ্ধি ভালো অবদান রেখেছে। এদিন ডিএসইর সবগুলো খাতেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে, ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে সেবা ও আবাসন খাতে। আর ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) শেয়ারগুলো।

আজ ডিএসইতে মোট ৩৯১টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬৫টির। এর মধ্যে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চসীমায় বেড়েছে। বিপরীতে এদিন দর কমেছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের। আর ১৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে আজ দিনভর ঢাকার এ পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ৭৭০ কোটি ৭০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে এদিন লেনদেন বেড়েছে ২৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ৪২ দশমিক ৯১ শতাংশ। আজ এ লেনদেন ছিল ডিএসইতে চলতি বছরের ১৩ মে’র পর সর্বোচ্চ লেনদেন। আজ ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে, ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন ছিল বস্ত্র খাতের দখলে। আর ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এছাড়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত ১০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং প্রকৌশল খাত ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন অবদান রেখেছে।


ডিএসইর লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে

প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে উঠে এসেছে
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ জুলাই, ২০২৪ ১৩:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের পর দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার পতন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাশের দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে অপর দুই সূচক। তবে বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। আর ৭০০ কোটি টাকার ঘরে চলে আসা লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে গেছে।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বাড়লেও কমেছে বাছাই করা সূচক। তবে এ বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। অবশ্য ডিএসই’র মতো এ বাজারটিতেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

এদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সবকটি সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার ধারণা অব্যাহত থাকায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৯ পয়েন্ট কমে যায়।

তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকা থেকে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। ফলে এদিকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে প্রধান মূল্যসূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচক মিশ্র থাকার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতি কমে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৭২ কোটি ৫ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্যালভো কেমিক্যালের ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, মালেক স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইসিবি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফারইস্ট নিটিং এবং জেমিনি সি ফুড।

অপরদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮২টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।


স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৪ টাকা কমল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার কারণে পাঁচ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। গতকাল রোববার (৩০ জুন) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৬ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৪ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭২৪ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ছয় টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ জুন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১২ হাজার ৯৭৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৪৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ৮৩৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তার আগে গত ১২ জুন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৬ হাজার ৯৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১১ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৬৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তারও আগে গত ৯ জুন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৯৫ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ৮৮২ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৩৬ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৬১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে ৯৪ হাজার ৮১৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


অর্থবিলে ৭ পরিবর্তন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুলাই, ২০২৪ ১৪:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, এমপিদের জন্য শুল্কমুক্ত গাড়ি কেনার সুবিধা বহাল ও সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে সরে আসাসহ বেশকিছু পরিবর্তন এনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থবিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। গত শনিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে পাস হয় বিলটি। বিলটি পাসের আগে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য সংশোধনী আনেন। এর মধ্যে কিছু সংশোধনী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গ্রহণ করেন। অন্যগুলো তিনি গ্রহণ করেননি। পরে সেগুলো কণ্ঠভোটে অনুমোদন করেন সংসদ সদস্যরা।

অর্থবিলে প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া ৭টি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে-

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ: ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ সাপেক্ষে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। চার বছর পর এবার আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলো। অর্থবিলে ওই সুযোগ রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাক না কেন কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন- ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহারে এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। ফলে ১ জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই ছাড়াই কালো টাকা সাদা করতে পারবেন।

এমপিদের জন্য শুল্কমুক্ত গাড়ি কেনার সুবিধা বহাল: বর্তমানে সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করতে পারেন। বৈষম্য হ্রাসে এবারের বাজেটে এই সুবিধা বাতিল করে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। গত ৬ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে সব প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতি বিদ্যমান রয়েছে। কর অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা হ্রাস করে কেবল আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং মূসক (মূল্য সংযোজন কর) ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে অন্যান্য সব শুল্ক-করাদির অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করছি। এজন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার সুপারিশ করছি। কিন্তু আইনগত জটিলতা ও এমপিদের দাবির মুখে ওই প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে সরকার। সংসদে পাস হওয়া অর্থবিল ২০২৪ অনুযায়ী, আগের মতোই শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করতে পারবেন সংসদ সদস্যরা।

সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশই থাকছে: ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রস্তাবিত বাজেটে। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসে আগের মতো ২৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

কেবল ব্যক্তিগত একাধিক গাড়ি থাকলে সারচার্জ: প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কোম্পানির কাজে ব্যবহৃত একাধিক গাড়ির পরিবেশ সারচার্জ তুলে দিলেও শুধু ব্যক্তিগত গাড়িতে বহাল রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫০০ সিসি বা ৭৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত প্রতিটি মোটরগাড়ির জন্য পরিবেশ সারচার্জের হার ২৫ হাজার টাকা, ১৫০০ সিসি বা ৭৫ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ২০০০ সিসি বা ১০০ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটরগাড়ির জন্য ৫০ হাজার, ২০০০ সিসি বা ১০০ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ২৫০০ সিসি বা ১২৫ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটরগাড়ির জন্য ৭৫ হাজার, ২৫০০ সিসি বা ১২৫ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ৩০০০ সিসি বা ১৫০ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটরগাড়ির জন্য দেড় লাখ টাকা, ৩০০০ সিসি বা ১৫০ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ৩৫০০ সিসি বা ১৭৫ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটরগাড়ির জন্য দুই লাখ টাকা এবং এর চেয়েও বেশি সিসি বা কিলোওয়াট হলে অর্থাৎ সাড়ে তিন হাজার সিসি বা ১৭৫ কিলোওয়াটের অধিক প্রতিটি মোটরগাড়ির জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা সারচার্জ দিতে হবে।

সর্বজনীন পেনশন করমুক্ত: সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশন বাবদ যে কোনো আয় এবং পেনশন স্কিমে প্রদত্ত যে কোনো পরিমাণ চাঁদা করের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে অর্থবিলে। তবে কোম্পানি, তহবিল ও ট্রাস্ট কর্তৃক অর্জিত মূলধনি আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর বসছে। এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে শুধু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই বিধান রাখা হয়েছিল।

কমিউনিটি সেন্টার ভাড়ায় কর শুধু সিটিতে: অর্থবিলে সারা দেশে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়। এ প্রস্তাব সংশোধন করে শুধু সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানির মতো তহবিল ও ট্রাস্টের মূলধনি আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স বসানো হয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর অবকাশ সুবিধা বহাল: অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্কে মূলধনি যন্ত্র আমদানি শুল্কমুক্তই থাকছে। অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্কারোপের প্রস্তাব করেছিলেন। রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলোতে বিনিয়োগে কর অবকাশ সুবিধার কথা জানিয়েছিল সরকার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দাবির মুখে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে সরকার।

অর্থ বিলে বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব আনার পাশাপাশি কিছু নতুন প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আয় পুরোপুরি করমুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন করদাতা কোনো অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি কর দিলে ওই করদাতার নথি নিরীক্ষায় ফেলা হবে না। এ ছাড়া ট্রাস্টের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর বসবে। এবারের বাজেটে এসব যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার শিরোনামে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।


banner close