দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকে মোল্লা স্টিলের ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩ টাকার নৌ কার্গো বিমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়। গত ৩ নভেম্বর কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদী খানম মোল্লা স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়দুল ইসলামের কাছে প্রথম পর্যায়ে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাসেম, মোল্লা স্টিলের ব্যবস্থাপনা অংশীদার বরকতউল্লাহ টিপু প্রমুখ।
ব্যবসা পর্যালোচনা ও বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ র্যাংগ্স টাওয়ারে ডিষ্ট্রিক্ট ম্যানেজার্স বিজনেস রিভিউ মিটিং-২০২৫ আয়োজন করেছে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজারগণ সভায় যোগদান করেন।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চ্যানেল ব্যাংকিং প্রধান জনাব মো. জিয়াউল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মির্জা আজহার আহমদ ও জনাব আখতারুদ্দীন মাহমুদ সহ এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী সভায় বিভিন্ন বিভাগের বিজনেস চ্যানেল এবং ইউনিট প্রধানগণ বিজনেস, অ্যাসেট ও সিআরএম, অপারেশনস এবং কমপ্লায়েন্স-এর উপর পৃথক পৃথক সেশন পরিচালনা করেন। এ সময় ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজারদেরকে ২০২৫ সালের অবশিষ্ট ১০০ দিনের মধ্যে নিজ নিজ ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা ও কর্মপরিকল্পনা প্রদান করা হয়।
গত ২১শে সেপ্টেম্বর বাটা তাদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করেছে । বিশ্ব জুড়ে হাজার হাজার বাটা কর্মীদের জন্য এদিনটি ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। নতুন আরেকটি বছরে পদার্পণ করা ব্র্যান্ডটির জন্য শুধু একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জনই নয়, বরং তাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিফলনও।
১৮৯৪ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার জিলিন শহরে শুরু হয় বিখ্যাত বাটা-র পথ চলা। এর প্রতিষ্ঠাতা টমাস বাটা ছিলেন এক অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন উদ্যোক্তা। তিনি উন্নতমানের উৎপাদন পদ্ধতি চালু করেন এবং একইসাথে তাঁর শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেন। সেই সময়ে তিনি মানসম্পন্ন জুতা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন। এমন একটি ব্যবসা মডেল তিনি তৈরি করেন যেখানে শুধুমাত্র পণ্য উৎপাদন ছাড়াও বাটা কারখানাগুলো ঘিরে গড়ে ওঠে বাসস্থান, স্কুল ও স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র। তাঁর এই সামাজিক দায়বদ্ধতার মডেল আজও বিশ্বের ৫৬টি দেশে বাটার কার্যক্রমে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
এই মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাটা ২০১০ সালে চালু করে বাটা চিল্ড্রেন’স প্রোগ্রাম ( বিসিপি)। তাদের এ প্রোগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরামর্শদান এবং পরিবেশগত সচেতনতার মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চার লক্ষেরও বেশি শিশু উপকৃত হচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্বের ৫৬টি দেশের প্রায় ৩২,০০০ কর্মী এই প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে বাটার এই আয়োজন ছিল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বাটা চিলড্রেনস প্রোগ্রামের আওতায় বাটা এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট (বিইই) ফোরামের সহযোগিতায় এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর অংশীদারিত্বে “ইয়ুথ-লেড ইনোভেশন ল্যাব” আয়োজন করে বাটা বাংলাদেশ। এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকা বিভাগের প্রান্তিক পর্যায়ের তরুণদের ক্ষমতায়ন করা হয়। তাদের নতুন ধারণাগুলোকে টেকসই ব্যবসা মডেলে রূপান্তর করার জন্য পরামর্শ, সরঞ্জামসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। বুট ক্যাম্প চলাকালে বাটার কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক মেন্টর হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং তরুণদের প্রকল্প উন্নয়ন, প্রোটোটাইপ তৈরি এবং উপস্থাপনের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করেন।
২১ সেপ্টেম্বরের গালা ডে-তে বিচারক প্যানেল, বাটার শীর্ষ নেতৃত্ব, সরকারি প্রতিনিধি এবং সামাজিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে তরুণ উদ্যোক্তারা তাঁদের প্রকল্প উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় আইডিয়াগুলো “ইয়েস কার্ড” পায়; যা তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিবে। এই উদ্যোগের পাশাপাশি বাটা ও ‘এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ’-এর অংশীদারীত্বে দেশের সকল বাটা স্টোরে “কনজিউমার কানেক্ট ক্যাম্পেইন” চালানো হয়। ।
প্রতিষ্ঠা দিবসে শিশু ও যুব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি জোড়া বিক্রিত জুতা থেকে ২১ টাকা করে দান করা হয় এবং এই অর্থ ব্যয় হবে জীবনমুখী দক্ষতার প্রশিক্ষণ, পরামর্শমূলক সেশন এবং শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর্মসূচিতে।
স্টোর-ভিত্তিক এই ক্যাম্পেইনটি আরও প্রাণবন্ত করতে শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয় নানা আনন্দঘন কার্যক্রমের। এর মধ্যে ছিল জুতার বাক্স রঙ করা ও সাজানো, পুতুল নাচ। এসময় বাটার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর শিশুদের আনন্দ ও উৎসাহ দেন।
বাটা বাংলাদেশ এসব উদ্যোগের মাধ্যমে কেবল তাদের ১৩১ বছরের ঐতিহ্যই উদযাপন করেনি; বরং জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্র্যান্ডটির যে মূল মূল্যবোধ রয়েছে তার সফল প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এই আয়োজনগুলো বাটার সামাজিক দায়বদ্ধতা, জীবনমান উন্নয়ন, যুবকদের ক্ষমতায়ন এবং শিশুদের উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে আবারও নতুন করে সামনে এনেছে। যা বাটার টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করে।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিঃ এর মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে ২১/০৯/২৫ ইং তারিখে যোগদান করেন জনাব মাসুদ হাসান। ইতি পুর্বে তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএল সি, সীমান্ত ব্যাংক পি এল সি, ট্রাষ্ট ব্যাংক পি এল সি, দি সিটি ব্যাংক পি এল সি সহ আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মানব সম্পদ বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্স ব্র্যান্ড ‘কনকা’র সৌজন্যে আবারও এনটিভিতে শুরু হতে যাচ্ছে ফ্যামিলি রিয়েলিটি গেম শো “কনকা সেরা পরিবার”। ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা পাওয়া এ অনুষ্ঠানটি এবার আসছে সিজন-৪ নিয়ে।
নতুন এই সিজনে যথারীতি থাকছে ধাঁধাঁ, বুদ্ধির খেলা, মজার সব গেইম, তারকাদের উপস্থিতি, রান্নার প্রতিযোগিতাসহ নতুন নতুন সংযোজন।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অফিসের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন সিজন শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ‘কনকা’র প্রোডাক্ট সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য সহযোগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রুপের ডিএমডি মোঃ নুরুল আফছার। তিনি বলেন, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বসেরা কনকা ব্র্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্স সামগ্রী দেশের গ্রাহকদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন কনকা ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। যার সকল কৃতিত্ব আমাদের পার্টনার, শুভানুধ্যায়ী, ক্রেতা, ভোক্তা এবং তাঁদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও আস্থা। কনকা'র ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্স পণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, গুণগতমান, গ্রহণযোগ্যতা, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে বর্তমানে এদেশের গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ। তিনি আরও জানান বর্তমানে কনকা’র রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, সিলিং ফ্যান বাংলাদেশে হচ্ছে। এছাড়া কনকা এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, মিক্সার গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক ক্যাটল, গ্যাস স্টোভ, ইনফ্রারেড কুকার, প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, ইলেক্ট্রিক আয়রনসহ বেশ কিছু হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্সের পণ্যের কিছু যন্ত্রাংশ আমদানি করে এসেম্বলিং এর মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়।
সবশেষে তিনি “কনকা সেরা পরিবার সিজন ৪” শুরুর নেপথ্যের ভাবনা উপস্থিত সাংবাদিক ও অতিথিদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন। তিনি বলেন, কনকার পণ্য যেসব পরিবারে পৌঁছে গেছে তাদের সবাইকেসহ দেশের প্রতিটি পরিবারকে ভালো রাখতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। সেই অব্যাহত প্রচেষ্টারই সামান্য অংশ ‘কনকা সেরা পরিবার সিজন ৪’। এ প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও চলমান রাখতে চাই। নুরুল আফছারের বক্তব্যের পর সিজন ৪ এর লোগো উন্মোচন এবং থিম সং পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের নিয়মাবলি এবং প্রতিযোগিতার ফরম্যাট সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের ধারণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চায়না থেকে আগত বিশেষ অতিথি মি. রিড, সেলস ডিরেক্টর এবং মি. লেস্টার, ডিজিএম-সেলস, কনকা এশিয়া রিজিয়ন, ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ ও নুরুল আজিম সানি, জিএম-সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মাহমুদুন নবী চৌধুরী, এনএসএম-রিটেইল অপারেশন মো. জুলহক হোসাইন, বিজ্ঞাপনী সংস্থা মিডিয়াকম লিমিটেড এবং সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান এনটিভির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সর্বস্তরের জনগণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র রয়েছে বিভিন্ন মেয়াদি আকর্ষণীয় বিশেষ আমানত প্রকল্প। পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন ব্যাংকের যে কোন একটি আমানত প্রকল্প বেছে নেওয়ার জন্য ১৭৪ টি শাখা ও উপশাখায় আপনাকে স্বাগতম।
হানিয়া আমিরের বাংলাদেশ সফর সম্প্রতি বেশ আলোচনায় ছিল।
সানসিল্ক বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই সফরে তিনি জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে একটি এক্সক্লুসিভ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশনে অংশ নেন। সেখানে হানিয়া নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং সানসিল্কের নতুন গ্লাস শাইন প্রোপোজিশন নিয়ে কথা বলেন, যা সবাইকে বেশ অনুপ্রাণিত করে। অনুষ্ঠানটি ছিল শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য, যেখানে উচ্ছ্বাস ও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ছোঁয়া স্পষ্ট ছিল।
সফর শেষে হানিয়া আমির গতরাতে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন, তবে তাঁর এই ভিজিটের স্মৃতি ও প্রভাব এখনও রয়ে গেছে আলোচনায়।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (EU) ও মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা (UiTM)-এর অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ARI)-এর মধ্যে একটি এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (EOI) স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পক্ষে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. ছায়েদুর রহমান EOI'তে স্বাক্ষর করেন। অপরদিকে UiTM এর পক্ষে ARI-এর পরিচালক প্রফেসর ড. জুরাইদাহ মোহাম্মদ সানুসি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের চেয়ারপার্সন, শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে UiTM-এর পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ নাজমুল হক, ড. মোহাম্মদ তৌফিক বিন মোহাম্মদ সুফিয়ান এবং মিসেস লিলি মারদিয়াহ আদম মুদিন অংশগ্রহণ করেন।
এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যৌথ গবেষণা প্রকল্প, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং জ্ঞান বিনিময়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় ।
দুর্গাপূজার আনন্দকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিতে ডাইনিং, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, সুইটস, জুয়েলারি, ইলেকট্রনিকস এবং অনলাইন শপিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে দারুণ সব অফার।
এই পূজায় ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা উপভোগ করবেন সর্বোচ্চ ৫৫% পর্যন্ত ছাড়। সাথে থাকছে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশব্যাক, ‘বাই ওয়ান, গেট আপ টু থ্রি’ অফারসহ আরও অনেক সুবিধা। দেশজুড়ে ৩০০টিরও বেশি পার্টনার আউটলেটে উপভোগ করা যাবে এসব অফার।
লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন
ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা পোশাক, জুতা, অ্যাক্সেসরিজ, বিউটি ও স্যালন সার্ভিসে উপভোগ করবেন সর্বোচ্চ ৩০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এই সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাস্টোরিয়ন, বিগ বস, বায়ো-জিন কসমেটিকস, বিশ্বরঙ, জে.কে. ফরেন ব্র্যান্ড, কে ক্র্যাফট, কেনশো, এমব্রেলা, মেনজ ক্লাব, পারফিউম ওয়ার্ল্ড, প্রেম’স কালেকশনস, সাদা কালো, সারা লাইফস্টাইল, স্পার্ক গিয়ার, ওম্যান’স ওয়ার্ল্ডসহ ১০০টিরও বেশি পার্টনার আউটলেটে।
০% ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা
ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ০% পে-ফ্লেক্স ইএমআই সুবিধায় সর্বোচ্চ ২৪ মাসের কিস্তিতে ইলেকট্রনিকস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্নিচার ও অটোমোবাইল ক্রয় করতে পারবেন। এই অফার পাওয়া যাবে ৩০টিরও বেশি মার্চেন্ট আউটলেটে, যেখানে রয়েছে এসিআই মোটরস, বেস্ট বাই, বাটারফ্লাই মার্কেটিং, ব্রাদার্স ফার্নিচার, দারাজ, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, হায়ার বাংলাদেশ, হাতিল ফার্নিচার, হাই-টেক ফার্নিচার, এম.কে ইলেকট্রনিকস, নাদিয়া ফার্নিচার, অপ্পো, পিকাবু, র্যাংস ইলেকট্রনিকস, রানার, রায়ানস কম্পিউটার্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, সনি স্মার্ট, স্টার টেক, সুজুকি, টাইম জোন, ট্রান্সকম ডিজিটাল, ভিভো, ওয়ালটনসহ আরও অনেক আউটলেট।
ট্রাভেল অ্যান্ড স্টে
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ড্রিমস স্কয়ার, সারা রিসোর্ট, ফোর্টিস ডাউনটাউন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ওশেন প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, লং বিচ হোটেল, শয়ন রিসোর্ট, মোমো ইন, দেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ছুটি রিসোর্ট, প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, সি কক্স রিসোর্টসহ দেশের জনপ্রিয় সব রিসোর্টে সর্বোচ্চ ৫৫% ডিসকাউন্টে থাকতে পারবেন।
এছাড়াও, এয়ার অ্যাস্ট্রা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বেস প্রাইসে পাবেন ১০% ছাড়।
জুয়েলারি
ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা দেশের প্রায় ৩০টি স্বনামধন্য জুয়েলারি শপে সর্বোচ্চ ৩৫% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করবেন, যেখানে রয়েছে আমিষী, আমিন জুয়েলার্স, আপন জুয়েলার্স, জারওয়া হাউস, ডি দামাস, ডি ডায়মন্ড, ডায়মন্ড হাউস, গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স, তানিশক জুয়েলার, দ্য ডায়মন্ড হাউস, জাভেরি গোল্ডসহ আরও অনেক জুয়েলারি শপ।
ডাইনিং
ঢাকার জনপ্রিয় ৫০টিরও বেশি রেস্টুরেন্টে ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা বুফে এবং আ-লা-কার্ট মেন্যুতে সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করবেন। রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, পিৎজা ডাইন, দ্য কফি লাউঞ্জ, বাও, ব্রেড অ্যান্ড বিয়ন্ড, সিয়েলো রুফটপ, কুপার্স, ঢাবা, গলফ গার্ডেন, হালদা ভ্যালি টি লাউঞ্জ, কিভা হান, নওয়াব চাঁটগা, রোস্টার্স পেরি পেরি, স্মিথ’স, টেস্ট অব ঢাকা, টেস্টবাড, দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জ, দ্য প্যান প্যাসিফিক লাউঞ্জ, টার্কিশ আদানা কাবাব ইত্যাদি।
বাই ওয়ান, গেট আপ টু থ্রি
ইনফিনিট, সিগনেচার, ওয়ার্ল্ড, তারা ওয়ার্ল্ড, মাস্টারকার্ড মিলেনিয়াল, প্লাটিনাম ক্রেডিট, ডাইনার্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট এবং নির্বাচিত ‘বরেণ্য’ ও প্রিমিয়াম ব্যাংকিং ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা উপভোগ করবেন বিশেষ বাই ওয়ান গেট ওয়ান, বাই ওয়ান গেট টু এবং বাই ওয়ান গেট থ্রি অফার। ঢাকার শীর্ষস্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মিলবে এসব অফার। সিক্স সিজনস হোটেল, আমারি ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা ঢাকা, হলিডে ইন ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, লো মেরিডিয়েন ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকা, রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম, রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন, রেনেসাঁ ঢাকা, শেরাটন ঢাকা, দ্য পেনিনসুলা চিটাগং, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা ইত্যাদি হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে বুফে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
সুইটস অ্যান্ড কনফেকশনারি
মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডে থাকছে ১০% ছাড়। ব্যাংকটির যেকোনো কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকরা বাংলার মিষ্টি, সেঞ্চুরি’স, মিঠাই, বিক্রমপুর সুইটস, কেশর, খাজানা মিঠাই ইত্যাদি মিষ্টির দোকানে পাওয়া যাবে এই অফার।
রিওয়ার্ড পয়েন্ট ও ক্যাশব্যাক
ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও এক্সক্লুসিভ রিওয়ার্ড পয়েন্ট। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা লাইফস্টাইল, সুইটস, ইলেকট্রনিকস, রেস্টুরেন্ট, টিকেটিং এবং অনলাইন শপিংয়ে পাবেন দ্বিগুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট। এই সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাপেক্স, বাটা, আড়ং, আর্টিসান, টপ টেন, প্রিমিয়াম সুইটস, সিক্রেট রেসিপি, মিঠাই, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, এলজি, বাটারফ্লাই, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, সিঙ্গার, ওয়ালটন, র্যাংস, গ্লোরিয়া জিন্স, কেএফসি, নর্থ এন্ড কফি, তাবাক, সোহাগ, সহজ, গ্রিন লাইন, দারাজ, পিকাবু, গো জায়ান, শেয়ারট্রিপ, অ্যাস্টোরিয়ন, বাটা, বে, ক্লোজেট ক্লাউড, লা রেভ, টুয়েলভ, সেইলর, ইয়েলো ইত্যাদি মার্চেন্ট আউটলেটে পাওয়া যাবে এসব অফার।
ব্র্যাক ব্যাংকের সকল অফার দেখতে ভিজিট করুন: https://tinyurl.com/BBHakw4
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্যাংকের শাখাসমূহের এন্টি-মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসারদের (বামেলকো) মধ্যে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনব্যাপী “বামেলকো ট্রেনিং প্রোগ্রাম ২০২৫” আয়োজন করেছে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি । ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর লালমাটিয়াস্থ ব্যাংক এশিয়া ইনস্টিটিউট ফর ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএআইটিডি)-এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ক্যামেলকো ও হেড অব চ্যানেল ব্যাংকিং জনাব মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান মোল্লা।
উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মির্জা আজহার আহমদ ও জনাব আখতারুদ্দিন মাহমুদ এবং এসইভিপি ও জোনাল হেড জনাব তানফিজ হোসাইন চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর যুগ্ম পরিচালক জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান খান এবং জনাব মোঃ মাহমুদুল হক ভূঁইয়া। ব্যাংকের ঢাকা জোনের বিভিন্ন শাখা, সেন্টার এবং ইসলামিক উইন্ডোর বামেলকো ও ও সিটিপিসির ট্রেড অফিসারগণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রুহুল কুদ্দুস খানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামী ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
রুহুল কুদ্দুস খান ১৯৯৬ সালে কালুরঘাট কারখানায় ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস প্রোগ্রাম (ইউএফএলপি)-এর মাধ্যমে ট্রেইনি হিসেবে যোগ দেন। কর্মজীবনে ২৯ বছরেরও বেশি সময়জুড়ে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতে সাপ্লাই চেইন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) বিভাগে বিভিন্ন নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত বছরগুলোতে ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর এবং পরে হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড লজিস্টিকস হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে রুহুল ইউবিএল-এর সাপ্লাই চেইনকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ও ভবিষ্যৎ-উপযোগী ব্যবস্থায় রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ সময় তিনি গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, প্রসেস অটোমেশন এবং ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
টেকসই উন্নয়নে ইউনিলিভারের বৈশ্বিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নেট জিরো অর্জনে ইউনিলিভার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় রুহুল কুদ্দুস খানের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রুহুল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইন ও অপারেশনস খাতের শীর্ষ সম্মানিত নেতৃবৃন্দের অন্যতম হিসেবে তিনি পরিচিত।
ইউনিলিভারের পাকিস্তান, তুরস্ক, আরব ও বাংলাদেশ (পিটিএবি) ক্লাস্টারের প্রধান শাজিয়া সাইয়েদ বলেন, “রুহুল ব্যবসা রূপান্তরে নেতৃত্ব দেওয়া, কঠিন পরিস্থিতি দক্ষভাবে সামলানো এবং ব্যবসা ও পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিতে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সাপ্লাই চেইন ও অপারেশনসে তাঁর গভীর দক্ষতা এবং মানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাঁকে এ দায়িত্বের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করেছে। তাঁর নেতৃত্বে ইউনিলিভার বাংলাদেশ সবার প্রতিদিনের জীবনকে আরও আলোকিত করার যাত্রা অব্যাহত রাখবে।”
নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ একটি লক্ষ্যনির্ভর ও ভবিষ্যৎ-উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনকে ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানটি স্টেকহোল্ডারদের জন্য অর্থবোধক অবদান রাখা এবং মানুষ ও পৃথিবীর জন্য ইতিবাচক প্রভাব বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রিমিয়ার ব্যাংক -এর পরিচালনা পর্ষদের ৩১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডাঃ আরিফুর রহমান।
এসময় মো. ফোরকান হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, অডিট কমিটি; মো. সাজ্জাদ হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি; প্রফেসর শেখ মোর্শেদ জাহান, স্বতন্ত্র পরিচালক; এম নুরুল আলম, FCS, CCEP-1, CGIA, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ; উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ ক্রেডিট অফিসার মোহাম্মদ আল- আমীন এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, এফসিএস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা পেপার টানা চতুর্থবারের মতো এবং বসুন্ধরা টিস্যু ও বসুন্ধরা ডায়াপ্যান্ট টানা তৃতীয়বারের মতো অর্জন করেছে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫–২৬ অ্যাওয়ার্ড।
রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানিত করা হয়।
ব্র্যান্ডগুলোর পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন সাফওয়ান বসুন্ধরা গ্লোবাল-এর সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান, চিফ সেলস অফিসার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার ইমরান বিন ফেরদৌস, হেড অব মার্কেটিং মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জেনারেল ম্যানেজার (সেলস–টিস্যু) কাজী ইমদাদুল হক। এসময় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সুপারব্র্যান্ডস হলো একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। যা ৩১ বছর ধরে ৯০টি দেশের সফল ব্র্যান্ডকে প্রদান করা হচ্ছে। এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় এমন ব্র্যান্ডগুলোকে, যারা গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
বসুন্ধরা পেপার, টিস্যু ও ডায়াপ্যান্ট শুধুমাত্র বাজারে প্রতিযোগিতার শীর্ষে নেই, বরং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এই ব্র্যান্ডগুলো ঘরের সুরক্ষা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মান বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দেশের প্রথম টেলিযোগাযোগ অপারেটর হিসেবে ‘গ্লোবাল টপ এমপ্লয়ার ২০২৫’ সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট’ এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বমানের মানব-সম্পদ (এইচআর) ব্যবস্থাপনা, প্রতিভা বিকাশ এবং কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি উৎপাদনশীল কর্মপরিবেশ তৈরিতে বাংলালিংকের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। পাশাপাশি,এ অর্জন ভবিষ্যতমুখী একটি ডিজিটাল এমপ্লয়ার হিসেবে বাংলালিংকের অবস্থানকে সুদৃঢ় করে, যা কোম্পানির এমপ্লয়ার ভ্যালু প্রপোজিশন (ইভিপি) ‘লিড দ্য ফিউচার’ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ইভিপি শুধুমাত্র বাংলালিংকের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার একটি রুপরেখা নয় বরং একটি ইতিবাচক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রবৃদ্ধিমুখী কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার উপর অপারেটরটির প্রাধান্যকেও প্রতিফলিত করে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এইচআর বেস্ট প্র্যাকটিসেস সার্ভে-এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষতা যাচাই ও তাদের স্বীকৃতি প্রদান করে টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট। ছয়টি প্রধান ক্ষেত্র ও ২০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর মূল্যায়ন করে প্রতিষ্ঠানটি, যার মধ্যে রয়েছে কর্মী-সংক্রান্ত কৌশল (পিপল স্ট্র্যাটেজি), কর্মপরিবেশ, নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি, এবং কর্মীদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা।
২০২৫ সালে বিশ্বের ১২৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২,৪০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান এই সার্টিফিকেশন পেয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এ অর্জন সম্পর্কে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন,“বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে টপ এমপ্লয়ার সার্টিফিকেশন পাওয়া আমাদের জন্য এক গৌরবময় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে, আমরা একটি কর্মীবান্ধব ও ডিজিটালি অগ্রসর কর্মপরিবেশ গড়ে তুলছি, যেখানে প্রত্যেক কর্মী ভবিষ্যতে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি হলো কর্মীদের উন্নয়ন ও কল্যাণ। তাই আমরা এমন একটি কর্মীবান্ধব কর্মসংস্কৃতি গড়ে তুলছি, যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও শেখার সুযোগ ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল অপারেটরে পরিণত হওয়ার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে, আমরা নিশ্চিত করছি যেন প্রতিটি কর্মী মূল্যায়িত বোধ করেন, যথাযথ সমর্থন পান এবং গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে নিজেদের সর্বোচ্চ অবদান রাখতে সক্ষম হন। পাশাপাশি, আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্দেশ্যনির্ভর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই, যা কর্মীদের বড় স্বপ্ন দেখতে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে অনুপ্রাণিত করবে।”
টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড প্লিঙ্ক বলেন, “অসংগতিপূর্ণ বর্তমান সময়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এক বড় অর্জন । বিশেষত, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, ক্রমাগত পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক প্রেক্ষাপটের মধ্যেও বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দেখা সত্যি অনুপ্রেরণাদায়ক। এ বছরের টপ এমপ্লয়ার্স সার্টিফিকেশন প্রমাণ করে, আমাদের শীর্ষ নিয়োগকর্তারা ধারাবাহিকভাবে বিশ্বমানের মানবসম্পদ (এইচআর) কৌশল চর্চা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সেক্টরে উৎকর্ষের মানদণ্ড তৈরি করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের টপ এমপ্লয়াররা কর্মীদের উন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত করছেন। ২০২৫ সালের টপ এমপ্লয়ার স্বীকৃতি এই অসাধারণ কর্মীবান্ধব নেতা ও টিমগুলোর নিষ্ঠা ও সাফল্যের স্বীকৃতি, যা আমরা গর্বের সঙ্গে উদযাপন করছি।”
বাংলালিংক সম্পর্কে:
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক দেশের মানুষের ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ‘ডিজিটাল ফর অল’ লক্ষ্য নিয়ে গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত পরিসরে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংকের সেবার পোর্টফোলিওতে রয়েছে: টেলকো-অ্যাগনোস্টিক সুপার অ্যাপ মাইবিএল, বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি ও দেশের প্রথম এআই-নির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাকেজ রাইজ। নাসডাকের তালিকাভুক্ত বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ আগামী নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।