শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫ আশ্বিন ১৪৩২

আইএমএফের ঋণ পুঁজিবাজারকে চাঙা করবে

আপডেটেড
১২ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৪১
আবদুর রহিম হারমাছি
প্রকাশিত
আবদুর রহিম হারমাছি
প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:১০

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলা করতে পারলে সামনে একটি সুন্দর সময় আসবে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ শাকিল রিজভী। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বহুল প্রতীক্ষিত ঋণ পাওয়ার খবর পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ও বাজারকে চাঙা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দৈনিক বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী এই আশার কথা শুনিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বাংলার বিজনেস এডিটর আবদুর রহিম হারমাছি।

আড়াই বছরের করোনাভাইরাস মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় তছনছ হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেমন চলছে দেশের পুঁজিবাজার?

প্রথম বিশ্বের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে। তার পরপরই শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এর একটি বিরাট প্রভাব সারা পৃথিবীতে এসেছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও এসেছে; বেশ ভালোভাবেই এসেছে। কোনো কোনো দেশে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কোথাও তিনগুণ হয়েছে। বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আবার নতুন করে সব কিছু গঠিত হবে। করোনাভাইরাস তো শেষ। এখন যুদ্ধ যদি শেষ হয়ে যায়। তাহলে সারা পৃথিবী ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। সবকিছুই নির্ভর করছে আসলে যুদ্ধের ওপর।

তবে মন্দার ভেতরেও কিছু বিষয় কিন্তু মানুষের লাগে। যত মন্দাই হোক কাপড়, খাদ্য লাগে। বাংলাদেশ কাপড় রপ্তানি করে। যদি আমরা গার্মেন্ট, ডাইং কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ দিয়ে রাখতে পারি, তাহলে কিন্তু এই খাতে খুব একটা সমস্যা হবে না। রপ্তানিটাকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। অপচয় বন্ধ করতে হবে। বেদরকারি বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। তাহলে মনে হয় বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ পার হয়ে যাবে। বাংলাদেশের শক্তি বেসিক গার্মেন্টস এবং রেমিট্যান্স। অপ্রয়োজনীয় আমদানি যদি আমরা বন্ধ রাখতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের ডলারের ঘাটতিটা থাকবে না। যদি বেসিক ডিমান্ড বাংলাদেশ মেটাতে পারে আর বাংলাদেশের কর্মীরা তো বেসিক কাজটাই করে। আমরা যে রপ্তানি করি তার ৯০ শতাংশ কিন্তু বেসিক গার্মেন্টস। ১০ শতাংশ আছে যেটা হাইএন্ড-এর গার্মেন্টস। সুতরাং চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই আছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমরা সবাই মিলে যদি সতর্কতার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জটা পার হতে পারি, তাহলে সামনে একটি সুন্দর সময় আছে।

আমরা যদি অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখি, পৃথিবীতে ১৯২০ সালে অনেক রকম সমস্যা গিয়েছে। তারপর প্রতিটি দেশে বিরাট আকারে উত্থান হয়েছে। জাপানে, কোরিয়ায়, ভিয়েতনামে, আমরিকায় দেখা গেছে ১৯২৯ সালে যখন ব্ল্যাক মানডে হয়েছিল তার পরে অনেক রকম চ্যালেঞ্জ পার করে তারা কিন্তু একটি বিশাল অর্থনীতিতে চলে গেছে। সুতরাং বাংলাদেশের পটেনশিয়াল আছে, আমি আশা করি এই চ্যালেঞ্জটা আমরা মোকাবিলা করতে পারব।

আমরা সবাই মিলে যদি সতর্কতার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জটা পার হতে পারি, তাহলে সামনে একটি সুন্দর সময় আছে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে অন্তর্নিহিত শক্তি আছে, সেই শক্তি দিয়ে আমরা যেভাবে মহামারি করোনা মোকাবিলা করেছি, ঠিক একইভাবে যুদ্ধের ধাক্কাও মোকাবিলা করে সুদিন ছিনিয়ে আনব।

প্রায় এক বছর ধরে ডলারের বাজার অস্থির। নানা পদক্ষেপ নিয়েও বাগে আসছে না। গত মাসের বেশি সময় ধরে বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তার পরও ডলারের দাম কমছে না। সমস্যা আসলে কোথায়? কীভাবে সমাধান হবে? ডলারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশের পুঁজিবাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে?

ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। হিসাব করলে দেখা যাবে, এক বছরে প্রায় ৩০ শতাংশের মতো টাকার মান কমেছে। এর ফলে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে ফেলেছে। তারা আগে বিক্রি করে ফেলেছে। যাতে তারা বেশি ডলার পায়। সেই কারণে যদি মুদ্রার মান স্ট্যাবল বা স্থিতিশীল না হয়, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। কারণ আজকে যে এক লাখ ডলার আনবে, সেটাতে যদি এক কোটি টাকা পাওয়া যায়। আর টাকার মান কমে গেলে ১ কোটি ১০ লাখ পাবে, মানে বেশি পাবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষা করে যে, কখন বিনিময় হারটা স্থিতিশীল হয়। সে কারণেই বেশ কিছুদিন ধরে কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে নতুন কোনো বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না, আগে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন, সেটাও বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে আমি আশা করি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বহুল প্রতীক্ষিত ঋণটা গোটা দেশের মতো পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে; বাজারকে চাঙ্গা করবে। কিছু দিন ধরে আইএমএফের এই ঋণটা পাওয়া যাবে, যাবে না- এ নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছিল বাজারে। এই ঋণে সরকার স্বস্তি পেয়েছে, এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ অন্য দাতা সংস্থাগুলোও ঋণ নিয়ে এগিয়ে আসবে। সাহসের সরকার এখন সংকট মোকাবিলা করতে পারবে। আর তার প্রভাব পুঁজিবাজারেও অবশ্যই পড়বে। আইএমএফের ঋণটা আমাদের জন্য একটা ভালো বার্তা দিয়েছে। এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও দেশের অন্যান্য খাতের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশে আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সব সময় কোনো দেশ সম্পর্কে আইএমএফের মূল্যায়নকে খুব গুরুত্ব দেয়। আইএমএফ বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রেখে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে, সেই পথ অনুসরণ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আসবে। সে কারণেই আমি বলছি, সামনে আমাদের জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে।

তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেই চাপ সামাল দেয়ার পথ সহজ করে দিল?

অবশ্যই, সব দিক দিয়েই বাংলাদেশের জন্য ভালো হয়েছে। একটি বিষয় সবাইকে মনে রাখতে হবে। এ চাপ বা সংকটটা এসেছে, সেটা কিন্তু শুধু বাংলাদেশে নয়। বিশ্বের ছোট-বড় সব দেশেই এসেছে। সামনে আরও বড় বিপদের খবর দিচ্ছে, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা। সেই বিপদ আঁচ করতে পেরে বাংলাদেশ সরকার অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে যেমন ব্যয় সংকোচনসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে; একই সঙ্গে আইএমএফের ঋণের জন্যও জোর তৎপরতা চালিয়েছে, তার ফলস্বরূপ অল্প সময়ের মধ্যেই কিন্তু ঋণটা পাওয়া যাচ্ছে।

এখানে আরেকটি বিষয় সবাইকে বিবেচনায় রাখতে হবে, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান কিন্তু বিপদে পড়ার পর অর্থাৎ গর্তে পড়ার পর আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল। আর বাংলাদেশ বিপদের আশঙ্কা করে আগেই ঋণটা নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাই এ ক্ষেত্রে সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে বলে আমি মনে করি। আইএমএফের এই ঋণটাকে উপলক্ষ করে আরো বিনিয়োগ আসবে। বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে, একে উপলক্ষ করে আরও ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে- এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। কেউ যদি একটি ধাক্কা দেয়, পরে অনেকেই আসে। আমাদের জন্য আইএমএফের ঋণটা দরকার ছিল। এখন দেখবেন সবাই আসবে। এটার সঙ্গে পুঁজিবাজারের প্রভাব অবশ্যই আছে।

যদিও আমরা বলি আইএমএফ শর্ত দিয়ে ঋণ দেয়। কিছু শর্ত কিন্তু গঠনমূলক; আমাদের জন্য ভালো, দেশের জন্য মঙ্গল। আমরা তো চাই দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ কমুক। আইএমএফও সেটা কমাতে বলেছে। খেলাপি ঋণ যাতে আর না হয়, সে জায়গাগুলোকে শক্তিশালী করতে বলেছে তারা। এটা তো আমাদের দরকার। যেমন- ডিপজিটরের (আমানতকারী) টাকাগুলো যারা নিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো তো দেখা উচিত। এই জায়গায় যদি একটি কঠিন সুশাসন আনা হয়, তাহলে তো ভালো হয়। আমাদের ব্যাংকের প্রায় ৯০ শতাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানি। ব্যাংকের শেয়ারগুলো তখন কিন্তু ভালো করবে। ব্যাংক হচ্ছে সবচেয়ে প্রফিটেবল ব্যবসা। তারা নিজেরা কোনো কিছু তৈরি করে না। তারা একজনের কাছ থেকে টাকা এনে আরেকজনকে দেয়। খেলাপি ঋণটা যদি সহনীয় পর‌্যায়ে চলে অসে, তাহলে কিন্তু ব্যাংকের জন্য ভালো। যারা শেয়ারহোল্ডার, যারা বিনিয়োগকারী, তাদের জন্য ভালো। দেশের জন্য ভালো।

অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমার তথ্য দিয়েছে পরিসংখান ব্যুরো। সঞ্চপত্র বিক্রি নেই, আমানতের সুদের হারও কম। এর কোনো প্রভাব কী পুঁজিবাজারে পড়বে?

সংঞ্চয়পত্র বিক্রি কমলে পুঁজিবাজারের দিকে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এখন পুঁজিবাজারের অবস্থা হয়েছে এ রকম যে, সার্বিক অবস্থা যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে দেশের পুঁজিবাজার তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াবে। এর কারণ হচ্ছে, কারখানাগুলোর যে মেশিন আনা আছে, সেগুলো কিন্তু অনেক কমে ৭০ টাকা ডলার বা ৮০ টাকা ডলারে কেনা মেশিন। আরও আগের কেনা। সেই সেটাপ যদি এখন করতে যান তাহলে ডাবল খরচ হয়ে যাবে। সচল কারখানা যেগুলো ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে, তাদের দাম কিন্তু কমে নাই। শেয়ারের দাম কমতে পারে। কিন্তু ইন রিয়াল সেন্স যদি আপনি কোম্পানিটা কিনতে যান আগের টাকায় কিন্তু আপনি কিনতে পারবেন না। প্রত্যেকটি জিনিস আগে যেই দামে কেনা হয়েছে, এখন কিন্তু তিন গুণ চার গুণ দাম লাগবে। শেয়ারের দামে সেটা নাই। কেন হয় নাই সেটার কারণ আছে। টাকার দরকার হলে শেয়ার সবার আগে বিক্রি করা যায়। জমি-ফ্ল্যাট এত তাড়াতাড়ি বিক্রি করা যায় না। শেয়ারটা এ রকম একটি জিনিস মনিটরের সামনে বসলে যা শেয়ার আছে পুরোটা বিক্রি করা যাবে আবার যতটুকু টাকা দরকার সেটা বিক্রি করতে পারেন। এভাবে কিন্তু কোনো সম্পদ বিক্রি করা যায় না। আপনার যদি ১০ বিঘা জায়গা থাকে ১০ কাঠা জায়গা কাউকে বিক্রি করতে গেলে খুব কঠিন। একটা অ্যাপার্টমেন্ট আপনি ভেঙে বিক্রি করতে পারবেন না, পুরোটা বিক্রি করতে হবে। এখানে যদি ১ কোটি টাকার শেয়ার থাকে ১০ লাখ টাকার দরকার হলে ১০ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে।

এসব কারণে শেয়ার মার্কেটের উপরে বিক্রির চাপ আসে বিশেষ বিশেষ সময়ে। আবার সেই সময়গুলো পার হয়ে গেলেই কিন্তু। মানুষের বিক্রির চাপ আর থাকে না। সবই যখন কিনতে আসে এই দামে পাওয়া যায় না। যাদের টাকা আছে তারা এই সুযোগে কিনে রাখেন। এটা বাইরের দেশগুলোতে দেখা গেছে। ক্রাইসিস মোমেন্টে যারা কিনে রাখছেন শেয়ার, তারা ভালো সময় অনেক দামে শেয়ার বিক্রি করতে পেরেছেন। এভাবেই কিন্তু পুঁজিকরণ হয়। কোনো জায়গায় পুঁজি খোয়া যায়, কোনো জায়গায় পুঁজি হয়। এখান থেকে বড় বড় শিল্পপতি তৈরি হয়। আবার অনেকের টাকা হারিয়ে যায়। এটাতো পুঁজিবাদী ব্যবস্থা। এখানে সবার কাছে পুঁজি রাখার দরকার নাই। কারো কারো কাছে বড় পুঁজি থাকবে। সেখানে ১০ হাজার লোক চাকরি করবেন। এই চ্যালেঞ্জের ভেতরে হাত বদল কিন্তু হয়ে যাবে। এখানে অনেক বড় লোক অনেক বিপদে পড়ে নিচে চলে যেতে পারেন। আবার অনেক কষ্ট করে আছে, তারাও উপরে চলে যেতে পারেন।

অর্থনীতির পরিবর্তনের সময় এগুলো বিশেষ করে দেখা যায়। ১৯২৯ সালে ১৯৪৯ সালে পরে ১৯৬১ সালে এসব দেখা গেছে। আশা করা যায়, এটা এখন সময়ের ব্যাপার। আমি আশা করি, বাংলাদেশের যে সার্বিক অবস্থা তাতে আমরা অবশ্যই আশাবাদী। বিশ্বের বাইরে তো আর বাংলাদেশ না। যদি গ্লোবাল আনরেস্ট থাকে যত চেষ্টাই করি না কেন কিছু কিন্তু হাওয়া আমাদের গায়ে লাগবেই।

এমনিতেই পুঁজিবাজারে বেশ কিছু দিন ধরে মন্দা চলছে। এর মধ্যে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদত্যাগ, কারিগরি সমস্যার কারণে লেনদেন বন্ধসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। আপনি ডিএমইর একজন পরিচালক। এতে কী বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে আপনি মনে করেন?

সত্যি কথা বলতে কী, স্টক এক্সচেঞ্জ চালানোর মতো ভালো লোক পাওয়া খুবই কঠিন। সবকিছু মিলে একজন দক্ষ এমডি যে ডিএসইর ৪০০ কর্মকর্তাকে সামলাবেন, আবার তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে সামলাবেন এ রকম লোক পাওয়া খুব কঠিন। যেসব এমডি আমাদের এসেছেন, তারা কেউ কেউ ব্যাংকে কাজ করে এসেছেন। আমাদের ডিএসইর পরিবেশ অনেক অন্য রকম। আমাদের আগের এমডি উনি ভালো ছিলেন। আইটি বিষয়ে তার ভালো জ্ঞান ছিল মনে হয়। আইটিতে বাংলাদেশের ১০-১২ জনের মধ্যে একজন। কিন্তু ডিএসইর সঙ্গে কনফ্লিক্ট হয়ে গেল। ব্যাংকের এমডিরাতো আইটি সে রকম বুঝতে পারতেন না। সিটিও যেভাবে বোঝাতেন সেভাবেই বুঝতে হতো। আমরা পরিচালকরাতো সে রকম বুঝতাম না। কনফ্লিক্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কিন্তু তিনি রিজাইন করেছেন। আবার আমাদের একটি মাসের মধ্যে দুবার লেনদেন বন্ধ ছিল। এটার জন্য আমাদের অনেক গুডউইল সমস্যা হয়। কারিগরি কারণে বন্ধ হতে পারে। কিন্তু মানুষের দক্ষতাগত কারণে যদি বন্ধ থাকে, তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক। চেষ্টা করা হচ্ছে, বিষয়গুলো যাতে ঠিক হয়ে যায়।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের কী কিছু করার আছে বলে আপনি মনে করেন?

অনেক কাজ কিন্তু ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) করে ফেলেছে। বড় দাগে একটি করণীয় আছে ঋণের ব্যাপারে। ধাপে ধাপে বড় ঋণগুলো পুঁজিবাজারমুখী করতে হবে ধাপে ধাপে। তাতে ব্যাংক বাঁচবে, পুঁজিবাজারও বাঁচবে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বারবার বড় বড় প্রকল্পের অর্থ পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহের কথা বলছেন, কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমরা ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মধ্যে খুব বেশি মনোযোগ লক্ষ্য করছি না। এ বিষয়ে সরকারের, বাংলাদেশ ব্যাংকের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরও বেশি কাজ করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। একটা বিষয় কিন্তু আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, একটি ভালো দেশের জন্য, ভালো অর্থনীতির জন্য একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার কিন্তু অবশ্যই প্রয়োজন। আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি, আরও এগিয়ে যেতে চাইলে কিন্তু পুঁজিবাজারকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হবে। আমার মনে হয়, সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

আপনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কথা বলছিলেন। স্পর্শকাতর এই সূচকটির লাগাম টেনে ধরতে ব্যাংকঋণ ও আমানতের সুদের হার যেটা বর্তমানে নয়-ছয় শতাংশ আছে, সেটা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। সুদের হার বাড়ানোর বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

আমাদের মূল সমস্যাটা হচ্ছে ডলার। টাকার মান আমরা যেভাবে ধরে রাখছি সেটাকে আরেকটু ছাড়তে হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে হলে টাকার মান ঠিক করতে হবে। এখন হঠাৎ করে ডিভেলুয়েট (অবমূল্যায়ন) হওয়াতে সমস্যা হচ্ছে। ডলারের দাম বাড়তে দিলে রেমিট্যান্সে টাকা বাড়বে। রপ্তানি বাড়বে। ডলারের দাম বাড়াতে হবে। আমাদের আমদানি সস্তা করে দিতে হবে, তা না হলে ডলার আমাদের থেকে দূরে চলে যাবে।

অন্যান্য দেশও কিন্তু তাদের মুদ্রা অনেক ডিভ্যালুয়েট করেছে। আমাদের এক্সপোর্ট বাড়াতে হলে টাকার মানের সঙ্গে ডলারের মানটাকে স্থিতিশীল করতে হবে। ডলার যদি আসে তখন সব জায়গায় সেটার প্রভাব পড়বে।

বর্তমানে আমাদের ৩৪ বিলিয়ন না ৩৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ- এটা নিয়ে ভেবে ভেবে বসে থাকলে চলবে না। যে রিজার্ভ আছে, সেটাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি সন্তোষজনক বলে মনে করি। কিন্তু আমি মনে করি, বাংলাদেশের রিজার্ভ ১০০ বিলিয়ন, দেড় বিলিয়ন ডলার কোনো ব্যাপার নয়। আমাদের রেমিটারদের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলার আছে। রপ্তানিকারকদের হাতে ২০০ বিলিয়ন ডলার আছে। এগুলো আমাদের সম্ভাবনা। এগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের গার্মেন্টসের আরও বেশি সম্ভাবনা আছে; সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সরকার-গার্মেন্টস মালিক-রপ্তানিকারক সবাই মিলে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি তালিকায় নিয়ে আসতে হবে শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে হবে না।

ঋণ নিয়ে আলোচনার জন্য আইএমএফ প্রতিনিধিদলের যে সদস্যরা ঢাকায় এসেছিলেন, তারাও কিন্তু বিভিন্ন বৈঠকে এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। কেননা, যেকোনো কারণে যদি আমাদের তৈরি পোশাক হোঁচট খায়, তখন কিন্তু আমাদের রপ্তানি খাতে বিপর্যয় নেমে আসবে। অন্যদিকে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে অবৈধ হুন্ডি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গত দুই মাস ধরে কিন্তু রেমিট্যান্স কমে গেছে। হুন্ডি বেড়ে যাওয়ার কারণে এটা হচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা। তাই আমি মনে করি, হুন্ডি বন্ধে আর দেরি না করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সরকারের যদি প্রণোদনার পরিমাণ আরও বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, সেটাও করতে পারে সরকার। মোট কথা, রেমিট্যান্সপ্রবাহ যাতে না কমে সেজন্য সব ব্যবস্থা নিতে হবে।

আর আপনি সুদের হারের বিষয়ে যে প্রশ্ন করেছেন, সে বিষয়ে আমি বলব, নতুন গভর্নর সাবেহ বিচক্ষণতার সঙ্গে সবকিছু সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন। একটার পর এটা পদক্ষেপের কারণে কিন্তু আমদানি ব্যয় অনেক কমে এসেছে। আর আমদানি ব্যয় কমে এলে, ডলারের চাহিদা কমবে, বাজারও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে আবারও বলছি, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা কিন্তু ধরে রাখতেই হবে। আমার মনে হয়, সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই সুদের হারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নতুন গভর্নর বা সরকার অবশ্যই সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

একজন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ হিসেবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে কিছু বলুন?

বিনিয়োগকারীদের আমি একটা কথা বলব, সত্যিকার অর্থে যদি কেউ বিনিয়োগকারী হন তাহলে যেসব কোম্পানি ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে সেগুলোর উপরে নজর রাখুন, সেই সব শেয়ার কিনুন। গুজবে কান দিয়ে, হুট করে, লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেবেন না। ধৈর্য ধরুন, সময় দিন, অপেক্ষা করুন। মুনাফা পাবেনই। আর যদি স্পেকুলাটিভ বা গুজবে খেলা খেলেন তাহলে আপনাদের লাভ হতে পারে, আবার লোকসানও হতে পারে। যারা আসল বিনিয়োগকারী তারা দীর্ঘদিনের জন্য শেয়ার কেনেন। পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন থাকবে। এটাই বাজারের স্বাভাবিক গতি। আজকে খারাপ গেলেও আগামীতে ভালো হবে। আপনি যদি গুজবে লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেন, তাহলে যখন বাজার ভালো হবে, শেয়ারের দাম বাড়বে, তখন কিন্তু আপনাকে আফসোস করতে হবে।


পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।


সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।


সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।


পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।


পুঁজিবাজারে উত্থানের মুখ দেখলো ঢাকা, পতন চট্টগ্রামে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা দুই দিন পতনের পর ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রামে। তবে দুই বাজারেই বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯০ কোম্পানির দাম বেড়েছে বেশিরভাগের। ২২১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৩ কোম্পানির মধ্যে ১০৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ৭০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ১৩ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির।

৩১ কোম্পানির ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৯৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৮৮ কোটি টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফুওয়াং ফুড। অন্যদিকে ৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইউসিবি ব্যাংক।

চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯, কমেছে ৬৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।


পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।


পুঁজিবাজার: লেনদেন শেষে সূচকের উত্থান, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পতন দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। তবে প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচকের সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার বাজার।

শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৮৯ কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।

দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরে পতন হয়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩ কোম্পানির।

২১ কোম্পানির ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। বেকন ফার্মা সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচক এবং কোম্পানির শেয়ারের দাম সন্তোষজনক হলেও লেনদেনে সুবিধা করতে পারেনি ডিএসই। সারাদিনে মোট ৩৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নর্দান ইসলামি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে সাড়ে ৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

চট্টগ্রামেও উত্থান

ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯১, কমেছে ৭১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২১ কোটি টাকার ওপরে।

৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে রয়েছে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স পিএলসি।


বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন

আপডেটেড ৮ মে, ২০২৫ ১২:৩৭
ইউএনবি

গত দিনের দেড়শ পয়েন্ট সূচকের পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে উত্থান দিয়ে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২৫ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ৩৬৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের।

দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৫০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় আছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬৬ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ১২৭ কোম্পানির মধ্যে ৮০ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।


banner close