বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৮ ভাদ্র ১৪৩২

জুলাই-আগস্টে রপ্তানি আয়ে ১০.৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে দেশের রপ্তানি আয় ১০.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আজ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় ছিল ৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।

তবে, সামগ্রিক এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

২০২৫ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের আগস্টে অর্জিত ৪ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে সামান্য কম।

স্বাভাবিকভাবেই তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেটেড ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কেনে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া- দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।


বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করার আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

আপডেটেড ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগের মাধ্যমে একটি ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করা এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।

তিনি বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতায় বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও দেশে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি, বিনিয়োগ ও মেধাস্বত্ত্ববিষয়ক বিরোধ ক্রমাগত বাড়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থার আলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি আনতে একটি আলাদা কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপন এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি প্রয়োগ কার্যক্রমের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, জনবহুল এদেশে আদালতে মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে। যার ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন করা হলেও, বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধসমূহ যদি প্রথাগত আদলতের বাইরে গিয়ে মেটানো যায়, তাহলে একদিকে যেমন আদলতের উপর চাপ কমবে, সেই সঙ্গে বাণিজ্যের পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এটার খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বাণিজ্যবিষয়ক আদালতসমূহে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংষ্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের সংস্কার দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম খান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শুধু যে এফডিআই আকর্ষন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়। বরং বিষয়টি আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিকট ব্যবসায়িক চুক্তির প্রয়োগের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, যেখানে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আরিফুল হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর উপ আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দা রত্নে, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এ এম মাজেদুর রহমান, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রাজাহ অ্যান্ড থান-এর কো-হেড ভিকনা রাজা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের স্পেশাল অফিসার বিচারপতি তারেক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস-এর পার্টনার ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন অংশগ্রহণ করেন।

মুক্ত আলোনায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের বেশ অভাব রয়েছে এবং এ অবস্থার উন্নয়ন না হলে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। বাণিজ্যিক বিরোধগুলো সমাধানে আদালতে না গিয়ে, আরবিট্রেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের স্টেকহোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

আপডেটেড ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ৩ টাকা। নতুন মূল্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৭০ টাকা, যা গত মাসে ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন। নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে ।

এছাড়া, গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও লিটারে ১৩ পয়সা কমিয়ে ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি খাতে ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা। সেখান থেকে বিভিন্ন ওজনের সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারিত হবে।

তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহকৃত সাড়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সৌদি আরামকোর প্রপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এ দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এই মূল্য নির্ধারণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।


হিলি বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু

আপডেটেড ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রামের বড় বাজারের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভারত থেকে টমেটো বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে টমেটো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২৮ টন টমেটো আমদানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো আমদানি করতে শুল্কসহ খরচ গুণতে হচ্ছে ৬১ টাকা।

আমদানিকারক এনামুল হক বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকলে আরও বেশি পরিমাণ টমেটো আমদানি করা হবে।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার হিলি বন্দর দিয়ে এক ট্রাকে ২৮ টন টমেটো আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব টমেটো ৫০০ ডলারে শুল্কায়ণ করা হচ্ছে। যেহেতু টমেটো কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সবশেষ এই বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি করা হয়েছিল।


স্বর্ণের দাম রেকর্ড, প্রতি আউন্স পৌঁছেছে ৩৫০০ ডলারের উপরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে থাকায় মঙ্গলবার প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ ডলারের উপরে পৌঁছেছে।
এশিয়ায় প্রাথমিক লেনদেনের সময় মূল্যবান ধাতুটি প্রতি আউন্স ৩,৫০১ দশমিক ৫৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা এপ্রিলে এর আগের রেকর্ড ৩,৫০০ দশমিক ১০ ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।
হংকং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বিনিয়োগকারীরা দুর্বল মার্কিন ডলার ও ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নেওয়ায় সোনার দামের এই দরপতন ঘটেছে।
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির একটি মূল্য সূচক দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে পিছিয়ে এসেছে। একই সময়ে, ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
শ্রম দিবসের জন্য সোমবার ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ ছিল, তখন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ডলার মিশ্র লেনদেন করেছে।
বন্ধকী জালিয়াতির অভিযোগে ফেডের গভর্নরকে তিরস্কার করার পর ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক পদত্যাগ না করলে, তিনি তাকে বরখাস্ত করবেন।
মার্কিন আপিল আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক শুল্ক, যা বিশ্ব বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সেগুলো অবৈধ বলে রায় দেওয়ার পরও এই রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে।
তবে আদালত আপাতত এই ব্যবস্থাগুলো বহাল রাখার অনুমতি দেওয়ায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করার জন্য সময় পেয়েছেন।


ইসলামী ব্যাংকের এএমডি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

ইসলাামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এএমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম। তিনি ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে ব্যাংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার, ক্যামেলকো, অপারেশন্স ও ডেভেলপমেন্ট উইং-এর প্রধান হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন।

কামাল উদ্দীন জসীম ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসাবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন এন্ড মার্কেটিং ডিভিশন-এর প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও শাখাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ অবজারভার, দৈনিক আজকের কাগজ-সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক সম্মান এবং স্নাকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএস (আইবিএস) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ এবং ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্যসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রুনাই, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন।


স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, এশিয়ার শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করায় মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে। অন্যদিকে জাপানের নিক্কেই এবং হ্যাং সেং শ্রমিক দিবসের ছুটির পরে ওয়াল স্ট্রিটের প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে।

টোকিও থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।

এশিয়ার বাজারের প্রাথমিক লেনদেনে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩,৫০১.৫৯ ডলার, যা চলতি বছরের এপ্রিলের আগের রেকর্ড ৩,৫০০.১০ ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।

মার্কিন ডলারের দুর্বলতা এবং ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর পদক্ষেপ নিয়ে আশাবাদই সোনার ঊর্ধ্বগতিকে ত্বরান্বিত করেছে।

সোমবার চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা চমকপ্রদ আয় এবং এআই রাজস্ব বৃদ্ধির ফলে প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মঙ্গলবার এর শেয়ারের দাম আরো ০.৫ শতাংশ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ফলে গতকাল সোমবার হ্যাং সেং ২.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মঙ্গলবার সূচক ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে সাংহাইও উচ্চতর অবস্থানে রয়েছে।

চীনের শিল্প উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক পারচেইসিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) সোমবার ইতিবাচক অবস্থান ছিল, যা শেয়ারবাজারকে বাড়তি সমর্থন দেয়।

স্যাক্সো মার্কেটসের চারু চানানা বলেন, যেখানে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টরা এআই থেকে আয় বাড়ানো এবং শেয়ারমূল্যের টেকসইতা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে, সেখানে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এআই ও ক্লাউড থেকে বাস্তব আয়ের প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে।

সোমবার নিক্কেই সূচক ১.২ শতাংশ পড়ে গেলেও মঙ্গলবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিউল বাজারও উত্থান দেখায়, বিশেষ করে এসকে হাইনিক্স ও স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স তাদের চীনা কারখানা নিয়ে শঙ্কা কাটিয়ে উন্নতি করেছে।

সোমবার শ্রমিক দিবসের জন্য ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ ছিল, যখন ডলার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় মিশ্র লেনদেন করেছে।

শুক্রবার মার্কিন অর্থনীতির ওয়াল স্ট্রিট শেয়ারবাজার রেকর্ড উচ্চতা থেকে পিছিয়ে যায়, কারণ মুদ্রাস্ফীতির মূল তথ্য দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তথ্য ফেডারেল রিজার্ভকে (ফেড) কৌশলগত ব্যবস্থা নিতে কম সুযোগ দিয়েছে, যার ফলে তাদের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।


দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ), ২০২৫’ শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ অক্টোবর। এতে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের আড়াই শতাধিক এক্সিবিউটর অংশ নেবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব জানায়, মেলার ১৩তম আসরে চারটি প্যাভিলিয়নে ২২০টি স্টল থাকবে। এতে ২ হাজার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, এবারের মেলায় একটি বিশেষ মেডিকেল ট্যুরিজম জোন থাকবে।
তিনি জানান, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় পর্যটন সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইন এবং দেশীয় ভ্রমণ সংস্থাগুলোও অংশ নেবে।
প্রদর্শনীর পাশাপাশি মেলায় বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) সেশন, সেমিনার এবং গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের পর্যটন গন্তব্য নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হবে। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে আকর্ষণীয় পুরস্কারসহ র‌্যাফেল ড্র থাকবে।
টোয়াব পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তসলিম আমিন শোভন বলেন, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেলা হবে বৃহৎ পরিসরে, আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ। এবার উন্নত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রদর্শকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দর্শনার্থীরা ভেন্যুর মানচিত্র ও স্টলের তথ্য জানতে পারবেন।
মেলায় টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা তুলে ধরে আয়োজকরা প্লাস্টিক ফ্রি ইভেন্ট, গাছ লাগানো এবং দেশের আট বিভাগেই পরিবেশবান্ধব পর্যটন প্রচারণার অঙ্গীকার করেছেন।
মেলা ভ্রমণ ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং স্টোরি টেলিং প্রতিযোগিতাও থাকবে। বিজয়ীদের কাজগুলো মেলায় প্রদর্শিত হবে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা পর্যটন খাতের উন্নয়নে এ মেলার গুরুত্ব তুলে ধরে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।
টোয়াব পরিচালক (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মো. ইউনুছের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)-এর সভাপতি মো. তানজিম আনোয়ারও বক্তব্য দেন।


টানা ১৩ মাসে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স, আগাস্টে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের আগাস্টে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৪২ কোটি (২ দশমিক ৪২ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।
গত বছরের আগাস্টে রেমিটেন্স এসেছিল ২২৪ কোটি (২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন) ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ পরিমাণ রেমিটেন্স আসার কথা বলেছেন।
এ নিয়ে টানা ১৩ মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠালেন বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা। ২০২৪ সালের আগাস্ট থেকে রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে দুই বিলিয়ন ডলার আসা শুরু হয়েছিল।
আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্টে) মোট ৪৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৪১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৭৬ কোটি ২০ ডলার বেশি এসেছে। যা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে মাসটিতে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহে দেখা যায়, জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার, মে: ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন: ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বিগত সরকারের সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমেছিল। তবে রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতে উচ্চ প্রবাহের কারণে এখন বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। সরকার পতনের সময় যা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে।
রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকার বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, হুন্ডি বন্ধ করতে পারলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আসা আরও বাড়বে। তাতে ডলার বাজারের অবস্থাও আগের চেয়ে ভাল হবে। ডলারের যোগান বাড়ার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে নিলামে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে নতুন বিনিয়োগ কম। ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ করছেন না বলে মূলধন যন্ত্রপাতির আমদানি কম। তাতে ডলার চাহিদা কম রয়েছে। তবে নির্বাচনের পর নতুন সরকার এলে আমদানি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন ডলার দর কত থাকবে এবং আগের মত আবার হুন্ডি ব্যবসা চাঙ্গা হয় কিনা সে দিকটা দেখার বিষয় রয়েছে।
চলতি বছরেই ডলারের দর বাজারভিত্তিক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ডলার দর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে।


জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জুলাই-২০২৫ মাসের রাজস্ব আহরণ অগ্রগতি ও পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস ও ভ্যাট এবং আয়কর অনুবিভাগের ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসের রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা পৃথকভাবে ২৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি. তারিখ বৃহস্পতিবার সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জনাব মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ এর সভাপতিত্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অংশ নিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ বলেন, আমাদের মূল ফোকাস হতে হবে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন নিশ্চিত করে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত পরিমান রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা। সন্দেহের বশবর্তি হয়ে আমদানি বা রপ্তানিকারকের বিন লক না করে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে রক্ষিত অতীত রেকর্ডের ভিত্তিতে রাজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তিনি পরামর্শ দেন। অহেতুক বিন লক করে সৎ ও কমপ্লায়েন্ট আমদানি-রপ্তানিকারকদের কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। প্রতিটি কাস্টমস হাউস এবং গোয়েন্দা দপ্তরসমূহকে আমদানি-রপ্তানিকারকদের বিন কি কারণে লক করা হয়েছে এবং গৃহিত প্রতিটি কার্যক্রম হতে কি পরিমান অতিরিক্ত কর আদায় হয়েছে, প্রতিটি মাসিক রাজস্ব সভায় এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

ভ্যাটের আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করে আইনানুগভাবে প্রযোজ্য কর আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আদায়ের গ্রোথ বা প্রবৃদ্ধির ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। যারা সৎভাবে নিয়ম-কানুন মেনে ভ্যাট প্রদান করেন তাদের ওপর অহেতুক বাড়তি চাপ প্রয়োগ করা সমিচীন নয়। ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে যারা মোটেও ভ্যাট পরিশোধ করেন না তাদের ভ্যাট নেটে আনা এবং যারা ভ্যাট ফাঁকি দেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে ভ্যাট আদায় বাড়াতে হবে। ভ্যাটের আওতা বাড়াতে আইন অনুযায়ী যাদের ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক তাদের সকলের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করার জন্য সভায় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো এবং অনলাইন আয়কর রিটার্ন দাখিলের ন্যায় আগামি এক মাসের মধ্যে বন্ডের সকল কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন বাধ্যতামূলক করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বন্ডের কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি সেবার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পরামর্শ দেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত সেবা দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

বন্ড সুবিধার আওতায় আনা মালামাল বাজারে বিক্রয়ের প্রমান পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট আমাদানিকারকের বন্ড লাইসেন্স বাতিল করার জন্য চেয়ারম্যান মহোদয় নির্দেশনা প্রদান করেন। বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের সাথে রাজস্ব বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারির ন্যুনতম সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। বন্ডের অপব্যবহার রোধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কমিশনারগণের কাছে জানতে চান এবং এ ক্ষেত্রে কোন ছাড় না দেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বণ্ড অডিট কার্যক্রম হতে অর্জিত ফলাফল সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিটি রাজস্ব সভায় উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কাস্টমস হাউসগুলোতে নিলাম কার্যক্রম জোরদার করে কন্টেইনার জট কমাতে নির্দেশ দেয়া হয়। যে সকল কন্টেইনার অনেক দিন ধরে বন্দরে পড়ে আছে সেগুলো আগামী ডিসেম্বর, ২০২৫ এর মধ্যে দ্রুত নিলামে বিক্রয় করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

আয়কর অনুবিভাগের রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান করদাতাগণ যাতে কল সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তাদের প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন সেজন্য সকল কমিশনারেটে ই-রিটার্ন দাখিলে সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করার পরামর্শ দেন। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে eTin ও eTDS সিস্টেমের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে eTIN সিস্টেমে রক্ষিত তথ্য অনুসারে eTDS সিস্টেমে করদাতার তথ্য এবং অধিক্ষেত্র প্রতিনিয়তঃ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেন।

তিনি বকেয়া কর আদায় বাড়ানোর জন্য বিদ্যমান আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হতে সম্প্রতি প্রণিত অডিট নির্দেশনা অনুসরণ করে সকল অডিট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে কর দাবি সৃষ্টি এবং কর আদায় করার জন্য সভায় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। আয়কর আদায় বাড়াতে অডিট কার্যক্রম বেগবান করার ওপর সভায় বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের অডিট নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় উপায়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা অতিদ্রুত কর্পোরেট করদাতাগণের ক্ষেত্রেও চালুর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম দ্রুততার সাথে গ্রহণের ওপর সভায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

টিআইএন থাকা স্বত্বেও যেসকল করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের সকলকে রিটার্ন দাখিলের জন্য নোটিশ করে, তাদের আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য সরেজমিনে তদন্ত করে, আইন অনুযায়ী আয়কর আরোপ করে তা আদায় করার জন্য আয়কর আইন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করে প্রতি মাসের রাজস্ব সভায় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের জন্য চেয়ারম্যান মহোদয় নির্দেশ দেন। রাজস্ব আদায় বাড়াতে প্রতিটি কর অঞ্চলকে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে কর ফাঁকি উদঘাটন করার ওপর তিনি জোর দেন। দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নসমুহ আয়কর আইনের বিধান অনুসারে প্রসেসিং করার মাধ্যমে কর আদায় কার্যক্রম বেগবান করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।

কর কমিশনারদের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সকল মনিটরিং সদস্যকে প্রতিসপ্তাহে একজন কমিশনারের সাথে সভা করে নন-ফাইলারদের বিরুদ্ধে গৃহীত কার্যক্রম, কর ফাঁকি উদঘাটন কার্যক্রম, ২০২৪-২৫ কর বছরের রিটার্ন প্রসেসিং কার্যক্রম, পেন্ডিং অডিট মামলাসমূহ নিষ্পত্তি কার্যক্রম তাদারকি করে তা একটি পৃথক ব্রিফিং সেশনের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অবহিত করার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

অন্যান্যের মধ্যে কাস্টমস ও ভ্যাট এবং আয়কর অনুবিভাগের সকল কমিশনার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সকল সদস্য আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করে কর-জিডিপি বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার বিষয়ে উপস্থিত সকলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


জুলাই মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধ ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন ডলার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আসল ও সুদের প্রায় ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে।

গত অর্থবছরের (অর্থবছর-২৫) জুলাই মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৮৫.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইআরডি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে সরকার আসল বাবদ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ৩২৭.৭২ মিলিয়ন ডলার। যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে ছিল ২৬৪.৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে সরকার সুদ বাবদ পরিশোধ করেছে ১১৮.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে ছিল ১২০.৭৯ মার্কিন ডলার।

তবে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পেয়েছে ২০২.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে ৮৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার। যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে ছিল ১৬.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে ৪.০৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছিল।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নতুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ৮.৩২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের ১০.৭৩৯ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম।

একইভাবে ঋণ বিতরণও কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৫৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরে ছিল ১০.২৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সর্বাধিক ঋণ বিতরণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৭৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর রয়েছে বিশ্বব্যাংক ৫৯.০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া জাপান ১৭.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারত ১৩.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ৩৫.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ ঋণ করেছে।


নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপাল ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (এনএফটিএ) সভাপতি শিব কুমার আগারওয়াল ও মহাসচিব জয়ন্ত কুমার আগারওয়ালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার বিকালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বৈঠকে এনএফটিএ নেতারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বৈদেশিক বাণিজ্য সহজ করতে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগ ও কার্যক্রম রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপড় গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি নেপালি পক্ষকে পারস্পরিক বাণিজ্য সহযোগিতা থেকে সম্ভাব্য সুযোগগুলো খুঁজে বের করে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান, যাতে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হতে পারে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস দুদেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে যাবে।’

রাষ্ট্রদূত নেপালি প্রতিনিধিদলকে দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে দূতাবাসের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন।


banner close