সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
২৭ আশ্বিন ১৪৩২

প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:০২

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন সামান্য বাড়লেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোববার ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১১৪ ও ১৯৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে ৫৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১২ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৫৩০ কোটি ১৮ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।

রোববার ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টি কোম্পানির, কমেছে ৩১১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।

এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, প্রগতি লাইফ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, সিমটেক ইন্ডাস্ট্রি, রূপালি লাইফ, ডোমিনেজ, রবি, সোনালি পেপার, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট ও রহিমা ফুড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৮৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৪৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির কোম্পানির শেয়ার দর।

রোববার সিএসইতে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।


ডেসকোর লোকসান ১২৫ কোটি টাকা, নেই লভ্যাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা ঢাকা ইলেকটিক্স সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ১২৫ কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছে। রোববার প্রকাশিত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি ।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডেসকোর শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা। ডেসকোর মোট শেয়ারের সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৪। সে হিসাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিট লোকসান হয়েছে ১২৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা ৪৪ হাজার ৮৮২ টাকা।

নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছর শেষে ডেসকোর শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৩৩ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৯৩ পয়সা।

কোম্পানির মূল্য-সংবেদনশীল তথ্যের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু কোম্পানির চলতি বছরে লোকসান হয়েছে এবং অবণ্ঠিত পুঞ্জীভূত মুনাফা ঋণাত্মক, তাই পরিচালনা পর্ষদ এ বছর কোনো লভ্যাংশ সুপারিশ করতে পারেনি।

টানা তিন বছর ধরে লোকসানে রয়েছে ডেসকো। এর আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১২ টাকা ৭২ পয়সা। সে হিসেবে নিট লোকসান হয় ৫০৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানি শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১৩ টাকা ৬১ পয়সা। সে হিসাবে নিট লোকসান হয় ৫৪১ কোটি ২১ লাখ টাকা।

কোম্পানির মূল্য-সংবেদনশীল তথ্যের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার ডেসকোর পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত ৩০ জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী অনুমোদিত হয়। সভায় ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। এর জন্য রেকর্ড ডেট রাখা হয়েছে আগামী ২০ নভেম্বর।


এশিয়ার স্পট মার্কেটে বেড়েছে এলএনজির দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় এক মাসের স্থিতিশীলতা ভেঙে আবারও বেড়েছে এশিয়ার স্পট মার্কেটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম। ইউরোপে আগেভাগে শীত শুরু হওয়া এবং ইউক্রেনের গ্যাস অবকাঠামোয় রাশিয়ার হামলার প্রভাবেই এই জ্বালানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর: রয়টার্স ও মার্কেট স্ক্রিনার।

শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় নভেম্বরে সরবরাহের জন্য গত সপ্তাহে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির গড় মূল্য ছিল ১১ ডলার, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১০ ডলার ৬০ সেন্ট। ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ ডলার ২০ সেন্ট প্রতি এমএমবিটিইউ।

এফজিইর গ্যাস ও এলএনজি সাপ্লাই অ্যানালিটিকস বিভাগের পরিচালক সিয়ামাক আদিবি বলেন, ‘ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেছে, কারণ অক্টোবরের শুরুতেই ঠাণ্ডা আবহাওয়া দেখা দিয়েছে। ফলে বৈশ্বিক বাজারে এলএনজির দামও ঊর্ধ্বমুখী।’

তিনি আরও জানান, ‘ইউরোপে গ্যাস মজুত বাড়ানোর গতি কমলেও রিগ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল থেকে সরবরাহ উচ্চমাত্রায় রয়েছে। তবে এশিয়ার বাজারে চাহিদা এখনো তুলনামূলক কম। মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার বাজারেও মৌসুমি প্রভাবে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। ফলে চলতি শীত মৌসুমে এলএনজির দিকনির্দেশনা নির্ভর করবে ইউরোপের ওপর।’

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে নভেম্বরে সরবরাহের জন্য এলএনজির গড় মূল্য ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ ডলার ৩৩ সেন্ট, যা নেদারল্যান্ডসের টিটিএফ ফিউচার সরবরাহ চুক্তির তুলনায় ৬৩ সেন্ট কম।

অন্যদিকে, আর্গাস এলএনজির মূল্য নির্ধারণ করেছে ১০ ডলার ৩৬ সেন্ট এবং স্পার্ক কমোডিটিস ১০ ডলার ৩০ সেন্ট প্রতি এমএমবিটিইউ।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের আটলান্টিক এলএনজির ব্যবস্থাপক এলি ব্লেকওয়ে জানান, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলায় প্রায় ৩০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন ব্যাহত হয়েছে। তা ছাড়া অক্টোবরেই ইউরোপে শীত শুরু হওয়ায় গ্যাস মজুত থেকে উত্তোলন শুরু হয়েছে, যা দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশের বেশি কম। ফলে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখতে শীত মৌসুমে ইউরোপকে তুলনামূলক বেশি দামে এলএনজি আমদানি করতে হতে পারে।’

তবে আইসিআইএসের সিনিয়র এলএনজি বিশ্লেষক অ্যালেক্স ফ্রোলি মনে করেন, সেপ্টেম্বরে চীনের এলএনজি আমদানি হ্রাস এবং মিসরের দুর্বল চাহিদা ইউরোপীয় বাজারের দামের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে।

অন্যদিকে স্পার্ক কমোডিটিসের বিশ্লেষক ম্যাক্স গ্লেন-ডোয়েপেল জানান, ‘বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে রপ্তানির প্রণোদনা এখনো বেশি, কারণ উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় সরবরাহের তুলনায় ইউরোপীয় বাজারে মূল্য সুবিধা বেশি।’

এদিকে এলএনজির পরিবহন খরচও কিছুটা কমেছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত আটলান্টিক রুটে পরিবহন ব্যয় কমে দৈনিক ২২ হাজার ডলার, আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় রুটে তা স্থির হয়েছে ২৪ হাজার ডলারে।


শিশুদের সুরক্ষায় বেসরকারি খাতের সক্রিয় ভূমিকা চায় ইউনিসেফ

আইসিসি বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে বেসরকারি খাতের পুঁজি, উদ্ভাবন ও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে আইসিসি বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংলাপে ইউনিসেফের প্রাইভেট ফান্ডরেইজিং ও পার্টনারশিপস বিভাগের পরিচালক কার্লা হাদ্দাদ মারদিনি এ আহ্বান জানান।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ ও ইউনিসেফের মধ্যে আয়োজিত এ সংলাপে শিশুদের অধিকার রক্ষা, টেকসই উন্নয়ন এবং সামাজিক কল্যাণে বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা হয়। রোববার আইসিসি বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আইসিসি বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধভাবে কাজ করছে। প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের বাংলাদেশ অধ্যায় হিসেবে আইসিসি বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনা ও নৈতিক কর্পোরেট চর্চা প্রচারে নিরলসভাবে কাজ করছে, যা জাতীয় অগ্রাধিকার ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও জানান, ইউনিসেফের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আইসিসি বাংলাদেশ নিয়মিত সহযোগিতা করে আসছে। ২০২২ সালে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের কার্যক্রমে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেয় সংস্থাটি। পরে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুদের জন্য চিকিৎসা, খাদ্য ও মানবিক সহায়তায় ইউনিসেফ প্যালেস্টাইনের কার্যক্রমে তিন কোটি টাকা অনুদান প্রদান করে।

সংলাপে ইউনিসেফের পরিচালক কার্লা হাদ্দাদ মারদিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এখনই বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও সহযোগিতাকে কাজে লাগানো জরুরি। ব্যবসায়ী সমাজকে একত্রিত করে যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমরা আইসিসি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এ. কে. আজাদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার বিদ্যা অমৃত খান, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেডের এমডি ফজলুল হক, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সায়হাম কটন মিলসের এমডি প্রকৌশলী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, আইসিসি বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আতাউর রহমানসহ ইউনিসেফ ও আইসিসি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইউনিসেফ প্রতিনিধি দল বৈঠকে বলেন, বেসরকারি খাত শুধু অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমেই নয়, তাদের প্রভাব, প্ল্যাটফর্ম ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শিশু অধিকার, লিঙ্গ সমতা ও তরুণদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সভা শেষে আইসিসি বাংলাদেশ ও ইউনিসেফ ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্য একটি যৌথ রোডম্যাপ প্রণয়নে সম্মত হয়। এই রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য হবে করপোরেট সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, নীতিগত সংলাপ জোরদার এবং শিশু ও তরুণদের কল্যাণে সম্প্রদায়ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। এটি ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর স্বাক্ষরিত আইসিসি বাংলাদেশ–ইউনিসেফ সমঝোতা স্মারকের আওতায় পরিচালিত হবে।


বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের তিন টার্মিনাল

চুক্তি ডিসেম্বরে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি, লালদিয়ার চর এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও টার্মিনাল ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশি অপারেটরের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি বলেন, তিন টার্মিনালের মধ্যে পানগাঁও ছেড়ে দিতে কিছুটা সময় নেওয়া হবে।

এছাড়া নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) অক্টোবরের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল, সেটারও কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে।

রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপার্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আলোচনা শুরু হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজিক ইস্যু আছে, ভৌগোলিক ইস্যু আছে। আমরা মনে করি, সেটা বড় কোনো বিষয় হবে না। শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বন্দরে বিদেশি অপারেটর কাজ করছে। সেখানে কোনো সমস্যা না হলে এখানে সমস্যা হবে কেন?

চট্টগ্রাম বন্দরের ক্যাপাসিটি বাড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও যেটা নেই, আমরা তা করছি, বন্দরের মধ্যে কন্টেইনার খুলে পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছি। চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩টি গেট আছে, এর মধ্যে স্ক্যানিং মেশিন আছে মাত্র ৬টি। তার মধ্যে আবার ৩-৪টি নষ্ট থাকে। এভাবে বন্দর চলতে পারে না। এজন্য আমরা বন্দরের ক্যাপাসিটি বাড়াতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা করতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে যাবে।

‘ব্যবসায়ীরা বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিরোধিতা করছেন, এরপরও বন্দর কি ছেড়ে দেওয়া হবে?’— এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তারা আগে এমন নানা কথা বলেন, কিন্তু পরে পরিস্থিতি দেখে আর কথা বলেন না।

‘বন্দরের উন্নয়নে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে, এজন্য খরচ বাড়ানো হবে, এটা বহন করতে পারবেন কি না’—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সেবার মান বাড়ানো হলে, দ্রুত সেবা দেওয়ার মাধ্যমে বন্দরে অযথা জাহাজ বসিয়ে রাখা হ্রাসের মাধ্যমে ড্যামারেজ কমিয়ে আনতে পারলে বাড়তি খরচ দিতে কোনো সমস্যা হবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমুদ্রগামী জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, জাহাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে একই দেশে দুই ধরনের পতাকার অস্তিত্ব রয়েছে। আইন অনুযায়ী সরকারি টাকায় কেনা পণ্য শুধু দেশের পতাকাবাহী জাহাজ বহন করতে পারবে। সরকার মালিকানাধীন জাহাজ বোঝাতে সরকারি পতাকাবাহী জাহাজের কথা বলা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে দেশের বেসরকারি জাহাজ কোন দেশের পতাকা বহন করে?

মূল প্রবন্ধে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়দী সাত্তার বলেন, দেশে জাহাজভাঙা শিল্প ও ছোট জাহাজ নির্মাণ খাত বড় জাহাজ নির্মাণের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। জাহাজ রপ্তানির জন্য প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের কার্যাদেশ আছে। এগুলো ঠিক মতো সরবরাহ করতে পারলে কার্যাদেশ আরও বাড়বে। এজন্য প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে জাহাজ নির্মাণশিল্প উপযোগী ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নির্ভর করে জাহাজ নির্মাণশিল্প। বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য এখন ইতিবাচক রয়েছে। এ সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে জাহাজ নির্মাণশিল্প দুই বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত করা সম্ভব।

স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন উন্নয়নশীল দেশের উপযোগী শিল্পের দিকে যেতে হবে। জাহাজ নির্মাণশিল্প সেই শিল্প যা শুধু তৈরি পোশাক নির্ভর শিল্পের বাইরে টেকসই শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা, পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।


বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিত করার দাবি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। অস্বাভাবিক ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু বে ভিউতে ব্যবসায়ীদের সমন্বয় সভায় বক্তারা এ দাবি করেন। বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনা না করা পর্যন্ত এ ট্যারিফ স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের ব্যানারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এসএম আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়ান গ্রুপের প্রধান এমএ সালাম।

এতে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক, বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের

সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, সাবেক পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, বিজিপিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরীসহ, বেপজার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভিরসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০৩ সালে বাফার সঙ্গে গার্মেন্টসের যখন সমস্যা হয়েছিলো তখন আমি চেম্বারের সভাপতি ছিলাম। বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ একসঙ্গে প্রতিরোধ করতে পেরেছিলাম। এবার বন্দরের নতুন ট্যারিফ সাধারণ মানুষকে দিতে হবে। বন্দর নিয়ে যে খেলা শুরু হয়েছে তা খেলতে দেওয়া হবে না। বন্দরে চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে একজন প্রতিনিধিকে পরিচালক করতে হবে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, বন্দরের মাশুল ব্যবসায়ীরা পেমেন্ট করব না। এটা জনগণকে পেমেন্ট করতে হবে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে স্বাধীন পরিচালক আছে, বন্দরে নেই কেন? আমরা কারও গোলাম না। আমার টাকায় আপনারা চালান। ট্যারিফ বাড়ানো ষড়যন্ত্র। মোংলা, পায়রায় বাড়াননি। আমি ৪০ বছর ব্যবসা করছি। কচি খোকা নই। বন্দর বাঁচাতে হবে। বন্দরকে কস্ট বেইজড ট্যারিফ করতে হবে। আমরা কি গোলাম? কলুর বলদ? অন্তর্বর্তীকালীন কেন ট্যারিফ বাড়াবে? আর কোনো টাকা বন্দরের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। এনসিটির পর একটি পতেঙ্গা টার্মিনাল হয়েছিল, সেটি দিয়ে দিয়েছেন!

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, আরএমজি ব্যবসায়ীরা বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি দুটোই করে। ভিয়েতনাম, ভারত ও মালয়েশিয়ার চেয়ে আমাদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস বেশি। ২৯ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতায় বন্দরকে লস করতে দেখিনি। তাহলে বন্দরে ৪১ শতাংশ ট্যারিফ কেন বাড়াতে হবে?

মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী বলেন, আমরা ট্যারিফ বাড়ানোর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম বন্দর জনগণের টাকায় তৈরি সেবার জন্য। ২০২৩ সালের বন্দর আইনে উপদেষ্টা পরিষদ বাতিল করেছে। স্বাধীনতার সময় বন্দরে কাঁটাতারের বেড়া ছিল। পৃথিবীতে সাড়ে চার হাজার বন্দর আছে। আড়াই হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বাড়াতে হলে জাতীয় সংসদ বাড়াবে। এ দেশের গার্মেন্টস থেকে বায়ার পোশাক কিনবে না। ভিয়েতনাম, ভারতে চলে যাবে বায়ার। বন্দর আমাদের কাছে নেই। আমাদের চুষে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করছে। আমদানি খরচ বাড়লে রপ্তানি খরচ বাড়বে। সব শিপিং এজেন্টদের সমভাবে নির্ধারণের দায়িত্ব চিটাগাং চেম্বারের।


ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পরবর্তীতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। ইইউ-এর সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্ভাবনার সম্ভাব্যতা যাচাই ও বাণিজ্যিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের পর বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পরবর্তীতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রসর হতে চায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার বলেন, সম্পর্কোন্নয়নে বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে উভয় পক্ষেরই সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ আছে।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিসটিয়াগা, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, ফ্রান্স দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ফ্রেডরিক ইনজা, জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এনজা ক্রিস্টেন, ইতালি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ফ্রেডরিকো জামপ্রেল্লি, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইভা স্মেডব্রেগ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ ডেলিগেশনের ট্রেড অ্যাডভাইজার আবু সাইদ বেলাল উপস্থিত ছিলেন।


২ হাজার ৯৮৪ টন পাট রপ্তানির অনুমতি পেল ১২ প্রতিষ্ঠান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ হাজার ৯৮৪ টন পাট রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাঁচা পাট রপ্তানি করতে গেলে এখন সরকারের অনুমতি নিতে হয়। গত মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। বিদ্যমান রপ্তানি নীতির ২০২৪-২৭-এ শর্তসাপেক্ষে পণ্য রপ্তানির একটি তালিকা রয়েছে। এই তালিকায় কাঁচা পাট ছিল না এত দিন। রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পরিপত্রে শর্ত যুক্ত পণ্য তালিকার ১৯ নম্বর ক্রমিকে কাঁচা পাটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দারাজমলে নিশ্চিন্তে কিনুন- শতভাগ আসল পণ্যের নিশ্চয়তার সঙ্গে নকল প্রমাণে তিনগুণ ক্যাশব্যাক দারাজ ১০.১০ ব্র্যান্ড রাশ ক্যাম্পেইন শুরু- জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে সর্বোচ্চ ৮০% পর্যন্ত ছাড়

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্ত আবেদন সাপেক্ষে ওই ১২ প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ দফায় ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স ২০৮ টন, পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ ৮২২ টন, সারতাজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৩৬৬ টন, রশ্মি কবির ১০৪ টন, জননী এন্টারপ্রাইজ ৫২ টন, শরীফ ট্রেড ভিলেজ ২৬ টন, দ্য ওয়ার্ল্ড জুট গার্ডেন ২৫ টন, আইডিয়াল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১৯২ টন, আরএস ট্রেডার্স ১৩০ টন, বুলবুল ট্রেডার্স ২৫ টন, জুটব ইম্পেক্স ১৩০ টন এবং এনএস জুট বেলিং ১০৪ টন পাট রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে।


হিলিবন্দর দিয়ে আমদানি করা কাঁচামরিচ থেকে ১৯.১৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে শেষ চার মাসে ৬৬২টি ট্রাকে মোট ৫ হাজার ১৮৫ টন কাাঁচামরিচ বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি থেকে মোট ১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বাসসকে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে ৬৬২টি ট্রাকে ৫ হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, কাঁচামরিচ একটি পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা দ্রুত সব কাস্টম কার্যক্রম সম্পন্ন করে সময়মতো পণ্য রিলিজ করছি। প্রতিদিন আমদানি হওয়া মরিচ ট্রাক থেকে হিলি স্থলবন্দরে খালি করার পর ব্যবসায়ীরা তা দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান।

তিনি আরও বলেন, বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগ নির্ধারিত অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্য বাস্তবায়নে অক্লান্তভাবে কাজ করছে।

দিনাজপুর ল্যান্ড পোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েই এসব কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে।


বিসিসিসিআইর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে। বিসিসিসিআইর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোসাম্মাত নারগিস মুরশিদার সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার এই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্য এই সময় উপস্থিত ছিলেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ৮ অক্টোবর বিসিসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সাইদ আলী ২৪ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সভাপতি এবং জামিলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি জেনারেল) নির্বাচিত হন। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল বা প্রার্থী না থাকায় সভাপতি পদসহ ২৪ জন কার্যনির্বাহী সদস্য ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিসিসিসিআইর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনটি পরিচালনা করেন চেম্বারের প্রশাসক মোসাম্মাত নারগিস মুরশিদা।

নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি হলেন যথাক্রমে হান জিংচাও, এ. জেড. এম. আজিজুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জি. এম. কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হলেন মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান খান, চাও চংচং, খন্দকার আতিউর রহমান, মোহাম্মদ মাসুদ আলী খান

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে জামিলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নাসিমা জাহান বিজলী (বিন্তি), অর্থপরিচালক পদে ফারহান আহমেদ খান, পরিচালক প্রশাসন পদে তালুকদার মো. জাকারিয়া হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য পরিচালক পদে মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নিউয়াজ, জনসংযোগ পরিচালক পদে মো. জিন্নাতুল ইসলাম নির্বাচিত হন।

অন্যান্য নির্বাচিত পরিচালকরা হলেন, মো. আমানুর রহমান, মো. আবদুল্লাহ যাবের, মো. সেলিমুজ্জামান মোল্লা, সান পিন, এটিএম অলতাফ হোসেন (লোটাস), মো. কামরুজ্জামান, মো. রাকিবুল হক, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল-আজাদ, আসিফ হক রূপো এবং এস. এম. মুস্তাফা জলাল।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রশাসক মোসাম্মাত নারগিস মুরশিদা চেম্বারের আয়-ব্যয়ের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এবং নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এ সময় তিনি নবনির্বাচিত সভাপতির প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, কঠিন সময়ে তিনি চেম্বারের পাশে থেকে কাজ করেছেন।

নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে চেম্বারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় এবং আগামী দুই বছরের জন্য সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।


বিশ্বব্যাপী পোরশের বিক্রি কমেছে ৬ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর বিশ্বব্যাপী পোরশের গাড়ি বিক্রি ৬ শতাংশ কমেছে। জার্মান গাড়ি নির্মাতা ফক্সওয়াগন গ্রুপ জানিয়েছে, চীন ও ইউরোপের বাজারে কম চাহিদা এই পতনের প্রধান কারণ।

এই সময়ে পোরশে বিশ্বব্যাপী মোট ২ লাখ ১২ হাজার ৫০৯টি গাড়ি সরবরাহ করেছে। শুধু চীনে গত বছরের তুলনায় সরবরাহ কমেছে ২৬ শতাংশ, যা সংখ্যায় ৩২ হাজার ১৯৫ ইউনিট।

পোরশের বিবৃতি অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে উত্তর আমেরিকায় পোরশের বিক্রি ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৪৪৬ ইউনিটে। অন্যদিকে, নিজ দেশ জার্মানিতে পোরশের বিক্রি ১৬ শতাংশ কমেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশ (জার্মানি বাদে) মিলিয়ে বিক্রি ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ২৮৬ ইউনিট।

জার্মান এই বিলাসবহুল ব্র্যান্ডটি গত মাসে জানিয়েছিল, চীনা বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা, দুর্বল চাহিদা এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির কারণে তারা চলতি বছরের বিক্রির পূর্বাভাস নিম্নমুখী নামিয়ে এনেছে।

সূত্র- আনাদোলু


চীনের পণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণায় কমেছে বিটকয়েনের দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারমূল্যের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম গত শুক্রবার আবারও হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় এই পতন ঘটে।

গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি চীনা রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্কারোপ করবেন। পাশাপাশি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ‘যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার’ রপ্তানির ওপরও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হবে। এর আগে চীন দুর্লভ খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল। সেই পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবেই ট্রাম্পের এই ঘোষণা নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খবর রয়টার্স।

এই সংঘাতের প্রভাব দ্রুতই বিশ্ববাজারে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শেয়ার সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ দুই শতাংশের বেশি কমে যায়। একই সঙ্গে বিটকয়েনের দাম ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৮২ ডলারে নেমে আসে। দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়ামের দামও একই সময়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬৩৭ ডলারে।

বাজারজুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়। বিটকয়েনের দাম কখনো ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি উঠলেও আবার মুহূর্তেই ১ লাখ ৫ হাজার ডলারের নিচে নেমে আসে। এক দিনে বিটকয়েনের দাম সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে বিটকয়েনের বাজার মূলধন নেমে আসে ২ দশমিক ২৩ লাখ কোটি ডলারে। একই সময় শেয়ারবাজারেও ব্যাপক বিক্রির চাপ দেখা দেয়, ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে বিনিয়োগকারীরা দ্রুত সরে আসতে শুরু করেন।

তবে কিছুদিন আগেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এবং স্পট বিটকয়েন ইটিএফের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিটকয়েনের দাম রেকর্ড ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের ওপরে উঠেছিল। কিন্তু নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য করছে। ফলে ইথেরিয়াম ও এক্সআরপির মতো বিকল্প ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোর দামও ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির কৌশলগত রিজার্ভ’ গঠনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ক্রিপ্টোবান্ধব একাধিক ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন-যেমন মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে পল অ্যাটকিনস এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ডেভিড স্যাক্সকে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব দেন। খবর ইকোনমিক টাইমস।

২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো খাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেমন স্টেবলকয়েনের নিয়ম অনুমোদন ও এসইসির বিধি সংস্কার। এসব কারণে বছরজুড়ে বিটকয়েনের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনা ও ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির প্রভাবে গত কয়েক দিন ধরে ক্রিপ্টো বাজারে ধারাবাহিক পতন দেখা যাচ্ছে।


রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম আট দিনেই প্রবাসী আয় হিসেবে দেশে এসেছে প্রায় ৮০ কোটি মার্কিন ডলার। পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার কিনেছে। ফলে ওই দিন শেষে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১.৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা কার্যত ৩২ বিলিয়ন ছোঁয়ার পথে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী ওই সময় রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে আরও প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলার।

বর্তমান অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ১৪টি নিলামের মাধ্যমে ২ বিলিয়নের বেশি ডলার কিনেছে। এসব নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে মাল্টিপল প্রাইস পদ্ধতিতে, যেখানে প্রতি ডলারের গড় মূল্য ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা।

এদিকে প্রবাসী আয়ও গত এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, যা আগস্ট মাসের চেয়ে প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত মার্চ মাসে প্রবাসী আয় রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলার ছাড়ায়- যা এক মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসী আয়ে এই ইতিবাচক ধারা ও রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হলো অর্থপাচার ও হুন্ডি লেনদেনের হার কমে আসা। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলে স্থিতিশীল বিনিময় হার প্রবাসীদের বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে রিজার্ভ আরও বাড়বে, যা দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


banner close